বইমেলায় আড্ডাম্যালা ৩

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ০৭/০২/২০১০ - ১২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত দুদিন বইমেলায় যাওয়া হয়নি। আজ সকাল থেকেই যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। তবু যেতে যেতে ঠিক সন্ধ্যে হয়ে গেলো।

বইমেলা জমে গেছে পুরোদমে। সিয়েঞ্জি থেকে নামতেই দেখা পুরনো দুই সহকর্মীর সঙ্গে, তুষার আর অম্লান। তাদের কেনাকাটা শেষ, বাড়ি ফেরার পথে ভুট্টা খাচ্ছে। 'আমরা এখন ভুট্টা খাই না, পপকর্ন খাই' বলে মেলার দিকে হাঁটা ধরলাম। পথেই দেখা সচল খেকশিয়াল আর ওডিনের সঙ্গে। মেলায় ঢুকলে আর চা খেতে পারবো না, তাই ঢোকার আগেই চা আর ফুলকপি ভাজা খেয়ে নিলাম। তারপর ঢুকলাম মেলায়।

শুদ্ধস্বরের সামনের বারান্দাটা গিজগিজ করছে সচল আর হাচলে। কে নেই? গোটা বিশ পঁচিশেক একসঙ্গে গুলতানি মারছে। আমি নুপুর আর নিধিও মিশে গেলাম সেই আড্ডায়। ঢোকার মুখেই নিধিকে একটা বেলুন কিনে দিয়েছিলাম, লীলেন্দা শুরুতেই দিলেন সেটা ফাটিয়ে। সেই অভিমানে নিধি বাড়ি চলে যাওয়ার বায়না ধরলো, আমি বলি কস্কী মমিন!

এরই মধ্যে বেশ কজন সচলের বই চলে এসেছে মেলায়। পান্থ আর সাইফুলআকবরখান তো সেই উপলক্ষে বেতার ভাষণও দিয়ে দিছে। এসেছে অনার্য্য সঙ্গীতের বইও। আর এসেছে 'লুহার তালা', সবুজ বাঘের। লীলেন্দা বই না এনে প্রচ্ছদ ছাপিয়ে এনেছেন, আগের অবিকৃত বইগুলোর মলাট পাল্টে নতুন বই হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা চোখ টিপি

লীনা ফেরদৌসের ছড়ার বই ভালোবাসার ছড়াছড়ি বেরিয়েছে আবৃত্তির সিডি সহ। ফিতেয় বাঁধা সেই বই নিধি তুলে নিলো প্রথমে। কিনলাম। কিন্তু ততক্ষণে লীনা গেছে চলে, অটোগ্রাফ মিললো না। রতন আর সাইফুলআকবরখানের বই নিলাম অটোগ্রাফ সহ। পান্থর বইটা আজকে কেনা হলোনা, সেই প্রকাশনীর স্টলতক যাওয়ার সময়ের অভাবে। কালকে অবশ্যই কিনবো। আর সবুজ বাঘের বইটা কিনতে গিয়ে দেখি স্টক শেষ, আরো কয়েকজন না কিনতে পেয়ে ফেরত গেছেন। কিনতে না পারার দুঃখ নিয়েও খুশি লাগলো, মনে মনে চাইলাম- আবু মুস্তাফিজের সবগুলো বই যেন হটকেকের মতোই বিক্রি হয়ে যায়... আমি বঞ্ছিত থাকলেও আনন্দেই থাকবো।

এখানে একটা কথা বলে নেই। সচল লুৎফর রহমান রিটন ভাই প্রতিদিন বইমেলা থেকে চ্যানেল আইয়ের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন। কারিগরী ত্রুটির কারণে তিনি সচলে এখন নিয়মিত হতে পারছেন না। তাই সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যে কোনো সচলের বই বাজারে এলে বিকেল ৪টার সময় মেলায় তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য। চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠানটায় তিনি বইটির প্রচারের ব্যবস্থা করবেন।

যাহোক, এর মধ্যেই দেখা বন্ধু সৈনিকের সঙ্গে। টিডব্লিউ সৈনিক। 'আমি তোমার ঘুম'র গায়ক, চিত্রগ্রাহক। খুব বড় একটা অস্ত্রোপচার শেষে ব্যঙ্কক থেকে ফিরলো কিছুদিন আগে। তারপর এই প্রথম দেখা। ভালো থাকিস বন্ধু...

