৭ | লিখেছেন সাইফ তাহসিন (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ২:২৫পূর্বাহ্ন)
এইখানেই শেষ হবে না, এরপরে আবার মানুষ পিডিএফ আর পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বানায় বিলি করবে, যেমনটা করেছিল বিডিআরে মৃত সেনাবাহিনী সদস্যদের নিয়ে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
৮ | লিখেছেন দুষ্ট বালিকা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ভয়ে চ্যানেল পাল্টাইনাই। এইসব দেখতে আর ভাল্লাগেনা...
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
রাতে খেতে বসে এই সব খবর দেখে আবার বন্ধু পরিচিতজনদেরকে খবর দিতে হয়... কী আজব অবস্থায় বাস করছি, অথচ মোকাবেলা করা, প্রতিরোধ করার ব্যাপারে আগ্রহ কর্তৃপক্ষের কত কম!
___________________ ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________ ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
১২ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ৩:০২পূর্বাহ্ন)
বেগুনবাড়ির দূর্ঘটনায় সবাই দুঃখিত... কিন্তু চেনাজানা মানুষেরা কিন্তু বহুদিন যাবৎই বেগুনবাড়ি খালের ওপর বস্তিতে কোন একটা দূর্ঘটনা ঘটবো ভেবেই অপেক্ষা করছিলো।
ঢাকা শহর যে কী বিরাট এক মনুষ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে, তা এই এক অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি দেখলে কিছুটা আন্দাজ করা যায়। আল্লাহ্ মাফ করুক, যদি রিখটার স্কেলে ৮-এর বেশী মাত্রার ভূমিকম্প হয়, আর সাথে আফটারমাথ হিসেবে অগ্নিকাণ্ড যোগ হয়, ওহ্, আমি কল্পনাও করতে পারি না!
মন খুব খারাপ হয়ে গেল। প্রার্থনা আর সমবেদনা ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারি এখন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
১৫ | লিখেছেন বইখাতা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ১১:২১পূর্বাহ্ন)
মনটা ভীষণ খারাপ। বেগুনবাড়ির দূর্ঘটনার পরপরই আবার আরেকটা। দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না। দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহর। এরপর আবারো হয়তো শুনবো আরেকটা দূর্ঘটনার খবর...এমনকি আমি, আমরা নিজেরা কেউও খবরের উপাদান হয়ে যেতে পারি। মনটা ভীষণ খারাপ।
১৬ | লিখেছেন দৃশা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ১২:৫২অপরাহ্ন)
১১১ জনের মৃত্যু, আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে একদিনের জাতীয় শোক দিবস।
এই দেশটা আসলেই অপয়া। এদেশে মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু রোজকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আজ বাড়িধ্বসে মানুষ মরে তো, কাল ঘুমন্ত ড্রাইভারের গাফিলতিতে, পরশু আগুনে পুড়ে মরে তো... তরশু লঞ্চডুবে নয়তো ভূমিধ্বসে। মানুষের জীবন এতো সস্তা! কার কাছে এ প্রশ্ন করব আর কে এর উত্তর দিবে এটাও জানি না।
অপয়া বলে দেশটাকে গালি দেয়া কেন, যেখানে আমরা নিজেরাই অপয়া বানিয়ে রেখেছি। প্রশ্নগুলো অপরের কাছে না করে নিজের কাছেই করা উচিৎ, তাতে জবাবটা মিলবে ভাল।
বাড়ি তৈরির সময় আমি যদি এক ইঞ্চি জায়গা না ছাড়ি, নিয়ম না মেনে ইলেক্ট্রিক আর গ্যাসের লাইন বসাই, নিয়ম না মেনে রেসিডেন্সিয়াল জমি ভাড়া দেই ইন্ড্রাস্ট্রিকে, পয়সা বাঁচানোর জন্য বাড়ির স্ট্রাকচার কমিয়ে ফেলি, তবে আমার জীবনটাকে আমি ছাড়া আর কে সস্তা করলো? এর জন্য সরকার দায়ী? না রাজউক? নাকি আমি নিজে?
আপনার কমেন্টের কিছু অংশ আমার ব্লগে আমি শেয়ার করলাম। যদি অমত থাকে, জানিয়ে দেবেন, সরিয়ে ফেলব।
১৮ | লিখেছেন দৃশা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ৭:০০অপরাহ্ন)
অপয়া শব্দটা শুনতে আপনার যেমন ভাল লাগেনি, নিশ্চিত থাকতে পারুন সেটি প্রয়োগ করতে গিয়ে আমারও ভাল লাগেনি। কিন্তু আমরা অপয়া, কারণ আমরা জেনেও না জানার ভান করি, দেখেও দেখি নাই, শুনেও শুনি নাই ভাব করে চলছি জীবনের প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে। যে দেশের মানুষ অপয়া সে দেশ তো অপয়া বটেই, এখানে অপয়া শব্দখানি কুসংস্কারের বাহক হিসাবে ব্যবহৃত হয়নি সামিয়া। অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য সরকার যেমন দায়ী ঠিক আমরাও ততখানি দায়ী।
আর যে প্রশ্ন করার অংশটা উল্লেখ করলেন সেটা আসলে নিদারুন ক্ষোভ আর গ্লানি থেকে করা। আমার অক্ষমতার একধরণের বহিঃপ্রকাশ, যার ফলস্বরুপ বলেছি 'মানুষের জীবন এতো সস্তা!'। তবুও মন্তব্যটি আপনাকে আঘাত করেছে বুঝতে পারছি, এরজন্য আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত।
সামিয়া আপনার ব্লগ কোথায় বা কি জানি না। আমার মন্তব্য কি প্রয়োজনে কোথায় ব্যবহার করেছেন তাও জানি না। তাই আমার আপত্তি করার আগে অনুমতির বিষয়টা আগে আসে। শেয়ার করার আগে যদি অনুমতিটা নিতেন তাহলে এ বিষয়ে আপত্তি করার বা না করার প্রশ্নটা আসতো। শেয়ার করার পর বলছেন এখন সরিয়ে ফেলা না ফেলার কথাটাই অবান্তর।
শেয়ার করিনি, আপনার অনুমতিরই অপেক্ষা করছিলাম। আমার ব্লগের ঠিকানা দেয়া উচিৎ ছিল, ভুলে গেছি বলে দুঃখিত। নিচে দিয়ে দিলাম।
অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য সরকার যতটুকু দায়ী, তারচেয়ে অনেক অনেক বেশী দায়ী আমরাই। আর আঘাত পাওয়ার কথা আসছে কেন, দেশ আমার যতটুকু, আপনারও তো ততটুকুই। গ্লানি আর ক্ষোভ নিয়ে আর কতদিন চলব বলুন? তারচেয়ে এসব ঝেড়ে ফেলে এখন আমাদের জীবনটাকে একটু দামী বানাই আসেন। অক্ষম কিন্তু আমরা না। আমাদের নিজের ক্ষেত্রে যদি নিয়ম গু্লো মেনে চলি তাতেই চলবে।
আর আমার কমেন্টটা পড়ে দেখলাম বেশ অফেন্সিভ মনে হচ্ছে। দুঃখিত। আমি সবাইকে বলতে চেয়েছিলাম আমার জীবনের জন্য প্রশ্নটা আমার নিজেকেই করা উচিৎ, সরকারের মুখ চেয়ে আর কদ্দিন?
২০ | লিখেছেন দৃশা (তারিখ: শনি, ০৫/০৬/২০১০ - ৬:৫৬অপরাহ্ন)
আপনার সাথে আংশিকভাবে একমত। দায় আমাদের আছে বৈকি, যেহেতু এই দেশের নাগরিক, এই দেশেই বসবাস এর ভাল মন্দ সবকিছুর দায় আমাদের উপরও আসে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ছিল একজন যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন করা। যেটা করতে আমরা বার বার ব্যর্থ হয়েছি, অপশনের অভাবে নতুবা অপশন ব্যবহার না করার কারণে। গণসচেতনতা সৃষ্টি করার দায়ভার সবার আগে সরকারের উপর বর্তায়, আর সেটা সঠিকভাবে পালন করার দায়ভার আমার আপনার সবার উপর।ধরুন আপনিও সচেতন, আমিও সচেতন। এই ব্লগে যারা আছেন, আপনাদের ক্যাডেটকলেজ ব্লগে যারা আছেন তারাও সচেতন যার দরুন আজকে আমরা সবাই নিরাপদ স্থানে বসে এভাবে মতামত চালাচালি করতে পারছি। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের জীবন মূল্যবান, তাই নিজেদের এবং নিজের কাছের মানুষের জীবন রক্ষার্থে আমরা যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করি। রাজউকে ঘুষ না খাইয়ে নিজেদের বরাদ্দকৃত জায়গায় বাড়ি বানাই, ২ টা বাড়ির মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড দূরত্ব রাখি, আলটপকা রাস্তার জায়গা মেরে দিয়ে নিজের উঠোন প্রশস্ত করি না, মানসম্মত উপাদান দিয়ে ভূমিকম্প নিরোধক বাড়ি বানাই, আবাসিক এলাকায় বিপদজনক জিনিস নিয়ে অফিস খুলি না, আবাসিক এলাকাকে কর্পোরেট পাড়া বানাতে বাধা দিই, মাতব্বরী করে নিজের খেয়ালখুশি মত ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন তৈরি করি না, যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে রাস্তা ভরি না, ঠিক সময়ে পানির বিল গ্যাসের বিল বিদ্যুত বিল টেলিফোন বিল সবই দেই আদৌপে সুবিধাগুলো পেলাম কি পেলাম না পরের কথা, করও ফাঁকি দেই না, ট্রাফিক আইন মেনে চলি, আমাদের অধীনস্থ গাড়িচালকদেরও মানতে বাধ্য করি, তাদের লাইসেন্স বৈধ কি না সে বিষয়েও আমরা অবগত, প্রয়োজনে ফ্লাইওভার ব্যবহার করি, বাড়ি থেকে ট্রান্সফর্মার(যদিও ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ এই দুর্ঘটনার হেতু না বলা হচ্ছে, তবে বিষয়টা বিপদজনকতো বটেই) কতখানি দূরে সেদিকেও নজর আছে, সর্বোপরি যতখানি সাবধান হলে নিজের মূল্যবান জীবনটুকুকে মূল্যায়ন করা সম্ভব ততখানি আমরা সচেতন। কিন্তু আমি আপনি আর এই আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ সচেতন হলেই তো বেগুনবাড়ি, নিমতলী, শান্তিনগরসহ আরো হাজারটা দুর্ঘটনা এড়াতে পারছি না।
কতিপয় অসৎ লোভী মানুষের কর্মফল ভোগ করছে বাকী সব নিরীহ মানুষ। এদের শাস্তির ব্যবস্থা করে সরকার কি কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে যা দেখে অন্য কেউ একই অন্যায় করা থেকে বিরত থাকবে? সঠিক আইন প্রয়োগ করা কি হচ্ছে? আমাদের আইন ব্যবস্থা এবং তার প্রয়োগ এতো ধীরগতির আর দুর্বল কেন? কোন সচেতন নাগরিক যদি আইনি পথে আগাতে যায় তবে তার বিচার পেতে লাগে একযুগ, কিংবা বিচার পায়ই নাই। ভূমিদস্যুরা কোটিপতি হচ্ছে, আর মাডস্লাইডের শিকার হচ্ছে নিরীহ গরীবরা। বনদস্যুদের কারণে জঙ্গল হচ্ছে বিরানভূমি, তামাক চাষের কারণে বনকে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে, অসুস্থ হচ্ছে গ্রামবাসী, হারাচ্ছে গবাদি পশু, পুকুরের মাছ মরছে, পানি দূষিত হচ্ছে। আর এসবের শিকার হচ্ছে নিরীহ মানুষগুলা যারা আর কিছু না জমিতে ধান চাষ করে বেঁচে থাকতে চায় কিন্তু পায় না সুযোগ। শহরের ভিতর বিডিআর দপ্তর, ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গাড়ি চলাচলে তুমুল কড়াকড়ি, অথচ অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতে অবাধ বেশামা্ল ভারী পরিবহন চলাচল, ফলাফল নিরীহ কিন্তু সচেতন আপনার আমার মত শিক্ষার্থীদের অকাল মৃত্যু। আমাদের দেশে আইন আছে মেলা, কিন্তু তার প্রয়োগ নাই ছোট থকে বড় কোন জায়গাতেই। এর মূল কারণ মানুষের অসচেতনতা, না কি আইন প্রণয়নকারীদের নিষ্ক্রিয়তা? যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করলে মানুষ মানে না আবার কি করে। সরকার মানে এক বিশাল ক্ষমতাধর পরিবার, অথচ এর রন্ধ্রে রন্ধ্রেই বিশাল বিশাল ফুটো। দুর্নিতী দমন কমিশনেই চলে বিশাল দুর্নিতীযজ্ঞ।
ঢাকায় প্রতিমাসে বলে ১ লক্ষ মানুষ প্রবেশ করে, ছেড়েও যায় হয়তো কিছু। এরা আসে কেন নিজ জায়গা ছেড়ে? বেশীরভাগই আসে হয়তো খানিকটা খেয়েপড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে, কেউ কেউ আসেন আরো একটু ভাল চাকরি কিংবা ভাল সুবিধা পাওয়ার আশায়, তার মানে তার নিজের জায়গায় সেই সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। তা না হলে নিজের জায়গা ছেড়ে আসার দরকারটা কি? অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলে বস্তি, এই সুযোগে এক শ্রেনীর মানুষ একটা বাড়ির কাঁধের উপর তৈরি করছে যেনতেনভাবে আর একটা বাড়ি। প্রয়োজনের কাছে হার মানে তখন আমজনতার সচেতনতা। সচেতন হওয়ার দরকার আগে সরকারপক্ষের, মানুষের প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তাগুলো মেটানোর দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে তাদেরকে, তাদেরকে বুঝতে হবে প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। আমাদের সচেতনতার অভাব আছে অনেক কথা সত্যি, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুলতাটাও মারাত্মক। এরজন্য আমরা যতটা দায়ী, তার চেয়েও অনেক বেশী দায়ী সরকার আর কিছু স্বার্থান্বেষী পিশাচ। প্রতিটা জিনিসই ইন্টারকানেক্টেড, একটা ঠিক হলে আর একটা ঠিক হয়ে যাবে এটাই বিশ্বাস করি।
বেশ কিছু ক্যাম্পেনে অংশগ্রহন করেছি, খেটেছি ভাল কিছু একটা হউক এই আশায়, সফল হতে গিয়েও হতে পারিনি হাজারটা বাধার কাছে, অভিজ্ঞতা ভীষণ তিক্ত। তাই এই অসহনীয় বিপর্যয় দেখলে ক্ষোভ আর গ্লানি চলে আসে আপসেই। ভাবতে না চাইলেও অক্ষমতার অনুভূতি পীড়া দেয়। সেটা নিজের প্রান কত মূল্যবান কিংবা সস্তা তা ভেবে না, বরং একের পর এক ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের তীব্রতা দেখে, নিজের সীমাবদ্ধতার কথা ভেবে। আপনার মন্তব্যে অফেন্ডেড হয়নি। আপনি আপনার চিন্তাভাবনা নিজের অবস্থান থেকে প্রকাশ করেছেন। বরং খুশি হয়েছি দেখে আপনি এভাবে ভাবছেন। এতো বড় মন্তব্য ফেঁদে বসেছি বুঝতে পারি নাই,অনেক অপ্রাসংগিক বিষয় নিয়েও কচকচ করে ফেললাম। ভাল থাকুন সামিয়া।
আপনি প্রথম মন্তব্যের যেকোন অংশ আপনার ব্লগে শেয়ার করতে পারেন। এরকম হা-পিত্যেষ করা হতাশাময় মন্তব্য কোথাও শেয়ার করে যদি আপনি অন্যদের মাঝে নতুন করে আশার আলো জাগাতে পারেন, সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন তাহলে তো ভীষণ ভীষণ ভাল হয়। আমাদের সবার জন্যই।
কী ভয়াবহ দূর্ঘটনা!!
রাতে চটজলদি শুয়ে পড়েছিলাম, ঘুম ভাঙার পর দুঃসংবাদটা শুনে সকাল থেকে এ চ্যানেল থেকে ও চ্যানেল ঘোরাঘুরি...
সর্বশেষ খবর ছিলো ১১৩ জনের প্রাণহানি আর দুশতাধিক আহত।
কেমন অসহায় লাগে নিজেকে!
এমন অসহায় নির্মম মৃত্যু আর কতো, আর কতোকাল ধরে দেখতে হবে???
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________ "আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আগুনের ভয়াবহতা আমার ভালই দেখা আছে। একবার রাত দু'টার সময় উঠে দেখি বাড়ির চারদিকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আশেপাশে কিছু ফার্নিচারের দোকান ছিল সেগুলো থেকেই লেগে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় আধকিলোমিটার এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। শুধুমাত্র ফায়ার ব্রীগেডের কল্যানে সেদিন বাড়ির জিনিষপত্র বাঁচাতে পেরেছিলাম।
কালকের ঘটনা দেখে বুঝলাম পর্যাপ্ত চওড়া রাস্তা না থাকার কারনে ফায়ার ব্রীগেডের গাড়ি ঢুকতে পারেনি। এভাবে মৃত্যুকূপগুলো না বানালেই কি নয়?
২৪ | লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ৪:০২অপরাহ্ন)
আগুন লেগেছে শুনেছি, কিন্তু ভয়াবহতার ব্যাপারটা টের পেতে সময় লেগেছিল টিভি না দেখাতে।
রাত একটার দিকে অনলাইনে ছিলাম হঠাৎ খেয়াল করলাম ফ্লিকারে "বাড্ডায় আগুন লাগার সময় তোলা" আমার একটা ছবিতে ২/৩ ঘন্টায় কয়েকশ হিট পড়ছে যেখানে গত তিন বছরে সেই ছবি ১০জন দেখেছে কীনা সন্দেহ! সূত্র খুঁজে দেখলাম গুগলে "dhaka inferno" সার্চ দিলে ছবিটা আসে। সাথে সাথেই আন্দাজ করলাম পুরোনো ঢাকার ভয়াবহতার, নিশ্চয়ই প্রবাসিরা জানতে চাইছে সর্বশেষ সংবাদ।
আমরা এ ধরণের মৃত্যু আর হউক চাইনা, এই অনিশ্চয়তা চাইনা, একদিন হঠাৎ করেই আমি আপনি যে কেউ খবর হয়ে যেতে পারি।
...........................
Every Picture Tells a Story
এসব আর সহ্য হচ্ছে না।
অপরিকল্পিত নগরায়ন আর সাথে দূর্নীতি সব আমাদের আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে।
মাশুল গুনছে শুধু নিরীহ জনগন।
টিভি চ্যানেলগুলোর রিপোর্টিং এ ভয়াবহ দৃশ্য এত বার দেখাচ্ছে যে মনে হচ্ছে কোথাও পালিয়ে যাই।
একটা অগ্নিকান্ডে যদি এত ধ্বংসযজ্ঞ হয় তবে ভূমিকম্পে কী হবে ভাবতে গেলে কোন কূল-কিনারা পাই না।
সামিয়ার সাথে এক মত। অন্যকে দোষ দিবো কিনতু নিজে বাড়ি করার সময় ষোল আনা নিজেরটা বুঝবো। সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো খুব জরুরি।
এই শহরে এখনো যে খবর হই নাই সেটাই আশচর্য !
মন্তব্য
এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭২।
এই শহরটা দিনে দিনে অপয়া হয়ে যাচ্ছে ... ... ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
মন খুব খারাপ ভাই। খুব অস্থির লাগছে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এটিএন বাংলার খবর অনুযায়ী ৮১জন ... অপরিকল্পিত নগরায়ন আর কত জীবন কেড়ে নেবে ... আমাদের বিবেকের ঘুম কবে ভাংবে???
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
গুরু, বিস্তারিত কন, কেমনে কি হইল?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনারে আওয়াজ দেওয়ার পরেই দেখি আন্তর্জালে বিস্তারিত খবর বাইর হইছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শুনলাম লাইভ টেলিকাস্ট হচ্ছে টিভিতে। চ্যানেলগুলো আর কোনো তামাশা খুঁজে পায় না বোধ হয়। তাই পোড়া লাশ দেখাতে হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এইখানেই শেষ হবে না, এরপরে আবার মানুষ পিডিএফ আর পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বানায় বিলি করবে, যেমনটা করেছিল বিডিআরে মৃত সেনাবাহিনী সদস্যদের নিয়ে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভয়ে চ্যানেল পাল্টাইনাই। এইসব দেখতে আর ভাল্লাগেনা...
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বেগুনবাড়ির দুঃখের রেশ না কাটতেই নতুন দুর্ঘটনা। মনটা খারাপ হয়ে গেল।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রাতে খেতে বসে এই সব খবর দেখে আবার বন্ধু পরিচিতজনদেরকে খবর দিতে হয়... কী আজব অবস্থায় বাস করছি, অথচ মোকাবেলা করা, প্রতিরোধ করার ব্যাপারে আগ্রহ কর্তৃপক্ষের কত কম!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নজরুল ভাই.........আমরা শাহবাগে আড্ডা দিচ্ছিলাম। বৃস্টির ঠিক পর পরই.. এমনকি বোধ হয় তখনো গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো। হঠাৎ পুরা আকাশের লাল হয়ে যাওয়া দেথেই বুঝতে পারছিলাম কোথাও আগুন লাগছে। তবে আমরা ভাবছিলাম বঙ্গ বাজারে আগুন লেগেছে। ভয়ঙ্কর লাল আকাশটা যে ততক্ষণে অনেকগুলো মানুষকে খায়া ফেলেছে বুঝতেই পারি নাই। কযেক মিনিটের জন্য আকাশটা যে কেমন ভয়ঙ্কর লাল হয়া উঠছিলো...
অভদ্র মানুষ
বেগুনবাড়ির দূর্ঘটনায় সবাই দুঃখিত... কিন্তু চেনাজানা মানুষেরা কিন্তু বহুদিন যাবৎই বেগুনবাড়ি খালের ওপর বস্তিতে কোন একটা দূর্ঘটনা ঘটবো ভেবেই অপেক্ষা করছিলো।
অভদ্র মানুষ
ঢাকা শহর যে কী বিরাট এক মনুষ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে, তা এই এক অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি দেখলে কিছুটা আন্দাজ করা যায়। আল্লাহ্ মাফ করুক, যদি রিখটার স্কেলে ৮-এর বেশী মাত্রার ভূমিকম্প হয়, আর সাথে আফটারমাথ হিসেবে অগ্নিকাণ্ড যোগ হয়, ওহ্, আমি কল্পনাও করতে পারি না!
মন খুব খারাপ হয়ে গেল। প্রার্থনা আর সমবেদনা ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারি এখন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
এমনিতেই দেশের বাইরে থাকি। তার উপর আবার দেশের এসব খারাপ খবর শুনলে মন আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়
- মুক্ত বিহঙ্গ
মনটা ভীষণ খারাপ। বেগুনবাড়ির দূর্ঘটনার পরপরই আবার আরেকটা। দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না। দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহর। এরপর আবারো হয়তো শুনবো আরেকটা দূর্ঘটনার খবর...এমনকি আমি, আমরা নিজেরা কেউও খবরের উপাদান হয়ে যেতে পারি। মনটা ভীষণ খারাপ।
১১১ জনের মৃত্যু, আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে একদিনের জাতীয় শোক দিবস।
এই দেশটা আসলেই অপয়া। এদেশে মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু রোজকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আজ বাড়িধ্বসে মানুষ মরে তো, কাল ঘুমন্ত ড্রাইভারের গাফিলতিতে, পরশু আগুনে পুড়ে মরে তো... তরশু লঞ্চডুবে নয়তো ভূমিধ্বসে। মানুষের জীবন এতো সস্তা! কার কাছে এ প্রশ্ন করব আর কে এর উত্তর দিবে এটাও জানি না।
ভয়ংকর অপয়া এদেশ, তারচেয়েও অপয়া এদেশের অসহায় মানুষগুলো।
দৃশা
অপয়া বলে দেশটাকে গালি দেয়া কেন, যেখানে আমরা নিজেরাই অপয়া বানিয়ে রেখেছি। প্রশ্নগুলো অপরের কাছে না করে নিজের কাছেই করা উচিৎ, তাতে জবাবটা মিলবে ভাল।
বাড়ি তৈরির সময় আমি যদি এক ইঞ্চি জায়গা না ছাড়ি, নিয়ম না মেনে ইলেক্ট্রিক আর গ্যাসের লাইন বসাই, নিয়ম না মেনে রেসিডেন্সিয়াল জমি ভাড়া দেই ইন্ড্রাস্ট্রিকে, পয়সা বাঁচানোর জন্য বাড়ির স্ট্রাকচার কমিয়ে ফেলি, তবে আমার জীবনটাকে আমি ছাড়া আর কে সস্তা করলো? এর জন্য সরকার দায়ী? না রাজউক? নাকি আমি নিজে?
আপনার কমেন্টের কিছু অংশ আমার ব্লগে আমি শেয়ার করলাম। যদি অমত থাকে, জানিয়ে দেবেন, সরিয়ে ফেলব।
অপয়া শব্দটা শুনতে আপনার যেমন ভাল লাগেনি, নিশ্চিত থাকতে পারুন সেটি প্রয়োগ করতে গিয়ে আমারও ভাল লাগেনি। কিন্তু আমরা অপয়া, কারণ আমরা জেনেও না জানার ভান করি, দেখেও দেখি নাই, শুনেও শুনি নাই ভাব করে চলছি জীবনের প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে। যে দেশের মানুষ অপয়া সে দেশ তো অপয়া বটেই, এখানে অপয়া শব্দখানি কুসংস্কারের বাহক হিসাবে ব্যবহৃত হয়নি সামিয়া। অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য সরকার যেমন দায়ী ঠিক আমরাও ততখানি দায়ী।
আর যে প্রশ্ন করার অংশটা উল্লেখ করলেন সেটা আসলে নিদারুন ক্ষোভ আর গ্লানি থেকে করা। আমার অক্ষমতার একধরণের বহিঃপ্রকাশ, যার ফলস্বরুপ বলেছি 'মানুষের জীবন এতো সস্তা!'। তবুও মন্তব্যটি আপনাকে আঘাত করেছে বুঝতে পারছি, এরজন্য আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত।
সামিয়া আপনার ব্লগ কোথায় বা কি জানি না। আমার মন্তব্য কি প্রয়োজনে কোথায় ব্যবহার করেছেন তাও জানি না। তাই আমার আপত্তি করার আগে অনুমতির বিষয়টা আগে আসে। শেয়ার করার আগে যদি অনুমতিটা নিতেন তাহলে এ বিষয়ে আপত্তি করার বা না করার প্রশ্নটা আসতো। শেয়ার করার পর বলছেন এখন সরিয়ে ফেলা না ফেলার কথাটাই অবান্তর।
দৃশা
শেয়ার করিনি, আপনার অনুমতিরই অপেক্ষা করছিলাম। আমার ব্লগের ঠিকানা দেয়া উচিৎ ছিল, ভুলে গেছি বলে দুঃখিত। নিচে দিয়ে দিলাম।
অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য সরকার যতটুকু দায়ী, তারচেয়ে অনেক অনেক বেশী দায়ী আমরাই। আর আঘাত পাওয়ার কথা আসছে কেন, দেশ আমার যতটুকু, আপনারও তো ততটুকুই। গ্লানি আর ক্ষোভ নিয়ে আর কতদিন চলব বলুন? তারচেয়ে এসব ঝেড়ে ফেলে এখন আমাদের জীবনটাকে একটু দামী বানাই আসেন। অক্ষম কিন্তু আমরা না। আমাদের নিজের ক্ষেত্রে যদি নিয়ম গু্লো মেনে চলি তাতেই চলবে।
আর আমার কমেন্টটা পড়ে দেখলাম বেশ অফেন্সিভ মনে হচ্ছে। দুঃখিত। আমি সবাইকে বলতে চেয়েছিলাম আমার জীবনের জন্য প্রশ্নটা আমার নিজেকেই করা উচিৎ, সরকারের মুখ চেয়ে আর কদ্দিন?
http://www.cadetcollegeblog.com/samjhang
আপনার সাথে আংশিকভাবে একমত। দায় আমাদের আছে বৈকি, যেহেতু এই দেশের নাগরিক, এই দেশেই বসবাস এর ভাল মন্দ সবকিছুর দায় আমাদের উপরও আসে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ছিল একজন যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন করা। যেটা করতে আমরা বার বার ব্যর্থ হয়েছি, অপশনের অভাবে নতুবা অপশন ব্যবহার না করার কারণে। গণসচেতনতা সৃষ্টি করার দায়ভার সবার আগে সরকারের উপর বর্তায়, আর সেটা সঠিকভাবে পালন করার দায়ভার আমার আপনার সবার উপর।ধরুন আপনিও সচেতন, আমিও সচেতন। এই ব্লগে যারা আছেন, আপনাদের ক্যাডেটকলেজ ব্লগে যারা আছেন তারাও সচেতন যার দরুন আজকে আমরা সবাই নিরাপদ স্থানে বসে এভাবে মতামত চালাচালি করতে পারছি। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের জীবন মূল্যবান, তাই নিজেদের এবং নিজের কাছের মানুষের জীবন রক্ষার্থে আমরা যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করি। রাজউকে ঘুষ না খাইয়ে নিজেদের বরাদ্দকৃত জায়গায় বাড়ি বানাই, ২ টা বাড়ির মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড দূরত্ব রাখি, আলটপকা রাস্তার জায়গা মেরে দিয়ে নিজের উঠোন প্রশস্ত করি না, মানসম্মত উপাদান দিয়ে ভূমিকম্প নিরোধক বাড়ি বানাই, আবাসিক এলাকায় বিপদজনক জিনিস নিয়ে অফিস খুলি না, আবাসিক এলাকাকে কর্পোরেট পাড়া বানাতে বাধা দিই, মাতব্বরী করে নিজের খেয়ালখুশি মত ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন তৈরি করি না, যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে রাস্তা ভরি না, ঠিক সময়ে পানির বিল গ্যাসের বিল বিদ্যুত বিল টেলিফোন বিল সবই দেই আদৌপে সুবিধাগুলো পেলাম কি পেলাম না পরের কথা, করও ফাঁকি দেই না, ট্রাফিক আইন মেনে চলি, আমাদের অধীনস্থ গাড়িচালকদেরও মানতে বাধ্য করি, তাদের লাইসেন্স বৈধ কি না সে বিষয়েও আমরা অবগত, প্রয়োজনে ফ্লাইওভার ব্যবহার করি, বাড়ি থেকে ট্রান্সফর্মার(যদিও ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ এই দুর্ঘটনার হেতু না বলা হচ্ছে, তবে বিষয়টা বিপদজনকতো বটেই) কতখানি দূরে সেদিকেও নজর আছে, সর্বোপরি যতখানি সাবধান হলে নিজের মূল্যবান জীবনটুকুকে মূল্যায়ন করা সম্ভব ততখানি আমরা সচেতন। কিন্তু আমি আপনি আর এই আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ সচেতন হলেই তো বেগুনবাড়ি, নিমতলী, শান্তিনগরসহ আরো হাজারটা দুর্ঘটনা এড়াতে পারছি না।
কতিপয় অসৎ লোভী মানুষের কর্মফল ভোগ করছে বাকী সব নিরীহ মানুষ। এদের শাস্তির ব্যবস্থা করে সরকার কি কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে যা দেখে অন্য কেউ একই অন্যায় করা থেকে বিরত থাকবে? সঠিক আইন প্রয়োগ করা কি হচ্ছে? আমাদের আইন ব্যবস্থা এবং তার প্রয়োগ এতো ধীরগতির আর দুর্বল কেন? কোন সচেতন নাগরিক যদি আইনি পথে আগাতে যায় তবে তার বিচার পেতে লাগে একযুগ, কিংবা বিচার পায়ই নাই। ভূমিদস্যুরা কোটিপতি হচ্ছে, আর মাডস্লাইডের শিকার হচ্ছে নিরীহ গরীবরা। বনদস্যুদের কারণে জঙ্গল হচ্ছে বিরানভূমি, তামাক চাষের কারণে বনকে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে, অসুস্থ হচ্ছে গ্রামবাসী, হারাচ্ছে গবাদি পশু, পুকুরের মাছ মরছে, পানি দূষিত হচ্ছে। আর এসবের শিকার হচ্ছে নিরীহ মানুষগুলা যারা আর কিছু না জমিতে ধান চাষ করে বেঁচে থাকতে চায় কিন্তু পায় না সুযোগ। শহরের ভিতর বিডিআর দপ্তর, ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গাড়ি চলাচলে তুমুল কড়াকড়ি, অথচ অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতে অবাধ বেশামা্ল ভারী পরিবহন চলাচল, ফলাফল নিরীহ কিন্তু সচেতন আপনার আমার মত শিক্ষার্থীদের অকাল মৃত্যু। আমাদের দেশে আইন আছে মেলা, কিন্তু তার প্রয়োগ নাই ছোট থকে বড় কোন জায়গাতেই। এর মূল কারণ মানুষের অসচেতনতা, না কি আইন প্রণয়নকারীদের নিষ্ক্রিয়তা? যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করলে মানুষ মানে না আবার কি করে। সরকার মানে এক বিশাল ক্ষমতাধর পরিবার, অথচ এর রন্ধ্রে রন্ধ্রেই বিশাল বিশাল ফুটো। দুর্নিতী দমন কমিশনেই চলে বিশাল দুর্নিতীযজ্ঞ।
ঢাকায় প্রতিমাসে বলে ১ লক্ষ মানুষ প্রবেশ করে, ছেড়েও যায় হয়তো কিছু। এরা আসে কেন নিজ জায়গা ছেড়ে? বেশীরভাগই আসে হয়তো খানিকটা খেয়েপড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে, কেউ কেউ আসেন আরো একটু ভাল চাকরি কিংবা ভাল সুবিধা পাওয়ার আশায়, তার মানে তার নিজের জায়গায় সেই সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। তা না হলে নিজের জায়গা ছেড়ে আসার দরকারটা কি? অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলে বস্তি, এই সুযোগে এক শ্রেনীর মানুষ একটা বাড়ির কাঁধের উপর তৈরি করছে যেনতেনভাবে আর একটা বাড়ি। প্রয়োজনের কাছে হার মানে তখন আমজনতার সচেতনতা। সচেতন হওয়ার দরকার আগে সরকারপক্ষের, মানুষের প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তাগুলো মেটানোর দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে তাদেরকে, তাদেরকে বুঝতে হবে প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। আমাদের সচেতনতার অভাব আছে অনেক কথা সত্যি, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুলতাটাও মারাত্মক। এরজন্য আমরা যতটা দায়ী, তার চেয়েও অনেক বেশী দায়ী সরকার আর কিছু স্বার্থান্বেষী পিশাচ। প্রতিটা জিনিসই ইন্টারকানেক্টেড, একটা ঠিক হলে আর একটা ঠিক হয়ে যাবে এটাই বিশ্বাস করি।
বেশ কিছু ক্যাম্পেনে অংশগ্রহন করেছি, খেটেছি ভাল কিছু একটা হউক এই আশায়, সফল হতে গিয়েও হতে পারিনি হাজারটা বাধার কাছে, অভিজ্ঞতা ভীষণ তিক্ত। তাই এই অসহনীয় বিপর্যয় দেখলে ক্ষোভ আর গ্লানি চলে আসে আপসেই। ভাবতে না চাইলেও অক্ষমতার অনুভূতি পীড়া দেয়। সেটা নিজের প্রান কত মূল্যবান কিংবা সস্তা তা ভেবে না, বরং একের পর এক ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের তীব্রতা দেখে, নিজের সীমাবদ্ধতার কথা ভেবে। আপনার মন্তব্যে অফেন্ডেড হয়নি। আপনি আপনার চিন্তাভাবনা নিজের অবস্থান থেকে প্রকাশ করেছেন। বরং খুশি হয়েছি দেখে আপনি এভাবে ভাবছেন। এতো বড় মন্তব্য ফেঁদে বসেছি বুঝতে পারি নাই,অনেক অপ্রাসংগিক বিষয় নিয়েও কচকচ করে ফেললাম। ভাল থাকুন সামিয়া।
আপনি প্রথম মন্তব্যের যেকোন অংশ আপনার ব্লগে শেয়ার করতে পারেন। এরকম হা-পিত্যেষ করা হতাশাময় মন্তব্য কোথাও শেয়ার করে যদি আপনি অন্যদের মাঝে নতুন করে আশার আলো জাগাতে পারেন, সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন তাহলে তো ভীষণ ভীষণ ভাল হয়। আমাদের সবার জন্যই।
দৃশা
কী ভয়াবহ দূর্ঘটনা!!
রাতে চটজলদি শুয়ে পড়েছিলাম, ঘুম ভাঙার পর দুঃসংবাদটা শুনে সকাল থেকে এ চ্যানেল থেকে ও চ্যানেল ঘোরাঘুরি...
সর্বশেষ খবর ছিলো ১১৩ জনের প্রাণহানি আর দুশতাধিক আহত।
কেমন অসহায় লাগে নিজেকে!
এমন অসহায় নির্মম মৃত্যু আর কতো, আর কতোকাল ধরে দেখতে হবে???
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আগুনের ভয়াবহতা আমার ভালই দেখা আছে। একবার রাত দু'টার সময় উঠে দেখি বাড়ির চারদিকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আশেপাশে কিছু ফার্নিচারের দোকান ছিল সেগুলো থেকেই লেগে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় আধকিলোমিটার এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। শুধুমাত্র ফায়ার ব্রীগেডের কল্যানে সেদিন বাড়ির জিনিষপত্র বাঁচাতে পেরেছিলাম।
কালকের ঘটনা দেখে বুঝলাম পর্যাপ্ত চওড়া রাস্তা না থাকার কারনে ফায়ার ব্রীগেডের গাড়ি ঢুকতে পারেনি। এভাবে মৃত্যুকূপগুলো না বানালেই কি নয়?
১১২ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।(শ্রদ্ধা)
সত্যিই দুঃখজনক।কি যে হইল কয়দিন পর পরই দুর্ঘটনা......
আগুন লেগেছে শুনেছি, কিন্তু ভয়াবহতার ব্যাপারটা টের পেতে সময় লেগেছিল টিভি না দেখাতে।
রাত একটার দিকে অনলাইনে ছিলাম হঠাৎ খেয়াল করলাম ফ্লিকারে "বাড্ডায় আগুন লাগার সময় তোলা" আমার একটা ছবিতে ২/৩ ঘন্টায় কয়েকশ হিট পড়ছে যেখানে গত তিন বছরে সেই ছবি ১০জন দেখেছে কীনা সন্দেহ! সূত্র খুঁজে দেখলাম গুগলে "dhaka inferno" সার্চ দিলে ছবিটা আসে। সাথে সাথেই আন্দাজ করলাম পুরোনো ঢাকার ভয়াবহতার, নিশ্চয়ই প্রবাসিরা জানতে চাইছে সর্বশেষ সংবাদ।
আমরা এ ধরণের মৃত্যু আর হউক চাইনা, এই অনিশ্চয়তা চাইনা, একদিন হঠাৎ করেই আমি আপনি যে কেউ খবর হয়ে যেতে পারি।
...........................
Every Picture Tells a Story
কিছুই বলার নেই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বেগুনবাড়িতে এবার হেলে পড়লো সাত তলা একটি বাড়ি। হয়তো ধ্বসেও পড়বে।
এই নগরে বসে বসে আমরা ব্লগাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এসব আর সহ্য হচ্ছে না।
অপরিকল্পিত নগরায়ন আর সাথে দূর্নীতি সব আমাদের আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে।
মাশুল গুনছে শুধু নিরীহ জনগন।
টিভি চ্যানেলগুলোর রিপোর্টিং এ ভয়াবহ দৃশ্য এত বার দেখাচ্ছে যে মনে হচ্ছে কোথাও পালিয়ে যাই।
একটা অগ্নিকান্ডে যদি এত ধ্বংসযজ্ঞ হয় তবে ভূমিকম্পে কী হবে ভাবতে গেলে কোন কূল-কিনারা পাই না।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সামিয়ার সাথে এক মত। অন্যকে দোষ দিবো কিনতু নিজে বাড়ি করার সময় ষোল আনা নিজেরটা বুঝবো। সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো খুব জরুরি।
এই শহরে এখনো যে খবর হই নাই সেটাই আশচর্য !
নতুন মন্তব্য করুন