বৃষ্টি ভীষণ গোঁয়ার যেন, রোগা মেয়ের নৌকো ভাঙার মতো, এ বৃষ্টি ভাসাবে পরিহাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ২৬/১০/২০০৮ - ১২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উত্তাল হয়ে ওঠে সাগর, ফুসেঁ ওঠে দারুণ রোখে... ১, ২, ৩ করে সতর্ক সঙ্কেতের গ্রাফ উপরে উঠতে থাকে, কে হবে সতর্ক? কে পাবে ভয়?

ভয়ের শক্তি কতটা? নিভিয়ে কি দিতে পারে আগুন? থামিয়ে কি দিতে পারে ঝড়?

পারে না বুঝি...

আকাশে ঝড়, বাতাসে ঝড়, বুকেতে ঝড় নিয়ে তাই তো কিছু তরুণ রাস্তায় নামে। কাঁপে না ভয়ে আর, দ্বিধার নেই কোনো দোলা।

শোনাশুন কতকথা... চারদিকে বিপদের ঝঙ্কার বাজে... ফোনে ফোনে বাজে হুমকি... নিষেধাজ্ঞা... উপদেশ... রাতের পর রাত যায় চিন্তায় চিন্তায়... শত্রুর প্রতিরোধ যদিওবা মানা যায়... মানা কি যায় সমমনাদের(?) বিদ্রুপ? সমমনা কারা? যারা ভয়ে নিজের খোপ ছেড়ে বের হয়না? সেই মনে মন মিলে না, তাই পথভিন্ন ছুটে যায় উন্মাতাল ঝড়। স্বজনদের পিছুটান বাজে অন্তরে... প্রাণের ভয় বাজে অন্তরে... তবু... প্রাণের আকুতি ফেরানো কি যায়?

যতগুলো মানুষ ভয় দেখায় তারচেয়ে বেশি মানুষের ভালোবাসা যে ভেসে আসে অন্তর্জাল বেয়ে...

সেইসব বুকে নিয়ে তারা আড়ালে আবডালে বসে আকেঁ ছক... পূর্ব পূর্ব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাগুলোতে মরচে জমেছিলো... সযত্নে সেগুলো ঝেড়ে মুছে সামনে এনে দাঁড় করায়... বিপদের সম্ভাবনাগুলোকে গুনে গুনে দেখে... সতর্কতাগুলো পকেটে পকেটে ভরে... তারপর ঝাঁপ দেয় ঝড়ের মুখে।

ঝড়ের মুখে, ঝড় বুকে নিয়ে ঘাতকের আঙিনায় এসে দাঁড়ায় তরুণের দল... ভিজে কাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে... কানার হাট বাজারে... অন্তর্জালের স্ববন্দি মানুষেরা প্রাণের তাগিদে, মনের তাগিদে আর সময়ের প্রয়োজনে সামনে এসে দাঁড়ায়... তাড়াতে তাড়াতে তুমি কতদূর নেবে? এই তো... আবার আমি ফিরে দাঁড়িয়েছি। তারা ফিরে দাঁড়ায়... ঘুরে দাঁড়ায়...

এই প্রথম জাতীয় কোনো স্পর্ষকাতর ইস্যুতে অন্তর্জালের সীমানা ছিণ্ন হয়ে রাজপথে একাকার হয়ে যায়। এই প্রথম ঘাতকের আঙ্গিনায় বুক ফুলিয়ে দাঁড়ায় কেউ।

নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষার তাগিদে, ধর্মের অজুহাতে ভাষ্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে রাজপথে এসে নামে সেইসব সাহসী তরুণেরা...

সেইসব সাহসী তরুণেরা... যাদের সম্ভাবনা কেউ দেখেনি। বলেছে এসব ব্যক্তিগত উদ্যোগ মূল আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারে... তোমরা কারা হে? কোথা থেকে এসেছো? সরে যাও বাছারা... সরে যাও... আমরা বিরাট কর্মযজ্ঞ করছি নিজেদের ঘরে বসে বসে...

তরুণেরা বেয়াদপ... তারা মানে না কিছু... ফেরে না কিছুতে... তারা এগিয়ে যায় ঝড় বুকে নিয়ে...

তারপর রাজপথে পদচিহ্ন একেঁ দেয়... ব্যাণার হাতে দাঁড়িয়ে থাকে নির্ভীক... টেলিভিশন চ্যানেল মারফত তা ছড়িয়ে যায় গোটা দেশে... গোটা বিশ্বে। যারা আগেই ভয়ে ঘরে দোর এটেঁ বসেছিলো তারা অবাক তাকিয়ে রয়...

তরুণের দল আর কিছু করুক না করুক... এটুকু অন্তত প্রমাণ করে দেয় যে ভয়কেও দূর করা যায়... বনের বাঘে নয়, মনের বাঘকেই জয় করাটা জরুরী।

তারপর যখন ফিরে যায়... বুকে প্রত্যয় নিয়ে যায়... এখানেই শেষ নয়... সামনে আছে বহুপথ... সবে তো শুরু... ভয়টা যে একেবারেই কেটে গেছে...


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভকামনা প্রতিটা প্রাণকে, যারা প্রাণের তাগিদে, নিজের সংস্কৃতির অস্তিত্ব রক্ষায় ভয় কে করেছে জয়।

স্যালুট তাদের সবার তরে। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যতদিন থেকে পকেট ভিজি টিং কার্ড রাখা শুরু
ততদিন থেকেই একটু একটু করে ভুলে যেতে থাকি নিজের পুরোনো পরিচয়

আর হঠাৎ এক বৃষ্টি এসে সব ভিজিটিং কার্ড ভিজিয়ে কাগজের মণ্ড বানিয়ে দিলে টের পাই ভিজিটিং কার্ড ছাপা হওয়ার আগেও কোনো একটা পরিচয় আমারও ছিল একদিন...

বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে একটু একটু করে মনে পড়ে সেইসব দিন...

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আমাদের আরো অনেক জিনিসই বৃষ্টিতে ভিজে মণ্ড হওয়া আশু দরকার...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

খেকশিয়াল এর ছবি

রেড স্যালুট কমরেডস !

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

অভিনন্দন আপনাদের ।
সত্যি বলতে কী ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছিল আপনাদের জন্য ।
আপনার লেখার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
আরও খুঁটিনাটি অভিজ্ঞতা কি শেয়ার করা যায়?
এদিকে আরিফ জেবতিকের পোস্টে ঢোকা যাচ্ছে ন॥

সুমন চৌধুরী এর ছবি

লেখকের অনুরোধে সেটা ড্রাফট করা হয়েছে।



অজ্ঞাতবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এখানে হয়তো আরেক্টু ডিটেইল পাবেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দিতা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ লিংক টা দেয়ার জন্য।
শত্রু মিত্র চেনা মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে পড়ে।জানি এভাবেই এই দেশে কেউ না কেউ স্রোতের উল্টোদিকে চলে আসে।
দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই আমরা দাঁড়িয়ে যাই।এভাবেই বাংলাদেশ টিকে আছে টিকে থাকবে।
একুশের নিউজটা মিস্ করলাম।
তবু ও.......
আবারো অভিনন্দন।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

লিংকটার জন্য থ্যাংকস।
রক্তের ভেতর কিসের যেন বিস্ফোরন...
অসাধারণ করে লিখেছেন অনুভূতিগুলো, নজু ভাই।
আরো একবার আপনাদের সবাইকে শ্রদ্ধা।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

রেস্টৃকটেড অংশ :

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ নজরুল ।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

লাল সালাম!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সুমন সুপান্থ এর ছবি

...মেঘমুখী ফুল তুমি সূর্যমুখী হও
সূর্যই আমদের প্রথম নায়ক
চিরকাল আমাদের নায়কই সে আছে...

কথা খুঁজে পাচ্ছি না বন্ধুরা । তাই আজীজুল হক' র কবিতা থেকে পঙত্তি এনে লাল সালাম !!

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রাসঙ্গিক হিসেবে আমার পোস্টের লিংক এখানে যুক্ত করে গেলাম ।

রণদীপম বসু এর ছবি

আশা করছি কারো জ্বর-সর্দি হবে না।
এতো প্রতিকূল প্রকৃতি আর সত্য ও মিথ্যা জুজুর ভয় যারা জয় করতে পারে, সামান্য জ্বর-সর্দি তাদের কাছে ভিড়বে এমন ভীরু কল্পবিলাস কি মানায় তাদের ?

