আজ ২২ মার্চ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্মদিন। ১৯৯৬ সালে এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যাত্রা শুরু করে সেগুন বাগিচার একটি সাবেকী বাড়ি ভাড়া নিয়ে। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে জাদুঘরটি গড়ে ওঠে। প্রথমে তাঁদের প্রধান ভাবনা ছিলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করার মতো স্মারক পাওয়া যাবে কী না? মুক্তিযুদ্ধের স্মারক যারা এতোগুলো বছর জমিয়ে রেখেছেন হৃদয় দিয়ে, তাঁরা কি এই জাদুঘরকে বিশ্বাস করে তুলে দেবেন?
দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার স্মারক সংগৃহীত হয়েছে। যার অল্প কিছুই এখনো প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। আরো অনেক কিছু প্রদর্শন করা যাচ্ছে না উপযুক্ত স্থানের অভাবে।
সেগুন বাগিচার মূল ভবনটি ছাড়াও মিরপুরে বধ্যভূমিতে আছে একটি কেন্দ্র। আর ভ্রাম্যমান একটি জাদুঘর সারাবছরই সারাদেশে ঘুরে বেড়ায়, ছড়িয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
বর্তমান ভবনে আছে ছয়টি গ্যালারি। এছাড়া আছে গবেষণা ও প্রকাশনা কেন্দ্র, সংরক্ষণ কেন্দ্র, অডিও ভিজুয়াল সেন্টার, গ্রন্থাগার, আর্কাইভস্, কিয়স্ক ইত্যাদি।
জাদুঘরের কিছু কর্মী আছেন বেতনভুক্ত। তবে যে কোনো আয়োজনেই মূল ভূমিকাটুকু পালন করে স্বেচ্ছাসেবী দল। সেদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বসেছিলো এক প্রাণের মেলা। বিভিন্ন প্রকল্পে যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে, সাধারণত একদলের সাথে আরেক দলের দেখা পরিচয় হয় না। সেদিন হলো।
আমরাও গিয়েছিলাম। খুব আনন্দ হলো এই দেখে যে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো এতো তরুণ প্রাণ স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উদ্যোগ নিয়েছে এই তরুণ প্রাণদের সংগঠিত করতে। স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু প্রস্তাব করা হলো।
সুখের কথা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নতুন ভবন পাচ্ছে। সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ পেয়ে ০.৮২ একর জায়গা বিশেষ মূল্যে কেনা হয়েছে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্থাপত্য নকশা নির্বাচন করা হয়েছে। এখন নির্মাণের পালা। আর এখানেই আটকে যাচ্ছে বার বার। অনেক টাকার প্রয়োজন, এই টাকা কীভাবে আসবে? তারই জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বিলি করছে প্রচারপত্র।
অনুদানের ধরণ হচ্ছে-
* পৃষ্ঠপোষক সদস্য: ৫০ লাখ টাকা
* স্থাপনা সদস্য: ১৫ লাখ টাকা
* উদ্যাক্তা সদস্য: ৩ লাখ টাকা
* আজীবন সদস্য: ১ লাখ টাকা
* প্রতীকী ইঁট ক্রয়: ১০ হাজার টাকা
অনুদান যারা দেবেন, তাঁদের কথা লেখা থাকবে ভবনের একটা বিশেষ স্থানে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সবাই মিলেই এই অনুদানে অংশ নেওয়া যেতে পারে। একটি স্কুল বা কলেজের সব ছাত্র চাঁদা তুলেও এই কাজে অংশীদার হতে পারে। পারে কোনো একটি ব্লগও। সবাই মিলে চাঁদা তুলে দশ হাজার টাকা তোলাটা খুব বেশি কঠিন হয়তো না।
শুধু টাকা দিয়ে না, আরো অনেকভাবেই আমরা সাহায্য করতে পারি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে। অনুদান দিতে সক্ষম এরকম ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রচার চালাতে পারি।
প্রচারণা চালাতে পারি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনেরও। এই ঢাকা শহরে থেকেই অনেকেই এখনো চেনেন না মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আমরা আমাদের বন্ধু স্বজনদের বলতে পারি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটা একটাবার ঘুরে আসতে। সবার কাছে এই আহ্বান...
-------------------------------------------------------------------
ভবন নির্মাণে অর্থ সহায়তা গ্রহণের জন্য 'মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ' নামে জনতা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকে এসটিডি হিসাব খোলা হয়েছে।
এসটিডি হিসাব নং: ৩৬০০০৪০৮, জনতা ব্যাংক, তোপখানা রোড শাখা, ঢাকা-১০০০ (বাংলাদেশে ও বিদেশে জনতা ব্যাংকের সকল শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে)
এসটিডি হিসাব নং: ১৫০১১০১৬৫৮৬৩৭০০১, ব্র্যাক ব্যাংক লি., গুলশান-১ শাখা, ঢাকা (ব্র্যাক ব্যাংকের সকল শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে)
এছাড়া যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
৫, সেগুন বাগিচা, ঢাকা - ১০০০
ফোন: ৯৫৫৯০৯১-২
---------------------------------------------------------------------
জাদুঘরের ছবিগুলো নেওয়া হয়েছে এখান থেকে
মন্তব্য
সবাই পতাকা বানায় না, কেউ কেউ বানায়। সেই পতাকা উড়ায় কেউ আবার কেউ দেখে সম্মান জানায়।
সালাম যু্ক্ত হবার জন্য আর আমি একটু ঋৃণি হলাম লিঙ্কটা আমার বন্ধুবই'য়ে দিয়ে দিলাম।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
লিঙ্কটা ছড়িয়ে দিন। যতো বেশি সম্ভব মানুষের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দেই আমরা চলেন। নিজে টাকা দিতে না পারি, প্রচার চালিয়ে কিছু টাকা জোগাড় তো করে দিতে পারবো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেন সর্বোচ্চ সতর্কতা পালিত হয়। বিষাক্ত ছাগুর দল কিন্তু ছদ্মবেশ ধারণে পটু। প্রতিটি কর্মী, যারা স্মারকগুলো স্পর্শ করার সুযোগ পাবেন, যেন স্ক্রিনড হন। এ ব্যাপারে কোনো শৈথিল্য কাম্য নয়।
এই ব্যাপারে বলা হয়েছে।
সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর অরক্ষিতই। এজন্যই অনেক কিছু এখনো প্রদর্শন করা হচ্ছে না। সেদিনই মফিদুল হক ভাইকে এম এ জালালের দূর্লভ কালেকশনের প্রশংসা করছিলাম। তখন ইঙ্গিত পেলাম আরো অনেক চমক আছে উনার বাক্সের ভেতর। সময় মতো বের হবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব যখন ছোটো ছিলাম। যে মফস্বলে থাকতাম সেখানে প্রতি বছর একটা সময় এলাকার লোকজন মুক্তিযুদ্ধ-ভাষা আন্দোলন বিষয়ক প্রদর্শনী করত। প্রতি পরিবারই নিজেদের সংগ্রহে থাকা সেই সময়ের, পেপার-কাটিং ও মিলিটারিবুট, গুলি-বন্দুকের অংশ এসব নিয়ে বসে পড়ত। এখনো সেটা চালু আছে কিনা কে যানে। বড় বড় মানুষগুলো যত্নকরে তাদের তরুণবেলার গল্প শোনাতো। ওগুলো ছিলো আমার ভালোবাসার প্রথম পাঠ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সেই দিন আর নাই রে ভাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- জাতীয় যাদুঘর সরকারী সংস্থা হিসেবে থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর সরকারীকরণে বাধা আছে কোথাও? অন্তত ভবন নির্মানে কোনো সমস্যা হতো না। তবে হ্যাঁ, একটা আশংকা থেকে যায়, যদি জামাত-বিয়েন্পি জোট ক্ষমতায় আসে, তাহলে অবশ্য মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর তাদের নোংরা হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তি পাবে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস... আল্লার দোহাই লাগে, সরকাররে টাইনেন না। ম্যাসাকার হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বিশ্বাসযোগ্যত অর্জন করছে বইলাই মানুষ তাদের বছরের পর বছর ধরে জমানো স্মারকগুলো তুলে দিচ্ছে। আপনার ধারণা সরকার চাইলে দিতো? দিতো না। আর যে আশঙ্কার কথা বলছেন, তাও সত্য।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সহমত।
-স্নিগ্ধা করবী
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সরকারীকরণ করা হলে এখন যেভাবে চলছে সেভাবে চলা কোনোমতেই সম্ভব হতো না। মানুষজনের স্বেচ্ছাশ্রম, আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় চলা এই জাদুঘরটি এভাবেই একটু একটু করে আরো বড় হয়ে উঠুক।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
