১.
আব্বা যেদিন মারা গেলো, সেদিন বুঝলাম নিজের বাবা জীবনে একবারই মরে। অন্যের বাবারা মরে প্রতিদিন...
আমাদের একটা কাজিন ছিলো, রাজু। আম্মার অনেক প্রিয়। মারা গেলো রোড একসিডেন্টে। আম্মা মর্গে পর্যন্ত গেলো, আমাকে বললো ডোমরে অনুরোধ করতে, যেন বেশি কাটাছেঁড়া না করে।
আমি শুনে হাসি, অবুঝ অনুরোধ। ডোমের কোনো কাজিন নাই, মাতা পিতা নাই, লাশ কাটা ঘরে সে কেবল ডোম একজন। নির্বিকারে মানবদেহ কাটা যার পেশা। জুতো সেলাইয়ের মতোই যে এফোড় ওফোড় করা বুক জোড়া দেয় বিড়ি টানতে টানতে।
পৃথিবীটা এমনই, এরকমই। অসংখ্য মৃত্যু চারপাশে নিয়ে আমরা হাসি পুষ্পের হাসি। সংবাদ পত্রের পাতায় ছোটবড় অসংখ্য নিউজ, মৃত্যুভীষণ নিউজ পড়তে পড়তে আমরা চা পান করি, তারপর স্টার সিনেপ্লেক্সে যাই, সন্ধ্যেটা কাটিয়ে আসি, আলো জ্বালাবার দায় থেকে বাঁচতে নয়, আলো ঝলমলে জীবনেরই ডাকে।
২.
গত কয়েক মাস ধরে আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন শিক্ষক, একজন পিতা এ জে এস এম খালেদ-এর চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে চেষ্টা করছি বিভিন্ন মাধ্যমে। এতো বিশাল অঙ্কের টাকা সোজা কথা না। কিন্তু নিকট অতীতেই দেখেছি সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা খুব কঠিন কিছুও না।
কিন্তু আসলে খুব কঠিন।
সবার আগে একটা লেখা দরকার, কোনো একটা বড় দৈনিকে, বড় একটা আবেদন। আমরা অতীতে দেখেছি এসবে খুব কাজ হয়। আমরা সেই চেষ্টায় এর কাছে যাই, তার কাছে যাই... যাদের একটুখানি লেখায় অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারে, তারা কেউ লেখেন না। দেখছি, লিখবো তবে সময় লাগবে, ইনফর্মেশনগুলো আমাকে পাঠিয়ে দাও... এসব করতে করতে মাস যায়। নিজেকেই প্রবোধ দেই, তাদেরই বা দোষ কী? তাদের কাছে প্রতিদিন এতো এতো অনুরোধ আসে, কোনটা তারা রাখবে? কোনটা রাখবে না?
তারাও যে ডোমের মতোই- এটাও তাদের কাছে কেবল একটা সাহায্যের আবেদন মাত্রই। অন্য কিছু না।
প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় অসংখ্য অদরকারী নিউজপ্রিন্ট দেখি। আর মনে মনে ভাবি, এগুলো নিশ্চয়ই এই জাতির জন্য বিশেষ প্রয়োজন। জাতির মানসিক বিকাশের জন্য। এই জাতির জন্য সত্যিই এখন আর মুক্তিযোদ্ধার দরকার নাই। তাদের ডিউটি শেষ। পথে ঘাটে ভিক্ষা করে কতো মুক্তিযোদ্ধা জীবন টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই তুলনায় খালেদ চাচা তো বেশ সুখেই আছেন!!!
আবারো নিজেকে প্রবোধ দেই, পত্রিকাগুলোই আসলে কী করবে? তারাও যে ডোমই... অসংখ্য লাশের ভীড়ে কোনো লাশই আর আলাদা পরিচয় বহন করে না।
কাল সকালে ফোনে জানলাম দৈনিক যুগান্তরে আমার ছবি আর ইন্টারভিউ ছাপা হইছে। পত্রিকাটা কিনলাম রাস্তা থেকে। একবার দেখেই চরম প্রহসন মনে হইলো। নিজের উপরে ঘেন্না ধরলো...
হায়, কী অভাগা এই দেশ, যেখানে একজন মৃত্যুপথযাত্রী মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে একজন বেকুব নাট্যকার গুরুত্বপূর্ণ হয়া উঠে। সত্যিই খুব হতাশার... খুব হতাশার। পত্রিকা এতে আমার সন্মান দিলো না অসন্মান দিলো?
আমি অপমানিতই বোধ করলাম আসলে...
তারপর সেই পত্রিকা তারেকের ব্যাগে লুকায়ে খালেদ চাচাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম, ইউনিভার্সিটিতে গেলাম। এটা সেটা ভিডিও করলাম একটা ডকু বানাবো বলে। তারপর বিকেলে আবার তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে আমার আর তারেকের অপেক্ষা... কিছু বিখ্যাত মানুষ, যাদের সামান্য একটা মন্তব্যই হয়তো মহিমান্বিত করবে এই ডকুটাকে। যারা সকালেও কনফার্ম করেছে বিকেলে সময় দেবেন বলে। আমরা সেই আশায় যথাসময়ে ফোন করি।
বিকেল চারটার সময় একজন জানান, তিনি সময় করে উঠতে পারছেন না আজকে, আরেকদিন হয়তো হতে পারে... সারাদিনের ক্লান্তি মেখে ম্লান হেসে তারেকের দিকে তাকাই। 'কী আর করা' হাসি দিয়ে এই সময়টা কিভাবে কোথায় কাটানো যায় চিন্তা করতে করতে আজীজে আসি।
টুটুল ভাই নাই, জ্বর। তার দোকান দখল করে বসে বসে ক্লান্তির ঘুম তাড়িয়ে অপেক্ষা করি পরের জনের। ৫টায় যিনি সময় দেবেন তার জন্য।
ঠিক ৫টায় তিনিও ব্যস্ততার কথাই বলেন। আমরা হতাশায় বুক বেধেঁ বসে থাকি চুপ করে। এর তার সাথে আড্ডা মেরে সময় আর ক্লান্তি কাটাই। আর অপেক্ষায় থাকি- ৬টায় একজন সময় দেবেন বলেছেন, তার অপেক্ষা এবার।
ঠিক ৬টায় তিনিও জানান কোনো এক সরকারী বড় আমলা তার বাড়িতে হুট করে এসে হাজির হয়েছেন। আমাদের বরাদ্দ সময় বাতিল হয়।
আমি আজীজের বারান্দায় বসে বসে অস্তায়মান সূর্য আর তার পাশে দণ্ডায়মান উঁচু টাওয়ারের ছবি তুলি। কৃষ্ণচূড়ার ছবি তুলতে গিয়ে দেখি আলো কমে গেছে, উজ্জ্বলতাটুকু আর ধরা যাচ্ছে না।
তারপর বসে থাকি চুপচাপ... চুপ চাপ... চা খাই... আবার বসে থাকি।
সন্ধ্যার পর আরো কিছু শুট করার কথা ছিলো। একে একে বাতিল হয় তাও। তারপর ধীরে ধীরে বাড়ি চলে আসি।
বাড়ি এসে দেখি ফেইসবুক আর ব্লগ ভর্তি অসংখ্য হাসিমুখ...
সেইসব হাসিমুখের ভীড়ে নিজেকে খুব ক্লান্ত মনে হয়। চেয়ে চেয়ে দেখি কেবল...
আজকাল ফেইসবুকে দেওয়ার মতো স্ট্যাটাস খুজেঁ পাই না।
নিজেকেও ডোমের মতোই মনে হয়... এইসব অসংখ্য মৃত হাসিদের ভীড়ে সব হাসিকেই একই রকম প্রাণহীন মনে হয়।
পৃথিবীটা প্লাস্টিকে ভরে গেছে...
মন্তব্য
কি সহজ স্বীকারোক্তি-
মনটা দুঃখে ভরে গেল।
ধন্যবাদ গালিব, আপনি কি ঢাকায় থাকেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ্যা ঢাকায় থাকি, ধানমন্ডি-১৯ এ।
আর আমাকে 'আপনি' করে না বললে খুশি হব, আমি এবার মাত্র এইচ.এস.সি. দিলাম।
এইরকমই হবে। এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু প্রতিজ্ঞা যখন করছি, তখন উনাকে সুস্থ করেই ছাড়ব। এখানে আমাদের হতাশার কোনো জায়গা নেই। স্বাভাবিক নিয়মে হতাশা আসবে, আবার চলে যাবে। ডোমকে মারতে হবে ডোমের ছুরি দিয়েই।
একবার খালেদ চাচা আসুক না লাইমলাইটে, দেখবেন এই ডোমেরা কী হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দেয় তাকে নিয়ে...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হ... হতাশার কোনো জায়গা নাই... আবার বিসমিল্লাহ্ কইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই সব বড় মানুষ টানুশ কবে দয়া কইরা টাইম দিব ওইটার লাইজ্ঞা বইসা না থাইকা, তাদের সময় বাইর হইতে হইতে আমরা আমাদের মধ্য থেইকা কাজ শুরু করি না কেন। সচলের সদস্য যদি ১৩০ জন হয়, আর অন্যান্য পাঠক আর আধা অতিথি মিলায়ে যদি সংখ্যা ২৫০ হয়, আর প্রত্যকে যদি ৫০০০ টাকা কইরা কন্ট্রিবিউট করি তাইলে দাঁড়ায় ১২,৫০,০০০ টাকা। মানলাম ৫০০০ সংখ্যাটা অনেক বেশী না হলেও খুব একটা কমও না, কিন্তু প্রয়োজনটাও যে বেশী। আমরা নিজেরা যদি খানিকটা সমঝোতা করে, ২ মাস একটু টাইট সিচুয়েশনে থাকি খুব কি আর ক্ষতি হইবো? খানিকটা না হয় কঠিন সময় দেখলামই এক আপনজনের হাতটা শক্ত করে ধরার তরে। একটু ভাইবা দেখি তো সবাই সম্ভব কি না হাতটা শক্ত করে ধরা!
আমাদের সবারই অনেক চেনা পরিচিত লোকজন আছে আশপাশে যারা হয়তো জানলে খুশি মনেই সাহায্যের হাত বাড়াইবো। আর যারা অবস্থা থাকা সত্বেও ধানাই পানাই করবো সেসব পরিচিতের নিকুচি করি। আমরা প্রত্যকে যদি এভাবে অন্তত আরো ১০,০০০ করে সংগ্রহ করতে পারি নিজ জানা শোনা মানুষগুলা থেকে তাইলে কত দাঁড়ায়? ১০০ জন ধরলেও তো উইঠা যায় ১০,০০,০০০ টাকা। এইটুকুন এফোর্ড যদি আমরা আজকে না দেই তাহলে মন খারাপ করার অধিকারও আমগো নাই, কতখানি তুলতে পারি পরের কথা আগে উদ্যোগটা তো নেই। মোট দাড়ায় ২২,৫০০০০ টাকা। এই টার্গেট টা রাইখা প্রত্যেকে কাজ শুরু করা উচিৎ যত জলদি সম্ভব।
আর একটা ঘটনা করার ক্ষমতা রাখে স্টুডেন্ট'রা। নিজ নিজ ইউনি, কলেজের অন্যান্য স্টুডেন্টদের আর অথরিটির সাহায্য নিয়া ছোটখাটো অনুষ্ঠান যেমন আনপ্লাগড কনসার্ট, মুভি ফেস্টিভ্যাল সহ অন্যান্য পোগ্রামের আয়োজন করা। এটা অনেক বড় কিছু ফল না আনলেও বেশ কার্যকর। যতখানি আসবে যেখান থেকে যেমনেই আসবে ততখানি লাভ।
তাই যতক্ষন বাইরের কারো কোন সাহায্য আমরা পাচ্ছি না, আমাদের উচিৎ তখন নিজেদের রাস্তা নিজেরা তৈরী কইরা নেওয়া। কষ্টসাধ্য কিন্তু অসম্ভব না। হা-হুতাশ, মন খারাপ, ভেঙ্গে পড়া এগুলা কে আসেন কইষা দুইটা লাত্থি মারি আর নিজেরাই আগে প্রথম উদ্যোগটা নেই।
দৃশা
ধন্যবাদ দৃশা... কালকে থেকে মনটা খুব খারাপ হয়ে ছিলো। আপনার কথা শুনে মনটা ভালো হয়ে গেলো।
সত্যিই, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলেই অবশ্যই পারি। আমিও মনে করি ২০০ মানুষ খুব অল্প চেষ্টাতেই পুরো টাকাটা উঠিয়ে আনতে পারবে।
কিন্তু সেই ২০০ পয়গম্বর কোথায়?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই যে একজন... তবে পয়গম্বর না। গরিব মানুষ। জনপ্রতি উল্লেখ করা অ্যামাউন্টটা দিতে পারব। চেষ্টা করব আরো বেশি দিতে। যারা দেশের বাইরে ভালো অবস্থায় আছেন বা দেশের সচল যাদের আমার মতো গরিবি হালত না, তারা তো আরো বেশি দিতে পারবেন নিশ্চয়।
যারা যারা এই লিস্টে আসতে আগ্রহী, তারা তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলুক। নিজেরা নিজেরা এই মুহূর্তে নিজের আর্থিক অবস্থা যাচাই করে কমপক্ষে যা দিতে পারব (পরে দেয়ার সময় হাতে থাকলে আরো বেশি দেয়ার চেষ্টা করব), তা জানিয়ে তারেককে জানাবার কাজটা সেরে ফেলতে লাগবে বড় জোর তিন দিন।
তাহলেই আমরা বুঝে যাব আর কী পরিমাণ টাকা লাগবে।
দেশের বাইরের সচলরা চেষ্টা করুন, সেখানকার দেশিবিদেশি বন্ধু, সংগঠন থেকে টাকা তোলার জন্য। সে কাজে নজরুলের বানানো ডকু-ফিচারটি ব্যবহার করুন।
একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমরা কারো কাছে হাত পাতছি না সাহায্যের জন্য। আমরা দায়িত্ব পালন করছি আমরা যাদের কাছে ঋণী, তাদেরই একজনের কাছে। আমরা এই পৃথিবীর একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্য লড়াই করছি। যিনি একটি দেশের জন্য লড়াই করেছিলেন। যেমন সকল দেশেই সেই দেশের শ্রেষ্ঠতম মানুষেরা লড়াই করে থাকে তার দেশের জন্য।
মামুন হকের সঙ্গে কথা বলেছি। তার ওপর অচিরেই দায়িত্ব আরোপিত হবে তাইওয়ানের মানুষদের এস. এম. খালেদের গল্প শুনিয়ে চোখে পানি আনার। যার ফলশ্রুতিতে তাইওয়ান থেকে একটি আশাব্যঞ্জক পরিমাণ টাকা এসে পৌঁছাবে ফান্ডে।
এটা ঘটবে। অল্প পরিচয়েই আমি মামুনকে চিনে গেছি। লড়াই করার মতো পেশি এবং মন দুটোই ওর আছে।
দেশের বাইরে যারা এমনটিই সংগঠিত হয়ে ফান্ড কালেকশনের কাজে নামতে চান, আওয়াজ দেন ভাইসব!
বেশি না, মাত্র সত্তুর লাখের মতো টাকা দরকার... হয়ে যাবে!
খালেদ চাচার টাকাটা যোগাড় হয়ে যাওয়ার পর নজরুলকে বলব আরেকটা ডকু-ফিচার বানাতে, যেটা আমরা নিজেদের পয়সায় চ্যানেলে প্রচার করব। যেখানে থাকবে আমাদের কথা। যেখানে আমরা বলব, আমরা যা চেয়েছিলাম, তা করতে পেরেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করতাম তাই। কারণ এটা করতে না পারলে লজ্জায় নিজের চেহারার দিকে তাকাতে পারতাম না। কারণ আমাদের আগের প্রজন্মের সেরা মানুষদের কাছে আমাদের কিছু ঋণ রয়েছে।
আর একথাও জানাতে চাই, যে মিডিয়া এস.এম. খালেদের মতো মানুষদের চেয়ে "চিপসের মডেল হলেন নায়িকা সাবিহা"দের বেশি গুরুত্ব দেয়, আমরা তাদের মুখে "স্যাপ" দেই!
তোদের মতো চুদির্ভাইদের ছাড়াই আমরা দু-চারটা স্বপ্ন বাস্তবায়ান করে ফেলতে পারি!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
যা বলার মৃদুল বলে দিসে! ২০০ হইতে আর মাত্র ১৯৮ বাকি!
কিছু কালেকশন তো হবার কথা এতোদিনে, সেটার পরিমান কি জানা সম্ভব? তাহলে আরোও কতো দরকার সেটার একটা আন্দাজ হতো।
দেরী করে ফেললে পরে আফসোসের কোনও শেষ থাকবে না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
খুব বেশি কালেকশন হয়নি। যতটুকু হয়েছে তার সঠিক হিসাবটা আমি এই মুহূর্তে দিতে পারলাম না। জিফ্রান বা তারেক হয়তো এব্যাপারে জানাতে পারবে।
সেটাই। ক্যান্সার থেমে নেই, সে তার কাজ নিজস্ব গতিতেই করে চলেছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেওয়া এই বাক্য দু'টির জন্য আপনাকে কখনও ক্ষমা করবো না, নজু ভাই। দূর-প্রবাসে একাকী রাতে এমন বাক্যের আঘাত বর্ণনার অতীত।
বাকি লেখা নিয়েও কিছু বললাম না। লজ্জাটা অনেক বেশি বড়। অনেক বেশি। পাশাপাশি অক্ষমতার আক্ষেপটুকুও। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি না। এর বাইরে যেকোন কাজে প্রয়োজন হলে জানিয়েন। চেষ্টা করবো সাধ্যমত।
খুব কষ্ট নিয়া লেখছি রে ভাই... খুব কষ্ট...
আসলেই দুনিয়াটা প্লাস্টিকে ভরে গেছে... মানুষ নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি দৃশার সাথে ১০০% একমত। এভাবেই করতে হবে এবং এটা করা সম্ভব। আমি আছি এবং সাথে থাকব।
............................................................................................................
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
দৃশার সাথে সহমত
আমি ৩০০ ডলার দেব, আগামী শুক্রবার
...........................
Every Picture Tells a Story
১। কোন এ্যাকাউন্টে/ কার নামে পাঠাতে হবে এটা জানায়েন। সম্ভব হলে এই শুক্রবারে তাতে কত জমা হয়েছে তার আপডেট হবে।
২। চেইন মেইলের কথা আরিফ ভাই বলছিলেন। ঐটা দ্রুত সার্কুলেট হইলে ভাল হয়, যেইটার শেষ বাক্য হিসাবে থাকতে পারে, "I know my responsibility and contributed to pay the debt. now its your turn whether you support them or Razakars."।
৩। আপ্নে, মৃদুলাম্মেদ ভাই, আরিফ ভাইয়েরা অসম্ভব বাজে টাইপের কর্মঠ লোক। আপ্নেরা ঠিকই পারবেন কামড়ায় ফুটা কইরা দিতে।
একটা সত্যি কথা বলি...
আমার ভাবতে খুব গর্ব হয় এতো বড় মনের মানুষদের সাথে আমি একই প্ল্যাটফর্মে থাকি, লিখি, কথা বলি।
ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই, চাকরি বাকরি পাই নি এখনো - সবেধন নীলমনি টিউশনিটাও ছেড়ে দিচ্ছি এই মাসের পর, তাই খুব সংকোচের সাথেই জানাচ্ছি পোস্টের উল্লেখ করা পরিমাণের পুরোটাই হয়তো এখনই আমি দিতে পারবো না পূর্ণ ইচ্ছা থাকা সত্বেও। তবে আশা রাখি, মাস এক-দুয়েকের মধ্যে জীবিকার সংস্থান হয়ে গেলে, নিশ্চয়ই আমিও সাধ্যমত সাহায্য করতে পারবো।
আবারও বলি, আমি খুব গর্বিত, এতো বড় মনের মানুষদের সাথে একই সাথে থাকতে পেরে।
আর নজরুল ভাইয়ের লেখাটা সম্পর্কেও একটা কথা বলতে পারি, অসাধারণ... বিশেষত যে কয়টা লাইন ইশতিয়াক ভাই কোট করলেন...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
লিস্টে মানুষ দরকার ২০০ ।
মৃদুল -১ জন ।
আকতার - ১ জন ।
মুস্তাফিজ ভাই - ৪জন ।
৬ জন পুরো হয়ে গেল ।
--
৭নম্বরে আমার নাম লেখালাম ।
হু ইজ নেক্সট ??
তাইলে আমি ৮ নম্বরে নাম লেখাইলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আছি ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
৯ থেকে ১২ আমি!
আরে না।। ৯ নং বুকড
আপনে ১০ এ নামেন মিয়া । ১০ থেকে ১৩ মামুন ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
১৪ নম্বর আমি ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হে হে সারাজীবন ১০ নম্বর জার্সি চাইয়াও পাইনাই আর এখন ১০ থিকা পুরা ১৩ আমার!! অনেক ধইন্যবাদ!!
এই তো হয়ে যাচ্ছে... হবেই... আমরাই পারবো, কারো অপেক্ষায় বসে থাকবো না আর... যা থাকে কপালে...
আজকে প্রথম আলোতে একটা লেখা এসেছে। সেটার লিঙ্ক কেউ পারলে দিয়ে দেন এখানে।
প্রথম আলো, বিশেষ করে ফারুক ওয়াসিফকে অনেক ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পনের।
http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=13&date=2009-04-29
http://www.prothom-alo.com/mcat.news.details.php?nid=MTUzMjA4&mid=NQ==
...
আছি। এইখানের বন্ধুদের থেকে কিছু সীমিত পরিমান তুলেছিলাম, আবার পুশ দেয়া যাবে। কি কি করণীয়, জানাইয়েন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
নজরুল ভাই, আপনার এই পোস্ট কিছুতেই মাথা থেকে নামাতে পারছি না।
আপাতত গরীবী হালে আছি, তাই এই পোস্ট আরো যন্ত্রণা হয়ে বিধছে।
সফল হোক এই সাধু উদ্যেগ।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমি তো নিজের মাথা থেকে নামাতেই সচলের ঘাড়ে চাপাইলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখার প্রথম লাইন পড়েই মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে। কিছুটা হলেও এখন দায়মুক্তি চাই।
বড়োই ঝাঁকুনি দিয়ে গেলেন!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমারেও দুইটা নাম্বার দিয়েন।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
তারেকের সাথে আমার কথা হয়েছে কিছু দিন আগে এই ব্যাপারে।
নানান দুঃসময়ের মাঝে দিয়ে দিনাতিপাত করছি। কিন্তু এইসব দুঃসময় তো আর সহজে কাটবে না। তাই আমি এদের কাটার অপেক্ষায় বসে থাকতে রাজী নই। আমার সীমিত সাধ্যে যা কুলায়---আমি করার জন্যে প্রস্তুত।
আমার চেনা একজন মহানুভব মানুষ---যার কাছে আমি কিছুটা হলেও ব্যক্তিগত পর্যায়ের সম্পর্কের দাবী তুলতে পারব---তিনি হলেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
আমি যতটা দ্রুত সম্ভব তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
আশা করছি, জাফর স্যার কিছু একটা করতে পারবেন এ ব্যাপারে।
নজু ভাই, আপনার আর কোন রকমের কোন সাহায্যে আসতে পারলে জানাবেন-----
এত্ত বড় একটা কমেন্ট লিখছিলাম, মুছে দিলাম। থাক, এখন সুখের স্বপ্ন দেখতেছি। দুক্ষকথা আর না কই।
যা হোক, জাফর স্যারকে যদি একটু ম্যানেজ করতে পারেন তাইলেই অনেক কিছু হয়। উনার মুখ নিসৃত একটুখানি বাণী বা কলম নিসৃত একটুখানি লেখাতেই এমনকি পুরো টাকাটা উঠে আসতে পারে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভীষণ ভালো লাগছে... ভীষণ ভালো...কতোটা সেটা বলে বোঝাতে পারবো না।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আমারও ভালো লাগছে। কপাল ভালো, যে এলামই পরে, তাই শুধু নজরুল ভাইয়ের ঘায়েল না, সাথে সুখবরের সব পায়েলগুলা-সহই শুনলাম চোখ-কান পেতে।
আছি। সিরিয়াল নম্বর ব্যাপার না। অ্যামাউন্টও একআধটু ভ্যারি করতে পারে। তবু, আছি।
দেখা যাক। মানে, চলেন দেখি। যুদ্ধ নিশ্চয়ই চলবে।
বড় মনের সব মানুষগুলারে স্যাল্যুট।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সেদিন বুঝলাম নিজের বাবা জীবনে একবারই মরে। অন্যের বাবারা মরে প্রতিদিন...
...............
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনদের সংখ্যায় আমারে রাখবেন আশা রাখি নজরুল ভাই।
এতো ভাইঙ্গা পইড়েন না বাহে, আমরা আছি হগলে
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
..............................
আব্বা যেদিন মারা গেলো, সেদিন বুঝলাম নিজের বাবা জীবনে একবারই মরে। অন্যের বাবারা মরে প্রতিদিন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দুর্দান্ত একটা লেখা। ভেতরটা একদম কাঁপিয়ে দেয়...
amra shanto mariam university theke money collectioon korci, duita box banie universitir samne rekheci valoi collection hocche. Ajke may 7, 2009 takata khaled sirke handover korci. collection cholbe Insallahh. Hope sir onek shiggiri valo hoe jabe.
On behalf of smuct students
Sohel
ধন্যবাদ সোহেল। আপনাদের উদ্যোগ দেখে ভালো লাগলো। আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি? তাহলে একসাথে কাজ করা যেতো কিছু।
কষ্ট করে একটু যোগাযোগের ব্যবস্থা করবেন?
নজরুল ০১৭১৩০৪১৭৬৭
ami.nazrul@gmail.com
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শান্তা-মারিয়াম এর ছাত্র-ছাত্রীরা কি পারবেন একটা ওপেন এয়ার কনসার্ট করতে ?আমি ও আমার বন্ধুরা আপনাদেরকে পুরোদমে সহযোগীতা করবো । উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব এর মাঠে তা করা যায় । কয়েকটা আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড আর নাম করা দুটা ব্যান্ড নিয়ে করা সম্ভব । তাতে আমি নিশ্চিত কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব । প্রচারণার জন্য যা যা করতে হবে আমি করে দিবো আর ব্যান্ডের ব্যাপারগুলোও ।
আরেকটা কাজ করতে পারেন শান্তা-মারিয়াম এর অডিটোরিয়ামে ফিল্ম শো এর ব্যবস্থা করেন । ভালো সাড়া পাবেন । এ ব্যাপারে আমাকে পাবেন পাশে । আর আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ।
রুবেল, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার সাথে যোগাযোগে আগ্রহী। একসাথে কাজ করতে চাই। সবাই মিলেই করতে হবে যা করার।
নজরুল ০১৭১৩০৪১৭৬৭
ami.nazrul@gmail.com
একটা যোগাযোগের অনুরোধ রইলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এখন ঠিক কত টাকার দরকার, কত টাকা যোগাড় হয়েছে, এই তথ্যগুলো থাকলে আরো ভাল হতো। আমি উপমা নামে একটি মেয়ের জন্য সামহয়ারে একটা সাকসেসফুল ফান্ড ক্রিয়েট করতে পেরেছিলাম। সেই আলোকে জানতে চাইছি। আমরা বাইরে থেক কি ভাবে কি করতে পারি দয়া করে জানাবেন।
শুভেচ্ছা থাকল। সাথে আছি কমরেড(তা সে যে পরিমন্ডলেই হোক)
নতুন মন্তব্য করুন