রিটন ভাই কিনেছিলেন কিছু বই, সেগুলো চোখের পলকে ছিনতাই করে নিলো নারী সচলের দল। একেকজন একেটা ভাগ করে নিলো। রিটন ভাই দেখলাম খুব খুশি চোখ টিপি নুপুরের সুবাদে আমার ঘরে এলো পাপড়ি রহমানের ধূলিচিত্রিত দৃশ্যাবলি...

ভেবেছিলাম আজকে পুরোটা মেলা চক্কর দিবো শান্তিমতো, কী কী বই এসেছে বা আসছে, তার খোঁজ নিবো। সচল ছাড়াও পৃথিবীতে যারা আছে, তাদের সঙ্গে দেখা করবো। কিন্তু কিছুই হলো না। শুদ্ধস্বরের সামনেই কেটে গেলো পুরোটা সময়। আড্ডা আর আড্ডায়। এলো রাসেল ডট ডট, কৌশিক, মনজুরুল ভাই... সেখানেও টুক আড্ডা হলো। সবুজ বাঘ উরফে আবু মুস্তাফিজ উরফে শাপলুদা যে স্টার হয়ে যাইতেছে, অটোগ্রাফ দিয়া বেড়াইতেছে, তাতে জাতির কী হবে না হবে টাইপ রম্যালোচনা হলো।

সচলদের বড় অংশটা একসময় চা খেতে বাইরে গেলো। কিন্তু আমরা গেলাম না। কনফু, তিথি আর সবুজ বাঘসমেত আমরা এগিয়ে গেলাম পাঠসূত্রের দিকে। সেখানে দেখা ফিরোজ সারোয়ার ভাইয়ের সঙ্গে। অনেক বছর পরে দেখা। আগের চেয়ে বুড়ো হয়ে গেছেন, কিন্তু তারুণ্য কমেনি। আমাকে দেখে তো চিনতেই পারেননি। কারণ এই কয় বছরে আমি সাইজে চারগুন বেড়েছি, পিঠ ছড়ানো লম্বা চুল একেবারে ভদ্রলোকের চেহারা নিয়েছে। ৫/৭ বছর আগের আমার সঙ্গে কোনো মিল নেই, সারোয়ার ভাইয়ের দোষ কী? যখন চিনতে পারলেন, অবাকে ১ মিনিট হা করে চেয়ে রইলেন।

সারোয়ার ভাই আমার খুব প্রিয় একটা মানুষ। বাংলা একাডেমিতে আছেন দীর্ঘ অনেক বছর। আমার লেখালেখির শুরুর সময়ে বকাঝকা যা যা দিয়েছিলেন, তার সবগুলো যদি মনে রাখতে পারতাম, তাহলে একদুলাইন ভালো কিছু লেখার যোগ্যতা হতো। বাদ দেই। এই লোককে নিয়ে কথা বলতে গেলে আস্ত দুইটা পোস্ট লাগবে। বিচিত্র এক মানুষ।
তবে সচলে তাকে নিয়ে এত কথা বলার কারণ হলো, সারোয়ার ভাই জুবায়ের ভাইয়ের সবচেয়ে কাছের সঙ্গী ছিলেন, বন্ধু ছিলেন। আজকেও অনেকক্ষণ কথা হলো জুবায়ের ভাইকে নিয়েই। এর মধ্যে চলে এলেন তাদের আরেক বন্ধু অভিনেতা লেখক খায়রুল আলম সবুজ ভাই। সবুজ ভাই পড়ুয়া লোক। অনেক পড়েন। আমার বাড়ির উল্টোদিকেই বাড়ি তাঁর। উত্তরা ছেড়ে ইস্কাটনে এসেছি শুনেই বলেছিলেন 'বই তো কাউকে ধার দেই না, কিন্তু যারা পড়তে চায় সত্যিকারে, তাদের বই ধার দিতে আপত্তি নেই, তোর দরকার হলে নিতে পারিস'। আমার আর যাওয়া হয়নি। কী করে বোঝাই, এখন আমার ঘরেই অপড়া বইয়ের স্তুপ জমে যাচ্ছে। অন্যের কাছ থেকে ধার করার আর প্রয়োজন হয়না মন খারাপ

আমরা গেলাম নজরুল মঞ্চের দিকে। ঠিক হলো এখানেই আগামীকাল সন্ধ্যায় কনফুসিয়াসের প্রথম বই 'কাঠের সেনাপতি'র মোড়ক উন্মোচন হবে। এইখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখি। ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকার নিমন্ত্রণ রইলো।

একটা বই আমার কাছে ছিলো। রাহাত খানের 'অমল ধবল চাকরী'। আমার খুব প্রিয় একটা উপন্যাস। হারিয়ে গেছে। মুক্তধারায় ধর্ণা দিচ্ছি অনেকদিন। তাদের কাছেও নেই। এবার মেলায় প্রথম থেকেই লেগে রয়েছি তাদের পিছে। আজ কথা আদায় করে নিলাম আগামীকাল আমার জন্য অবশ্যই এককপি নিয়ে আসবে, যার মলাট নেই। আমি বলেছি তাতেই চলবে, শুধু পড়তে পারলেই হলো। হয়তো এই বইটার রিপ্রিন্ট হবে না আর, আমি রেখে দিতে চাই আমার কাছে।

আহমদ ছফার বেশকিছু বই সংগ্রহে নাই, আবার আছেও অনেকগুলা। বাকীগুলো খুচরা কিনবো নাকি রচনা সমগ্র কিনে ফেলবো সেই দ্বিধায় আছি কদিন ধরে। আজকেও সেখানেই রয়ে গেলাম।
গেলাম মওলা ব্রাদার্সের সামনে। পাণ্ডুলিপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মওলা ব্রাদার্সকেই আমার দেশসেরা মনে হয়। মওলা ব্রাদার্সের বই নির্দ্বিধায় কেনা যায়। আজাইরা বই তারা কম বাইর করে।
গত তিনবছর ধরে আমি পাঠক পেলেই ধরিয়ে দিচ্ছি হরিশঙ্কর জলদাসের 'জলপুত্র' বইটি। এখনো পর্যন্ত সবখান থেকে প্রশংসাই পেয়েছি। আজকের ভিক্টিম কনফুসিয়াস। তাকে জলপুত্র ধরিয়ে দিয়ে আমি নিজে কিনে নিলাম হরিশঙ্কর জলদাসেরই অন্য দুটি বই- কৈবর্তকথা আর দহনকাল। আর নির্দ্বিধাতেই কিনে নিলাম আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চার খণ্ডের রচনাসমগ্র।

মওলা ব্রাদার্সের সামনেই দেখা হয়ে গেলো রুম্পা আর হাসিবের সঙ্গে। এরা দেখি আবার কনফু তিথিরও বন্ধু। আরো দেখা হলো ব্যান্ডদল নির্ঝরের পোলাপানের লগে, আজীজের গেঞ্জির দোকান স্বপ্নবাজের পোলাপানের লগে...

এর মধ্যেই সচল নীড় সন্ধানীর ফোন। চট্টগ্রামের মানুষ। তিনঘন্টার জন্য এসেছেন ঢাকায়, বইমেলায় ঢুঁ। দেখা হতেই চিনে নিলাম। তিনি কিনেছেন সেবার ত্রিরত্নের নৌবিহার। এই বইটা আমার খুবই প্রিয় একটা বই। তিথি পড়েনি, তাই তিথির কাঁধে একটা গছিয়ে দিলাম।

মেলা ততক্ষণে শেষ। কপাট বন্ধ হচ্ছে। আমরা ধীরে ধীরে বের হয়ে গেলাম। দেখি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুরলি খাচ্ছে মুস্তাফিজ ভাই, আকতার ভাই আর মৃদুলদা। আমরাও সঙ্গী হলাম। এদের সঙ্গে কথা কওয়াটা বিরাট বিপদের। এরা সব কথারই জবাব দেয় ছড়ায় ছড়ায়। একটা ছোট আড্ডার পরে যার যার বাড়ির পথে সবাই।

বই তো কেনা হচ্ছে, কিন্তু পড়ার সময় কই? কিছু সুশীল আছেন, যাদের ঘরে রবীন্দ্র আর নজরুল রচনাবলী সাজিয়ে রাখা হয় শোকেসে। যেগুলোর পাতা কোনোদিন উল্টানো হয়না। আমার অবস্থাও সেদিকে যাচ্ছে দিনে দিনে। অপড়া বইগুলো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে। উফ, কবে যে অবসর পাবো... মন খারাপ


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সিরিজটা খুব ভালো হচ্ছে। পড়সি সবগুলাই। প্রতিদিন মেলায় যায়েন (যেহেতু বলসেন, যেদিন যেদিন যাবেন, একটা করে ব্লগ লিখবেন) চোখ টিপি

তাসনীম এর ছবি

জমে উঠেছে মেলা মনে হচ্ছে...চলুক মেলা নিয়ে ম্যালা ম্যালা লেখা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নিবিড় এর ছবি

মেলা তাইলে জমে উঠছে চিন্তিত


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দারুন লেখা বস, জব্বর লোভ লাগে, কিন্তু আসতে পারতেছি না, নিজের হাত কামড়াইতে ইচ্ছা করে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তারানা_শব্দ এর ছবি

মেলায় যাবো!! মন খারাপ( মন খারাপ(

লেখা দারুণ লাগলো রুল ভাই! আগের গুলাও পড়সি, আলসেমিতে কমেন্ট করা হয় নাই। দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই এভাবে লেখার জন্য।

আমরা যারা যেতে পারছিনা আপনার সাথে সাথে দেখছি প্রিয় স্টল, প্রিয় রাস্তা, প্রিয় প্রাঙ্গন...

এই প্রথম না যেতে পারা একটা বইমেলা কেটে যাচ্ছে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শুদ্ধস্বরের স্টল বন্ধ করে আমরা সবার শেষে বের হইছি। আমি, লীলেন্দা, রণ'দা, সবজান্তা, তারেক আর টুটুল ভাই চিংড়ির মাথা ভাজা খাইছি। লীলেন্দা বিদায়পূর্ব চা না খেয়ে কাউকে যেতে দেয়না। তাই চা ও খাইলাম। পরে তারেক, সবজান্তা আর রণ'দা কে বিদায় দিয়ে আমি, লীলেন্দা আর টুটুলভাই এক রিক্সায় বাসায় ফিরছি... হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

আহ্‌...আজকেও মেলায় ঘুরা হয়ে গেল...অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

হাসিব এর ছবি

ঐটা কিন্তু আমি না ।

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাই আপনার লেখাটা পড়ে মালায় যাবার আগ্রহটা বেড়ে যাচ্ছে দিনদিন, মনে হচ্ছে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে চলে যাই ঢাকা ঘুরে বেড়াই বই মেলায়, আড্ডা দেই সচল ভাইদের সাথে। আমি সচল ভাইদের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ এই কারণে যে তারা প্রতিনিয়ত আমাকে উন্নতির জায়গা গুলো ধরিয়ে দিচ্ছে, আমার লেখার সমালোচনা করে আমাকে ভালো করার পথ দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ সবাইকে। বিশেষ করে নজরুল ভাই আপনাকে।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারা একটি বড় ক্ষমতা। আপনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছেন বলে ধন্যবাদ।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দেঁতো হাসি একটা পড়া শেষ, আরেকটা পড়া শুরু! ধন্যবাদ রিটন ভাই! দেঁতো হাসি

