ডিজিটাল সরকার কি আমাদের স্বপ্নে ছিলো?
না!
আমরা প্রথমত একটা গণতান্ত্রিক সরকার চাই। যেই সরকার সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিবে। সবার মত প্রকাশের সুযোগ দিবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতা নিলো। কিন্তু আমরা দেখলাম এই সরকার ডিজিটের কিছুই জানে না। যে সরকারের ডিজিটাল উপদেষ্টা মোস্তফা জব্বারের মতো একজন একজন, সেই সরকারের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়?
আমরা ডিজিটাল সরকারের আশা করি নাই। আবারো বলি, আমরা একটা গণতান্ত্রিক সরকারই আগে চাই।
কিন্তু আমাদের আশার গুড়ে বালি চিরন্তন। এই সরকার সব সরকারের পথেই হাঁটলো। মত প্রকাশের স্বাধীনতারে পাত্তা দিলো না।
আমাদের সরকার জানেই না, যে এসব নিষেধাজ্ঞা কোনো কাজের কথা না। বর্তমান দুনিয়ায় নিষেধাজ্ঞার চেয়ে হাস্যকর কিছু নাই আসলে। যার দেখার সে ফেসবুক কেন, দুনিয়ার সবকিছু দেখতে পারবে। নিষেধাজ্ঞার চেয়ে যেহেতু পোলাপাইন অনেক ক্রিয়েটিভ, তারা পথ বের করে নেবে।
তবু সরকার নিষেধাজ্ঞা জারী করে। হায়, দ্বার বন্ধ করে আজকাল আর ভ্রম রুখা যায় না!
এই নিষেধাজ্ঞা হয়তো কয়েকদিন পরই তুলে নিতে হবে। কিন্তু এই সরকারের ইতিহাসে তা আজীবন রয়ে যাবে।
আমরা সরকারের এই নির্বুদ্ধিতার প্রতিবাদ জানাই
মন্তব্য
সহমত। আমার মনে হয় মোল্লাদের একটু খুশি করতে গিয়ে সরকার এই স্ট্যান্ড নিয়েছে। কিন্তু এর ফলে নিজেদের কী ক্ষতি হল সেই চিন্তা করার মত বুদ্ধি মনে হয় নাই। এদের দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে বলে মনে হয় না। দেখেন না তদন্ত প্রধান নিয়োগ দেয় যারে তারেই আবার পদত্যাগ করায়।
সহমত।
এরা জানে না, এরা কি করলো।
আসলে, আরেকটা রাজনৈতিক শক্তির বড় দরকার, কাকে ভোট দেবো?
জামাত-বিএনপি বর্জনের ভোট পেয়ে পেয়ে, এরা এমনই নিজের অর্জনের বেলুনে বাতাস দিয়ে ফেলেছে, এখন সেই বেলুন ফাঁটে ফাঁটে।
[sigh]..
..............................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সহমত।
আমাদের দেশে সব ডানপন্থী দলগুলিই এক অথচ আমারা বোকা পাবলিকরা ভাবি এই দল বা ওই দল ক্ষমতায় এসে সোনার বাংলা বা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে!
সহমত।
এই লজ্জ্বা রাখারও আমাদের কোন জায়গা নেই।
বিভিন্ন দেশের পত্রিকাতে হয়ত খুব ছোট একটা খবর হবে বংলাদেশে ফেইসবুক ব্যানের ব্যাপারটা। লোকজন শুধু হেডিংটাই পড়বে... বিস্তারিত পড়ার কোন প্রয়োজন নেই। আমারা যেমন কিছু কিছু দেশের কিছু কিছু খবরে আর বিস্তারিত দেখার প্রয়োজন বোধ করিনা, স্বাভাবিক হিসাবেই ধরে নেই। শুধু সেইসব পাঠকের মনে বাংলাদেশের এই ‘ব্র্যান্ডিংটা’ আরেকটু রিইনফোর্সড হবে।
হয়ত এইসব গ্রেপ্তার ফেপ্তার আসলে জাস্টিফিকেশন আরেকটু বাড়াবার জন্য একটা প্রচেষ্টা।
হয়ত সরকারের ‘সংশ্লিষ্ট লোকজন’ ক্যালকুলেশন করে দেখিয়েছে এই পদক্ষেপে ‘ব্লগের কিছু চিল্লাচিল্লি’ কিংবা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভীর রাতের প্রতিবাদ’ ইগনোর করলে ‘আখেরে’ লাভই হবে। সকালে প্রথম আলোতে শুধুই‘ছোট একটা খবর’ দেখলাম, কোন আলোচনা না। ডেইলি স্টার তো তাও কিছু মন্তব্য জুড়ে দিয়েছে।
হয়ত আমরা অনেক পরে একদিন কোন পত্রিকাতে পড়ব কারো‘অ্যাডভাইসে’বন্ধ করা হইয়েছিল... ।
আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু বিকল্পরা কি বিশ্বাসযোগ্য?
আফশোস। আমরা প্রতারকের পাল্লায় পড়েই যাচ্ছি। নিস্তার নেই।
...............................................................................................
এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
যে যায় লংকায় সেই হয় রাবণ! মিষ্টি কথার ফুলঝুরি ঝরিয়ে একবার ক্ষমতায় যেতে পারলে আর ঠেকায় কে? বুকের পাটা ফুলিয়ে যা ইচ্ছে তাই করা আর লুটপাটের মহোৎসবে সবাই সমানে সমান!
স্যার রহিম কে দাড় করাইয়া বলিলেন অন্যায় করিয়াছো কাজেই তুমি কান ধরো । রহিম উঠিয়া বেঞ্চির উপরে না দাড়াইয়াই বলিলো আমি ধরিলে করিম ও ধরিবে কেননা সে ও একি অপরাধ করিয়াছিলো -
আমাদের এক চোর বাদ দিলে আরেক চোরের ডেরায় যেতে হবে কেননা আমরা অন্ধের দেশে আয়নার ব্যাপারী
হুমমম! আফসোস -
আজকের "কালের কণ্ঠে"র প্রধান হেডলাইনটা 'ফেসবুক' প্রসঙ্গে। তারা কিছু ভাল পরিসংখ্যানও দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রায় ৮ লাখ মানুষ, তার ৪৫% ই ১৮-২৪ বছরের মাঝে। সরকারকে মনে রাখতে হবে তাদের ক্ষমতায় আসার পেছনে কিন্তু তরুনদের এই ভোটের ভূমিকা অনেক বেশি ছিল। সুতরাং সরকার, সাবধান!!!
কী আর বলব ! কী বা বলার আছে?
পুকুরের কইমাছ সব উঠেছে গাছে।
--আরিফ বুলবুল
ইরতেজা ভাই-এর মন্তব্যটা খুবই প্রাসঙ্গিক, সরকারের পুনরায় ভাবার দরকার রয়েছে। -- শফকত
এটা হলো কাগুটাল বাংলাদেশ!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খুব সম্ভবত আহমদ ছফা'ই বলেছিলেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে-
যখন আওয়ামিলীগ জিতে তখন শুধু আওয়ামিলীগ একাই জিতে, কিন্তু যখন আওয়ামিলীগ হারে তখন গোটা জাতিই একসাথে হেরে যায়।
আওয়ামিলীগ মনে রাখে না কিংবা ভুলে যায় যে, আমরা ভোট দেই তাকে জেতানোর জন্য নয়, বরং জাতি যাতে হেরে না যায় সেজন্য। জাতি হিসেবে আমরা হয়তো ভয়ানক দুর্ভাগা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
যেমন জনগণ, তেমন জনতন্ত্র।
মাস লেভেলে জনগণ বুদ্ধিমান না হলে এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের কোনো সম্ভাবনা নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সহমত রণদা।
একমত
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
নতুন মন্তব্য করুন