বইমেলায় আড্ডাম্যালা ৫

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: শুক্র, ১২/০২/২০১০ - ২:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কদিন লেখা হয়নি। আসলে বইমেলায় যাওয়াও হলো কমই। একদিন তো শুধু দশ মিনিটের জন্য গেলাম। ম্যাগনাম ওপাসের প্রকাশনার দিন আড্ডা হলো অনেক। শিমূলের পোস্টের পর সেটা নিয়ে কথা না বলি বরং।

আজকে বিকেলেই যাবো ভাবছিলাম, কিন্তু একটা কাজে আটকে গেলাম। আজ বইমেলায় নুশেরা আপার বই 'শিশুর অটিজম, তথ্য ও ব্যবহারিক সহায়তা'র মোড়ক উন্মোচন ছিলো। ঝামেলার কারণে সেটায় উপস্থিত থাকা হলো না। মেজাজ খারাপ।

যাহোক, আটটা নাগাদ হাজির হলাম। কিন্তু মেলায় ঢোকার আগেই দেখি চায়ের স্টলে আড্ডা জমে উঠেছে। পাণ্ডবদা, সবজান্তা, লীলেন্দা, জলিল ভাই, তীরুদা, রাসেল...
জানা গেলো আবু মুস্তাফিজ মানে আমাদের সবুজ বাঘ এক বই লিখেই স্টার হয়ে গেছেন, এখন নাকি প্রায়ই তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। চোখ টিপি
এই যখন আলাপ চলছিলো, তখন বাঘাদা স্বয়ং হাজির। ক্ষেপানো হলো কিছুক্ষণ।

কিন্তু আমার তো আড্ডা দিলে চলবে না। মেলায় যেতে হবে।
আড্ডাবাজীর কুফলে এখনো পর্যন্ত মেলাটা ভালোমতো দেখা হইতেছে না। নজরুল মঞ্চ আর শুদ্ধস্বরের আশপাশেই ঘোরাফিরা কেবল। আজকেও হবে না তা তো জানিই। একদিন মেলায় ঢুকতে হইবো মুখোশ পরে। শুধু বই দেখবো সেদিন।

প্রথমেই পাঠসূত্রে গেলাম। হিমু আর তারেকের বইয়ের খোঁজ নিলাম। তারপর শুদ্ধস্বর। ততক্ষণে বিভিন্ন দোকানের কপাট বন্ধ হতে শুরু করেছে। তবু দৌড়ে দৌড়ে একটা চক্কর দিয়ে নিলাম।

আজ কেনা হলো কয়েকটা বই। আবু মুস্তাফিজের 'লুহার তালা', নুশেরা তাজরীনের 'শিশুর অটিজম তথ্য ও ব্যবহারিক সহায়তা', কুলদা রায়ের 'কাকমানুষের চকখড়ি', শামসুল ইসলামের সম্পাদনায় 'কিংবদন্তীসমগ্র', শোয়াইব জিবরানের সম্পাদনায় 'কমলকুমার চরিতম্', মাহবুব লীলেনের 'বেবাট', হরিশংকর জলদাসের 'জীবনানন্দ ও তাঁর কাল', অদ্বৈত মল্লবর্মণের 'উপন্যাস সমগ্র'।
আর যেদিন দশ মিনিটের জন্য মেলায় গিয়েছিলাম, সেদিন কিনেছিলাম শহীদুল জহিরের 'মুখের দিকে দেখি', ইচক দুয়েন্দের 'লালঘর', সেলিনা হোসেনের 'লারা' আর সাইদুজ্জামান রওশনের সম্পাদনায় '১৯৭১ ঘাতক-দালালদের বক্তৃতা ও বিবৃতি'।

এবার মেলায় অনেক ভালো ভালো বই প্রকাশ হচ্ছে। অনেক ভালো ভালো বই। মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, অনেক বই কিনতে ইচ্ছে করে। ক্যান যে আল্লায় বড়লোক বানাইলো না মন খারাপ

মুস্তাফিজ ভাই ফোন দিয়ে জানালেন সচলায়তন সঙ্কলনের প্রচ্ছদ ছাপা হয়ে গেছে। দেখতে নাকি অসাধারণ হয়েছে। কণ্ঠ শুনেই বুঝলাম খুব উত্তেজিত। মেলায় এক কপি নিয়ে আসার কথা ছিলো, কিন্তু ততক্ষণে মেলা ছেড়ে যাবার সময় হয়েছে, আর ওদিকে রাস্তায় জ্যাম, তাই আর আসা হলো না মুস্তাফিজ ভাইয়ের, আমাদেরও দেখা হলো না প্রচ্ছদটা।

মেলা শেষ করে বের হতেও আবার সচলদের আড্ডা। আগে বইমেলায় গেলে কেবল লিটলম্যাগওয়ালা পরিচিতদের সঙ্গেই আড্ডা হতো। এখন শুধুই ব্লগারদের সঙ্গে আড্ডা হয়। সচলায়তন ছাড়াও অন্য প্লাটফর্মে যারা লিখেন, সবার সঙ্গেই।

বইমেলার মূল স্রোতে খুব পোক্তভাবেই ঢুকে যাচ্ছেন অন্তর্জাল কেন্দ্রিক লেখকরা।
দৈনিক পত্রিকাবাহিত লেখকরাই যখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন দেশ, তখন নিরুপায় হয়েই একদল তরুণ লিটলম্যাগ নিয়ে লড়াইয়ে নামেন। খুব শক্তিশালী অনেক লেখক তৈরি হয়েছে এই ধারায়। দৈনিকবাহিত লেখকদের ভীত নাড়িয়ে দেওয়ার মতো।
যদিও দেখা গেছে দুয়েকজন ছাড়া বাকী প্রায় সব ত্যাগী লিটলম্যাগযোদ্ধাই পরবর্তীকালে শহীদ হয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠানের উঠানে। কর্পোরেট লেখক হয়েছেন অনেকে।

লিটলম্যাগ পরবর্তীকালে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত ব্লগ। আমি অনেক শক্তিশালী লেখা পড়েছি ব্লগে। ব্লগ না থাকলেও হয়তো তাদের প্রতিভা থামিয়ে রাখা যেতো না। তবু মনে করি ব্লগ একটা তীব্র অবস্থান নিতেই এসেছে। থাকবে? নাকি মিশে যাবে মূল স্রোতের সঙ্গে? আসবে নতুন কোনো ঢেউ? লেখা তা যে মাধ্যমেই হোক, তাকে লেখা বলেই মানি আমি। কিন্তু তবু মনে হয় দ্বন্দটা থাকা জরুরী। কীজানি... দেখা যাক...

আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি এসেমেস... ফরিদা আপার... ফরিদা হাফিজ। তার বই 'অগ্নিযুগ প্রস্তরকাল' বাজারে আসছে আজ। ফরিদা আপা আর রিয়াজ ভাই, মানে ৮০ দশকের অন্যতম লিটলম্যাগযোদ্ধা গল্পকার সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ... তাদের বাড়িটা স্রেফ আড্ডার জন্যই তৈরি। গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা মেরে সেখানেই ঘুমিয়েছি রাতের পর রাত... উত্তরা থেকে চলে আসতাম। অথচ এখন কতো কাছে থাকি, তবু যাওয়া হয় না। রিয়াজ ভাইয়ের কোনো বই কি এবার এসেছে? জানি না। অথচ দুবছর আগে হলে বই লেখার আগে থেকেই আড্ডায় শোনা হয়ে যেতো গল্প অনেক। নাহ্ আমি খুব অসামাজিক হয়ে যাচ্ছি।

রিয়াজ ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে আরো একটা কারণে। শক্তিমান একজন গল্পকার। সাজ্জাদ শরীফসহ ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রায় সকলেই দৈনিকে আশ্রয় নিলেও সেই আশির দশক থেকে এখনো পর্যন্ত নিজের ঈমান ঠিক রেখেই চলেছেন। প্রতিষ্ঠানের কাছে লেখকসত্ত্বা বিকোবেন না... বিকোননি... অথচ প্রলোভনের কমতি ছিলোনা কোনো...

সবাই পারে না। রিয়াজ ভাই পেরেছেন, পারছেন, পারবেন জানি। স্যালুট তাকে। আবার এও ভাবি... তাতে লাভটা কী? সৈয়দ রিয়াজুর রশীদকে বা তার গল্পকে কে চেনে? কে জানে? কতজন?

লাভটা আসলে কী? কোথায়?

নাহ্, মাথায় প্যাঁচ বেঁধে গেছে... আজকে থামি...


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

নইজ্যা - আমি 'অন প্রিন্সিপল' বইমেলার কোন পোস্ট পড়ি না!

আপনার, সবজান্তার, ষষ্ঠীচরণের আর জ্ঞানীলেনের মাথায় ঠাডা পড়ে না কেন?!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শকুনের দোয়ায় গরু মরে না বলে হো হো হো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনি আমারে যদি এক মাসের ভেতর দুই হাজার ডলার না পাঠান তাইলে কিন্তু আগামী বইমেলায়- আমরা হবো তালেবান' নামে একটা বই লিখে স্নিগ্ধা আলির নামে ছাপিয়ে দেবো কইলাম

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি রাজিইইইই! আপনি কষ্ট করে ঐ বই লিখতে পারলে আমি আমার নাম বিসর্জন দিতেও রাজি! আমার না ক্যামন একটা সন্দো হয় আমি চাইলেও ইসলামি পার্টিগুলার কোনটা আমাকে দলে নিবে না, আমি পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও না মন খারাপ

তুলিরেখা এর ছবি

ইশ, এরা কী মজায় চষে বেড়াচ্ছে বইমেলা!
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কে কীভাবে লেখা শুরু করল আর কে কোথায় লিখল সেটার চেয়ে কিন্তু আমার কাছে বড়ো বিষয় মনে হয় শেষ পর্যন্ত কে কয়টা টিকে থাকার মতো লেখা দিতে পারলো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধরেন একজন ব্লগে ফাটায়ে রাজনৈতিক লেখা লিখলো। বিপ্লব করে ফেললো। তারপর তারে কিনে নিলো কোনো এক মুনাফাচোরের পত্রিকা। লাখাধিক টাকা বেতন আর গাড়ি বাড়ি দিয়ে বললো লেখ ব্যাটা যতো খুশি... তখন বিপ্লব থাকবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

বিপ্লব থাকবে কিনা সেইটা নির্ভর করতেছে প্রাক্তন বিপ্লবীর জায়গা নতুন কোন বিপ্লবী পূরন করতে পারতেছে কিনা । এই স্থান পূরনের পরিবেশও লাগে । সাইবেরিয়াতে মুরগির ডিম ফোটানো কঠিন ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ঠিক, স্থান পূরণ হলে প্রসেসটা অন্তত থাকে!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কাগুজেরা প্রাতিষ্ঠানিক ধ্বজা নিয়ে ব্লগ দখল করে ব্লগরে নিজেদের মুখোস পরায়ে দিতেছে... আর ব্যক্তি ব্লগাররা কাগুজেদের হারিয়ে দেওয়ার মানসে এগিয়ে গিয়ে নিজের অজান্তেই কাগজের ছাচেঁ সাইজ হয়ে যাইতেছে... অথবা যাবে... এটা আমার ধারণা।
আপনার অন্য মন্তব্যের জবাবে এটা লিখছিলাম... এখানেও এটাই কপি পেস্ট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

ব্লগ একটা তীব্র অবস্থান নিতেই এসেছে। থাকবে? নাকি মিশে যাবে মূল স্রোতের সঙ্গে?

