ঘর মন জানালা: ১৪ অক্টোবর ০৮

ছবি কৃতজ্ঞতা: ফ্লিকার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাঝে মাঝে একা থাকা খুবই ভালো কাজ। কে আপন-পর কিংবা কার জন্য মনটা বেশি ব্যাকূল হয় তা অনুভব করা যায়। তাইলে আপনার সেই মুহূর্ত চলছে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

বালিকা আর নাবালিকা গেছে কই?
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

ঢাকা শহরে থাইকা এখন আর আকাশ দেখা হয় না! কত কিছুই ধীরে ধীরে হারায়া যাইতেসে জীবন থেকে...

শেষের অংশটা সুন্দর একটা কবিতার মতো লাগলো।

বস, আপনে তো সাহারা মরুভূমিতে থাকেন! আড়াইজন মানুষ মিলে থাকেন ১৮৭০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটে! খুব অবিচার!
_______________
বোকা মানুষ

এইগুলা এত বেশি বাপের বাড়ি যায় যে মাথা গরম হয়ে যায়।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ব্যাপার না ... চলে আসবে...
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

চাঁদ দেইখেন না তাইলে, মন আরো খারাপ হইতে পারে, আবার ভালও হইয়া যাইতে পারে, কারন পূর্ণিমার চাঁদ পুরাই পাগলা একটা জিনিস ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

'কেন এই নিঃসঙ্গতা'র প্লট মনে হইতেছে!

এই লেখা দেখলেতো বালিকা নাবালিকা
উড়াল দিয়ে চলে আসবে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আহা কি সুইট! বউ কন্যা কে মিস করছেন।
বৌদ্ধ পূর্ণিমার কথা আমিও জানতাম না, আমার এক বৌদ্ধ ফ্রেন্ড মেসেজ করার পর জানলাম। একটু মন খারাপ লাগল কারন ঈদের সময় সে নিজে থেকেই মেসেজ করে ঈদ মোবারক জানিয়েছে। অথচ ওর রিলিজাস অনুষ্ঠানের খবর ও বলার পর আমি বললাম।
ফানুস জিনিসটা আজকে আপনার লেখায় প্রথম জানলাম, শিখলাম।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

হুমমম, পূর্ণিমার রাতে বাপের বাড়ি থাকাটা ঠিক হয় নি!

লেখার কথা কি আর বলবো, যথারীতি - ......

( শিরোনাম দেখে ভাবসিলাম আমার প্রিয় বইটার রিভিউ বোধহয়, পড়ে দেখলাম, না তার চাইতেও ভালো কিছু!)

আপনের সরল গদ্য আমার ভীষণ পছন্দ, সেইটা তো আগেই কৈসি। আবার মুগ্ধ হইলাম।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

ফানুস ব্যাপারটাই ইন্টারেস্টিং। অনেক আগে একবার ভেবেছিলাম কিভাবে বানায় এটা শিখে ফেলতে হবে, তারপরে ভুলে গেছি। এখন আবার মনে করিয়ে দিলেন।
হয়তো শিখেই ফেলবো।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

আমি বৌদ্ধ মন্দিরে বউ এবং কন্যা সহযোগে ফানুস দেখতে গেছিলাম। আমি জীবনের প্রথম আটাশ বছর পার করছি সবুজবাগ বৌদ্ধমন্দিরের পাশে মায়াকাননে... ফানুস যে আমার কাছে কী, এটা বুঝায়া বলা মুশকিল! কত রকম ফানুস যে ওড়ানো হয়, কত রঙিন, কত বিচিত্র আকারের আর চেহারার, আর সেগুলো যখন চোখের সামনে একটু পর পরই একটা করে উঠতে থাকে, আর একটা ফানুস ওঠার সময় যে ডামাডোল বাজতে থাকে, আর পোলাপানের উল্লাসধ্বনি কান ফাটিয়ে ফেলে, এটা যে সেখানে উপস্থিত নেই, তার পক্ষে হৃদয়ঙ্গম করা মুশকিল!
কিন্তু বিয়ের পর ও পাড়া ছেড়ে শহরের আরেক প্রান্তে চলে আসার পর আর সেদিকে যাওয়াই হয় না... তাই বউ বাচ্চাকে মুগ্ধ করে দেয়ার জন্য নিয়ে গেছিলাম গতকাল, কিন্তু আমরা যেতে যেতে সব ফানুস ওড়ানো শেষ রাত দশটার মধ্যেই!
আমি অবাক, আগে তো রাত এগারোটা সাড়ে এগারোটা পর্যন্তও ওড়ানো হত... এখন এত তাড়াতাড়ি শেষ?
উত্সাহী মানুষদের ফিরিয়ে দিচ্ছে গেট থেকে কর্তব্যরত পুলিশের দল, আমি অবশ্য কিঞ্চিত্ অনুরোধ করতেই ঢুকে যেতে পারলাম--বউ-বাচ্চার দিকে তাকিয়ে তারা অনুগ্রহপূর্বক যেতে দিলেন! কিন্তু ফানুস তাদের আর দেখা হল না... দূর আকাশে তারার মতো জ্বলজ্বলে কিছু ফানুস দেখেই তাদের শখ মেটাতে হল...
নজরুল ভাই, বউ-বাচ্চা বাসায় না থাকলে কেমন লাগে আমি হাড়ে হাড়ে জানি... মজার কী জানেন? এই ফানুস নিয়েই রবীন্দ্রনাথের একটা কিশোর কবিতা আছে, ভদ্রলোকের অধিকাংশ সন্তানরাই তো দীঘজীবি হয় নি, এরই মধ্যে অসুস্থ মৃত্যুপথযাত্রী কন্যাকে প্রতিদিন শয্যার পাশ বসে তাকে খুশি করার জন্য বিভিন্ন লেখা তৈরি করতেন আর পড়ে শোনাতেন, এটা তারই মধ্যে একটি...
খুকি তোমার কিচ্ছু বোঝে না মা,
খুকি তোমার বড্ড ছেলেমানুষ...
ও ভেবেছে উঠল তারা বুঝি
তোমরা যেদিন উড়িয়েছিলে ফানুস...

---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

নজরুল ভাই, বউ বাচ্চা বাসায় নাই, তাইলে কি টাকিলা খেতে বাসায় আসবো? বউ আসার আগে তড়িৎ জানানোর জোর আবেদন রইল।

নজরুলীয় ব্লগরব্লগরকে ইদানীং আমি কবিতা বলি।
নজরুল ভাই আপনার কী মত?

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

লেখা চরম হইছে, নজরুল ভাই।
পইড়া পরম মুগ্ধ হইলাম, বরাবরের মতো।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সামনাসামনি কখনো ফানুস উড়াইতে দেখি নাই।

০২
এই অংশটা সত্যিই কবিতার মতো লাগছে, নজু ভাই। শুধু তাই না, কঠঠিন ভাবের একটা কবিতা।
"সিগারেট খাওয়ার স্বাধীনতাটাও খুব অসহ্য লাগে মাঝে মাঝে।" ...মন ছুঁয়ে গেলো ওদের জন্য আপনার অনুভবে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

লেখা ভাল লাগল। অধমের বংগদেশে থাকার যায়গা নাই। অহন বুঝলাম দেশে গেলে কোথায় আশ্রয়ের আশা আছে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

ক্যান জানি এইদিন বন্ধুরা মিলা চুরি করতে বাইর হইতাম রাইতে । ডাব,কলা, পেপে.. সবাই জানে রাইতে গাছের ফল চুরি হইবো.. তার জন্য সতর্কতাও সবার মইধ্যে । এরপরেও ঠিকই চুরি হয়া যাইত.. এমনও হইছে কোন এক বন্ধুরে বসাই রাইখা তাদের গাছের ফল চুরি কইরা আবার তারে নিয়াই খাইছি । সকালে তার বাপেই দেখি গালিগালাজ করতাছে.. "কোন শুয়োরের বাচ্চা...."
হায়রে শৈশব.. হায়রে সে'সব দিন

ধন্যবাদ বস.. লেখার জন্য !

প্রতিভাবানদের প্রথম লক্ষণ হল ইনারা নিজের প্রতিভার কথা বেমালুম অস্বীকার করবেন আর নিজের কাজখান করে যাবেন।

রাফি'র কথা প্রমাণিত, এই লেখায় ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

অসাধারন লাগল।

লেখাটা পড়ে লগইন না করে পারলাম না!
প্রাণ ছুঁয়ে গেলো একাকীত্বের ভাবনা।
মাঝে মাঝে এরকম পরিস্থিতিতে আমাকেও পড়তে হয়..।

মুচমুচা লেখা