বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গত দুইদিন পুরো দেশ এবং প্রবাস পুরোটায় হুলুস্থুল চলছিলো। এখন থেমেছে।
কিন্তু আসলে থামেনি।
কেন হলো, কে কে জড়িত, পেছনের শক্তি কী... এসব নিয়ে চলছে নানাবিধ আলোচনা। সঠিক সত্যটা বের করার চেষ্টা চলছে। একেকজন একেক কথা বলছে তাই নিয়ে সবাই তর্কে মেতে উঠছেন। ফলে অনেক সময়ই মূল প্রসঙ্গ থেকে সরে আসছে আলোচনা।
আমি প্রচণ্ড ভয়ে ছিলাম আর্মি এটাকের। যে কোনো মূল্যে সেটা থামানো প্রয়োজন ছিলো। বিদ্রোহী বিডিআরদের মেরে ফেললে সবচেয়ে বড় লস হবে এই ঘটনার পেছনে আসল কারনগুলো কেউ জানতে পারবে না। অথচ এটা জানাটা খুব জরুরী।
আর আরো একটা হত্যাযজ্ঞ কে চায়?
যা হোক, শান্তিপূর্ণ উপায়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা গেছে। এজন্য অবশ্যই এই সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
আর অশেষ ধন্যবাদ সেনাবাহিনীকে। তারা ধৈর্য্য ধরেছেন। প্রিয়জন হারানোর অনেক ক্ষোভ বেদনা বুকে চেপে চুপ করে থেকেছেন দেশের স্বার্থে। অস্ত্র হাতে নিয়ে এরকম ধৈর্য্য ধরে বসে থাকাটা সত্যি কঠিন।
প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এটা খুব প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু এখন কী হবে?
এরকম একটা জঘন্য ঘটনা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বিনা বিচারে ছেড়ে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। এটা কোনো ফাইজলামি না। তারা যা যা অভিযোগ করেছে তা কোনোভাবেই হত্যাযজ্ঞ ঘটানোকে সমর্থন করে না।
একটি দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বাহিনীর মাথা পর্যায়ের এতগুলো অফিসারকে হত্যা কোনোভাবেই কোনো স্বাভাবিক ঘটনা না। একটা দেশের জন্য এটা অপূরনীয় ক্ষতিই। এক বিশাল শূণ্যতা। আর এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা অধিকাংশই মেধাবী অফিসার। স্ব স্ব ক্ষেত্রে যারা অনেক সুনামেরই অধিকারী।
সংখ্যা ১৭০ হোক বা শুধু ৭০ হোক, কোনোটাই কম না। এতগুলো সামরিক অফিসার মারলে একটা বাহিনী অর্ধেক পঙ্গুই হয়ে যায় আসলে।
আর এদের পরিবার আত্মীয় স্বজন তো আছেই।
সবকিছু মিলিয়ে একটাই জোর দাবী, এর তদন্ত চাই। বিচার চাই। সুষ্ঠু তদন্ত আর বিচার ছাড়া এই ঘটনাকে মেনে নিলে ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছুই মেনে নিতে হবে।
যে কোনো মূল্যে এর তদন্ত চাই। বিচার চাই। এতে যদি প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদার বরখেলাপ হয়, তবুও চাই। রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে আমি ওয়াদা বরখেলাপকে মেনে নিতেই রাজী আছি।
মন্তব্য
"যে কোনো মূল্যে এর তদন্ত চাই। বিচার চাই। এতে যদি প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদার বরখেলাপ হয়, তবুও চাই।"
***************একমত***************
একমত। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কোনভাবেই এই ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।
আমার মনে হয়না এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারে কোন ওয়াদার বরখেলাপ হবে।
যে কয়েক হাজার বিডিআর সদস্য আছেন, তাদের সবারই বিদ্রোহের ফলে যে শাস্তি হবার কথা ছিলো সেটার সাপেক্ষেই শুধু সাধারণ ক্ষমার স্কোপটা কার্যকর থাকার কথা। কারণ, সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার সময় বা এর পরে অস্ত্র জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত কখনই বিডিআর সদস্যরা এরকম প্রি-প্ল্যানড ম্যাস কিলিংয়ের কথা স্বীকার করেনি
