আজকের এই দিনে, জননী তোমায় পড়ে মনে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: শনি, ০৩/০৫/২০০৮ - ৯:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৯০ এর শেষদিকের উত্তাল মিছিলগুলোতে ছিলাম... না বুঝেই... মিছিলের টানে টানে এগিয়ে চলা যেন... ইশকুল পড়ুয়া এক কিশোরের সে এক দারুণ উত্তেজনা। ৬ ডিসেম্বর সারারাত ট্রাকে করে আনন্দ মিছিল... ভোরে বাড়ি ফিরে দেখি প্রিয় ঘড়িটা কখন হাত থেকে খুলে পড়ে গেছে... একটুও দুঃখ পাইনি, বোধহয় শৃঙ্খল মুক্তি হলো!!!
তখন থেকেই মিছিলের রক্তটা ঢুকে গেলো মগজে... আর তাতে আগুন ঢেলে দিলেন জাহানারা ইমাম। একেবারে প্রাণের একটা আন্দোলন শুরু করলেন। প্রাণের ডাকেই শামিল হলাম। ততদিনে একটু আধটু বুঝ হয়েছে। কলেজে উঠে গেছি, থিয়েটার করি। ঘাদানিকের আন্দোলনও দানা বেঁধে উঠছে। এবার নিশ্চিত হলাম- স্বৈরাচার গেছে, রাজাকারও যাবে... যাবেই যাবে... সব শালারা ভাইস্যা যাইবো বঙ্গোপসাগরে।
মল্লিকা সিনেমা হলের উল্টোগলির বাড়িটার সামনে আমরা দাঁড়িয়ে থাকি... অপেক্ষা করি... কখন ভেতরে নেতাদের মিটিং শেষ হবে... মিছিলের ডাক আসবে... আমাদের মুষ্টিবদ্ধ হাত উর্ধ্বে উঠবে? কখন হবে রাজাকার বিনাশ? তাদের দীর্ঘসূত্রিতায় বিরক্তই হতাম মাঝে মাঝে... আর মিছিলের ডাক এলেই পোলাপান সংগ্রহ করা... গজারীর ডাল স্টক করা... সেলফোনহীন যুগে সেসব কিভাবে করতাম? এখন অবাকই লাগে... কিন্তু করতাম... ঐ যে... প্রাণের তাগিদেই।
জননীকে দেখতাম দূর থেকে... শহীদ মিনারের পাদদেশে... তিনি কথা বলতেন না... কিন্তু আমাদের যে ইশারাই কাফি... একটু ইশারা করলেই তখন গোলাম আযমের বাড়ি গিয়ে হানা দিতেও প্রস্তুত।
মিছিলে নেতাদেরও আগে আগে চলি... তারুণ্যের উন্মাদনা কি কম? গজারী ডাল হাতে... মাথায় ব্যান্ডানা... পথে টুপি পাঞ্জাবী পরা কাউকে দেখলেই মাথায় রক্ত চড়ে যেতো... পিটা শিবির।
গণআদালত উপলক্ষ্যে দুই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম একটা পত্রিকা বের করবো... শামসুর রাহমান, সুফিয়া কামাল, নির্মলেন্দু গুণদের লেখা জোগাড় করলাম হাতে পায়ে ধরে কিন্তু পত্রিকা ছাপার টাকা নাই... লেটার হেড প্রেসে ছাপলাম তাও প্রচ্ছদ ছাপানের জন্য ব্লক বানানোর টাকাও নাই... তাতে কি... স্বপ্নের প্রথম সম্পাদনা... প্রেস মালিকের দয়ায় (দুইটা বাচ্চা ছেলে এত তাবড় তাবড় কবির লেখা জোগাড় কইরা ফেলছে তাই দেইখা তিনি যার পরনাই মুগ্ধিত ছিলেন) মাত্র দুইশ টাকা দিয়া পত্রিকা নিয়া বাড়ি ফিরলাম... ২৫ মার্চ মাঝ রাতে যখন পত্রিকা নিয়া বাড়ি ফিরি তখনকার অনুভূতি জীবনে ভুলবোনা... ঢাকা শহরের রাস্তায় য্যান একটা কুত্তাও নাই... পত্রিকা প্রকাশের আনন্দ আর ভয়... দুই বালক পত্রিকার বান্ডিল হাতে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরা...
তারপর গণ আদালত...
তারপর আরো কতকিছু... কিন্তু এই কতকিছুগুলো মিলে কোনওকিছুই হলো না আসলে...
শহীদ মিনার থেকে জঙ্গি মিছিল নিয়ে সবার আগে প্রেসক্লাবে... জামাতের মঞ্চে আগুন লাগানোর সুখস্মৃতি নিয়ে আজো বেঁচে আছি।
আজো বেঁচে আছি ঘাদানিকের একমাত্র পাঠাগারটা আমার এলাকায় (মিরপুরের মাজার রোডের লালকুঠি নামক এক মহল্লায়) প্রতিষ্ঠা করতে পারার (যদিও বছর খানেকের মধ্যে বিলুপ্ত)সুখানুভূতি নিয়ে।
এমনি এমনি আরো অনেক অনেক রোমাঞ্চকর সুখানুভূতি নিয়েই কেবল বেঁচে থাকি... শ্রোতা পেলে গর্ব করে বলি... জুনিয়ররা ভাবে আহা কত বীর ছিলেম বুঝি আমি!!!
আর আমি ভাবি কয়েক বছরের সে আন্দোলন আমার মতো অনেক অনেক মানুষের কেবল ব্যক্তিগত কিছু সুখানুভূতিই বোধহয় (রাজনৈতিকসহ)। সত্যিই বুঝি আর কিছু নয়। নইলে ঐ শুয়োরের বাচ্চারা আজকা এত্ত বড় বড় কথা কওনের সাহস পায় কেমনে?

তাঁর মৃত্তুতেই থেমে গেলো সব... আমাদের মা মৃত্তুর পরেই মরে গেলেন একেবারে। আর আমরা অযোগ্য সন্তানেরা চোখের সামনে রাজাকারদের আস্ফালন দেখি... দেখি আর ল্যাপটপে বইসা হাতি ঘোড়া মারি... তার আগে নিজের নিরাপদ আবাস আর স্ত্রী সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি...

আর ফেলে দেওয়া ময়লার মতো কখনও কখনও মায়ের কথা মনে আসে... কিন্তু মন যায় না...

এখন আর রক্ত গরম হয় না... খুব হতাশা গ্রাস করে... আমরা হালায় কোনও কামের না... কোনও বালটাও ছিঁড়তে পারুম না জীবনে... নিজের উপরেই ঘেন্না ধরে...

হাহ্...


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

"হাহ্‌" টুকুই সব বলে দেয়... আমরা যোগ্য মানুষ পেয়েছি অনেক, কিন্তু তাদের এগিয়ে দেওয়া কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারিনি। পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফুটানোর অভ্যাসটার জন্যই বোধহয়। মিছিলে পিছে, পালানোর বেলায় আগে... এভাবেই জীবন কেটে গেল বাঙ্গালির।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মঞ্চে আমার দেখা প্রিয় নাটক গ্যলিলিও... সেখানে একটা ডায়ালগ ছিলো- সে জাতি তত দূর্ভাগা... যার নেতা প্রয়োজন...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক এর ছবি

স্বপ্নের মত লাগে এইসব গল্প আমাদের প্রজন্মের কাছে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমাদের বয়স এখনও যথেষ্টই আছে... কিন্তু মনে আর বল নাই... সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাইঙা যাওনের মতো বিপর্যয় হইছে... নিজেরে নিয়া আর আশা নাই... কর্পোরেট চক্করে ঢুইক্যা গেছি...
যারা ব্যর্থ হইছি... তাগোরে মনের সুখ মিটায়া গালি দিয়া হইলেও আপনেরা শুরু করেন... কামিয়াব হন... আর কিছু বলার নাই...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দ্রোহী এর ছবি

আম্মার মত মানুষদের আজ আমাদের খুবই প্রয়োজন। আম্মার জন্য জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলী।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাবতে অবাক লাগে... তখন দেশে সেলফোন ছিলো না... ইন্টারনেটের নামও শুনি নাই... ঘরে ঘরে ল্যান্ড ফোনও ছিলো না... কিন্তু যখনই জাতির একটা দূর্যোগ আসছে বা প্রয়োজন হইছে তখনই মানুষ জমায়েত হইছে কাতার বাইন্ধা... কাউরে খবর দিতে হয় নাই।
আজ যোগাযোগের এত এত পন্থা... ডাক দেওয়া কত্ত সহজ... কিন্তু ডাক কেউ দেয় না... ডাক দেওয়ার লোকটারই বড় অভাব...
আবার এইটাও মনে হয়... ডাক দিলেও কি সেই জমায়েত আর হবে? জানি না... আসলেও সকাল থেকে হতাশা খুব ঘিইরা ধরতেছে...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আকতার আহমেদ এর ছবি

আমাদের চুতিয়া রাজনীতিবিদরা আর কিছু না পারুক একটা জিনিষ তারা ভালোই পারছে- জনগণের মনের মধ্যে অবিশ্বাস ঢুকাই দেওয়া । এখন জনগণ কোন নেতৃত্বকেই বিশ্বাস করতে চাইবেনা সহজে । এটা হইল আরেক ট্রাজেডি !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শুধু রাজনীতিবিদরা না বস্... আমাদের এখন সর্বত্র অবিশ্বাস... বুদ্ধিখোর থেকে শুরু করে মহামান্য বিচারপতি... বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক থেকে সুশীল সমাজ... কারো প্রতিই আমাদের আর আস্থা নাই... আমরা ৯০ পরবর্তীতে তাজ্জব হয়া খেয়াল করছি এই দেশে সকল মহানরাই গোষ্ঠীস্বার্থে কাজ করে... করে ইমেজের বিকিকিনি...
এত্ত হতাশ কি আর সাধে হই?

আমরা একটা ভয়ঙ্কর সময়ে বিরাজমান- পরস্পর আস্থাহীন একটা জাতি কেবল কষ্টে সৃষ্টে জীবন যাপন করে যাচ্ছে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আকতার আহমেদ এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধের পর বোধ'য় আরেকটা সময় এসেছিল বাঙালির জীবনে.. কিন্তু কিছুই হইলোনা আম্মাটা মারা যাওয়াতে !
এই অক্ষমতার দায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বয়ে বেড়াতে হবে আমাদের।
ধন্যবাদ নজরুল ভাই লেখার জন্য

দ্রোহী এর ছবি

সেটাই! আম্মা বেঁচে থাকলে হয়তোবা কিছু একটা হত! রাজাকারদের এই আস্ফালন দেখতে হত না!


কি মাঝি? ডরাইলা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মাঝে মাঝে এও ভাবি... একেকটা মৃত্তু কি ভীষণ... আসাদ মতিউর বা মিলনের মৃত্তুতে পুরো দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে... তৈরি হয় নবযুগের... আবার বঙ্গবন্ধুর মৃত্তুতে খোলাসা জাতির ধ্বংস পরোয়ানা... আর জাহানারা ইমামের মৃত্তুতে শেষ হয়ে যায় শেষটুক আশাও...
সত্যি... কিছু কিছু মৃত্তু বড্ড ভীষণ।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সচলায়তনে নানান সময়ে নানান ব্যাণার হয়... আজ শহীদ জননীর জন্মদিন... সত্যজিৎ রায়েরও... ব্যাণারটা কি পাল্টানো যায়?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

সত্যি, আপনারা অনেক ভাগ্যবান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি বয়ান করি দূর্ভাগ্য আর আপনে বলে সৌভাগ্যবান!!?? হা কপাল...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

কনফুসিয়াস এর ছবি

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রায়হান আবীর এর ছবি

হাজার সালাম জাহানারা ইমাম...

আজো বেঁচে আছি ঘাদানিকের একমাত্র পাঠাগারটা আমার এলাকায় (মিরপুরের মাজার রোডের লালকুঠি নামক এক মহল্লায়) প্রতিষ্ঠা করতে পারার (যদিও বছর খানেকের মধ্যে বিলুপ্ত)সুখানুভূতি নিয়ে।

আরে আপনি তো আমার এলাকামেট। আমি থাকি গোলারটেক।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গোলারটেকে কোথায় থাকেন আবীর? আমি অবশ্য এখন থাকি উত্তরায়। বেশ কয়েক বছর আগে উত্তরাতেই স্থায়ী হইছি। যদিও আমার মা ভাইরা মিরপুরেই থাকে।
গোলারটেকে একসময় প্রচুর আড্ডা দিছি... পালপাড়ায় বাঁধের ওপরে রেগুলার সন্ধ্যা কাটতো... উইথ গান এন্ড গিটার... আর বেশি মুড আসলে নৌকা নিয়া তুরাগ ভ্রমণ...
হরির দোকানের চা এখনো জিভে লাগে... পালপাড়ায় বেশি খাতির ছিলো সাহেদের সাথে... চিনেন? সাহেদ, জাহেদ আবেদ তিন ভাইরে? এছাড়া বাতেন, রানা (এখন সমকালে আছে) তাদের?
গোলারটেকের দুইজন মানুষের সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হইছে গোলারটেকের বাইরে... ছড়াকার আমীরুল ইসলাম আর কে ক্রাফটের মালিক খালিদ ভাই (এখন অবশ্য লালমাটিয়ায় থাকে)। আমীরুল ভাইয়ের ভাই পলু ভাইরেও চিনতে পারেন... রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি করে... আজকাও কথা দেখা হইছিলো।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রায়হান আবীর এর ছবি

গোলারটেক থাকি চার তালা ঢাকা গার্মেন্টস এর পাশে...
পালপাড়া আমারো খুব প্রিয় জায়গা...সন্ধ্যার পর থেকে আমিও আড্ডা মারি ওইখানে, মাঝে মাঝে নৌকায় চড়ি, হরির চা খাই।
যেই মানষগুলার কথা বলছেন তাদের কাউকেই চিনি না। ১৩ বছর ধরে ওই খানে থাকলেও কেউ আমাকে চিনিনা, আমিও না। কারণ ছয় বছর ক্যাডট এখন আইইউটির হল। তাতে করে অবশ্য ভালোই হইছে। এলাকায় সিগারেট খেলে কেউ বিচার দিতে পারে না। হাসি
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সাহেদ জাহেদরা ঐ এলাকায় বেশ প্রভাবশালী পরিবার... হরির দোকানে অনেক বছর যাওয়া হয় না... যাবো একদিন দেখি...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

সালটা ৯৩'র এপ্রিল ছিল বোধ হয়। শাহবাগ মোড়ে নির্মূল কমিটির এক সমাবেশে এক রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য শুনে আমার মনে হয়েছিল এই আন্দোলন ব্যর্থ হবেই। পরে দেখলাম তা-ই হলো।

আম্মার জন্য শ্রদ্ধা।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ব্যর্থতার সম্ভাবনা কাঁধে নিয়েই আন্দোলন সংগঠিত হয়... এক আন্দোলন ব্যর্থ হলে তৈরি হয় পরবর্তী আন্দোলনের সম্ভাবনা... জ্বলে পুড়ে মরে ছাড়খাড় তবু মাথা নোয়াবার নয়।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

তারেক বলেছেন,

স্বপ্নের মত লাগে এইসব গল্প আমাদের প্রজন্মের কাছে।

আসলেই ...

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঠিকাছে... স্বপ্নটা অন্তত বাঁচুক। তাই সই...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিপ্রতীপ এর ছবি

লেখাটা পড়ে শিহরিত হলাম...শেষটায় হতাশ...আসলে আমাদের মতো এসব অধমদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না... মন খারাপ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হবে হবে... অবশ্যই হবে... আমরা অধম হইলেও এই দেশে উত্তমের সংখ্যা বেশি... আমি নিজেরে নিয়া হতাশ হইলেও জাতিরে নিয়া ব্যাপক আশাবাদী।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍বাঙালি জাতি কি এতোটাই "পোঁতাইয়া" গেছে? হতাশ লাগলো আপনার লেখার শেষাংশ পড়ে।

তবু আশায় বুক বাঁধতে ইচ্ছে করে যে...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জাতি পোতায় নাই তো বস... আমি পোতাইছি... কিছু কিছু লোক পোতাইছে... কিন্তু পিছনে আছে কাতারে কাতার বান্ধা জাতি... পনেরো কোটি লোক আমরা... গায়ে গা ঠেকায়া খাড়াইলে সিডর ঠেকায়া দেওনের ক্ষমতা রাখি।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যিই তো আমরা সবাই গল্প হিসেবেই পড়বো চোখে ভাসবে কয়জনের?
-নিরিবিলি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মানুষ জাগবে ফের 'বানের লাহান'।...
---
শহীদ জননীকে স্যালুট!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জ্বী স্যার... জাগবেই... অবশ্যই...
মাঝে মাঝে হতাশ হই... কিন্তু বাকি পুরোটা সময় আশাতেই বাঁচি।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

টুটুল এর ছবি

প্রত্যেকটা মানুষই তার আশার সমান বড়... সো আশাটুকু বাচিয়ে রাখুন বস...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... আশা না থাকলে তো আপনের চাকরি টানাটানি...
সো আশা থাকুক... হা হা হা হা...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

টুটুল এর ছবি

হা.. হা.. হা...
আমি তো আশায় আছি চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এখন আর রক্ত গরম হয় না... খুব হতাশা গ্রাস করে... আমরা হালায় কোনও কামের না... কোনও বালটাও ছিঁড়তে পারুম না জীবনে... নিজের উপরেই ঘেন্না ধরে...

দীর্ঘশ্বাস! তবুও আশায় বুক বাঁধি... সুদিন আসবে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।