এই রূপকথায় উল্লেখিত চরিত্রগুলোর সহিত বাস্তবের কিংবা পরাবাস্তবের কোন চরিত্রের কোন প্রকার মিল নাই। যদি কোন পাঠক তাহার পরেও মিল খুঁজিয়া পান তবে তাহা একান্ত ভাবে উক্ত পাঠকের দুরভিসন্ধিমূলক মনের পরিচায়ক হইবে। ইহাতে অধম লেখককে কোন প্রকারেই দায়ী করা যাইবে না।
---------------------------------------------------
রায়হান আবীর সপ্তডিঙ্গা লইয়া সাগরে ভাসিয়াছে প্রায় বছর খানেক হইয়াছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাহার টিকিটির সন্ধান মিলিতেছে না। এই দিকে মহারাজ ধুগো চিন্তায় চিন্তায় শুকাইয়া চিমসা হইয়া গিয়াছেন। তাহার মস্তকের কালো কেশরাশির ফাঁকে ফাঁকে তুষার শুভ্র কেশ উঁকি-ঝুকি মারা শুরু করিয়াছে। দুঃশ্চিন্তা করিতে করিতে তাহার পরিপাকতন্ত্রের হজম প্রনালীতে গন্ডগোল হইয়া গিয়াছে। আগে যেইখানে দিনে দুই বার টাট্টিখানায় যাইতে হইতো সেইখানে এখন দশ বারো বার গিয়াও কুলাইয়া উঠেন না তিনি। সারাক্ষণ শুধু বিষন্ন বদনে বসিয়া বসিয়া ভাবেন – রায়হান কি তবে সাগরে গিয়া ঝড়ের কবলে পড়িল? নাকি তিমি মাছ তাহাকে গিলিয়া খাইলো? নাকি কঙ্কাবতিকে বিবাহ করিয়া দূর দেশে কোনখানে ঘর সংসার পাতিলো?
রাজার প্রানের এই দুঃখ ধীরে ধীরে সারা রাজ্যে ছড়াইয়া পড়িল। রাখাল বাঁশ দিয়া বাঁশি বানাইবার বদলে চুলার লাকড়ি বানাইতে লাগিল। কৃষকেরা ধান গম চাষের বদলে ক্ষেতে ভ্যারেন্ডা বৃক্ষের চাষ শুরু করিল। গানের পাখিরা সব কাঁকের দ্বারে গিয়া ধরনা দেওয়া শুরু করিলো ভাল করিয়া কাঁ কাঁ ডাক রপ্ত করিবার জন্য।
রাজ্যের যখন এমতো হুলস্থুল অবস্থা ঠিক তক্ষণে হঠাৎ একদিন প্যাঁ পুঁ শব্দে সানাই বাজিয়া উঠিলো। টাকডুম টাকডুম করিয়া ঢোলক বাজিয়া উঠিল। দ্রিমি দ্রিম্ করিয়া ঢাক বাজিয়া উঠিল। রাজদূত ছুটিয়া আসিয়া ধুগোরাজকে কহিল – মহারাজ, দূর সাগরে সপ্তডিঙ্গার পালের আভাস দেখা যাইতেছে। রায়হান আবীর নিশ্চয় আপনার প্রানেশ্বরী কঙ্কাবতিকে লইয়া আসিতেছে। আপনি শিঘ্রই বরণডালা লইয়া সাগর ঘাটে চলুন।
ধূগোরাজ তড়িঘড়ি করিয়া প্রাসাদের এক সহস্র বাদীকে সাজাইয়া গুছাইয়া বরনডালা লইয়া জাহাজ ঘাটে উপস্থিত হইলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে সপ্তডিঙ্গা আসিয়া ঘাটে লাগিল। সেইখানে উপস্থিত সকল প্রজাদের মধ্যে তখন চিত্ত চাঞ্চল্য দেখা দিল। সবাই কঙ্কাবতির নাম ধরিয়া হর্স্বধ্বনি করিতে লাগিল। ধুগো অধীর আগ্রহে সপ্তডিঙ্গার দিকে তাকাইয়া রহিলেন। এই বুঝি কঙ্কাবতি তাহার শতদলের ন্যায় পদযুগল মাটিতে ফেলিল।
কিন্তু না কঙ্কাবতি নহে, জাহাজ হইতে বিচলিত মুখে নামিয়া আসিল রায়হান আবীর। আসিয়া রাজাকে কুর্নিশ করিয়া নত মস্তকে দাঁড়াইয়া রহিল। ধুগোরাজ বুঝিলেন কিছু একটা গড়বড় হইয়াছে। তিনি প্রশ্ন করিলেন – কি হইয়াছে ? অধঃবদনে দাঁড়াইয়া রহিয়াছো কেন? কঙ্কাবতি কোথায়?
রায়হান উত্তর করিল – মহারাজ, মহানুভব, ধর্মাবতার ! কঙ্কাবতি জাহাজেই রহিয়াছে। তবে তাহার আগমনের পূর্বে আমার কিছু কথা আপনাকে শুনিতে হইবে। ব্যাকুল হইলে চলিবে না। ধৈর্য্য ধরিয়া শুনিতে হইবে। ধুগো তাহার অস্থির চিত্ত সংবরণ করিয়া বলিলেন – আচ্ছা তবে বলিয়া ফেল কি বলিবে।
রায়হান বলা শুরু করিল – জাহাপনা, আমরা সপ্তডিঙ্গা লইয়া সাগরে ভাসিবার পরে অনুকুল বাতাসে পাল তুলিয়া বেশ তর তর করিয়া অতি অল্প সময়ে সপ্ত সাগর তের নদী পার হইয়াছি। সাড়ে তিন মন মধু পান করিয়া মাঝি-মাল্লারা যথেষ্ট শক্তি পাইয়াছে। তাই তাহারা বৈঠাও বেশ জোরে টানিয়াছে।
ধুগোরাজ গলা খাকারি দিয়া ধমকের সহিত রায়হানকে বলিলেন – এই সব বালছাল কাহিনী ছাড়ান দেও। আসল ঘটনা বয়ান করো।
রায়হান কহিলো – জো হুকুম জাঁহাপনা। সপ্তসাগর তের নদী পারি দিয়া তো আমরা সেই দ্বীপে গিয়া কঙ্কাবতিকে উদ্ধার করিলাম। তাহার পর ফিরতি পথ ধরিলাম। ইহার ফাঁকেই বেশ কয়েকবার কঙ্কাবতি আমাকে চোখের ইশারায়, হাতের ইশারায় কাছে ডাকিয়াছে কিন্তু আমি আপনার হুকুম মোতাবেক তাহার সহিত সর্বদা দশহাত দুরত্ব বজায় রাখিয়াছি।
ধুগোরাজ এইখানে কহিলেন – হুম্, আমি ঠিকই আন্দাজ করিয়াছিলাম তুমি চরিত্রবান। তাহার পরে কি হইয়াছে বলিয়া ফেল ঝটপট্ ।
রায়হান আবার বলিতে লাগিল – ফিরতি ভ্রমন আমাদের ভালই চলিতে ছিল। আমরা তখন তের নদী পার হইয়া সপ্ত সাগরে পড়িয়াছি। এমনি এক রাতের দ্বিপ্রহরে শুনি আকাশ বাতাস কাঁপাইয়া কে বা কাহারা অট্টহাসি হাসিতেছে – মুহাহাহাহা ! মুহাহাহাহা! ইহা এমনি হাসি যাহা শুনিলে অন্তরাত্মা পর্যন্ত শুকাইয়া কাঠ হইয়া যায়।
আমি তাড়াতাড়ি করিয়া জাহাজের ডেকে গিয়া দেখি পূর্নিমার চাঁদের আলোয় গোটা সমুদ্র চকচক করিতেছে। আর সেই চকচকে সমুদ্রের মাঝে আমাদের জাহাজের দুই পাশে দুইটা বিশালাকায় দৈত্য মাথা হইতে বুক পর্যন্ত পানিতে ভাসাইয়া মুহাহাহাহা করিয়া হাসিতেছে। আমাদের জাহাজের মতো একশটা জাহাজের সমান তাহাদের আয়তন। হাসিতে হাসিতে তাহারা জাহাজের মাঝিদের মধ্য হইতে কয়েকজনকে তুলিয়া নিয়া কপাৎ কপাৎ করিয়া গিলিয়া ফেলিল। তাহার পরে আবারো হাসিতে লাগিল।
ধুগোরাজ এইখানে আবারো গলা খাকারি দিয়া কহিলেন – এত দেখিতেছি মারাত্মক কঠিন অবস্থা। রায়হান আবীর করুণ চোখে মাথা নাড়িয়া সায় দেয়। ধুগো জানিতে চাহেন – তাহার পর কি হইল?
