গত পোস্টে বই উপহার দিবসের দাবী তুলেছিলাম। সবার সাড়া পেয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছি। আমরাই শুরু করে দিতে পারি। বছরের একটি তারিখ ঠিক করে আমরা আমাদের প্রিয়জনের উপহার হিসেবে বই দেই। ঈদে আমরা প্রিয়জনদের অনেক টাকা খরচ করে জামাকাপড় কিনে দিতে পারলে, ভ্যালেন্টাইন দিবসে এত্ত এত্ত উপহার কিনে দিতে পারলে, জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীতে উপহার দিতে পারলে একটি দিন কেন শুধু বই উপহার দিতে পারবো না। আশা করতে পারবো না আমার প্রিয়জন আমাকে বই উপহার দেবে?
চলুন আমরা সচলায়তন থেকে এই চর্চা শুরু করে প্রিয় এবং পরিচিতজনদের উদ্বুদ্ধ করতে থাকি। সবার আগে প্রয়োজন একটি তারিখ নির্ধারণ।
১) ইউনেস্কো ঘোষিত একটি দিবস আছে, 'বিশ্ব বই দিবস'। ২৩ এপ্রিল তারিখে পালিত হয়। এদিনটিকে আমরা গ্রহণ করতে পারি।
২) আমাদের বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ, পহেলা বসন্তে উপহার দেওয়ার রীতি আছে। সীমিত হলেও বর্ষাতেও আছে। কিন্তু শরতে বা হেমন্তে কিছু নেই। আমরা পহেলা শরৎ বা পহেলা বসন্তকে বাছাই করতে পারি 'বই উপহার দিবস' উপলক্ষ্যে
৩) হিমু প্রস্তাব করেছেন ১ সেপ্টেম্বর তারিখটি
৪) জ্বিনের বাদশা প্রস্তাব দিয়েছেন পহেলা বৈশাখ তারিখটি
এখন আমরা সবাই মিলে ভোটাভুটি করে একটা তারিখ ঠিক করতে পারি। কারো ভিন্ন তারিখ প্রস্তাব থাকলে মন্তব্যের ঘরে জানাতে পারেন।
মন্তব্য
প্রস্তাবিত তারিখের বাইরে কোন একটা তারিখ বলতেই প্রথমেই মাথায় আসলো ১৪ই ডিসেম্বরের কথা। এই দিনে আমাদের জাতিকে পিছিয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা করা হয়েছিল, অনেকটা যেন তার প্রতিবাদ হিসেবেই এইদিনটিকে আমরা বেছে নিতে পারি।
দিবসটি পহেলা শরৎ হলে বেশ হয়।
ধন্যবাদ,নজরুল ভাই, এরকম সুন্দর একটা প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য।
সুমিমা ইয়াসমিন
১.
পহেলা ভাদ্র হচ্ছে ষোলোই অগাস্ট। ধারেকাছে পনেরোই অগাস্ট থাকার কারণে এই দিনটি পালনে রাজনৈতিক ক্যাচাকেচি হবার সম্ভাবনা আছে।
পহেলা সেপ্টেম্বর প্রস্তাব করার পেছনে আমার যুক্তিটা হচ্ছে এমন, এতে করে আমরা একটা যৌক্তিক পিরিয়ড ধরে প্রচার চালিয়ে আইডিয়াটা প্রয়োগ করতে পারবো। হাতে দেড় মাস সময় থাকবে। ফেব্রুয়ারির পর ছয় মাস সময় কেটে যাবে, তাই পহেলা সেপ্টেম্বরকে ঘিরে একটা ছোটোখাটো বই উৎসব সারাদেশে বিকেন্দ্রীভূত অবস্থায় পালন করা যাবে [একুশে বইমেলা একান্তই ঢাকাকেন্দ্রিক]।
অন্যদিকে আমরা যদি এপ্রিলের কথা ভাবি, এই আইডিয়া প্রয়োগ করতে আমাদের আরো দশমাস অপেক্ষা করতে হবে। অভিজ্ঞতা থেকে বলি, এই দশমাসে আমাদের ঝোল শুকিয়ে যাবে। কাজেই তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই কয়েকটা রুটি সেঁকে ফেলি আসুন।
২.
