[বর্ষার বইমেলা উপলক্ষ্যে আমাদের সুজনদা এই ছবিটা এঁকে দিয়েছেন। চমৎকার লোগো হতে পারে এটাই]
আজকে রাস্তা একেবারে ফাঁকা। বেশ একটা ফুরফুরে মেজাজে টুক টুক করে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম মেলায়। আজ তৃতীয় দিন। মেলায় দর্শনার্থী বেশ ভালোই। জমেছে মন্দ না।
আজকে টাকা নেই, তাই শুরুতেই সিদ্ধান্ত, আজকে কোনো বই কিনবো না। কিন্তু দেখতে দেখতে সোমেন চন্দ রচনাবলীটা পছন্দ হয়ে গেলো। অনেকদিন ধরেই কিনবো কিনবো করে কেনা হচ্ছে না। কিনে ফেলবো? থাক, পরেই কিনি। জীবনে একটা সিদ্ধান্ত যখন নিছি, আজকে কিছু নাই কিনি।
সবজান্তা আর তারেকের সঙ্গে দেখা। কিছুক্ষণ ওদের সঙ্গে গুলতানি মেরে গেলাম বইপত্রর স্টলে। আমাকে পেয়ে অরুণদা যেন হাতে চাঁদ পেলেন, একটু বসেন বলে আমাকে স্টলের দায়িত্ব দিয়ে মেলা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। আমি বসে বসে বই পড়তে লাগলাম।
টানা তিনবছর আমি বইমেলায় দোকানদারী করেছি। সম্ভবত ৯৬-৯৮ সালে। অভিজ্ঞতা নেহায়েত কম না। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বুকস্টলের দায়িত্বে ছিলাম। বছরে দু'মাস- ফেব্রুয়ারি আর ডিসেম্বর কাটতো বইয়ের দোকানদারী করেই। একুশে আর ঢাকা বইমেলায়। বহুবছর পর আবার দোকানে বসলাম বিক্রেতা সেজে। ক্রেতা এসে এটা সেটা জিগায়, কথা বলি। ভালোই লাগলো।
তবে আমার মনে আছে আমরা কেন্দ্রের স্টলে বসে বই বিক্রি করার নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করতাম। বেশি ভীড় হলে পারতাম না, কিন্তু নিরিবিলিতে কোনো ক্রেতাকে পেলে, আর যদি মনে হতো উনি জেনুইন ক্রেতা, তাহলে আর ছাড়াছাড়ি নেই। বইয়ের গুনাগুন বর্ণনা শুরু করতাম। না কিনে যাবে কোথায়?
একটা সুবিধা ছিলো, কেন্দ্রের স্টলের সব বই-ই আমাদের সবার পড়া ছিলো তখন। কারন দোকানদার সবাই-ই মূলত কেন্দ্রের কর্মী এবং পাঠক। বই বিক্রি করতে শেখাটাও বেশ ভালো একটা আর্ট। দর্শনার্থী কোন বইয়ের দিকে তাকাচ্ছে, চোখ দেখে বুঝে নিতে হয় তার রুচি। সেই অনুযায়ীই চলে পরবর্তী কার্যক্রম। প্রথমেই হরবরিয়ে একগাদা বই ধরিয়ে দেওয়া নয়, একটা দুটো বই দিয়ে টোকা দেওয়া। ধীরে ধীরে টোপ গেলানো। মজাই লাগতো। একটা বই বিক্রি করে ফেলতে পারলে দারুণ আনন্দ হতো। সেই স্মৃতিগুলো ফিরে এলো।
এরই মধ্যে এলেন ষষ্ঠ পাণ্ডবদা আর অনার্য্য সঙ্গীত। মেলাও শেষ হয় হয় অবস্থা। বইপত্র দোকানেই একটা বই পেলাম- মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রবার্ট পেইনের মহাকাব্যিক উপন্যাস 'দি টর্চার্ড অ্যান্ড দি ড্যামড্' এর অনুবাদ 'নির্যাতিত ও অভিশপ্ত'। ২৬ মার্চ ৭১ থেকে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সময়কালের বাংলাদেশ এই উপন্যাসের পটভূমি। রাজনৈতিক চরিত্রগুলো স্বনামেই উপস্থিত। এরকম একটা বই না পড়ে থাকাটা অন্যায়। এতদিন পড়া ছিলো না। হাতের সামনে পেয়েও ছেড়ে দিবো? কিন্তু ঐ যে, শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকে বই কিনবো না, টাকা বেশি নাই। একথা শুনে অরুণদা বইটা প্যাকেট করে দিয়ে দিলেন। বাকীতে। টাকা দিতে চাইলেও নিলেন না, বাকীতেই নিতে হবে।
দেখা হলো পারভেজ হোসেনের সঙ্গে। প্রকাশনা সংস্থা 'সংবেদ' এর মালিক। বাংলাদেশের লিটল ম্যাগ আন্দোলনের শুরুর দিকের কাণ্ডারী। সংবেদ এর প্রকাশনার মান আমার ভালো লাগে। এই দেশে যারা খুব যত্ন নিয়ে বই ছাপে, সংবেদ তাদের মধ্যে অন্যতম। এই মেলায় সংবেদ এর স্টল নেই। স্টলে বসার লোক পাওয়া যায়নি বলে।
মেলা থেকে বের হতেই দেখা আরেক প্রকাশক সোহেলের সঙ্গে। বছর কয়েকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে 'ভাষাচিত্র'। এর মালিক সোহেল। একেবারে তরুণ। ইতোমধ্যে একশ বই ছাপিয়ে ফেলেছে। অধিকাংশই তরুণদের বই। তরুণদের বই-ই ছাপতে চায়। আগামী একুশের বইমেলার স্বপ্ন নিয়ে অনেক কথা হলো।
তারপর পাণ্ডবদা, সবজান্তা, তারেক আর অনার্য্য সঙ্গীতসহ চায়ের দোকানে। চা, পুরি, সিঙ্গারা, সিগারেট আর আড্ডা... বইমেলা তো শুধু বইয়ের না, আড্ডারও...
বইমেলার কিছু ছবি দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু একদিনও ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া হয় না। কাল নিয়ে যাবো। তবু আজ কিছু ছবি দিই মেলার। ফটো কৃতজ্ঞতা: সরসিজ আলীম
মেলার দ্বিতীয় দিনে শামসুর রাহমান মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন সাহিত্যিক হাসান আজীজুল হক। পাশে আনিসুল হক।
মেলা উদ্বোধন করছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া
মেলার দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং বই কিনছেন রামেন্দু মজুমদার
এই ছবিটি প্রথম আলো থেকে নেওয়া
মন্তব্য
আবারো জানিয়ে রাখি- বর্ষার বইমেলায় 'বইপত্র'র স্টলে পাওয়া যাচ্ছে 'সচলায়তন সংকলন ৩য় খণ্ড'। যারা এখনো সংগ্রহ করতে পারেন নাই, তারা সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
এছাড়া একই স্টলে পাওয়া যাচ্ছে মাহবুব আজাদের [হিমু] গল্পগ্রন্থ 'ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প', তারেক নূরুল হাসানের [কনফুসিয়াস] গল্পগ্রন্থ 'কাঠের সেনাপতি' এবং মাশীদ আহমেদের ছবি ও কবিতার বই 'এলোমেলো'।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই বইগুলি এখন কিভাবে পাওয়া যেতে পারে?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কি অদ্ভুত কাকতাল,আমিও গতকাল সোমেন চন্দ কিনব কিনব করে কেন জানি কিনলামনা। তবে শেষ পর্যন্ত ট্যাঁকের পয়সা বাঁচানো আর গেলনা,ও হেনরি সমগ্র কিনতেই সব শেষ।
অদ্রোহ।
বুঝছি, আপনি আরেকবার মেলায় যাওনের আগেই আমাকে সোমেন চন্দ কিনে ফেলতে হবে। কালকেই কিনতেছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সুজন্দারে পয়সা দিয়েন, নাইলে ২০২০ সালে সুজন্দা এই ছবি পোস্ট দিয়া কিন্তু একই কথা বলতে পারে
না, এইটা সুজন্দার পক্ষ থেকে উপহার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই , বইমেলায় কিছু স্টলে দেখলাম পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনীর বই বিক্রি হচ্ছে । আমি এই বইমেলার নীতি কি জানি না , কিন্তু আমাদের প্রকাশনা শিল্পের জন্য ভালো মনে হয়নি এই সিদ্ধান্ত । শুক্রবারের বই এর হাটেও কিছু স্টলে মূলত বাইরের প্রকাশনীর বই ই বিক্রি হয় । নীতিমালায় কি এমনই আছে ?
বইমেলা জমছে এটাও , আসলেই আনন্দের খবর । আপনার পোস্ট এ কাল এ মেলার কথা জেনে আজ গিয়েছিলাম । আপনাকে ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
এই বইমেলায় এখনো পর্যন্ত সে অর্থে কোনো নীতিমালা নেই। মাত্র দ্বিতীয়বার হচ্ছে। আস্তে আস্তে এই মেলার একটা চরিত্র দাঁড়িয়ে যাবে আশা করি। অন্তত কয়েক বছর তো লাগবেই।
বর্ষার বইমেলায় কারা অংশ নিতে পারবে? এটাই এখনো নির্ধারিত না। প্রকাশকরা আছেন, বিক্রেতারাও আছেন [যারা শুধুই বিক্রেতা]। আশা করি আস্তে আস্তে এই মেলাটাও প্রকাশকদের মেলা হবে। প্রকাশকরা নিজ নিজ বই সাজিয়ে বসবেন।
এটুকু সময় তো দিতেই হবে।
আমার লেখা পড়ে মেলা দেখতে গেছেন, শুনেই ভালো লাগছে। আমরা সবাই মিলে প্রচার করে করে এই মেলাটাকে জনপ্রিয় করে ফেলতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হিংসা হইতেছে।
চলুক, দুধ না পাই, ঘোলটা অন্তত মিস করতে চাইনা।
আগেই ঘোষণা দিছি, কেউ পড়ুক আর না পড়ুক, আমি ১০ দিনে দশটা পোস্ট দিবোই দিবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু উপর থেকে দুই নাম্বার ছবিতে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সাথে দাড়িওআলা টুপি পড়া ঐ ভদ্রলোক বুয়েটের সাবেক ভিসি আলী মূর্তাজা মনে হচ্ছে। একে দেখে অবাকই হয়েছি। তিনি সেখানে কি করছেন জান নাকি ?
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা এড়াইতে আমরা কয়েকজন বাইরে চা খাচ্ছিলাম। ফলে জানি না উনি এখানে কেন কী করছিলেন। খোঁজ নিতে পারবো, তুমি উনাকে দেখে অবাক হচ্ছিলে কেন? বিশেষ কোনো কারণ? আমি উনার সম্পর্কে কিছুই জানি না। বিশেষ কিছু থাকলে জানাও। আমি খোঁজ নিচ্ছি।
এই মেলা নিয়ে এমনিতেই কিছু গিয়াঞ্জাম আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না এমনিতেই। মেসেজে বিস্তারিত লিখেছি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আফসুস, বিরাট আফসুস!!! আমি দেশে যাওনের আগেই মেলাটা শেষ হইয়া যাইবো। আহা, কতদিন ধইরা বইমেলায় যাইনা।
পাগল মন
নজরুল ভাই , বছরের মাঝে এমন মেলার প্রয়াস খুবই আনন্দের খবর । ছোট পরিসরে শুরু হলেও সামনে এগিয়ে যাবে নিশ্চয়ই ।
যেটা ভালো লাগেনি , এই মেলায় এবং শুক্রবারের বই এর হাটে কিছু স্টলের অধিকাংশ বই পশ্চিম বাংলার প্রকাশনীর দেখে । এই নীতি আমাদের প্রকাশনা শিল্পের জন্য কি পজেটিভ ?
ভালো থাকবেন ।
মন্তব্য প্রকাশের নিয়ম না জানায় ভুল বশত ২ বার লিখেছিলাম । দুঃখিত ।
আশাকরি উপরের মন্তব্যের জবাবে উত্তরটা পেয়েছেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিক্রি হওয়া বই নিয়ে আমরা কি একটা পরিষ্কার স্ট্যাটিসটিক্স পেতে পারি? বাংলা একাডেমি লোকবল বা সদিচ্ছার অভাবে এরকম পরিসংখ্যান দিতে ব্যর্থ। আমরা ভিন্ন উদ্যোগের আয়োজকদের কাছ থেকে মেলা শেষে এ ধরনের কিছু পরিসংখ্যান পেতে চাই।
হিমু ভাই,পাওয়া তো উচিত। অন্তত আমরা যে দুটো স্টল থেকে বই কিনেছিলাম তাদেরকে তো হিসেব রাখতে দেখলাম।
অদ্রোহ।
এই মেলাতেও লোকবলের প্রচণ্ড অভাব।
বরঞ্চ একুশের বইমেলা থেকেই এই পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব। সেখানে নিয়ম আছে ক্রেতাকে রশিদ দেওয়ার। এই রশিদগুলোর কপি মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করে হিসাব করলেই পরিসংখ্যান বের করা সম্ভব।
বর্ষার বইমেলাতেও হয়তো এই রশিদ কালচার চালু হবে। আয়োজকদের আরো সংগঠিত হতে হবে। এবার পাওয়া যাবে না। দেখা যাক আগামীবার হয় কী না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সুজন্দা আর আপ্নেরে পাঁচতারা।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আপনারে ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঐ মিয়া, মজা একটু কম করা যায় না? পেট খারাপ করবে কিন্তু!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মজার কতো কথাই তো লেখাই যাচ্ছে না। প্রতিদিনই জম্পেশ আড্ডা হচ্ছে... আড্ডার অডিও তুলে দিতে পারলে বুঝতেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যথারীতি মজার হৈছে নজরুল ভাই।
আপনার বই বিক্রীর অভিজ্ঞতা তো দারুন। বইএর দোকান দেবার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে। আপনার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
যাক, দোকানদারের একটা চাকরি হয়তো জুটবো কপালে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই বইটা ভালো, ভালো বাঁধাই, সুদৃশ্য প্রচ্ছদ, ঢাকা বইমেলায় কিনেছিলাম- অল্প অল্প করে পড়ি, ভালোই লাগে।
এইটার দাম আনুমানিক কত বস ??
... আজগে সিমনভাই ফোন দিসিলো। ৫টা পর্যন্ত ক্লাস করে ত্যাল ফুরায়ে যাওয়ায় আজকে যাই নাই।
_________________________________________
সেরিওজা
সোমেন চন্দটা কিনে ফেলবো। লিস্ট করছি, মেলার শেষদিনে একবারে কিনবো সব।
দি টর্চার্ড অ্যান্ড দি ড্যামড্' এর অনুবাদ 'নির্যাতিত ও অভিশপ্ত'র দুইটা এডিসন আছে, শোভন ৫০০ টাকা, সুলভ ৩০০ টাকা। ২৫% কমিশন।
আমি কেনার সময় এক কপিই ছিলো, আজকে দেখলাম না দোকানে আর। আপনি কিনবেন? তাহলে আমি এনে রাখতে বলতে পারি, কবে যাবেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দেখেন নজু ভাই, যা পারেন খান, ক্ষতি নাই। কিন্তু আগামী শুক্রবারে আমার ভাগের খাওনটা আমি পাইলেই হইলো।
আর বই সেইদিনই কিনেন বেশি কইরা। আমি আপনার হইয়া সব বই নিয়া আইসা পইড়া দিমুনে। নিজের মানুষ বইলা কথা ! আমি থাকতে আপনে কষ্ট করবেন ক্যান !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আরে আমি তো আপনের অপেক্ষাতেই লিস্ট বানাইতেছি। আপনি শুক্রবারে আইবেন বেশি করে টাকা পয়সা লয়ে, আমি আপনার হয়ে কিনে নিবো।
এতগুলা বই কিনে দিলে নাহয় আপনার চা পুরিটুকু আমিই খাওয়াবোনে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন