বইয়ের প্রথম গল্প পুরনো বাড়ি।
একটি পুরনো বাড়িকে কেন্দ্র করে লেখক মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন কাঠের বন্দুক আর কাককে, টুলু আর ভীষণদর্শী হাসানকে, পুরনো আর নতুনকে, প্রকৃতি আর নগরায়নকে। যে বাড়িতে হাসানরা যায় টুলুরা আসে। টুলুরা হাসান হয়ে যায়, হাসানরা হয়ে যায় টুলু।
চায়ের শহরে একটি বাড়ি। যেই বাড়ির জানালা জুড়ে একসময় ছিলো নীলরঙা আকাশমাঝে লালরাঙা শিমুল, ছিলো একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। হারিয়ে যাওয়া সেই গাছগুলো কান্না হয়ে জমে থাকে সমস্তটা বাড়ি জুড়ে। বৃক্ষহীন যেই বাড়িতে এখন টুলু কাঠের খেলনা বন্দুক হাতে কাক শিকার করে বেড়ায়, সেই বাড়িতে একদিন হাজির হন হাসান। হাজির হন এই বাড়িটার বিশ বছর আগেকার ছবি চোখের কোলে নিয়ে। বৃক্ষহীনতায় একসময় সেই চোখ ভরে ওঠে কান্নায়।
হাসান যেন এই বাড়িটারই মানসিক রূপ, যে কাঁদে হারানোর বেদনায়।
গল্পের শেষে যখন কাকটাকে আবার ফিরে আসতে দেখি, তখন বুঝি কৃষ্ণচূড়া শিমুল গাছগুলো হারিয়ে গেলে শহরে মানুষখেকো কাকেরাই আসবে।
সব মিলিয়ে অদ্ভুত সুন্দর একটি গল্প। শুরুতেই জীবনানন্দ দাশ-এর কবিতা মন ভরিয়ে দেয়। তারপর লেখক বর্ণনা করে চলেন টুলুর চোখ দিয়ে দেখা এই জগতটাকে। যেখানে লেখক মাঝে মধ্যেই টুলুর ভাষায় কথা বলে ওঠেন।
শুরুটা পড়তে অনেক দূর্দান্ত হলেও মনে হয় আরো একটু কম হলে ভালো হতো। টুলুর কাক শিকারপর্বটা একটু বেশি দীর্ঘ মনে হয়েছে। মনে হয়েছে লেখক বর্ণনার লোভটা ছাড়তে পারেননি। প্রায় তিন পৃষ্ঠার পর আমরা গল্পে হাসানকে পাই। বর্ণনার বেশ কিছু জায়গা বাড়তি মনে হয়, যদিও লেখকের প্রাঞ্জল বর্ণনাশক্তির কারণে পড়তে ভালো লাগে।
পরের গল্প সেতু সঙ্কট। ছোটগল্পের চেয়েও ছোট একটি গল্প। আগের গল্পের লেখকের সঙ্গে যেন এই লেখকের কোনো মিলই নেই। একেবারে ভিন্ন স্বাদের একটি গল্প। [এরকমটা প্রতিটি গল্প পড়ার সময়ই মনে হয়েছে। প্রতিটিই ভিন্ন স্বাদের গল্প]
সেতু সঙ্কট স্যাটায়ারের দারুণ উদাহরণ। লেখকের বর্ণনায় আমরা একটা দেশের গল্প শুনি। যে দেশের নাম লেখকের মনে পড়ছে না, অথবা মনে করতে চাচ্ছেন না। শুধু মনে আছে ঝিনুক নদীটার নাম। আর ঝিনুকের কথা শুনতেই আমাদের মনে পড়ে যায় আবুল হাসানকে। ভেতরে বিষের বালি নিয়ে যে ঝিনুক মুক্তো ফলিয়ে যায়। সেই ঝিনুকের নীরবে সহ্য করার ক্ষমতা আমরা জানি।
গল্পের বর্ণনা দূর্দান্ত। "মৌমাছি ফুলের ওপর বসে বিরক্ত মুখে সেই গুঞ্জন শুনতে শুনতে মধু খায়, অলস গ্রীষ্মের রাতে একটা ঝিঁঝিঁ আচমকা চুপ করে যায় তার বাড়ির পাশে পঁচার মায়ের কুটিরে পঁচাকে শোনানো পঁচার মা-র ঘুমপাড়ানি গলায় বলা ঝিনুকের বুকে সেতুর গল্প শুনে।" এরকম অদ্ভুত সব চিত্রকল্প তৈরি করে চলেন লেখক। একটি সেতুকে, যে সেতু যোগসূত্র স্থাপন করার কথা, সেই সেতুকে কেন্দ্র করে লেখক তুলে ধরেন একটি রাষ্ট্র কাঠামোর অব্যবস্থাপনা আর নিরুপায়তাকে। সরকারি দল, বিরোধী দল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সেনা সমর্থন, দাতা গোষ্ঠী থেকে শুরু করে সবাইকে অসহায় সাজিয়ে রাখা মৌলবাদী অপশক্তির কথা লেখক তুলে ধরেন গল্পচ্ছলে। আমরা দেখি সবাই- এমনকি ঝিনুকও নীরবে সয়ে যায়, কিন্তু মাহবুব আজাদ সয়ে যান না। তিনি লিখে চলেন অপশক্তির বিরুদ্ধে। যদিও আমরা জানি না এটা কোন্ দেশের গল্প।
তৃতীয় গল্পে এসে আবারো চমকে যেতে হয়। এও কি একই লেখকের? ছয়টা বল একেবারে ছয়রকম করে কয়জন বোলার ছুঁড়তে পারেন?
সেই প্রশ্ন সামনে রেখে আমরা পড়ি "তোমার ঘরে বাস করে কারা" গল্পটি। আরোতর ভিন্ন স্বাদ এই গল্পটির। লেখক নিজেই এখানে শ্রোতা। পাড়ায় একটা ঘটে যাওয়া ঘটনাকে বর্ণন করেন চৌধুরী নামের একজন। চায়ের দোকানে বসে। পাড়ার টঙ চায়ের দোকানের গল্প এরচেয়ে মারাত্মক ভালো হতে পারে না। একটি রহস্য গল্পের মতো করে লেখক গল্পজুড়ে ছড়াতে থাকেন দারুণ সব হাস্যরস। সচলায়তনের নিয়মিত পাঠকরা যদিও কিছু বাড়তি রস খুঁজে পান, কিন্তু আম পাঠকের জন্যও এটা অত্যন্ত বিনোদনী একটি গল্প, সন্দেহ নেই।
"চৌধুরী কঠোর মুখে বলেন, 'মামুনের বাড়ির পাঁচতলায় কে থাকে জানেন?'
দুলাল ভড়কে গিয়ে বলে, 'না। কে থাকে?'
চৌধুরী বলেন, 'মামুন নিজে।"
এরকম দারুণ সব কথামালা দিয়ে সাজানো চমৎকার একটি গল্প "তোমার ঘরে বাস করে কারা"
এরপরের গল্প নিদপিশাচ। "পরিতোষবাবুর মেয়ে, স্বাগতাকে কি আমি ভালোবাসি?" এই প্রশ্ন দিয়ে গল্পের শুরু। তারপর নাসিমের স্বগত বয়ানে আমরা শুনতে থাকি স্বাগতাকাহিনী। বাস্তবের স্বাগতা নাসিমের আরাধ্য নহে, আরাধ্য কল্পনার স্বাগতা। কল্পজগতের স্বাগতা দেবীর মতো হয়ে যায়। এই নিছক কল্পনাকে লেখক দাঁড় করিয়ে দেন পরিতোষবাবুর কল্পিত পিশাচদের সামনে। কল্প জগতের দেবদেবী জ্বীন দানো সব খানখান হয়ে যায় বাস্তবতায়। কিন্তু তবু নাসিমের স্বপ্নে টিকে থাকে অলৌকিকতা। পরিতোষবাবুরা দানোআরাধনা করে যান। কিন্তু নাসিমের বন্ধু রাজন এখানে ভিন্ন। নাসিম বা পরিতোষবাবুর মতো কল্পনা না, রাজন বাস্তবতাকেই আরাধনা করে।
এই গল্পের কিছু কিছু বর্ণনাংশা দারুণ সুন্দর। রাজন যখন বলে "তোদের পাশের বাসার মালটাকে দেখলাম বারান্দায়, বুক শুকাতে দিচ্ছে।" কিংবা লেখক নিজে যখন বলেন "(স্বাগতার) বুড়ো আঙুলটা অন্য আঙুলগুলোর ওপর যেন বিরক্ত হয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে আছে।" এই বর্ণনাগুলো দারুণ লাগে। এরকম অসংখ্য দারুণ বর্ণনা ছড়িয়ে আছে পুরো বইটা জুড়ে।
এরপরের গল্প "বিলুপ্তি"। সায়েন্স ফিকশন পড়েছি, কিন্তু রাষ্ট্র নিয়ে এরকম গল্প এর আগে পড়েছি বলে মনে পড়ছে না। দূর্দান্ত একটি গল্প। আজ থেকে বিশ বছর পরের বাংলাদেশের একটি গল্প আমরা পড়ি। ভালো লাগার গল্প হলেও যেই গল্পটি সত্য হোক তা আমরা কোনোদিন চাই না।
জীবিত শেষ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, যার খোঁজ কেউ কোনোদিন রাখেনি। তার মৃত্যুকালের প্রহসন নিয়ে এই গল্প। যেই প্রহসনের খেলায় নামে রাষ্ট্র, মিডিয়া, বাণিজ্য সবকিছুই। বেল রসুন্ধরা কোম্পানি, আল কাহিরাদের চ্যানেল বাণিজ্য... দেশপ্রেমকে পণ্য বানানোর এই এক অসামান্য ডকুমেন্টরি আমরা দেখি এই গল্পে। দেখি মুক্তিযুদ্ধের ঘাড়ে চেপে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সংস্থাগুলোর বাণিজ্যরঙ্গ।
বা যখন আমরা দেখি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সেবা নিতে হয় লেফটেন্যান্ট কর্নেল টিক্কা আলমের তত্ত্বাবধানে... তখন আমাদের অসহায়ত্বটাই তীব্র হয়ে ওঠে।
"নিশ্চিত নিষ্ঠুর হায়েনার বাহিনীর মতো মাঠের অন্য প্রান্তে এসে থামছে এক একটা দীর্ঘ নিউজ ভ্যান, তাদের শরীরের বিভিন্ন প্রান্তের আলোয় লাল হয়ে উঠেছ উঁচু ঘাস"
"নিখুঁত মসৃণ দেয়াল, তাপমাত্রা-আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া, নিশ্চয়ই এখানে খুব ভালো চিকিৎসা মেলে। আব্দুর রহমান কি শেষজন না হলে কখনো পারতেন এখানে চিকিৎসা নিতে?"
অথবা
"মহাবিপন্ন প্রজাতির শেষজন এখন মিডিয়ার অশেষ মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু শুধু, কোনো মানুষ আর নন।"
তখন অসহায়ত্বটা দীর্ঘতরই হয় কেবল।
অথবা লেখক যখন বলেন- "রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বলয় বোধহয় শুধু বাইরেই মজবুত, মনে মনে ভাবে নাজনীন। এর ভেতরটা একেবারেই নিঝুম আর দুর্বল।" তখন কী আর বলার থাকে?
অথবা নাজনীনের অনেক প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান, জীবিত শেষ মুক্তিযোদ্ধা যখন বলেন- "মোর কিচ্ছুর আশ নাই! কিছু চাউ না মুই!" এর পরেও কি আসলে কিছু বলার থাকে?
এই গল্প নিয়ে আর কিছুই বলার নেই... শুধু গল্প থেকে তুলে দিই দুটো অংশ...
"নাজনীন মাইক নামিয়ে আবদুর রহমানের পাশে বসে। নিচ থেকে সশস্ত্র সৈনিকদের ওপরে আসতে কতক্ষণ সময় লাগবে? এক মিনিট? দুই মিনিট? দেশের শেষ মুক্তিযোদ্ধার করস্পর্শ করে দুই মিনিট চুপচাপ বসে থাকাই যায়।" তখন আমরা সবাই মিলে যেন নাজনীন হয়ে যাই।
আর শেষটুকু- "ক্ষমতাসীন দলের নেতা মাথায় জিন্নাহ টুপি চড়িয়ে একত্রিশটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে আবেগঘন গলায় বললেন, 'তিনি ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান...।' আকাশে গুলির শব্দ মিলিয়ে গেলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, যেভাবে এর আগে অনেকগুলি বছরে মিলিয়ে গেছে অনেক প্রতিশ্রুতির ধ্বনি, প্রতিধ্বনি।"
গল্পটা যাদের (এমনকি আমারও) অসম্ভব ভালো লেগেছে, তাদের প্রতি ধিক্কার... এই ভালোটা আমরা চাইনা কখনো।
শেষগল্প ম্যাগনাম ওপাস। নামগল্প। এই গল্পটা নিয়ে আমি নিজে একটু কনফিউজড। হয়তো গল্পটার কিছুই আমি বুঝিনি।
একজন লেখক আনিস চৌধুরী, যিনি অসম্ভব জনপ্রিয়তাকে ডিঙ্গিয়ে কিছু সমালোচনার জন্য গত পাঁচ বছর ধরে কিছু লিখেননি। হারিয়ে গেছেন। গল্পের নায়ক চীর নতুনত্বের উপাসক রকিব খুঁজে ফেরে কেবলই নতুন কিছু। কিন্তু মুগ্ধ হয় পুরনো আনিস চৌধুরীতে। যে আনিস চৌধুরী এখন কেবলই একটা চা সিঙ্গারা দোকানের মালিক। কিন্তু যিনি লিখে চলেছেন গোপনে নিভৃতে। লিখে চলেছেন এমন একটা কিছু, যা আসলে সব লেখকেরই সাধনা। জীবনের শ্রেষ্ঠ মহৎ কীর্তিটা তিনি লিখে যেতে চান। সেই সাধনাতেই তার এই লুকায়ন। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলে কোনো এক রমা। যে সর্বস্ব দিয়েও আনিস চৌধুরীকে ধরতে চায়, পড়তে চায় গল্প। কিন্তু পারে না। রকিব নতুনত্বের খোঁজ নিতে নিতে রমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে। রমা তাকে দমিয়ে রাখে শরীর দিয়ে। কিন্তু তবু কি রমা জিততে পারে?
আনিস চৌধুরীর মহত্ত্বম কীর্তিটা আসলে কী? কোনো লিখিত গল্প? নাকি মানুষের এইসব হারজিতের রাজনীতি?
আমি কেন যেন বুঝতে পারি না।
এই গল্পে কিছু যৌনতা আছে। পড়ার জন্য ভীষণ আনন্দের। কিন্তু আমার কাছে কেবলই মনে হয় শেষবিচারে পাঠকের মনে এই যৌনতাটাই থাকবে। গল্পটা নয়। আমিও দূর্বল পাঠক, তাই গল্পে ঢুকতে পারি না হয়তো।
.....................................
ছয়টি গল্প পড়ার পরে আমার কেবল একটা কথাই মনে হয়... অসম্ভব শক্তিশালী একজন লেখকের কিছু গল্প পড়লাম। কিন্তু যার পরবর্তী বইতে আমি তার বর্ণনার লোভটাকে একটু দমিতই চাইবো। কোথাও কোথাও লেখককে নির্মম হতে হয়। মনে পড়ছে সাংবাদিক জীবনের কথা, শেষরাতে পেস্টিংয়ের সময়কার কথা। প্রিয় বাক্যগুলো ফেলে দেওয়ার যে বেদনা এখনো বুকে বিঁধে।
এই বইটিকে কেন্দ্র করে লেখক মাহবুব আজাদ এবছরের বইমেলায় আনন্দ আলোর বিবেচনায় সেরা নবীন গল্পকারের পুরষ্কার পেয়েছেন। তাঁকে অভিনন্দন।
পুরষ্কার লেখককে যতোটা না গর্বিত করে, তারচেয়ে বেশি কাঁধে চাপিয়ে দেয় দায়িত্বের বোঝা। এটা মনে রাখার অনুরোধ জানিয়ে শেষ করছি।
মন্তব্য
হ শ্যাষ দুইলাইন খিয়াল কৈরা ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব সুন্দর রিভিউ নজরুল ভাই! প্রথম ও তৃ্তীয় গল্পটাতো এখনি পড়তে ইচ্ছা করছে (বিলুপ্তিটা আগেই পড়েছিলাম)। বইটা কবে হাতে পাবো জানি না! দেখা যাক......
যাই হোক, আমাদের সবারই আত্মবিশ্বাস আছে যে, লেখক মাহবুব আজাদ ভাই খুব দায়িত্ব সহকারেই আমাদের প্রত্যাশার বোঝাটা বহন করবেন।
=======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
আমারও আত্মবিশ্বাস আছে, মাহবুব আজাদ দাতয়িত্ব পালনে অবহেলা করবে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব চমৎকার আলোচনা করেছেন।
বইটি পড়ার আগ্রহ জাগিয়ে দিলেন।
তমিজ উদদীন লোদী
পড়ে ফেলেন, ভালো বই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ রিভিউ...
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পয়লা কথা,
হ, পারতো। ওয়াসিম আকরাম। ইনসুইং, আউটসুইং, বাউন্সার, ইয়র্কার, গুড লেন্থ, ওভার পিচড..
মূল ঘটনায় আসি। রিভ্যু পইড়া ভাল্লাগ্ছে। রিভ্যু'র মূল লক্ষ্যটা বইয়ের আগাপাস্তলা আলোচনা করা না, বরং, বইয়ের উপর একটা আলো ফেলে সে আলোয় যেটুকু দেখা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করা। আর, সবশেষে মনে পাঠকের মনে এই ইচ্ছাটা জাগিয়ে তোলা, "মূল বইটা পড়া দরকার"। হিমু ভাই'র বই হিসেবে এমনিই বইটা পড়ার ইচ্ছা আছে, তা ছাড়াও আপনার রিভ্যুও ইচ্ছা জাগাতে ষোল আনা সফল।
কিন্তু, বইটা এখনো পড়া হয় নাই বইলা বই নিয়া বিস্তারিত কিছু না বলাই শ্রেয়।
এই লাইনটা ব্যাপক। পছন্দ হইছে।
চমৎকার রিভ্যুর জন্য ধইন্যাপাতা।
- মুক্ত বয়ান
পড়ে ফেলেন বইটা, ঠকবেন না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এন্ড, দিস ইজ ওয়াই ইয়ু আর ওয়ান এন্ড অনলি নজরুল ইসলাম।
যখন আপনি লেখেন, আসলেই ভাল লেখেন। এই রিভিউ পড়েই মানুষ সাগ্রহে বই কিনতে আগ্রহী হবে। চমৎকার রিভিউ। বইটা কিনতে অলরেডি বলে দিয়েছি বাসায়, এখন হাতে পেয়ে আয়েশ করে পড়ার অপেক্ষায়।
হিমু, নজু ভাইকে আপনার ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানি খাওয়ানো উচিত এখন, তাই না?
- শরতশিশির -
খাওয়ায় না তো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাইরে ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানি খাওয়াইয়া তকলিফ দিতে চাই না। নিজের হাতে তেহারি রাইন্ধা খাওয়ামু চিন্তা কর্তেছি ... ।
রিভিউ খুব মন দিয়ে পড়লাম। তবে আমার কিছু না বলাই উচিত, আমি শ্রোতার ভূমিকা নিলাম। রিভিউয়ের লিঙ্কটা আমার চিকাব্লগের একটা পোস্টে রাখলাম। বইটা আর গল্পগুলো সম্পর্কে সবার মনোভাব একজায়গায় জড়ো করার জন্যে দুটো পোল খুলেছি, যাঁরা পড়েছেন তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন। আরো কিছু যদি আপনারা জানানোর প্রয়োজন বোধ করেন, ঐ পোস্টে জানাতে পারেন, আমি উপকৃত হবো।
- আরে ব্যাটা, নজু ভাই ভালো লুল, ভালো লুক। তুই তারে আমার খিচুড়ির রেসিপি কপি করে নিজের হাতে পেস্ট করে খাওয়ালেও তোরে কটু কথা বলবে না, বিরানি-তেহারী খাওয়ালে- না খাওয়ালেও না। তুই আমার চিন্তা কর। বইটা হাতে পেয়ে পড়ার পরে তেরা কেয়া হোগারে কালিয়া! ঐ চিন্তা কর।
আমারে জলদি কী খাওয়াবি, তার লিস্টি দে পত্র মারফত। নাইলে বুঝিস কৈলাম। নাফসির আগে ইয়া জপতে জপতে হাতে কর ফেলায়ে দিবি, মাগার সময় গেলে সাধন আর করা হৈয়া উঠবো না কৈলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সত্যিই খুব ভালো হয়েছে রিভিউ। নজরুল ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা রিভিউয়ের জন্য।
কৌস্তুভ
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রিভু ভালোইছে। পরের বইমেলায় নজু ভাইয়ের লেখা বই চাই।
খাইছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুন রিভিও। চ্রম লাগ্লো
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেতুসঙ্কট আর নিদপিশাচ গল্পদুইটা আমার ভাল লাগেনি।।
বাকী চারটা গল্প দারুণ লাগছে।
রিভিউয়ের জন্য নজু ভাইকে সেলাম। বইয়ের লেখককে আলাদা করে সেলাম দিচ্ছি না। তিনি যা পাওয়ার তা সময়ের কাছ থেকে এমনিতেই পাবেন।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কেন ভালো লাগে নাই আর কেন দারুণ লেখছে সেটা বলে দিতেন... বুঝতাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আলোচনা ভালো হইছে, বোঝা যায় যে একসময় ম্যাগাজিনে কাজ করতেন
বাকি সচলদের বই নিয়া রিভিউ এর দাবি জানাইলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
শুধু সচলদের না, আরো অনেক বই নিয়াই চলবে এই সিরিজ। এতো বই কিনছি এবার পড়বো আর লেখবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রিভিউ তো সেই রকম হইছে! কি চা খাইছেন? কে বানাইছে! আমারে কানে কানে বলেন! খাইতাম ছাই!!!
নির্মোহ রিভিউ ভালো লাগল।
ম্যাগনাম ওপাস আমিও বুঝি নাই । গল্পটায় লেখকের পরিণত হাতের স্পষ্টতম ছাপ আছে, লেখায় মুগ্ধ হবার মত কারুকার্য আছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি গল্পটা বুঝি নাই । (দরিদ্র পাঠক আর কারে কয়!) তবে অনেকে এই গল্পের বিপুল প্রশংসা করছেন । তাদেরকে অনুরোধ করব মন্তব্যে হলেও এই গল্পের মিনি রিভিউ দিতে। (বোঝা দরকার, কেন বুঝি নাই!)
আমি বিলুপ্তি আর পুরোনো বাড়িকেই এগিয়ে রাখতে চাই ।
নিদপিশাচ রচনা সময়কালের দিক থেকে নবীনতম হলেও সম্ভবত সবচেয়ে দুর্বল গল্প ।
ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের চমৎকার গল্প গুলো পাঠককে ভাবাবে, মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন করবে ।
চমৎকার রিভিউ এর জন্য নজু ভাইকে ধন্যবাদ ।
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
আমারও একই অনুরোধ, ম্যাগনাম ওপাস নিয়ে কেউ একজন দুকথা বললে বুঝতে পারতাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- বইটা আমার ঠিকানায় পাঠায়া দেন। ম্যাগনাম ওপাস পড়ে দুইটা কড়া কথা শোনায়ে দেই লেখকরে। অবশ্য এমনিতেই শোনানো যায়, কিন্তু এতোটা বেরেহেম তো আমি হৈতে পারি না। আফটার অল, ভালো হয়া যাইতেছি ইদানিং!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রিভিউটা আসলেই সিরাম হৈসে...
ম্যাগনাম ওপাস -একটা মাস্টারপিস , সন্দ নাই। তবে কেনো জানি আমাকে পুরোনো বাড়ি আর বিলুপ্তি গল্প দুটৈ বেশি টেনেছে... । নিদপিশাচ গল্পটাআমার কাছে পুরাই লেখকের এক্সপেরিমেন্টাল বা নতুন কিছু করবার চেষ্টা বলে মনে হইসে।
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার তো পড়তে খুব ইচ্ছা হইতাসে। যদি পিডিএফ কইরা আমারে মেইল করেন।
আইরেসি কত কিছু নিয়াই তো হয়। নাইলে একটা পুরষ্কার প্রাপ্ত বইয়ের কপিরাইট ভাঙা কি খুব বেশি অন্যায়? লেখকের মতামত কী কে কইবো!
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
লেখক পলাইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এর আগে যে লেখাটা দিয়েছিলেন, সেটা পুরা ফাঁকিবাজি পোস্ট ছিলো। এই সাড়ে তিনে সেটা পুষিয়ে দিলেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এর আগেরটা মশকরা ছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বইটা কিনতে একজনকে পাঠাইছিলাম মেলার শেষদিনে। ফেল মারছি। ভুল হইছে আপনারে কষ্ট না দিয়ে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখাটা পড়লাম না। ছোটোমোটো একটা রিভিউ লেখার ইচ্ছা আছে তো, তাই আপনার অনুভূতি/প্রতিক্রিয়া/মতামত পড়ে প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি নিলাম না
পরে পড়বো অবশ্যই।
ভালো বইয়ের চমৎকার রিভিউ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বিলুপ্তি আর পুরনো বাড়ি পড়েছি আগে, খুবই চমৎকার লেখা, বেশি কিছু বলার নেই।
আর নজরুল ভাইয়ের লেখা রিভিউটা সত্যি দারুণ হয়েছে। এই রিভিউ পড়লে বইটা পড়তে যে কেউ আগ্রহী হবে। ধন্যবাদ নজরুল ভাইকে সুন্দর লেখাটির জন্যে।
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
নতুন মন্তব্য করুন