এইটা একটা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন । আমার ধারনা ব্লগ তার নিজস্ব মিথস্ক্রিয়াবহুল চেহারা নিয়েই থাকবে । বরঞ্চ কাগুজেরাই পিছিয়ে পড়ে গৌনধারা হয়ে যেতে পারেন ।

চিপা দিয়া একটা কমেন্ট । আপনি সাধারণত মজা করে বর্ননা টাইপ বইমেলা রিভিউ লেখেন । আজকেরটাতে একটু চিন্তা জাগানিয়া কথা বার্তা পেলাম । আগের গুলো থেকে এইটা ভাল্লাগছে বেশি ।

আরো একটা চিপা কমেন্ট । তীরুদা করতেছে কি ঢাকাতে ? সারাদিন বইমেলাতে গিয়ে পড়ে থাকে নাকি ?

আরো একটা । কুলদা রায়ের বইটার একটা রিভিউ দিয়েন পারলে ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার ধারনা ব্লগ তার নিজস্ব মিথস্ক্রিয়াবহুল চেহারা নিয়েই থাকবে । বরঞ্চ কাগুজেরাই পিছিয়ে পড়ে গৌনধারা হয়ে যেতে পারেন ।

কাগুজেরা প্রাতিষ্ঠানিক ধ্বজা নিয়ে ব্লগ দখল করে ব্লগরে নিজেদের মুখোস পরায়ে দিতেছে... আর ব্যক্তি ব্লগাররা কাগুজেদের হারিয়ে দেওয়ার মানসে এগিয়ে গিয়ে নিজের অজান্তেই কাগজের ছাচেঁ সাইজ হয়ে যাইতেছে... অথবা যাবে... এটা আমার ধারণা।
আর কাগুজে বা ইন্টারনেটে বলতে আসলে শুধু মাধ্যম বুঝতেছি না। পুজিঁ একটা বিষয়... কাগজগুলাও একসময় এখনকার ব্লগ চেহারারই ছিলো, পুজিঁ সেখানে ঢুকে সাংবাদিকদেরকে কিউবিকলে বসাইছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

পুঁজি একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার এটা সত্য । পুঁজিভিত্তিক পৃথিবীতে যেকোন জিনিসেই দীর্ঘমেয়াদে চলতে একটা বিজনেস মডেল লাগে । তবে আপনি কাগুজে মাধ্যম পত্রিকার যে উদাহরণ দিলেন সেটা ব্লগের ক্ষেত্রে খাঁটে না মনে হয় । সচল যখন শুরু হয় তখন এর উদ্যোক্তাদের সবাই ছাত্র ছিলো । একাগ্রতা, একটা দৃঢ় আদর্শিক অবস্থান, অল্প কিছু টাকা আর কিছু কম্পিউটার জ্ঞান দিয়েই এরকম একটা জিনিস দাড় করানো গেছে । বিপরীতে কাগুজে মাধ্যমে হাতির খরচ । একটা প্রথম আলো মানের কাগজ দাড় করাতে কত বিনিয়োগ লাগে আর তুলনায় প্রথম আলো ব্লগের মতো আরেকটা ব্লগ দাড় করাতে কত টাকা লাগে সেটার একটা তুলনা করে দেখুন । কিছু উদ্যোগী লোক খুব সহজেই প্রথম আলো ব্লগের মতো ব্লগ বানিয়ে তাদের টেক্কা দিতে পারবে । এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগ হাফিংটন পোস্ট কিন্তু এভাবেই উঠে এসেছে । আপনি হয়তো বলতে পারেন যে সব ব্লগগুলো আস্তে আস্তে কর্পোরেট পুঁজির কাছে হার মানবে । আমি এই আশঙ্কাটা করি ঠিকই । তবে সবগুলোকে পুঁজি গিলে ফেলতে পারবে এমনটা মনে হয় না আমার । প্রাক্তন বিপ্লবীদের রিপ্লেস করার মতো যথেষ্ট নতুন রক্ত পাওয়া যাবেই । এবং তারা দাড়িয়ে যাবে কোন না কোন ভাবে ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বস, পুজিঁর ট্রেন্ডটা খুব খারাপ। এরা প্রথমেই জিনিসটারে কঠিন বানায়ে ফেলবে। এমন কঠিন যে গরীব গুর্বারা সেটা আর উৎপাদনের স্বপ্ন দেখবে না। নিজেকে উৎপাদকের পর্যায় থেকে ক্রেতার পর্যায়ে নামানোতেই যার আনন্দ।
আপনে ঘরে বসে মোমবাতি তৈরির ব্যবসা করে বেশ একটা পথ তৈরি করবেন, তখন নাজেল হবে বাহারী মোম, বড় বড় মেশিনে তৈরি চকচকে মোম। মাস প্রোডাকশনের কারণে উৎপাদন খরচ কম। দাম আপনার কাছাকাছি। লোকে আপনেরটা রেখে সেই মোম কিনে আলোকিত হবে।
আপনে ঘরে বসে মোম বানানো বাদ্দিয়ে ক্রেতা হয়ে যাবেন। তারপর সেই মোমের দাম বাড়ানো হবে...

বুঝাইতে পারতেছি না মনে হয়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

করলাম আর কী একটু চিন্তা...

তীরুদা মহাসুখে আছে। জাহাজী যাযাবর ফার্স্ট এডিসন বিক্রি শেষ। যতদিন ভাবী ছিলো, ততদিন পারে নাই, কিন্তু এখন রেগুলার বইমেলায় আড্ডা জমায়।

কুলদার বইটা পড়ে ফেলবো খুব দ্রুত... রিভিউ দিতে আশা রাখি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

কাগুজে পত্রিকার কি হাল হবে ভবিষ্যতে সেটার একটা নমুনা এখানে পেতে পারেন । এইটা ইউএসএর অবস্থা ।

শাফক্বাত এর ছবি

আমি আজকে মেলায় গেসিলাম। ৮ বছর পরে। মন খারাপ হয়ে গেলো। অনেক বদলে গিয়েছে সব। মেয়েদের জন্য অনেক বই কিনেছি। প্রচুর বাচ্চাদের বই। কিনে শেষ করা যায়না।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কিনে শেষ করা যায়না।

কথা সত্য মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ব্লগ মাধ্যম প্রথাগত দৈনিক পত্রিকা বাহিত সংস্কৃতিকে রুখে দিতে পারে, এ ব্যাপারে একমত। কিন্তু ব্লগাররা দৈনিকবাহিত লেখকদের ভীত নড়িয়ে দেবে এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ দ্বিমত আছে বস। ব্লগের সবাই মনেহয় না প্রিন্টিং-এর জগতে নিজের নাম লেখাবে। আর এটা না করলে দৈনিকবাহিতদের ভীতে মৃদু কম্পন লাগলেও সেটা নড়ানো যাবে না বলেই আমার ধারণা।

আর হুনেন, আপনের উপর মহামান্য ধুগো চরম ক্ষেইপা আছে। আপনে হালায় একটা প্রাপ্তিস্বীকারও করেন নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

ব্লগ আসলে কাগুজে পত্রিকার লেখকদের ভিত নাড়িয়ে দেবে বিষয়টা ঠিক এরকমভাবে দেখি না । পত্রিকাগুলোর লেখকেরা কয়েকদিন বাদে নিজেরাই ব্লগ লেখা শুরু করবে পত্রিকাগুলোতে । নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান এই কাজ করে বেশ ভালোভাবেই । তবে কাগুজেরা যেভাবে কাগুজে মাধ্যমে এ্যাজেন্ডা পুশ করে সফলভাবে সেটা ব্লগ দিয়ে হবে বলে মনে হয় না ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পত্রিকা লেখকেরা ব্লগ লেখা শুরু করবে বলতে যদি আমরা একটা খবরের/প্রবন্ধের বিপরীতে পাঠকের প্রতিক্রিয়া (যেটা পশ্চিমাদেশের পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনে বলবৎ) বলতে বুঝে থাকি তাহলে এখানে কিছু কথা আছে।

এইসব ক্ষেত্রে সহনশীলতা একটা বড় রোল প্লে করবে লেখকের ক্ষেত্রে। নানাজনের নানা মত আসবে। কারো কারো কাঁচাছোলা মন্তব্য আসবে। সেগুলো গ্রহণ করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। এখন লেখকের যদি সেই মানসিকতা না থাকে, তাঁর যদি এরকম একটা ক্ষেত্রে বিচরণের পূর্বাভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে তাঁকে নির্ভর করতে হবে পিঠ চুলকানো সমালোচনার। যেটা বিডি নিউজের আর্টস সেকশন চালু করেছিলো। এবং স্বভাবতই ফ্লপ খেয়েছে।

তো এই ক্ষেত্রে ব্লগের একজন লেখক এগিয়ে থাকবেন কাগুজে লেখকের চেয়ে, কেবলমাত্র এমন একটা কাঠামোতে "কীভাবে, কী করতে হয়" জানা থাকার কারণে।

আর যদি পত্রিকাগুলো প্রথাগত ব্লগই চালু করে ফেলে, অভিজ্ঞতা বলে সেটা চরম ফ্লপ খাবে যদি সেটা বাংলায় হয়। ইংরেজী হলে চিত্র কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

আমি আসলে ঠিক এই মুহুর্তের কথা বলতেছি না । আমাদের এই জেনারেশনটা যখন বুড়া হবে তখনকার কথা বলতেছি । এই মুহুর্তে পত্রিকার পাতাগুলোতে কিছু গবেট কাজ করে যারা কমেন্ট বোঝার ক্ষমতাই নাই । তবে এই অবস্থা থাকবে না মনে হয় । পরিবর্তন আসতে বাধ্য । পত্রিকাগুলো টিকে থাকার স্বার্থে নিজেদের বদলাবে । তখন দেখা যাবে আরো একটু বেশি এক্সপোজারের আশায় ব্লগের লেখকরা পত্রিকার ব্লগের (মানে নিউইয়র্ক টাইমসের মতো ব্লগ) দিকে ঝুকবে ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আচ্ছা, এইটা একটা ফ্যাক্ট। এরকম ফ্যাক্টের কথাই নজু ভাই তাঁর পোস্টে বলেছেন।

সময়টা এখন হোক আর পঞ্চাশ বছর পর। কিছু লোক থাকবে, আছে সবসময়েই যাদের কাছে এক্সপোজারটাই বড়। আজকে যারা লাখ টাকা আর গাড়ির কারণে কাগুজে মাধ্যমে চলে যাচ্ছে বিপ্লবের গলা টিপে ধরে, পঞ্চাশ বছর পরেও এরাই এক্সপোজার খুঁজতে চলে যাবে পত্রিকার ব্লগে।

কিন্তু আজকেও যেমন সৈয়দ রিয়াজুর রশীদরা আছেন, তাদের পশ্চাতে আমাদের মতো কিছু ঘিলুহীন পাবলিক আছে, যারা বিবেকের ফেরী করে না। সেদিনও থাকবে এরা। বিপ্লব আর নীতিকে আঁকড়ে ধরে।

এটা কেবল আমার বিশ্বাসই না, ধ্রুব সত্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রাফি এর ছবি

চলুক

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

হিমু এর ছবি

আমরা একটা জিনিস ভুলে যাচ্ছি। একটা পত্রিকা কয়জন লেখককে হোস্ট করতে পারবে? ১০ জন? ২০ জন? ১০০ জন? ২০০ জন? পত্রিকার পুঁজি এই সংখ্যাটার সিলিং নির্ধারণ করবে। ব্লগের ব্যাপারটা এমন না।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, সব পত্রিকারই নিজস্ব "ইকোলজি" আছে। সেখানে কোনো লেখকের ভূমিকা বাঘের, কোনো লেখকের ভূমিকা বান্দরের। কেউ সাপ, কেউ শেয়াল, কেউ ময়ূর। এক ভূমিকায় সেখানে দুই-তিনজনের বেশি থাকতে পারবে না। ফলে এই ভূমিকাগুলো পূরণ হয়ে যাবার পর সেখানে আর লেখকের প্রয়োজন পড়বে না [স্যাচুরেশনের কথা বলতে চাইছি]। আবারও সিলিং।

আরো একটা ব্যাপার হচ্ছে, সব লেখকের সব লেখা আর বক্তব্যকে ধারণ করার সাধ্য সব পত্রিকার নাই। ব্লগ সেদিক দিয়েই অনন্য।

পত্রিকাগুলো ধৈর্য ধরে আছে সুনা। ব্লগ অনলাইন পাঠক তৈরির দুরূহ কাজটা করছে। যখন বিপুল সংখ্যক পাঠক তৈরি হবে, পত্রিকায় যারা পুঁজি খাটায় তারা তখন নড়েচড়ে উঠবে।

বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের দেশে নেট ব্যবহার করে সীমিত সংখ্যক মানুষ। এ সংখ্যাটা বাড়ানোর কোনো সদিচ্ছা কোনো বোকাচোদা কর্তৃপক্ষের নাই। যদি এ সংখ্যাটা প্রতিবছর এক লক্ষ করে বাড়ে, কী একটা নাড়া লাগবে অনলাইন লেখালেখির জায়গাতে, চিন্তা করে দেখুন।

লেখকের টিকি কোথাও না কোথাও বাঁধা থাকবেই। আমাদের দেশ কয়জন পূর্ণকালীন লেখককেও ধারণ করতে সক্ষম? ঢাকা শহরে একটা বউ আর একটা বাচ্চা নিয়ে ভাড়া বাসায় মাথা গুঁজে কোনোমতে জীবন পার করতে হলেও মাসে খরচ পড়বে হাজার চল্লিশেক টাকা। বছরে চার লক্ষ আশি হাজার টাকা শুধু বেঁচে থাকার জন্য। মনে করুন তার একটি বইয়ের মূল্য একশত টাকা। পনেরো পার্সেন্ট রয়্যালটি ধরে নিলে বত্রিশ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হতে হবে, অর্থাৎ বত্রিশ হাজার কপি। কয়জনের বই বত্রিশ হাজার কপি বিক্রি হয়? বিপ্লবী লেখক দেখতে চায় যে জাতি, তার অন্তত বই কিনে পড়ার অভ্যাস থাকা উচিত।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফি এর ছবি

কাগুজে পত্রিকার ভবিষ্যত নিয়ে উপরের সবার সাথেই মোটামুটি একমত। কিন্তু অনলাইনের সহজলভ্যতার সাথে সাথে এতে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়লে, সেইখানেও কর্পোরেটরা হানা দিবে। যা বুঝতে পারলাম এখানে প্রাতিষ্ঠানিকরণে আপত্তি কারণ তাতে লেখকের লেখকসত্ত্বা ছাপিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকতার বড় হয়ে যায়। আমাদের দেশে এই পরিস্থিতি আসতে হয়ত আরও কিছুদিন সময় লাগবে, কিন্তু ইবুক রিডার বা স্মার্টফোন ওয়াইফাই এর কল্যাণে উন্নত বিশ্বে ইতিমধ্যেই এই পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ডরাইছি, হঠাৎ কইরা সিরিয়াস হইয়া গেলেন নজুদা, এই লেখাটা এই সিরিজের সবচেয়ে ভারী মনে হইল, অসাধারন লাগল। আপনার স্পিরিট যেন এমনই থাকে আজীবন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

লেখা পইড়া বহুত মজা পাইছি। বইমেলায় আইতাছি যে কোন দিন। দেখা হবে সবার সাথে।

মনামী এর ছবি

"নিউ মিডিয়া ইমার্জেন্স" - আজকাল রাষ্ট্র অধিকারীদের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তথ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটা আগের চেয়ে অনেক কঠিন এবং এক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা রাখছে ব্লগ ও অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো। দ্রুত এবং অবিচ্ছিন্ন জনমত গড়ে উঠছে, সেই সঙ্গে চলছে মিথষ্ক্রিয়া যার ফল বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি ও সচেতনতা। সৃষ্টিশীল লেখনীর প্ল্যাটফর্ম যে তৈরি হয়েছে এই বইমেলাই তার প্রমান। পুঁজির দখলদারিত্বের ভয় সবসময়ই থাকে, তারপরও মনে হয় এবার পরিবর্তন আসবেই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখা পছন্দ হইছে।

কারুবাসনা এর ছবি

খাসা।

----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

অতিথি লেখক এর ছবি

@নজ্রুল ভাই, আপনে এত বই কেনার পর যদি কন গরীব তাইলে আমরা কি কমু?!! মন খারাপ

তবে কথা সইত্য । কিনে শেষ করা যায় না । হাত খালি করেই বাসায় ফিরতে হয় ।

ব্লগ,পত্রিকা আলোচনাটুকু বেশ মন দিয়ে পড়লাম। সেই রকম লাগল!

বোহেমিয়ান

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বই কিনতে কিনতে টাকা শেষ, তো গরীব কমু না? আরো কতো বই কেনা বাকী... তারপর সেগুলো পড়ার জন্য পর্যাপ্ত ফুরসত প্রয়োজন, যেখানে পেটের ধান্ধায় জীবন পণ করতে হবে না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আলমগীর এর ছবি

লেখায় উত্তম জাঝা!

আমি কোনদিন কিছু লিখলে মুস্তাফিজ ভাইরে প্রচ্ছদ করে দেয়ার জন্য ধরব।
জাস্ট অঅঅঅঅসাম।
----------

ব্লগিং, অনলাইনে লেখালেখি, অনলাইন পত্রিকা কোনটাই কাগুজে মাধ্যমকে প্রতিস্থাপিত করতে পারবে না। টিভি আসার পরও লোকজন বলেছিল কাগুজে পত্রিকা কেউ পড়বে না।

দেশের ক্ষুদ্র একটা অংশ পত্রিকা/বই পড়ে। তারচেয়েও ক্ষুদ্র অংশ নেট ব্যবহার করে। নেটের ব্যবহার মূলত বিশেষ কিছু সাইট/কন্টেট দেখাতেই সীমাবদ্ধ। দশমিকের পর গোটা দুয়েক শূণ্য দিয়ে ১/২ বসালে হয়ত আমাদের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে ব্লগারের হার পাওয়া যাবে।

আরো একটা ভবিষৎবাণী আছে:
ব্লগিং (কেবল বাংলা না) এখনও হুজুগের পর্যায়ে আছে। হুজুগ কেটে গেলে অনেকটাই মিইয়ে যাবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি প্রায় সারাদিনই নেটে থাকি। কিন্তু নেটে পত্রিকা পড়ি না। ভালো লাগে না। সকালে কাগুজে পত্রিকা হাতে না নিলে কেমন যেন লাগে। সেই ছোটবেলার অভ্যাস। বাড়িতে পেপার আসতো একটা, সকালে সেটা কে আগে দখল করবে, তাই নিয়ে চার ভাই এক বোন আর বাবার তক্কে তক্কে থাকা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হাসিবের চিপা দিয়া প্রথম কমেন্ট কপি করলাম। হাসি
বইমেলার লেখা হিসেবে এই লেখাটা অনেক বেশি ভাল্লাগছে, নজু ভাই।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রণদীপম বসু এর ছবি

নজু ভাই, এইসব আকামের কথা বাদ দেন। এখন একটা কামের কথা কই, এইটা শুনেন।
যদি আপনি মাসে একটা ভালো বই পইড়া শেষ করতে পারেন, এবং আপনি যদি আরো তিরিশ বছর সক্ষমতা নিয়া বাঁচেন, তাইলে বাকী জীবনে বই পড়তে পারবেন মাত্র ৩৬০ টা। আর যদি টাইনা-টুইনা মাসে দুইটা ভালো বই পড়তে পারেন, তাইলে পড়বেন ৭২০ টা। এর বেশি না। এই পর্যন্ত যেইগুলা জমাইছেন সেইগুলাই বাকী জীবনে শেষ করতে পারবেন না।
কী করবেন আর এতো বই কিন্যা ! তারচে এখন কিন্যা কিন্যা আমারে দিয়া দেন। বেশি কইরা দোয়া করুমনে, মরার পর ডাণ্ডাবাড়ি যাতে কম দেয়া হয় আপনারে।
তাইলে এই কথাই পাক্কা ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।