মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাজধানী অচল করে দেওয়াটা যদি আপনার জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাপকাঠি হয়, তাহলে বলতেই হবে আপনার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০১/২০১০ - ৯:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ভারত জয় করে ফিরেছেন, সে সুবাদে আপনার অবশ্যই সংবর্ধনা প্রাপ্য। দেশের জনগনের সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলো আপনার দল আওয়ামী লীগ। গতকাল আপনাকে বিপুল সংবর্ধনা দিলো তারা। বিমান বন্দর থেকে গন্তব্যে ফেরার পুরোটা রাস্তার দুপাশে কর্মী সমর্থকেরা শ্লোগান কণ্ঠে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আপনার প্রতি ভালোবাসা জানালো। আপনি বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচের আড়াল থেকে এসব দেখে পুলকিত হলেন।

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি হয়তো এটা জানেন না যে, রাস্তার দুপাশে যে লাখো জনতা দাঁড়িয়ে ছিলো, তার বেশিরভাগই আপনার দলের শ্লোগানমুখর কর্মী নয়। আপনার দলের কর্মীদের তৎপরতায় অফিস ফেরতা ক্লান্ত মানুষগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় অসহায় দাঁড়িয়েছিলো। আমার মতো অসংখ্য মানুষ তখন দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছিলো, আপনি কখন যাবেন, আমরা যার যার গন্তব্যে এবং কাজে ফিরতে পারবো।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের সরকার প্রধান হিসেবে আপনার জানা উচিত এই ঢাকা শহরে বৃষ্টি হলে এবং বৃষ্টি না হলে- দু'সময়েই যানজট হয়। শুধু 'যানজট' শব্দে যার ব্যাপ্তি বোঝা মুশকিল, বলতে হবে 'তীব্র যানজট'। তার মধ্যে কোনো একটা রাস্তায় ছোট কোনো অঘটনও যদি ঘটে, তাহলেই খবর হয়ে যায় পুরো শহরের।
আপনার দায়িত্ব ছিলো সেই যানজট নিরসনের, তা না করে আপনি নিজেই আরো তীব্র যানজট তৈরি করলেন। আপনাকে সাধুবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

যানজট কমাতে আপনি স্কুলের বাচ্চাগুলোকে রাতের আঁধার থাকতে স্কুলে পাঠানোর নিয়ম করতে পারলেন, আর নিজের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের লোভটুকু সংবরণ করতে পারলেন না!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি জানেন কী? গতকাল আপনাকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য গোটা শহরের নানান প্রান্ত থেকে মিছিল পুরো ঢাকা শহরকে অচল করে দিয়েছিলো? অন্তত দুপুর থেকে রাত অব্দি পুরো সময়টা? আপনি কি জানেন বিকেল পাঁচটায় অফিস ছুটির পর মানুষগুলো কতো ঘন্টা পরে বাড়ি ফিরতে পেরেছিলো? আপনি গন্তব্যে ফেরার পরেও কী অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছিলো আমাদেরকে?
সরকার প্রধান হিসেবে এটা আপনার জানা কর্তব্য ছিলো।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই সংবর্ধনা আপনাকে কতোটা মহিমান্বিত করলো? আপনি হয়তো রাস্তার দুপাশে লাখো মানুষ দেখে পুলক অনুভব করেছেন। নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করেছেন। কিন্তু আমরা জানি, রাস্তার দুপাশে অসহায় আমরা ছাড়া আপনার দলের যারা ছিলো, তারা আর কেউ না, কিছু সুবিধাভোগী স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে ভাড়ায় খাটা মিছিলকারীর দল। আমরা জানি, ৫ হাজার টাকা খরচ করলে আজকে রাজপথে একটা শ্লোগানমুখর মিছিল আমার নামেও হওয়া সম্ভব। আপনি সেই জনপ্রিয়তা দেখে খুশি হলেন, দেখলেন না জনগনের ভোগান্তিটুকু। তাহলে বলতেই হবে, আপনি সত্যিই অনেক জনপ্রিয়।

আপনার জনপ্রিয়তাটা আপনিই কেবল দেখলেন, আমরা দেখতে পেলাম না বলে যারপরনাই দুঃখিত। আপনাকে সশ্রদ্ধ অভিবাদন তবু। রাজধানী অচল করে দিয়ে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকুক আকাশচুম্বী, শুভকামনা রইলো।

১৪ জানুয়ারি, ২০১০ ইং।


মন্তব্য

সিরাত এর ছবি

দুইবারে কমেন্ট করতে পারলাম, প্রথম মন্তব্য উড়ে গেল, ধুর!!

প্রথম পাঁচটা মিস হয়ে গেল আমার, দ্বিতীয়টা দিয়ে গেলাম শিরোনাম দেখেই।

গতকাল অফিসে কলিগদের ভোগান্তি দেখেছি। অনেক, অনেক ধন্যবাদ এ টপিকটা নিয়ে লেখায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ সিরাত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নৈষাদ এর ছবি

রাজধানী অচল করে দিয়ে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকুক আকাশচুম্বী, শুভকামনা রইলো। - বিশাল সহমত।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ নৈষাদ ভাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

প্রধানমন্ত্রীসুলভ কাজই তিনি করেছেন। শেখ হাসিনাকে জাঝা!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি


______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গতকাল আমার ছোট ভাই রাত এগারোটায়ও অফিস শেষে বাড়ী ফিরতে পারেনি। এই শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে লাখ লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে প্রধানমন্ত্রী আর আওয়ামী লীগের কী লাভ হল জানি না, তবে ক্ষতি কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না। চিন্তার কিছু নেই আগামী চার বৎসর ধরে এমন বা এর চেয়ে বেশি ভোগান্তি গেলেও পরের নির্বাচনে উনারাই ভোট পাবেন। কোন কারণে উনারা ভোট না পেলে যারা ভোট পাবেন তারাও কোন বিবেচনায় উনাদের চেয়ে উত্তম নন্‌।

বাংলাদেশের মানুষকে কয়েক বৎসর পর পর ভাগাড় ঘেঁটে কম পঁচা আর বেশি পঁচার মধ্য থেকে কম পঁচাকে টেনে তুলতে হয়।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পত্রিকা, সেলফোন কোম্পানি আর সরকার যদি দিন বদলের ডাক দিতে পারে, তাইলে জনগন কেন পারবে না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুকচলুক(চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হেহ হেহ হেহ

মানিক ভাই কি বাম হাত থুইয়া এখন কয়েক বস্তা (বাম হাতের) বুইড়া আঙুল দেয়া শুরু করলেন? দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উনি আগে বামপন্থী ছিলেন, এখন ডানপন্থী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ মানিক ভাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আসুন এধরনের সংবর্ধনাকে আমরা "ডিজিটাল সংবর্ধনা" করে ফেলি-- সবাই ইমেইলে, এসএমএসে শুভেচ্ছা জানাবে, ব্লগে শুভেচ্ছা পোস্ট দেয়া হবে। আমি নিশ্চিত, ৪/৫ ঘন্টা রাস্তায় অচল থাকার চেয়ে অনেকেই দশটা মিনিট ব্যয় করে আপনাকে সত্যিকারেই শুভেচ্ছা জানাতে আসবে। আমি কথা দিচ্ছি, আমি নিজেই প্রথম শুভেচ্ছা-পোস্টটা দিব।

আপনার সফর সংক্রান্ত আলোচনাও বরং আরো গভীরতা পাবে এখানে। মিছিলে একটা চকিত জরীপ চালিয়ে দেখুনতো- এই সফর সম্পর্কে মিছিলের লোকগুলো আসলেই কতটুকু জানে!

(লেখককে উত্তম জাঝা)
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জাঝা
___________________
___________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাই, ভুলে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বললেন হাসিনা নাকি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী না সারা বিশ্বের নেত্রীতে পরিণত হয়েছে, আর বিশ্ব নেত্রীর জন্য আপনার-আমার মত চুনিপুটিদেরতো একটু কষ্ট স্বীকার করতেই হয়। তাঁরা যা আকাশের তারা, মাটির মানুষের দুর্ভোগ বোঝার মত মন ও সময় কোথায়? ওনি যে পুরস্কার নিয়ে এলেন এটার জন্যতো জাতি হিসেবে আমাদের সবাইকে লাইনে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখনোর উচিত ছিল। আমরা সেটা না করে ওনার সাথে বেয়াদপি করলাম নাতো! আপনার লেখাটা ভালো লাগল।

ওনারা সম্মান পান, পুরস্কার পান, ডিগ্রী পান আর আমরা যানজটের দুর্ভোগ পোহাই। বাড়ির প্রিয়জনদের উৎকন্ঠায় রেখে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি। ওনারা আমাদের দাঁড়িয়ে থাকা থেকে জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার ভাবে, মনে মনে সুখ অনুভব করে, পরবর্তী টার্মে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নের বিভোর হয়, রোমাঞ্চিত হয়। মানুষকে ভাবে ক্ষমতার সিঁড়ি। ঘারে পা ফেলে আনন্দ উল্লাসে, আকাশে বসে চাঁদের সাথে মুচকি হাসে।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ স্বাধীন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলায়তনের সবাইকে বলছি। আজ সকালে আমি মেইল চেক করতে গিয়ে দেখি, কোথাকার কোন "ফিরোজ মাহাবুব কামালের" কাছ থেকে আমার কাছে একাত্তরের চেতনা নিয়ে কি একটা মেইল এসেছে। আমি ভাবলাম ভালো কিছুই হবে, হয়তো আমি কিছু সূত্রই পাব। কিন্তু মেইল খুলে পড়ে দেখি কিসের কি? সে পাকিস্তানের দালাল!!

মুজিব ভারতের এজেন্ট.........হাউকাউ.........মুজিব ইসলাম খায়া ফেলসে............
এইসব হাবিজাবি লিখে পুরায়ে রেখেছে!! সে আবার আগ বাড়ায়ে তার ঐ বিশাল লেখার পি ডি এফ ভার্সন আর তার নিজের সাইটের ঠিকানাও দিয়ে দিয়েছে। যায়া দেখি, ছাগুর বাপ রামছাগু!

কিন্তু কথা হইলো এই লোক এইভাবে জনে জনে মেইল এড্রেস ধরে মেইল করছে ক্যান? আমার মত আবালরেই পাইলো কোত্থেকে? আর কত জনেরে পাঠাইছে?

এই লোক কে? যে আবালদের খুজে খুজে টার্গেট করছে? আমার থেকে বড় আবালদের কাছে পড়লে তো ওগুলারে নিয়া ভেজাল হবে!

(খুশির খবর!! আমি লিংক দিতে শিক্ষ্যা গেছি!!!দেঁতো হাসি ) তবে বিষয়টাকে বিবেচনা করে দেখবেন।

আমিই তানভী |

হিমু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যপারটা আসলে প্রথমে ধরতে পারি নাই। তাই বেকুবের মতন লিংকটা দিয়া দিসিলাম। মন খারাপ সরি।

যাউকগা,লিংক সরানোর জইন্য থাঙ্কু। দেঁতো হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই লোক তো প্রতিষ্ঠিত ছাগু...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যাপারটা আসলে শুধু প্রধানমন্ত্রীর অধীনে না। অনেকটাই তার তোষামোদকারীদের নিজেদের স্বার্থউদ্ধারে। তারাই নিজেরা এই সব মিছিল করে, তারাই স্কুলের বাচ্চাদের কাঠফাটা রৌদ্রে রাস্তার ধারে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখে।
আর, যদি, প্রধানমন্ত্রীই এই দোষে দুস্ট হন, সেটার কথা যেমন লিখলেন, তার সাথে এটাও যুক্ত করা উচিত ছিল, বিরোধীদলের মূল কমিটিতে যুক্ত হবার আনন্দে দুই নেতার অনুসারীরাও কাল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় ৪/৫ ঘন্টা যাবৎ বন্ধ করে রেখেছিল।
শহরের ভেতরে আপনি কাল দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছেন, তাই একজনকে দুষবেন, অন্য আরেকটা চোখে পড়েনি বলে এড়িয়ে যাবেন, এমনটা না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
প্রধানমন্ত্রীর এই সস্তা জনপ্রিয়তার আকাঙ্খা আশংকাজনক এবং ন্যক্কারজনক।

- মুক্ত বয়ান

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উনিই দিন বদলের ডাক দিছেন। শুরু করতে হইলে উনারেই শুরু করতে হবে... আগে উনি শুরু করুক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বালক এর ছবি

চলুক
চিঠিখানা যদি যমুনায় পাঠানো যেতো ইয়ে, মানে...
*************************************************************************
কথার প্রজাপতি হাওয়া হয়ে যাচ্ছে, দীর্ঘশ্বাসে বেজে উঠছে মাউথঅর্গান। জানালা খোলা সকাল; রোদের ডানায় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি! অসংখ্য মেঘ তবু বেঁচে আছে সম্ভাবনার নাভিতে...

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাতেও লাভ নাই। কিছু চতুর্থ শ্রেণীর লোক নির্বাচন করে, কোন পত্র প্রধানমন্ত্রীর গোচরে আনা প্রয়োজন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রাফি এর ছবি

বন্দুক হাতে পেলে মানুষ যেভাবে বদলে যায়, ক্ষমতা হাতে পেলে বদলে যায় তার চাইতেও দ্রুত। নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণার দিন যে শেখ হাসিনাকে অনুতপ্ত এবং দেশের জন্য নিবেদিত মনে হয়েছিল তাকে এখন typical বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। ক্ষমতায় এলেই একের পর এক পুরস্কার ঘরে আনা আর নামকরণের সেই পুরনো সংস্কৃতি পুনরজ্জীবিত করার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় নি জনসাধারণ।

এখন একটা ভয়েই দিন কাটে; চারবছর পর কাকে ক্ষমতায় দেখতে হয় কে জানে???? 'সেই পুরনো শকুন' আবার ফিরে না আসলেই হয়।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শকুন পুরনো হইলেও চেনা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিকেত এর ছবি

হায় আমার স্বদেশ!
একের পর এক দেশের প্রতি মমত্ববিহীন, অর্থলোলুপ, ক্ষীণদৃষ্টির লোক আমাদের ঘাড়ে পা ফেলে উঠে যায় ক্ষমতার চূড়ায়। আমাদের হাড়ের পাহাড়ের শীর্ষে বসে আমাদেরই করোটিতে চুমুক দিয়ে পান করে মৃত সঞ্জীবনী সুধা।
এদের হাত থেকে কি আমাদের আর কোন পরিত্রাণ নেই?
কেন আমাদের বলতে হবে এই মৃত্যু উপত্যকা আমার স্বদেশ নয়---!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এদের হাত থেকে কি আমাদের আর কোন পরিত্রাণ নেই?

আছে হয়তো... আমি আশাবাদী লোক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তিথীডোর এর ছবি

বোধহয় হপ্তা দুয়েক আগে এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্যে মাননীয়া চাঁটগাঁ এসেছিলেন...
নিরাপত্তার কর্ডনে সৃষ্ট তীব্র যানজটে শহরবাসীকে অস্হির করে পাজেরো চেপে শেষমেষ যখন পাশ কাটিয়ে গেলেন, তখন আর ক্রুদ্ধ হওয়ার এনার্জিও অবশিষ্ট ছিলো না!!

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে আমরা নাহয় প্রটোকলটুকু মেনে নিলাম। কিন্তু বাড়তি গুলা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

আর কত?

---------------------------
ব্রহ্মা জানেন গোপণ কম্মটি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

লীন এর ছবি

চলছে চলবে।

______________________________________
লীনলিপি

______________________________________
লীন

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

ইউটিউব জিন্দাবাদ চোখ টিপি

Moshfiqur Rahman এর ছবি

মনের কথাটা লিখছেন | আফসোস যদি কোনো ভাবে এই লেখাটা প্রধান মন্ত্রী রে পড়াইতে পারতাম, আর যদিও বা পরাইতে পারতাম যদি কোনো ভাবে তারে অনুভব করাইতে পারতাম, যদিও বা অনুভব করাইতে পারতাম যদি তারে সেই মত কাজকরাইতে পারতাম...অনেক যদি..অনেক যদি নিয়েই চলে আমাদের দিনগুলো...

সবজান্তা এর ছবি

আওয়ামীলীগ এমন কিছু পাকপবিত্র দল না যে তাদের কথাকে আমি বিশ্বাস করি বা করতাম। তবুও তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন রকমের সাইজ হওয়ার কারণে, এইটুকু আশা ছিলো, আওয়ামীলীগ একটু হলেও বদলাবে। কিন্তু বদলায়নি।

একটা জিনিস আজকাল চিন্তা করি, কোন রকমের সরকার ছাড়া কি দেশ চলা একদম অসম্ভব ? যদি ক্ষুদ্রতম সম্ভাবনাও থাকে, আমার মনে হয়ে আমাদের সেদিকেই হাঁটা উচিত।


অলমিতি বিস্তারেণ

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

রাজনীতিবিদদের মনে আসলে কখনো শুভবুদ্ধির উদয় হয় না।
অন্তত তাদের চামচারা তাদের সে সুযোগ দেয় না।

ইবরাহিম যুন [অতিথি] এর ছবি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী.. আমাদের মাপ করে দেয়া যায় না।

shumi এর ছবি

Thanks for your nice thinking and nice writing

মাহবুবুল হক এর ছবি

আসলে আমার মনে হয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানোর সদিচ্ছা কারো নেই। মুখে কথার ফুলঝুড়ি। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আ.লীগ এ কাজটি শুরু করতে পারতো। নিজেদের নেতাকমীদের জন্য বা দলের নানা আনুষ্ঠানিকতার জন্য একটি আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করে এ কাজটি খুব সহজে করতে পারতো আ.লীগ। সাধারণ মানুষও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আগাম ধারণা পেতো।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

চামচাদের দোষ দিয়ে লাভ নাই, ওনারা তেল খাইতে ভালোবাসেন বলেই চামচারা তেল নিয়ে হাজির হয়। ওনি দেশে ফিরার আগে বললেই পারতেন -আমার জন্য রাস্তায় সমবেত হওয়ার দরকার নেই, সেটাতো ওনি বললেন না। তার মানি কি ওনি মনে মনে তেল খেতে ভালো বাসেন। ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

আলমগীর এর ছবি

আপনাকে সশ্রদ্ধ অভিবাদন তবু।

এই লাইনটায় অনাগ্রহ আছে।

যে কয়টা চুক্তি করে আসছেন, তার বিস্তারিত জানতে চাই। এ চুক্তিগুলো নিয়ে না সংসদে, না পত্রিকায় না কোন সুশীল সমাবেশে কোন আলোচনা হলো।

১০০%সফলতা উনি কীভাবে হিসাব করলেন জানতে বড় ইচ্ছা করে।

রায়হান আবীর এর ছবি

মানুষের কেন একটু কমন সেন্স হয়না!! এমনিতেই ঢাকা শহরে চলার উপায় নাই, তারপর মিছিল করলে ক্যাম্নে কী!

অতিথি লেখক এর ছবি

৫ হাজার টাকা খরচ করলে আজকে রাজপথে একটা শ্লোগানমুখর মিছিল আমার নামেও হওয়া সম্ভব।

পাগলের সুখ মনে মনে। ১ লাখ খরচ করে পারলে ১০০ জনের একটা মিছিল করেন তো দেখি।

হিমু এর ছবি

একটা কাজ করা খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঢাকা শহর থেকে সরিয়ে একটু দূরে গাজীপুর বা ভালুকার দিকে নিয়ে যাওয়া হোক। সেখানে একটা এয়ারফিল্ড থাকবে আলাদা। প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয় যারা তাদের জন্যে আলাদা ব্যারাক নির্মাণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরলেন ৭২ সালে, তখনও ঢাকা শহর অচল হয় নাই। আর আজ হাসিনা সামান্য সফর সেরে ফিরতে না ফিরতেই এই অবস্থা।

এই শোডাউন দেখে নিশ্চয়ই মনমোহন সিং মুচকি হাসছেন।

আত্মসম্মানজ্ঞানহীন চামচাদের হাত থেকে আওয়ামী নেতৃত্ব মুক্তি পাক।



হাঁটুপানির জলদস্যু বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এই শোডাউন দেখে নিশ্চয়ই মনমোহন সিং মুচকি হাসছেন।

এটাই ভাবছিলাম কাল। চলুক

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

আত্মসম্মানজ্ঞানহীন চামচাদের হাত থেকে আওয়ামী নেতৃত্ব মুক্তি পাক।

তাই যেন হয়। নাহলে ওনারাও বিপদে পড়বেন, আমাদেরও ফেলবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

নজুভাই, পুরাই ফাটাফাটি।

যানজট কমাতে আপনি স্কুলের বাচ্চাগুলোকে রাতের আঁধার থাকতে স্কুলে পাঠানোর নিয়ম করতে পারলেন, আর নিজের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের লোভটুকু সংবরণ করতে পারলেন না!
উপযুক্ত জবাব হয়েছে বস্‌ ।
- বুদ্ধু

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই ঘটনা নিয়া পোস্ট দেয়ার কি হলো বুঝলাম না। চোখ টিপি

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কি আহামরি কোনো চেইঞ্জ কেউ আশা করেছিলেন? আমি অন্তত তেমনটা আশা করি নাই। ধামাধরা থাকবে, চামচা থাকবে, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি থাকবে, ডিগ্রির ডায়রিয়া থাকবে - এগুলা সবই স্বাভাবিক। তবে গত নির্বাচনে সুযোগ পেলে আমিও যে কারণে নৌকায় ভোট দিতাম; তার ক্রেডিট বিএনপির। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের কোলে বসে রাজনীতি করা বিএনপি ঠেকানো আর তার সাথে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা 'আশা' আওয়ামী লীগের বিজয়ের কারণ। এতে তাদের নিজস্ব কোনো ক্রেডিট নাই। আগের টার্মেও আওয়ামী লীগের একই রূপ ছিলো, একইভাবে দেশকে বাঁশ দেয়া হয়েছিলো, রাতারাতি তারা 'ভালো' হয়ে যাবে, এমন কোনো মিরাকল ঘটে নাই।

কথা হলো, যুদ্ধাপরাধীর বিচারটা হওয়া দরকার। হাসিনা আরো দশটা ডিগ্রি পাক, পুরা ফ্যামিলি উপদেষ্টা ক্যাটেগরীতে পাবলিকের টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করুক, আপাতত কোনো আপত্তি নাই। তবে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়া 'হেনি কলেজের টিয়া'র কেস হলে পাবলিকের গদাম সোজা হাসিনার পিঠে গিয়া পড়বে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রাহিন হায়দার এর ছবি

টেবিল চাপড়ে সহমত!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আগের প্রধানমন্ত্রী নাহয় পেপার টেপার পড়তেন না। ঢাকার রাস্তায় যানজটের কথা তিনি জানতেন না। তাঁকে তার চামচারা যা বলতো তাই তিনি বিশ্বাস করতেন। হাসিনাও কি জানেন না এসব? তিনিও কি দূর কোনো গ্রহ থেকে এসেছেন এই পৃথিবীর ঢাকা নামক নগরীতে? তাঁর ছেলে কোথায়? এতো যে ডিজিটাল ডিজিটাল বলে বাংলাদেশকে জিরো-ওয়ান বাইনারীতে পরিণত করে ফেললেন, তিনিও কি ঢাকার যানজট নিয়ে কোনো পত্রিকা, ব্লগ- এগুলো পড়েন নি? প্রধানমন্ত্রী নাহয় চাটুকারদের দ্বারা ঘিরে থাকেন, তিনি তো আর প্রধানমন্ত্রী না। নিজের মাকে তো তীব্র যানজটের ব্যাপারে তিনি নিজেই বলতে পারতেন! নাকি তিনি বুঝতেই পারেন নি?

তাহলে তো বলতে হয়, এতো স্বল্প দূরদর্শীতা নিয়ে তিনি কীভাবে বাংলাদেশকে ডিজিটাইজ করতে চাচ্ছেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কার্যকরী পোস্ট। শেখ হাসিনাকে পড়ানোর কোন পথ আছে? উনার পুত্র বোধহয় বাংলা ব্লগ পড়েন। দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কি যে কন না। আমাদের সমস্যা নিয়ে কি উনাদের চিন্তা করার দরকার আছে ? তাদের আবেগ টা বুঝার চেষ্টা করুন। নেত্রী কি না কি ফালায়া আইছে দেশে। এত কিছু তাও তো কম হয়ে গেল।

সাঈদ।

শেখ নজরুল এর ছবি

হঠাত ক্ষেপলেন কেন ? মাফ করে দিন।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

তাসনীম এর ছবি

গতকাল ভোরে উঠে বাংলাদেশের নিউজের প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনার সংবাদ দেখে প্রথমেই মনে হয়েছে এতে বিপুল যানজট হয়েছে নিশ্চয়। এরপর আর খবর দেখি নি। সুনীল একটা কবিতা লিখেছিলেন গুজরাটের বন্যার সময় ইন্দিরা গান্ধীর সফর নিয়ে।

উঁচু থেকে তুমি দেখতে পাও মাইল মাইল শূন্যতা
প্রকৃতির নিয়ম ও নিয়মহীনতার সর্বনাশা মহিমা
নতুন জলের প্রবাহ, তেজে স্রোত-যেন মেঘলা আকাশ উল্টো
হয়ে শুয়ে আছে পৃথিবীতে
মাঝে মাঝে দ্বীপের মতন বাড়িও কান্ডহীন গাছের পল্লবিত মাথা
ইন্দিরা, তখন সেই বন্যার দৃশ্য দেখেও একদিন তোমার মুখ ফস্কে
বেরিয়ে যেতে পারে, বাঃ, কী সুন্দর!

এই কবিতা ইন্দিরার কানে নাকি গিয়েছিল এবং তিনি ব্যাপক গোস্বা হয়েছিলেন বলে কোথায় যেন পড়েছি।

বুলেট প্রুফ গাড়ি থেকে ঢাকার জানজট দেখে হাসিনারও মুখ ফস্কে থেকে বেরুতে পারে...বাঃ আমি কি জনপ্রিয়।

কেউ এই ব্লগ উনাকে দেখাবেন কি?

--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বপ্নহারা এর ছবি

মানুষের ধর্মই হল নিজের সম্পর্কে ভাল শুনতে চাওয়া...মানুষ নিজে সেটা মিথ্যা জেনেও নিজের প্রশংসা শুনতে- নিজের মিথ্যা ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ করতে ভালবাসে। শেখ হাসিনা বা আম্লীগ কোন মহামানব বা ফেরেশতা না! এটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয় আমার...মন খারাপ:(

তিনি প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন...তাই পুরাতন রূপে ফিরছেন! যতকিছু করুন রাজাকারদের বিচার না করলে তার দলকে আস্তাকুড়েই দেখা যাবে।

স্কুলের একজন স্যার সবসময় বলতেন, যদি কেউ শত্রু হয় অথবা কাউকে যদি ধ্বংস করতে চাস, তাহলে শুধু সারাক্ষণ তার প্রশংসা করবি!

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

কোনো এক সভায় যখন শেখ হাসিনা-আপনি, সিংহাসন ফিরিয়ে দিয়ে অন্য সবার মত একই চেয়ারে বসেন এবং এরপরের সব সভায় একই রকম আয়োজন করার নির্দেশ দেন তখন জনগণ হিসেবে আমরা কিছুটা হলেও আশাবাদী হই যে, দিন হয়ত আস্তে আস্তে বদলাবে।ঠিক তেমনি প্রতীকী হলেও এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে যখন অন্যদের সাথে সাধারণভাবে বিমানে ওঠেন--তখনো আমরা আশাবাদী হই যে এটা নিছক আইওয়াশ নয়।
কিন্তু সে আশার গুঁড়ে সত্যিই সত্যিই বালি পড়ে যখন পুরো শহর অচল করে দিয়ে তোষামোদী সংবর্ধনায় আপনার দাঁত কেলানো হাসি দেখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ঠিক তেমনি প্রচণ্ড হতাশ হই যখন মুক্তিযুদ্ধ করে পাওয়া আমাদের এই বাংলাদেশে বীরশ্রেষ্ঠদের নাম পরিবর্তন করে (তা যে যুক্তিতেই হোক) যখন কোনো স্থাপনার নাম আপনার দলীয় কোনো নেতার নামে হয়--আবার আপনারা নামকরণের খেলার সেই পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি করেন।

বঙ্গবন্ধু যে বয়সে বাংলাদেশ শাসন করেছিলেন, হিসেব করে দেখুন আপনার বয়স কিন্তু এখন তার চেয়েও বেশি। তাই আপনার কাছ থেকে অনেক অনেক ম্যাচিউরটি আমরা আশা করি।সে আশাকে দুরাশা হতে না দেয়ার সবচেয়ে বড় দায় কিন্তু আপনারই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

তানবীরা এর ছবি

এসি গাড়িতে বসে থাকবেন, আর রাস্তার দুপাশে আমরা ভিখেরীর দল হাত নাড়ব, এটাতে একটা আগের দিনের জমিদারি আমেজ আছে, কিংবা রাজকীয়। সুততাং ইর্ষণীয়তো বটেই

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আমি [অতিথি] এর ছবি

এই লেখায় ফকির ইলিয়াস গংদের মন্তব্য জানতে ইচ্ছা হয়। আজকেই শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ফ. ই. ভাইয়ের চরম তৈলাক্ত একটা লেখা ব্লগে দেখলাম।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চরম ভোগান্তির এক দিন ছিল। বাসায় ফিরতে জান কাহিল!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমার মতো অসংখ্য মানুষ তখন দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছিলো, আপনি কখন যাবেন, আমরা যার যার গন্তব্যে এবং কাজে ফিরতে পারবো

দারুন পোস্ট, চলুক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।