কাজেই এই বিদ্রোহের মূল হোতা, আর অরাজকতার মূল হাতগুলোকে যথাযথ শাস্তি দেয়াতে কোন সমস্যা দেখিনা। তবে পর্দার আড়ালে মিলিটারীর বিচার যাতে সরকার না হতে দেয় সেটা নিয়ে আমাদের নাগরিকদের আর মিডিয়ার সতর্ক থাকা উচিত, মনিটর করা উচিত।
সাধারণ ক্ষমা আর এই বিচারটা যে আলাদা -- সেটার যথাযথ প্রচার হোক।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা বলা হয়েছিল। এটাই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি।
তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী বৈষম্যজনিত অসন্তোষের কারণে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহ ক্ষমা করেছেন। কোন প্রকার ষড়যন্ত্র, উদ্দেশ্যমূলক অরাজকতা, কিংবা ঘৃণ্য অপরাধ এই ক্ষমায় আওতায় পড়া উচিত না।
সাধারণ জওয়ানদের অসন্তোষের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের ক্ষমা বহাল রাখা উচিত। তবে সাধারণ ক্ষমা মানে ভুলে যাওয়া না। তদন্তে যদি এমনটা জানা যায় যে সাধারণ জওয়ানদের অসন্তোষকে ব্যবহার করা হয়েছে, তাহলে সেই অসন্তোষের প্রতি সম্মান দেখানোর অংশ হিসেবেই এই দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিডিআর প্রধানের মোবাইলে কথা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
আমরা এর আগে বহুত ওয়াদা বরখেলাপ দেখছি। কষ্ট পাইছি। সমালোচনা করছি। আমি জানি ভবিষ্যতে এরকম আরো অনেক দেখতে হবে। সেজন্যও প্রস্তুত আছি।
ওয়াদা বরখেলাপ নিয়া তাই আমার কোনো টেনশন নাই। এই ওয়াদার কোনো বেইল নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বরখেলাপ করেন, আমরা আপনার পাশে থাকবো।
তবে এটাও বলে যাই, এতে করে মনে করা উচিত হবে না যে সব ওয়াদা ভঙ্গকেই আমরা সমর্থন জানাবো।
আর সুষ্ঠু তদন্ত করুন। সেই রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করুন। বিচার করুন দোষীদের। জনগন আপনার পাশে থাকবে। থাকবেই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিদ্রোহজনিত বা শৃঙ্খলা ভাঙার অপরাধ আর ফৌজদারী অপরাধকে এক করে দেখার উপায় নাই ... ফৌজদারী অপরাধ ক্ষমা করার একমাত্র ক্ষমতা সম্ভবতঃ রাষ্ট্রপতির ... প্রতিরক্ষামন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা শুধু শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের ক্ষমা করার এখতিয়ার রাখেন ... কাজেই এখানে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রশ্ন আসবেনা যদি যথাযথ উপায়ে সিভিল কোর্টে যারা খুনী তাদের বিচার হয়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
একমত @ জ্বি. বা.
আমার মনে হয়, একই সঙ্গে অতি জরুরী এই প্রশ্নগুলোর কারণ খোঁজা:
১. কেনো এই বিডিআর বিদ্রোহ?
২. এর নেপথ্যে বহিরাগত কোনো শক্তির মদদ আছে কী না, বা তারাই এর উস্কানীদাতা কী না?
৩. একাধীক সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ সংক্রান্ত কী কোনো আগাম তথ্য ছিলো? তারা কী সরকারকে সতর্ক করেছিলো?
৪. সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আগাম তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে এসব সংস্থার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কী না?
৫. এই বিদ্রোহ আরো বড় ধরণের কোনো ঘূর্ণীঝড়ের পূর্বাভাস কী না?
৬. ঘটনার শেষ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি দায়সারা গোছের সংবাদ সম্মেলন করেই তার দায়িত্ব পালন করলেন কেনো? তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য দিলেন না?
এবং
৭. জামাতই বা এতো চুপ কেনো? বিএনপি-জামাত গোষ্ঠি কী আরো বড় ধরণের কোনো বিপর্যয় আশা করেছিলো?
---
ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একমত। তবে এতে ওয়াদা বরখেলাপের প্রশ্ন আসেনা। আমি যতটুকু বুঝি সাধারণ ক্ষমা সাধারণদের অপরাধের কিন্তু অসাধারণ অপরাধের (খুনের) কোন ক্ষমা নাই।
সকল খুনীর, যুদ্ধাপরাধী থেকে বর্তমান সকল খুনীর, বিচার চাই।
নদী
সহমত!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সহমত.........
বিচারের দাবী রইলো আমার তরফ থেকেও।
আমার মনের কথাটা ইশতি ভাই-ই বলে দিয়েছেন তার মন্তব্যের প্রথম লাইনে। বিডিআর সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলো মিথ্যা কথা বলে, কাজেই যখনই এতো লাশ পাওয়া গিয়েছে, সেই মুহূর্তেই বিডিআর বিচারের সম্মুখীন হওয়ার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে।
বিনাবিচারে ১৭০ কেন, শুধু ৭০ কেন... ১জনও যদি হত্যা করা হয়ে থাকে, তাহলে তার বিচার হওয়া উচিত।
তবে সেট সাথে আরেকটা দাবীও জানাতে চাই, শুধু বিডিআরদের নিজস্ব ইন্ধনেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এমনটা না-ও হতে পারে। বিডিআরদের শাস্তির নামে যেন নামমাত্র কোর্ট মার্শালে নির্বিচারে হত্যা না করা হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হয়, এবং সত্যিকারের দোষী যারা তাদের নাম যেন মানুষ জানে, তাদের যেন শাস্তি হয়।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সহমত... পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য আসলে সাধারন ক্ষমা ছাড়া আর কোন পথ খোলা ছিল না। নাহলে রক্তপাত আরো বাড়তো। তবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে এভাবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রবনতা আরো বাড়বে। আর পুরো ঘটনাটা এখনও পরিষ্কার নয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
দেশের প্রধানমন্ত্রী ওয়াদা বরখেলাপ করলে যদি দোষ না হয় তবে কারোর ক্ষেত্রেই দোষ হওয়া উচিত না। এটা হলে ওয়াদা বরখেলাপের সংস্কৃতিকে জাতীয়ভাবে ইন্ধন দেয়া হবে। কারোর প্রতিই কারোর বিশ্বাস করবার জায়গা থাকবে না।
ঘটনার তদন্ত করতে ওয়াদার বরখেলাপ করতে হবে কেন? এটা তো করাই যায়।
বিডিআরদের মধ্যে একটা অসন্তোষ ছিল, এই অসন্তোষকে যারা কাজে লাগিয়েছে বৃহৎ কোনো স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য, তাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
..................................................................................
যেন ধ্যানের চেয়ে কখনো বেশি মূল্য না-পায় কোনো দৃশ্যগান, আর মানুষই যেন হয় প্রকৃত আরাধ্য জন আগুনে-ফাগুনে পুড়ে
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
একমত মুজিব মেহদী। প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদার বরখেলাপের প্রশ্নই আসে না। প্রধানমন্ত্রী কেন হঠকারিতা করতে যাবেন। বিচার করার অবশ্যই অনেক পথ আছে। তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। ডিপার্টমেন্টাল শাস্তি না হয়ে, আমার মতে, প্রচলিত আইনে তদন্ত ও বিচার হওয়া দরকার। তারপর কোনটা সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসবে কোনটাকে ছাড় দেয়া হবে সেগুলো বিবেচনাযোগ্য। এর পিছনের শক্তিগুলোকেও শনাক্ত করতে হবে। সেটাও সরকারের দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে জনগণকেও তা জানাতে হবে। তবে আমার সন্দেহ সেখানেই। ইন্ধন যোগানো ক্ষমতাধররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে। কারণ বিডিআর-ঘটনা ঘটিয়ে যারা গণতান্ত্রিক সরকারকেই হটাতে চেয়েছিল তাদের পরিকল্পনা সফল হলেও কিন্তু ওই বিডিআরদের মরতে হত। কারণ পেছনের কালোহাত উন্মোচিত হতে দেবে না ক্ষমতাধরেরা। এখন আর্মি যদি জওয়ানদের বিরুদ্ধে আর্মি স্টাইলে কোন অ্যাকশন নেয় অর্থাৎ জওয়ানদের হত্যা করে তাহলে বুঝতে হবে সেটা পেছনের কালো শক্তিকে বাঁচানোর অপচেষ্টা। সরকারকে তা রুখতে হবে। প্রচলিত আইনে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারের পরে আসবে ক্ষমার প্রশ্ন। সাধারণ ক্ষমার বিষয়টা আমার কাছে খুব একটা স্পষ্টও নয়। তবে এখন এটুকু মনে আসছে যে বিচারের পর রাষ্ট্রপতি তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন কিংবা শুধুমাত্র যেসব অন্যায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়ে সেগুলো ক্ষমা করুন। এখানে প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদার বরখেলাপ যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মনে করিয়ে দিতে চাই জরুরী অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর কথা, সেখানে বিচারপ্রক্রিয়া শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ক্ষমা করা হয়েছিল।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
কেন! তাদের বিচার হোক তারপর প্রধানমন্ত্রি তাঁর ক্ষমতা বলে অনুতপ্ত জোয়ানদের মাফ করুক। কিন্তু সেই কুচক্রী মহল যারা এর পথ রচনা করেছিল বলে আমরা মনে করি তাদের বিচার হোক প্রকাশ আদালতে। কারণ সেই ইন্ধনদাতারা কি শুধুই অনিয়মকে চিহ্নিত করেছিল নাকি অন্য কোন কারণ সেখানে বড় ছিল।?। যারা অস্ত্র হাতে সেনা সদস্য মেরেছে অথবা সেনারা গুলি করেছে। সেই গুলির বিচারের আগে প্ররোচনার বিচার হোক। যেখানে প্রধানমন্ত্রী তো মাফ করেন নাই। তাই তা আর বরখেলাপের পর্যায় পড়বে না। বিচার চাই যাতে আর না কোন হিংস্র হত্যার খবর শুনতে হয়।
সর্বপরি বিচার চাই। বিচার, যে বিচার নতুন এমন কোন বিদ্রোহের জন্ম দেবে না। যা আমাদেরকে করবে দ্বিধা বিভক্ত।
@ নজরুল ভাই কোন মন্তব্যেরই বিক্ষিপ্ত নয় প্রতিটিরই একটি যুক্তি আছে। হয় সেটি বিশ্লেষণ ধর্মী। নয় তথ্য নির্ভর অথবা স্বার্থন্বেষী আর উষ্কানীমূলক। তবে সেই মন্তব্য গুলো পাস কাটিয়ে নয় বরং সাথে নিয়েই আমাদের আগামীর জন্য বিবেচ্য কি তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেনা বা বিডিআর সদস্যহীন পরিবারের একজন হিসেবে মন্তব্য আর আঘাত কি আমার এক।!। তবে যারা আমাদের দেশ রক্ষার ব্রতচারী তাদের অনৈতিকতার বিচার চাই, চাই জবাব দিহিতাও। কারণ তাদেরও আমাদেরই একজন মনে করি।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
বিডিআর কতজন মারা গেছে?
শোনা যাচ্ছে কয়েকশ' জন নাকি?
