সকালে প্রথম আলোতে পেলাম এক সুখবর। মুহূর্তের জন্য মনটা আনন্দে ভরে উঠলো।
সব উপজেলায় গণগ্রন্থাগার করা হবে
এ বি এম আনোয়ারুল হকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় গণগ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে সরকার এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। এ পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে দেশের ১৫৪টি উপজেলায় গণগ্রন্থাগার স্থাপনের কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে।
একটু ঘাঁটতেই দেখলাম সুখবরের ছড়াছড়ি। প্রথম আলোতেই দুমাস আগে ছাপা হয়েছে প্রতিটা ইউনিয়নে পাঠাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সঙ্গে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আর মাদ্রাসায় পাঠাগার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না। দুমাস আগে যেখানে সবগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঠাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন সেটা উপজেলা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে? নাকি পাঠাগার আর গণগ্রন্থাগার আলাদা জিনিস?
বর্তমানে দেশের সবগুলো জেলায় সরকারী গণগ্রন্থাগার আছে। জিয়া সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো থানা পর্যায়ে গণগ্রন্থাগার স্থাপনের। অনেক টাকা ব্যায় করে অবকাঠামোও তৈরি করেছিলো বলে জানা যায়। রীতিমতো টেন্ডার আহ্বান করে বই কিনে পাঠানোও হয়েছিলো শুনেছি। কিন্তু সেগুলোর এখন অস্তিত্ব নাই।
এই সরকার উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঠাগার গ্রন্থাগার গড়ে তুলুক। অভিনন্দন। কিন্তু তার আগে দেখে নেওয়া প্রয়োজন জেলা গণগ্রন্থাগারগুলোর কী হাল? দেশের সবগুলো জেলায় একটা করে গণগ্রন্থাগার আছে বর্তমানে।
জেলা পরিষদগুলোর তথ্য জানার জন্য ওয়েব সাইট আছে। গ্রন্থাগারগুলোর হালখবর জানতে ঢুঁ দিলাম সেখানে। কিন্তু বেশিরভাগেই কোনো তথ্য পেলাম না তেমন। কয়েকটাতে লাইব্রীয়ানের ছবি আর মোবাইল নম্বর দিয়েই খালাস। সবচেয়ে বেশি তথ্য চোখে পড়লো ভাষা সৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা সরকারি গণগ্রন্থাগার (পূর্বনাম: জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, শরীয়তপুর)
তবে জেলা গণগ্রন্থাগারগুলোর সবচেয়ে ভালো চিত্রটি সম্ভবত পাওয়া যাবে সাপ্তাহিক ২০০০ এর এই রিপোর্টটিতে
সব উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয়। কিন্তু পাঠাগারগুলো পাঠকের প্রয়োজনে না ব্যবহৃত হয়ে আমলাদের বার্ষিক দূর্ণীতির নতুন খাত হয়ে গেলে সেই উদ্যোগ নিন্দনীয়ই বটে।
সরকারী টাকায় বই কেনা একটা বড় বাণিজ্য। আমলা, প্রকাশক আর লেখকের একটি চক্র বছরের পর বছর ধরে এই বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। জেলা গণগ্রন্থাগারগুলোর জন্য বই কেনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি। নতুন যে গ্রন্থাগারগুলো গড়ে উঠছে সেগুলোর বই কেনার দায়িত্বও নিশ্চিতভাবে এই কমিটির উপরই থাকবে।
এর পাশাপাশি সারাদেশের স্কুল কলেজগুলোর পাঠাগারের জন্য বই কেনার একটা উদ্যোগ আওয়ামী লীগের গত টার্মে চালু হয়েছিলো, সেই বই কিনতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো এক কমিটি। এই প্রকল্পটি সম্ভবত এখন স্থগিত আছে [সম্পূর্ণ নিশ্চিত না]।
এই সরকারী কমিটিগুলোর বই কেনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রভাব বলয়ে থেকে। এই সমিতির সদস্য প্রকাশকরা নিজেদের বই তালিকায় রাখতে অধিকাংশ সময়ই চলতি সরকারের মহান নেতাকে নিয়ে বই ফাঁদে। 'জাতির পিতা শেখ মুজিব' কিংবা 'স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া' টাইপ বই ছাপা হয় প্রচুর পরিমাণে। এগুলো লেখার জন্য দেশে ভূঁইফোঁড় লেখক আছেন। যাদের নামটাও আপনি শোনেননি কোনোদিন কিন্তু তাদের বই বিক্রি হয় হাজারে হাজারে। আর সঙ্গে থাকে নিম্নমানের এবং ভুল তথ্য সম্বলিত জীবনী গ্রন্থ। আর থাকে ধর্মীয় বই। পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির করা তালিকা চলে যায় মন্ত্রণালয়ে। সেই মতো বই কেনা হয়। এর মাঝখানে থাকে বিশাল লেনদেন। শুধু সরকারী টাকায় বিক্রির জন্যই বাংলা বাজারের প্রকাশকরা বিশেষ কিছু বই ছাপেন। যা অতীব নিম্নমানের কিন্তু উচ্চমূল্যের।
এই তালিকা হওয়ার কথা বইয়ের মান দেখে, কিন্তু তা হয় না। সমিতির সদস্য প্রকাশক সবাইকে খুশি রাখার তাড়না থাকে। অমুক প্রকাশনীর ৫টা বই তালিকায় থাকলে তমুক প্রকাশনীরও ৫টা বই তালিকায় থাকতে হবে। এদিক সেদিক হলেই মারডালা। এই নিয়ে গিয়াঞ্জামও কম হয় নাই। সেই গিয়াঞ্জামের ফলে প্রক্রিয়াটার উন্নয়ন হয় নাই, অবনয়ন হইছে। এক প্রকাশকের কাছ থেকে এত টাকার বেশি বই নেওয়া যাবে না, এক লেখকের এতটার বেশি বই নেওয়া যাবে না। বাহ্, কী সুন্দর ভাগ বাটোয়ারা! বই যে বই দেখে কেনার জিনিস, ভিতরের মাল মশল্লা দেখে কেনার জিনিস তা কে মনে করায়ে দিবে? আর এই নিয়মে কোটি কোটি টাকার বই কেনার চেয়ে না কেনাই কি ভালো না?
উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঠাগার তৈরি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক পাঠাগার তৈরি... এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাই দ্বিতিয়বার ভাবার প্রয়োজন। পাঠাগারটি করা হোক পাঠকের জন্য, আমলা আর বাংলাবাজারীয় প্রকাশকদের বাণিজ্যের জন্য না। "আমরা ক্ষমতায় থাকাকালে সারাদেশে পাঠাগার বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছি" এরকম বুলিবাজীর জন্যও পাঠাগার গড়ার নামে শত শত কোটি টাকা খরচের প্রয়োজন দেখি না। উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঠাগার গড়ার আগে জেলা গণগ্রন্থাগারগুলোকে আগে জীবিত করা জরুরী। বই কেনায় স্বচ্ছতা আনা জরুরী। আমলাতন্ত্র আর বেনিয়া প্রকাশকের কবলমুক্ত করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী।
আমাদের কোনো জাতীয় গ্রন্থনীতি নাই। খালেদা জিয়া সরকার ৯৪ সালে গ্রন্থনীতি ঘোষণা করলো, কিন্তু বাস্তবায়ন নাই। ৯৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন নতুন গ্রন্থনীতির। কিন্তু সেটা হলো না। ফখরুদ্দিন সরকারও নয়া গ্রন্থনীতির ঘোষণা দিলো, কিন্তু করলো না। এই সরকার আবার বলছে গ্রন্থনীতির কথা। আগে একটা ভালো গ্রন্থনীতি তৈরি এবং তার বাস্তবায়ন জরুরী।
