প্রথম আলোর খবর যদি সত্য হয়, তাহলে বোঝা যাচ্ছে পুরনো আশঙ্কাই সত্য হতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার নানান টালবাহানায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেবলই পেছাতে চাচ্ছে। এই হচ্ছে হবে, প্রস্তুতি চলছে... এভাবেই কাটাতে থাকবে সময়।
অথচ এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিলোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রতিশ্রুতির গুড় ছিটিয়ে।
পত্রিকা বলছে কৌশলগত কারণে সরকার এখনই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করতে চাইছে না।
বাহ্, নির্বাচনে জেতার কৌশল হিসেবে মূল অস্ত্র যা, সেই অস্ত্রই এখন কৌশলে হেরে যাচ্ছে?
এ ছাড়া পর্যাপ্ত তথ্যচিত্র বা তথ্য সংগ্রহ, প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের কাজটি শুরু করতেও সময় লাগবে।
অথচ এটাই সরকারের অন্যতম কাজ হওয়া উচিত ছিলো প্রথম থেকেই। শুরু থেকেই নির্ভরযোগ্য কিছু ব্যক্তিকে এব্যাপারে সরকার দায়িত্ব না দিয়ে ফেলে রেখে এখন বলছে সময় লাগবে। এ তো চা খেতে বসিয়ে বাজারে চা আনতে পাঠানোর মতো কারবার...
এই মেয়াদে সরকার একটা ভালো কাজ করেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করতে পেরেছে (যদিও রায় এখনো কার্যকর হয়নি)। সেজন্য সাধুবাদ। এছাড়া খুব বড় কিছু কাজ এখনো করে ফেলতে পারেনি। যানজট আর দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে, নিরাপত্তাহীনতা চরম, থামাতে পারেনি ক্রসফায়ার... এরকম আরো বহু কিছু। তো করলোটা কী? যে এখনো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াটা শুরুই করতে পারছে না?
বিডিআর বিদ্রোহ, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের প্রতি সরকার এখন অধিক মনোযোগী।
লে ব্বাবা, এ তো একেবারে আমার মতো দশা হলো। প্রতিদিনই ভাবি কালকে থেকেই তো প্রচুর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বো, আজকে নাহয় একটু ফাঁকি দিয়ে নেই। সেই আগামীকালটা আর আসে না।
তবে এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা ভেবে আমি যারপরনাই শঙ্কিত। সরকার যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর হাতে কেন এই বার্তা তুলে দিচ্ছে যে এরকম ছোটখাটো ইসুগুলো শেষ না হলে সরকার বড় কাজে হাত দেবে না? পাগলকে সাঁকো নাড়াতে নিষেধ করার ভয়াবহতা সম্পর্কে মাননীয় সরকার কি অবগত আছেন?
যুদ্ধাপরাধের স্পর্শকাতর বিষয়ে বিচারের আগে সরকার চায়, এ বিষয়ে আরও জনমত তৈরি হোক এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠুক।
এই বাক্যটির মানে কী? সরকার কি এ বিষয়ে জনমত এখনো টের পায়নি? তাদের বাক্সে এতোগুলো ভোট যে আকাশ থেকে ভেসে আসেনি। নতুন প্রজন্ম যে শুধু এই একটি ইসুতেই সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে, তা কি সরকার ভুলে গেছে? এটাকে জনমত আর সামাজিক আন্দোলন বলে মনে হচ্ছে না!!!
বর্তমান প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের যে জায়গায় এই বিচার হবে, সেটি ভবিষ্যতে একটি জাদুঘর করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় রেখে বর্তমান ভবনকে স্থাপত্যশৈলী দিয়ে পুনঃ সংস্কারের প্রয়োজন হবে। এসব কাজ করতে কিছুটা সময় লাগবে।
এটা হাস্যকরের চেয়েও বেশি খোঁড়া যুক্তি হয়ে গেছে। মাননীয় সরকার, হাতে পায়ে ধরে বলি- জাদুঘর আমরা প্রয়োজনে চান্দা তুলে সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দিবো, সেইটা নিয়া আপনাকে ভাবতে হবে না, আপনি আগে মূল কাজটা করেন।
এতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকার ধারণা করছে এতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা আছে। আর বিচার না হলে পরিস্থিতি খুব স্থিতিশীল থাকছে? কোথায়? আরো যে অস্থিতিশীল হবে না, সেই নিশ্চয়তা কোথায়? আর পাব্লিক যে ক্ষেপবে না, ক্ষেপছে না, জনমত যে সরকারের বিরুদ্ধেও চলে যাবে না একসময়, সে নিশ্চয়তাই বা কে দিয়েছে?
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি এম তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, বিদেশ থেকে অনেক তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করছেন। তিনি জানান, সর্বোচ্চ ২০ জনের মতো, যাঁরা সরাসরি গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও পাশবিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের বিচার আগে হবে।
নেতৃস্থানীয় ২০ জন সম্পর্কে তথ্য যা থাকার তা হাতের মুঠোর কাছাকাছিই আছে। পাতাল খুড়ে কিছু খুঁজে বের করতে হবে না। বরঞ্চ কালক্ষেপ করলে সাক্ষী অনেকেরই জীবনাবসান হতে পারে।
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৯৭৩ সালের আইনে বিচারের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সুরক্ষা সম্ভব কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে আমি বুঝি না। এরা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসীর আদেশ নিয়েও অনেক আগডুম বাগডুম করলো কদিন দেখলাম। এখন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষেও শুরু করেছে। এরা মানবাধিকার বোঝে? ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিপরীতে দাঁড়িয়ে কোথায় এরা মানবাধিকার খোঁজে!
যাহোক, শুরু থেকেই নানামহল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিলো যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি এই সরকারের কেবলই একটা নির্বাচনী কৌশল। মসনদ পেলেই শুরু হবে টালবাহানা। আমরা ঘরপোড়া গরু হয়ে তবুও আশা রেখেছি, এবং এখনো রাখছি। বর্তমান সরকার বরাবরের মতো এবারও এতোবড় ভুল করবে না। নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবে না।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে, এবং তা এখন থেকেই। সব কাজ সমাধা করে না। এটাকেই গুরুত্ববিচারে আগে রাখতে হবে। কোনটা টালবাহানা আর কোনটা সত্যি কাজ, এটা জনগন এখন বোঝে। এটা মনে রাখতে হবে।
আর মনে রাখতে হবে- আগামী নির্বাচনেও ভোট কিন্তু জনগনই দিবে। হ...
মন্তব্য
বুঝিস, আমরাই কিন্তু জনগন। হ...!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খবরটা দেখার পর থেকেই মেজাজ বিগড়ে ছিল। আর সব কিছুর মত যুদ্ধরাপরাধীদের বিচারকে এক মঞ্চে আনা ঠিক নয়। প্রয়োজনীয়তার বিচারে এটি প্রথম ও প্রধানে থাকা উচিৎ। এই সরকার এই বিচারকাজ নিয়ে টালবাহানা করলে তাকে তার মাশুল দিতে হবে। নতুন প্রজন্ম এই ইস্যুটি নিয়ে যথেষ্ট সচেতন আর তাছাড়া আমাদেরকে মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের এই সব যুদ্ধাপরাধের সাক্ষীরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরেও যদি এই বিচারের জন্য উপযুক্ত সময় না আসে তাহলে কবে আসবে?
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সত্যিই সময় নাই। এখন যে কয়জন সাক্ষী আছে, আগামী কয়েক বছরে তার অর্ধেকও থাকবে না।
যা করার এবারই করতে হবে। কোনো বিকল্প নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আশা করছি সরকার এসব আশঙ্কা দূর করে দিয়ে শীঘ্রই কাজ শুরু করবে।
সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ আছে। পাকিস্তান তো বিশ্ব বিবেকের কাছে দেন দরবার চালাইতেছে ভালোমতোই।
এখন বাড়াইতে হবে আভ্যন্তরীণ চাপ। আমাদের মধ্য থেকে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সরকার কাজের কাজ না করে বালসজ্জায় নিবেদিত। মানি, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মতো আরো কিছু ঘটনা সরকারকে খানিকটা নাজুক অবস্থানে নিয়ে গেছে, কিন্তু তারা এটা কেন বুঝতে পারছে না যে দ্রুত এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা না হলে তারা সরকার, রাষ্ট্র ও জাতিকে আরো বড় আঘাত হানবে?
শুনলাম জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টে "হজরত শাহজালাল" বিমানবন্দর রাখা হবে। এইসব আবাইল্যা কামের পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন হতে দুই দিনও লাগে না, আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্ন উঠলেই দাদ খাউজাইতে হয়?
মন্তব্যে
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এইটা কিন্তু সত্যিই ভয়ের... সরকারকে ব্যস্ত রাখাটা এখন অনেকের জন্যই জরুরী হয়ে যাবে।
সরকারকে বুঝতে হবে যে, মূল না তুলতে পারলে বাঁশের আগা বাইর হইতেই থাকবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই একটা কথা মনে রাখলেই চলে...কিন্তু কোন শালায় রাখে না ...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মাথায় একটু ঘিলু থাকলেই রাখতো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি একটা অনুরোধ সবার কাছে করবো।
আসুন আমরা ইংরেজি উইকিতে এই যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আরো আর্টিকেল যোগ করি।
কেউ যদি উইকির প্যাঁচঘোঁচ না বোঝেন, সচলে লিখুন। টেক্সটা কপি করে নিয়ে মেজেঘষে উইকিতে যোগ করে দেবো।
কিন্তু আসুন লিখি।
এই অনুরোধটা আমিও সবার কাছে করি।
আমরা একটা কাজ করতে পারি। প্রথমে শীর্ষজারজ ২০ জনের নামের তালিকা করি। তারপর ভাগ বাটোয়ারা করে নেই কে কোনটা লিখবে। প্রয়োজনে ২০ জনে মিলে ২০টা লেখলাম। বা ১০ জনে ২টা কইরা ২০টা।
আমি মনে করি সর্বোচ্চ ২ দিনের মামলা...
শুরু হোক তাইলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা পোস্টে বা ইবুকে আমরা এগুলো একত্র করে ফেলি। তারপরে একযোগে সেগুলো উইকিতে যোগ করে দিলেই হবে। বাঙলা ইংরেজি দুইটাতেই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আর মনে রাখতে হবে- আগামী নির্বাচনেও ভোট কিন্তু জনগনই দিবে। হ...
এটা যদি জনগন মনে রাখে তাহলে রাজনৈতিক দলও তাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আন্তরিক থাকতে বাধ্য। তবে আমি এখনো আশাবাদী। ব্যারিষ্টার জিয়াউদ্দিনের সাথে কয়দিন আগে দেখা হয়েছিল, তিনি বললেন, বিচার প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তারা প্রস্তূতি শুরু করেছেন। মানুষের শুভ বুদ্ধির ওপরে এখনো আস্থা রাখছি।
আর নইলে এই বিস্কুট ভাঙ্গাইয়া আর আ'লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ মানেইতো আর আওয়ামী লীগ নয়।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সেই প্রথম থেকেই বলে আসছে যে অচিরেই শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করে নাই। কাজটা সুচারুভাবে করতে অনেক সময় লাগবে জানি, লাগুক। কিন্তু শুরুটা করতে হবে। সেটাই করছে না।
প্রায়োরিটিতে এটাকে এগিয়ে রাখবে না কেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিচার যত দেরী হবে এদের সাহস ততই বাড়বে।
এই রিপোর্টে অবশ্য টেকনিকালি নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছে
"তিনি উল্টো অভিযোগ তুলে বলেন, "'৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে মাওলানা নুরুল ইসলাম মন্ত্রী ছিলেন, যিনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।"
নজু ভাই লেখা নিয়ে মন্তব্য করলাম না। দূর্বল মামলা হলে তারা যেমন বুক ফুলাবে, তেমনি বিচার না হলেও বুক ফুলাবে।
যতো দেরী করবে, পরিস্থিতি ততোই প্রতিকূলে যাবে... যাচ্ছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই এই বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার জন্য। গতকাল খবরে পড়ার পর থেকেই লেখা দিব ভাবছিলাম। আমাদের ব্লগে ব্লগে এখন এই সব লেখা ভরে দেওয়া উচিৎ যেন সরকারের কোন সন্দেহ না জাগে যে আমজনতা কি চায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখন সময়ের দাবী। এটাকে কোনমতেই আওয়ামী লীগের আরেকটি নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার উপায় হিসেবে নিলে আওয়ামী লীগ যে মারাত্মক ভুল করবে সেটা তাঁদের কর্ণকুহরে পৌছে দিতে হবে।
এটা একটি সুন্দর কথা বলেছেন। তবে এটি দু'দিনের মামলা নয়, কিন্ত সময় লাগলেও কাজ শুরু করতে পারি। আমরা এই ব্যাপারে কিছুটা কাজ শুরু করেছি, এবং সেখান থেকেও উইকিতে দিতে পারেন।
চৌধুরী মইনুদ্দীনের ব্যাপারে এখানে বিস্তারিত আছে। এটার একটি অনুবাদ আছে। আমি কালকে লিঙ্ক দিব। রাগীব সেখান হতে উইকিতে সংযুক্ত করে দিতে পারবে।
