গতকাল যখন আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছিলাম তখন রাত প্রায় এগারোটা। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি চাঁদটা কেমন আধভাঙা হয়ে আছে আর মরা জোছনায় ভেজাতে চেষ্টা করছে ঢাকা নগরীকে। চাঁদটাকে দেখে কেমন যেন লাগলো। মনে পড়ে গেল বহুদিন আগের এক পূর্নিমা রাতের কথা।
সে রাতে বিস্তির্ন খোলা এক ধানেক্ষেতের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া এক রাস্তার কালভার্টের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলাম একদম একা। জোছনার প্লাবনে ভেসে যাচ্ছিল চারপাশ। মৃদুমন্দ বাতাসে শুকনো পাতা, খড়কুটো ওড়াউড়ি করছিল রাস্তার ওপর। পুরো পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে ছিল। মানে থম ধরে থাকা যাকে বলে। সেই পরিবেশে দাঁড়িয়ে আমার গা কেমন ছমছম করছিল। অমন অদ্ভূতুরে আলোতে আর নির্জনতায় অতিপ্রাকৃত সব কিছুতেই কেমন বিশ্বাস চলে আসে।
আমারও মনে হচ্ছিল কেউ একজন আমার পিছে দাঁড়িয়ে আছে। আমি যেদিকেই তাকাই, যেদিকেই ঘুরি সে ঠিক যেন আমার পেছনেই আছে। এমন শংকাময় অবস্থায় হঠাৎ একটা পেঁচা ডেকে উঠলো। ডেকে উঠলো না বলে আসলে বলা উচিৎ কেঁদে উঠলো। ভুত-ভুত-ভুতুম, ভুত-ভুত-ভুতুম করে সে যেভাবে মাতম তুলল তাতে আমি পুরো জমে গেলাম। কেমন তীব্র একটা ভয় আমাকে ছেঁকে ধরলো। মনে হচ্ছিল এখনই একটা কিছু সর্বনাশা কান্ড ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু ছুটে যে পালিয়ে আসবো সে শক্তি আমার নেই। ভয়ে স্থবির হয়ে আমি ডুবে যাচ্ছিলাম সে মরা কান্নার অতলে। ভাগ্যিস সে সময় আমার খোঁজে আমার এক খালাতো ভাই চলে এসেছিল সেখানে। তাকে পেয়ে ধরে প্রান ফিরে পেয়েছিলাম আমি। মানে মানে চলে এসেছিলাম সেখান থেকে তার হাত ধরে।
অনেক দিন আগের কথা হলেও সেই রাতের স্মৃতি এখনও তেমন ম্লান হয়নি। গতকালের মরা চাঁদটা দেখে যতটুকু ধুলো জমেছিল সে স্মৃতির পরতে তাও উবে গেল। আর তাতেই মাথা থেকে একখানা ’কিছু না’ বেরিয়ে আসলো। ’কিছু না’ মানে হচ্ছে এইটা ছড়াও না কবিতাও না। এখন আপনারা পড়ে বলেন এইটা আসলে কি -
কাঁদে পেঁচা কাঁদে
কান্না তার চাঁদে
ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে
দুমরে মুচড়ে পড়ে থাকে ঘাসে ।
বিপুল প্লাবি জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় খড়কুটো
তার সাথে ভেসে যায় কান্না এক মুঠো।
কাঁদে পেঁচা কাঁদে
মাঝ আকাশের ছাদে
জেগে থাকে চাঁদ
উথলানো জোছনায় পেঁচা
কাঁদ আরো কাঁদ ।
মন্তব্য
চমতকার!!!!!!!!!!
ধন্যবাদ ইফতেখার ভাই অসংখ্য !!!!!!!!!!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনি তো মনেহচ্ছে এবার কবিদেরকেও নাশ করতে নেমেছেন
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
কি যে বলেন নির্বাক সেই ক্ষমতা কি আর আমার আছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হুম...... মনে হচ্ছে এই বার অণুগল্পের সাথে কবিতার ফ্যাক্টরী মাঠে নামতে যাচ্ছে ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ কইসে আপনেরে!
আমার কি আর খায়া দায়া কোন কাম নাই ??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাল লাগল,বস।
অনেক দিন পর আপনার মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো অনিকেত দা!
অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ বস্ ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইবার ভাই কবিদের কীর্তি নাশ করতে চললেন নাকি !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
না রণ'দা ঐটা আপনার উপর ছেড়ে দিয়েছি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কে জানি বলে গেছে- তৃতীয়বারের মত প্রেমে পড়লে নাকি এমন হয়
ভাল লাগলো, কীর্তিনাশা ভাই।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তৃতীয়বার প্রেমে তো সেই ক্লাস ফাইভে থাকতে পড়ছিলাম। কিন্তু এই ঘটনা তো তারও অনেক পরের। তাইলে কেম্নেকি
ধন্যবাদ স্বপ্নাহত
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দুর্দান্ত লাগল কীর্তিনাশা ভাই
সত্যিই মুগ্ধ হলাম।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
আপনি তো ভাই আমার সব লেখাতেই মুগ্ধ।
ধন্যাবাদ অসংখ্য ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
- নাশু ভাই, বিয়া করেন, জলদি! কোবতে জটিল হৈছে
একটা পিস অফ বুদ্ধি দেই। ইনফো আরকি। পূর্ণিমা রাতে ভূতেরা ব্যস্ত থাকে নিজের বউ-ঝি আর প্রেমিকা লইয়া। আপনে একলা না দোকলা, কালভার্ট না পুল-এর উপর খাড়ায়া আছেন ঐটা দেখার বেইল তখন তাগো নাই। আর ভূতেরা তো এমনিতেই রাইতকানা। অমাবস্যায় তো তাগো আপনেরে খুঁইজা পাওনের কথা না। হেরা তখন ঘরে ফেরার তাড়ায় এইখানে সেইখানে ঢুঁশ-ঢুয়া খাইতে ব্যস্ত!
নেক্সট টাইম আর ডরাইয়েন না। আমি আছি না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাঙ্কু ধুগো ভাই। তয় বিয়া তো বহুত আগেই কইরা ফালাইসি
আপনার ভূঁত বিষয়ক তথ্য থেকে বুঝতে পারলাম এ বিষয়ে আপনার বহুত সম্যক জ্ঞান আছে। এর মাজেজা কি? ছুটোকালে কি পীর, ফকির, দরবেশ আছিলেন নি?
তয় নেক্সট্ টাইম আসলেই আর ডরামু না। আপনার অভয়দানে বুকের ভিতর সাহসের পুর উথাল পাথাল ঢেউ উঠছে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অনেকদিন এমন কাব্যময় লেখা পড়িনি।।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
অসংখ্য ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই।
আপনার মন্তব্যে ভিষণ উৎসাহিত হলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পুরোটাই তো তুলে দিলাম আমি আবার। কাকে নিলে কে রাগ করে! সব লাইন-ই ভালো হয়েছে। সবটা মিলেই চমত্কার লেগেছে।
আর, এইটা যদি কবিতা না হবে, আমি জানতে চাইবো- কবিতা তাইলে কোন্ডারে কয়?!
থাম'স আপ, কীর্তিনাশা।
------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
খাইসে! আপনি তো ভাই আমারে লজ্জা দিলেন
ধন্যবাদ অসংখ্য
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ব্বাহ্! আপ্নে তো লজ্জাও অনেক সুন্দর ক'রে পাইতে পারেন! কী সুন্দর লাল হইছে গাল!
যাক। স্বাগতম।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন