বইমেলা ২০১০ এর আনন্দ আলো সেরা নবীন গল্পকারের পুরষ্কার পেয়েছেন মাহবুব আজাদ। যখন তাঁর বই 'ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প' পড়তে বসি, তখন এটা মাথায় নিয়েই পড়ি যে এবারের অন্যতম সেরা গল্পগুলোই পড়তে বসেছি। লেখকের দূর্ভাগ্য, প্রত্যাশার দায় পূরণে নতুন করে তিনি কলম হাতে নামতে পারছেন না।
পুস্তকের জগতে মাহবুব আজাদ নতুন হলেও লেখক হিসেবে তাঁকে নতুন বলা যাবে না কিছুতেই। ব্লগের মতো একটা শক্তিশালী জগতে তিনি প্রাচীণ বটবৃক্ষের মতোই বিরাজমান। একথা ফ্ল্যাপে পড়লে পাঠক হিসেবে প্রত্যাশা বাড়ে আরো। মেহেদী হাসান খানের তোলা ছবি দিয়ে সুন্দর প্রচ্ছদ সাজিয়েছেন নাজমুল আলবাব। শস্যপর্ব'র জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা।
ভূমিকা থেকেই প্রথম পাঠ "৬টি গল্প সংকলিত হয়েছে এই গ্রন্থে। গল্পগুলোতে রচনাকালের সমসাময়িক ঘটনার ক্ষীণ ছায়া আছে, আছে অতীতের স্মৃতির নির্যাস, আছে ভবিষ্যতের দিকে অনিশ্চিত অঙ্গুলিনির্দেশ, কিছু গল্পের স্থানকালপাত্র চেষ্টা করেছে অনির্ণেয় থেকে যেতে।"
বইটা পড়েও তাই-ই মনে হয়েছে। গল্পের ভাঁজে ভাঁজে উপগল্প হয়ে ঢুকে পড়ে অসংখ্য না বলা চরিত্র, অজস্র ঘটনা। মাহবুব আজাদের গল্প পড়তে গেলে সময়কে জানতে হয় নিবিড়ভাবে। লক্ষ্য রাখতে হয় নানান ঘটনাপ্রবাহে। পড়ার সময় মাথার রাখতে হয় শক্তিশালী কোনো সার্চ ইঞ্জিন। কোনো একটা শব্দ বা ক্লু পেলেই যে টুক করে খুঁজতে শুরু করবে এর পেছনের ইতিহাস।
আর এই খুঁজতে খুঁজতে পাঠক ক্লান্ত অথবা আরো বেশি পরিব্রাজক হয়। হয়তো কোনো ক্লুবিহীন নিরীহ শব্দ বা বাক্যবন্ধ'র রহস্য খুঁজতে হয়রান হয়। বর্তমান কালের পাঠকদের জন্য বিষয়টা দারুণ চ্যালেঞ্জের, মজার, আগ্রহের। কিন্তু ভবিষ্যতকালের পাঠকের জন্য? হয়তো একসময় এই গল্পগুলো টীকাবিহীন বোধযোগ্য হবে না।
বইতে ৬টি গল্প। প্রতিটিই ভিন্ন স্বাদের। 'পুরনো বাড়ি' পড়ে 'সেতু সঙ্কট'-এ গেলেই মনে হয় ভিন্ন লেখকের কোনো গল্প পড়ছি। আরো ভিন্নতা নিয়ে হাজির হয় পরবর্তী গল্প 'তোমার ঘরে বাস করে কারা'। আবার মনে হয় 'নিদপিশাচ' কি এই একই লেখকের লেখা? তেমনি 'বিলুপ্তি' পড়ে মনটা কেঁদে ওঠে। আর 'ম্যাগনাম ওপাস' আটকে ফেলে কোনো এক মহত্তম কীর্তির অপেক্ষায়। এক বইতে এতো বৈচিত্র! লেখকের অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য।
একের পর এক চমক নিয়ে হাজির হয় মাহবুব আজাদের গল্পগুলো। ছোট ছোট বাক্যে লেখা গল্পগুলো ভরে থাকে সুক্ষ্ম সব কারুকার্যে।
ব্লগার হিমু আর লেখক মাহবুব আজাদের মধ্যে পার্থক্য কী? অন্য অনেক কথাই বলা যায় হয়তো, কিন্তু সবচেয়ে বড় পার্থক্য ব্লগার হিমু পাঠককে উৎকণ্ঠার বরফে আবৃত রেখে নির্দয়ের মতো চা পান করতে ডুব দিতে পারে। কিন্তু লেখক মাহবুব আজাদকে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পাঠকের সিমানায়।
যাহোক, প্রতিটা গল্পই এতো বৈচিত্রপূর্ণ যে মাহবুব আজাদ বা তাঁর বইকে নিয়ে একদফায় কোনো মন্তব্য করা যায় না। চলুন পাঠক আমরা ৬টি গল্প নিয়ে আলাদা আলাদা করে আলাপ করি।
তবে তার আগে একটু চা খেয়ে এলে মন্দ হয় না... কী বলেন?
মন্তব্য
নজরুল ভাই,
বিশদ মন্তব্য চা খেয়ে এসে করতেছি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার জন্য এক কাপ, চিনি সহ।
...........................
Every Picture Tells a Story
চা খাই আর আপনাকে গাল পাড়ি...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ক্যান ভাই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উইথড্রন!
'সাড়ে তিন' রিভিউতে পুরো ৫ দিলাম
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইগুলো হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
হা হা হা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এইটা বইলা নিজে চা খাইতে গেলেন গিয়া!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
হা হা হা...
ক্যাটেগরীতে অবাক বইপাঠ লাগিয়ে দিলে আগের দুইটা পড়তে পারতাম। খুঁজতে গেলে সময় নষ্ট হয়।
সবাই ফাঁকিবাজি করে!
রিভিউ না লিখ্যা খালি ভূমিকা!
তারপর ই যায় চা খাইতে!
তেব্র পেরতিবাদ!!
চা খায়া আহি! তারপর নিন্দাও জানামু!!!
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
নজরুল ভাই এর রিভিউ-টা নিজেই একটা রিভিউ দাবী করে---
হিমু-র বইটা পড়ার আশায় দিন গুনছি আর এদিকে আপনি এইরকম একটা তীব্র উৎকন্ঠাজাগানিয়া রিভিউ লিখে অগ্নিতে ঘৃতাহুতি করলেন---
আপনার কাছ থেকে বাকী বইগুলোর রিভিউ পাবার আশায় বসে রইলাম...
মঙ্গলম!
হেহ, হেহ- যত যাই বলেন; বইখানাকে প্রুষ্কারপ্রাপ্ত করা হইলো কার রিভ্যু পইড়া য্যান ???
_________________________________________
সেরিওজা
চা-খেয়ে আপ্নে আর আইবেন না। এমন অনেক হয়েছে।
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
আমি এই বই নিয়া একখান রিভ্যু লিখমু দেইখা চা খাইতেছিলাম। আৎকা আপনে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পুরো বইটা আমারো পড়া শেষ
বলার মতো অনেক কিছুই আছে
(চা খেয়ে এসে বলছি)
- কতো কাপ চা যে খাইলাম, বই তো মনে হচ্ছে না সহসা হাতে এসে পৌঁছুবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী আছে জেবনে...লন চা খাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি চা খাই নাই। এতো রাইতে চা খাওয়া উচিত হবে না। আমি লেখা পড়সি। কিন্তু আমি বইয়ের লেখকের উপ্রে ক্ষিপ্ত। উনি আমারে মাহবুব আজাদ সেজে পাঠিকাদের সাথে বিভিন্ন গ্রাফ (অটো, ফটো, ঠোঁটো প্রভৃতি) বিনিময়ে ভেটো দিসেন।
বইটা নিয়ে কী কী জানি চিন্তা করছিলাম... মনে কইরা নেই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
- লেখকের ক্ষেত্রে লুল্নীতির দফা নং ৩ প্রযোজ্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বই পড়া হয় নি। রিভিউ-ই পড়লাম। একটা বইয়ের যদি ভূমিকা+গল্প মিলিয়ে সাত টুকরোয় রিভিউ হয়, তাহলে এবার আপনি যে শ-খানেক বই কিনেছেন সব রিভিউ করতে করতে আবার বইমেলা এসে যাবে। চালিয়ে যান।
কৌস্তুভ
হিমু ভাইকে শুভকামনা... বইটা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি....
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
মাহবুব আজাদের কাছ থেকে অবাক চা পান নামে একটা বই আগামীতে পাওয়া যাওয়ার আশা রাখি।
পড়িনি......... কবে যে হাতে পাবো!!!!!!!!!!
কনফুর বাসায় জোর করে দাওয়াত নিতে হবে। ১২০ টা বই!!!!!!!!!!!!
চা পান করতে এতক্ষণ লাগে, নাকি চা বানাইতে পারেন না বলে আগে শিখে নিচ্ছেন, তারপরে খাবেন!! ;)
বইটা কিনতে পারি নাই। গিয়ে দেখি শেষ হয়ে গেছে।
জোগাড় করে পড়তে হবে।
- মুক্ত বয়ান
হিমু এতদিন আমাদেরকে চাপানের অজুহাতে বসায়া রাখছে, তাই তারে একটু বসায়া রাখলাম।
চাপান শেষ... এখন অন্যকিছু পান চলতেছে... দেখি এখন রিভিউটা নামায়া দেওন যায় কী না
সবাইকে ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব খারাপ!!
হিমু ভাইরে বসায়ে রাখছেন, ভালো কথা। কিন্তু, আম্রা যারা নাদান বালক-বালিকা, তাদের কেন বসায়ে রাখলেন?? আমরা তো রিভ্যু পড়ার জন্য বইসা থাক্লাম!!!
যাউক্গা ব্যাপার না, সাড়ে তিন দিছেন.. তাই মাফ!!!
- মুক্ত বয়ান
ও
চা পান।
ঠিকাছে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এইটা একটা ফাঁকিবাজি রিভিউ হইসে। জলদি চা-পান শেষ করে বাকিটা লেখেন। :-D
খুব ভালো হয়েছে যে আমি এ বছর বইটা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বইমেলা ২০১১ তে বইটা কিনে নেব। কাকতালীয়ভাবে হলেও আমি এখন চা খেতে খেতেই এই মন্তব্য লিখছি।
গতকাল নাসরীন জাহানের একটা মন্তব্য পড়লাম bdnews24.com এ। যে বই আমার আগে পড়া হয় নি, সেই বইটা আমার কাছে নতুন। এটা তো পোষাকের ডিজাইন নয় যে পুরনো হয়ে যাবে।
আমিও এটাই করি। বইমেলায় গিয়ে লেটেস্ট বই না খুজে অবশ্যই ভালো বই খোজা উচিত।
চা খাওন শেষ হয় নাই???
সুবোধ অবোধ
নতুন মন্তব্য করুন