সুন্দর মনে সুন্দর বনে ৩

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: শুক্র, ২১/০৮/২০০৯ - ৪:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পূর্বপর্ব

সুন্দরবনে যাচ্ছি বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে, সামান্য জলে ডোবার ভয় থাকলে কি চলে? এ তো জলবত তরলং। সেই ছোট নায়েই উঠে বসলাম, তারপর ঐ তরী চললো।
দেড়দিনের ভ্রমণক্লান্তি দূর হয়ে গলো খোলা নদীতে ভেসে, নদীর নাম খোলপুকুর। সেই নদী পার হয়ে গেলাম কলাগাছিয়া টহলফাঁড়িতে। সেথায় পুকুরে ডুবাডুবি সেরে আবার নদীতে। এই ফাঁড়ি থেকে আমাদের সঙ্গী হলো তিনজন বন্দুকধারী নিরাপত্তা প্রহরী। এখান থেকেই মূলত আমাদের সুন্দরবন ভ্রমণ শুরু।

মূল সুন্দরবনে ঢোকার আগে চলুন আরো কিছু বিস্ময়ের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নেই। একদম সত্যি কথা, প্রতিটা মানুষ বিরাট একেকটা ক্যারেক্টার। মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো।

বাপ্পী ভাইয়ের কথাই ধরুন। আমরা যে নৌকাটায় অথৈ সাগর পাড়ি দেওয়ার মতলব করেছি, সেই নৌকার মালিক তিনি। লুঙ্গি পরে আঞ্চলিক ভাষায় যখন আমাদের স্বাগতম জানাচ্ছিলেন, তখন কোনোভাবেই আন্দাজ করতে পারিনি এক মানুষের দেহের ভেতর কতগুলো চরিত্র বাস করতে পারে।
নৌকা চলতে শুরু করতেই দেখি তিনি চৌকির ওপর বসে মোবাইল ফোনে খবর নিচ্ছেন, পাশেই এক জায়গায় বাঘ এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে খেয়েছে, সেই খবর নিচ্ছেন, নোট নিচ্ছেন। আর তখন জানতে পারলাম সাধারণ চেহারার এই মানুষটা প্রথম আলোর সুন্দরবন প্রতিনিধি। আর পুরো সুন্দরবন ঘুরতে ঘুরতে জানলাম এই গোটা অঞ্চল সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞানের কথা। জানলাম তিনি পচাব্দী গাজীর আত্মীয়। তার সম্পর্কে যা যা জানলাম পুরোটা বর্ণনা করতে গেলে আলাদা পোস্ট লাগবে। মোটা দাগে শুধু বলে যাই, তিনি বাংলাদেশ বেতারের এ+ গ্রেডের একজন শিল্পী এবং সুরকার। শুধু যে খুলনা অঞ্চলে তাই না। সাইদুল আনাম টুটুলের সুন্দরবন ভিত্তিক নাটকে নিজের সুরে গানও গেয়েছেন।
আরো জানতে হবে যে এই সালাহউদ্দিন বাপ্পী একজন জাতীয় শুটার। ঢাকায় এলে জাতীয় শুটিং কমপ্লেক্সেই থাকেন। নিজের এবং বড় ভাইয়ের মিলিয়ে তিনটা আগ্নেয়াস্ত্র আছে ঘরে (অবশ্যই লাইসেন্স সহ)। বন্দুক পিস্তল গুলি সম্পর্কে অগাধ পাণ্ডিত্য।

শুধু কি তাই? এই নৌকার মাঝি আতিয়ার ভাইকে দেখুন। বিশালদেহী বয়স্ক একজন মানুষ। কিন্তু হাসিটি দেখলে মনে হয় নিষ্পাপ বালক। রাত দিন ২৪ ঘন্টা খেটে চলেছেন বিরামহীন ক্লান্তিতে। এক হাতে নৌকার হাল ধরে আরেক হাতে মগের পর মগ চা বানাচ্ছেন আমাদের জন্য। নৌকা, ট্রলার, লঞ্চ এসব বিষয়ে ওস্তাদ লোক। নিজেরও ট্রলার আছে একটা, মাছ ধরার।

ঠিক বিপরীত আব্দুল ওহাব সর্দার। শুকনা টিংটিংয়ে ছোটখাটো মানুষ। নৌকা চালান ভালো কথা, কিন্তু অবসর পেলেই বেরিয়ে যান মাছ ধরতে। কথা কম কাজ বেশি বলে যে কথাটা আছে প্রচলিত, তার পুরোটাই খাটে আব্দুল ওহাবের সঙ্গে।
কিন্তু আশ্চর্য হয়ে যাই এই অতি সাধারণ চেহারার মাঝি কাম জেলে আব্দুল ওহাব সর্দারই নাকি ফার্স্ট শুটার একজন... পুরাই কস্কী মমিন অবস্থা।

তারপর ধরুন শওকত হোসেন। মাঝি তো মাঝি, অল্প বয়সী এই ছেলেটিই আবার কাঠমিস্ত্রীও। ফার্ণিচার বানানোয় তার দক্ষতার কথা বাপ্পী ভাইয়ের মুখে শুনে অবাক আমরা।

কামরুল ইসলাম এই নৌকার স্টাফ না। নিয়মিত বাবুর্চি আইলা বিধ্বস্ততায় পর্যুদস্ত। তাই কামরুল ইসলামকে রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা শহর থেকে গেছি বলে উনি হয়তো ভেবে বসেছেন আমরা কোনো সরকারী আমলা। সেই ভুল জ্ঞান নিয়ে তিনি আমাদেরকে ব্যাপক তেল দিয়ে রেঁধে খাইয়েছেন। শুধু তেল না, অতি তেলের সঙ্গে অতি মশলার যোগানও ছিলো। এর ফল একটাই... দ্বিতীয়দিন থেকেই ওরস্যালাইন সবার খুব প্রিয় খাদ্য হয়ে গেলো।

(সুন্দরবন গিয়ে কোথায় বাঘ হরিঙের কথা বলবো, তা না করে আমি একের পর এক মানুষের কথা বলে যাচ্ছি। আমারে কইষা মাইনাস... )

যাহোক... সবার কথা যখন হলো, তো আমাদের নিরাপত্তা প্রহরীর (অতন্দ্র প্রহরী না কিন্তু) কথাও একটু বলে নেই।
গাজী ভাই। পুরো নাম গাজী নূরুল ইসলাম। একেবারেই ছোটখাটো একটা মানুষ। অন্য দুজন প্রহরীর তুলনায় তাকে একেবারেই বেমানান লাগে। কিন্তু ক্যারিশমা তিনি দেখাতে লাগলেন ধীরে ধীরে। দেখা গেলো এই অঞ্চলের খাল বিল থেকে শুরু করে সব তার নখদর্পন। দীর্ঘজীবন সুন্দরবনেই কাটিয়েছেন। ভালোবাসেন সুন্দরবনকে, আপাদমস্তক জানেন এই বনকে।

এমদাদ হোসেনের চেহারায় একটা ডাকাত ডাকাত ভাব আছে। চরিত্রেও। কাউকেই পাত্তা দিতে মন চায় না। বাঘ টাঘেরও কোনো বেইল নাই তার কাছে।
বিশ্বনাথ দত্ত সেই তুলনায় একটু অলস। নাদুস নুদুস চেহারাটা যত্নেই রক্ষা করতে চান। কিন্তু সাহস আকাশের মতো বিশাল। লুঙ্গি কাছা মেরে যখন নেমে যান বন্দুক কাঁধে। দেখতে দারুণ লাগে।

একটা মজার কথা বলি... যে বাঘ দেখতে আমরা অতো আয়োজন করে যাই, অথচ পাই না, সেই বাঘ এই লোকগুলোর কাছে আক্ষরিক অর্থেই মামা। বাঘ দেখার গল্প এতো অনায়াসে বলে তারা... ঠিক যেমন আমরা দেখি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক্যাল চ্যানেলে।

