খেজুর গাছে হাড়িঁ বাধোঁ মন: ভবা পাগলার জীবনকাহিনী

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ২১/০৯/২০০৮ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাধারণত সাধক মহাপুরুষদের জন্মকাল পূর্ণিমা তিথিতেই হয়, অথবা পরবর্তীতে ভক্তরা সেই জন্মক্ষনে একটা পূর্ণিমা তিথি কল্পনা কইরা নেন।
সাধক ভবা পাগলার জন্ম ১৩০৭ সনের ৩১ আশ্বিন শুক্রবার, কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা তিথিতে। ইংরেজিতে তা ১৯০০ সনের অক্টোবর মাসে। ঢাকা জেলার ধামরাই থানার আমতা গ্রামে। সাহা সম্প্রদায়ে। পিতার নাম গজেন্দ্র মোহন রায় চৌধুরী, মাতার নাম গয়াসুন্দরী দেবী। পিতৃনামে রায় চৌধুরী থাকায় ধারণা করা হয় জমিদার বংশে তার জন্ম। সেই মতে প্রত্যক্ষ প্রমাণ না থাকলেও বালিয়াটির জমিদার মণি চৌধুরীদের বংশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠতার বেশ প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা তো ভবা পাগলাকে জমিদারজাত প্রমাণ করতে বসি নাই, তাই ঐ পথে আর না আগাই। আর পারিবারিক পরিচিতিটাও সংক্ষেপেই সারি। ভবারা তিন ভাই এক বইন। গিরীন্দ্র, দেবেন্দ্র, ভবেন্দ্র (ভবা) আর সতী আগমনী। দেবেন্দ্র আর ভবা জমজ ছিলেন। ভবা ত্রিশ বছর বয়সে বিয়ে করেন দশ বছর বয়সী শৈবালিনীকে। ভবার সংসারে দুই ছেলে এক মেয়ে- সনত্কুমার, প্রতিমা আর সংকল্প।
ভবা ছিলেন শুকনা শাকনা পাতলা মানুষ, গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা। মাথায় বাউলদের ট্রেডমার্ক চুল। দাড়িও ছিলো। জামা কাপড় পরতেন খুবই কম... ইশকুল ছাড়ার পর শুধু একটা লাল বস্ত্রই পরিধান করতেন... উর্ধাঙ্গ আর পদ খালিই থাকতো। মাঝে মধ্যে নীল একটা বস্ত্র গায়ে চড়াতেন। এর বেশি না। শেষ বয়সে ভক্তরা জোর করে কিছু জামা কাপড় পরিয়েছে। আর একটা সোনায় মোড়ানো লাঠি রাখতেন সঙ্গে সবসময়। তাতে ভক্তরা নানান অলঙ্কার জুড়ে দিয়েছিলো... মন্দির মসজিদ সবেরই সহাবস্থান ছিলো সেখানে। এই লাঠি নিয়ে নানান কিংবদন্তী আছে... আছে লাঠির নানাবিধ অলৌকিক কাহিনী... সেগুলো ছেড়ে যাচ্ছি। ঘুমাইতেন মাটিতে অথবা তক্তপোষে, মাথায় দিতেন একটা পিতলের কাঁসর। খাদ্যের বেলায় তিনি সর্বভূক... কোনো ভেদাভেদ ছিলোনা।
তার লেখাপড়ার অবস্থা আমার চেয়েও খারাপ। সাত ক্লাশ পর্যন্ত পড়েছেন। প্রথমে গ্রামেরই মাইনর স্কুল আমতা এম ই স্কুলে পড়ছেন। এই পড়তে পড়তে তিনি পিতৃবিয়োগিত হন... সেই সঙ্গে বেড়ে যায় দূরন্তপণা... এবং তার অত্যাচারে গ্রামে যখন টেকা যাচ্ছিলোনা তখন সিদ্ধান্ত হয় বাছাধনকে মাইল কয়েক দূরের পাকুটিয়ার বি. সি. হাই স্কুলে রেখে পড়ানো হবে। তথাস্তু... তবে সেখানে যে বাঁদরামো কিছু কম হয়েছে তা কেউ শোনেনি। বাতাবী লেবুর বাগান উজাড় করে দেওয়া, নদীর ধারে বউ ঝিরা গোসল করতে গেলে ঢিল ছুড়ে মারা... সবই সম্ভব হয়েছে। তথাপিও ভবা ভালো ছাত্র ছিলেন। রোল নম্বর ছিলো দুই।

ছোটবেলা থেকেই ভবা পারিবারিকভাবে কালীসাধক। ধামরাইতে নিজ বাড়িতে কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করিয়েছিলেন। যেখানেই গেছেন কালীসঙ্গে ছিলেন। বাংলাদেশ আর ভারত মিলে গোটা সাতেক কালী মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।
তো সেই কালীকে নিয়েই ছোটবেলায় জমে থাকতেন। আর এই করতে করতেই মুখে মুখে গান বানিয়ে ফেলেন-
এস মা কালী শুন মা বলি, আমার প্রাণের বেদনা।
লাগে না ভাল কি যে করি তুমি আমায় বল না।

শোনা যায় এই গানটি তিনি ৬/৭ বছর বয়সে রচনা করে মাকে গেয়ে শোনান। যা এখন ঝিঝিট মিশ্র কাহারবা রাগে গাওয়া হয়।
পাকুটিয়ার স্কুলে পড়তে পড়তেই গড়ে তোলেন গানের দল। এবং নিয়মিত বিভিন্ন কনসার্ট করতে থাকেন। কনসার্টে ভবা বাজাতেন বেহালা। শোনা যায় তার বেহালার হাত খুব মিষ্টি ছিলো। এই গানের দল থেকেই আস্তে আস্তে ভবা গানের জগতে ঢুকে পড়েন। লেখাপড়া শিকেয় ওঠে। কালীপূজা আর গান নিয়েই কাটে সারাবেলা। ভক্ত জমতে থাকে।

এইখানে আর কোনো কাহিনী নাই... কেবল গান আর ভক্তসংখ্যা বৃদ্ধি হইতে থাকে। আর তত্সঙ্গে বাড়তে থাকে পাগলামী... খেয়ালী জীবন। যদিও ভবা সংসারে একেবারেই অমনোযোগী ছিলেন না।

ঘটনা ঘটে দেশভাগের পরে। ধর্মাজুহাতে দেশ ভাগ হয়ে গেলে ভবাকেও ভাবতে হয় দেশ ছাড়ার কথা। তার প্রিয় আমতা গ্রাম, কালী মন্দির আর পিতৃগৃহ ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয়। ১৩৫৭ (ইংরেজী ১৯৫০) সনের আষাঢ় মাসে তিনি দেশান্তরী হইতে পথে নামেন। এরও একমাস আগে স্ত্রী পুত্র কন্যাদের ভক্তসঙ্গে পাঠিয়ে দেন কোলকাতা। পাগল সঙ্গে নিলেন তার গানের সঙ্গী, পূজার সঙ্গী আর কিছু নিকট ভক্তকে। আর সঙ্গে নিলেন কষ্ঠিপাথরের প্রিয় কালীমূর্তিটি। গিয়ে ওঠেন শোভাবাজারে ভক্ত ফটিকের বাড়িতে। তারপর আরেক ভক্ত বি বি রায় কালনায় নিয়ে যান... সেখানে ভবা সপরিবারে এবং ভক্তপরিবেষ্ঠিত হয়ে এক বছর থাকেন। ইতোমধ্যে কালনায় জমি কিনে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

আপাতত এই পর্যন্ত থাক। ভাবছিলাম জীবন কাহিনী এক পর্বেই মেরে দিবো। পরের এক পর্বে দিবো গানালোচনা। কিন্তু মনে হইতেছে পাঠকের আরো কিছু যন্ত্রনা আছে কপালে। আমি অল্পকথায় লিখতে পারি না। জীবনকাহিনী লিখতে আরো একটা পর্ব লাগবে মনে হইতেছে। কিন্তু সেতক পাঠকের ধৈর্য্য থাকবো কি না জানি না। আমার নিজেরই থাকে না। তাই এখানেই একটা অংশ আগে দিয়ে দিতে ইচ্ছে করতেছে।
ভবার জীবনে দুই দুইটা বিশ্বযুদ্ধ, একটা দেশভাগ, আর মুক্তিযুদ্ধ সবই দেখা। তাই নিয়া তার কিছু গান আছে... তবে ৭১-এর ২৫ মার্চ যখন হানাদার বাহিনী আক্রমন করলো... তখন তিনি কালনায় বসে একটা গান লিখেছিলেন... সেই গানটা পুরোটা তুলে দিতে ইচ্ছে করতেছে... বড় হইলেও-

(আজি) পদ্মার জল লাল।
যমুনার জল কালো,
ব্রক্ষপুত্র অতীব ভীষণ, মেঘনা নদী অতি বিশাল।।
শীতলক্ষ্যা শান্তময়ী, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী।
কুমারটলী বিরাজিছে মাতা, হাতে নিয়ে ঢাল-তরোয়াল।।
মহাদেবী প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা শহরে,
মহিষাসুর মর্দিনী মা গো, ধ্বংস কর অসুরে।
দেবতার স্থানে, একি গোপনে,
এলো কারা ওরে নিষ্ঠুর মাতাল।।

এবে হবে সকলি ঠাণ্ডা
সন্তান রয়েছে শত শত সেথা, হাতে লয়ে ন্যায় ডাণ্ডা।
খণ্ড খণ্ড রূপে বাংলার জননী, ফতেমা ঘিরিছে জাল।।

তিস্তা ছিন্নমস্তা,
ত্রিধারা, বহিছে রক্তধারা।
কে রে করে শিশু হত্যা,
মাভৈ রবে গর্জিছে আকাশ, বধিতে কৃষ্ণ-শিশুপাল।

ভবাপাগলার অভিমান,
আর কেন দেরী, শোন হে কাণ্ডারী,
মুজিবরে হও অধিষ্ঠান।
সুসন্তান তোমার নিয়েছে এ ভার,
(আজি) ধরিতে বাংলার হাল।।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় নজরুল, ধৈর্যহারা হবেন না। চালিয়ে যান, যতগুলি পর্ব লাগুক। আমরা অধীর অপেক্ষায় আছি। আর অবশ্যই ভবার যতগুলো গানের কথা আপনার জানা আছে সবগুলোর অন্তত নাম দিন। তাতে মনে হচ্ছে কুম্ভীলকবৃত্তিতে কতজন হাত পাকিয়ে নাম কিনেছেন তা ধরা পরবে।

===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ব্লগে আমার সিরিয়াস টাইপ লেখা লেখতে ভালো লাগে না (আসলে পারি না)। জীবনী লিখতে গিয়েই বেশ একটা সিরিয়াস ব্যাপার হয়ে যাচ্ছিলো... ভাবছিলাম বোরিং না হয়ে যায়। পুরোটা পড়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা... কিন্তু গান নিয়ে আলোচনা শুরু করলেই তো বিপদ... সেটা একেবারে ধর্ম, তত্ত্ব, দর্শন, সাহিত্য সবকিছু ধরে টান দিবে।
তখনো কি পড়বে কেউ?
দেখা যাক... লিখে যাই।
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জিফরান খালেদ এর ছবি

বরাবর...

আকতার আহমেদ এর ছবি

সারাদিন বসাই রাইখা এতক্ষণে দিলেন লেখাটা ! লেখা ভাল হইতেছে.. তয় লীলেন ভাইয়ের "কথাকলি" সিরিজের মত মাঝপথে থামাই দিয়েননা কয়া দিলাম । ভবারে নিয়া ডিটেইল লেখেন.. ভাল থাইকেন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঠিকাছে... তবে আগামী দুই তিনদিন মনে হয় দৌড়ের উপরে থাকবো... তারপরে... তবে লেখবো অবশ্যই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভবার গান চাই কিন্তু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঠিকাছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত আহমেদ এর ছবি

ভবার গানটা পড়ে বুকে রক্ত কেমন ছলাৎ করে উঠলো। সময় নিয়েই লেখেন। আমরা পাঠকেরা আছি।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভবার গান পড়ায় আনন্দ কম... তার গান শুনতে আরাম।
লেখবো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার বানান ভুল হবে সেকথা তো বিভিন্ন স্থানে জায়েজ করে নিছি। তবু চেষ্টা করি... তবু পারি না।
এবারও পারলাম না... অবশেষে লীলেন্দা গোপনে পত্র পাঠায়ে খেজুর বানান ঠিক করে দিলেন। প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি।
ধন্যবাদ দাদা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এত বড় বাংলাদেশে ভবার গান কারো কাছেই নাই? এইটা কেমুন কথা!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আছে তো অবশ্যই... নাইলে আমি পাইলাম কই?
খোঁজ লাগাইছি... পায়া যাবো... আর পাইলেই দিবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

খেকশিয়াল এর ছবি

নজরুল ভাই লেখতে থাকেন, পড়তাসি ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আচ্ছা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

থার্ড আই এর ছবি

সাথে আছি, আপনি লিখুন আশাকরি ধৈর্য চূত্যি হবার কোন অবকাশ নেই। তবে গানের কিছু অংশ ইটালিক বাকী অংশ নরমাল ব্যপারটা বুঝলাম না!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইটা আমিও বুঝি নাই। আমি তো পুরো গানটাই সিলেক্ট করে ইটালিক-এ ক্লিক করছি... কিন্তু দেখলাম প্রথম প্যারাটুকুতেই তা কাজ করে... সমস্যাটা কোথায় তা আমার জানা নাই। এর আগেও এই সমস্যা হইছিলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বসে আছি পথ (লেখা) চেয়ে .....
---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নজরুল ভাই কী ভবা পাগলারে লইয়া ডকু তৈরি করতাছেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ডকুর লিস্টে ভবার আগে আরো অনেকেই আছেন। কবে যে বানাবো... জীবন বাঁচাইতেই তো কুল পাই না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শামীম আরেফিন এর ছবি

গান দেন গো দাদা । গান ছাড়া কি আর মন বাঁন্ধা পড়ে?
'৭১ সালে নাকি ওইপাড়ের অনেক হিন্দুঘরে দেবতার ছবি পাশে মুজিবরের ছবি ও পুজা পেতো ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দিবো... পাইলেই দিবো... খোঁজে আছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সবজান্তা এর ছবি

ভবা পাগলার নামের সাথে আমি বহু আগে থেকেই পরিচিত। এর একটা মূল কারণ হচ্ছে ভবা পাগলার বাড়ি যে অঞ্চলে, আমার নিজের বাড়ীও কাছাকাছি একটা অঞ্চলেই, উপরন্তু আমার পিতামহীর পৈত্রিক বাড়িও ভবা পাগলার বাড়ির অঞ্চলেই। আর পৈত্রিক ধর্মের মিলের ব্যাপার তো আছেই।

ভবা পাগলার কথা শুনেছি বাবার কাছেই। মাঝে মধ্যেই অনেকের মুখে শুনেছি তার মাতৃসাধনার গান। সত্যি বলতে কি সচলায়তনে ভবা পাগলার নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি, তবে তার থেকেও খুশি হয়েছি বেশি। একসময়ের প্রতিভাধর গীতিকার-সুরকার-চারণকবি এইসব বাউলদের (শাব্দিক অর্থে না ) যে কেউ মনে করছে সেটা ভেবেই আনন্দ লাগছে।

নজরুল ভাই এর হাত ধরে নাম না জানা অনেক কবি-শিল্পী উঠে আসুন, আপাতত এটাই চাইছি।


অলমিতি বিস্তারেণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপ্নেও লেখেন তাইলে কিছু... আমার তো বেশিরভাগই পুথিঁগত বিদ্যা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

নজরুল ভাই লেখা তাড়াতাড়ি নামান। মাঝপথে বইসা থাকতে ভালা লাগতেছেনা। ভবা পাগলারে নিয়া ডকুমেন্টারি তৈরির ব্যাপারটা সিরিয়াসলি ভাইবেন।

লেখা দূর্দান্ত। পড়তে মচমচা লাগে। চলুক
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নজু ভাই, দারুন লেখা। লিখতে থাকেন, পাঠক পাবেন, সন্দেহ নাই। পারলে গান আপলোড করে দেন।
__________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আলবাবু দা আর পরিবর্তনশীল... আদেশ শীরোধার্য... লেখবো।
আর প্রহরী... গান খুঁজতেছি... পাইলেই আপলোড করবো।

ধন্যবাদ সবাইকে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অবশেষে পাওয়া গেলো ভবার গান!
http://vimeo.com/24412568
http://vimeo.com/24374705

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।