আমরা এই জারজদর চেহারা উম্মোচনের উদ্দেশ্যে একটি মিডিয়া আর্কাইভ গড়ে তুলেছি যেখানে গত এক বছরের কে কি বলেছে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তা আছে এবং সমসাময়িক খবরগুলোও আছে। ফোরামটি ঘুরে দেখতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমরা আরেকটি প্রজেক্ট হাতে নয়েছি। সেটি হল ই-লাইব্রেরী। এটাতে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে যত তথ্য আছে সেগুলো স্ক্যান করে রাখা হচ্ছে যেন যে কোন গবেষক চাইলে ব্যবহার করতে পারে। লাইব্রেরীটি সবার জন্য উম্মুক্ত হবে ব্যবহারের জন্য।
এ দু'টোর কাজ চলছে বেশ ধ্রুত গতিতে। বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক এখানে কাজ করছে। জালাল ভাই উনার সংগ্রহের ডকুমেন্টগুলো লাইব্রেরীতে দিচ্ছেন। এখন আমরা ফোকাস করবো একেকজন যুদ্ধাপরাধীদের তথ্য সংকলনে, যেমনটি আপনি বলেছেন। সবাই মিলে যদি এই কাজ করা হয় তবে ধ্রুতই সবগুলো জারজের চেহারা নুতন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা যাবে।
বস, দূর্দান্ত কাজ হচ্ছে... চালিয়ে যান..
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বলার কিছু নাই আসলে, কিন্তু করার আছে অনেক কিছু
এই বরাহদের শিকার করতে হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- শেখ হাসিনা শুরুটা করেছিলেন বেশ আশা দেখিয়েই। পুরনো, বয়ষ্কদের দূরে রেখে তারুণ্য দিয়ে সাজিয়েছিলেন ক্যাবিনেট। তাঁর পেছনে বাংলাদেশের মানুষের সাপোর্টও ছিলো তাঁর রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি এবং খুব সম্ভবত তাঁর দলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই পর্বত প্রমাণ জনমত পেয়েও যদি আওয়ামীলীগ টালবাহানা করে, যদি রাজনীতিকে পলিটিক্সের সাথে গুলিয়ে ফেলে তাইলে কী হবে সেইটা আন্দাজ করতে হলে বোধহয় গণভবনে থাকার দরকার পড়ে না। ক্লাস ফাইভ পড়ুয়া কোনো ছেলেই ঘটঘট করে বলে দিতে পারবে, "সামনের ইলেকশনে নিজের বুইড়া আঙুলটা চোষা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না...!"
আলাদা করে শো-ডাউনের অপেক্ষায় না থেকে যে পরিমান জনসমর্থন তাদের পক্ষে গেছে সেটাকে আমলে ধরে নিয়েই বিসমিল্লা করা উচিৎ। সেতু, কলেজ, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যাণ্ড, রেলক্রসিং— এইসব বালছালের নামকরণের পিছনে ব্যয় করার মতো সময় বহুত পাওয়া যাবে ক্ষমতা থাকলে। আর ক্ষমতায় না থাকলে যারা এই নামকরণের উপদেশ দিচ্ছে সেইসব হাতকচলানি উপদেষ্টারা পাছার ছতর ঢাকার উপায় নিয়ে তখন হাজির হবেন না, আওয়ামী লীগ সরকারের সেটা বুঝা উচিত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই পরিমাণ ভোট পাওয়ার পরে যদি এদের শোডাউনের দরকার হয়, তাইলে কিছু বলার নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর শেষ ভরসা কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেনা হস্তক্ষেপ। বিডিয়ার হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের ডগমগ ভাব দেখেই বোঝা গেছে, এ ধরনের ঘটনাই তাদের কাম্য। সরকারের উচিত সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে যে কোনো অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনাকে আগাম প্রতিহত করা।
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জালাল ভাই ভালো বলতে পারবেন। তাঁর মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মনে করি, ছয় মাস পর বিচার হোক, তবু আঁট-ঘাট বেঁধে বিচার হোক, এবং দ্রুত হোক।
উইকিতে যুক্ত করার কাজে আমি সাহায্য করতে পারি, কিন্তু হাতের কাছে কোনো রেফারেন্স না থাকা অনেক বড় সমস্যা। আমার সাথে কাউকে জুড়ে দিন, আমি নাহয় টুকটাক অনুবাদ করে দেবো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বধ্যভূমির তালিকা অনুবাদের একটা কাজ জালাল ভাই দিয়েছিলেন ২০০৭-এ। ভাগ-বাটোয়ারা করে দিয়েছেন অনেকের মধ্যেই। খুব কমই তাঁদের অংশ ফেরত দিয়েছেন। এই হলো বাস্তবতা।
আঁটঘাট বেঁধেই নামুক, কিন্তু বাঁধার কাজটা শুরু করুক। আঁটঘাট বাঁধতে বাঁধতেই যদি মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাইলে কেম্নে কী?
যুদ্ধাপরাধের বিচার আওয়ামীলীগের একটা বড় নির্বাচনী ট্রাম কার্ড...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দু’টা পয়েন্টঃ
১। এখন পর্যন্ত এই গ্রুপের করোরই কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি কেউই। যদি সরকারের আসলেই সদিচ্ছা থেকে থাকে, তবে শেখ মুজিব হত্যার বিচারের রায় কার্য্কর করতে পারলে হয়ত সাহস ফিরে আসবে, প্রক্রিয়া শুরু করবে।এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে ঘিরে যে একটা কল্পিত ভয়ের বল্য় তৈরী করা হয়েছে, সেটা সম্ভবত ভাঙ্গবে শেখ মুজিব হত্যার বিচারের রায় কার্য্করের মধ্য দিয়ে।
রাগিবের কথায় সহমত পোষন করি যে যথেষ্ট তথ্য প্রমান নিয়ে শুরু করা উচিত। তবে প্রক্রিয়া তো শুরু করতে হবে।
২। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আসলেই সরকারের সদিচ্ছা কিংবা সাহস আছে কিনা? নাকি আমাদের মত ভোদাই আমপাব্লিকের জন্য একটা ডায়লগ? সেটা হলে বলার কিছু নাই।
আমাদের আমলাতন্ত্রের চারদিকে বরাহদের বীজ বোনা আছে। প্রতিরক্ষার আনাচে কানাচে বীজ বুনে রাখছে। এরাই সরকারকে দ্বিধাগ্রস্ত করছে।
আর পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দিতে চেষ্টা করছে।
সাহসটা এখনো দেখা যাচ্ছে না... আমরা কোটি কোটি মানুষ সাহস দেই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এতো বিচার ফিচার বুঝি না। সব যুদ্ধাপরাধীকে ধরে এনে ক্রসফায়ারে মারা হোক। তারপর অন্য কিছু নিয়ে কথা বলা যাবে।
ক্রসফায়ারে আমার সমর্থন নাই, কিন্তু এই একটা ইসুতে আমি অমানবিক হইতে রাজী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
১০০% সহমত!! --------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বহুদিন এই রকম দুর্দান্ত কোনো ব্লগ পড়ি নাই নজরুল ভাই। এই ব্লগটা সরকারের চোখে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হোক।
চারদিকে এই দাবী ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভরে দেবো, সরকার যেদিকে তাকাবে শুধু একটাই দাবী দেখবে।
এক দফা এক দাবী... গোআর ফাঁসী কবে দিবি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আর দেরি না করে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হোক...
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
*************************************************************************
"আমার কোনো নীল শার্ট নেই, ছিলো না কখনো__নীলিমা দেখেছি শুধু একাই__ নীল শার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি__ অথচ সমুদ্রেই ছিলাম আমি।"
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
ধন্যবাদ বালক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বরাহদের শিকার করবই।
---- মনজুর এলাহী ----
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন না করার ব্যর্থতা সব সরকারেরই। কিন্তু হাসিনার সরকার যে আশা জাগিয়েছিল তা এখন টালবাহানায় পরিনত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের সাথে স্বার্থান্বেষী রাজনীতি জড়িয়ে ফেললে বিচার কোনদিনই হবে না।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
বিচার হতেই হবে। এই সরকারকেই করতে হবে। যে কোনো মূল্যে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার কেন যেন মনে হয় সরকার এই বিচারটা করবে না আদৌ
আমারও তাই মনে হয়, কিন্তু এক ফোটা ছাড় দেওয়া যাবে না। বিচার আদায় করে নিতে হবে এই সরকারের কাছ থেকেই। যে কোনো মূল্যে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার মনে হয় বিচার শুরু হবে শীঘ্রই। দেখেনে না জামাত পাগলা কুত্তা হয়ে গেছে। কথা বার্তার ঠিক নাই। আজকের খবর দেখেন মুজাহিদ কি কয়। এখনো যে সরাসরি নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবী করতেছে না সেটাই আমাদের ভাগ্য।
জিয়া বিমানবন্দরের নাম হযরত শাহজালাল করতে হবে কেন?