-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

বর্ষা এর ছবি

চলুক

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বই আর পড়বেন কবে, সময় পাইবেন না, তাই বেশি কইরা কিনা জমা কইরা রাখেন, আমি আইসা নিয়া যামুনে চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আজকে কিন্তু আমার বই পাওয়া যাবে! কালকে স্টক শেষ হয়ে গেছিলো। হাসি বিডিআর, কনফু, তিথি এবং সচলের বাইরের আরো কে কে যেন কিনতে গিয়ে পায় নাই। মন খারাপ
নজু ভাই, আজকে তাড়াতাড়ি চলে যাইয়েন! পরে না পেলে আমারে দুষাইবেন না কিন্তু! খাইছে
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হেহে । পড়তে তো সিরাম লাগতেছে ।
অপড়া বইগুলা আমাগো মাঝে বিলায়া দিলেই হয় চোখ টিপি

বোহেমিয়ান

দময়ন্তী এর ছবি

হরিশঙ্কর জলদাসের 'জলপুত্র' বইটা আমি গত সেপ্টেম্বরে একদিন কলেজ স্ট্রীটে ঘুরতে ঘুরতে আচমকা পেয়ে গেছিলাম৷ নেড়েচেড়ে দেখে ওখানে দাঁড়িয়েই ১০ পাতা পড়ে ফেললাম এবং কিনেও ফেললাম৷ আমার ভীষণই ভাল লেগেছে৷ আমিও কয়েকজনকে রেকো করেছিলাম৷ কিন্তু তারা কেন যেন যোগাড় করতে পারে নাই৷

আপনার কলকাতা বেড়াতে আসার কি হল?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জলপুত্র কলকাতাতেও পাওয়া যাচ্ছে, এটা দারুণ একটা খবর। এই লেখকরে ছড়ায়ে দিতে হবে। আমাদের তারকা লেখকরা যে পরিমাণ ডুবাচ্ছেন বাংলা সাহিত্যকে, হরিশঙ্কররা একাই উদ্ধার করে নেবে আশাকরি।

আমার আসার ইচ্ছা প্রবল। কিন্তু ভারত সরকার ভিসা দেওয়া নিয়ে এখন খুব জটিলতা করে। দেয়, কিন্তু সেটা পেতে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। অতো ধকল নেওয়ার অবস্থা নাই, তাই যাওয়া হচ্ছে না। খুব ইচ্ছে ছিলো এবারের কলকাতা বইমেলায় হাজির থাকবো। হলোনা।
তবে এবছর যাবোই। কলকাতা আমার খুব ভালো লাগে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এ্যামনে এই সিরিজ ল্যাখতে থাকেন। বই জমাইতে থাকেন। কটকটি খাইতে থাকেন.... আমি আইতেয়াছি। ইশ কামিং ছুন দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন চৌধুরী এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার হচ্ছে। পড়ছি। আর দূর থেকে বইমেলার কিছুটা স্বাদ গ্রহণ করার চেষ্টা করছি।
কবির মত বলতে সাধ হয়, "দেখিস মাঝি, একদিন আমরাও ......"
হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

লিখতে থাকুন নজ্রুলিস্লামসাহেব!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি তো ভাবতেছিলাম আপনের নামে একটা হারানো বিজ্ঞপ্তি লিখতে হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনে বিজ্ঞপ্তি লিখবেন কেন? বরং এই নিয়ে একটা নাটক লিখে ফেলেন। হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আর আপনে যে আমারে একটা লিখে দিবেন বলে একমাস ধরে ঘুরাচ্ছেন!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বস! লীলেন ভাইয়ের আগের বইগুলো অবিকৃত, না অবিক্রীত? হাসি
আর, আপনি আসোলোই দিনদিন সুশীল হইয়া যাইতেছেন! দেঁতো হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।