বইমেলা আড্ডাম্যালা ৭

পুরাই মিছা কথা। আমার ব্যাপারে মেয়েরা বড়ই কঠিন, মোটেই গলনশীল নয়। সুরতের যেই হাল, ক্যামেরাখানাই ভরসা। তবে গতদিন অরূপদা এর মহাকামানের কাছে আমারটা পাত্তা পায় নাই। আর বালিকারা তো তীরুদাকে ঘিরেই ছিল সবসময়। প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতে সুবিধা করতে গিয়ে রাস্তায় কাটাতে হয়েছে ঘন্টা। তাই শেষ বিকেলে বাসন্তী রঙের বাহার ক্যামেরাবন্দী করতে পারলাম না।

নিরাপত্তার ব্যাপারটা আমিও ঠিক বুঝি না। ব্যাকপ্যাকে ক্যামেরা নিয়ে দুই দিন ঢুকলাম। আগের সময়গুলোতে তো ব্যাগ চেক করা হতো। এবারে তারও বালাই দেখলাম না।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

দুইটা ব্যাপারে কিছুটা সহমত জানিয়ে যাই।

আপাত দৃষ্টিতে বই-মেলার যন্ত্রদরোজার কার্যকারীতা আমার কাছেও কিছুটা প্রশ্নবোধক মনে হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে আমার পকেটে যথেষ্ট পরিমানে ধাতব-বস্তু ছিল, যন্ত্রদরোজা ব্যাপক ট্যা-ম্যাও করল, কিন্তু দাঁড়ানো পুলিশ ভাইয়েরা কিছুই জানতে চাইল না (তখন তেমন লোকজনও ছিল না)। আমার ধারনা এত মানুষের মধ্যে ভালভাবে যন্ত্রদরোজা করাও সম্ভব না। হয়ত কিছুটা সাইকোলজিক্যাল সুবিধা আছে। অথবা পুলিশ ভাইরা ‘জহুরীর চোখ’ দিয়ে আরও কিছু ‘ফ্যাক্টার’খেয়াল করে এবং দরকার মত চ্যালেঞ্জ করে...। তবে আমি কষ্ট হলেও এধরনের সিকিউরিটি সিষ্টেমের দরকার আছে বলে মনে করি।

ভীষণ ভাবে একমত। তাই শুক্রবারে সকালে মেলা শুরু হবার সাথে সাথে খুব কম লোকজনের মধ্যে গিয়ে বই কিনেছি। (বিকালে অবশ্য পান্ডবদাকে হ্যালো করতে গিয়েছিলাম)

কেনা-কাটার ব্যাপারে (সব-ধরনের পণ্য) আমি একধরনের ‘রিসিপ্রোক্যাল' এবং ‘দ্বিতীয়-পক্ষের-হস্তক্ষেপ-বিহীন-চুক্তিতে’ বিশ্বাসী। অসামাজিক, অন্যকে দেখে শিখো, এবং আনুভূতিকে পণ্য করা বিভিন্ন স্লোগানের সাথে তাল মেলাতে ব্যার্থ ইত্যাদি নানা বিশেষণে ভূষিত হওয়া পরও এই চুক্তিটা বেশ কার্যকরি।

আমার সাথে একদম মিলে গেল । গতকাল পান্থকে দেখলাম চ্যানেল আইয়ে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

বালিকাত্রয়
পান্থদা ও
জিএমটির হালহকিকত জানিয়া বিয়াপক বিমলানন্দ পাইলাম...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারকাখ্যাতির ম্যালা বিড়ম্বনা, এক বালিকা জোর করে ফুচকা খাওয়াইলো! এইসব খাওয়া ডাক্তারের বারণ, তবুও মুখ বুজে খেতো হলো!
..............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আবার পড়ে ফেললাম। অবশ্য না পড়েই বা উপায় কী?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

পড়লাম। না পড়ার কিছু নাই। ভালু না পাওয়ারও কিছু নাই।
কিন্তু বালকদের ব্যাপারে তো বস ভালোই স্ক্যান্ডাল ছড়ায়া যাচ্ছেন দেখি! হ ওইটাও বোধ হয় খ্যাতির ক্ষতি, তাই না? আমি দেখি ভালোই নিরাপদ আছি!

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

পড়সিলাম, সেইটা জানান দিয়া গেলাম।