সারাদেশে বই এবং পাঠকের সেবায় কাজ করে যাওয়ার জন্য ১৯৮৪ সালে গঠন করা হয় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। এই সংস্থাটিকে একরকম নিষ্ক্রিয় আর নির্জীব বলা যায়। সারাদেশে বই, প্রকাশক, পাঠকের কোনো কাজে এই সংস্থা কোনোদিন লাগছে বলে দাবী করা যাবে না। অথচ কথা ছিলো তারা জেলা পর্যায়ের গ্রন্থাগারগুলোকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বই পড়া আন্দোলন শুরু করে দেবে। সারাদেশে বইমেলা করবে। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। ডিসেম্বরে ঢাকা বইমেলা নামে অদরকারী একটা মেলার আয়োজন ছাড়া। ঢাকা বইমেলা ডিসেম্বরে না করে জুন জুলাইয়ের দিকে করলেই ব্যাপক একটা পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করে সবাই, কিন্তু জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র তাতে উৎসাহ দেখায় না।
আমরাও স্বপ্ন দেখি সারাদেশে ছড়িয়ে যাক পাঠাগার আন্দোলন। প্রতিটা ইউনিয়নে সমৃদ্ধ একটি করে পাঠাগার থাকুক। যেই পাঠাগারকে ঘিরে স্বপ্ন দেখে বেড়ে উঠবে পরবর্তী প্রজন্ম। বিশ্বের সেরা বইগুলো আর টিফিনের পয়সা জমিয়ে বা বাবার পকেট কেটে কিনে পড়তে হবে না, সরকারী পাঠাগারে গেলেই পড়া যাবে। বই নিয়ে তর্ক করা যাবে, আনন্দ করা যাবে। পাঠাগারকে ঘিরে তৈরি হবে সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসব। আমরাও স্বপ্ন দেখি।
স্পেনে নাকি অনেক বছর ধরেই চল আছে ২৩ এপ্রিল প্রেমিকা তার প্রেমিককে ফুল নয় বই উপহার দেয়। আমরা স্বপ্ন দেখি আমাদেরও একদিন "বই উপহার দিবস" থাকবে। ভ্যালেন্টাইন দিবস থেকে শুরু করে আমাদের বারোমাসে তেরশ পার্বণ। কেন আমরা একটি বই উপহার দিবস করতে পারি না?
আজকে সকালে পত্রিকার সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম [সম্ভবত] খবরটি পড়ে খুব খুব আনন্দ হয়েছিলো, কিন্তু তারপরেই বিষাদে ছেয়ে গেছে মনটা।
মাননীয় তথ্যমন্ত্রী, উপজেলায় উপজেলায় পাঠাগার তৈরি করার আগে একবার অন্তত উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন, পাঠাগারটি কার জন্য বানাতে চাইছেন।
মন্তব্য
আপনাকে ঢাকায় গেলে ডিম ভাজি আর ভাত রান্না করে খাওয়াবো। কসম।
আমি প্রস্তাব করছি, এই দিনটি হোক জুলাই মাসের প্রথম সোমবার।
আর এই পোস্টের লিঙ্ক চলুন সবাই মিলে স্প্যামাই। ফেসবুকে, ব্লগে, টুইটারে।
সচলায়তন থেকেই আমরা এই "বই উপহার দিবস" চর্চা শুরু করতে পারি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- দিলি তো আমার প্ল্যানের বারোটা বাজায়ে। আচ্ছা, থাউক। তুই ডিম ভাজি আর ভাতই রান্ধিস, আমি ডাইল রান্ধুম নি। আমাদের পলান সরকার নজু ভাইকে কেবল এই লেখাটার জন্যই অতীব কষ্ট স্বীকার করে আমি ডাইল রান্না করে খাওয়াতে রাজী আছি। ঈমানে কইলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জুলাই মাসের প্রথম সোমবার হওয়ার কি কোনো স্পেসিফিক কারন আছে, নাকি একটা দিন বেছে নেয়া মাত্র ?
একেবারেই ড়্যাণ্ডম একটা দিন বেছে নেয়া। বছরের মাঝামাঝি বই নিয়ে কোনো উদ্যোগ-উৎসব নাই, জুলাই সেদিক দিয়ে ভালো সময়।
শুক্কুর বা শনিবার প্রস্তাব দেন। নাইলে অন্যান্য দিনগুলার মত অফিসের কাঁচের দেয়ালে উঁকি দিয়েই দিনটা কাটাইতে হবে।
শরৎ বা হেমন্তের প্রথম দিবসটি হলে কেমন হয়?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাহলে নজরুল ভাই, আসেন শুরু করে দেই। এই জিনিসটার প্রচারণা চলুক আগামী দেড় মাস। আমরা সেপ্টেম্বর ১কে বই উপহার দিবস বানাই। প্রত্যেকে অন্তত একজনকে একটা বই উপহার দেবো। কেমন হয়?
হিমু ভাই,
শরতের প্রথম দিনটাই হোক না?
এমনি আমরা পহেলা বৈশাখ, ফাল্গুন, নবান্ন উৎসব পালন করি। এই দিবস পালন হলে শরতের একটা উৎসব হবে। বাংলা তারিখ মনে না থাক্লেও ঋতু গুলো মনে থাকবে।
এক্টা শ্লোগান ও মাথায় চলে আস্লো, অবশ্যই চোথাবাজি...
শরতের প্রথম দিন
প্রিয়জন কে বই দিন
(আমি অপরাজিতা থেকে রিক্তা নাম ধারন করলাম, আরেকজনের সাথে কনফ্লিক্ট করছিলো)
হেমন্তের প্রথম দিনের পক্ষে ভোট দিলাম।
আর ইয়ে, স্পেনীয় প্রেমিকরা প্রেমিকাদেরকে কি ঐদিনও ফুলই দিতে থাকে নাকি তারাও বই-ই দেয়? আমার দাবি রাখলাম যেন আমাদের 'বই দিবসে' বই-ই দেয় মনে করে! আর পারলে ঐ ভ্যা-দিবসটাতেও।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নজ্রুলিস্লাম অন ফায়ার দেখা যায়।
বই উপহার দিবস -একটা ভালো আইডিয়া।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
২০১০ এ এসে পাঠাগার করাটা খুবই বোকামী হবে। তারচেয়ে সরকারী এফোর্ট দরকার বইগুলো ডিজিটাইজেশনে। তারপর প্রতি থানায় এই বইগুলো পড়ার জন্য এবং ইন্টারনেট থেকে অন্যান্য লাইব্রেরীর বই পড়ার জন্য থাকা দরকার কম্পিউটার। এটা এক লাফে আরো অনেকদূর আগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এখন থেকে এমন নিয়ম তো অন্তত হতে পারে যে প্রকাশক বই একই সঙ্গে দুই মাধ্যমে প্রকাশ করবেন এখন থেকে, কাগজে আর ইন্টারনেটে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উপজেলা পর্যায়ে চাকরীর অভিজ্ঞতা আমার দীর্ঘ দিনের। আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের মাঠপ্রশাসনটা আমলাদের মোয়া খাওয়ার গামলা। উপজেলায় টিএনও, জেলায় ডিসি--এরা ছাওপোনাসহ তালুকদার। এর সঙ্গে আছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। সোনায় সোহাগা। লুটপাটের ক্ষেত্রে এ বলে আমায় দেখ--ও বলে আমায় দেখ।
উপজেলাগুলোতে লাইব্রেরীর নামে কয়েকটি আলমারী আছে। বইও আছে। অতি নগন্য সংখ্যক। ওনাদের লেখা। অথবা টেন্ডারে কেনা। এখন ওগুলো স্টোর রুম।
এ প্রকল্পের ভবিষ্যত হল--প্রধানমন্ত্রীর ড্রাইভারও এবার লেখক হবেন। আমলাদের গামলা ভারী হবে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
এই অচলাবস্থার অবসান করতে হবে। নইলে পাঠক, লেখক, প্রকাশক সবারই ক্ষতি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- গণগ্রন্থাগারের জন্য বইয়ের তালিকা তৈরী ও মান যাচাইয়ে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রকে কেনো দায়িত্ব দেয়া হবে না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচী একটা চমৎকার আয়োজন। সারাদেশে লাখ লাখ ছাত্র ছাত্রী বই পড়ছে। পুরো কাজটা করছে কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরা। কী চমৎকার আয়োজন।
আমার ছাত্র জীবনের পকেট খরচ উঠতো কেন্দ্রের এই বই পড়া কর্মসূচীতে পার্টটাইম কামলা দিয়ে।
এই সিস্টেমটা দেখে সরকার শিখলো না।
আর বই কেনার দায়িত্ব বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্ররে দিলে টাকা মারবে কে? বাংলাবাজার আর আমলাবাজারের কী হবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার লেখা । লণ্ডনে আইডিয়া স্টোর (http://www.ideastore.co.uk/) বলে স্থানীয় সরকার পরিচালিত লাইব্রেরীগুলো খুব ভালো সে বা দেয় ।
বই পড়ার পাশাপাশি তারা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দেয় স্বল্পমুল্যে। তাছাড়া, শিক্ষা এবং বিনোদনমূলক সিডি ও পাওয়া যায় আইডিয়া স্টোরে ।
কিশোর ও যুবাদের জন্য বিভিন্ন কোর্সেরও আয়োজন করে তারা।
সরকার কি এরকম কিছু চিন্তা করতে পারেনা ?
একটি ভালো লেখার জন্য লেখককে আবারো ধন্যবাদ।
ওলি
সরকারী কোনো পাঠাগারে এই চিত্র আপাতত কল্পনাতেও আনতে পারছি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আশা করছি পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি গ্রামে গণগ্রন্থাগার চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
তার পরের সরকার কি প্রত্যেক ঘরে ঘরে গণগ্রন্থাগার করবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'বই উপহার দিবস' ব্যাপারটা চালু করা গেলে দারুণ হয়! আমার মনে হয়, উপহার হিসেবে বই পেতে অধিকাংশ মানুষই আগ্রহবোধ করবেন। ব্যাপক খাটুনীমূলক পোষ্টটির জন্য নজরুল ভাইয়াকে ধন্যবাদ।
উহু, শুধু বই উপহার পাওয়ার আগ্রহ থাকলে হবে না, দেওয়ার আগ্রহটাও থাকতে হবে।
দেবে আর নেবে, মেলাবে মিলিবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই উপহার দিবস চাই
ভাল বিশ্লেষণ। "বই উপহার দিবস" - ভাল আইডিয়া। হুজুগ-প্রিয় আমরা হয়ত কিছুটা বইয়ের ব্যাপারে ভাবব।
সরকার থেকে আমি বড় সমস্যা দেখি 'বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির'। তারা হয়ত ডিশ মালিক সমিতি বা সিএনজি অটো রিক্সা সমিতি মত সমিতি গুলো থেকে শিখতে পারে 'সমিতি' শিল্পের জন্য কী করতে পারে।
এই সমিতিটারে সাইজ করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হইতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই উপহার দিবস একটি দূর্দান্ত আইডিয়া। ঠিক মতো প্রচার করতে পারলে এই দিবসটি দাঁড়িয়ে যাবে।
আমরা আমরাই শুরু করে দেই... যা থাকে কপালে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই উপহার দিবস একটা দারুণ আইডিয়া।
গ্রন্থাগার যত বেশি হয় ততই ভালো।
শাহাবাগে একটা জাতীয় গ্রন্থাগার আছে। ওখানে যাওয়া হতো নিয়মিত। এত এত প্রকল্পের আগে জাতীয় গ্রন্থাগারটাই আগে একটু সমৃদ্ধ করে দেখাক কেউ।
তবে এবার যেহেতু গ্রন্থাগার করার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। আমরা এ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি। ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি করতে চাইবেই, এবং করবেও হয়তো। কিন্তু সচতেনতা সৃষ্টি করে এর কালো ছাপ লঘু করা সম্ভব।
যে কোনো মূল্যেই গ্রন্থাগার আমরা চাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বই ক্রয় কমিটি থেকে আমলাদের বাদ দিতে হবে। আব্দুল্লাহ্ আবু সায়্যীদ, হায়াত মামুদ, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এদের নিয়ে একটা কমিটি করুক। সেই কমিটি বই কিনবে। তাহলেই চলবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এ যাবত সরকারী ব্যয়ে ক্রীত বইগুলোর তালিকা সময় ধরে কি কোনোভাবে বের করা যায়? এটা একটা খুবই ইন্টারেস্টিং জিনিস হতে পারে।
মনে হয় না পাওয়া যাবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই উপহার দিবস জোশ আইডিয়া।
পক্ষে আছি!
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
থাইকেন, আমরা আমরাই শুরু করবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই উপহার দিবস চালু করা যেতে পারে। অন্তত এই উদ্দেশ্যে যদি কিছু ভাল ভাল বই পড়া হয়ে যায় তাহলে চমতকার হয়।
গ্রাস-রুট লেভেলে পাঠাগার অতি দরকারি একটা জিনিষ। সব রকম দুর্ণীতিকে পাশ কাটিয়ে যদি এর বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে দু-তিন দশক পরেই আমরা সুফল পেতে শুরু করব।
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাল লেখা। তথ্যমন্ত্রীর কথায় তেমন আশাবাদী হতে পারলাম না। শাহবাগের জাতীয় গ্রন্থাগারটাই উন্নত করে দেখাক না। তবে, সব ইউনিয়নে পাঠাগার থাকবে, পাঠাগারে ভাল মানের বই থাকবে, ছেলেমেয়েরা স্কুল, কলেজ শেষে পাঠাগারে বই পড়বে, বই ধার নেবে, পাঠাগার কেন্দ্রিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক উৎসব হবে, বই নিয়ে নানান রকম তর্ক বিতর্ক হবে......এই স্বপ্ন সত্যি সত্যি বাস্তবায়িত হবে এমন লোভ তো হয়ই।
সরকার কেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কেন্দ্রিক উদ্যোগ দেখে কিছু শিখে না বুঝিনা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের আইডিয়া এককথায় দারুণ । আমি নিজেই ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের সদস্য ছিলাম কয়েক বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের সামনে আসতো খুব সম্ভবত বুধবার বিকালে, ঠিক মনে নেই। একটানা কয়েক বছর অনেক ভাল ভাল পড়া হয়েছে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের দৌলতে। এইরকম কিছু আরো বড় আকারে কি সরকার করতে পারে না?
বই উপহার দিবস - ভালো আইডিয়া। কিন্তু কতটুকু লাভ হবে বুঝতে পারছিনা। তবে এটা ঠিক এত এত দিবস থাকলে এই চমৎকার ব্যাপারটা নিয়ে একটা দিবস থাকবে না ই বা কেন। ঠিক ওই দিনটার আগে বই বিক্রি কিছু বাড়বে কিন্তু বই পড়ার অভ্যাসটা আগে তৈরী করা জরুরী। এ ব্যাপারে আমার নিজের অভিজ্ঞতা তেমন ভাল না। যে বইটা উপহার দিলাম সেটা কয়েক পাতা পড়ে রেখে দিলে বা না পড়ে সাজিয়ে রাখলে কেমন লাগে! আসলে একেবারে ছোট থেকেই যদি গল্প করে করে বা খেলতে খেলতে বা গল্প পড়ে শুনিয়ে, বয়স উপযোগী বই উপহার দিয়ে, বইটা পড়ে ফেলার উৎসাহ দিয়ে বা যে কোনো ভাবেই হোক না কেন বই পড়ার অভ্যাস, আগ্রহ, ইচ্ছা যদি গড়ে তোলা যায় তাহলে খুব ভাল হয়। বই পড়ার আগ্রহটাই না থাকলে সব মাঠে মারা যাবে। আমি চেষ্টায় আছি, ভাইবোনদের পিচ্চিগুলার কম্পিউটারে গেম আর টিভি নির্ভরতা কমিয়ে বই নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলার। দেখি কতদূর কী করতে পারি।
কথা দেখি থামাতে পারছিনা। শেষ কথা হলো এই, বই উপহার দিবসের সাথে আছি। একটা তারিখ ঠিক করেন। আমি নিজে তো পালন করবোই, আমার আশেপাশের সবাই যেন অন্তত এই দিনে বই কিনে, বই উপহার দেয় বা বই পড়ে এই উৎসাহ দেব।
সরকারের আমলারা যেহেতু সায়্যীদ স্যারের চেয়ে কোনো অংশে কম জ্ঞানী না, তাই তারা শিখতে রাজীও না।
বছরে একটা দিন বই নিয়ে মেতে থাকি, সমস্যা কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব খুব ভালো একটা ধারণা।
হিমু ভাইয়ের কথা মতো প্রচারণা শুরু করা যেত পারে আগামী ১-২ মাস।
নজরুল ভাই, লেখাটা খুবই ভালো লাগছে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ধন্যবাদ পলাশ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সব পর্যায়ে গ্রন্থাগার কিন্তু একটা ভাল উদ্যোগ, যদি বই ক্রয়ের ব্যাপারটা আর গ্রন্থাগারের পরিচালনা দুর্নীতিমুক্ত রাখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে নীতিমালা থাকলেই শুধু চলবে না, আমাদের যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা তা হল বাস্তবায়ন, সেটা শক্তভাবে করতে হবে, আর তার জন্যে প্রতিটা গ্রন্থাগারের নিজস্ব প্রশাসনকেও হতে হবে সক্রিয়।
বই উপহার দিবস আইডিয়া খুব ভাল। আমি নিজে এই একটা জিনিস ছাড়া অন্য কোন ভাল উপহার কিনতে পারি না, আর চেষ্টাও করি না। কিন্তু তবুও বছরের একটি দিন আমি আবার নতুন করে শুধু বইই সানন্দে উপহার দিতে আগ্রহী আমার ছোট-বড় পরিচিতজনদেরকে। দিনটি নির্ধারণের পরে সচলায়তনে স্টিকি পোস্ট, অনলাইন নোট, দাওয়াত এসব দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সূচণা করবার অনুরোধ রইল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গ্রন্থাগার যদি সরকার ঘরে ঘরেও করে দেয়, তাতে আমি সবচেয়ে খুশি হতে রাজী। কিন্তু যেসব বই কেনা হয় গ্রন্থাগারের জন্য, সেগুলা আমারে ফ্রি দিলেও ঘরে ররাখতে রাজী না।
উপহার হিসেবে বইয়ের আসলেই তুলনা নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই উপহার দিবস এর সাথে আছি। একটা ফেসবুক ইভেন্ট তৈরি করে প্রচারণা শুরু করে দিন। ঢোল পিটাবার কাজটা আগ্রহের সাথে নিলাম।
আরেকটা পোস্ট দিছি দেখেন। তারিখটা ঠিক করে তারপর সবাই মিলে প্রচারণায় ঝাপিয়েঁ পড়ি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিশ্ব বই দিবস নামে একটা দিবস আছে ইউনেস্কো পালন করে আসছে ২৩ এপ্রিল ১৯৯৫ সাল থেকে। কিন্তু বাংলাদেশে ওই দিবসটা পালিত হয় কিনা জানি না।
বই দিবসের আইডিয়াটা ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে দিন হিসেবে ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ভাল সময় না। ঝড় গরমের দিন। আরো কম গরমের সময় হওয়া উচিত। বিশেষ করে হেমন্ত কিংবা বসন্ত।
কে একজন বলেছেন, সেই বই উপহার দিবস প্রস্তাবটা পছন্দ হলো। প্রিয়জনকে ফুল নয়, বই দিন। বিয়ের সময় উপহারে কাচের টুকরো নয়, এক খন্ড বই উপহার দিন। যৌতুক নিলে মাঝারি সাইজের বুকশেলফ নিন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
২৩ এপ্রিল এদেশে পালিত হয় খুব ক্ষুদ্র আকারে। কিন্তু বই উপহার দিবস হিসেবে এটা আসলেই মানানসই না। অন্য তারিখ হোক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ইসলামকে অশেষ ধন্যবাদ। বই দিবসের প্রচলন করলে খুব ভালো হয়।
সরকার যেমন বেস্ট প্র্যাকটিস, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা, মানবসম্পদের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা দেখায় না তেমনি সচলায়তনেরও যাতে ভুল না হয় সেজন্য সদস্যদের মধ্যে ব্রেইনস্টর্মিং-এর আয়োজন করতে হবে।
কী নিয়ে ব্রেইনস্টর্মিং?
সবকিছু নিয়ে...
কোন তারিখে? প্রস্তাবকরা নিজেদের যুক্তি দেবেন...
ই-বুকের ক্ষেত্রে কি হবে? সেরকম হস্তান্তরকে কীভাবে দেখা হবে?
শুধু বই? নাকি বইয়ের সাথে দেয়া যেতে পারে ফুল বা চকোলেট বা মৌসুমী ফল। নাকি আয়োডিনযুক্ত লবণ?
প্রচারণাটা কীভাবে শুরু হবে...
প্রথম দিবস পালনের উৎসবটা কোথায় পালন করা হবে? কীভাবে? কতটা ঘটা করে? কাদের আমন্ত্রণ করা হবে?
আর কোনো প্রশ্নবোধক চিহ্ন উল্রেখ করতে চাই না... খোলা মনে বিষয়টা নিয়ে ভেবে যার যা মনে আসে....
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
স্যার, আপনিই দুয়েকটা পরামর্শ দিয়ে ফেলেন না... তাহলেই তো বেশি ভালো হয় আরো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই উপহার দিবসের আইডিয়াটা খুবই চমৎকার। ধরুন এমন একটা ক্যাম্পেইন যে, প্রতিবছর ঐদিন আপনি তিনজন বা পাঁচজন বা সাতজনকে বই উপহার দেবেন (বিজোড় সংখ্যাটা ব্যাপারটাকে একটা রিচুয়ালিস্টিক ইমেজ দেবার জন্য প্রস্তাব করলাম )।
তো, আমাদের জন্য খুব ভালো একটা উপলক্ষ আছে। সেটা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ। এদিন সবাই বের হয়, উৎসবে মাতে, অনেকের সাথে আপনার দেখা হয়, উপহার দেয়া নেয়াটা অনেক সহজ। এদিনটি হতে পারে বই উপহারের মাধ্যমে পছন্দের ছেলেমেয়েদের পরস্পরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের প্রথম ধাপ; হতে পারে প্রেমিক-প্রেমিকার পরস্পরকে মেসেজ দেয়া যে আমি এমন ধরনের চিন্তাভাবনা পছন্দ করি। অথবা হতে পারে কম জানা ঘাড়ত্যাড়া কোন বন্ধুকে নতুন এক জগতের সাথে পরিচিত করে দেবার প্রয়াস।
আর তাছাড়া বৈশাখের "বৈ" এর সাথে "বই"য়ের উচ্চারণেও মিল আছে। স্লোগানটা খারাপ হয়না, "বৈশাখে দিন বই উপহার।"
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
পহেলা বৈশাখের কাঁধে এমনিতেই অনেক দায় চেপে গেছে। নতুন করে বই উপহার দিবস চাপাতে গেলে খুজেঁই পাওয়া যাবে না। এটাকে আরেকটু ছিমছাম রাখলে মনে হয় মন্দ হবে না।
আর কয়জনকে উপহার দেওয়া হবে সেরকমটা নিয়ম বাধার দরকার কী? যার যতো খুশি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঈদ উপলক্ষে বন্ধু-বান্ধবীদেরকে যেমন কার্ড গিফট দেয়া হয়, সেভাবে কি পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কোন গিফট দেয়ার রীতি চালু আছে? একদম রিসেন্ট ট্রেন্ড (গত একদু'বছরের) জানিনা, তবে কিছুদিন আগেও সেরকম উপহার দেয়ার চল ছিলোনা।
কয়জনকে উপহার দেবার নিয়ম বাঁধার দরকার নেই, তবে এই ধরনের রিচুয়ালিস্টিক স্পেসিফিকেশন সবাইকে অংশগ্রহনে উদ্বুদ্ধ করে। যেমন সংখ্যার নির্দিষ্টতা থাকলে একজন যত দ্রুত ভিজুয়ালাইজেশন করবে যে "এবছর একে, তাকে,ওকে বই দেবো", উন্মুক্ত রেখে দিলে সেটা হবার চান্স কম।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন