কখনো আসেনি
মৃদু বৃষ্টিময় এক রাতে ছবির শুরু। শুরুতেই দেখা যায় একটা খাটে পাশাপাশি মৃত শুয়ে আছে দুবোন। স্থির। এই স্থির চিত্রটিই আবার আঁকা পাওয়া যায় তাদেরই বড় ভাইয়ের ঘরে। যে নিজে শিল্পী একজন। আর রাতে বাড়ি ফিরে সে ভাইটি, পুলিশ আসার আগেই সে নিজেও মৃতদের কাতারে চলে যায়। সিঁড়িতে দেখা যায় দুটো বেড়াল, আর রাস্তায় একটা কুকুর।
তিনটা মৃত্যুর কেউ কোনো কিনারা করতে পারে না। ঠিক উল্টোপাশের বাড়ির বারান্দায় রূপবতী নারীর উপস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততাও খুঁজে পায়না কেউ।
এগুলো বলতে গেলে সিনেমা শুরুর আগের গল্প। ছবিটা শুরু হয় যখন এই বাড়িতে নতুন বাসিন্দা ওঠে। নতুন এই পরিবারেও বড় ভাই শওকত ছবি আঁকে, আর ছোট দুবোন। তাদেরো আছে বেড়াল।
উল্টোদিকের যে বাড়িতে রূপবতী নারী থাকে। তার নাম মরিয়ম। যার বারান্দা আর শিল্পী ভাইটার জানালা একেবারেই মুখোমুখি।
সে বাড়িতে মরিয়ম একা থাকে না। সঙ্গে থাকে অদ্ভূত এক লোক। বাড়িও না সেটা, একটা জাদুঘর। অদ্ভূত সেই লোকটা সারা বিশ্ব ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেছে ছবি, ভাষ্কর্য। যেখানেই সুন্দর দেখেছে তুলে এনেছে এই জাদুঘরে। পয়সা দিয়ে কিনে, চুরি করে, এমনকি সৌন্দর্য সংগ্রহে খুন করতেও তার দ্বিধা নেই।
আর এই জাদুঘরের সবচেয়ে দামী ভাষ্কর্য হলো মরিয়ম। হ্যাঁ, মরিয়ম এখানে মানুষ হিসেবে না, আছে একটা ভাষ্কর্যই। জীবন্ত ভাষ্কর্য, ৫০ টাকায় কেনা।
অদ্ভূত সেই লোকটা যখন মরিয়মকে বলে- "সুন্দর চিরকাল স্থির হয়ে থাকবে, মানুষের হাতে সে নড়বে না। তুমি সেই সুন্দর, তুমি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকো আমার সামনে, আমি দেখি। আমি তোমাকে ছুঁবো না, ফুলের গায়ে হাত দিলে পাপড়ি ঝরে যায়"
অথবা যখন বলে- "কোটি কোটি মানুষ ঘাসের মতো গজায়, সাধারণ মানুষের মতো বিয়ে করে একগাদা বাচ্চা পয়দা করার মধ্যে কী আছে? মাতৃত্ব? মাতৃত্ব তো গরুর দুধের মতো কোলে কোলে হয়"
সে এক অদ্ভূত...
শওকতের সঙ্গে অবধারিতভাবেই দেখা হয় মরিয়মের। পাথর নড়ে ওঠে প্রাণের স্পর্শে... গেয়ে ওঠে "ভালোবাসি এই কথাটি বলার এই তো সময়"
কিংবা গেয়ে ওঠে "নিরালা রাতের প্রথম প্রহরে, পুরনো তারারা একে একে জ্বলে ওঠে, আকাশের আঙিনায়, আকাশের মোহনায়, পুরনো সে আছে পাশে, সেই তুমি, সেই তুমি"
কিন্তু কে আসলে পাথর? কার দেহে আছে প্রাণ? কার মনে প্রাণ?
শেষটায় কী?
বলা বারণ...
কিন্তু শওকতও দেখি আঁকে ঠিক দুবোনের পাশাপাশি মৃত শুয়ে থাকার ছবি!!
কেন!!
আর শেষ দৃশ্যে হাজির হয় যখন নতুন পরিবার, যেখানেও আছে এক শিল্পী বড় ভাই, আর দুবোন।
আর উল্টোবারান্দায় তখনও মরিয়ম...
কেন!!!
...............................................................................
জহির রায়হানের অনেক কীর্তি আছে। বিশেষ করে স্টপ জেনোসাইড, আ স্টেট ইজ বর্ণ, কাঁচের দেয়াল, জীবন থেকে নেয়া... এসব মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অসামান্য সব চলচ্চিত্র আছে। এছাড়াও বেহুলা, আনোয়ারা এসবও আছে।
আর আছে দারুণ কিছু উপন্যাস- বরফ গলা নদী, শেষ বিকেলের মেয়ে, হাজার বছর ধরে... প্রভৃতি।
কখনো আসেনি তাঁর প্রথম সিনেমা। ১৯৬১ সালে বানানো।
ছবি নিয়ে কিছু বলার নাই, শুধু এটাই বলি, ব্যাটা কতটুকু স্মার্ট ছিলো ঐ আমলেই? এইসব কথা মাথায় আইলো কেম্নে?
এই ছবিটা প্রথম দেখি ৬/৭ বছর আগে। জহির রায়হানপুত্র বিপুল রায়হানই দেখায়। তখনই তব্দা খেয়ে বসেছিলাম। এখন আবার...
ছবিতে অভিনয় করছে- সুমিতা দেবী, খান আতাউর রহমান, শবনম (পিচ্চি), আনিস...
সঙ্গীত পরিচালনায় খান আতাউর রহমান। কণ্ঠে তিনিসহ কলিম শরাফী আর মাহবুবা রহমান। গানগুলো ভালো লাগছে। আগে বা অন্য কোথাও শুনি নাই।
দৈর্ঘ্য ২ ঘন্টা ২১ মিনিট
সময় থাকলে দেখে নিতে পারেন ছবিটা।
মন্তব্য
দেখতে চাই, সময় তো আছেই, কিন্তু পাই কোথায়?
আপনার লেখা পেলাম অনেকদিন পর, ভালো লাগলো। একটা স্ক্রিপ্ট পোস্ট করেন না কখনো? খণ্ডে খণ্ডেই করেন না হয়, পুরোনো হলেও সমস্যা কিছু নেই। চিত্রনাট্যের গঠনবৈশিষ্ট্য নিয়ে একটা ধারণা হবে আমাদের। আর আপনাকে প্রচুর প্রশ্ন করে জ্বালাতনও করা যাবে।
টাইপ করার সময় না থাকলে (আপনার ব্যস্ততার কথা ভেবেই বলছি) স্কান (য-ফলা লাগানো গেলো না) করে পাঠিয়ে দেন, টাইপ করে দেয়া যাবে। কিন্তু টালবাহানা করলে চলবে না
বাংলাদেশের জি সিরিজ এর একটা ডিভিডি বাজারে ছেড়েছে। বিদেশেও পাওয়া যাচ্ছে। যেসব দোকানে বাংলা নাটক সিনেমার ডিভিডি পাওয়া যায়, সেখানেই পাবেন।
আসলে সময় পাই না। কতদিন ধরে তো সচলের পোস্ট পড়ারই সময় পাচ্ছি না।
আর স্ক্রিপ্ট যা লেখি তা পোস্ট করার কিছু নাই। সবই পেটের দায়ে খেমটা নাচ। প্রডিউসার ডিরেক্টরের মনপসন্দে। ওগুলো পোস্ট হওয়ার যোগ্যতাহীন। আর আমাদের স্ক্রিপ্ট চিত্রনাট্য হয় না, ডায়লগের খাতা হয়।
দুই পাতা স্ক্যান করতে যা সময় লাগে, তারচে দ্রুত মনে হয় আমি তা কম্পোজই করে ফেলতে পারি। আর টাইপ করতে কখনো ক্লান্তি আসে না আমার। (আর কোনো কাজে ভাত না পেলে প্রফেসনাল টাইপ রাইটারের চাকরি অন্তত জুটবে )
টাল বাহানা না। অচিরেই লেখা শুরু করবো আবার সচলে। আপনি আমার সব ভাত মেরে দিচ্ছেন। প্রথম অভিযান আপনাকে উচ্ছেদ দিয়েই শুরু হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জ্বী না স্যার। এইখানে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে পলাশ দত্ত আছে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
এহ্... চলেন তাইলে বাজী লাগি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিক আছে। আগে বেকার হই। তারপর আপনার অফটাইমে দুইজন মিইলা বসুম নে নীলক্ষেতে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
এইখানে আরো একজন ক্যান্ডিডেট আছে স্যারেরা!
আমার সহকর্মীরাও নিন্দে ক'রে বলে- নীলক্ষেতে গেলে হেভি ভাত/তেহারি পামু আমি! আমিও মাঝেমইধ্যে ভাবি- এইসব কঠিন চিন্তা-ভাবনার ফাঁপরওয়ালা কাজ ছাইড়া নীলক্ষেতে গিয়া কাম করি বরং!
লাগবা বাজি?
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
জটিল কাহিনী! কিন্তু পামু কই? আপনে দেন!
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বসুন্ধরা সিটিতে পাইবেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পামু কৈ?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
জি সিরিজ এর একটা ডিভিডি বাজারে ছেড়েছে। বিদেশেও পাওয়া যাচ্ছে। যেসব দোকানে বাংলা নাটক সিনেমার ডিভিডি পাওয়া যায়, সেখানেই পাবেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এটা আমি বেশ আগে দেখছিলাম রাশান কালচারাল সেন্টারে, আমাকে নিয়ে গেছিলো ঋত্বিক ঘটকের ভাগনী.... দারুণ লেগেছিল বিভিন্ন কারনে , তবে
জহির রায়হানের ছবির যেটা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো এডিটিং, সব সময় খুব পরিষ্কার,গোজামিল থাকে না, এটাতেও ছিল তেমন মজার কাজ........ একটা দারুণ বৃষ্টির শট ছিল মনে পড়ে, মনে খান আতা কার্টুন হাতে একটা গান গাচ্ছেন কথা মনে নাই তবে মজা লেগেছিলো.... নজরুল ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এমন লেখা দেয়ার জন্য কোন ইউটিউব লিংক পেলে দিয়েন।
ওহ আসল চরিত্রের নাম দেন নাই, ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সঞ্জীব দত্ত।
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
নির্মাণের দিক দিয়ে এটা দারুণ একটা ছবি। আমি ভাবতেই পারি না ৬১ সালের সেই প্রতিকূল পরিবেশে বসে একটা লোক এই ছবি বানাইছে।
কিছু কিছু শট এখন দেখে হাস্যকর লাগলেও, বা অতি ব্যবহৃত মনে হলেও, ৬১ সালে এটাই আধুনিক ছিলো। বৃষ্টির শটটা আসলেই দারুণ... স্টিল ছবি হিসেবে সেটা দিতে চাইছিলাম। কিন্তু মুভমেন্টের কারণে প্রিন্ট স্ক্রিণ ঝাপসা আসে।
এই ছবিতে ৫টা গান... গানগুলো সুন্দর... এগুলোর অন্তত একটা দুটো কেন পাব্লিক এখন শুনে না তা বুঝে পাই না। আমি তো এগুলোর অডিও ভার্সন বানায়ে রাখবো। শুনবো।
ইউটিউবে আমি বিরাট নবীন। এসব আমি পারি না।
আর কারবার দেখছেন? সঞ্জীব দত্তর নামটাই দিতে ভুলে গেলাম!! ছবির মূল আকর্ষনই তো এই ব্যাটা। দূর্দান্ত অভিনয় করছে। বাংলা সিনেমায় এরচেয়ে জটিল ক্যারেক্টার আমি আর পাই নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ লাগল নজরুল ভাই। আমি প্রথমটা পড়ে ভাবছিলাম, এমন ছবি কি কখনও আমাদের দেশে হবে? জহির রায়হানের এটা ও অন্যান্য ছবিগুলো কোথায় পাব?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ইউটিউবে Zahir Raihan দিয়ে খুঁজলে কিছু জিনিস পাবেন।
হৈ মিয়া, আপনে তো ঢাকা শহরেই থাকেন। রাইফেলস্ অথবা বসুন্ধরায় যান। পাবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মূলত পাঠক ঢাকায় থাকেন? আমি তো জানতাম তিনি আটলান্টাতে থাকেন!
এইটা তানিমরে কইছি তো... পাঠকের জন্য প্রাপ্তির ঠিকানা উরফে দিছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভালো একটা পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ নজু ভাই
ভাবতেছি আপনে এই ছবি দেখলে রায়হান সাহেবরে কী পরিমান গালি দিতেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুম... দেখতে হইবে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দেখিনাই, দেখতে হবে
...........................
Every Picture Tells a Story
দেখে ফেলেন, বাংলাদেশে কনসেপ্টের দিক দিয়ে এমন ভালো ছবি আর নাই... এই দেশে সবই কাহিনী...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"রিভিউ লিখনা কই আপসে সিখে"
আমার দেখা সেরা মুভি রিভিউ এইটা! অনেক রিভিউ তে ঠিক কতোটুকু বলা 'আদেশ' আর কতোটুকু বলা 'নিষেধ' তার সংমিশ্রন ঠিক থাকে না।
সিনেমা সম্পর্কে কৌতুহল সৃষ্টি করার বদলে সিনেমাটা ভালো নাকি খারাপ সেধরণের একটা ধারণা দিয়ে দিয়ে বসে!! মজাটাই তখন মাটি।
আপনার এই রিভিউটা সেইসব দোষে দুষ্ট নয়! যাকে বলে 'মাপা শট'।
১০০ টা ৫ তারা দিতে মনচায়!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মমিন ঠিকই কইছে।
এতো চমৎকার সিনেমা রিভিউ আমিও আগে পড়ি নাই।
তাত্তারি সচলায়তনে কামব্যাক করেন তো, নজু ভাই।
কই থাকেন, কি সব যে করেন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কি অসাধারণ!!!
এই ক্যারেকটারটা সত্যিই একটা ভয়াবহ... প্রতিটা ডায়লগ কোট করার মতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছবিটা ছোটবেলায় বিটিভিতে দেখেছি। হের নজু দেখি অনেক কথা মনে পড়িয়ে দিলেন। লেখায় ।
জহির রায়হান নিয়ে আমার একটি ব্যক্তিগত কথন ছিলো এখানে ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
জ্বী স্যার, আপনার পোস্টে কমেন্টেই লিখেছিলাম যে তাঁর কখনো আসেনি ছবিটা নিয়ে লিখবো। আমি কিরকম আইলসা একবার ভাবেন, প্রায় একবছর পরে লিখলাম সেই লেখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অসাধারণ রিভিউ। যতটুকু বললে সিনেমা দেখার জন্য আকূল হয়ে উঠতে হয় ঠিক ততটুকুই বলেছেন। কাহিনীটা অসামান্য। জহির রায়হানের তেমন কিছুই দেখা হয়নি। এটা দিয়েই শুরু করতে হবে।
ইনারা বেঁচে থাকলে দেশটা আজ কোথায় থাকতো! মনে হলে প্রচণ্ড কষ্ট হয়।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
খালি হলিউডের ছবি দেখলে হবে? জহির রায়হান দেখে ফেলেন লাইন ধরে... এই দেশে যদি একজন পরিচালকের দেখতে হয় তো তারটাই আগে দেখা উচিত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুন লিখছেন নজু ভাই। সিনামাটা দেখতেই হবে ...
ইয়ে নজু ভাই, আপনি আমার জন্য যে গিফট র্যাপটা তৈরী করছেন তার মধ্যে এই ডিভিডিটা ঢুকিয়ে দেয়া যায় না ???
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
টিকিট পাঠায়ে দেন... আমি দিয়া আসি আপনেরে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঢাকা থেকে ছবি আনানো পোষাবে না। অনলাইন লিংক থাকলে ছাড়েন কেউ।
রিভিউ দুর্দান্ত হয়েছে
আমার প্রিয় তিন চলচ্চিত্রকার এর একজন হলেন জহির রায়হান । অপর দুই জন যথাক্রমে খান আতা ও আবদুল্লাহ আল মামুন । তিনজনই আজ আমাদের মাঝে নেই ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপ্নের রিভিউও তো হেভ্ভি ইস্মাট হৈছে মাইরি!
দেখা হয় নাই।
অনেকই ইন্টারেস্টেড হৈলাম।
জি-সিরিজ-বসুন্ধরা কৈয়া লাভ নাই।
খিদা আপ্নে উঠাইছেন, সেইটা নিবৃত্ত আপ্নেরেই করতে হৈবো বস।
দাঁড়ান, আমার কিছু জায়গায় হামলা করার প্ল্যান জমা আছে এই জাতীয় ধনরত্নের সন্ধানে, সেইখানে আপ্নের ইস্কাটনও যোগ হৈলো।
বিওয়্যার, বি রেডি!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
গেলি না পুলিশ ডাকুম?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
রায়হান বলেছে........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পাকিস্তান আমলে নির্মাতা এ জে কারদার এইদেশে দেড়টা সিনেমা বানিয়েছিলেন। জাগো হুয়া সাভেরা (পদ্মা নদীর মাঝি) আর দূর সুখ কি গাঁও (অভ হিউম্যান হাপিনেস)। উনার সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। এই দেড়টা মুভি কোথায় পাওয়া যেতে পারে কেউ কি বলতে পারেন?
খোঁজ নেইনি কখনো। কিন্তু এই ছবিদুটোর নাম ছাড়া আর কিছু কোথাও দেখিনি কোনোদিন। প্রিন্ট থাকলে নিশ্চয়ই খবর পাওয়া যেতো। তবু চেষ্টা করবো খোঁজ নিতে। জানলে জানাবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অসাধারণ লাগল রিভিউটা। একদম মাপা, বেশিও না, কমও না। আমার পড়া অন্যতম সেরা রিভিউ এটা। খুব আগ্রহ হচ্ছে সিনেমাটা দেখার।
তাড়াতাড়ি নিয়মিত হোন তো ব্লগিংয়ে!
নতুন মন্তব্য করুন