আরো কতো ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরোতে হবে তাদের। অভিনন্দন সব সচলকে।

নৈরাশ্যকে পেছনে ফেলে আসুন আমরা আবার আশাবাদি হই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

তলে তলে যে এত কাণ্ড হয়ে গেছে সেটা শুনতে পেলাম আজকে সন্ধ্যাতেই নজরুলের কাছে। কাণ্ড হবে জানতাম, তাই বলে এত কাণ্ড? আশ্চর্য!
উপস্থিতির হার কম থাকবে, এটা সহজেই অনুমেয়। মাথা বাড়াবার জন্য বউকে সহই রওনা দিয়েছিলাম, বৃষ্টি ঠেলে এগোতে এগোতেই আকতার আহমেদের কাছে শুনি মিটিং শেষ। এবার সবাই ফিরছে যে যার ঠিকানায়।
সেই "বড় ভাই"-এর জন্যই এত তড়িঘড়ি শেষ করতে হল? বৃষ্টি নেহায়েত কম ছিল না... কিন্তু বৃষ্টিকে থোড়াই কেয়ার করেই তো সবাই উপস্থিত ছিল সেখানে...
দেরিটা তো আমারই, মেজাজ খারাপ করে হাত কামড়াতে কামড়াতে বাসায় ফিরে এলাম। এ যেন ট্রেনিং নিতে নিতেই যুদ্ধ শেষ... এখন এই লোককে কি আর যোদ্ধা বলা যায়?
ইসসস... একবার দেখাও হল না প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে আজকে...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

আরিফ জেবতিক এর ছবি

যথেষ্ঠ সময় থাকা হয়েছে ।
বৃষ্টিও একটা বাধা ছিল , তখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল ।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যয় ও সাহসিকতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে একটা ব্যাপার খটকা লাগে যারা মাদ্রাসার অল্পবয়সী ছাত্রদের মনে বিদ্বেষের বীজ বুনে দিচ্ছে তারা ধর্মের নামে মায়াকান্না করলেও আসলে তারা রাজনৈতিক আর ব্যক্তি স্বার্থের পুজারি। তাদেরকে যেকোন মূল্যে এ দেশ থেকে নির্মূল করা না গেলে দেশের সর্বনাশ হবে।

আমি মোটেও সাহসী নই। তবুও সাহসীদের আবারও ধন্যবাদ জানাই।

---------------------------------------------------------
সহজ করে বলতে মোরে কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

যুধিষ্ঠির এর ছবি

উঠে দাঁড়ালেন যেমন দাঁড়ায়
সাধারণ লোক হঠাৎ রুখে
অনেক কালের চাপা বিদ্রোহ
ফাটলো এবার ক্লান্ত বুকে।

উঠে দাড়ালেন যেমন দাড়ায়
বন্দিনী এক বাঘিনী চিতা
চিড়িয়াখানায় অসহায় তবু
উঠে দাড়ানোয় অপরাজিতা।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপাত-ক্ষুদ্র অসাধারণ এই ঘটনার জন্য প্রাণঢালা অভিনন্দন।
বাঙালিরা আবার দাঁড়াতে শিখুক মেরুদণ্ড সোজা করে - বুক বাঁধি এই আশায়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে হয়ে নজু ভাইয়ের বাসায়, ভেজা গেঞ্জি, প্যান্টসমেত সোফায় গা এলিয়ে জড়োসড়ো, নূপুর আপুর আদর মাখানো গরম চা-এ একটু চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা আমার, তখন স্নিগ্ধা'পু ব্যস্ত একটু আমাকে নিয়ে, 'ওরে একটা প্যারাসিটামল এনে দাও, জ্বর এসে যাবে তো।'
প্যারাসিটামল খাওয়ার দরকার পড়েনি। জ্বরকে জয় করা গেছে। এবার দরকার বৃহত্ একটা জয়, অপশক্তির বিরুদ্ধে।

কীর্তিনাশা এর ছবি

সন্ন্যাসী জি'র সাথে গলা মেলাই -

বাঙালীরা আবার দাঁড়াতে শিখুক মেরুদন্ড সোজা করে।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রচণ্ড ঠাণ্ডা গায়ে নিয়ে, তিনদিনের একগুঁয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অফিসে এসে, প্রথমেই এদিকে চোখ রাখলাম।
ভিজে জ্বর বাঁধানোর সুযোগটুকুও ঘটলো না। বহুদিনের অনভ্যেসে শরীর শ্লথ তো হয়েছেই- অস্বীকার করা অসততা হবে। বৃষ্টি পা ধ'রে টানছিল নিচের দিকে। তার মধ্যে আবার ঠাণ্ডার অত্যাচারে বহুদিন পরে এমন কাবু হ'লাম, যে- পা কোনোমতে তুলতে পারলেও আবার মাথাই টানতে পারছিলাম না।
মোদ্দা কথা, দু'টো জিনিস মনে পড়ছে খুব দুঃখমনে।

১। শামসুন্নাহার হলে পুলিশি হামলার পর এবং প্রশাসনের বিপিতাসুলভ আচরণের পরও, ক'বছর আগের সেদিন রোকেয়া হলের সামনে 'মুক্তাঙ্গন'-এ ঠিকই ভিজেছিলাম ৩ ঘণ্টার হানাদার বৃষ্টিতে। ঠকঠক ক'রে জনমের কাঁপা কাঁপছিলাম, কাঁধে কাঁধ রেখে শতজন। বলতে দুঃখই বেশিই লাগে, যে- সেই বিকেলের ঘরে ফেরাতেই ভিজে গিয়েছিল সেই আন্দোলনের মিনহোয়াইল সাফল্যটুকুও। ভিজিয়ে দিয়েছিল সেই ঘরের 'কমরেড'দেরই বিভীষণ-বিভাজন, ভীষণ দূষণ! সেই থেকে শুরু- মিশ্র ক'রে ভাবা, আওয়াজ দিয়েও পাশেরজনেরই মতলব বুঝে চুপসে চুপসে যাওয়া।
তবু, বড় সমস্যার কথা- নিচে লেখা ২য় দুঃখটির মতো স্ব-ক্লেদ থেকেও আজও পুরোপুরি মুক্ত হ'তে পারলাম না। -

২। তবু মনে হচ্ছে, সম্মান ২য় বর্ষের ইয়ার-ফাইনাল যেমন প্রথমবার দিতে পারিনি অসুস্থতার কারণে, যেই সুবাদে জীবনের অনেক কিছু থেকেই নিদেনপক্ষে এক বছর ক'রে পিছিয়ে গ্যাছি, তেমন বহুকাল পরে আর একটা পরীক্ষাও গতকাল দিতে দিতে শেষমেশ দিতে পারলামই না অসুখী শরীরের জন্য।

নিজের সকল অসুখ-অসফলতা-অসহনীয়তা-অনাস্থা সবকিছু বালিশের নিচে রেখে তবু বলছি ঠাণ্ডা-জমা বুকের ভেতর থেকেই- সফল হোক সকল সত্যি মানুষের সকল শুভ উদ্যোগ।
লাল সালাম সকলের শুভ ইচ্ছেশক্তি আর সাহসকে। এখনও সত্যিকারের তরুণ বেঁচে যারা, তাদের তারুণ্যেরও কামনা করি দীর্ঘ দীর্ঘায়ু।

_ সাইফুল আকবর খান

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বৃস্টি কি ধুয়ে মুছে দেয় সব....
ধুয়ে মুছে দিক সব জুজুবাবার ভয়

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

শিক্ষানবিস এর ছবি

সব ধরণের অন্ধত্ব আর গোঁড়ামির প্রতিবাদে, তুমুল বৃষ্টির মাঝেও যারা পথে নেমে এসেছিলেন তাদেরকে লাল সালাম।

রাফি এর ছবি

অনেকেই ভাবে সঠিক ভাবে, কিন্তু সঠিক কাজটি করতে পারে কম মানুষই।
এই শুদ্ধ হৃদয়ের অধিকারী প্রত্যেককে (বিপ্লব)

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

পুতুল এর ছবি

অভিনন্দন! অভিনন্দন!! অভিনন্দন!!!

কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দৃশা এর ছবি

অভিনন্দন! হাসি
--------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

মাসুদা ভাট্টি এর ছবি

রাষ্ট্র এক দারুণ খরাক্রান্ত, চারদিকে হাহাকার, মানুষ হয়েছে চাতক, খর রোদে এক ফোঁটা তৃষ্ণা-জল, আত্মার জন্য আজ তীব্র প্রয়োজন।
প্রকৃতির এই বৃষ্টিতো বৃষ্টি নয়, এ আগুনে আগুন ঝরা

আমরা তাই অপেক্ষায়, বৃষ্টি এবং

অগনন সাহসী পুরুষের (নারীও এখানে পুরুষ হিসেবে উল্লেখিত)॥

ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে, যারা ছিলেন, যারা ছিলেন না অথচ আত্মায় লালন করেছেন এই তেজোদ্দীপ্ত অশ্বশক্তি, রাষ্ট্র নামের এই অচল শকট টেনে নিয়ে যাবার এই যোদ্ধাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন।

ফারুক হাসান এর ছবি

বাঙালীরা আবার দাঁড়াতে শিখুক মেরুদন্ড সোজা করে।

নন্দিনী  এর ছবি

সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ।

নন্দিনী

বিপ্লব রহমান এর ছবি

লেখায় (বিপ্লব)
---
এই প্রতিবাদের বিষয়ে অন্যতম উদ্যোক্তা সচল আরিফ জেবতিকের একটি অসাধারণ লেখা ফেসবুকে পেলাম; কিন্তু তাকে এ নিয়ে এখানে লিখতে দেখলাম না! মন খারাপ
---
অপ্রসঙ্গ: সন্দেশ মহাশয় স্টিকি পোস্টে জানিয়েছেন, থ্রি বিস্কুটিয়ার্সরা (কে বা কারা?)না কী এ বছর শুধু সচলে প্রকাশিত নির্বাচিত লেখা নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করবেন। সেই পোস্টে মন্তব্য করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। ...তাই এখানে বলছি।...
প্রশ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে সচলের নীতিমালায় বলা হচ্ছে, সচলে একটি লেখা দেয়ার পর তা ৭২ ঘন্টা পরে অন্য ব্লগে দেওয়া যাবে। ...
তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়ালো? কেমনে কী?? খাইছে


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরিফ জেবতিকের লেখার একটা লিঙ্ক এখানে দেওয়া আছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ও আচ্ছা!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১. আরিফ জেবতিককে এখানে লিখতে না দেখে আপনি দূ:খিত হলেন কেন বুঝতে পারছি না । বিষয়টি হচ্ছে মেসেজটি সবাইকে জানানো । প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে নজরুল যেহেতু সচলায়তনে এর শুরু করেছিলেন একটি পোস্ট দিয়ে, তাই উনিই এই বিষয়ে পোস্ট দিয়ে সচলদের অবগত করবেন ।
একই বিষয়ে একাধিক পোস্ট নিষ্প্রয়োজন , তা সচলের রীতির সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় , সুতরাং আরিফ জেবতিক কিংবা আর কারো লেখা আপনি দেখেননি ।

২. সচলায়তন সংকলন বিষয়ে আপনার বক্তব্যটি বোধহয় এই পোস্টের শুধু অফটপিক নয় , অফটপিকত্তোর বিষয় । হাসি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

১. এইবার বুঝেছি। ভুলটা আমারই। সচলে নিয়মিত আসা হয় না। এই জন্যই এই বোঝার ভুল।
২. ঠিকই বলেছেন। কিন্তু মন্তব্যটি কিছুতেই সংশোধন করা যাচ্ছে না! মন খারাপ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

নজরুল ভাই, আপনেরে সামনে পাইলে এখন আমি বুকের মধ্যে আটকে ধরতাম। গর্ব করে সারা পৃথিবীরে বলতাম... আমার বড় ভাইকে দেখ সবাই।

ছোট ভাইকে ক্ষমা করে দিয়েন - দেশের হয়ে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রায়হান আবীর এর ছবি

জ্বর আসে নাই। বাইচ্চা গেছি।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

রানা মেহের এর ছবি

অভিনন্দন সবাইকে।
দেশের জন্য কিছু করা হবেনা কোনদিন আর...
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।