• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

নদী ভয়ঙ্কর ! নদী সুন্দর ! ...........

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: সোম, ১১/০৫/২০০৯ - ৩:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নদীর প্রতি ভালবাসা আমার অন্তহীন। না, নদী বলতে এখানে কোন নারীর নাম বোঝানো হচ্ছে না। নদী বলতে আমি প্রাকৃতিক জলধারাকেই বোঝাচ্ছি। অযথা কেউ অন্যকিছু ভাবিয়া পিড়ীত বা প্রীত হইবেন না। (দেঁতোহাসি)

তো নদীর প্রতি এই অন্তহীন প্রেমের কারণে আমি সুযোগ পেলেই নদীর কাছে ছুটে যাই। জন্ম আমার নদীমাতৃক অঞ্চলে বলেই বোধহয় এমন নাড়ির টান অনুভব করি।

নদীকে ঘিরে আমার শৈশর কৈশোরের কত স্মৃতি। তারুন্যের স্মৃতিও খাটো করার মত নয়। সেই নদীকে ঘিরেই কিছুদিন আগে যে ঘটনাটা ঘটলো আমার জীবনে তা একই সাথে ভয়ঙ্কর এবং রোমাঞ্চকর। কোন কিছুর সাথেই এর তুলনা চলে না।

যাচ্ছিলাম শরিয়তপুরের এক গ্রামে। যেখানে আমার পিঠাপিঠি বড় বোনের শ্বশুড় বাড়ি। সাথে ছিলেন দুলাভাই। দু'জন মিলে যখন পদ্মানদী পাড় হবার জন্য মাওয়া ঘাটে গিয়ে পৌঁছেছি তখন রাত সাড়ে আটটা। এত রাতে লঞ্চ, স্পিডবোট কিছু চলে না। ভরসা কেবল শম্বুক গতির ফেরি অথবা ট্রলার নামের কিছু ইঞ্জিন চালিত ডিঙি নৌকা।

ঘাটে গিয়ে দেখি তেমনি একটা ডিঙি নৌকা বাঁধা আছে আর তার মাঝি মানে ইঞ্জিন ড্রাইভার হাকডাক দিয়ে লোকজন ডাকাডাকি করছে ওপাড়ে যাবার জন্য। ফেরিতে অনেক দেরী হয়ে যাবে বলে আমরা সেই ডিঙি নৌকাতেই উঠলাম। আর তারপরই মাঝি নৌকা ছেড়ে দিল। আমরা সহ নৌকায় তখন বিশজনের মত যাত্রী।

নৌকা ঘাট ছাড়ার পরে বুঝলাম অবস্থা বিশেষ সুবিধার নয়। চারিদিকে ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার। শো শো করে জোড়ালো বাতাস বইছিল আর ঢেউ। ওরে বাবা ! সেকি বিশাল বিশাল ঢেউ। সে ঢেউ-এ আমাদের নৌকা কলার মোচার মত নাচছিল।

এর মধ্যে মাঝি সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিল - 'ভাইসব গাঙ্গের অবস্থা ভাল না। সবাই যার যার জায়গায় বইসা থাকেন। লড়াচড়া করবেন না।' এ কথায় যাত্রীরা সব দমে গেল। যদিও মুখে কেউ কিছু বলল না। পেছনে তাকিয়ে দেখি ঘাটের আলো তখন বিন্দুর মত দেখা যায়।

বুকটা দুরু দুরু করলেও আকাশের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছিল মেঘহীন আকাশটা অনেক নিচে নেমে এসেছে। একটু উঁচু হয়ে হাত বাড়ালেই যেন ছোঁয়া যাবে। আর সে আকাশে জ্বল জ্বল করছে লক্ষ লক্ষ তারা। শহুরে আকাশে তারা দেখা যায় না তেমন। তবে গ্রামে রাতের আঁধারে তারা দেখেছি। কিন্তু নদীর মাঝে নৌকায় বসে তারা দেখার অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। তাই এত ঢেউ-এর মাঝেও বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকলাম আমি আকাশের দিকে।

তবে একটু পরে সে বিস্ময় বোধ আমার উবে গেল। সেখানে ভর করল নিখাদ আতঙ্ক। কারণ এতক্ষণ যে বড় বড় ঢেউ-এ আমাদের নৌকা নাচানাচি করছিল তার আকার অনেক বড় হয়ে গেল। পাহাড় প্রমান ঢেউ-এর নাম শুনেছি এতদিন। এবার তা অনুভব করার সুযোগ হয়ে গেল। একেকটা ঢেউ এসে আক্ষরিক অর্থে নৌকাটাকে শুন্যে ছুঁড়ে দিচ্ছিল। তারপর ঝপাস করে যখন আবার পানিতে পড়ছিল তখন চারদিক থেকে পানি এসে আমাদের ভিজিয়ে দিচ্ছিল। যাত্রীদের মধ্যে অনেকে কান্নকাটি শুরু করে দিল। আবার অনেকে দোয়াদুরুদ পড়া শুরু করলো। আমার দুলাভাইও দেখলাম জোড়ে জোড়ে কলেমা পড়ছেন।

আমি তখন সজোড়ে নৌকার পাশ ধরে বসে আছি আর ভাবছি নৌকা ডুবলে বাঁচার আর আশা নেই। যেটুকু সাঁতার জানি তাতে নিস্তরঙ্গ পুকুরের পানিতে দাপাদাপি করা যায়। কিন্তু এমন বিশাল আর অশান্ত নদীতে সে সাঁতার কোন কাজে আসবে না। সাক্ষাত মৃত্যূর মুখোমুখি দাঁড়ানোর এমন ঘোর আতঙ্কের অনুভুতি কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। সব বোধ মুছে গিয়ে কেবল আতঙ্কের রাজত্ব। আর কিছু ভাবার বোঝার অবকাশ ছিল না তখন।

ঢেউ-এর এই ভয়াবহ তান্ডব মিনিট দশেকের মত স্হায়ী ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল অনন্ত কাল। একটু পরে ঢেউ কমতে কমতে নদী একদম শান্ত স্নীগ্ধ হয়ে গেল। মাঝি আমাদের আশ্বস্ত করলো যে আর ভয় নেই আমরা নদীর গভীর এলাকা ছেড়ে অগভীর চরাঞ্চলে চলে এসেছি। এখানে অমন সৃষ্টিছাড়া ঢেউ হবে না।

যাত্রীরা সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ভিজে সবাই একশেষ তখন। তাতে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সবাই মেতে ছিল বেঁচে যাবার আনন্দে। আমিও মনে মনে বিধাতাকে ধন্যবাদ জানালাম। আর মুগ্ধ চোখে আবার আকাশ দেখা শুরু করলাম।

এখন বসে বসে ভাবি সে রাতের অভিজ্ঞতাটা আসলে খুব খারাপ ছিল না। নিজের অজান্তেই এক দারুণ এ্যাডভেঞ্চার হয়ে গিয়েছিল। যদিও ডুবলে গেছিলাম আর কি! (দেঁতোহাসি)

আসলে ঠিকঠাক নিরাপত্তা থাকলে মানে লাইফ জ্যাকেট সহ আর যা কিছু লাগে সেসব, তবে এর চেয়ে বড় রোমাঞ্চকর আর কি হতে পারে! তাই আমার বন্ধুদের ফুঁসলাচ্ছি, সবাই মিলে আরেকবার উত্তাল পদ্মা নদী পাড়ি দেব বলে। না হয় রাতে না হয়ে দিনেই হবে আমাদের সে যাত্রা! আর লাইফ জ্যাকেট তো থাকবেই। থাকবে স্পিড বোটের ব্যাবস্থা। আমি নিশ্চিত অসাধারণ এক রোমাঞ্চ-অভিজ্ঞতা হবে সেটা। (হাসি)


মন্তব্য

তানবীরা এর ছবি

কীর্তি, আমিও নদীর পাড়ের মানুষ, পানি আমার প্রথম পছন্দ।
আমি একবার লন্ডন থেকে হল্যান্ডে এসেছিলাম রাত্রি বেলা, গাড়ি ফেরীতে রেখে আমরা ডেকে দাঁড়িয়ে ছিলাম, নর্থ সী'র বিশাল কুচকুচে কালো পানি নীচে আর মাথার উপড়ে কালো আকাশ জুড়ে সাদা তারার বুটি। ঠিক টাইটানিক ফ্লিমে যেমন দেখাচ্ছিল রোজ মরে যাওয়ার সময়। কিছু কিছু দৃশ্য জীবনে কখনও ভুলব না, তারমধ্যে এটি একটি ।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কীর্তিনাশা এর ছবি

কিছু কিছু দৃশ্য জীবনে কখনও ভুলব না, তারমধ্যে এটি একটি ।

পূর্ন সহমত। যে একবার অমন দৃশ্য দেখেছে সে জীবনে আর তা ভুলতে পারবে না।

ঠিক টাইটানিক ফ্লিমে যেমন দেখাচ্ছিল রোজ মরে যাওয়ার সময়।

টাইটানিকে রোজ আবার কখন মরলো? (অ্যাঁ)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তানবীরা এর ছবি

না মানে রোজ মরে নাই কিন্ত ওই যে মরার জন্য পানিতে পইড়া কাঠের টুকরার উপড় চিত হইয়া রইলো না, তখন আকাশ ভর্তি তারা দেখাচ্ছিলো সেইটা বল্লাম ঃ(

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কীর্তিনাশা এর ছবি

তাই কন। আমি আবার ভাবলাম টাইটানিকের আবার কোন নতুন ভার্সন বাইর হইছে কিনা (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মামুন হক এর ছবি

আসলেই রোমাঞ্চকর, কল্পনা করেই ভয় লাগছে। আমার এই জাতীয় অভিজ্ঞতা হয়েছে বেশ কয়েকবার , খোদার কাছে শুক্রিয়া যে এখনো জিন্দা আছি।
পদ্মা নদীতে কবে যাবেন জানাবেন! দেখি আমিও যোগ দিতে পারি কিনা :)

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার অভিজ্ঞতাগুলোও বলে ফেলেন তাড়াতাড়ি। নির্ঘাত মজাদার হবে।

ঠিক আছে তবে দিন-ক্ষণ ঠিক হলে আপনাকে আওয়াজ দেব (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খাইছে! চ্রম কীর্তি করে আসছিলেন দেখি সেইদিন! :-D

লাইফ জ্যাকেট থাকলে মনে হয় এরকম অ্যাডভেঞ্চার আর হবে না। সেদিন লাইফ জ্যাকেট ছিল না জন্যই হয়তো ঘটনাটা এতো বেশি দাগ কাটসে আপনার মনে, এতো বেশি ভাল্লাগসে। তাই, আবার গেলে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই যায়েন। হা হা হা। আর, ডুবে গেলে আমারে মারতে আইসেন না যেন আবার! :-p

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ আসলেই চ্রম কীর্তি (হাসি)

আপনারে মারতে আসবো না মানে! অবশ্যই আসবো। ডুবে মরে গেলে ভূত হয়ে আপনার ঘাড় মটকাতে আসবো। কোন ছাড়োন্তিস নাই । চারুকলার বাঁশঝাড়ের আড়ালে লুকিয়েও পার পাবেন না (খাইছে)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আমারেও সাথে নিও.........

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

কীর্তিনাশা এর ছবি

ঠিক আছে গুরু, লিস্টে নাম টুকে নিলাম (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিকেত এর ছবি

কীর্তি, দারুন লাগল তোমার অভিজ্ঞতাটা---

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত ভাই (হাসি)

দারুণ তো অবশ্যই, তবে আরেকটু হলেই টেঁশে গেছিলাম (দেঁতোহাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আহারে, নদীগুলা মরে যাচ্ছে দিন দিন... (মনখারাপ)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

(মনখারাপ)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভয়ংকর।

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ ভয়ংকর এবং রোমাঞ্চকর (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গান বোটে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় এমন কান্ড আমাদেরও হয়েছিল একবার। কেউ কেউ কেঁদেও ফেলেছিল সেদিন। অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার গল্পের সেই সমুদ্রের মতো সেদিন পাহাড়সমান ঢেউয়ের সাথে সাথে যত দূর চোখ যায়, শুধু বিপুল জলরাশি দেখেছিলাম।

কীর্তিনাশা এর ছবি

উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। আপনার কথায় সে ইচ্ছাটা আরো জোড়ালো হল। মুশকিল হচ্ছে বন্ধুরা কেউ রাজি হয় না। সব ভিতুর ডিম (রেগেটং)

দেখি একদিন একাই বেড়িয়ে পড়বো।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ভুতুম [অতিথি] এর ছবি

চরম তো! এরকম এক্সপেরিয়েন্স হওয়া (এবং ফিরে এসে সেটা বলতে পারা) ভাগ্যের ব্যাপার।

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ্যা ফিরে আসলে হয় অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী আর ফিরে না আসলে হয় ট্রাজেডি (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আমি আর আমার বন্ধু লঞ্চে করে বরিশাল যাচ্ছিলাম একবার; তখন ঝড়ে লঞ্চ দিকভ্রান্ত হয়ে গেছিল। আহ! শিহরন জাগানো দিন ছিল সেগুলো!!!!

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল হওয়ার কারণে বহুবার লঞ্চ যাত্রার সময় ঝড়ের কবলে পড়েছি। সেগুলো অবশ্যই শিহরণ জাগানিয়া। তবে এবার আমার যে অভিজ্ঞতা হল পদ্মা নদীতে তার সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

জোরালো, জোরে, সজোরে, - ড় নয়।
জো-য়ের পরে ড় হবে যদি/যখন সেই শব্দটি জোড়া (দুই) বা তা থেকে প্রসূত।
আর, মৃত্যু- (হ্রস্ব)উ-কার, (দীর্ঘ)ঊ-কার নয়।
ব্যবস্থা শব্দে ব্য নিরাকার, মানে আকার নেই সেখানে, মানে- ব্যাবস্থা নয়।
পরিশেষে, অ্যাডভেঞ্চার- এ্যাডভেঞ্চার নয়।
ব্যা লিখতে যেহেতু আমরা বে-এর মধ্যে য-ফলা দিই না, বরং দিই ব-এর মধ্যে, সেরকমভাবেই এ-এর মধ্যে য-ফলা না দিয়ে দিতে হবে অ-এর মধ্যে।
অন্য কমেন্টে দেখলাম আপনিও অ্যাডভেঞ্চার ঠিক ঠিক এভাবেই লিখেছেন।
হ্যাঁ, কখনও কখনও বানান-প্রমাদ নিশ্চয়ই শ্রেফ বেখেয়াল-প্রসূত, অজ্ঞতাপ্রসূত ততোটা নয়।
তবে/তবু, চলুন একটু খেয়ালি হই আমরা।
কিছু মনে করবেনা না আশা করি।
আপনার লেখার কথা তো অনেকবার অনেক জায়গায় বলা হয়েইছে আমারও।
এবারো লেখা যথারীতি ভালো হয়েছে।
সে-দিকে বেশি গেলাম না আজকে।
:)
দেইখেন কীর্তিনাশা ভাই- আপ্নে রাগ হইলে কিন্তুক আমিও মাইন্ড খামু।
;)

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

সাইফুল ভাই মোটেই মাইন্ড করিনি। বরং খুশি হয়েছি। এবং আরো খুশি হবো যদি মাঝে মাঝে এরকম বানানের ক্লাস নেন। আমার বাংলা বানানের যে জঘন্য অবস্থা তা আমার চেয়ে ভাল আর কে জানে । (মনখারাপ)

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

:)
ক্লাস নেয়া বললেই তো পিঠটান দিমু লজ্জায়!
এইভাবে না দ্যাখেন।
আলোচনা করুম নে মাঝেমধ্যে, হ।
:)

স্বাগতম।
ভালো থাকেন।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

আচ্ছা তাহলে আলোচনাই হোক।

আপনিও ভাল থাকেন (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।