এরা কিভাবে মারা গেল সেটা বের করাও জরূরী।
যেহেতু সেনা আর বিডিআর দুই বাহিনীরই অসংখ্য সদস্য মারা গেছে, তাই কিন্তু খুনীরা এখন আর কোন বাহিনীকে রিপ্রেজেন্ট করেনা ... তারা একেকজন ব্যক্তিকে রিপ্রেজেন্ট করে ... কিন্তু বিচারের কথা আসলেই পুরো বিডিআর বাহিনীকে নির্দেশ করা হচ্ছে বারবার ... হয়তো কেয়ারলেস মিসটেক ... কিন্তু এই টেন্ডেন্সী তৈরী না হওয়াই ভালো
আরেকটা কথা:
সেনাসদস্যদের যদি প্রথম প্রহরেই দরবার হলে মেরে ফেলা হয়, তাহলে বাকী সময় পিলখানায় যে ভয়ানক গোলাগুলি হয়েছে সেটা কে কাকে মারার জন্য করেছে?... বিডিআরের পোষাকে আর্মির কমান্ডো আক্রমণের অভিযোগ এসেছে -- খতিয়ে দেখা দরকার।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বিডিআরের পোশাকে আর্মিই বা কেন, যে কোনো জঙ্গি গ্রুপও তো হতে পারে !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভাই, আমি আসলে খুব ভয়াবহ কিছু আশংকা করছি ... কোল্যাটেরাল ড্যামেজ এড়াতে আর্মি কাল অলআউট এ্যাটাকে যায়নি, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে একটা ভয়াবহ প্রতিশোধ ঘটতে যাচ্ছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
সরকার সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি নিয়ে নতুন অবস্থান নিয়েছে ।
"বিডিআর বিদ্রোহে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ। " সূত্র : ১
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "আমার দেখছি । সাধারণ ক্ষমাও আমরা ঘোষণা করেছি । কিন্তু প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইন আছে, নিজস্ব রুলস আছে, সেটা নিশ্চয়ই.. সেই মোতাবেক চলবে... আর এধরনের ঘটনার একটা তদন্তও হবে ।" সূত্র : ২
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমি ব্লগে ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম যে হত্যাকান্ড সাধারণ ক্ষমায় পড়বে না।
সাধারণ ক্ষমায় পড়বে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া, বিদ্রোহ করা ও বাহিনীর শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণ, চেইন অব কমান্ড ভাঙা ইত্যাদি....
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
জাস্ট কৌতুহল থেকে প্রশ্নটা করছি - "সাধারণ ক্ষমা" টার্মটার অফিসিয়াল কোন ব্যাখ্যা আছে ? মানে আইনের বইগুলোতে আমি দেখেছি প্রথমে সেখানে ব্যবহৃত টার্মসগুলোর একটা তালিকা ও সেগুলোর ব্যাখ্যা থাকে । এরকম কোথাও "সাধারণ ক্ষমা" টার্মটাকে কি ব্যাখ্যা করা হয়েছে ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সাধারণ ক্ষমার আইনগত ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে। কোনো নির্দিষ্ট আইনের ক্ষেত্রে আইনের প্রথমেই এটা বলা থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কোনো দিকনির্দেশনা থাকার কথা এ ক্ষেত্রে।
সাধারণ সংজ্ঞায় যে কোনো জানা অপরাধ থেকে ক্ষমা করাকেই সাধারণ ক্ষমা বলা হয়।
তবে বিষয়টি আরো জটিল। ক্ষমা মানে বিনা বিচারে ক্ষমা নাও হতে পারে। এবং বিচারের পরও ক্ষমা হতে পারে।
শেখ হাসিনার ক্ষমা ঘোষণাটা একটা জরুরি পরিস্থিতিতে দেয়া ঘোষণা ছিল, স্বাভাবিক পরিস্থিতির ঘোষণা নয়। সুতরাং এক্ষেত্রে আইনের চোখে বিচারের আগে সবাইকে নির্দোষ ভেবেই বিচার শুরু করতে হবে। বিচারের পর বুঝা যাবে সাধারণ ক্ষমা প্রযোজ্য কিনা। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট/আদালত ব্যাখ্যা দিবে সাধারণ ক্ষমার।
সাধারণ ক্ষমা পেলেও হতে পারে যে বিচারের কারনে তারা ৬/৭ বছর আটক থাকতে পারেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ব্যাপারটা সামান্য বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
শুনলাম শনিবার আর রবিবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। সচলে একটা যথোপযুক্ত ব্যানার আশা করছি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সহমত...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই লিংকে বিডিআর গেটের বাইরে শোকাতুর পরিবারের ভিডিও। লিংকের একদম নীচে হাসিনা পুত্রের একটি সাক্ষাৎকার, বিবিসি'র কাছে গৃহীত। গণতান্ত্রিক সরকারের জন্যে একটি গুরুতপূর্ণ মুহুর্ত বলেই সবাই এটাকে দেখছেন।
http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7914541.stm
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বিভিন্ন মহল থেকে নিহত অফিসারদের কোর্সমেটদের নানা উস্কানি দেয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। একটি গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। এদিকে প্রথম আলো-র রিপোর্ট বলছে সকাল ৯:৫৫ মিনিটে কর্ণেল গুলজার সৈনিকদের ফায়ার ওপেন করার কথা জানানোর সময় লাইন কেটে যায়। তাঁর সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। উদ্ধার পাওয়া অফিসাররাও জানিয়েছেন, বিডিআর জওয়ানরা দরবার হলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি শুরু করে [সূত্রঃ মেজর জায়েদীর বক্তব্য]। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন বিকেলে [সময়টা জানাবেন কি কেউ?]
আমি মনে করি, কী ঘটেছিলো, তা জানার অধিকার সবার আছে। একে গোপন না রেখে প্রকাশ করা উচিত। যদি এই মর্মান্তিক ঘটনায় আরো বড় কোন ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায়, তা উন্মোচিত করে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তি দেয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিয়েছিলেন ২৬ তারিখ দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে (বাংলাদেশ সময়)।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার বিশ্বাস হত্যাকান্ড তারা সকালেই ঘটিয়েছে। তারপর গোঁ ধরেছে প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমার দাবি নিয়ে। কারণ তারা জানে তাদের কর্মকান্ডের সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে দাবী আদায়ের সর্বশেষ চেষ্টা করেছে। এসব করে লাশ মাটিচাপা দেয়া ও ড্রেনে ভাসিয়ে দেয়ার জন্য সময় নিয়েছে। ভেবেছে সাধারণ ক্ষমার আওতায় পার পেয়ে যাবে।
সাধারণ ক্সমার ঘোষণা এসেছিলো ২৫ তারিখ সন্ধ্যা ছ'টা-সাতটার দিকে
একমত ... কিন্তু আজ সারাদিনের ঘটনায় আমি বেশ উদ্বিগ্ন, ধরা পড়া বিডিআরদের পরিণতি নিয়ে
মিডিয়াকে কয়টা থেকে পিলখানায় ঢুকতে দেয়া হয়েছে, আর আর্মি ট্যাংককে কয়টা থেকে দেয়া হয়েছে -- সেটা জানা জরুরী
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
গ্রামের কান্নাগুলো মিডিয়ায় আসছে না।
আমিও তাই ভাবছিলাম এদের আবার ক্ষমা কিসের...আমিও বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
সাধারন ক্ষমার ওয়াদা বরখেলাপ না করেই আইনের মাধ্যমে বিডিআর জওয়ানদের ধরা যাবে এবং আমার ধারনা তাই করা হবে ।
সাধারন ক্ষমা ঘোষনা শর্তযুক্ত যেটি হচ্ছে " অস্ত্র সমর্পন করে ব্যারাকে ফিরে যাওয়া " । মাত্র দুইশ জওয়ান ব্যারাকে অবস্থান করছে , সুতরাং সাধারন ক্ষমা তাদের জন্য প্রযোজ্য । পালিয়ে যাওয়া সৈন্যরা সাধারন ক্ষমার আওতায় আসে না , কারন পালিয়ে যাওয়া মানে বিদ্রোহ অব্যাহত রাখা । সেক্ষেত্রে তাদের কোর্টমার্শাল হবে , কারন তারা সেনা কমান্ডের অধীন । সাধারন ক্ষমার আওতায় তাঁরা আসবে না ।
মূল ঘটনা হয়তো পঞ্চাশ অথবা একশ জওয়ান ঘটিয়েছে , কিন্তু বিচারে এবং বিনাবিচারে কী ঘটবে তার কোন খবর কোনদিন আসবে না ।
মনে রাখতে হবে জিয়ার সময় অনেক সৈনিককে আর কোনদিন কেউ কোথাও দেখেনি ।
আমার ধারনা জওয়ানদের বেলাতেও তাই হবে । দোষী জওয়ানদের মাঝে হয়তো কারো কারো শাস্তি হবে , কিন্তু একই সাথে শত শত সাধারন জওয়ানও যে শাস্তির খড়গে পড়বে এটা নিশ্চিত ।
গ্রামের সেই কান্না কখনোই শহুরে মিডিয়ায় আসবেনা ।
- বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদার বরখেলাপ করতে হবে, এটা ঠিক না। ওপরেও অনেকে বলেছেন একথা।
সাধারণ বিডিআর জোয়ানদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভকে 'কাজে লাগিয়ে' কোনো মহল নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছিলো কীনা- অন্ততঃ এইটা মেইক শিউর করার জন্য হলেও এই ঘটনার তদন্ত এবং বিচার (বিচারের পর দোষীরা শাস্তি পাবে নাকি ক্ষমা পাবে সেটা পরের কথা) করা অবশ্য কর্তব্য। পুরো দেশ এটা জানার অধিকার রাখে। শুধুমাত্র ডিজির সাথে জনৈক জোয়ানের কথাকাটাকাটির কারণে, দুর্নীতি বা টাকা পয়সার কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী(দ্বয়ে)র সদস্যের (মেধাবী / অমেধাবী) এতোগুলো লাশ পড়বে- এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান তাই ওয়াদার খেলাপ করার জন্য না বরং হওয়া উচিৎ "যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর পেছনের কারণটা বের করুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শাস্তির কথা পরে ভাবা যাবে, আগে জনগণ জানুক এর পেছনে কে বা কারা, ঠিক কী স্বার্থেই বা এরকম জঘণ্য ঘটনাটা ঘটালো জাতির ইতিহাসে!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমরা উপযুক্ত তদন্ত শেষে বিচার দাবি করছি !
------------------------
--------------------------------------------------------
অবশ্যই চাই বরখেলাপ।
অন্য সব বিষয়ে নিষ্ফল অনেক বলেছি এই স্তব্ধ তিনদিন ধ'রেও।
ভয়াবহ কষ্ট লাগে- যখন কি না যাদেরকে কাছাকাছি-মনা মনে করি, এমনকি তাদের মধ্যেও একাধারে-হাস্যকর-এবং-দুঃখজনক পর্যায়ের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখতেছি বারেবারেই। সাপোর্ট কীভাবে করা যায় এইটাকে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে 'শ্রেণীসংগ্রাম' ব'লে। অনেক ক্লান্তও হয়ে গেছি বস।
তবে, এইটাই বলি আবার, একটু হইলেও গলা মিলায়ে- যে, অবশ্যই এইটার বিচার হইতে হবে।
সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলা সত্যিই অনেক ভালো করে করছে। যা করার দরকার ছিল, তাই করছে। এখনও যা করতে হবে তা করতেই হবে। ওয়াদার চেয়ে এইটা অনেক বড়।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন