পূর্বপর্ব
কি মাঝি ডরাইলা?
কথা সত্য... সুন্দরবন এমনিতে বেশ নির্জন। ঢাকার মতো শব্দ দূষিত নগর থেকে গেলে সেই নির্জনতাটা খুব সশব্দ বাজে কানে।
তার মধ্যে এই দারুণ সান্ধ্য নির্জন পরিবেশে, যেখানে বনমোরগগুলো ডাকিতেছিলো, পাখিগুলো যাচ্ছিলো উড়ে উড়ে দূরে অথবা নীড়ে... আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে কয়েকজন জাল ফেলছিলো মাছ ধরতে। শরীফ ভাই তার ৫০০ মিমি ক্যামেরায় ছোট্ট তিড়িং বিড়িং আবাবিল পাখির ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক তখন এই নির্জনতা ভেদ করা গুলির শব্দে না ডরানোর তো কিছু নাই।
কিন্তু দেখা গেলো ভয়ের ততোটা কারন নেই। আমাদের বনপ্রহরী ইমদাদ গুলি ছুঁড়েছে। আশেপাশে বাঘ থাকলে তাকে সতর্ক করে দেওয়াই উদ্দেশ্য। আবার বন্দুকটা ঠিকঠাক কাজ করে কী না তারও একটা পরীক্ষা হয়ে গেলো।
আমাদের অন্তরের অন্দরে ফিরে এলো আত্মা।
এদিকে ফটোশিকারীরা ফটো তুলেই যাচ্ছে অবিরাম। কেউ তোলে জাল ফেলার ছবি, কেউ তোলে পাখির ছবি, কেউ টহলফাড়ির ছবি, কেউবা বনের। লীলেন্দা এই অবসরে খুলে বসলেন ল্যাপটপ। ইন্টারনেটের সিগনাল খুব কম। তবু এই আধো আসি আধো যাই অন্তর্জালে আমরা খুলে বসি সচলায়তনের পাতা।
একটু পরেই আঁধার নেমে এলো। ক্যামেরা সব বন্ধ। আমরা গোল হয়ে বসলাম। আমরা ঘন হয়ে বসলাম। রাশিয়ান সাদা সাদা কী যেন একটা তরল পদার্থ বের হলো। এগুলো আমি আবার ভালো চিনি না। কিন্তু পড়েছি মোঘলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে বলে কথা। তাই আমিও দুঢোক গিলতে লাগলাম।
এর মধ্যে মুস্তাফিজ ভাই পয়লাই জমিয়ে দিলেন তার বিখ্যাত ঢুঙলালা উঙলালা গান দিয়ে। দেখা গেলো এই গান এতোই জনপ্রিয় হয়েছে যে পরের সবগুলো দিন মাঝি মাল্লার কণ্ঠে কণ্ঠে এই গান ধ্বনিত হয়েছে।
দলের অনেকেই বেশ ভদ্রলোক। তারা এসব তরল পদার্থ পান করেন না। কিন্তু আড্ডায় সকলেই অংশীদার। সঙ্গে মুড়ি চানাচুর ঝাল করে মাখানো। আহ্
যেইনা মোটে জমে উঠেছে আড্ডা, তখনই ম্যানেজার জুবায়ের ভাই ঘোষণা দিলো আজকের মতো অধিবেশন সমাপ্ত।
হায় হায়, কস্কী মমিন? হপায় তো শুরু করলাম। এখন থামতে কওয়া আর কুম্ভিরাকীর্ণ সুন্দরবনের জলে ডুব দেওয়া তো সমান কথা। অবশেষে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা আর সংগ্রামের ফলে আবার খোলা হলো। এবার যোগ দিলেন বাপ্পী ভাইও। মেলে ধরলেন তার জ্ঞানের ভাণ্ডার। সুন্দরবন সম্পর্কে... সুন্দরবনের মানুষ সম্পর্কে... প্রাণী সম্পর্কে... এই নৌকায় আসা আগের ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে নানাবিধ মজার মজার কথা... আর গান। জমিয়ে তুললেন পুরো আসর।
তবে আসরের এখনো মজাটাই বাকী ছিলো। শুরু করলেন লীলেন্দা। প্রথমেই ঘোষণা দিলেন ফটোগ্রাফাররা কোনো কাজের না। সূর্য ডুবলেই এদের কোনো কাজ থাকে না। সবকয়টা হাকুল্লার মতো বইসা থাকে। লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি তখন একেবারে অকেজো। তারচেয়ে লেখকরাই ভালো। মাত্র তিন টাকার একটা কলম হলেই দিবারাত্র তারা লিখতে পারে।
এই মহৎ এবং অমোঘ বাণী তোলপাড় তুললো, হাসিতে হাসিতে ফটোগ্রাফাররা গড়াগড়ি অবস্থা। এর মধ্যেই আসামী বানানো হলো বাপ্পী ভাইকে। সুন্দরবনে ঘুরতে এসে মুরগী কেন খাবো আমরা? এ দিয়ে শুরু করে বাপ্পীদাকে তুমুল রসাত্মক গালাগালি। বাপ্পীদাও দারুণ মজার লোক, একের পর এক ঠেকিয়ে দিচ্ছেন সব বাউন্সার। সুবিধা করতে না পেরে লীলেন্দা চড়াও হলেন ম্যানেজার জুবায়ের-এর ওপর। ততক্ষনে তিনি নীরবেই আসরের সমাপনী টেনেছেন। এই দোষে তাকে মোটামুটি...
যাহোক... কী করা হয়েছে তা আর বললাম না। তবে রাতে সবাই যখন ঘুমঘোরে। তখন জুবায়ের ভাইকে খুব ঘনঘন বাথরুমে যেতে দেখা গেলো।
নৌকা ছোট হলেও এর তেজ ভারী। পেছনে ছোট একটা টয়লেট, সেখানে হাই কমোড আছে। টিসু্ আছে। সাবান আছে। আর কী চাই?
কিন্তু দেখা গেলো একাধিক টয়লেট দরকার হয়ে গেলো। জুবায়ের ভাই যখন টয়লেটে থাকে তখন মামুন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সার্কাস দেখায়। আর মামুন যখন থাকে তখন জুবায়ের ভাই। এইভাবে চলতে লাগলো দিন।
নৌকা চললো নদী বেয়ে। আমরা আন্দারমানিক নদী পার হলাম। আলকী দ্বীপকে পাশ কাটালাম। গিয়ে পড়লাম হংসরাজ নদীতে। সেখানে দুপাশে প্রচুর গোলপাতার ঝোপ। সে এক মনোহর দৃশ্য। সেটা পার হয়ে আমরা পাটকোষ্টা খাল পেরুলাম। দাঁড়ালাম হংসরাজ টহলফাঁড়ির সামনে। আইলায় পুরোই ধ্বসে গেছে। কিছু সুন্দরী গাছ খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছে প্রেত নগরীর মতো। হংসরাজে কংসরাজের বংশধর হয়ে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে কেবল একটা বেড়াল।
বাপ্পীদা এখান থেকে কিছু জ্বালানী কাঠ তুলে নিলেন। পাশেই চারটি জেলে নৌকা মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। তারা দেড় মাসের অনন্ত সফরে বের হয়েছে। জেলে নৌকাই পৃথিবী। সেখান থেকে তুলে নেওয়া হলো কয়েকটা বড় বড় মাছ। উপহার। আর তোলা হলো প্রচুর ছবি। চমৎকার রোদ ছিলো তখন।
বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হলো আবার। মাইট্যা ভাড়ানী খালে গিয়ে পড়লাম। রোদ ততক্ষনে লুকিয়েছে মেঘের আড়ে। আর মরাকাগা নদীতে যেতে যেতে শুরু হলো ঝড়। সে কী ঝড়। আমাদের ছোট তরী... ডুবে নাহি যায়!!
কোনোরকমে এক খালে গিয়ে আশ্রয় নিলো নৌকা। আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে নামছে তখন। আমাদের বিছানা বালিশ ব্যাগ ট্যাগ সব ভিজে ভিজে একাকার। টুপটুপিয়ে পানি পড়ে, আমরা কোনোরকমে ক্যামেরার যন্ত্রপাতিগুলো বাঁচাই বৃষ্টিজল থেকে।
এই যাত্রায় সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি আতিয়ার ভাই, দ্বিতীয় স্থানেই আছেন মুস্তাফিজ ভাই। কিন্তু এইটা কাগজে কলমে, দেখা গেলো তারচেয়ে পোলাপান আর একটাও নাই। এই ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই তিনি নেমে গেলেন নদীতে। ঝড় দেখে অথবা মুস্তাফিজ ভাইকে দেখে ভয়ে ততক্ষনে অত্রাঞ্চল ছেড়ে কুমীর সব পালিয়েছে। মুস্তাফিজ ভাই তোয়ালে পেঁচিয়ে ক্যামেরা নিয়ে সাঁতরে উঠে গেলেন মরাকাগা দ্বীপে। কথায় আছে মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন, সেই পথ প্রাতঃস্মরণীয়। তো মুস্তাফিজ ভাইয়ের দেখাদেখি জলে নামার ঢল নামলো। তুষার, জুবায়ের ভাই, রয়েল ভাই, লীলেন্দা, অপু নেমে গেলো। তারপর তুলতে লাগলো ছবি। লীলেন্দা ৩ টাকার কলমের বদলে সিগারেট জ্বালিয়ে হাতের মুঠোয় লুকিয়ে বৃষ্টি বাঁচিয়ে ধোঁয়া খেতে থাকেন।
আমার ক্যামেরার ব্যাটারির চার্জ নাই। সেই দুঃখে আর মেজাজ খারাপে আমি নামি না। বসে বসে নৌকার জানালা দিয়ে তাদের দেখি আর মুস্তাফিজ ভাইয়ের জি৯ দিয়ে ছবি তুলি।
একসময় বৃষ্টি থামলো। নৌকা চলতে শুরু করলো আবার। মরাকাগা নদী থেকে আমরা এলাম কেওড়াশুটি খালে। এবার বুঝলাম বড় বড় লঞ্চে বা ট্রলারে যারা সুন্দরবন দেখতে আসে, তারা আসলে কিছুই দেখে না। এই খালের পুরোটা যাত্রা কতো যে সুন্দর। তা বর্ণনা করার সাধ্য আমার নাই। মুস্তাফিজ ভাই যদি পারেন ছবি দিয়ে হয়তো কিছুটা লাঘব করতে পারবেন।
অসাধারণ। বৃষ্টি ধোয়া গাছগুলো যেন চনমনিয়ে নেচে নেচে উঠছে। আকাশের রঙটা হয়েছে দেখার মতো। চারপাশে পাখির কলকাকলী, ক্ষনে ক্ষনে সাদা বক উড়ে যায়। গোলপাতার মগডালে বসে আছে বাহারী রঙের পাখি। আমাদের নৌকার ইঞ্জিনের শব্দটাই কেবল তখন সবচেয়ে বেসুরো।
আর এরকম একটা দৃশ্য পেলে যা হয়। সকলে পাগলের মতো ছবি তুলতে লাগলেন। আমার ছবি তোলার জো নাই, কিন্তু তার জন্য মোটেও কষ্ট থাকে না। মনে হয় এই পরিবেশ শুধু চুপ করে বসে থেকে উপভোগ করার।
খালটাও বেশ দীর্ঘ। অনেকটা সময় আমরা কাটাই অদ্ভূত এক মাদকতায়। তারপর নৌকা গিয়ে পড়ে বালীর গাঙ নদীতে। ততক্ষনে বিকেলের রোদ সোনারঙ হয়ে গেছে। নৌকা ভিড়লো নীলকমলে। এর আরেক নাম হিরণ পয়েন্ট।
পুরনো আমলের বেশ বড় আকারের জেটি... মরচে পড়া রঙ... নৌকা ভিড়লো। সবাই একটু হাত পা নেড়ে নামার জন্য তৈরি হয়ে ডেকে এসে দাঁড়ায়।
আর তখুনি... ঠিক তক্ষুনি... কেউ একজন চিত্কার করে ওঠে... বাঘ বাঘ বলে... আমাদের রক্ত হিম হয়ে আসে...
(চলবে)
মন্তব্য
দুর্দান্ত!!!!!
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা। আপনে মিয়া আজকেও শেষ করলেন এমন এক জায়গায়...!
চ্রম হচ্ছে। খুব ভাল্লাগতেছে সিরিজটা। ফাটাফাটি।
নিজের তোলা ছবিই কিছু দেন না রে ভাই। মুস্তাফিজ ভাই তো দিচ্ছেনই। আপনেও দেন আপনার পোস্টের সাথে।
চলুক।
ছবি দিতেছি না মূলত আইলসামিতে। ছবি দিতে অনেক সময় আর কষ্ট লাগে। আমি অসুইখ্যা মানুষ। কোনোরকমে এইটা লিখে খালাস... ফটোগ্রাফাররা যে আসলে ৩ টাকার কলমদারদের চেয়ে কাজের, সেইটা প্রমাণের দায়িত্ব মুস্তাফিজ ভাইয়ের
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অসুখ নিয়েই যে লেখা দিলেন! দেখা যাক ছবির পোস্ট কেমন আসে। এইবার কিন্তু আসলেই মুস্তাফিজ ভাইয়ের উপর চাপ অনেক বাড়লো। গুরুদায়িত্ব এখন উনার উপর
চলুক...
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
চলিতেছে... না চলিলে বাঘে খাবে যে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাইরে বাঘ হজম করিতে পারিবে না...
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
ক্যান, আমি কি লোহা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লোহা হইতে যাইবেন ক্যান। আপনি নজরুল ইসলাম, তাই।
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
উরে খাইছে! ডরে তো আমার রক্ত হিম হয়ে আসতেছে!!
হ... আমরাও ব্যাপক ডরাইছিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খ্রান আন্দাজ করি। বনপ্রহরী ইমদাদের কাম। লোকজনরে সতর্ক করা, পাশাপাশি গলাটা কাম করে কি না পরীক্ষা হয়ে গেলো। নাকি ?
পথিক, তুমি ভুল পথে ধাবিত হইতেছো... নিজের প্রোফাইল পিকচারেও তুমি বাঘের ছবি দেকিতেছো না? তোমাকে দিক্কার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সুন্দরবন থেকে ফিরে আসার পর আপনার চেহারা ব্যাপক ঝলকাইতেছে। এইটা যে সেই সাদা তরল নিসৃত পদার্থের কারণে সেইটা কিন্তু আমি বলি নাই
ছবি দিয়ে সেই সৌন্দর্যের কতখানি তুলে আনতে পারবেন মুস্তাফিজ ভাই এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমার অভিজ্ঞতা যেটা বলে, ভয়াবহ সৌন্দর্যের সামনে ক্যামেরা/ফটেগ্রাফার সব তুচ্ছ। সৌন্দর্য্যের সিকিভাব কেউ তুলে আনতে পারেন না ছবিতে। তখন খুব অসহায় মনে হয়, মনে হয় কিছু সৌন্দর্য শুধু দেখার আর অনুভবের সেটা ক্যামেরায় ধারন করার চেষ্টা বৃথা।
আপনার সেই মুলো ঝুলানোর অভ্যাসটা গেল না। আবার একটা অস্বস্থিকর জায়গায় এসে থেমে গেলেন।
ধুরো... এইটা আগের ছবি...
আসলেই... ক্যামেরায় ওয়াইড এঙ্গেল লাগায়াও চোখের মতো বিশাল তো করা যায় না
মুলো না ঝুলালে কী আর এইসব পড়তেন? এসব দিয়ে টিয়ে পাঠক বাড়াই আর কী...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই...
আপনি লোকটা খুব খ্রাপ।
আবারো এমন জায়গায় শেষ করলেন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঠিকাছে... আপনে শেষ লাইনের আগের লাইন পর্যন্ত পড়েন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইভাবে আলিফ-লায়লা ইশটাইলে গঠনা থামানোয় দিক্কার।
এইরমই অইবো, এত্তে ভালোইতোনো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কিন্তু দেখা গেলো একাধিক টয়লেট দরকার হয়ে গেলো। জুবায়ের ভাই যখন টয়লেটে থাকে তখন মামুন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সার্কাস দেখায়। আর মামুন যখন থাকে তখন জুবায়ের ভাই।
এই জায়গাটা বুঝতারলাম না। প্রকৃতি দেখতে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে পুরুষ মানুষদের টয়লেটের সামনে সার্কাস নাচতে হবে কেন? সুন্দরবনের প্রকৃতি কি দোষ করল? ঐটারে আর একটু উর্বর বানানো যায় না?
বাঘ বাঘ বলে... আমাদের রক্ত হীম হয়ে আসে...
আমার রক্ত ঠিকাছে। সবাই যখন সুস্থ আইসা ব্লগাইতেছেন তাইলে বাঘের প্যাটে যান নাই কি কন ?
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সার্কাস কী আর সাধে দেখায়? পরদিন এইটা মুস্তাফিজ ভাই এক্টিং কইরা দেখাইছিলো। সেইটার তো ভিডিও নাই, দেখলে বুঝতেন...
বাঘের পেটে যাই নাই, বাঘ আমাদের পেটে গেছে কী না সেইটাই হইলো কথা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেদিন সন্ধ্যায় গুলি ছোঁড়ার পেছনে একটা গোপন কারন আছে যা আমাদের সবার সামনে বলা হয় নাই। আমরা যেখানে নেমেছিলাম সেটা একটা ফরেস্ট অফিস, সেদিন দুপুরেও ১০/১৫ জন ডাকাত এর পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়েছে অর্থাৎ ওরা আশে পাশেই থাকে এবং জানে এ ফরেস্ট অফিসে আর্মস নেই। গার্ড গাজীর মাধ্যমে এ খবর বাপ্পি ভায়ের কাছে আসার পর সিদ্ধান্ত হয় গুলি ছোঁড়ার, তাতে ডাকাতদের জানান দেয়া হলো যে এখন এ অফিসে আর্মস আছে এবং রাতে থাকবে। আমি ঘটনাটা তখনই জেনেছি এবং ঐ ফরেস্ট অফিসের লোকদের সামনে গুলি যে ছোঁড়া হয়েছে তার সাক্ষী হিসাবে কাগজে সই করতে দেখেছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই তাইলে গঠনা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চিন্তার বিষয়
...........................
Every Picture Tells a Story
আবারো এমন ভাবে থামতে হলো.........আবারো অপেক্ষা............
নৈশী ।
স্যরি নৈশী... আসিতেছে পরের পর্ব...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অসাধারন!! একনাগারে পড়ে ফেললাম!! চলতে থাকুক
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
চলিতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাঘের গোস্ত কেমন?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
প্রশ্নটা লীলেন্দারে পাস করে দিলাম... তিনিই একমাত্র এই প্রশ্নের উত্তর জানেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পড়িলাম এবং পড়িতে থাকিব।
আমিও লিখিতে থাকিবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লিখতে থাকেন
আপনার লেখা কাটিং পেস্টিং দিয়া আমি একখান ভ্রমণ কাহিনী বানামু
আপনের কাহিনী বানাইতে আবার আমারটা কাট পেস্ট করতে হইবো? আপনে তো একলাই একশ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি যে টিভি সিরিয়াল বানানেওয়ালা, সেটা লেখা দেখে বোঝা যাচ্ছে। সবাইকে কিরকম ঝুলিয়ে রাখলেন। কবে যে আবার মাটিতে নামতে পারবো খোদা জানেন।
লেখা বিশ্রী রকমের ভালো। এই সব জিনিস পড়ে মনে হয়- আহা, আমিও যদি থাকতে পারতাম ওখানে। কলম যে তলওয়ারের চেয়ে শক্তিশালী, সেটা পড়েছিলাম ছেলেবেলায়। এখন তো আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে যে কলম (বা কীবোর্ড) ক্যামেরার চেয়েও ক্ষমতাধর। চালিয়ে যান।
আপনার ঢাবি সিরিজ পইড়া আমি কিন্তু ভাবছিলাম আপনেরে স্ক্রিপ্ট লেখার প্রস্তাব দিবো। সেখানে প্রতি পর্বের পরে ক্লিফ হ্যাঙ্গারগুলো দূর্দান্ত ছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ হইতেসে নজু ভাই... মনে পড়ে যাইতেসে আমার সুন্দরবন দেখার কথা...
এখন খালি প্রশ্ন... তারপরে?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
তারপরে এক বাঘ আসিলো... সেই বাঘ ধীরে ধীরে সবুজ হয়া গেলো... তারপর সে কবিতা লেখা শুরু করিলো... হরিঙের মাংস খাইতে লাগিলো...
আসিতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তার মানে হিরনপয়েন্টে বাঘের মূর্তি দর্শন?
সব জানা যাবে... আসিতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তারপরের গঠনা কন তাড়াতাড়ি........!!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কইতেছি তো... লাইনে খাড়ান, কাতার সোজা কইরা খাড়ান
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধৈর্য্য ধরে আছি সুনা, তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়েন!
.........................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
লাইনে কাতার সোজা কইরা খাড়ান... আসিতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইবারও শেষ দৃশ্য সেইরকম সাসপেন্সার হৈছে!
তবে, এইগুলা পড়তে পড়তে বড় হৈতে হৈতে শিখতেছি- ঘোল খাইলে বরং দুধের জন্য দুঃখ আরো বাড়ে! হায় রে!
তয়, কপিলা'র ডায়লগ দিয়া এপিসোড শুরু করাটা হেভি মজা লাগলো। রূপা'র কথা মনে পইড়া গ্যালো! ইস!! থুড়ি!!!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নাহ্, দূর্দান্ত এই সিরিজ পড়তে পড়তে সংযমী থাকাটাই মুশকিল হয়ে পড়ছে...
নতুন মন্তব্য করুন