স্টেশনে এক দিন

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: রবি, ১৬/১১/২০০৮ - ২:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইট বিছানো রাস্তায় রিক্সার ঝাকি খেতে খেতে যখন অতিষ্ট হয়ে গেছি তখন এসে পৌঁছালাম ট্রেন স্টেশনে। মফস্বলের ছোট স্টেশন। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দুপুর বারোটা বেজে গেছে ইতিমধ্যেই।

প্লাটফর্মে ঢুকতেই দেখলাম এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক বসে আছে সামনে একটা টিনের থালা নিয়ে। বেচারাকে দেখে কেমন মায়া হলো। চুল দাড়ি সব শাদা ধবধবে। শতচ্ছিন্ন মলিন পোষাক। তবে সবচেয়ে যা আকর্ষণ করে তা হচ্ছে তার চোখ। কেমন অদ্ভুত কিন্তু মায়াবি দৃষ্টি। আমি সাধারনত যা করি না তাই করলাম। মানিব্যাগ বের করলাম তাকে টাকা দেবার জন্য। কিন্তু এই যা কোন ভাঙতি নেই! কি করবো একটু ভেবে একশ টাকার একটা নোট দিয়ে দিলাম। মানিব্যাগ যখন বের করেছি তখন টাকা না দেয়াটা কেমন দেখায়। ভিক্ষুক বৃদ্ধ আমার দিকে চেয়ে একটু মৃদু হাসলো শুধু। কিছু বলল না।

আমি গিয়ে বসলাম প্লাটফর্মের কোনে এক বেঞ্চিতে। সেখানে আগে থেকেই এক তরুন বসে ছিল। সে কেমন তিব্র দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। যেন আমাকে মেপে নিল। তারপর বলল - আপনে কাজটা কি ভালো করলেন? ঐ বুড়া ভিক্ষুকটারে অতগুলা টাকা দিলেন ? আমি জবাব না দিয়ে মুচকি হাসলাম। সে আবার বলল - হাইসেন না ভাই। আপনে জানেন না ব্যাটা একটা গোঁয়াড়। ওর নিজের দোষে ও এখন ভিক্ষা করে।

আমি এবার একটু আগ্রহী হলাম। বললাম - আপনি কে ভাই? তরুন উষ্মা নিয়ে বলল - আমি এই এলাকার পোলা। আমাগো এইখানে একটা জনকল্যান সমিতি আছে। মানে আমরা কিছু জুয়ান পোলাপাইন মিলা করছি। আমি সেই সমিতির সভাপতি। আমি মুখে হাসি নিয়ে বললাম - তা ভাই, ঐ বৃদ্ধ কি এমন অন্যায় করেছে? আমার তো ওকে বেশ নিরীহই মনে হলো।

হ কইছে আপনেরে ও নিরীহ! ও আস্তা একটা বলদ - তরুনের কন্ঠে তখনো উষ্মা - আপনে জানেন ও চাইলে আজকে রাজার মতো থাকতে পাড়তো। তা না এখন ভিক্ষা করে। ট্রেন আসতে দেরী আছে তাই আমি আলাপ চালিয়ে গেলাম - আচ্ছা ঘটনা তবে খুলেই বলুন না।

তাইলে শোনেন - তরুন শুরু করলো - ঐ বুড়া তো আগে ভিক্ষুক ছিল না। একটা স্কুলে দপ্তরির কাজ করতো। গরীব ছিল, ঘর আর ভিটা ছাড়া ছিল না কিছু। আর পরিবার বলতে ছিল দশ বছরের এক নাতনী। বাকিরা সব এক সড়ক দূর্ঘটনায় আগেই মরছে। দপ্তরির কাজ কইরা যা বেতন পাইতো, তা দিয়া দুই জনের পরিবার খাইয়া পইড়া থাকতে পাড়তো।

কিন্তু হঠাৎ একদিন তার নাতনী অসুস্থ হইলো। এলাকার ডাক্তার কইলো শহরে বড় ডাক্তার দেখাইতে। কিন্তু ডাক্তার দেখাইতে তো টাকা লাগে। এত টাকা তার কাছে নাই। আমি জনকল্যান সমিতির সভাপতি, তাই আমার কাছে আসলো। আমি কি করমু? আমাগো সমিতি তখন মাত্র শুরু করছি। কোন টাকা পয়সা নাই ফান্ডে। অনেক কষ্টে দুইজন ধনী লোকের কাছ থিকা কিছু টাকা জোগাড় কইরা দিলাম। সেই টাকায় সে নাতনীরে নিয়া শহরে গেল।

শহরে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় এলাকায় ফিরা আসলো সে একা। মুখ শুকায়া পাংশু হইয়া গেছে। আমার কাছে আইসা কাইন্দা পড়লো। নাতনীরে রাইখা আসছে সরকারী হাসপাতালে। তার ক্যান্সার ধরা পড়ছে। অপারেশন লাগবে। এদেশে হবে না। বিদেশে নিতে হবে ডাক্তার বলছে। টাকা লাগবে পাঁচ লাখ।

আমি তো চোখে তখন আন্ধার ছাড়া কিছু দেখি না। এত টাকা এই বুড়া কই পাবে? অনেক চিন্তা কইরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলাম। বুড়ার নামে একটা ব্যাঙ্ক একাউন্ট কইরা তার নাম্বার দিলাম। সমিতির পোলাপান নিয়া বাড়ি বাড়ি ঘুরলাম চাঁদা তুলতে। তাতে বেশ কিছু টাকা উঠলো। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা তো অনেক দূর। এর মইধ্যে বুড়ার সাথে গিয়া তার নাতনীরে দেইখা আসলাম। আহারে ছোট্ট মাইয়াটা শুকাইয়া যে কি হইছিল, ভাবলে এখনো আমার চোখে পানি আসে।

এর মইধ্যে আমি অনেক গুলা টিভি চ্যানেলে চিঠি দিছিলাম তারা যেন বুড়া আর তার নাতনীর ব্যাপারে টিভিতে একটা কোন অনুষ্ঠানে কিছু প্রচার করে। একদিন এক টিভি চ্যানেল সত্যিই চইলা আসলো। আর বুড়ার কপাল খুলল। তারা বুড়ার সাক্ষাতকার নিল। আমারও সাক্ষাতকার নিছিল। মাইয়াটার ছবি তুইলা সেইটাও দেখাইছিল। ব্যাস দুই সপ্তার মইধ্যে বুড়ার ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট টাকায় উপচায়া পড়ল। পাঁচ লাখের জায়গায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা জোগাড় হইয়া গেল।

তারপর আমিই দৌড়াদৌড়ি কইরা ওগো কাগজ পত্র ঠিক কইরা দিলাম। বুড়া একা কিছু করতে পাড়বে না ভাইবা আমিও লগে যামু ঠিক করলাম। তবে নিজের খরচে। সবকিছু যখন ঠিকঠাক হইয়া গেছে। কাগজ পত্র হাতে পাইতে দুই এক দিন বাকি। এমন সময় তার নাতনীটা মইরা গেল। একদম হঠাৎ কইরাই অবস্থা এমন খারাপ হইলো ডাক্তাররা আর কিছু করতে পাড়লো না।

বুড়া এমনই আঘাত পাইলো যে কানতেও ভুইলা গেল। একদম চুপচাপ। কারও সাথে একটা কথাও কইলো না এই ব্যাপারে। তবে যত যাই হইছে, ব্যাঙ্কে তখন তার প্রচুর টাকা। এই টাকা দিয়া বাকি জীবনটা তার আরামেই কাইটা যাইতো। কিন্তু ব্যাটা কোন টাকা রাখলো না। পুরা টাকা আমাগো জনকল্যান সমিতির ফান্ডে দান কইরা দিল। এত কইরা বললাম কিছু টাকা অন্তত নিজের জন্য রাখতে তা আমার কথা কানেই নিল না।

বেচারা নাতনীর পিছনে সময় দিতে গিয়া নিজের চাকরীটাও হারাইছে। কইলাম আমাগো সমিতিতে কাজ করতে, কিন্তু করবে না। আমি বেশি জোড়াজুড়ি করতাম দেইখা একদিন আমারে লাঠি নিয়া তাড়া করলো। এখনো আমি সামনে গেলে ধমকায়, তেইড়া আসে। নিজের ঘরেও আর যায় না। এই স্টেশনেই থাকে। ভিক্ষাও ঠিক মতো করে না। কোন মতে একবেলা খাওয়ার টাকা হইলেই উইঠা পড়ে।

আমি নিরবে শুনছিলাম এই কাহিনী। এ যুগে এমন লোক আছে নাকি? এত টাকার লোভ ছেড়ে ভিক্ষা করছে? আমি তরুনকে জিজ্ঞেস করলাম - আপনি কি প্রতিদিন এসে তাকে দেখে যান। হ প্রতিদিন দুপুরে আসি - তরুন বলল - মফস্বল তো, ছোট জায়গা। ভিক্ষা কইরা সবদিন বুড়ার খাবারের টাকা ওঠে না। যেদিন টাকা কম ওঠে সেই দিন আমি নিজের পকেট থিকা টাকা দিই। তবে নিজে দিই না। আসে পাশের কাউরে বলি টাকা দিয়া আসতে। আমারে সে এখন এত অপছন্দ করে যে আমার কাছ থিকা টাকাও নিবে না। আমি এখন তার সবচেয়ে বড় শত্রু। তবে আজকে আর টাকা দিতে হবে না। আপনেই তো দিয়া দিছেন। কিন্তু অত টাকা আপনে হুদাই দিছেন। একবেলা খাওয়ায় যা টাকা লাগবে সেইটা খরচ কইরা বাকিটা সে বিলায়া দিবে গরীব পোলাপাইনরে।

ডান হাতের চেটোয় তরুন তার চোখ মুছলো। নিজেই যেন নিজেকে বলছে এমন করে বলল - বুড়ার দেওয়া টাকায়ই এখন আমাগো সমিতি খাড়া হইছে। তার টাকার প্রায় সবটাই জমা আছে সমিতির ফান্ডে। আরও টাকা জোগাড় করতাছি। আমাগো ইচ্ছা এই এলাকায় একটা বড় হাসপাতাল বানামু। আর সেই হাসপাতালের নাম হইবো ঐ বুড়ার নামে। এমন বোকা আর গোঁয়াড় মানুষ আপনে আর একটা পাইবেন না এই দুনিয়ায়। বলা শেষ করে তরুন আবারো চোখ মুছলো।

একটু পরে হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসলো। তরুনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ট্রেনে উঠলাম। ট্রেনের জানালা দিয়ে প্লাটফর্মের গেটের দিকে তাকালাম। তরুনের সেই বুড়া সত্যিই তখন নেই সেখানে। তার আজকের দিনের জন্য যা টাকা দরকার তা উঠে গেছে। এখন নিশ্চই শুয়ে আছে কোথাও। তরুনটিকেও দেখলাম না। সেও চলে গেছে।

আমার মনটা কেমন এক অদ্ভুত প্রশান্তিতে ভরে গেছে। দেশটা তাহলে এখনো রসাতলে যায়নি। এই ছোট্ট মফস্বলে এখনও ঐ বুড়োর মতো, ঐ তরুনের মতো লোক রয়েছে। যারা নিজেদের স্বার্থের বাইরেও চিন্তা করতে পাড়ে। মানুষকে অকারনে ভালোবাসতে জানে।


মন্তব্য

খেকশিয়াল এর ছবি

খুবই সুন্দর গল্প, দারুন লাগল ! চালিয়ে যান কীর্তিনাশা ভাই !

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ খেকশিয়াল ভাই, উৎসাহ দেবার জন্য। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুমম! দেশটা তাহলে এখনো রসাতলে যায়নি...। এমনই যেন সবসময় থাকে।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমারো তাই কামনা ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নির্বাক এর ছবি

ভালো লাগলো! হতাশার মাঝেও ভালো ভালো কথাগুলো শোনা খুব জরুরী। ধন্যবাদ আপনাকে।

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সবজান্তা এর ছবি

দারুন লাগলো ভাই, দারুন !


অলমিতি বিস্তারেণ

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বেঁচে থাক অকারণ ভালবাসা। এগিয়ে যাক আপনার ভাল লেখা।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

কীর্তিনাশা এর ছবি

বেঁচে থাক অকারণ ভালবাসা।

ধন্যবাদ রশীদ ভাই। হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা [অতিথি] এর ছবি

মানুষ আসলেই অকারণে ভালবাসতে জানে। আমার খুব ভাবতে ইচ্ছে করছে গল্পটা আসলেই সত্য। আহারে... মনের অজান্তেই বেরিয়ে গেল চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাসটা.... ভাল থাকুন।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমার খুব ভাবতে ইচ্ছে করছে গল্পটা আসলেই সত্য।

গল্পটা সত্য না হলেও আমার বিশ্বাস এরকম মানুষ অবশ্যই আছে। আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তারা। তাদের কারনেই দেশটা এখনও টিকে আছে।

আপনিও ভালো থাকুন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছেন হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ মুমু হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুস্তাফিজ এর ছবি

লিখেছেন ভাল

...........................
Every Picture Tells a Story

কীর্তিনাশা এর ছবি

থ্যাঙ্কু মুস্তাফিজ ভাই হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভালো লিখেছেন কীর্তিনাশা।
সত্যি অভিজ্ঞতা কি না আপনার, তা তো জানি না। যদি নিছক গল্পই হয়ে থাকে, তবে ভীষণ আইডিয়ালিস্টিক বলতে হবে। রসাতলে যায়নি ভেবে যদি অন্তত একটু সুবাতাস পাওয়া যায় বুকে! এমন মানুষ অবশ্য থাকতেই পারেন এখনও এই জমানায়ও কোথাও। সেটা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এমন এক-দু্ইজনের কর্মগুণে কতোটুকু কী আসে যায়! স্যরি, পেসিমিস্টিক হয়ে গেলাম এমন একটা পজিটিভ লেখার নিচে কমেন্ট করতে এসেও। হাসি
ভালো থাকেন।

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

তবে এমন এক-দু্ইজনের কর্মগুণে কতোটুকু কী আসে যায়!

একজন দু'জনের হাত ধরেই কিন্তু যুগ পাল্টায়, নতুন জোয়ার আসে। তাই আমি বিশ্বাস করি এরকম যারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছেন তারাই একদিন আমাদের এ দেশটাকে পাল্টে দেবে। আমি সত্যি সত্যি সেই সব মানুষদের সেই সব বদলে যাওয়া দিনের স্বপ্ন দেখি।

এই যাহ, একটু আঁতেল মার্কা কথা হইয়া গেল।(দেঁতোহাসি)

যাউকগা, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আশা চিরঞ্জীব হোক।
বিশ্বাস হোক হিমালয়।
এই অপটিমিজমটাই আমি মিস করি বা ল্যাক করি ইদানিংয়ের সচরাচর। কম বয়েসেই বেশিই টায়ার্ড হয়ে গেছি বুঝতে পারি।
ধন্যবাদ কীর্তিনাশা। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

এত তাড়াতাড়ি টায়ার্ড হয়ে গেলে কেম্নেকি?

ভালো থাকবেন। ধন্যাবাদ আবারো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভীষন ভালো লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ইয়া হাবিবি দেঁতো হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

অসম্ভব এক আশাবাদী গল্প--------সত্যিই যদি হত! আমি ভাবতে চাই আপনার গল্পের তরুণ সত্য-------বুড়ো সত্য -------- গল্পটা সত্য।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যাবাদ ক্যামেলিয়া আপু!! হাসি

আমি বিশ্বাস করি এমন মানুষ আমাদের দেশে আছে, অবশ্যই আছে।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

স্যরি, মাঝখানে আচানক সেঁধিয়ে গিয়ে নাকটা গলিয়ে দেয়ার জন্য।
তবে, আপু, আমি বলতে চাই সহজেই ছোট্ট ক'রে, যে আপনার এই ছোট্ট কমেন্টটাই বড় ভালো লাগলো। কী এক যথার্থ প্রকাশ! হাসি
ধন্যবাদ ক্যামেলিয়া আপু।
কিছু মনে করবেন না ভাই কীর্তিনাশা। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

মনে করার কিছু নেই। আপনার আগ্রহ দেখে এবং মন্তব্য পেয়ে বরং খুশিই হলাম। ধন্যাবাদ আবারো। হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তানবীরা এর ছবি

সত্যিই সত্যিই এমন কিছু আছে ভাবতে ইচ্ছে করে, গল্প ভাবতে ইচ্ছে করে না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কীর্তিনাশা এর ছবি

তাহলে গল্প ভাববেন না, সত্যিই ভাবুন। কারন আমি বিশ্বাস করি এর চেয়েও অনেক অনন্যসাধারন ঘটনা বাস্তব জীবনে ঘটে চলেছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গল্প ভালো হইছে...
যদিও আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিন্ন ছিলো...

তবে সেটাকে আমি বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা হিসাবেই দেখতে চাই। আর আপনার গল্পটাই সত্যি হয়ে যাক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমিও বলি - বিচ্ছিন্ন ঘটনা সব বিচ্ছিন্নই থাকুক। আর আমার গল্প সত্যি হয়ে যাক।

ধন্যবাদ নজু ভাই হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নিঘাত তিথি এর ছবি

ভালো।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

গোপাল ভাঁড় এর ছবি

ভাল্লগ্লো।
হাওয়া বাতাশের যা অবস্থা, এমন গল্প শুনলে বিশ্বাস হয় না, ভয় লাগে। লোল
দুইজন মিল্লা ট্যাগ টিম খেইলা আপনারে মামু বানায় নাই ত।

--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার

--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........

কীর্তিনাশা এর ছবি

হো হো হো

ভালো কইসেন!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, এমন ঘটনা ঘটে।
খুবই হৃদয়স্পর্শী লেখা।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ সন্ন্যাসী দা হাসি
আমি কিন্তু বিশ্বাস করি এরকম ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে আমাদের অজান্তে।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

অত্যন্ত মর্মস্পর্শি লেখা। উপস্থাপনাও দারুন হয়েছে।

--------------------------------------------------------

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ বাচ্চা ভূঁত! হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই ইতিবাচক একটা লেখা। ভাল লাগসে। আমিও বিশ্বাস করতে চাই, এরকম ঘটনা হরহামেশাই ঘটে।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ অ প্র হাসি

আমার বিশ্বাসও আপনার মতো। আর সেই বিশ্বাস থেকেই এই গল্পের অবতারনা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।