১৬ ডিসেম্বর কেন বাংলাদেশের জন্মদিন হবে?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: বুধ, ১৬/১২/২০০৯ - ৩:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ সকালে সচল রেজওয়ান ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে অবাক হই... হেপি বার্থডে বাংলাদেশ।
একটু আগে ব্যানার প্রতিক্রিয়ায় কার মন্তব্যে যেন দেখলাম এরকমই একটা কথা।
এছাড়া আজ সারাদিনেই অনেক জায়গাতেই দেখছি বাংলাদেশের জন্মদিন বলা হচ্ছে আজকের দিনটিকে। আবেগের আতিশয্যেই...
এই ব্যাপারটা আগে চোখে পড়েনি। আজকে থেকেই দেখছি। এটা চালু হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। তরুণ প্রজন্ম এসব খায় খুব তাড়াতাড়ি। কার্ড ফুল শুভেচ্ছা লেনদেন করা যাবে...

কিন্তু বাংলাদেশের জন্মদিন কেন ১৬ ডিসেম্বর হবে? জন্মদিন যদি হতেই হয়, তাহলে তা হবে ২৬ মার্চ...

নাকি ভুল বললাম?

*****************************************
নীড়পাতায় আমার একটা পোস্ট এখনো জ্বলজ্বল করছে। তবু আসলে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় এই পোস্টটি সামলে রাখতে পারলাম না। সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। আপত্তি থাকলে মডুরা আগের পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিতে পারেন...


মন্তব্য

তাসনীম [অতিথি] এর ছবি

২৬ শে মার্চ জন্মদিন হওয়া উচিত, ইতিহাস বিস্মৃত এই জাতি ১৬ ডিসেম্বর জন্মদিন করলে "কবীরা গুনাহ" বলব না...১৪ই আগস্টে যে করেনি সেটাই সৌভাগ্য।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইসব ছাগু রাজনীতি বন্ধ করতে হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

বুঝলামনা
আবহমান কাল থেকেই বাংলাদেশের অস্তিত্ব ছিলো
দেশ স্বাধীন হয়েছে ২৬শে মার্চ, সে হিসাবে ২৬মার্চ জন্মদিন বললে খুব একটা ভুল হবেনা
১৬ই ডিসেম্বর বলাটা মনে হয় আবেগ থেকেই, এটা তো বিজয়ের দিন, জন্মদিন না কোনভাবেই।

...........................
Every Picture Tells a Story

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, এটা কোনো নির্দোষ জন্মদিন পালন না, এর পিছে রাজনীতির পলিটিক্স আছে... দেখেন কেউ কেউ এইটারে জাস্টিফায়েড করার চেষ্টাও করতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমরা যদি কেউ ১৬ ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের জন্মদিন বলি-অজান্তে হান্নান শাহ'র মতো জামাতী মকারদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছি।
২৫ মার্চ রাতেই আমাদের স্বাধীনতার ঘোষনা অর্থ্যাৎ ঐ সময় থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশ-এই বাংলাদেশের প্রতি সিংহভাগ মানুষ আনুগত্য প্রকাশ করেছে, এর সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রান দিয়েছে, শুধু দালালরা এই রাষ্ট্রের বিরোধীতা করেছে।
যদি ২৫ মার্চ রাত থেকে এ আমার দেশ না হয় তাহলে পাকিস্তানী সেনাদের হানাদার বলবো কোন যুক্তিতে?

২৫ মার্চের তিন সপ্তাহের মধ্যেই তো আমাদের নিজেদের সরকার, নিজেদের বাহিনী ঘোষিত হয়েছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

যথার্থ !

খুব খিয়াল কৈরা ....



অজ্ঞাতবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যারা এটা করছে, তারা আবেগের বশে বা না জেনেই করছে অথবা খেয়াল করছে না।
কিন্তু এই না জানা, আবেগ আর বেখেয়ালটা আসলেই ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বরাহদল এটাকে ব্যবহার করবেই নিজেদের স্বার্থে।

তরুণ প্রজন্মের কাছে বিজয় দিবসের চেয়ে বাংলাদেশের জন্মদিন পালনটা বেশি ট্রেন্ডি হবে বলে মনে হয়। এটা চালু হয়ে গেলে বিরাট সমস্যা। এটা ঠেকাতে হবে।

আমি যেখানে পাচ্ছি সেখানেই বলছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাই ঠিকই বলেছেন, ভুলটা গোড়াতেই শুধরে না দিলে পরে ঝামেলা বড় হয়ে যাবে। মানি, অনেকেই আবেগের বশে বলেছেন, কিন্তু এই ভুলটা অনেকের মধ্যেই ভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে এই প্রজন্মের যারা পত্রিকা পড়ার চেয়ে খোমাখাতায় লগইন করার কাজটা জরুরী মনে করেন।
কারন নতুন প্রজন্মের অনেকেই ইতিহাস বিমুখ হয়ে পড়েছে। আর ট্রেন্ড হিসেবে এটা মাথায় ঢুকে পড়লে তো খবর আছে!
---- মনজুর এলাহী ----

মামুন হক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নজ্রুল। আমিও তুই বলার আগে ব্যাপারটা নিয়ে সেভাবে ভাবিনি। ২৬শে মার্চই বাংলাদেশের জন্মদিন, এ বিষয়ে কোন ভ্রান্তি বা ধোঁয়াশার অবকাশ রাখা উচিত হবেনা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ফেসবুক প্রোফাইলে এ বিষয়ে লিখলাম।
ফেসবুকে অনেক কচি-কাঁচাকে দেখলাম 'শুভজন্মদিন বাংলাদেশ' লিখতে। ভুলটা ভাঙ্গা জরুরী এখনই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বালক এর ছবি

নজু ভাই অনেক বড় একটা ব্যপার তুলে ধরেছেন।
মাথায় ঢুকলো;
এর আগে কখনও এ ভাবে ভাবিনি
তবে ১৬ ডিসেম্বরকে জন্মদিনও ভাবি নি।

*************************************************************************
"আমার কোনো নীল শার্ট নেই, ছিলো না কখনো__নীলিমা দেখেছি শুধু একাই__ নীল শার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি__ অথচ সমুদ্রেই ছিলাম আমি।"

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

১৬ ডিসেম্বরকে ২৬ মার্চের চেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার একটা হীন চেষ্টা আছে যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য গভীর।
সরকারীভাবেও আগে ১৬ ডিসেম্বরকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

সেই রাজনীতির ক্যাঁচালে গেলাম না।
ইংলিশে অভ্যস্ত বাঙালিরা যদি দিবস বলার চাইতে ডে বলতে বেশি পছন্দ করে তবে ১৬ ডিসেম্বরকে তারা ভিক্টোরি ডে বলতেই পারে...কে মানা করছে...

হ্যাপি ভিক্টোরি ডে....
শুভ বিজয় দিবস....
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুমন চৌধুরী এর ছবি

রাজনীতির ক্যাচাল আছে বৈলাই

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস

না কি?



অজ্ঞাতবাস

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

খোমাখাতায় ভুল করে অনেকেই এটা লিখে রেখেছে। পোস্টটা দিয়ে ভালো করেছেন।

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

এই মাত্র একজন মেসেজ পাঠালো ১৬ই ডিসেম্বর জন্মদিনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে। সবার সাথে শেয়ার করছি--

প্রশ্ন: হয়তো ২৬ মার্চ বাংলাদেশ গর্ভে এসেছে এবং নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর আমাদের
নিজস্ব নামে প্রকৃত জন্ম হয়েছে এবং আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি।

উত্তর: বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে ২৬ মার্চ। সরকার গঠন স্বাধীন দেশের জন্য যে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্বীকৃতি দরকার হয়, তাও ১৬ ডিসেম্বরের আগেই ছিল।

একটা স্বাধীন দেশের দাবী নিয়েই যুদ্ধটা হয়েছে, যে কারনে আমরা এটাকে স্বাধীনতার যুদ্ধ বলি। ২৬ মার্চ জন্ম হয়ে না থাকলে ওটাকে বলা হতো গৃহযুদ্ধ (যা রাজাকাররা এতদিন বলার চেষ্টা করতো)।

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঠিক। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্ম হলে তার আগের নয়মাস এটা পাকিস্তানের অংশ ছিলো। সে ক্ষেত্রে জামাতীদের গৃহযুদ্ধ তত্ব প্রমানিত হয় যা আদৌ সত্য নয়। পুরনো গৃহ ভেংগে নতুন গৃহ জন্ম নিয়েছিল ২৫ মার্চের রাতেই সুতরাং গৃহযুদ্ধের কথা ভূয়া!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রশ্ন: হয়তো ২৬ মার্চ বাংলাদেশ গর্ভে এসেছে এবং নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর আমাদের নিজস্ব নামে প্রকৃত জন্ম হয়েছে এবং আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি।

উনাকে বলতে পারেন, যেহেতু ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছে, সেহেতু বলা যায় গর্ভাবস্থায়ই শিশুটি স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। চোখ টিপি

এরকম অলৌকিক ক্ষমতার গল্প অবশ্য বেশ কয়েকবার শুনেছি। কে নাকি মায়ের পেটে থেকে ১৭ পারা কোরআন মুখস্ত করার পরে ভূমিষ্ট হয়েছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

হাহাহা.... ভাবলাম ওখানেই শেষ হবে, কিন্তু আলাপ এখোনও চলছে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে একটা ছোট্ট একটা আপডেট দিচ্ছি--

প্রশ্ন: ইউএন এবং ইউএস তো বাংলাদেশকে ১৬ ডিসেম্বরের আগে স্বীকৃতি দেয়নি। তাছাড়া, নয় মাসের দু:স্বপ্ন যখন সামনে, তখন ২৬ মার্চ জন্মৎসব কি একটু বেমানান নয়?

উত্তর: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হয়েছে ১৯৭৪ সনে, আর ইউএস তো স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধেই ছিল। কাজেই এসব হিসেব করে জন্মদিন পালক করতে গেলে বিপদ!

জন্মের সময় জটিলতা হতেই পারে। যেখানে মিনিটে সাতটি শিশু জন্মনেবার সময়ই মারা যায়, সেখানে জন্ম যতই জটিল হবে, বেচে থাকা শিশুটির জন্মোৎসব পরবর্তীতে ততই আনন্দের হবে!

অনেকে আসলে সরল মনেই ভুলটা করছেন বলে আমার ধারনা।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উনাকে একটা বার জিজ্ঞেস করবেন, এতো কসরত করে গর্ভ কল্পনা করার প্রয়োজন পড়লো কেন হঠাত্ করে?
পাকিস্তান এখনো চায় এই নয়মাস বাংলাদেশকে পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে চিহ্নিত করতে। তাহলে তাদের অপরাধগুলো (সেই সঙ্গে তাদের দোসরদের) মার্জনা পায়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই.. স্বাধীনতার ঘোষণা যেদিন হয়েছে সেদিনই জন্মেছে সেই শিশু-দেশ। এতবছর পরে এটা নিয়েও ভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা হবে তা ভাবিনি। ব্লগে, পত্রিকায়, ফেসবুকে -- সবখানেই লড়াই চালু রাখতে হবে।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

আবেগপ্রবণ হলে অজান্তে কিছু ভুল হয়ে যায়।
"কিন্তু এই না জানা, আবেগ আর বেখেয়ালটা আসলেই ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বরাহদল এটাকে ব্যবহার করবেই নিজেদের স্বার্থে।"
হুম........
অনেক অনেক অনেক মন খারাপ হচ্ছে আবেগপ্রবণ মন্তব্যে "স্বদেশের জন্মদিন" কথাটি উল্লেখ করেছি তাই....
পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নজু ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

-------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেকেই না বুঝে ব্যবহার করলেও সারাদিনে এটুকু বুঝেছি যে এটা কোনো নির্দোষ জন্মদিন পালন না। এর পেছনে স্পষ্টভাবেই ছাগু রাজনীতি আছে।

১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ আর এর আগ পর্যন্ত পাকিস্তান- এটা একবার জাতির কান্ধে গছিয়ে দিতে পারলে দাবার অনেক ঘুটিই পাল্টে ফেলা সম্ভব। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তখন সন্ত্রাসী জঙ্গি বাহিনী প্রমাণ করা যাবে, আর যুদ্ধাপরাধীদের কর্মকাণ্ড জায়েজ করা যাবে। অতএব হুশিয়ার। বাংলাদেশের কোনো জন্মদিন লাগবে না। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

আমার যে ফেইসবুক ফ্রেন্ড বাংলাদেশকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি একজন সক্রিয় শিবির কর্মী। আমি শুধরে দেওয়ায় তার সমর্থনে আরেকজন যে ব্যাখ্যা দিলেন তার সারমর্ম দাঁড়ায় এমন যে, ২৬ শে মার্চ হল বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির ভ্রূণের প্রতিষ্ঠালগ্ন আর ১৬ ই ডিসেম্বর হল তার প্রসবকাল। জানিনা এটা কোন রাজনৈতিক কূটকৌশল নাকি কাকতাল মাত্র।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরো কয়েক জায়গা থেকেই এই একই উত্তর পাওয়া গেছে। উপরে সাঈদ ভাইও জানিয়েছেন।

তার মানে আর কোনো দ্বিধা নেই যে এই প্রচারণাটা একেবারেই উদ্দেশ্যমূলক। সুচিন্তিত। প্রকৃত ইতিহাসকে আড়াল করার প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন।
এবং এটাও স্পষ্ট, এর পেছনে কারা আছে।

এখন আমাদের একটাই কাজ, বিজয় দিবসকে বাংলাদেশের জন্মদিন বলে প্রচারণার তীব্র বিরোধীতা করা। আর যারা না বুঝে এই প্রচারণায় সামিল হচ্ছে, তাদেরকে ঠিক পথে ফেরানো

ধন্যবাদ বুনোহাঁস
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সমস্যা হলো, স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসকে গুলিয়ে ফেলা। কোনটার কী অর্থ, সেটা ধরতে না পারলে পিরোবলেম।

বাংলাদেশের জন্মদিন নিয়ে এতো বিচলিত হবার কী কারণ! স্কুলে থাকতে কোথাও পড়েছিলাম, "বাংলাদেশের জন্মের বীজ প্রোথিত হয়েছিলো অনেক আগে, বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোলনের সময়েই।"
আমার মতে এই সময়টা আরও আগে, যখন বৃটিশরা দ্বিজাতি-তত্ত্বে দুইটা দেশ ভাগ করে দিয়ে যায়। তখনই আরও একটা স্বতন্ত্র দেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, সেটা বাংলাদেশ।

তো, এই জন্ম দিবস নিয়ে কামড়া কামড়ির তো দরকার দেখি না। যে কয়টা জাতীয় দিবস আছে, সেগুলো নাম ধরে ডাকলে তো আর কেউ জেল জরিমানা করছে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নজমুল আলবাব এর ছবি

সচলে সম্ভবত আমিই ভুলটা প্রথম করেছি। গভীর রাতে শহীদ মিনার থেকে ফিরে। সচলে মুস্তাফিজ ভাইর করা অসাধারণ ব্যানারটার গতি হ্ওয়া দেখার পর কমেন্ট করেছি, বলেছি শুভ জন্মদিন। এটা শ্রান্ত মাথার আবেগ ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। ভুল স্বিকার করছি।

আজ আর কালের দেখা বিষয়গুলো নিয়ে একটু পরেই একটা পোস্ট দেবো ভাবছি। সেখানে এই বিষয়টা্ও বলবো বলে ঠিক করে রেখেছিলাম। তার আগেই দেখি নজুর পোস্ট। ধন্যবাদ নজুভাই।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ছাগু রাজনীতির লেজ কাটা উচিত। তবে কয়েকজন মাছের পোনার মতো ফেইসবুকে দিচ্ছে। দুইজনকে বলার পর মুছে দিয়েছে।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

সবাই পরিচিতদের এই ভুল করতে দেখলে শুধরে দিন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শশাঙ্ক বরণ রায় এর ছবি

ধন্যবাদ, নজরুল ভাই।

বিষয়টি কিছু তরুণ না বুঝে ফেসবুকে লিখছে, বা কোন জামাতী কুধান্দা থেকে লিখেছে - ব্যাপারটা এখানেও থেমে নেই। কেউ কেউ নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, আজকের 'প্রথম আলো'র ৯-এর পাতায় অর্ধেক পৃষ্ঠা জুড়ে ছাপা একটা বিজ্ঞাপনের প্রথম লাইনে "আজ বাংলাদেশ এর জন্মদিন" লেখা হয়েছে। এভাবেই এতবড় একটি ভুল প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছে!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অ্যাঁ
সকালে পত্রিকাটা শুধু চোখ বুলিয়েছিলাম সময়াভাবে। বিজ্ঞাপন এখন দেখি না খুব একটা। আপনার মন্তব্য পড়ে দেখলাম। এবং অবাক...

এলিয়েন প্রোপার্টিজটা কাদের?

তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া দরকার ভুলটা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জিসা এর ছবি

এবারো একই কাজ করেছে এরা !!!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমিও আগে এইভাবে খেয়াল করি নাই... পরিচিত কয়েকজন দিসে দেখলাম এই স্ট্যাটাস। ঠিকাসে, দিতাসি বইল্যা...

_________________________________________

সেরিওজা

হাসিব এর ছবি

বিষয়টা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।

অমিত এর ছবি

জন্মদিন হলে সেটা হবে ২৬শে মার্চ, স্বাধীনতার ঘোষনার দিন
অন্য দেশের উদাহরন দিতে হলে ইউএসএ-র ফোর্থ অফ জুলাই দেশটার জন্মদিন মানা হয়, ডিক্লেরেশন অফ ইনডিপেনডেনস

রেজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল শুধরে দেবার জন্যে। আমি কোথাও এটি পড়ে গতানুগতিকতায় গা ভাসিয়ে এমনটি বলেছিলাম যা সত্যিই একটি গর্হিত অপরাধ।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

এনকিদু এর ছবি

স্বাধীনতার ঘোষণা যেদিন, সেদিন থেকেই ত জন্মদিন ধরা উচিত । আমি লেখকের সাথে সহমত ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ভণ্ড_মানব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আমি নিজেও এই ব্যাপারটায় কনফিউজড্‌ ছিলাম। অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমিও দিবসগুলোর আলাদা আলাদা নাম যা আছে সেভাবেই ডাকার পক্ষপাতী।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই প্রসঙ্গটা তোলার জন্য।
বিষয়টা খেয়াল রাখার সময় হয়েছে, বিশেষ করে মিডিয়াগুলোতে।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

হিমু এর ছবি

আজকে একটা ঘরোয়া উদযাপন ছিলো, সেখানে পোলাপান আমন্ত্রিত জার্মানদের কাছে দেশের জন্মদিন বলে বেড়াচ্ছিলো, তাদের আবার বুঝিয়ে বলা হয়েছে, আমাদের জন্মদিন ২৬শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস, শত্রুমুক্তি দিবস (বেফ্রায়ুংসটাগ)।

প্রথম আলোতে লিখিত প্রতিবাদ করতে হবে। ঐ বিজ্ঞাপনটি কি ই-প্রথমালো থেকে কেউ এমবেড করবেন এখানে?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ই-প্রথমালোতে বিজ্ঞাপনগুলো ঝাপসা করা। তবে ওখান থেকে কিছুটা উদ্ধার করা গেছে বটে। ১৬ ডিসেম্বরের ৯ম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে বিজ্ঞাপনটা। যোগ করে দিলাম এখানে।

প্রথম আলোতে বিজ্ঞাপন

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিজ্ঞাপন দাতা কোম্পানির নাম 'এলিয়েন প্রপার্টিজ লিমিটেড'
ফোন ৯১৪৩৯৮৩, ৯১৪৪৮৯৫, ৯১১৩৭৫২
ফ্যাক্স ৮৮০-২-৯১১৯৯৭৮
ইমেইল
ওয়েব www.alienpropertiesbd.com

আজকে সারাদিন থাকবো দৌড়ের উপরে। এখানে তাই বিজ্ঞাপন দাতার ঠিকানা দিয়ে দিলাম। যদি কেউ পারেন, তাদেরকে একটা ইমেইল করে জানিয়ে দিয়েন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

আমার প্রাণপ্রিয় ভীনগ্রহের বাসিন্দা "এলিয়েন" ভাই দের ওয়েব সাইটে ঢুকতে পারি নাই। ভাইরাস থ্রেড আসে।

আলমগীর এর ছবি

স্কুলে পড়াকালে বিজয় আর স্বাধীনতা দিবস কোনটা কী তা নিয়ে সমস্যা হতো। এ কারণ ছিল, দিবস যাই হোক উদযাপনের ভঙ্গি প্রায় একই। যারা এসব শব্দ নির্বাচন করেছেন তাদের আরও ভাবা উচিৎৎ ছিলো। বিভ্রান্তি ইচ্ছে করে ছড়ানো হলে তা খুবই খারাপ কথা।

এ প্রসঙ্গে আরও একটি দিবসের কথা বলি: জাতীয় সংহতি দিবস।
আমি SSC শেষ করার আগ পর্যন্ত মনে হয় না এর অর্থ বুঝেছি। আরেকটা ছিল আখেরি চাহার শোম্বা।

রানা মেহের এর ছবি

কী সমস্যা।
ছাগুরা এইসব আইডিয়া পায় কোথ্থেকে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। এভাবে কখনও খেয়াল করিনি। নজু ভাইকে ধন্যবাদ বিষয়টা তুলে ধরার জন্য।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমরা দিবস পালনে মাতোয়ারা হয়ে গেছি। আর এখন শুরু হয়েছে একই দিবসের অন্য নামে ডাকার রেওয়াজ।

উৎসবের দিকে আর নামকরণের দিকে আমাদের জাতীয় মনোযোগ প্রসার হচ্ছে হইতেছে হইয়া যাইতেছে হইয়া যাইবেই।

এরকম দিবসের নাম ও শুনবো কিছুদিন পর।

ফারুকি ডায়ালেক্ট দিবস
চলো শুয়ে পড়ি দিবস
আয় গাল পাড়ি দিবস
তোমাকে ভীষণ ভীষোণ ভাল লাগে দিবস
প্রথম আলোর ভ্রুণোদগম দিবস
চলো আবার শুয়ে পড়ি দিবস
তৈলমর্দন দিবস

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছেঃ

১[ বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম

(দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে)]

প্রস্তাবনা

আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া ২[ জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের] মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;

বিধায় , ২৬ মার্চই বাংলাদেশের জন্মদিন । এটি অস্বীকার করা সংবিধান বিরোধী এবং অস্বীকারকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলা দায়ের করা যায় ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গুরু গুরু চোখে পড়ে নাই এমন ছাগুগিরি, দেখলে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দিতাম। দারুন পোস্ট নজরুল ভাই। খোমাখাতায় লটকাইলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

২৬শে মার্চ, ১৯৭১ই বাংলাদেশের জন্মদিবস। এটা নিয়ে ভুল বোঝার বা ভুল বোঝানোর অবকাশ নেই। জেনে বা না জেনে ১৬ই ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের জন্মদিবস বলা যাবে না, কোন ভাবেই না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

যাক। নতুন একটা জন্মদিন পেল বাংলাদেশ।

এবার কেক-কোক খাবার পালা।

কেউ_না [অতিথি] এর ছবি

ফেইসবুকে এক জনের এরকম স্ট্যাটাস ঠিক করতে যেয়ে আমাকে নিচের মন্তব্য গ্রহণ করতে হয়েছে।
"baccha mayer pete jidin ashe sedin tar birthday hoy naki jedin se jonmay sedin?????? ajkei bangladesh er jonto hoyesilo !"
তার পরে অন্য এক জন ঠিক করতে যাওয়ার পরে
"26 tarik amra akta sadhin desher shopno dekha suru korci...but 16 dec amra sei desh ta peyeci...so ai din BANGLADESH ar jonmo din
ami ajk shopno dekhlam amar akta meye hoice....r 9mnth por meye ta world a ashlo..konta or birthday hobe? :O"

ইংরেজীর জন্য দুঃখিত।
এখন তাদের বোঝানোর জন্য এই পোস্টটা অনেক কাজে দিবে।যদিও তাতের আমি কয়েকজনের বিরাগভাজন হয়ে যেতে পারি,তাও।
ধন্যবাদ।

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ami ajk shopno dekhlam amar akta meye hoice

(একমাত্র এরশাদ চাচার ক্ষেত্রে ছাড়া) স্বপ্ন দেখে বাচ্চা জন্ম দেয়া সম্ভব, এটা জানতাম না হাসি

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

"26 tarik amra akta sadhin desher shopno dekha suru korci

এই কথা যে বলছে, আগে তার কান চাপড়া মিলায়া একটা জোরসে থাবড়া দেন... ২৬ মার্চ একটা স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করছি আমরা? তাইলে তার আগে কোন বালটা ছিঁড়ছি?
ভাষা আন্দোলন কি ওর গুয়া দিয়া বাইর হইছিলো? উনষত্তুর কি শুধুই একটা সংখ্যা?

এইসব নিয়া এখন আর কথাই বলতে ইচ্ছা হয় না। ছাগুর তিন নম্বর বাচ্চা সবগুলা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

বাপের গোয়া দিয়া বাইর হওয়া প্রথম জ্ঞানীব্যক্তিটিকে বুঝিয়ে বলবেন যে ২৬শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন, সেদিনই তার জন্ম। এরপর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ শত্রুকবলিত ছিলো। ১৬ ডিসেম্বর সে শত্রু আত্মসমর্পণ করে বলে এটি আমাদের বিজয় দিবস।

হাউয়ার নাতিগুলি কি ইস্কুলেও যায় নাই?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

রক্তক্ষরণ আর বীর্যক্ষরণের মাঝে মৌলিক কিছু তফাৎ আছে, এই বাস্তবতাই ভুলে যায় অনেকে। বীর্যক্ষরণের দিনক্ষণ জানা যায় না বলেই ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনটা উদযাপিত হয়। রক্তক্ষরণের বেলায় এই বিলাসিতা নেই। গুলি ফুটছে, মানুষ মরছে, পরিজন কাঁদছে। মানুষ তো দূরের কথা, শকুনও এই দিন মনে রাখে। এর সাথে বীর্যক্ষরণকে মেলানো কোন মাত্রার বুদ্ধিমত্তা?

বিজয় দিবসকে "জন্মদিন" আখ্যা দেওয়া হলো মিষ্টির মধ্যে কুইনাইন ভরে দেওয়ার সমতুল। ২৪ বছরের গোলামী আর ৯ মাসের স্বাধীনতা সংগ্রামকে জামাতী পরিভাষায় "গৃহযুদ্ধ" বলে পরিচিত করার প্রথম ধাপ এটি। আফসোস, এ-যুগের পোলাপান বুঝেও বুঝে না।

আমরাই হয়তো একমাত্র জাতি যারা হাসিমুখে কাঁদি (স্বাধীনতা দিবস), আবার কাঁদতে কাঁদতে হাসি (বিজয় দিবস)। ইতিহাস সম্পর্কে অচেতন কারও এতে খটকা লাগতেই পারে, কিন্তু এই বেখাপ্পা দ্বন্দ্বের মাঝেই বাংলাদেশের চেতনা লুকিয়ে আছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সেই ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছি ২৬ মার্চের চেয়ে ১৬ ডিসেম্বর বেশী গুরুত্ব পায়। হয়তো উৎসবের আমেজের কারনে। রাজনৈতিক চাল থাকতে পারে ভাবিনি। বিশ্বের অনেক দেশে স্বাধীনতা ঘোষনা করার দিন থেকেই স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয়। সেই হিসেবে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের জন্মদিন। সরকারীভাবে জাতীয় দিবস বলা হয় এটিকেই। কিন্তু পালন করার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ১৬ ডিসেম্বর এগিয়ে আছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

ব্যপারটা যে এতো মারাত্মক বুঝি নাই...আমি অবশ্য ১৬ই ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস বলতেই ভালবাসি, বাসবো।

আমার সোনার বাংলা...আমি তোমায় ভালবাসি।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছেঃ
"আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;"

বিধায় , ২৬ মার্চই বাংলাদেশের জন্মদিন । এটি অস্বীকার করা সংবিধান বিরোধী এবং অস্বীকারকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলা দায়ের করা যায় ।
(কৃতজ্ঞতা নুরুজ্জামান মানিক)
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কনফুসিয়াস এর ছবি

এতো গিয়াঞ্জামের তো কোন মানে দেখি না। নতুন করে টাইটেল দেয়ার কী দরকার? স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস যার যার জায়গায় বহাল থাকুক, নতুন কোন নামকরণের প্রয়োজন নাই।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

সবাই না, কিন্তু একদল ছাগুর দালাল এইসব প্রপাগান্ডায় পেছন থেকে খুউব সুদুরপ্রসারী চিন্তা ভাবনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এইখানে ভ্রুন-তলপেট-ডেলিভারি এইসব হলো ছাগ্যুক্তি (ছাগু মার্কা যুক্তি)। এইসকল ছাগ্যুক্তি দিয়াই তারা '৭১-এ আমাগো মুক্তিযোদ্ধা ভাইগো 'গাদ্দার' বানিয়েছিলো। এখনো তারা তা'ই চায়। ১৬ ডিসেম্বরকে জম্মদিন বানালে তো ৯মাসের যুদ্ধকে ওরা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে চালিয়ে দেবে।

নতুন ইতিহাস কি তবে এভাবেই লেখার চেষ্টা করছে বেজন্মা ছাগু গুলা?? আরেকবার ক্ষমতায় আসলে তারা যা করবে তার একটা খসড়া বোধহয় এগুলিই।

নজরুল ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আজ আড্ডা দিতে দিতে গৌতম একটা চমৎকার কথা বলল- কোনো কিছুর জন্মদিন ঠিক করার মানে কিন্তু ধরে নেয়া যে তার একটা মৃত্যুদিনও থাকবে কিংবা আসবে

এবং জন্মদিন কথাটা দেশের ক্ষেত্রে ব্যবহার ঠিক না

প্রসঙ্গটাতে আমার নিজের যুক্তি হঠাৎ করেই আমি গৌতমের কথার মধ্যে পেয়ে গেলাম

বাংলাদেশের জন্মদিন প্রসঙ্গটার সাথে ভ্রূণ গর্ভ অনেকগুলো বিষয় চলে এসছে
এবং বাংলাদেশকে একটা মানুষের সাথেই তুলনা করা হচ্ছে মূলত
এতে করে আমার ধারণা দেশের ধারণাটাকেই খাটো করা হচ্ছে

কারণ স্বাধীনতা দিবস কথাটার সাথে এর পেছনের সংগ্রাম আন্দোলন সংগঠন এই বিষয়গুলো যতটা স্পষ্ট হয়ে উঠে জন্মদিন বললে তার সবকিছুই হারিয়ে যায়
কারণ জন্ম মানে দুই নারীপুরুষের (যে কোনো প্রাণী) মিলনের একটা ধারাবাহিকতা

আর বাংলাদেশের জন্ম কারো সাথে কারো মিলনে নয় (কোনো চুক্তি কিংবা সমঝোতা নয়

সংঘাত সংগ্রাম এবং ত্যাগ দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতা
তাছাড়া যে পরাধীন তারও একটা জন্মদিন থাকতে পারে
অথবা বলা যায় সবার জন্মদিন থাকলেও স্বাধীনতা থাকে না সবার

বাংলাদেশের একটি স্বাধীনতার দিন আছে
সেটা জন্মদিন থেকে অনেক বেশি ব্যাপক আর বিশাল

আর আছে একটা বিজয় দিবস। যেটা আমাদের অর্জনের উৎসব দিন

০২

দুদিন ধরে বিষয়টা নিয়ে যুক্তি খুঁজতে খুঁজতে এখন আমি এই বিষয়ে একেবারে স্পষ্ট যে স্বাধীনতা আর বিজয় দিবসকে যেভাবে আছে সেভাবেই থাকতে দেয়া উচিত

এই দুটো শব্দ বাংলাদেশকে অনেক বিশাল আকারে ধারণ করে
যা অন্য কোনো কিছুই করে না

০৩

জিয়া বদলে মুজিব- মুজিব বদলে শাহজালাল এই নাম বদলানোর হুজুগে আমরা যদি আজ স্বাধীনতা আর বিজয় দিবসেরও নাম বদলাই কিংবা বিকল্প নাম চালু করি তবে কালকেই হয়ত কেউ বাংলাদেশের নতুন কিংবা বিকল্প মুসলমানিস্থান নাম্ চালু করার চেষ্টা করে বসবে

(বাংলাদেশে বহু অঞ্চলের নাম কিন্তু বদলে ফেলা হয়েছে)

০৪

সবকিছু বদলে দেবার যুগে বাংলাদেশের নদীগুলো যেমন এখনও ধরে আছে তার প্রাচীন নামগুলো

আমাদের স্বাধীনত আর বিজয়ের দিনগুলোও না হয় অনন্তকাল ধরে থাকুক শুধুই ৭১এ পাওয়া দুটো স্বকীয় নাম

তেমনি

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আমরা আমাদের সব জাতীয় দিবস গুলোকেই আজকাল উৎসবের আমেজে উদযাপন করা শুরু করেছি।। এই সুযোগটাকেই হয়ত কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যোমে মাঠে নেমেছে জামায়াতীরা। আর না বুঝে আর একদল হৈ চৈ করে মরছে।
এখনই সাবধান হওয়ার সময়।
লীলেনের যুক্তিটা ভাল লাগল।
নজরুল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা তুলে ধরার জন্য।

আজ এর ছবি

জন্মদিনবিষয়ক কুযুক্তি/যুক্তির ধার ধারিনা। আমার কাছে বিজয় দিবস খুবই প্রিয়, খুবই আনন্দের। আর কোনো দিনই এত আনন্দ লাগে না। একাত্তরের সব অনুভূতির মাঝে এত বাধভাঙ্গা আনন্দের দিন আর আসে নি। আর বোধহয় আসবেও না।

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উইকি পোস্টটা শেষ হয়েছে এভাবে-

The proponents of this terminology also question validity of the declaration of Bangladeshi independence since there was no foreign government that acknowledged the independence; thus the war was effectively between Indian Army and Pakistan Army

মনে হচ্ছে কিছু বরাহ আসলেই এটা নিয়ে ব্যস্ত। একজন আমাকে বললো দেশের সংবিধানে তো বলা হয়েছে "ঐতিহাসিক যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি"... তাহলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ হয় কী করে?

এই প্রশ্নের উত্তর সহ আরো কিছু প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে সচলের লিংকসহ ইংরেজী ব্লগে একটি পোস্ট দিয়েছি অন্য ভাষাভাষীদের জন্যও (যেহেতু উইকিতে সম্ভবত: যুক্তি তুলে ধরা যায় না)।

বিষয়টির গুরুত্ব ও সার্বজনীনতা বিচার করে এটা শুধু সচলে না রেখে (সচলের লিংক সংযুক্ত করে) আসুন সব ব্লগেই এই বিষয় নিয়ে লিখি।

সচলের এই পোস্টের বিভিন্ন মন্তব্যের যুক্তিগুলোকে একত্র করেও একটা বাংলা লেখা দেয়া যায় যা সবখানে আমরা forward করতে পারি।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া ২[ জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের] মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;

সংবিধান শুরুই হইছে এই বাক্য দিয়া। ঘরে ঘরে সংবিধান তৈরি হইতেছে নাকি আজকাল?

http://bdlaws.gov.bd/bangla_pdf_part.php?id=957
এখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান আছে, পড়তে বলেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিষয়টির গুরুত্ব ও সার্বজনীনতা বিচার করে এটা শুধু সচলে না রেখে (সচলের লিংক সংযুক্ত করে) আসুন সব ব্লগেই এই বিষয় নিয়ে লিখি।

সচলের এই পোস্টের বিভিন্ন মন্তব্যের যুক্তিগুলোকে একত্র করেও একটা বাংলা লেখা দেয়া যায় যা সবখানে আমরা forward করতে পারি।


উত্তম প্রস্তাব
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লীন এর ছবি

ব্যাপক গ্যাঞ্জাম...
এতো গভীরভাবে আগে চিন্তা করি নাই।

লীলেন ভাইয়ের মন্তব্যে চলুক

______________________________________
লীনলিপি

______________________________________
লীন

নীল ভ্রমর [অতিথি] এর ছবি

দেশে প্রতি মিনিটে যেমন ৭ টি শিশু জন্ম নেয় তেমনি হয়ত মিনিটে ৭ টি কিশোরকে বোঝানো উচিত স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসের পার্থক্য। আমার কিন্তু কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয়নি পার্থক্যটা কি। শব্দ যখন দুটি তখন অর্থের পার্থক্য নিশ্চই থাকবে। যাদের সময় নাই এই চিন্তা করার তারাই ভুল করে।

আমি নিজেও ফেসবুকে বসে "হ্যাপি বার্থডে" লিখে ফেলেছিলাম কিন্তু পাঠানোর আগে পড়তে গিয়ে বুঝতে পারলাম কি গাধামি করছি। তাই নিজেকে সংশোধন করলাম। অপেক্ষা করছি ২৬ শে মার্চে ফেসবুক স্টাটাস দেওয়ার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভুলটা ভাঙ্গা জরুরী এখনই।
বোহেমিয়ান

তানবীরা এর ছবি

ভুল ভাঙ্গানোটা অতীব জরুরী। নইলে আল্লাহ হাফেজের মতো এটাও চালু হয়ে যাবে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জিসা এর ছবি

১৬ ডিসেম্বর জন্মদিন হলে পাকিদের হানাদার বলা যায়না। তখন এটা গৃহযুদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়।
২৬শে মার্চ বাংলাদেশ নামে দেশটার জন্ম। তখন থেকেই দেশের স্বাধীন সরকার ছিল।
১৬ডিসেম্বরকে জন্মদিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা গেলে আগের ৯মাসের কাজকর্ম অনেকটাই হালাল করা যায় হয়তো ইন্ডিয়া প্রভাবিত গৃহযুদ্ধ বলে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্মদিন নয়, বাংলাদেশের জন্মদিন ২৬শে মার্চ। ১৬ ডিসেম্বর বেজন্মা মুক্তি দিবস, পাকিস্তানী বেজন্মাদের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।