পনের বছর পরের কথা – জোনাব আলীর বয়স এখন ষাট। রিটায়ারমেন্টের পর আজ তার বিদায় সংবর্ধণা হয়েছে স্কুলে। ছাত্র শিক্ষক মিলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে। মঞ্চে উঠে তাঁর সহকর্মীরা বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরাও চোখের পানি ফেলেছে। তাদের এতো প্রিয় অঙ্কের শিক্ষক আজ বিদায় নিচ্ছেন।
এখন সন্ধ্যা ঘানিয়েছে। তিনি স্কুলের পাশে তাঁর ঘরে বসে নানা কথা চিন্তা করছেন। জীবনটা তো একা একাই পার করে দিলেন। আগামিকাল এই স্কুল, এই ঘর ছেড়ে তাঁর নিজের গ্রামে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বলতে গেলে নতুন করে জীবন শুরু করতে হবে। এই বুড়ো বয়সে তা কি তিনি পারবেন? নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথাও মনে পড়ে যাচ্ছে। কত যে স্মৃতি তাঁর এই স্কুলকে ঘিরে!
হঠাৎ দরজার কড়া নড়ে উঠলো। কেউ এসে দাঁড়িয়েছে বাইরে ঘরের দাওয়ায়। জানালা দিয়ে তিনি বাইরে তাকালেন। আজো কৃষ্ণ পক্ষের রাত। জানালার বাইরে নিকশ কালো আঁধার। তিনি দরজার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে জিজ্ঞেস করলেন – কে? বাইরে থেকে পুরুষ কন্ঠের জবাব এলো – স্যার, আমাকে আপনি চিনবেন না। তবে আপনার সাথে খুব জরুরী কিছু কথা ছিল। একটু যদি দরজাটা খোলেন!
জোনাব আলী দরজা খুলে হারিকেনের আলোয় এক অপরিচিত মুখ দেখলেন। ভদ্রলোক কালো স্যুট পড়ে আছেন। মুখে মৃদু হাসি। তিনি তাঁকে ভেতরে আসতে বললেন। ভদ্রলোক ভেতরে ঢুকেই টেবিলের পাশে রাখা একটা চেয়ারে বসে পড়লেন। জোনাব আলী বসলেন তার পাশের চেয়ারে। হাসি মুখে বললেন – আপনি কে চিনতে পারিনি। দয়াকরে যদি আপনার পরিচয় বলতেন! তাঁর মনে মৃদু সন্দেহ হচ্ছে এ নিশ্চই তাঁর কোনো প্রাক্তন ছাত্র।
কিন্তু ভদ্রলোক তাঁকে হতাশ করে বললেন – স্যার আমি আপনার পরিচিত কেউ নই। বলতে পারেন আমি একজন শখের গোয়েন্দা। আপনি আগামি কাল এই গ্রাম ছেড়ে চলে যাবেন। তার আগে ভাবলাম আপনার সাথে কিছু কথাবার্তা বলি। জোনাব আলীর ভ্রু কুঁচকে গেল, বললেন – আপনার সাথে আমার কী কথা থাকতে পারে?
ভদ্রলোক হাসলেন – স্যার আমার আসলে কিছু প্রশ্ন ছিল। আপনার কি মনে পড়ে অনেক বছর আগে এক রাতে আপনার এই ঘরে একটা মেয়ে আশ্রয় নিয়েছিল? জোনাব আলী চমকে উঠলেন। তিনি কোনো কথা বললেন না। তবে তাঁর চোখের দৃষ্টি তিক্ষ্ণ হলো। লোকটি আবারো প্রশ্ন করলো – মনে পড়ে স্যার? মেয়েটির নাম ছিল বিন্দু। শাদা শাড়ি পরে ছিল। স্বামী মরার পর তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। আপনি তাকে দয়া করে আশ্রয় দিয়েছিলেন এক রাতের জন্য, মনে পড়ে?
জোনাব আলী অস্বস্তি ঢাকতে চশমা খুলে পাঞ্জাবির খুঁটে কাঁচ পরিষ্কার করতে করতে বললেন – এতো দিন পরে আমাকে এ প্রশ্ন করছেন কেনো? লোকটি হাসি মুখে বলল – কারণ স্যার সেই রাতের পর থেকে মেয়েটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আপনি কি বলবেন তার কী হয়েছিল? জোনাব আলী আবারো চমকে উঠলেন ভীষণ। তাঁর হাত থেকে চশমাটা মাটিতে পড়ে গেল এবং চশমা তুলতে গিয়ে তিনি জমে গেলেন। একটা তিব্র ভয়ের স্রোত তার শিরদাঁড়া বেয়ে নিচে নেমে গেল। লোকটি কথা বলছে আর পা নাচাচ্ছে এক নাগাড়ে। সেই পায়ের দিকেই তিনি তাকিয়ে আছেন। হারিকেনের আবছা আলোয় তিনি দেখতে পাচ্ছেন স্যুট পড়া থাকলেও লোকটির পায়ে কোনো জুতো নেই এবং সেই পা উল্টো দিকে ঘোরানো। যেন কেউ মুচড়ে পা দুটোকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।
জোনাব আলী ভয়কে কিছুটা জয় করে উঠে বসলেন। তিনি চোখে ভুল দেখছেন বলে নিজেকে প্রাবোধ দিলেন। কিন্তু তারপর যে ঘটনা ঘটলো তার জন্য তিনি মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। হঠাৎ লোকটি হেলমেট খোলার মতো করে নিজের মাথাটা আলতো টানে খুলে নিয়ে টেবিলের উপর রেখে দিল। যেন এটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যপার। মাথাহীন শরীরটা টেবিলে হাতের আঙুল দিয়ে বাজানা বাজালো। মাথাটার মুখে হাসি ঝুলে আছে তখনো। হাসি মুখে টেবিল থেকেই সে বলল – স্যার কিছু মনে করবেন না। আমার মাথার ওজনটা একটু বেশি তাই মাঝে মাঝে খুলে রাখতে হয়।
জোনাব আলী ভয়ে পুরোপুরি জমে গেছেন। মুখ থেকে কোনো কথা বেরুলো না। এটা তিনি কী দেখছেন? ভূত-প্রেতে তাঁর মোটেই বিশ্বাস নেই। কিন্তু চোখের সামনে যা ঘটছে তা তিনি অস্বিকার করেন কী করে? ধরহীন মুন্ড আবার কথা বলল - স্যার এখনো কি মনে পড়ে নাই। ভালো করে ভেবে দেখুন। মেয়েটিকে আপনি ঘরে নিয়ে আসলেন। অল্প বয়সী মেয়ে। সে আপনার রান্নার তোরজোর দেখে নিজেই এগিয়ে এলো। আপনাকে বসে থাকতে বলে নিজে রান্না ঘরে গেল রান্না করতে। আপনি অন্ধকারে বসে জানালা দিয়ে তাকে দেখছিলেন। মেয়েটি তরকারি কাটছিল। তার ঘোমটা তখান খশে পড়েছে। হারিকেনের আর জ্বলন্ত চুলোর আলোয় আপনি দেখলেন এক অপূর্ব সুন্দর মুখ। মনে পড়ে স্যার?
জোনাব আলী জবাব দেবেন কী, তিনি তখন কেমন একটা ঘোরের ভেতর চলে গেছেন। মুন্ডু বলে চলল – মেয়েটির আঁচল খশে পড়েছিল ঝুঁকে তরকারি কাটতে গিয়ে। আপনি তখন মেয়েটির দিক থেকে কিছুতেই দৃষ্টি সরাতে পারছিলেন না। আপনি মেয়েটির পায়রার মতো বুকের গড়ন দেখলেন। তার মোমের মতো ত্বকে আলোর ঝিলিক দেখলেন।
মনে পড়েছে স্যার ? আপনি হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। ধীর পায়ে দুয়ার ডিঙিয়ে মেয়েটির হাত ধরেছিলেন শক্ত করে। দুর্বল মেয়েটি বাধা দিতে চেয়েও পারেনি। আপনার দীর্ঘ দিনের ক্ষুধার্থ দেহে তখন পৌরুষের বান ডেকেছে। আপনি মেয়েটিকে ঘরে এনে স্রেফ ঝড় বইয়ে দিলেন। আপনার যুক্তি, ভয়, দ্বিধা, দ্বন্দ, ন্যায়, নীতি সব উবে গেল। আপনি মেয়েটিকে বলাৎকার করলেন।
আশ্চর্য স্যার এত বড় ঘটনার কিছুই কি আপনার মনে পড়ছে না? যখন আপনার হুঁশ হলো তখন মেয়েটি নগ্ন, বিছানায় কোঁকাচ্ছে যন্ত্রনায়। আপনি তখনো তার উপর উপবিষ্ট। আপনার মনে হলো এই ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামে ছিছিক্কার পড়ে যাবে। আপনার আদর্শ শিক্ষক জীবনের ইতি ঘটবে। পুলিশি ঝামেলা হবে। এসব ঝামেলা এড়াতে আপনি তাই খুব ঠান্ডা মাথায় তবে দ্রুত ভেবে চিন্তে একটি কাজ করলেন। মেয়েটির মুখে বালিশ চেপে ধরলেন।
স্যার কিছু কি মনে পড়েছে? আপনি স্কুলের মাঠে গিয়ে ইট সংগ্রহ করে আনলেন। মৃত মেয়েটিকে বস্তায় ভরলেন। ইটগুলোকে একট ব্যাগে ভরলেন। তারপর সব নিয়ে দীঘির পাড়ে গেলেন। সেই রাতের নির্জনতায় আপনি মেয়েটিকে দীঘির তলায় আশ্রয় দিলেন। কেউ আর তাকে খুঁজে পেলো না। অবশ্য কেউ খুঁজলোও না। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তো তাড়িয়ে দিয়েই খালাশ। বাপের বাড়ির লোকজন মেয়েটির নিরুদ্দেশের খবর শুনে ভেবেছে আপদ গেছে।
মুন্ডুটি একটু চুপ করে তবে তার হাসি তখনো ঝুলে আছে ঠোঁটে। ধরটি তখনো আঙুল দিয়ে টেবিলে বাজনা বাজাচ্ছে – ঠক্ ঠকা ঠক্ ঠক্ । মুন্ডু আবার কথা বলে – কী হলো স্যার ? এখনো আপনার মনে পড়েনি? জোনাব আলীর তখন উত্তর দেবার জো ছিলনা। তিনি ঘোর লাগা পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছেন। তার মুখ থেকে লালা ঝরা শুরু হয়েছে। দৃষ্টি ঝাপসা। কানে কেমন শো শো আওয়াজ। হঠাৎ তিনি দেখতে পেলেন ঘরের দরজা আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে। অন্ধকারেও সেখানে একটি উজ্জ্বল শাদা হাতের উপস্থিতি দেখলেন তিনি। একটা সপ্ সপ্ আওয়াজ হলো। ভেজা পায়ে কেউ যেন হাটছে এবং একটু পরেই মেয়েটি ঘরে ঢুকলো। এ সেই বিন্দু। পুরো শরীর থেকে পানি ঝরছে। শাদা শাড়ির ভেজা আঁচল মাটিতে লুটাচ্ছে। তার পুরো শরীর জুড়ে আলোর দ্যুতি। তার দেহের ভাঁজ আরো মোহনীয় হয়েছে যেন। কামাতুর দৃষ্টি নিয়ে সে জোনাব আলীর দিকে এগিয়ে এলো ধীর পায়ে। রিনরিনে গলায় বলল – সার আপনে কেমন আছেন সার? আপনের বিরহে আমি দেওয়ানা হইছি সার!
কাছে এসে জোনাব আলীর একটা হাত ধরে সে তার নরম বুকে ঠেকালো – সার আপনেরে ছাড়া আমার চলবে না সার! আপনে আমার লগে চলেন। আপনেরে লইয়া সুখে ঘর করমু ! আপনেরে অনেক সুখ দিমু! খল খল করে হেসে ওঠে সে। জোনাব আলীর মুখ থেকে একটা ঘর ঘর আওয়াজ বের হয়। তারপর সে লুটিয়ে পড়ে ঘরের মেঝেতে।
পরের দিন ভোরে স্কুলের লোকজন জোনাব আলীকে বিদায় দিতে এসে দেখে তিনি ঘরের মেঝেতে মরে পড়ে আছেন। সবাই খুব আফসোস করে - আহা লোকটা খুব ভালো ছিল ! কেবল একটা জিনিসই কেউ ভেবে পায় না, ঘরের মাটির মেঝেটা এমন ভিজে আছে কেন?
----------------------------------------------
আমার গল্প ফুরালো নটে গাছটি মুড়ালো
মন্তব্য
চমৎকার গল্প!
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অসংখ্য ধন্যবাদ রেনেট ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
খাসা লাগলো!
ধন্যবাদ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আদপেই জমজমাট ছিল। খাসা!
ধন্যবাদ সিমন ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দুর্দান্ত গল্প।
পড়তে গিয়ে কেন জানি মিসির আলীর একটা গল্পের কথা মনে পড়ছিল। তবে একটা কথা। ভূতের দৃশ্য বর্ণনায় কেন জানি "সিড অফ চাকি" বা "ঈভিল ডেড" টাইপের একটা স্বাদ পেলাম, যা পছন্দ হয়নি।
ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই
মিসির আলীর কোন গল্পটা নাম বলবেন কি? সিড অফ চাকি দেখি নাই, তবে ইভল ডেড -এর একটা পর্ব দেখেছি। ভালো লাগে নাই।
আপনার মন্তব্য মনে গেঁথে নিলাম। পরবর্তিতে কাজে লাগবে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ওই যে এক সাধু সুধানাথ না কী যেন নাম! একটা মেয়েকে খুন করে। নাম তো মনে পড়ছে না।
খাড়ান আমার এক হুমায়ুন-পিডিয়া বন্ধু আছে, তাকে জিজ্ঞেস করে দেখি.......
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
খুব সম্ভবত বৃহন্নলা
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নাম যখন পেয়েছি বইটা জোগাড় করা কঠিন হবে না।
পড়তে হবে বইটা।
ধন্যবাদ রেনেট ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
'মিসির আলী' এবং 'ভৌতিক' শব্দ দুটো শুনলেই সবার আগে 'বৃহন্নলা'-র কথা মনে পড়ে। অসাধারণ একটা বই।
বইটা দেখি পড়তেই হচ্ছে তাহলে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চমৎকার লাগলো।
ধন্যবাদ পান্থ
কই থাকেন আজকাল !!??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ক্লাসিকাল ভূতের গল্প হইছে কীর্তি। মানে ভূতের বর্ণনার জায়গাটা একটু সেকেলে ভূতকে স্বীকার করেই লেখা। ভূতকে অস্বীকার করে লেখাগুলো আমি বেশী ভালো পাই
গল্পের প্লটটা ভালো। মিসির আলী হইলে একটা ব্যাক্ষা দিতো। যেমন হেলুসিনেশন থেকে হার্ট এটাক বা এরকম কিছু।
তবে ভেজা মাটির বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে।
আরোও কি আসবে সামনে? আহা! ভূতের গল্প আমার বড়ই প্রিয়!!
দ্রষ্টব্য: মিসির আলীর গল্পটাতে মূল ভূমিকায় ছিলো ডঃ ইনামুল হক। কাহিনী একই ধাঁচের, তবে সেটা বরাবরের মতোই ব্যাক্ষা-সমৃদ্ধ। ভুতের পিন্ডি চটকানো গল্প আর কি।
- ইয়ে আরেফীন ভাই, ভূতকে স্বিকার কলে গল্প লিখতেই আমার কেনো জানি ভালো লাগে। সত্যি বলছি।
- আপনার যে কিছুটা হলেও ভালো লেগেছে তাতেই আমি খুশি। আপনারা যে ভাবে উৎসাহ দেন তাতে না লিখে কি উপায় আছে ! মাথায় প্লট আসলেই লিখবো
- মিসির আলীর গল্পটা অবশ্যই পড়ে দেখবো। কাহিনী একই ধাঁচের হওয়াটা পুরোপুরি কাকতালীয়। আর মিসির আলীর গল্পের সাথে আমারটার তুলনাই চলে না। কোথায় হুমায়ুন আহমেদ আর কোথায় আমি। কোথায় আগরতলা আর কোথায় খাটের তলা
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
জমজমাট গল্প হইছে একখান।
চমেৎকার লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুলাপু !
তবে আমার নিজের কেন যেন গল্পটা পছন্দ হচ্ছে না এখন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাবছিলাম একটা ভূতিনী, এখন দেখি দুইটা!
ভালো লাগলো।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
ধন্যবাদ অসংখ্য
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কঠিন হইছে বস!! আপনার 'সৎ' দেইখাই আমার সন্দেহ হইছিল, চোরে চোরে মাসতুত ভাই কিনা . তবে, বড়ই মজাক পাইলাম গল্পটা পইড়া, ভয় পাওয়ানোর চেষ্টাও আপনে করছেন বইলা মনে হইল না, ভৌতিক পরিবেশে রম্যরচনা লেখা আপনার উদ্দেশ্য ছিল বইলাই মনে হইলো। ভুল বুইঝা থাকলে মাইন্ড খাইয়েন না। আপনারে তারা দিতে পারলামনা, এজন্য খুব খারাপ লাগতেছে।
এই জায়গায় মেন হইল,
এই জায়গায় অনেক মজা হইছে,
ধন্যবাদ সাইফ ভাই আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য
আপনি এতো মজা পেয়েছেন দেখে আমরো ভীষণ মজা লাগছে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমি ভূতের গল্প পড়ি না... ডর লাগে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ডর লাগলে চক্ষু বন্ধ কইরা পড়বেন, সমস্যা কী ??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বড় আশাহত হইলাম।
এমন সুন্দর ভুতের গল্পটা শুরু হইল, এখানে আইয়া অ্যাডাল্টারেটেড হইয়া গেছে।
বেশ ভয় পামু পামু আশা লইয়া বইলাম, দেখি কেমনে কি! শ্যাষম্যাষ বুড়া ভামডা মরল দেইখা অবশ্য খুশি হইলাম!
মাথা খুইলা ফেলায় যে ভুতটা, হেইডা কেডা?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনাকে আশাহত করার জন্য দুঃখিত তুলি'দি।
দেখি আপনার জন্য একখানা মারাত্মক ভয়ের গল্প লেখা যায় কিনা।
মাথা খুইলা ফেলায় যে ভূতটা হেইডা কেডা তা আমিও জানিনা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
- কেডা আবার! শখের গোয়েন্দা (ভূত), গল্পেই তো লেখা আছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ লাগল গল্পটা। আর, (তাড়াতাড়ি পোস্ট দেয়ার) কথা রাখার জন্য থেংক্যু।
আপনাকেও থেঙ্কু
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমরা এইবার দিনান্তে রাত্রে সত্যিকারের ভূতের গল্পের সেশন করছি, সময় পাইলেই লিখে পোষ্টাবো। মুহাহাহাহাহা
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মাথা খুইলা ফেলে কেন? আমি তো মনে করসিলাম অইটা শয়তান!
গল্প ভাল হইছে কিন্তু প্লটটা আগে পাইসিলাম মিসির আলীতে
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন