বর্ষার বইমেলায় ১

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: সোম, ০২/০৮/২০১০ - ১২:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের প্রধান বইমেলা একুশে বইমেলা। যেটা বাঙলা একাডেমীতে হয় ফেব্রুয়ারী মাসে।

বিএনপি সরকার আরেকটা বইমেলা ধরায়ে দিছে, ঢাকা বইমেলা। কিন্তু শুধু ডিসেম্বর মাসে হয় বলেই সেটা ফ্লপ যায়। কারণ লেখক প্রকাশক পাঠক ক্রেতা সবাই একুশে বইমেলার জন্যই নতুন রূপে সাজে। ঠিক তার আগে আগে ঢাকা বইমেলা তাই কখনোই জমে নাই। অনেকবছর ধরেই তাই দাবী ছিলো বছরের মাঝামাঝি সময়ে একটা বইমেলা আয়োজনের।

অপরদিকে বাংলা বাজারের বাইরে বইয়ের বড় একটা আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো আজীজ মার্কেট কেন্দ্রীক। কিন্তু মানব প্রজাতির মৌলিক চাহিদার মধ্যে যেহেতু খাদ্যর পরেই বস্ত্র, এবং পঞ্চমূলচাহিদায় বইয়ের উল্লেখমাত্র নাই। তাই বই পড়ার চেয়ে জামা কাপড় পরাটাই মানুষের আরাধ্য হয়ে উঠলো। বই, লেখক, পাঠকের আজীজ মার্কেট গত দশবছরে গাউছিয়া হয়ে গেলো। পাঠক লেখকের চেয়ে তাই সেখানে এখন শ্বাসরুদ্ধকর তরুণীদের ভীড়। বই উচ্ছ্বন্নে গেলো।

আজীজের খুব কাছেই কাটাবন। ফুল, কুকুর, খরগোশ, পাখি, ক্রেস্ট, স্ক্রিণপ্রিন্ট আর প্রেসের দোকানগুলোর পাশেই গড়ে উঠলো কনকর্ড এম্পোরিয়াম। বিশাল এক ভবন। তারই পদতলে অর্থাৎ বেসমেন্টে খুপরি খুপরি দোকান, আজীজের বইগুলো সেখানেই খুঁজে নিতে লাগলো নতুন ঠাঁই। প্রথমা, তক্ষশীলা, বিদিত, পাঠক সমাবেশের মতো মহাজনী বই বিক্রেতারা অনেকেই এখনো আছে আজীজে। অন্যরা বাণিজ্যে হেরে গিয়ে কনকর্ডে এসে উঠলো। এই প্রক্রিয়া চলছে গত প্রায় আড়াই বছর ধরে। 

কনকর্ডের বেসমেন্টে এখন ৩৫টি বইয়ের দোকান। কয়েকটা এখনো ঝাঁপ খোলেনি, কিন্তু ধীরে ধীরে বইয়ের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠছে কনকর্ড।

এই নতুন ঠিকানার কথা পাঠককে জানানো প্রয়োজন। আর তাই সৃজনশীল প্রকাশকরা মিলে গতবছর থেকে শুরু করলো বর্ষার বইমেলা। কনকর্ডের সামনে একটা বড় চত্বর আছে। সারাবছর যেখানে চমৎকার আড্ডা হতে পারে। আজীজে আড্ডার জায়গা ছিলো না। ফুটপাথে, বারান্দায় বা করিডোরে আড্ডা হতো। কিন্তু কনকর্ডে আড্ডার জন্য সুন্দর জায়গাই আছে। যেখানে জমে উঠতে পারে লেখক প্রকাশক আর পাঠকের আড্ডা।

এই চত্বরকে কেন্দ্র করেই আরেকটা মজার হাট বসছে। প্রতি শুক্রবার বিকেলে সেই চত্বরে বসে বইয়ের হাট। বাঁশের টুকরির মধ্যে বই সাজিয়ে বিক্রেতারা বসে, ক্রেতা কেনে। এটা কয়েক মাস যাবৎ চলছে। এখনো অনেকেই জানে না। কিন্তু ধীরে ধীরে পাঠক ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে।

নতুন হওয়া এই বইয়ের মার্কেটকে পাঠকের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার তাগিদেই গতবছর থেকে শুরু হয়েছিলো বইমেলা। বর্ষার বইমেলা। উদ্দেশ্য দুটো, কনকর্ড এম্পোরিয়ামের এই বইয়ের মার্কেটের প্রচার, আর বছরের মাঝামাঝি আরেকটা বইমেলা।

জায়গা নাই, ছোট চত্বর। তাই বড় স্টল না, সারবাঁধা টেবিল পেতে প্রকাশকরা পাশাপাশি বসেছে বই নিয়ে। একপাশে মঞ্চ, তাতে প্রতিদিনই অনুষ্ঠান। কবিতা আবৃত্তি, লেখকের কথা, প্রকাশকের কথা, গান চলে। বই বিক্রি হয়। গেলোবার বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছিলো। আমি নিজেই বেশকিছু বই কিনেছিলাম। 

বছর ঘুরে এবারও হলো। আজকেই শুরু হলো। যদিও এই মেলা নিয়ে আয়োজকদের মধ্যে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে নানান গিয়াঞ্জাম ছিলো। এখনো আছে। নেতৃত্বের কোন্দল। তবু আজকে বিকেলে মেলাটা শুরু হলো।

যারা বই ভালোবাসেন, যারা পাঠক, তাদের কাছে অনুরোধ মেলায় আসুন। এখনো হয়তো এটা কিছুই না, কিন্তু মাত্র শুরু। আস্তে আস্তে এর কলেবর বাড়বে। অসঙ্গতিগুলো দূর হবে। এই মেলাকে কেন্দ্র করেই নতুন বই প্রকাশ হবে। বছরের মাঝামাঝি এরকম একটা মেলা খুব দরকার। আমাদের অংশগ্রহণেই এই মেলা একদিন বিরাট হবে। তাই সবাইকে অনুরোধ, মেলায় আসুন। বই কিনুন। মেলা তখনই জমবে যখন সেখানে পাঠক আসবে। পাঠকের চাহিদানুযায়ীই মেলা সমৃদ্ধ হবে। আয়োজকরা শুরু করেছেন, এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব তাই পাঠকের কাঁধেই।

বর্ষার বইমেলা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। অনেক ভালো ভালো বই আর লিটলম্যাগ দিয়ে সেজেছে ছোট ছোট দোকানগুলো। ২৫% কমিশনে বই বিক্রি হচ্ছে। আসুন, দেখুন, পছন্দ হলে কিনুন, প্রিয়জনকে উপহার দিন বই। এপ্রসঙ্গে অন্য পোস্টে করা হিমুর একটা মন্তব্যাংশ কপি না করে পারছি না "পিৎজা আর কোল্ডড্রিঙ্কস গু-মুত-উদগার হয়ে বেরিয়ে যাবে, ফুল শুকিয়ে পঁচে শেষ হয়ে যাবে, বই রয়ে যাবে বহু বছর। বহু বছর পর মলাট ওল্টালেও এর প্রথম পাতায় গুটি গুটি হরফে লিখে রাখা ভালোবাসার হরফগুলো পাঠযোগ্য থাকবে।"

পাঠক পছন্দ না করলেও আমি এই বইমেলা নিয়ে প্রতিদিন টুকিটাকি লিখতে চাই। যেমনটা আমরা একুশে বইমেলা নিয়ে লিখি। পাঠক হিসেবে আমি স্বপ্ন দেখি এরকম একটি মেলার। কিনতে পারি আর না পারি, আমি চেষ্টা করবো মেলায় যেতে। লিখতে।

আজকেই মেলায় দেখা হলো কবি টোকন ঠাকুরের সঙ্গে। মেলার অন্যতম আয়োজক তারা ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলছিলেন- নজরুলের সঙ্গে আগে প্রায়ই দেখা হতো, এখন দেখা হয় শুধু ফেসবুকে। আমি বললাম কথাটা সত্য না। অন্তত বইমেলাতে আমাদের দেখা হয়। 

আমরা অনেক কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছি। দেখা হয়না কারো সঙ্গে। কিন্তু যারা বইকে ভালোবাসেন তাদের একটা মিলনমেলা হতে পারে এই বইমেলাগুলো।

এই বইমেলার আরেকটা আকর্ষণ আছে। অনেক পাঠকই সচল লেখকদের বই খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়েছিলেন। ঢাকায় বইগুলোর কোনো বিক্রয়কেন্দ্র ছিলো না। মেলায় এলেই পাবেন বইগুলো। মূল মঞ্চের পাশেই "বইপত্র" এর স্টল। সেখানেই পাবেন সচলায়তন সংকলন ৩য় খণ্ড, হিমুর ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প, কনফুসিয়াস অর্থাৎ তারেক নূরুল হাসানের কাঠের সেনাপতি ও মাশীদ আহমেদের এলোমেলো। এছাড়া সচল প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল ভাইয়ের প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বর-এর নিজস্ব স্টল আছে। সেখানেও পাবেন সচলদের বই। 

আজকে গিয়েছিলাম আমি, সর্বসচল এনকিদু, অনার্য সঙ্গীত আর জুয়েরিযাহ মউ। আপনারাও আসুন, আড্ডা হবে।

আসুন... বই কিনুন... বই পড়ুন। 

সবশেষে কনকর্ডকে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। বেসমেন্টে হলেও বইয়ের একটা ঠাঁই তারা করে দিয়েছেন। এবং মার্কেটের সামনের চত্বরটা বইমেলা আর বইয়ের হাটের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। অশেষ ধন্যবাদ।


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

ওয়াও! ব্লগটা দিয়ে ভালো কাজ করছেন। আজিজ মার্কেট বইয়ের দোকানের বদলে শ্বাসরুদ্ধকর তরুনীতে ভরপুর হচ্ছে এটা দেখতে পেলেও কনকর্ডের কথা জানতাম না!

যেতে হবে মেলায়। ধন্যবাদ নজু ভাই পোস্টের জন্য!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার মতো পাঠকরাই যখন জানে না, তাইলে অন্যদের অবস্থাটা চিন্তা করেন!
আমাদের দায়িত্ব তাই সবাইকে নতুন এই বইয়ের মার্কেটের কথা জানানো। অবশ্যই দায়িত্ব।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সবই তো বুঝলাম, কিন্তু বই উপহার দিবসের কী করলেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খাড়ান, কালকেই পোস্ট দিতেছি... আপনে আমারে কী কী বই উপহার দিবেন সেটা তালিকা করেন। আপনে ব্যস্ত থাকলে কোনো অসুবিধা নাই, আমি তালিকা তৈরি করে আপনেরে মেইল করে দিতেছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালই হল,এ মাসের পিতৃপ্রদত্ত মাসোহারার টাকার কিয়দংশ বেশ আয়েশ করে নিকেশ করা যাবে,আর সময়টাও বেশ রংদার,বই কেনার জন্য তো বটেই। খুব তাড়াতাড়িই সময় করে ঢুঁ মারতে হবে খন।

অদ্রোহ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কাল পারবো না, তবে এ সপ্তাহেই একবার ঢুঁ মারতে যাবোই। ঐ মার্কেটে টুকিটাকি বইটই দেখতে অনেকবারই গিয়েছি, তবে লোকসমাগম কম বলে আড্ডার জন্যে শেষে সেই আজিজেই চলে যাওয়া হতো...

বইমেলার আড্ডায় আবার অনেকের সাথে দেখা করবার আশা রাখি...

_________________________________________

সেরিওজা

নিবিড় এর ছবি

সুহান এত পড়াশুনা করে কি হবে? তার থেকে চল বইমেলা থেকে ঘুরে আসি চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নিবির্ভাই, আপনের সিজিপিএ য্যান কত ?? দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সুহান্নিবিড়, কালকে হয়ে যাবে নাকি একটা আড্ডা তাইলে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ছিঃ অশ্লীল কথা বলে না চোখ টিপি
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি


মেঘনাদ সচলায়তন ৯১

রানা মেহের এর ছবি

এই মেলা কেন্দ্র করে কি নতুন বই প্রকাশ হয়? নাকি পুরনো বইই বিক্রি হয়?
লেখকরা কেমন সাড়া দিচ্ছেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বর্ষার এই বইমেলাটা একেবারেই নতুন, মাত্র দ্বিতীয়বার হচ্ছে। একে ঘিরে এখনো নতুন বই প্রকাশ হচ্ছে না... লেখকরা আসছেন প্রতিদিনই। গতবার অন্তত এটা দেখেছি। এবারও হয়তো আসবেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাই,
ধন্যবাদ খবরটা দেবার জন্য। আজকেই যাবো। দুপুরের মধ্যেই যাবো। ভালো থাকবেন...........................................................................মানিক

অতিথি লেখক এর ছবি

পত্রিকা পড়ে গতবার এর কথা জেনেছিলাম। আমার এক পড়ুয়া বন্ধুও জানিয়েছিলেন বইয়ের হাটের কথা। আপনার পোস্ট পড়ে আরো ব্যাপক জ্ঞান অর্জন হলো। এখন না যাওয়াটা অন্যায়!

জহিরুল ইসলাম নাদিম

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শুক্র, শনি দুইদিনই যাবো আশা করি!

গৌতম এর ছবি

...দু'একদিনের মধ্যে যাওয়ার আশা রাখি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুজন চৌধুরী এর ছবি

দারুণ উদ্যোগ! অসাধারণ!
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো বইমেলার জন্য।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

বোহেমিয়ান এর ছবি

যাইতে হবে।
জট্টিল ব্যাপার! বই আসলে উৎসব করেই পড়ার মত/ ধরার মত/ দেবার মত বিষয়!
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বইমেলায় আর কি কি পাওয়া যায়? আড্ডা খিচুড়ি ফুচকা পান তামুক ধোঁয়া....... হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

লেখাটা পড়ে ভাল লাগল
লিখতে থাকুন এই বইমেলার উপর।
আগামীতে এই মেলার আরো জনপ্রিয়তা বাড়বে সেই কামনাই করছি।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

বাউলিয়ানা এর ছবি

দারুন উদ্যোগ। অনেক শুভকামনা হইল হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার বই প্রীতি দেখে আমি মুগ্ধ। শুভ হোক এই উদ্যোগ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি আজিজেই যাইতে চাই। কেনো চাই, সেইটা তো পোস্টেই বলে দিলেন! দেঁতো হাসি

একেবারে বছরের মাঝামাঝি এমন একটা মেলার দরকার ছিলো। আশাকরি দলাদলি এড়িয়ে প্রতি বর্ষায় খুব ভালো একটা বইমেলা উপহার দিতে পারবেন আয়োজকরা।

বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন না একটা কথা! 'মদের নেশা একদিন কেটে যাবে। প্রিয়ার স্বচ্ছ চোখ একদিন ঘোলা হয়ে যাবে। কিন্তু একখানি ভালো বইয়ের আবেদন কখনোই কমে যাবে না'।

এই দুনিয়াতে বই ছাড়া আর কে আছে এমন আপনজন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আব্দুর রহমান এর ছবি

ধুগো দাদা, আমার যতটা মনে পড়ে এটা রাসেল সাহেবের না, ওমর খৈয়াম এর রুবাইয়াত এর অংশ।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, আমারই ভুল! কী আর করুম, বয়স যে হৈছে বুঝতেছি!
কবে যে বন্ধুর বউরে নিজের বউ মনে করে বাড়িতে রওনা দেই! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আরিফ জেবতিক এর ছবি

অফটপিকে কই, ঐ রাসেল সা'বের নাম শুনলেই আমার কেন জানি সরওয়ার চৌধুরীর কথা মনে পড়ে যায়।

ওডিন এর ছবি

বাইচা থাকলে কালকে যাইতাছি।

আর আজিজ মার্কেটের জন্য সামান্য দীর্ঘশ্বাস থাকলো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সৈয়দ আফসার এর ছবি

কি করুম ভাই
দেশত যে নাই
কিবায় মেলায় যাই
নজরুল ভাই
শুভ কামনা।

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।