তখন বালক বেলা। থাকি ধানমন্ডি ১৫ নম্বর রোডের এক বাড়িতে। আমার এক কাজিন বেড়াইতে আসলো। সেও যে বড়সর তা না... নাইন টেনে পড়ে আর কি। কিন্তু বেদম দুষ্টু। তো তার একটা কাম হইলো প্রত্যেক বিকালে আমারে নিয়া ছাদে উঠে। সে সিগারেট খায় আর টাঙ্কি মারে, আমি পাহাড়াদার- ছাদে কেউ আসে কি না দেখভাল করি।
তো এই করতে করতে একদিন তার ফেরত যাওনের টাইম হইলো। যাওনের আগের দিন আমারে সে দিলো এক অমোঘ বাণী- 'কোনও বালিকার দিকে এক চোখ বন্ধ করিয়া অপর চোখে তাকাইলে পরে তার সহিত তোমার বিবাহ হইবে।'
আহ্... এমত বাণী পাইয়া আমি তো মহা মুগ্ধিত। খুশিতে ডগমগ... গুরুর চরণধূলি নেই নেই অবস্থা আর কি!
কিন্তু বিপদটা টের পাইলাম তার পরে। কোনও নারী দেখলেই আমার চোখ এত্ত বড় বড় হয়া যায়। কেন? কারন পরে যদি না বুইজ্যা এক চোখ বন্ধ হইয়া যায় তাইলে তো তারে বিয়া করতে হইবো। যারে তারে তো আর বিয়া করা যায় না... একটা মন পছন্দের ব্যাপার আছে না? তাই যে কোনও নারী দেইখা যাতে এক চক্ষু মুদিত না হয় সেই চেষ্টায় রত থাকি... ভীত থাকি। সবচায়া ভীত থাকি আত্মীয় পরিজন দেখলে। যদি এক চোখ বন্ধ হয়া যায়?
আর মনে মনে খুঁজি মনমতো এক নারী... যারে দেইখা মনের সুখে এক চোখ বন্ধ করবো। কিন্তু হায়... আমার তখনকার সমবয়সী নারী পুরুষ এক দেখায় আলাদা করাটা দুষ্কর ছিলো... শারীরিক কাঠামো দেইখা যাদেরে নারী ঠাহর করা যাইতো তারা সকলেই বেশ বড় বড়। কি যে একটা ঝামেলা!
তারপর যেতে যেতে যেতে এক নারীর সঙ্গে দেখা... কিন্ডারগার্টেন ইস্কুলে ভর্তি হইছি পয়লা। সেই নারী এসেম্বলীতে গান গাইয়া শোনাইলো... নাম তার কাজরী... অতীব সুন্দরী... আহা মরি মরি...
যা থাকে কপালে... দিলাম এক চোখ বন্ধ কইরা।
পরিশিষ্ট: সেই নারীর সাথে আমার কখনওই কোনও সুসম্পর্ক স্থাপিত হইলো না। সে টিচারদের প্রিয় পাত্র, আর আমারে টিচাররা দেখতেই পারে না বানরামীর জন্য। সে শান্ত সুবোধ আমি অশান্ত দুর্বোধ...
পরি পরিশিষ্ট: তারপর অনেক অনেক নারীর ভীড়ে কাজরী হারায়া গেছে। আমি তার কোনও খোঁজ জানি না। খালি তার বাড়ির সামনে দিয়া আমার রিক্সাযাত্রা যখন যায় তখন মনে পরে আর মনে মনেই হাসি পায়। একদিন বউরেও বললাম... দেখি সেও হাসে।
হুদাই হাস্যকর
মন্তব্য
নাহ! আপনি নেহাতই ভদ্দরলোক। এক-এই তুষ্ট। আমাদের ধুসর গোধুলী এইরম ইনস্ট্রাকশন পাইলে এক চোখ ২৪ ঘন্টাই বন্ধ কইরা রাখতো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- এই কমপ্লিমেন্টের তেব্র নেন্দা জানাই!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এক দফা, এক দাবী।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হ বলাইদা... ঠিক কইছেন... আমি একটা ভদ্রলোক আর ধূসরদা অভদ্রলোক। হা হা হা হা...
ওগো ধূগোদা... এক কাম করেন... আজকা থিকাই এক চোখ বন্ধ কইরা থাকতে শুরু করেন... আমরা তারপর বলবো ধূসর: দ্যা পাইরেট।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে না, আমি কি তাই বললাম?
আপনি একটা (একবার) ভদ্রলোক আর ধুসর হইলো ২৪ ঘন্টাই ভদ্রলোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- এইবার গণপেরতিবাদ!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ... এইবার বুঝছি... আমাদের ধূগোদা হইলেন মহান ভদ্রলোক জলদস্সু... পাইরেট অব দ্য ভদ্রলোক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গোধু-গুরুরে লইয়া সবাই আউল ফাউল কথা কইতেছে মনে অয়!!
আমি ও পেরতিবাদ জানাই...
হুদাহুদি ভালা একডা মানুষের নামে খারাপ খারাপ কথা।
গুরু আপনার সঙ্গে আছি... খালি এরপর দেশে আসলে আমার একটা চোখ নিয়া যায়েন!!!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ধুসর গোধূলির চরিত্তর
ফুলের মতো পবিত্তর
এই কথা ঘুইরা বেড়ায়
সচলায়তনের সর্বত্তর....
.......................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- একজন দেয় ভদ্দরনোকি সংগা, আরেকজন সিনেমার নাম,
আরেকজন- আপনে দেন নির্বাচনের শ্লোগান!
আমি আর কই-
ফুলের নাম ধুতুরা,
এইটাই নাহয় কইয়া দেই!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাহার বাড়ির সামনে দিয়ে
জীবনযাত্রা প্রতিদিন হচ্ছে........
হোক, চলুক.....
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এইটাও চলবে বস্...
শিরোনাম কি হইতে পারে.. আমার প্রেমবেলা? নাকি প্রেমবালারা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বলিনি বুঝি?
লেখাটা দারুন লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আগে খিয়াল করি নাই। ধুগোর ফটুকেও কিন্তু এক চোখ দেখা যায়। কেম্নে কি ?
হ... কেম্নে কি? গোধূ গুরু জবাব চাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জটিল হয়েছে ঢ্যুঢ! ইউ ব্লগ গুঢ!
হাঁটুপানির জলদস্যু
থ্যাঙ্ক ইউ বস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাঃ হাঃ।
ভাল লেগেছে লেখাটি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আপনাকেও ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তা আপনার একচোখ ঠিক কবে বন্ধ হয়েছিলো তা তো বললেন না। বউ যখন আছে, বিয়েও হয়েছে। চোখ বন্ধ না করেই...?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বস... আমার জীবনে চোখের কাহিনী এর পরে আর নাই... জীবনের পয়লা প্রেমটা হইছিলো এক্কেরেই অন্দেখায়। একবছর প্রেম করছি আমরা কেউ কাউরে না দেইখা... স্রেফ চিঠি আর ফোনে।
আর বিয়া করছি যারে তার সাথে প্রেম হইছিলো একেবারেই মাতাল অবস্থায়... ভরপুর পান কইরা সারারাইত ফোনালাপ... ভোর ৬টার সময় সে বাড়িতে আইসা হাজির। সেই যে প্রেম... সেই প্রেমেতেই বিয়া... সে এক বিশাল কাহিনী... সবিস্তারে বলার খায়েশ রাখি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি কিছু দেখিনাই
কাজরী বেগম ছিলেন অন্ধ
দ্যাখে নাই আপনার একচোখ ছিল বন্ধ
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
নারীরা তাই করে বস... তারা সবসময়ই প্রয়োজনীয় জিনিসটা এড়ায়া যায়। আমার এক পরিচিতর কাহিনী জানি... এক নারী তারে বলছিলো তার মটর সাইকেলে চড়তে ভালো লাগে... সে ধার দেনা কইরা মোটর সাইকেল কিনলো... সেই মোটর বাইক নিয়া হাজির হইলো নারীর সামনে... কিন্তু নারী তাতে চড়তে রাজী হইলো না... কারন তার কপালে তখন টয়োটাওয়ালা জুইটা গেছে... সেই দুঃখে তার মোটর বাইক পুড়ায়া দিতে ইচ্ছা হইছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধূসর গোধূলি কই থাকেন কেউ জানেন? অলরেডি তাঁর এক চোখ বন্ধ হয়ে গেছে কি-না দেখার খুব খায়েশ জাগলো মনে।
প্রিয় লেখক, ওইটা ছাড়া আর কখনো আপনার চোখ বন্ধ হয় নাই?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
না জনাব... ততদিনে আমি টের পাইছি নারীরে আসলে পূর্ণ চোখ মেইলাই দেখা উচিত... ড্যাব ড্যাব কইরা দেখতে পারলে আরো ভালো। তারচেয়ে ভালো হইতো দেবতা ইন্দ্রর মতো যদি সহস্র চোখ হইতো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
০১
অত অধৈর্য হবার কী আছে
চোখ মারলে বিয়ে হয় বলেছে
কিন্তু কবে বিয়ে হবে তা তো বলেনি
সুতরাং মন খারাপ করার কিছু নেই
হবে হবে
সময় মতো সবই হবে
০২
ইহা একখানা প্রশ্ন:
আপনার গুরুর চোখায়ন থিওরি অনুযায়ীতো একচোখ কানা লোকজন সবাইকেই এক চোখে দেখে
তাহলে কি তারা জাতীয় স্বামী?
কিংবা পৃথিবীর তাবত নারীদের সাথেই কি কোনো না কোনো কালে তাদের বিবাহ হইবে?
আর কবে হবে বস? বিয়া হইছে... কন্যার বাপ হইছি... তারপরেও বলতেছেন আশায় থাকতে? আইচ্ছা থাকলাম...
প্রশ্নের জবাবে...
চোখায়ন থিওরীতে বিশ্বাস নাই বইলাই তো আর সেপথে হাঁটি নাই... চোখের পূর্ণ ব্যবহার করছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ ঠিকিতো, বিয়ার সোমায়তো আর পার হয়া যায়নাই
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কোটাও শেষ হয় নাই... এখনো আরো তিনটা করতে পারুম... হা হা হা হা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মজা ।
অবশেষে চোখ মারা (খুন করা)র জন্য আপনার শাস্তি কী হয়েছিল?
ইসসিরে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমার কপালে জুটলনা ক্যান এইডা...
সারাদিন এক চোখ বন্ধ কইরা ইংরেজী সিনেমা দেখতাম!!!!!!!!!!!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
একচৌখ বন্দ কৈরা মিলা রে দেক্তাম।
রূপবান নাচে কোমর দুলাইয়া...
আহ্
---------------
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
এই কথার মানে কি? ব্যাখ্যা করুন প্লিজ ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব ভাই, চিত্রসহ ব্যাখ্যা লাগবে ?
দারুণ অভিজ্ঞতা! (সবাই এতো মজার মজার গল্প লেখে কেমনে?)
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কীবোর্ড দিয়ে লেখে।
ধন্যবাদ
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
শীতকালে সকালের রস কিন্তু দুপুরেই তারি ... !!
... ... অনেক দেরীতে পড়া হলো। কিন্তু রস পেতে সমস্যা হলো না। ব্লগে যারা রস দেয় তাদের সাধু। ব্লগের রস ফুরোয় না!
আপনাকে (বিপ্লব)
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ঝাক্কাস হৈছে...
হা হা হা... হেভী মজা পাইলাম
নতুন মন্তব্য করুন