করার মতো কাজ নেই আর সরকারের?
এবার যদি রাজাকারদের বিচার না হয়
আর কোনদিনই হবেনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ক্ষমতায় আসার আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলেছিল এই সরকার, কিন্তু আমি মনে করিনা এই জিনিসটা তাদের ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রেখেছিল। আমাদের মত গুটিকয় সচেতন শিক্ষিত মানুষ যারা মোট ভোটারদের ৫% ও হবে কিনা সন্দেহ ছাড়া আর কে এই বিষয়টা নিয়ে মাতামাতি করছে বা করেছে? এই বিষয়টা কখনই আপামর জনগণের মনের দাবী ছিল না বলেই মনে হয়। আমিও মনেপ্রাণে ওইসব জারজদের বিচার চাই। বঙ্গবন্ধুর বিচারের রায়ও কার্যকর করা যেমন সম্ভব হবেনা তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও এইরকম পিছাতে থাকবে। বর্তমান সরকার ভালোমতই জানে যে এইসব গো-আ বা মর নিজামীদের সাথে আবারও এক মঞ্চে ওঠা লাগতে পারে ভবিষ্যতে!! আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিন্তু প্রতিবার ভোট অভিযান শুরু করেন মাথায় হেজাব লাগিয়ে মাজার জিয়ারতের বা ওমরাহ পালনের মাধ্যমে। এই বিষয়টা করা হয় আমরা ছাড়া দেশের যে বাকী ৯৫% সাধারণ মানুষ আছে তাদের বুঝ দেয়ার জন্য। সুতরাং এইসব তথাকথিত ইসলামের ধ্বজাধারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বর্তমান সরকার কখনই একদম সাধারণ (আম) জনতার চোখে ইসলামবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হতে চাইবে না! সুতরাং এই সরকারের উপর ভরসা করে বসে থেকে কোনো লাভ নাই। আমাদের যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
আরেকটা জিনিস, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এইটা কোনো সরকারের বা দলের দাবী হওয়া উচিৎ না, বরং এইটা হওয়া উচিৎ একটা রাষ্ট্রীয় দাবী। মুক্তিযুদ্ধে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী নিহত বা নির্যাতিত হয়নি, নির্দলীয় বা অন্যান্য দলমতের মানুষও হয়েছে। যখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক সবারই সমান দায়িত্ব।
আপনি মনে না করতে পারেন, কিন্তু আমি করি। এবং মনে করি 'শুধু আমরা কয়জন শিক্ষিত মানুষ (আপনার মতে যাদের সংখ্যা মোট ভোটারের ৫%) ছাড়া আর কেউ (আপনার মতে যারা আমজনতা) এই বিষয়টা নিয়ে ভাবে না।
আপনে এই বাংলাদেশের যেখানে খুশি সেখানে গিয়ে অশিক্ষিত (আপনার ভাষায়) মানুষদের জিজ্ঞেস করে দেখেন, তারা কী বলে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী শুধু আমরা করি, এই ধারণাটা ভুল।
আর আপনের এই বিষয়টা কখনই আপামর জনগণের মনের দাবী ছিল না বলেই মনে হয়। এই বাক্যটা একেবারেই ভুল বলে আমি মনে করি। এই বাংলার মানুষ '৭১এ রাজাকারদের অপকর্ম দেখেছে। তারা ভোলে নাই কিছুই। মুক্তিযুদ্ধে শুধু শিক্ষিত লোকজন যায় নাই, চাষী জেলে তাঁতী সকলে গেছে। নির্যাতীত শুধু শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হয় নাই, সবাই হইছে। ধর্ষিত শুধু শিক্ষিতরা হয় নাই, আমজনতা হইছে। এই দেশের কোটি কোটি অশিক্ষিত (আপনার ভাষায়) মানুষের অন্তরে এখনো আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির দগদগে ঘা।
আপনি তাদেরকে অপমান করতে পারেন না।
আর আমরা কোনো দলীয় সরকারের কাছে এই দাবী করছি না। দল যখন সরকার গঠন করে, তা তখন সরকার, কোনো দল না। আমরা আওয়ামীলীগের কাছে কোনো প্রত্যাশা নাই। কিন্তু একটা সরকারের কাছে আছে।
আমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে অবশ্যই ঝাঁপিয়ে পড়বো। কিন্তু কাজটা করতে হবে যে কোনো একটা নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই। আমরা সরকারকে চাপ দিয়েই যাবো দাবী আদায়ের জন্য।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন