তিনটা ছবি
আমার বাসার বারান্দায় দাড়ালে পশ্চিমের আকাশ দেখা যায়। মাঝে মাঝে বিকেলে সেখানে রূপকথার পরিবেশ ভর করে। কেমন যেন মায়াময় অদ্ভুত সব রঙে ভরে যায় আকাশটা। নিচের ছবি তিনটা সেরকম দুটো বিকেলে তোলা।
কৃতজ্ঞতা : ফ্লিকার থেকে কিভাবে ছবি এমবেড করতে হয় তা শিখিয়েছেন প্রিয় প্রকৃতি প্রেমিক ওরফে পিপি'দা। তাই তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
শেষ বিকেলের আলো ১
শেষ বিকেলের আলো ২
...
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, বুধবারে অফিসে কাজ করছিলাম। তখন দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়েছে সবে মাত্র। হঠাৎ বাসা থেকে বোনের ফোন - তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আয়। সাথে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসবি অবশ্যই।
বুঝলাম সময় এসে গেছে। দ্রুত বাসার উদ্দ্যেশে ছুটলাম। জরুরী ফোনগুলো দ্রুত সেরে ফেললাম পথে। বাসায় পৌঁছেই বউকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হলাম।
তারপর বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হলো। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। রাত পেরিয়ে সকাল...
ইদানিং ভীষণ দৌড়ের উপর আছি। লেখালেখি করার সময় পাই না। তাই বলে সচলে পোস্টানো বন্ধ থাকবে তা তো হতে পারে না। নিজের ব্লগ ঘাটতে গিয়ে দেখলাম একটা ছড়া অনেক দিন ধরে আমার ব্লগেই পড়ে আছে মুল পাতাতে দেয়া হয়নি অথবা আসেনি কোন কারণে।
অতএব এই সুযোগ কে ছাড়ে? খড়ার সময় ফাঁকিবাজি ভরসা
--------------------------------------------
ভূতুড়ে ছড়া
শ্যাওড়া গাছের পলকা ডালে
পেত্নী দোলে হাওয়ার তালে
ছাতিম গাছের লম্বা চূড়া...
বিষুদ বারে নিশুত রাতে বসে ছিলাম ছাদে
হঠাৎ শুনি শিরিষ গাছে একটা পেঁচা কাঁদে
কি হয়েছে? কাঁদিস কেন? বলছি যখন ডেকে
কাঁদলো আরো ফ্যাঁচ-ফেঁচিয়ে চোখের পানি মেখে
অনেক করে কেঁদে-কেটে বলল - মামা জানো?
বেড়াল আমায় ঠকিয়েছে, ভীষণ ঠকানো!
ঠিক দশ দিন আগে এক সাঁঝে ছাদে এসে
আমায় ডেকে বলল হেকে - আম গাছটা ঘেসে
দেখ কি রকম চাঁদ উঠেছে রুপোলি রং মেখে
চাস যদি বল আনবো পেড়ে, দিবি - নিজের কাছে রেখে।
অত্ত বড় চাঁদ...
পনের বছর পরের কথা – জোনাব আলীর বয়স এখন ষাট। রিটায়ারমেন্টের পর আজ তার বিদায় সংবর্ধণা হয়েছে স্কুলে। ছাত্র শিক্ষক মিলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে। মঞ্চে উঠে তাঁর সহকর্মীরা বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরাও চোখের পানি ফেলেছে। তাদের এতো প্রিয় অঙ্কের শিক্ষক আজ বিদায় নিচ্ছেন।
এখন সন্ধ্যা ঘানিয়েছে। তিনি স্কুলের পাশে তাঁর ...
আলতাখালি গ্রামের একমাত্র হাইস্কুলের একমাত্র অঙ্কের শিক্ষক জোনাব আলী। স্কুলের একমাত্র আবাসিক শিক্ষকও তিনি। বয়স চল্লিশোর্ধ হয়ে গেলেও এখনো বিয়ে করেননি। স্কুলের পাশেই ছোট্ট টিনের চালাঘরে তার একাকি বসবাস। জোনাব আলী যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষ। ভূত প্রেত জাতিয় অতিপ্রাকৃত বিষয়ে তার কোনরূপ বিশ্বাস নেই। তাই স্কুলের এই বিশাল নির্জনতায় রাত-বিরেতে একা থাকতে তার মোটেও সমস্যা হয় না।
এক...
গতকাল পত্রিকাতে খবরটা পড়েই মনটা অদ্ভুত ভালোলাগায় ভরে উঠলো। এরকম মানুষ তাহলে এখনো আছে পৃথিবীতে ! - ভেবে মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত থাকলাম অনেক ক্ষণ।
তাঁর নাম সারদানন্দ দাস। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট অঞ্চলের খাদিমপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। আজীবন নিভৃতচারী এই শিক্ষক চিরকুমার । সাদাসিধে আর মিতব্যয়ী ছিলেন সব সময়। কর্মজীবনে একজন আদর্শ শ...
এক দেশে এক সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি গেরুয়া রঙের কাপড় পরিধান করতেন না। নির্জন গাছের তলায় বসে ওম্ শান্তি ওম্ বলে ধ্যান করতেন না। যত্র-তত্র যাকে তাকে যেখানে সেখানে শাপ অথবা বর দিতেন না। সন্ন্যাসী হলেও তিনি ছিলেন পুরো মাত্রায় সংসারী। তাই জনগণ আদর করে তাঁকে সংসারে এক সন্ন্যাসী বলে ডাকতো।
তিনি নিয়মিত আসর জমাতেন - কখনো দারুণ সব ছোট গোল-গাল রুটির মতো সুস্বাদু গল্পে, কখনো কামরাঙা ছড়ায় আবা...
চাকরির সুবাদে মাঝে মাঝে এখানে ওখানে ট্রেনিং করতে যেতে হয়। সে সব ট্রেনিং-এর প্রত্যেকটার জবরদস্ত সব নাম - কমিউনিকেশন স্কিল, এক্সিলেন্স ইন অপারেশন, টাইম ম্যানেজমেন্ট, টিম বিল্ডিং, লিডারশিপ আরো যে কত কী তার হিসেব নেই। তো এসব ট্রেনিং-এ আর কিছু না হোক মাঝে মাঝে মজাদার সব গল্প শোনা যায়।
এসব গল্পের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে - প্রতিটা গল্পেই শিক্ষনীয় কিছু মেসেজ থাকে। আর গল্পের আকারও বেশ ছোট, যাতে অ...
এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া ছবিগুলো। কে তুলেছে জানিনা। ছবিগুলো এতই মজার যে পোস্টানোর লোভ সামলাতে পারলাম না। ফটোগ্রাফির মান নিয়ে প্রশ্ন না করাই বাঞ্ছনীয়
ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্লগে ঢুকুন। ছবি দেখতে ব্ল...