সব মিলিয়ে আমরা মোট সতের জন। নাও ভাসাইলাম অকূল দরিয়ায়। নদীর পাড় দিয়ে নৌকা যায়, আমরা দেখি উঁচু সড়ক বা বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে। একসময় সুন্দর গ্রাম ছিলো। জলাবদ্ধতা আর বন্যায় সব ডুবে গেছে, এখন তারা আশ্রয়হীন, সম্বলহীন, খাদ্যহীন। এই গ্রামেই একসময় থাকতেন বাঘের ত্রাস পচাব্দী গাজী।

আমরা চাইলে তো লঞ্চ নিয়েই সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারতাম। বেশ আরামে। কিন্তু কেন এই ছোট নৌকা? কারণ একটাই, সুন্দরবনকে খুব কাছ থেকে দেখা। লঞ্চগুলো বড় বড় নদী দিয়ে চলে যায়। ঐ দূরে দেখা যায় সুন্দরবন। আমরা এই ছোট নৌকা নিয়ে চড়ে বেড়াতে লাগলাম খালে বিলে। হাত দিয়ে গোলপাতাকে ছুঁইয়ে দেওয়ার দূরত্ব দিয়ে। এমনও খাল, নাও চলে না, আটকে যায়। আর তক্ষুনি হাসিমুখে ছিটকে নেমে পড়ে আব্দুল ওহাব, আতিয়ার শওকতরা... মারো ঠেলা হেইয়ো... নাওয়ের কী সাধ্য আটকে থাকে?

আমরা দেখি গাছের গায়ে জাল দিয়ে নিশানা দেওয়া। তার মানে এখানে কয়দিন আগেই বাঘ আক্রমন করেছে মানুষকে। নিশানা দেওয়াটা সুন্দরবনের একটা রেওয়াজ।
আমরা দেখি ছোট ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছে ছেলেরা, মেয়েরা। সেসব পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই বনের আরো গভীরের দিকে। বিকেলের পড়ন্ত আলোয় আমরা ঢুকে যাই সুন্দরবনের অপার রহস্যের ভেতরে। এর মধ্যে পার হয়ে যাই শাকবাড়ীয়া খাল, খাসীটানা টহলফাঁড়ি, ছেঁড়া খাল। তারপর সন্ধ্যা হয় হয় সময়ে আমরা এসে থামি গেউয়াখালী টহলফাঁড়ি। এখানেই আমাদের নকটার্ন।

এই ফাঁড়িটা দারুণ সুন্দর। সন্ধ্যার লালচে আলোয় আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো। ফাঁড়ির সামনে একটা ছোট খাল, সেই খালের ওপারে বন। সেই বনে বাঘ এলে তাই এই ফাঁড়ির বারান্দায় বসেই খুব নিরাপদে দেখা যায়।
নৌকা থামলে আমরা নেমে একটু হাঁটলাম। আব্দুল ওহাবরা নেমে গেলো মাছ ধরতে। কেউ গেলো কাঠ কেটে জ্বালানি তৈরিতে। গাছ থেকে তোলা হলো কেওড়া। এ কেওড়া আমরা খাবো ডালের সঙ্গে। সব মিলিয়ে বেশ একটা দারুণ পরিবেশ। সুন্দরবনে প্রথম রাতের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আর ঠিক তক্ষুনি, মন কাঁপিয়ে, বন কাঁপিয়ে দিলো বন্দুকের গুলির আওয়াজ!!!


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবির জন্য হাহুতাশ কইরেন্না... ছবি দেওনের মালিক মুস্তাফিজ ভাই... এই দিলো বইলা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দৃশা এর ছবি

মানুষের সুখ ফুর্তি দেখলে মাটি খুইড়া কবর দিতাম মন চায়।
মানুষগোরে না... নিজেরে। মন খারাপ

দৃশা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফুর্তি তো এখনো শুরুই করি নাই... মোটে তো আলাপ চলতেছে... পরের পর্বে দেখবেন ফুর্তি কারে কয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

আপনি নিজেও কিন্তু অনেক ছবি তুলছেন, সেইগুলা কই?

...........................
Every Picture Tells a Story

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার ছবির রাজ্যে আমি দ্বীনভিখারি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দে বাবা, দে। আল্লার ওয়াস্তে দুইটা ফটুক দে। রোযা রমযানের দিনে না করিস না বাপধন!

[ভিক্ষাবৃত্তিক তুই-তুকারী; মার্জনীয়]
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সুন্দর বনের পাশে থাকি। এবার আইলে লগে লইয়েন। মামুর লগে আমার ভাব আছে!
মনুষ্যত্বের দল

এম. এ. আহম্মদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আইচ্ছা,..
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

উফ্ আপনাদের সাসপেন্স সত্যি আর সহ্য হচ্ছে না।
ছবি পোস্টের যুগলবন্দী চাই।
এখন মনে হচ্ছে বাকী টা একটানে শেষ করতে পারলে ভাল হতো।
এই সিরিজের জন্য অপেক্ষা করতে করতে জান শ্যাষ .......
ভাই , তাড়াতাড়ি...........

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আসিতেছে... ২৪ প্রথম পাতায় দুইটা পোস্ট দেখতে আমার নিজেরই কেমন অস্বস্তি লাগে... এইটা আগে পরের পাতায় যাউক। আর ছবি নিয়া মুস্তফিজ ভাই হাজির হইতেছে অচিরেই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আরে অস্বস্তির কী আছে?
এসব ধানাই পানাই বাদ দেন।
জীবনে কত (আমার কাছে অসামান্য )জিনিস পেতে যে সাধ্য সাধনা করতে হচ্ছে বা হয়েছে তার শেষ নাই ।
এ মুহূর্তে বোধ হয় নতুন আর অসামান্য একটা বিষয় যুক্ত হয়েছে তালিকায় ।
এই সুন্দরবন সিরিজ!
সুতরাং পাতার হিসেব নিয়ে চিন্তা না করে লেখা দেন।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ছবি চাই ছবি চাই! ছবি ছাড়া কমেন্ট নাই খাইছে
-------------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উফ, কইলাম না ছবি আসতেছে? ধৈর্য্যনং সচলাতং তফঃ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার অসম্ভব সুন্দর বর্ণনা আর সুন্দরবনের অপরিসীম সাহসী এইসব মানুষদের বর্ণনার জন্য ছবির কথা ভুলেই গেলাম। পণ ভেঙে তাই মন্তব্যও দিচ্ছি। চলুক নজরুল ভাই, প্লীজ যতটা সম্ভব বিস্তারিত লিখবেন। সুন্দরবন আমার মনের মধ্যে ঢুকে আছে। যত পড়ি ততই ভালো লাগে।
...............................
নিসর্গ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

থ্যাঙ্কস পিপিদা... যতটুকু মনে আছে চেষ্টা করবো লিখতে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসাধারণ! বেশি জোস! এমন টানটান লেখা... এতো দারুণ ভ্রমণকাহিনী বহুদিন পড়িনি। এমন এমন জায়গায় থামেন, পরের অংশ পড়ার জন্য কেমন যেন লাগে। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিয়েন। আপনার নিজের তোলা ছবিগুলা পোস্টের সাথে দিলেও তো পারেন। আর মুস্তাফিজ ভাইয়ের আলাদা সিরিজ তো আছেই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধুর... যতো মজা হইছে, তার ছিটেফোটাও এই লেখা পইড়া বুঝবেন না... সত্যি মাঝে মাঝে খুব অসহায় লাগে।

তাড়াতাড়িই আসবে পরের পর্ব... আমার নিজের তোলা ছবি কতোটা আর ভালো বলেন? যেখানে মুস্তাফিজ ভাই স্বয়ং হাজির?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুর্দান্ত এর ছবি

পড়িতেছি আর আমোদ পাইতেছি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ফুর্তি তো এখনো শুরুই করি নাই... মোটে তো আলাপ চলতেছে... পরের পর্বে দেখবেন ফুর্তি কারে কয়

যত পড়ছি তত ভাল্লাগছে।পুরোটা পড়তে চাই। পড়তে পড়তে সুন্দরবন ঘুরে আসতে চাই। ধন্যবাদ নজরুল ভাই এত সুন্দর ভ্রমণ কাহিনীর জন্য। সবটুকু পড়ার অপেক্ষায় রইলাম.........।।

নৈশী ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আসিতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

খাসা লাগছে পড়তে, আরো চাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আসিতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

লেখা পইড়া তাব্ধা হইয়া রইছি, কথা কইতে পারিনা। পরে ছবি আইলে কথা কমু।
----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লেখা পইড়াই তাব্দা খায়া গেলেন? মুস্তাফিজ ভাই ছবি দিতেছে... তখন একেবারে লা জবাব হয়ে যাবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপনে লুকটা কঠিন খ্রাপ, খ্রাপ, খ্রাপ... এম্নে শ্যাষ করে? তাড়াতাড়ি দ্যান...সহেনা যাতনা... মন খারাপ

---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খ্রাপ কইলেন আমারে? তাইলে কিন্তু লেখুম্না আর... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

কাদায় আটকায় দিলেন তো পোস্টটারে। এখন কে ঠেলবো?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঠেলতেছে তো দেখি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

পোস্ট টা গুলির শব্দে স্থবির হয়ে গেলো!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... এমুন ডরাইছি... আর লেখার সাহস নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মৃত্তিকা এর ছবি

লেখা অতি উত্তম হইয়াছে। পড়তে পড়তে কল্পনায় ছবিগুলো দেখতে পেলাম যেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, আর ছবির জন্যে তো অবশ্যই!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার নিকনামটা অনেক সুন্দর... অচিরেই আসিতেছে পরের পর্ব
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার লেখাটি খুবই খুবই ভালো লাগছে। সুন্দরবনের শহরে জন্মেছি যদিও, কিন্তু ওখানে যাওয়া হয়নি কখনো। একবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তার কাহিনী আমার ঢাবির সিরিজে লিখেছিলাম। পড়েছেন বোধকরি।
ছেলেবেলায় একটি বই পড়েছিলাম "সুন্দরবনের ইতিহাস" নামে। ঢাউস বই, কিন্তু অনেক তথ্যবহুল। লেখক এম এ জলিল বলে একজন। তাতে পচাব্দী গাজীর কিসসা কাহিনির বিস্তারিত বয়ান ছিল। পচাব্দী গাজীর কাকা কিতাব্দী গাজীর কথাও ছিল যাকে বাঘে থাপ্পড় মেরে মুখের একপাশ উড়িয়ে দিয়েছিল।
আবারও বলছি, লেখাটি খুব ভালো লাগছে পড়তে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঢাবি সিরিজে আপনার সুন্দরবন কাহিনী পড়েছিলাম।
আর পচাব্দী গাজীর কথা আমি প্রথম পড়ি অনেক আগে... দৈনিক বাংলায় একটা লেখা ছাপা হইছিলো। তারপরে পড়ি সেবার বইতে... খসরু চৌধুরীর লেখায়

ধন্যবাদ জাহিদ ভাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আস্তিছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

নজরুল, তোমার লেখা খুবই ভালো লাগছে।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

উজানগাঁ এর ছবি

আর ঠিক তক্ষুনি, মন কাঁপিয়ে, বন কাঁপিয়ে দিলো বন্দুকের গুলির আওয়াজ!!!

ধারাবাহিক লেখার ক্ষেত্রে একটা নীতিমালার প্রয়োজন অনুভব করছি এই মুহূর্তে। চোখ টিপি

ভালো লাগছে। তবে লেখার আয়তন একটু বড় করা গেলে আরেকটু বেশী ভালো লাগতো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধারাবাহিক নাটক লেইখা অভ্যাস তো, তাই ক্লিফ হ্যাঙ্গারের দিকে ঝোঁক। চোখ টিপি
আচ্ছা যান, পরের পর্ব থেকে আর এরকম থাকবে না।

লেখার আয়তন আরো বড়? আমার তো এইটারেই বিরাট মনে হইছে। ভাবতেছিলাম হিমুর মতো হাতিমার্কা সাবধানতা বসায়ে দেই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে ধুর, লেখার আয়তন কমাবেন না তো বটেই, পারলে বাড়ান। আর, সত্যি বলতে, 'ক্লিফ হ্যাঙ্গার'ও কিন্তু অন্যরকম মজার দেঁতো হাসি

অনুরোধ খালি একটাই, মাঝপথে থাইমেন না।

সমুদ্র এর ছবি

জটিল হইছে! অনেকদিন পরে ভ্রমণকাহিনী পড়ে দারুণ মজা পেলাম।
ক্লিফে বেশিক্ষণ হ্যাং করায় রাইখেন না হাসি

"Life happens while we are busy planning it"

মামুন হক এর ছবি

এই ফাঁড়িটা দারুণ সুন্দর। সন্ধ্যার লালচে আলোয় আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো। ফাঁড়ির সামনে একটা ছোট খাল, সেই খালের ওপারে বন। সেই বনে বাঘ এলে তাই এই ফাঁড়ির বারান্দায় বসেই খুব নিরাপদে দেখা যায়।
নৌকা থামলে আমরা নেমে একটু হাঁটলাম। আব্দুল ওহাবরা নেমে গেলো মাছ ধরতে। কেউ গেলো কাঠ কেটে জ্বালানি তৈরিতে। গাছ থেকে তোলা হলো কেওড়া। এ কেওড়া আমরা খাবো ডালের সঙ্গে। সব মিলিয়ে বেশ একটা দারুণ পরিবেশ। সুন্দরবনে প্রথম রাতের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

--- পড়তে পড়তে প্রায় ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলাম। গুলির শব্দে হুঁশ ফিরে পাইছি হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

পর্বের শেষ দেইখাই বইলা দেওয়া যায় যে, এই পাবলিক ধারাবাহিক নাটক ল্যাখে... মন খারাপ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

সহমত ১০০ তে ১১০ পার্সেন্ট সহমত ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ব্বাহ্! চলুক
এই না হৈলে আর নাট্যকার-নাট্যপরিচালক!
কীরকম একটা সাসপেন্স দিয়ে শেষ করছেন পরের এপিসোড দেখাটা নিশ্চিত করতে! হাসি
হেব্বি হৈতেছে বস! রীতিমতো সবুজ, পানি, ম্যাংগ্রোভ আর কালো মাটির গন্ধ পাইতেছি নাকে!
চালায়া যান, গুলি হোক যা-ই হোক, মাইরা যান। দেঁতো হাসি
__________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তানবীরা এর ছবি

আমরা দেখি ছোট ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছে ছেলেরা, মেয়েরা। সেসব পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই বনের আরো গভীরের দিকে। বিকেলের পড়ন্ত আলোয় আমরা ঢুকে যাই সুন্দরবনের অপার রহস্যের ভেতরে।

মনে হচ্ছে, ব্লু লেগুন সিনেমার কথা। কিংবা বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল বইয়ের কথা। অর্পূব।

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সুন্দরবন গিয়ে কোথায় বাঘ হরিঙের কথা বলবো, তা না করে আমি একের পর এক মানুষের কথা বলে যাচ্ছি। আমারে কইষা মাইনাস.

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

জটিলস্য জটিল, নমস্য ব্যক্তি আপনে, কী অসাধারন করে না লিখতেছেন, আর বলতেছেন আরো মজা করেছেন, হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছি মন খারাপ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।