রায়হান বলিয়া চলে – আমার তখন ভয়ে হাটু কাঁপিতেছে। তাহার পরেও সাহস সঞ্চয় করিয়া প্রশ্ন করিলাম, আপনারা কাহারা? আমাদের ন্যায় নিতান্ত নগন্য মনুষ্যদিগের গতি রোধ করিয়াছেন কেন?
আমার প্রশ্ন শুনিয়া দৈত্য দুইটা আবারো মুহাহাহাহা করিয়া হাসিয়া উঠিল। তাহারপরে একজন গমগম করিয়া বলিল – আমি হিমু দৈত্য। অন্যজন কহিলো – আমি দ্রোহী দৈত্য। তাহার পরে আবার তাহারা কয়েকজন মাঝিকে তুলিয়া গপাগপ গিলিয়া ফেলিল।
আমি জাচিয়া পড়িয়া নিজের পরিচয় দিলাম – আমার নাম রায়হান আবীর। দ্রোহী দৈত্য তখন গোল গোল চোখ করিয়া বলিল – তুমি কি সেই রায়হান আবীর যে এক সময় বেশ লেখালেখি করিতো? আমি মাথা নাড়িলাম। দ্রোহী দৈত্য তখন রাগত স্বরে কহিল – তাহা ইদানিং তোমার কি হইয়াছে? লেখালেখি ছাড়িয়া দিয়াছো কেন? মহা ফাঁকিবাজ হইয়া গিয়াছো?
এ কথায় আমি আমতা আমতা করিয়া নামতা পড়িতে লাগিলাম। তখন হিমু দৈত্য কহিলো – ফাঁকিবাজি করিতেছ তো বুঝিলাম , তাহা এই সপ্তসাগরে কি কারণে মরিতে আসিয়াছো?
জবাবে আমি কহিলাম – কঙ্কাবতি রাজকন্যাকে উদ্ধার করিয়া নিয়া যাইতেছি ধুগোরাজার কাছে। তিনি কঙ্কাবতিকে বিবাহ করিবেন। শুনিয়া উভয় দৈত্য মুহাহাহাহা করিয়া আবারো হাসিয়া উঠিল আর সেই সাথে আরো কিছু সংখ্যক মাঝি তাহাদের পেটে চালান হইয়া গেল।
ভালো করিয়া চাটিয়া পুটিয়া খাইয়া দ্রোহী দৈত্য কহিল – ধুগো ব্যাটাও তো ইদানিং ফাঁকিবাজি করিতেছে। দাঁড়াও তোমাদের উভয়কে শাস্তি ভোগ করিতে হইবে। হিমু দৈত্য সায় দিয়া কহিল – নিশ্চই শাস্তি ভোগ করিতে হইবে। ধুগোর হবু বধুকে তুমি বিবাহ করিবে। তাহার পরে উভয়ে উভয়ের সহিত মারামারি কাটাকাটি করিয়া মরিবে। ইহাই তোমাদের শাস্তি। প্রস্তাব শুনিয়া দ্রোহী দৈত্য দন্ত বিকশিত করিয়া হাসিয়া উঠিল।
ধুগো এ পর্যন্ত শুনিয়া বুক চাপিয়া বসিয়া পড়িলেন। তাহার পরে নিজেকে সামলাইয়া দাঁতে দাঁত চাপিয়া বলিলেন – এই লম্বা কাহিনীর মূল কথা হইতেছে তুমি কঙ্কাবতিকে বিবাহ করিয়াছো, তাই তো?
রায়হান আমতা আমতা করিয়া বলিল – জি হা আলমপানা, বাধ্য হইয়া বিবাহ করিয়াছি। তা না হইলে উহারা আমাকে এবং কঙ্কাবতিকে বটিকার ন্যায় গিলিয়া ফেলিত।
ধুগোরাজ আর নিজেকে ধরিয়া রাখিতে পারিলেন না। চ্যাঁচাইয়া উঠিলেন – এই কে আছিস জল্লাদকে তলব কর! আর এই দুঃশ্চরিত্রকে এখনই বন্দী কর! এক্ষণে এই জাহাজ ঘাটেই এর গর্দান নেওয়া হইবে!
মুহুর্তে কয়েকশত প্রহরী আসিয়া রায়হানকে বন্দী করিয়া ফেলিল। রায়হান সেই অব্স্থাতেই বলিতে লাগিল – মহারাজ, আমার কথা সমাপ্ত হয় নাই। এই ঘটনার পর আমি আমার শ্বশুর বাড়ি অর্থাৎ কঙ্করাজ্যে গিয়াছিলাম। ধুগো ধমকিয়া উত্তর করেন – খুব ভালো করিয়াছো। আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি উদ্ধার হইয়াছে তাহাতে !
রায়হানকে তখন প্রহরীরা হিড় হিড় করিয়া টানিয়া নিয়া যাইতেছে। তবুও সে হাল ছাড়ে না। বলে – জাঁহাপনা, সেইখানে গিয়া দেখি কঙ্করাজের আরেকটি মেয়ে রহিয়াছে। অর্থাৎ আমার শ্যালিকা। শুনিয়া ধুগো সচকিত হন। প্রহরীদের থামিতে ইশারা করিয়া কহেন – বটে! তোমার শ্যালিকা রহিয়াছে তাহাতে আমার কি ?
রায়হান কহে – আমার সে শ্যালিকা বিশ বর্ষীয় তরুনি। রূপে গুনে কঙ্কাবতির চাইতে কোন অংশে কম নহে। তাহার নাম শঙ্খবতি। ধুগো কহেন – হুম !
রায়হান কহে – কঙ্করাজাকে আমি রাজি করাইয়া আসিয়াছি। তিনি আপনার সহিত শঙ্খবতির বিবাহ দিতে সম্মত হইয়াছেন।
এ কথায় ধুগোর রাগত রাঙা মুখে হাসি ফুটিয়া উঠে। তিনি ছুটিয়া গিয়া রায়হানের সমুখে দাঁড়াইয়া কহেন – এই কথা আগে বলিলে তো সমস্ত ল্যাঠা কখন চুকিয়া যাইতো। আইসো আমার বুখে আইসো ভায়রাভাই!
ইহার পরে রায়হান আবীর কঙ্কাবতিকে লইয়া আর ধুগোরাজ শঙ্খবতিকে লইয়া মহাসুখে ঘরসংসার করিতে লাগিলেন।
-----------------------------------------
(আমার গল্পটি ফুরালো, নটে গাছটি মুড়ালো)
মন্তব্য
চমৎকার !!
ধন্যবাদ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
- ধুগোরাজের ক্যারেক্টার নিয়া তো আমি বিরাট সন্দিহান। সহস্র বাদীর সুপারভাইজার মনে হইলো মহারাজরে। কোনো ফষ্টিনষ্টির কাহিনী নাইতো? চেয়ারম্যান মেম্বরের সাট্টিফিকেট আছে তো ধুগোরাজের?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এত চিন্তিত হইতেছেন কেন নিবিড় সাহেব? হাজার বাদীর সহিত আপনার কি কোন সম্পর্ক রহিয়াছে? দিব নাকি একখানা গল্প ছাপাইয়া
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
@ ধুগো'দা
হা হা হা গুরু, আপনার পুরা জহুরির চোখ। একদম সঠিক স্থানে গিয়া আটকাইছে। ধুগোরাজের ক্যারেক্টার নিয়া আমিও মহা সন্দিহান। অনুমতি করেন তো এইটা নিয়াও একখানা দুই পর্ব বিশিষ্ট রূপকথা নামায়া দেই ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হাহাহাহা...অতিশয় আমোদ পাইলাম।
তবে তো আমি সার্থক
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
রায়হান ছেলেটা দেখা যাইতেছে অন্যের বধূ বিবাহ করিবার বেলায় খুবই পারঙ্গম
আরেকটা প্রশ্ন, কঙ্কাবতির কি আর কোন ভগ্নি থাকিবার সম্ভাবনা আছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
তাহা আর বলিতে ...
আপনার এই প্রশ্নের উত্তর রহিয়াছে পরবর্তি রূপকথায় যাহার নাম - শ্যালিকা দস্যু নিবিড় বনাম ধুগো রাজা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আইডিয়া খারাপ না।
দুইটাই লিখুম চিন্তা করতাছি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাগ্যিস শ্যালিকাটা ছিলো, নাইলে তো কেলেংকারি হয়ে গেসিলো!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
শ্যালিকা ছিল নিশ্চিত হইলেন কি করিয়া। রায়হান তো মহা দুষ্ট ছেলে। সে হয়তো রাস্তা হইতে কোন মেয়েকে ধরিয়া আনিয়া নিজের শ্যালিকা বলিয়া চালাইয়া দিয়াছে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হুম।
কঙ্কাবতিরে অতো সহজে ছাইড়া দেওনের মতো পোলা যে রায়হান আবীর না, এইটা ধুগোরাজ আগে বুঝতারে নাই ক্যান, চিন্তাইতেছি।
যাউক, অবশেষে ধুগোরাজ শ্যালিকাপ্রাপ্ত হইলেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা এখনও প্রাপ্ত হন নাই৷ কাহানিমে ফিরসে ট্যুইস্ট আ সকতে হ্যায়৷
--------------------------------------------------------------------- ----
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
তাই নাকি?
তাইলে অপেক্ষাইয়া থাকলাম, দেখি না ধুগোরাজের শঙ্খবতী কোন শালীহান্টারের কাছে যাইয়া পড়ে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনারা কি আমাকে এই রূপকথার পরবর্তি খন্ড লেখিবার কুবুদ্ধি দিতেছেন?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আবার জিগায়...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হে হে হে আপু, বিনা পয়সায় সদন্ত হাসি আর চলিবে না।
এইবার পয়সা ছাড়ুন, তাহার পরে লিখিবো
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হাহাহাহাহাহা
গল্প পড়ে খুব মজা পেলাম৷ আমার পাপমনে কিরম যেন চিনি চিনি লাগে সবারে৷
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ দমুদী
তবে চিনি চিনি না লাগিয়ে গুর গুর লাগান। খেজুরের গুর অতি সুস্বাদু বস্তু
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
গরীবরে নিয়া মস্করা করায় তীব্র পোতিবাদ ও দিক্কার।
গুরু এইটা কি করলেন? পোতিবাদ করেন ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলিয়া দিক্কার দিবেন??
না গুরু পোচন্ড মাইন্ঠ খাইলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বাহ্ বাহ্ অতি উত্তম!
ধন্যবাদ মূ পা ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
খুব ভাল লাগলো, গল্প পড়ে এবং এই ভেবে যে আপনার চা খাওয়া শেষ হলো। এত বেশি সময় ধরে চা খাচ্ছিলেন যে দুশ্চিন্তায় ছিলাম না জানি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
সালাহউদদীন তপু
ধন্যবাদ
আমিও নিজেরে নিয়া ভীষণ চিন্তায় ছিলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভালৈসে!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধইন্যবাদ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চশমাখুলেচোখকচলেচেয়েদেখিধুগোরেআমারচেনাচেনালাগে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাউলেরপাপীমন
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সিরাম!!!
------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
কিরাম ?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দেখলা সকলে আগেই কইছিলাম না কঙ্কা রায়হান নিবে ...........................। এমনে এমনে মাথার চুল সাদা করি নাই .................................।।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনে কইছিলেন দেইখাই তো এমন ঘটাইলাম। শত হইলেও পক্ককেশ মুরুব্বি। তাহার কথা কি অমান্য করা যায়
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ছড়ম হইছে তো। খুবই ছড়ম!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হে হে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হা হা হা। এক্কেবারে নাশ কইরা ফেলাইসেন নাশু ভাই
এত খুশি হইবেন না প্রহরী ভাইয়া। চিন্তা করিতেছি আমার পরবর্তি রূপকথার নায়ক আপনাকে বানাইবো
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নাশুদার সাথে সহমত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
- নিবিড়ের লগে মহামান্য ধুগোরাজ ভয়ানক ভাবে সহমত জানাইছে।
অই কে আছোস, আমার জল্লাদরে খবর দে। আইজ মুরগী কুরবানী দিমু। রায়হানরে খাওয়ামু পেট ভরাইয়া। নাশু ভাইয়ের কপালে আছে খালি ঠ্যাঙ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই লাইগাই মাইনষে কয় - উপকারীরে বাঘে খায়।
আপনের শ্যালিকা প্রাপ্তি ঘটাইয়াও কপালে জুটছে ঠ্যাং (অ্যা)
খাড়ান অক্ষণই গল্প এডিট কইরা দিতাছি। লেখুম - রায়হান কহিল, হা হা হা ধুগোরাজ তুমার বেইল শেষ। তুমার কঙ্কাবতিরেও বিয়া করছি এইবার তুমার রাজ্য দখল করুম। তুমার ঠিকানা বনবাস, হা হা হা !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইসব শয়তানী ছাইড়া এইবার কিছু লেখা পোস্টান শুরু করো। অনেক দিন হয়া গেল তোমার লেখা মিসাইতাছি ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
@ নিবিড়
ঠিক আছে তাহইলে।
প্রহরী ভাই যদি দুইদিনের মধ্যে আপিল না করেন তাহা হইলে রূপকথাটা লিখিয়া ফেলিবো
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইসব আপিল-টাপিল আবার কি কথা, নাশু ভাই?
লিখে ফেলবেন মানে অক্ষনি লিখবেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার যখন এত উৎসাহ শিমুলাপু,
তাইলে দিতাসি আপনারে এই গল্পের নায়িকা বানায়া
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আরে নাশু ভাই, এইখানে যে পানি এতদূর গড়াইসে, এ তো খেয়ালও করিনি! ভাই মাফ করেন, ভুলেও আমারে নায়ক-টায়ক বানায়া কিছু লিখেন না। আমি গরীব মানুষ, গরীবের পেটে লাথি মাইরেন না
নিবিড়রে নিয়া লেখেন। এই পোলার এক হাজার একটা কচিকাঁচার সাথে খাতির, সবাই 'নিবিড় ভাইয়া নিবিড় ভাইয়া' বলতে পাগল!
বুঝছি বুঝছি, গল্প লিখতে হইলে আমার দুইটাই লিখতে হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে খুব শিঘ্রই আসিয়া পড়িবে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মজা পেলাম
তবেই আমি ধন্য
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আগেই বলছিলাম, রায়হান আবীরের নিশান
মহারাজ ধূ-গোরে মহাডজ দিতে পাইরা যারপরনাই আনন্দিত
ইহাকেই বলে এক ঢিলে দুই পাখি
গল্প শেষে ধুগো'ও খুশি রায়হানও খুশি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হাহাহা , অনেক দেরী করে লেখাটা পরলুম এবং খুবই মজ়া পেলুম।
ইহার কি দ্বিতীয় পর্ব লেখা হয়েছিল ?
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
নতুন মন্তব্য করুন