বই উপহার কোনো নিরস ঘটনা নয়। আমরা যেমন সাজগোজ করি, বইকেও সাজগোজ করানো যায়। উপহার দেয়া বইয়ের মোড়ক নিয়ে একটা রীতিমতো প্রতিযোগিতা হতে পারে বলে আমি মনে করি। ফ্যাশন ডিজাইনের মতো মোড়ক ডিজাইনও একটা প্রতিশ্রুতিশীল খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। আমি নিশ্চিত, ফ্লিকার থেকে এমবেড করা মোড়কের ছবি দিয়ে অন্তত একটা কাঁপানো-পোস্ট সচলে দেখা যাবে।
বই উপহার দিবস আমাদের লেখকদের জন্যেও একটা মেসেজ পৌঁছানোর দিন হতে পারে। বরাহ-আলবদরদের পত্রিকার কাছে আত্মা বিক্রি করা লেখক নামের কলঙ্কদের সেদিন গণবয়কট করার একটা সুযোগ আবারও আমাদের সামনে আসতে পারে। এই দিনটিকে সামনে রেখে আমরা অবহেলার অন্ধকার থেকে মনোযোগের আলোয় তুলে আনতে পারি বিস্মৃতি সাহিত্যিক আর গবেষকদের, থোড়-বড়ি-খাড়া-লিখে-তাড়া-তাড়াদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিতে পারি।
বই উপহার দিবস হোক স্মৃতিচারণের আর প্রতিশ্রুতির। শৈশবের শিক্ষকের বাড়ির দরজায় মোড়কে মোড়া বই হাতে হাজির হোক একদা-কিশোর ছাত্র, পুরনো প্রেমিকার বাড়ির ঠিকানায় গিয়ে হাজির হোক পুরনো প্রেমিকের পাঠানো বই, যে শিশুটি চায়ের ফ্লাস্ক আর কাপ হাতে ঘর্মাক্ত উৎকণ্ঠিত মুখ নিয়ে জনে জনে ফেরে, তার হাতে সেদিন তুলে দেয়া হোক সুকুমারের সমগ্র শিশু সাহিত্য। বাড়ি ফিরে চার্জার আর হারিকেনের আলোয় তরুণ তরুণীরা রূদ্ধশ্বাসে ভেদ করুক প্রিয়জনের দেয়া মোড়কের রহস্য।
৩.
পিৎজা আর কোল্ডড্রিঙ্কস গু-মুত-উদগার হয়ে বেরিয়ে যাবে, ফুল শুকিয়ে পঁচে শেষ হয়ে যাবে, বই রয়ে যাবে বহু বছর। বহু বছর পর মলাট ওল্টালেও এর প্রথম পাতায় গুটি গুটি হরফে লিখে রাখা ভালোবাসার হরফগুলো পাঠযোগ্য থাকবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আহা ..
ভাই আপনে ওয়ান পিস।
ভোট দিলাম ১লা সেপ্টেম্বরের পক্ষে।
সেইরাম কথা।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
- দোস্ত, পহেলা সেপ্টেম্বর তো অনেক দূর, আরেকটু আগে দেখ।
হাউ আবাউট, আগস্ট। ১২-ই আগস্ট। ধর এইদিন যার/যাদের জন্মদিন থাকবে তাকে/তাদের আমরা সবাই মিলে বই উপহার দিবো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার বাপ আর খালাতো বোন তাহলে বহুত বই পাবে।
জম্মদিন?
একদিন পিছিয়ে ১৩ আগস্ট দেন।
নজরুল ভাইয়ের গত পোষ্টে 'বই উপহার দিবসের' কথা জেনে চমৎকৃত হয়েছিলাম। সেটা বাস্তবায়নের তোড়জোড় দেখে খুশিতে আটখানা হলাম!
পহেলা শরৎ বা হেমন্তের প্রতি দুর্বলতা জমা দিলাম। তবে হেমন্ত হলে সবচে খুশি হই। আমাদের সবার মাঝে উৎসাহ কোমড়বেঁধে লেগে পড়ুক দিবসটিকে সফল করতে.....শুভ কামনা রইল।
অবশেষে বই কিনে দেউলিয়া হবার সম্ভব হবে . পয়লা হেমন্ততে লক করলাম।
- এক ফেব্রুয়ারি থেকে আরেক ফেব্রুয়ারি, বই নিয়ে মাতামাতি হয় না আমাদের দেশে। সংক্ষিপ্ত একটা মাসে আমরা বই নিয়ে পাগলে হয়ে যাই অথচ বাকি এগারোটা মাস আমাদের খবর থাকে না। ভালো হয় এক ফেব্রুয়ারি থেকে আরেক ফেব্রুয়ারি'র মধ্যখানে কোনো একটা মাস নির্ধারণ করলে।
সেপ্টেম্বর হতে পারে, যেমনটা হিমু বললো। কিন্তু এখানে আমি একটু আশাবাদী হয়ে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করতে চাই। আমি ধরে নিচ্ছি এই বই উপহার দিবসটি একসময় ব্যাপক সচেতনতা পাবে। এবং এমনও হয়তো হবে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে, উপলক্ষ করে একটি বই মেলার আয়োজন হবে সারা দেশ ব্যাপী। তখন যে সমস্যাটা তৈরী হবে তা হবে লেখক ও প্রকাশক ভিত্তিক। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি— সময় খুব স্বল্প, এই অজুহাতে লেখক বা প্রকাশকেরা তাঁদের তুলনামূলক ভালো বইগুলো তুলে রাখবেন ফেব্রুয়ারির বইমেলার জন্য। বই উপহার দিবসের মেলাটা তখন কেবল পোশাকি একটা মেলাতেই পরিণত হয়ে থাকবে।
বই উপহার দিবসকে কেন্দ্র করে বইমেলা হবেই, এমনটা বলছি না। কিন্তু যদি হয়-ই কোনোদিন, সেটা আড়ম্বরপূর্ণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদিন ক্ষণটাকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে আসা যায়, জুন-জুলাই বা আগস্টের প্রথম দিকে, তাহলে বছরের মাঝামাঝি সময়ে বই নিয়ে একটা উপলক্ষ তৈরী হয়। পাশাপাশি এই সময়ে কোনো বইমেলা হলেও লেখক ও প্রকাশকেরা হাতে পর্যাপ্ত সময় পাবেন আরেকটি বইয়ের কাজে হাত দেয়ার জন্য। অন্তত পরের একুশে বইমেলার জন্য এই মেলাটি বর্ণহীন হয়ে যাবে না।
আর বাংলা তারিখ ধরে বই উপহার দিবস প্রচলন করলে একটা লাভ হলো বাংলা তারিখ নিয়ে সচেতনতা বাড়বে। কিন্তু দিবসটি জনপ্রিয়তা পাবে না কেবল তারিখটি অগোচরে থাকার কারণে। আমাদের দেশে পহেলা বৈশাখ কবে এটা জিজ্ঞেস করলে মোটামুটি সবারই উত্তর হবে "১৪ এপ্রিল"। এই ব্যাপারটা খুব খিয়াল রাখতে হবে। আমরা দিন-তারিখ হিসেবে পহেলা বৈশাখকে চিনি ১৪ এপ্রিল হিসেবে, পহেলা বৈশাখ হিসেবে কিন্তু না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রস্তাবটা অসাধারণ। এই ধরণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য নজরুক ভাইয়ের প্রতি অনেক কৃতঞ্জতা।
শরতের প্রথম দিন আসতে আর এক মাসেরও কম সময় আছে। এই সময়ের ভিতরে এই ধরনের একটি নতুন প্রকল্প দাড় করানো যাবে কিনা নিশ্চিত না। কিন্তু হেমন্তের পয়লা দিন আসতে প্রায় তিন মাস হাতে পাওয়া যাবে। তিন মাস যথেষ্ঠ সময় প্রচারণার মাধ্যমে এই দিনটিকে মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এই সময়টা খুব দ্রতও না, আবার এতে তেমন দেরিও হয় না।
হেমন্তের আরেকটা গুরুত্ব আছে। হেমন্ত হল গ্রাম বাংলার অতি আকাঙ্খিত ধান কাটার মৌসুম। পয়লা দিনেই পালিত হয় নবান্ন উৎসব। এছাড়া হেমন্ত হল আমাদের দেশে গরম থেকে ঠান্ডা আবহাওয়া পরিবর্তনের একটা ট্রানজিশন পিরয়ড। তাই আমার পছন্দ হেমন্তের প্রথম দিন পয়লা কার্তিক।
অনন্ত
১ লা সেপ্টেম্বর ভোট দিলাম।
শরতের প্রথম দিন হলেই ভাল লাগতো, এইটা সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ে।বই কেনার অজুহাত যত দ্রুত পাওয়া যায় ততই ভাল। আমি আবার উপহার দেওয়ার আগেই বইটা পড়ে নেই কিনা
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
২৩ এপ্রিল। আমার জন্মদিন পড়ে বইলা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এখানে দুই ধরনের মডেলের চিন্তা করা যেতে পারে। একটা হলো "বই উপহার দিবস" নামে একটা "দিবসে"র প্রচলন, যেটা অনেকটা আমলাতান্ত্রিক। এটা উদ্দেশ্য হলে পহেলা বৈশাখ কার্যকরী না, কারণ এর অন্য একটা পরিচয় অলরেডীআছে। তবে অনেস্টলি স্পিকিং, খুব কনসেনট্রেটেড মিডিয়া সাপোর্ট না পেলে এই এ্যাপ্রোচে সাফল্যের চান্স খুবই কম। ব্লগমন্ডল আর ফেসবুক-মন্ডলে আটকে যাবার চান্স খুব বেশী। কারণ কাজটা খুবই টাফ, আপনাকে একটা নতুন দিনকে উৎসবের "দিবস" হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
আরেকটা মডেল হলো দিবস টিবসের চেয়েও একটা প্রচলিত "দিবস"কে বেছে নিয়ে "এইদিনে সবাই প্রিয়জনকে বই উপহার দিচ্ছে" এমন একটা ট্রেন্ডের বা কমন নলেজের প্রবর্তন, যেটা অনেকটাই বাণিজ্যিক। এজন্য আপনাকে একটা প্রচলিত দিবসের উপর সওয়ার হতে হবে বলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য যদি হয় মানুষকে দিয়ে বই উপহার দেয়ানোর একটা উপলক্ষ সৃষ্টি, তাহলে এই বাণিজ্যিক এ্যাপ্রোচটা বেশী কার্যকরী বলে আমি মনে করি। কারণ সবাই অলরেডী এতে কোন না কোনভাবে অংশ নিচ্ছেই।
আমার ধারণা ছিলো পহেলা বৈশাখে পরস্পরকে গিফট দেয়ার তেমন একটা চল নেই। সেজন্যই প্রস্তাবটা, পহেলা বৈশাখ আমাদের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক সিম্বল, আর সংস্কৃতির সাথে বইয়ের চেয়ে মানানসই গিফট আর কি হতে পারে?
তবে উপরে দেখলাম একজন "শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস"কে প্রস্তাব করেছেন, এই দিনটিও আরেকটি অপশন হতে পারে। তবে দিনটির ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উপহার দেয়ার বিষয়টি অনেকে খারাপ চোখে দেখতে পারেন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দারুণ
আমার পছন্দ পহেলা হেমন্ত!
কিন্তু সরকার যেন এই দিবস পালন না করে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
সরকারী উদ্যোগে কোন দিবস পালন মানে - সাদা টিশার্ট পরে মাথায় কাগজের টুপি লাগিয়ে দুই সারি সং মারা মানুষ পিলপিল করে রোবটের মতো হেঁটে যাচ্ছে সদর রাস্তা দিয়ে। দেখতে খুব বিরক্তি লাগে। বাধানো ফরমেট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না কর্তাবাবুরা! সরকার বরং জেলখানা কয়েদীদের সেদিন বই পরিবেশন করতে পারে।
আমরা কি করতে পারি বলি এবার। বই উপহার দিবসে আমরা বিশেষ বিশেষ প্রিয় মানুষদের বই কিনে দিতে পারি। যাদের বই দেবার সামর্থ্য নাই, তার বই ধার দিতে পারি, যাদের বই কেনার সামর্থ্য নাই তারা বই ধার চাইতে পারি। এই দিনে বই ধার দেয়া বাধ্যতামূলক করা যায়।
অট- আমি নজু ভাইকে অগ্রিম বুকিং দিলাম বই ধার নিতে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এই বিষয়টায় প্রকাশকদের নিয়ে আসা উচিত না?
আমি যে কোন ঝামেলা হীন দিনের পক্ষে। তবে টা হওয়া উচিত যথাযথ আলোচনার মাধ্যমে। ঝামেলা বলতে (যেমন ১৪ এপ্রিল হলে বই নিয়ে উৎসবটা যথেষ্ট জমজমাট হবে না)
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
বাঙালীকে বই উপহার দিবসের হুজুগে মাতায় দিতে হইলে বানিজ্যিকীকরণই ভালো উপায়।
**আগস্টের প্রথম রবিবার 'বন্ধুত্ব দিবস", এইদিনে হুজুগে ফ্রেইন্ডশিপ ব্যান্ড বান্ধার থেকে বই দেয়া উৎসাহিত করা যায়। পোলাপান অলরেডি বন্ধুত্ব দিবসের হুজুগ ধরে ফেলছে, তার সাথে বই উপহারের কালচার ঢুকিয়ে দিতে পারলে 'বই উপহার দিবস' চালু করাটা সহজ হবে। কিন্তু দিনটা কি বেশি তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে?
(কেউ আমার সত্যিকারের বন্ধু হইলে এইবার বন্ধুত্ব দিবসে বই গিফট করিও। )
-শিশিরকণা-
(amihimi@gmail.com)
বাংলাবাজারের প্রকাশনাগুলোকে হয়তো এখন আনা যাবে না, কিন্তু শাহবাগ ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে চাইলে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। দিনটি চালু হয়ে গেলে প্রথমে ছোট আকারে একটি বই মেলাও হয়তো আয়োজন করা যাবে ঢাকায়। অন্তত চেষ্টা করবো।
পত্রিকাগুলোতেও প্রচারণার চেষ্টা করবো।
এখন প্রধান কাজ তারিখটা ফাইনাল করে ফেলা। তারপর প্রচার। পোস্টার ছাপিয়ে সারা ঢাকায় বিতরণ করবো। ব্লগে ফেসবুকে টুইটারে প্রচার তো চলবেই। এছাড়া পোস্টার ছাপিয়ে অন্তত ঢাকার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাভার করা যাবে। সেই প্রভাতে একটা র্যালি করাও খুব কঠিন কিছু হবে না।
এই আয়োজনগুলো করা যাবে আশা করি। তারিখটা ফাইনাল করা তাই জরুরী এখন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরেকটা সম্ভাবনা হইতে পারে একুশে ফেব্রুয়ারী। বই মেলা চলতেছে এই সময় এই রকম একটা দিবসে করলে বই মেলা একটা একস্ট্রা বুস্ট পাবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দারুণ আইডিয়া কোনো সন্দেহ নেই। এই নিয়ে যে যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি পড়লাম তাও অসাধারণ। তবে আমাদের ভাবতে হবে দীর্ঘ মেয়াদের কথা চিন্তা করে। এখন হয়তো নতুন একটা দিন কল্কে পেল না তাই বলে কি তা পরে কখনো পাবে না? নতুন একটা দিনই তা হওয়া উচিৎ এবং বই মেলার বাইরে কোনো সময়। ঝড় বৃষ্টি হয় না বেশি গরম থাকে না এমন সময় হতে হবে সেটাকে। ১ সেপ্টেম্বর হতে পারে। ধন্যবাদ।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
দারুন আইডিয়া তো!
আমার পছন্দ হেমন্তের প্রথমদিন। ১৪/১৫ অক্টোবর, চমৎকার আবহাওয়া... ঝকঝকে দিন।......
আমার হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম শুক্রবার বা শনিবার হলেই ভালো। ছুটির দিন (অধিকাংশের-ই) হওয়াতে সামনাসামনি বই দেয়া সম্ভব। নয়তো ট্রাফিকের কারনে পুরো সময়টাই রাস্তায় কাটাতে হতে পারে, তারওপর অফিসগামীরা অফিস শেষ করে এটাকে একটা পেইন ছাড়া আর কিছু মনে করবে বলে মনে হয় না।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমাদের বইয়ের বিকিকিনি মূলত একুশে বইমেলা ভিত্তিক। প্রকাশকেরা বই মেলা উপলক্ষ্যে বই ছাপান, লেখকেরা লেখেন। বছরের বাকি সময়টুকু বইয়ের ব্যাপারে আমরা উদাসীন।
সে হিসাবে সেপ্টেম্বরে "বই উপহার দিবস" চালু হলে মন্দ হয় না। তবে সেপ্টেম্বরের পয়লা তারিখের পরিবর্তে প্রথম ছুটির দিনটিতে হলে ভাল হয়। এমনিতেই কেউ কাম-কাজ করতে চায় না। তাছাড়া ছুটির দিন হলে সপরিবারে উদযাপন করার মত উপলক্ষ্য তৈরি হবার সুযোগ থাকে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
বর্ষার একটা দিন হলে ভালো হয়। সারাদিন ঝমঝম রৃষ্টি। এর মধ্যে ঘরে বন্দী হয়ে সারাদিন কাঁথা গায়ে শুয়ে শুয়ে বই পড়া। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষার সেই রূপ আর নেই। তবুও আষাঢ়স্য প্রথম দিবস হতে পারে বই দিবস বা বই উপহার দিবস।
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
চমৎকার আইডিয়া। সম্পূর্ণ একমত
দিনটা সেপ্টম্বরের দিকে হতে পারে। কোনো একটা বাংলা তারিখ ধরে
আবার সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তার কোনো একটা বারেও হতে পারে (সিমনের প্রস্তাবের মতো)
তবে কোনোভাবেই অন্য কোনো দিবসের সাথে নয়। আলাদা এক্টা দিন
০২
বই উপহার দিবসের চেয়ে আমি প্রস্তাব করছি 'বই বিনিময় দিবস'
এই দিন বই উপহারের সাথে সাথে বিনিময়ও করা হবে। একজন আরেকজনকে বই দেবে। এক্ষেত্রে নতুন বই দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। নিজের স্টক থেকে দশ বিশটা পড়া বই দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে দশ বিশটা না পড়া বই জোগাড় করবে লোকজন
যদি এ উপলক্ষে কোনো উৎসব কিংবা মেলা হয় তাহলে প্রত্যেকে নিজের বাড়ি থেকে কয়েকটা পড়া বই মেলায় নিয়ে গিয়ে অন্যদের কাছ থেকে বিনিময় করে আরো কয়েকটা বই নিয়ে আসতে পারবে
পাশাপাশি বই উপহারের বিষয়টাও থাকবে
০৩
আমি আরেকটা প্রস্তাব করতে চাই
আগে প্রায় সবগুলা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি অন্য কিছুর সাথে অন্তত একটা বই উপহার দিতাম
মাঝখানে ওটা বন্ধ হয়ে গেছে
এখন আবার ভাবছি যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়েসহ) অন্য যা কিছুই দেই না কেন অন্তত একটা বই দেবো। অথবা পুরাটাই দেবো বই
আমরা কিন্তু এই প্রাকটিসটাও করতে পারি সারা বছর ধরে বই কেন্দ্রিক সংস্কৃতি চর্চার জন্য
দ্রোহী লাইক্স দিস!
কি মাঝি, ডরাইলা?
ফেব্রুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি; বছরে এর মাঝামাঝি যেকোন একটা দিনে হলে ভাল হয়। বই বিকি-কিনি, দেয়া-নেয়া সারা বছর জুড়ে থাকল।
গরম এবং বর্ষার সিজনে হলে সাড়া কম পড়বে। একটু শীত শীত আমেজ দরকার, উৎসব স্বস্থিদায়ক হয়।
বাংলা মাসের সঙ্গে হিসাব হোক।
আমার প্রস্তাব ১লা আশ্বিন । শরৎ ঋতুর ঠিক মাঝামাঝি। এবং অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি, তখন গরমের প্রকোপ কম থাকে, ঋতুতে উৎসবের আমেজ আশা শরু হয়। আবার ফেব্রুয়ারির বইয়ের হুল্লোড়ের পর ৭ মাস কেটে যায়, তাই বই বছরের প্রায় মাঝামাঝি।
১ল কার্তিকও করা যায়, অক্টোবরের মাঝামাঝি পড়বে।হেমন্ত ঋতুর শুরু।
বই উপহার দিবস ছুটির দিনে ফিক্স করা হলে একটা সমস্যা হতে পারে। ছাত্র-ছাত্রী রাইতো হবে এই উৎসবের প্রাণ। তারা যেন স্কুলে গিয়ে একে অপরকে উপহার দিতে পারে সেইটা নিশ্চিত করতে হলে দিনটি ছুটির দিনে না ফেলাই উচিত। নইলে শহরগুলোতে তারা বেশিরভাগ সময়ই স্কুল ছাড়া বন্ধুদের দেখা পায় না।
আর বই কেনা তো আর ওইদিন হবে না। ঐ দিনকে সামনে রেখে কেনাকাটা চলবে আগে থেকেই। মেলা-বিনিময়উৎসব টাইপ কিছু করতে হলে তাই সেটা শুরু হতে হবে বই উপহার দিবসের আগের সপ্তাহেই।
তাই সেপ্টেম্বার ১ ই হোক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নৈষাদ লিখেছেনঃ
হ্যা হ্যা, খুবই ঝকঝকে দিন একেবারে, এর চেয়ে ভাল দিনই হয় না।
অক্টোবরের ১৫, সবাই বলেন কবুল!!!
............................................................................................
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
কিন্তু সবার মন্তব্যের পর শেষ সিদ্ধান্তটা কি হলো?
আমার পছন্দ পহেলা কার্তিক
- সবার প্রস্তাবিত দিনক্ষণ দেখে আমার পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান- এট ওয়ার্ল্ড'স এন্ড সিনেমাটার কথা মনে পড়ছে। ঐখানে একটা ভুটাভুটি হয় না? সব পাইরেট নিজেই নিজের নামে ভুট দিতে থাকে, কোনো ঐক্যমত্য নাই।
এখানেও দেখতে পাচ্ছি প্রায় প্রতিটা কমেন্টেই একটা করে নতুন তারিখের প্রস্তাব। সবাই সবার তারিখকে সমর্থন দিচ্ছে, ইনক্লুডিং মি।
এভাবে হবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
১ সেপ্টেম্বর বিএনপির জন্মদিন। ওসমানীরও জন্মদিন
জ্বালাতন।
মাসের শুরুতে করলে ভালো, হাতে টাকাপয়সা থাকে। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সোমবার করলে কেমন হয়?
শারদীয় দূর্গাপূজার একদম কাছেপিঠে পড়ে যায়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তাহলে অক্টোবর ১!
আমাকে কেউ উপহার দিলে বই দেয়, আমি দিলেও বই-ই দেই।
দিবস কোন ঘটনা না। যে কোন দিনেই আমি বই দিতে বা পেতে রাজী!!
বরং যেকোন উপলক্ষে বই-কে উপহার হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা উচিৎ বলে আমার মনে হয়। কোন দিন বেছে নিতে পারি আর না পারি এখন থেকে আমাদের আগ্রহ থাকুক যে আমরা উপহার হিসেবে আপনজনের হাতে বই-ই তুলে দেবো, অন্য যে কোন কিছুর আগে- তেমন 'ঝামেলা' থাকলে অন্য উপহার দিলেও চিকন চাকন সাইজের এক-আধটা বই ঠিক-ই দিয়ে দেবো সাথে।
বই হোক অনন্য উপহার!!!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
দিবসে রাজি, দিন নির্ণয়ে সচলের প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের উপরেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হোক।
_________________________________________
সেরিওজা
অনেক দিবসের ভীড়ে এটি হবে একটি যথার্থ দিবস! বই দিবস। যার মাথায় এই আইডিয়া এসেছে তাকে ভালো না বেসে পারছি না।
কোন তারিখেই আমার অসুবিধা মনে হয় না। তবে নবান্ন উৎসবের সাথে মিলিয়ে করলে কেমন হয় ভেবে দেখার অনুরোধ করছি!
-আরিফ বুলবুল-
সময় নিয়ে মন্তব্যগুলো পড়লাম।
অক্টোবর বেশ ভালো সময় মনে হয়।
তবে আমরা যেই রকম বই-বিমুখ জাতি তাতে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি করলে আমাদের জাতীয় চরিত্রের বেশ প্রতিফলন ঘটবে
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ প্রস্তাব!!!
সেপ্টেম্বর/ অক্টোবর হলেই মনে হয় ভাল হয়।
আর শুধু বই উপহার দিবসে নয়, অনান্য সময়গুলোতেও বইকেই যেন বেছে নেই উপহার হিসেবে, সে ব্যাপারে কিছু করা যায় কি?
১ সেপ্টেম্বর আমার জন্মদিন :-w
২০১০ সালের পোস্ট !!
শুধু টক শো হিসেবেই থেকে গেল নাকি?
কোন অগ্রগতি হলো না?
নতুন মন্তব্য করুন