প্রিয় ধূগো, একদম নয়, কোনমতেই নয়। নজরুল ভাই আর গৌতম ঠিক বলেছেন। তার সাথে আমি যোগ করবো দুর্নীতি, অদক্ষ জনবল আর পদে পদে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের কথা। বাবা ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা, কাজেই আমি ভাল করেই জানি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
নইজ্যা - আপনাকে ইমেইল করসি, পড়ে উত্তর জানায়েন।
মনটা খারাপ ছিলো... আপনি ভালো করে দিলেন অসম্ভব...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, আপনি আমাকে চিনেন না, আপনার সাথে আমার এখনও যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু বুনো আর বালিকা চেনে আমাকে। হয়তো সেটাও যথেষ্ট নয় আসলেও। এখন আমি খুবই ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে, তাই আপনার আগের পোস্টে এবং এটাতেও কোনো কাজে লাগার প্রতিজ্ঞা করতে পারছি না দেখে দুঃখিত। আমি দেশে আসছি জুলাইয়ে, কাজেই তখন দেখাও হবে, আমাকেও আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন আর কাজেও জড়িয়ে যেতে পারবো বলে আশা রাখছি।
ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ঠিকাছে, বিশ্বাস করলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই দারুন উদ্যোগ, আপনার চিন্তাধারাটা কেনো যে সবার মাঝে প্রবাহিত হয় না? যাক পোষ্ট দিয়ে ভালো করেছেন। সচলায়তনের সবাই মিলে কী পারিনা কিছু করতে? নজরুল ভাই দয়া করে আরেকটা উদ্যোগ নেন, আমরাও কিছু করি। ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
স্বাধীন... এই লেখাটাও উদ্যোগের একটা অংশ। সচলরা সবাই যদি মনে করেন সবাই মিলে কিছু টাকা করে দিয়ে একটা তহবিল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে দিতে, সেটা অবশ্যই একটা ভালো কাজ হবে। মূলত এজন্যই এই পোস্টটা লেখা...
আমরা আপাতত এই প্রচারটা ছড়িয়ে দেই চারদিকে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে গিয়েছিলাম সেই ৯৬/৯৭ সালে। ভালো লেগেছিল। সেটা যে এখন নিজস্ব ভবন নির্মাণ করবে, জ়েনে ভালো লাগল।
একটা প্রশ্ন। অনুদানের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কিভাবে আমরা প্রবাসীরা টাকা পাঠাতে পারি সেটা বুঝলাম না। আমি চেষ্টা করব ব্যক্তিগতভাবে কিছু সংগ্রহ করার।
মূল পোস্টে টাকা পাঠানোর ঠিকানার ডিটেইলস যোগ করে দিছি। দেখে নেন... এরচেয়ে বেশি কিছু জানতে হলে লিখেন... যে কোনো প্রয়োজনে আছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধণ্যবাদ।
আমি এটা সবজায়গাতে শেয়ার করব।
আরেকটা পয়েন্ট। কোন টাইমলাইন থাকলে আমার মনে হয় মানুষের সারা আরও বেশী এবং দ্রুত পাওয়া যাবে। যেমন কতদিনের মাঝে টাকার যোগাড় করতে হবে, কিংবা মোট কত টাকা তুলতে হবে, এরকম আর কি।
-লাবণ্য-
মোট কতো টাকা দরকার, তা আমি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ থেকে জেনে জানাবো। অনেক টাকাই লাগবে আসলে। একটা আস্ত ভবন নির্মাণ করা অনেক টাকার মামলা।
নানাদিক থেকেই টাকা আসবে। ট্রাস্টিরা তো আছেনই।
সব তো আমরা করতে পারবো না। তবে আমরা সবাই মিলে একটা উদ্যোগ নিতে পারি, সবাই মিলে কিছু কিছু করে টাকা দিয়ে একটা বড় ফান্ড করে সেটা তুলে দিলাম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের হাতে। দেখি সবাই কী বলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক্সকারশনের জন্যে স্কুল পর্যায়ে আহ্বান জানানো যেতে পারে। স্বল্পমূল্যে স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্যে গাইডেড ট্যুরের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জানি না এ ব্যবস্থা এখন আছে কি না। কিন্তু আমি মনে করি এটা জরুরি। জার্মানিতে যেমন সেনা প্রশিক্ষণের একটি অংশ হচ্ছে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শন।
স্কুল পর্যায়ে এই কর্মসূচীটা বহাল আছে। স্কুলের বাচ্চাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ঢুকতে টিকিট লাগে না। আর দল বেঁধে গেলে এবং আগে থেকে যোগাযোগ করে গেলে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ডকুমেন্টরি দেখানোর ব্যবস্থাও আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি স্কুলে থাকতে আমাদের নিয়ে গেছিলো পুরো ক্লাসের সবাইকে
সচল স্নিগ্ধা আপা এই তহবিলে একটি ইঁট ক্রয় করছেন। মানে ১০,০০০ টাকা দিচ্ছেন। আর এটা তিনি দিচ্ছেন ৮ বছরের মেয়ে প্রমিতি উপমা আলি'র নামে। প্রমিতিদের প্রজন্মও কিছু কৃতজ্ঞতা বা ঋণ শোধ করুক, আর সবচাইতে বড় কথা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইনভল্ভড হোক।
অশেষ ধন্যবাদ স্নিগ্ধা আপা আর প্রমিতিকে। মনটা আনন্দে ভরে গেলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
স্নিগ্ধা আপাকে ধন্যবাদ। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য।
নজরুল ভাই,
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে যদি 'একাত্তরের প্রজন্মের সৃষ্টি করা ইতিহাস ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মের যুদ্ধ' এরকম একটা উন্মাদনা ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে খুব দ্রুত টাকা ওঠানো যাবে।
কর্পোরেটদের অংশগ্রহণের ব্যপারে কি কোন বিধিনিষেধ আছে? ৩০মিনিটে দুনিয়া না কাঁপিয়ে গঠনমূলক কিছুতে তারা নিজেদের যুক্ত করতে পারত। জাদুঘর তৈরী না হয় হল এর পরের অপারেটিং কস্টের ব্যপারে কি চিন্তা করা হয়েছে? জাদুঘরে যদি একটা ত্রি-ডি থিয়েটার, গিফট শপ, নিচের তলায় হয়ত ফুড কোর্ট (জাদুঘরের ভাব গাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে) এরকম একটা কমপ্লেক্স বানান যায় কিনা?
সাফি, নজরুলকে ইমেইলে
ও যখন জানবে যে ও কিছু একটা কন্ট্রিবিউট করতেসে, বা ওর নামে করা হচ্ছে, তখন আমার ধারণা ওর মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর সবকিছু সম্পর্কে আগ্রহ আরও বাড়বে।
আর আপনি যে অপারেটিং কস্টের কথা বললেন, সেটা একটা জরুরি প্রশ্ন কিন্তু। থ্রি ডি থিয়েটার হোক, বা অন্য কিছুও যদি হয় যাতে এই জায়গার আকর্ষণ আরও বাড়ে বা খরচ উঠে আসে, খুবই ভালো হয়। আমি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে গেছি শেষবার ২০০৭ বা ২০০৮ এ। আশা করি নতুন ভবন বানানো হলে এমনিতেই শুধু দেখার দিক থেকেই এটার আকর্ষণ আরও বাড়বে।
স্কুল কলেজে এই ক্যাম্পেইন ছড়ানো হচ্ছে। সবগুলো স্কুল কলেজ ভার্সিটিতেই এই লিফলেট যাবে।
কর্পোরেট বিষয়ে ঐ অর্থে ঝামেলা নেই। কিন্তু ধরেন গ্রামীণ যদি বলে তারা পুরো কাজটাই করে দেবে... [সেটা তারা দিতেই পারে] তাহলে কর্তৃপক্ষ হয়তো রাজী হবে না, বা হতে চাইবে না।
একটা কথা জানাই, এখন যে ভবনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সেটা সরকার দিতে চেয়েছিলো, কিন্তু জাদুঘর কর্তৃপক্ষ রাজী হয় নাই। কারণ সরকারের কাছে তারা বিক্রি হতে চায় নাই। কোনো কর্পোরেটের কাছেও বিক্রি হবে না হয়তো।
থিয়েটার থাকছে। প্রজেকশন হল থাকছে... যেখানে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র, তবে থ্রিডি হচ্ছে না।
আর গিফট সপ, ক্যাফে থাকছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল আমি ৮৬ সালে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ মিউজিয়ামে গেছিলাম, মনে পড়লো অনেক সুন্দর স্মৃতি। আমার একটা ফানডরেইজিং প্রস্তাব আছে, আপনারা ভেবে দেখুন। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাচন ক্যাম্পেনে ১ ডলার থেকে শুরু করে যে কোন অর্থমূল্য দান করা যেতো, এভাবে ঐতিহাসিক অঙ্কের তহবিল গড়ে উঠেছিল। আপনারা ভেবে দেখুন এভাবে মুক্তিযুদ্ধ মিউজিয়ামের তহবিল গড়া যায় কিনা।
আশা করি সচলায়তন থেকে বড় একটা ফান্ড তৈরি করা যাবে। আমরা সবাই মিলে কিছু কিছু টাকা করে দিলেও তো একটা বড় ফান্ড তৈরি করা সম্ভব তাই না?
কতো টাকা তো হুদাই খরচ করি... নাহয় ভালো কাজেই কিছু খরচ করলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সরি ৯৬ হবে। আমি বাংলায় টাইপ করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে যাই, দুঃখিত।
নজরুল ভাই - কোনো অফিসিয়াল / আন-অফিসিয়াল লিফলেট কি আছে? থাকলে একটা হাই কোয়ালিটি স্ক্যান মাইরা একটু আপ্লডাইতে পারবেন? লিফলেট ফরমেটে থাকলে বিদেশে বাংলাদেশী কম্যুনিটিগুলোতে বিলাইতে সুবিধা হবে। এছাড়াও ইংরেজিতে এই লেখার সারাংশ (টাকা পাঠানোর ঠিকানা সহ) থাকলে যাদের বাংলা পড়ার অভ্যাস নাই (কম্পুতে যাদের ফন্ট নাই) তাদের কাছেও খবরটা সহজে পৌছানো যাইত। টিভিতে কি এড দেয়া হইছে? হইলে ইউটিউবে ...
অফিসিয়াল লিফলেট অবশ্যই আছে। আমি সেটা আগামী কালকে এখানে দিয়ে দেবো। তবে সেটা বাংলায়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনের লেখার মধ্যে এইডা কি ভাই?
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ছবি আমি একটা সাইট থেকে নিয়েছিলাম, যার লিঙ্ক আমি লেখায় দিয়েছি। তারা ছবিটি মুছে দিয়েছে হয়তো। তাই এখন দেখা যাচ্ছে না। আমি ছবিটি সরিয়ে দিচ্ছি
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, আমার করার মতো কাজ থাকলে আওয়াজ দিয়েন ইমেইলে, আপাতত ছড়িয়ে দিচ্ছি। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
লাগবে ম্যাডাম...
৭১ সালে যে নিউজগুলো হয়েছিলো, বাংলায় ছাপা নিউজগুলোর আমি চাই ইংরেজী অনুবাদ হোক... তাহলে তথ্যগুলো ছড়ানো যাবে সারাবিশ্বে। একাজে অনেক অনেক অনুবাদক দরকার। একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আপনাকেও স্বাগতম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমরা কি একটা কাজ করতে পারি?
সবাই মিলে একটা ফান্ড করতে পারি? দশজনে যদি এক হাজার টাকা করেও দেয়, তাহলেই একটা কাজ হয়।
আমার ধারণা এটা খুব কষ্টকর কিছু না... সবাই মিলে আমরা একটা ফান্ড করতে পারি না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ্যাঁ, পারি তো। আছি।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সাথে আছি। ভাল লাগে এমন খবর শুনলে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের একটা ওয়েব সাইট থাকলে ভাল হতো। সচলে এই লাইনের লোকের অভাব নাই। আপনারা ভেবে দেখতে পারেন।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের একটা ওয়েব সাইট আছে। তবে এটা আপাতত ব্যবস্থা। নতুন সাইট নির্মাণ কাজ চলছে।
http://www.liberationwarmuseum.org/
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাইয়া,
" ৭১ সালে যে নিউজগুলো হয়েছিলো, বাংলায় ছাপা নিউজগুলোর আমি চাই ইংরেজী অনুবাদ হোক... তাহলে তথ্যগুলো ছড়ানো যাবে সারাবিশ্বে। একাজে অনেক অনেক অনুবাদক দরকার। একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। "
আমি একাজ এ যুক্ত হতে চাই। এছাড়াও যেকোনো ডিজাইন সম্পর্কিত কাজ থাকলে যেমন লিফলেট ডিজাইন বা যেকোনো কিছুতে থাকতে পারলে মনে হবে এতোদিনে কিছু একটা কাজের কাজ করতে পারবো।
ভাইয়া, এখানে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াটা কি দয়া করে ইমেইল করে জানাবেন? আমি আসলে এখানকার রেজিস্টার্ড ইউজার না একারনে সব সময় হয়ত এখানে ঢুকে আপডেট করা সম্ভব হবে না। একারনেই আপনাকে ইমেইল করার অনুরোধ করলাম।
hnrana@gmail.com
আপনার জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক আছে, প্রয়োজন হলে আমি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবো। অশেষ ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বেশ অনেকদিন পরে একটা ভালো পোস্টে কোনো যন্ত্রণা ছাড়াই বেশ কিছু সুখের খবর পেলাম। সত্যিই আমার খুব ভালো লাগে এখনও অ্যাকটিভিস্টদের দেখা বা কথা পেলে। হবে। হয়ে যাবে।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমাদের নিজস্ব গ্রুপে শেয়ার করলাম ।
সাথে আছি ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যে কোনও উদ্যোগে সঙ্গে আছি (সামর্থ্য অনুযায়ী)।
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন