বর্ষার বইমেলায় গতকাল ছিলো ৮ম দিন। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। ছোট মেলা, তার মধ্যে সারাদিন বর্ষন, রাস্তায় অসহনীয় ট্রাফিক জ্যাম... মেলায় লোকজন তেমন নেই। বিকেলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ৭টার সময় দৌড়াতে দৌড়াতে মেলায় হাজির। যাবার সময় দেখি অনিন্দ্য আর মনামী রিক্সায় করে যাচ্ছেন কোথায় যেন। তার মানে এরা আজকে মেলায় নাই।
গিয়ে দেখি মউ একা একা ঘুরে ঘুরে জলের মতো বই দেখছে। আর কেউ নেই। কী আর করা... আমরা দুজনে দুজনার হয়ে মেলা ঘুরতে লাগলাম। নতুন বই নাই, পুরনো বই আর কতো দেখবো। তার উপরে অর্থাভাবে বই কেনা বন্ধ। এত বই সহ্য করা মুশকিল। তাই চায়ের দোকানেই ভরসা।
দুজনে মিলে কোথায় একটু প্রাণের কথা কইবো তা না, জমে উঠলো মঞ্চ নাটকের কথা। মউ এখন প্রবল নাট্যকর্মী, আর আমি ১০ বছর আগে মঞ্চ ছেড়ে আসা সাবেক লোক। কয়দিন আগে মউ বলছিলো এখনো নাকি আমাদের আমলের সেই সব বাঁদরামীর গল্পগুলো তারা আড্ডায় বসে শোনে। আজ একটা শুনিয়েই দিলো। আমিও শুনলাম আমারই এক গল্প, এত বছরে ডালপালা মেলে যে চেহারা পেয়েছে, নিজেরই চিনতে কষ্ট হলো।
তবে তারচেয়ে বেশি হলাম অবাক, শিল্পকলায় মাঝে মধ্যে যাই, সেখানেও নতুন মঞ্চকর্মীরা বলে আমাদের অনেক গল্প নাকি তারা এখনো শোনে। কী আশ্চর্য, গত দশবছরে মঞ্চ জগতে বাঁদরের এতো অভাব ছিলো যে এখনো আমাদের গল্পই শুনতে হয়!
চা আর পেঁয়াজু খেয়ে আবার বইমেলায়। মনজুর এলাহী এসেছে। কিন্তু মেলায় লোকজন খুব কম।
মেলায় দুই ধরণের স্টল। ছোট স্টলগুলোর ভাড়া ১৬০০ টাকা আর বড়গুলো ৩২০০ টাকা। মিলিয়ে মোট ৫০টি স্টল। অনেকেই এখনো লাভের মুখ দেখতে পারেননি। দশ দিনে হাজার চারেক বই বিক্রি না হলে কেমনে কী? কেউ কেউ বলছেন মেলা আরো ৫ দিন বাড়াতে। কিন্তু আমার মনে হয় সেটা উচিত হবে না। ধীরে ধীরে মেলা আকর্ষণ হারাবে। তারচেয়ে দশ দিনেই থামিয়ে দেওয়া উচিত।
এবছর মেলা অনেক অগোছালো ছিলো। অনেক ব্যর্থতা ছিলো। দলাদলি কোন্দল তো ছিলোই। একটি বইমেলাকে সফল করতে হলে আরো অনেক পথ হাঁটতে হবে। আশা করবো মেলার আয়োজকরা তা বুঝতে পারবেন। আগামী বছর আরো সফল মেলা চাই।
আজকে ছবি নাই। ছবি আছে, কিন্তু প্রসেস করে আপলোড করে দেওয়ার সময়ের খুব অভাব।
আজকে মেলায় আলোচনা করবেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আর সলিমুল্লাহ খান। আগ্রহ আছে। কিন্তু সময় করতে পারবো কী না বুঝতে পারছি না।
মেলার আর মাত্র দুটো দিন আছে। আজকে আর আগামীকাল। এরপর আর নাই। তাই সবাইকে অনুরোধ জানাই, মেলায় আসুন, বই কিনুন। মেলা বাঁচলে বই বাঁচবে, লেখক বাঁচবে। লেখক আর বইকে করুণা করার জন্য আসতে বলছি না। বই আর লেখক না বাঁচলে মানুষ বাঁচবে কী?
মন্তব্য
লাভের মুখে দেখেনি মানে কী ?? ঐ গার্মেন্টের বেতন বৃদ্ধি হইলে ফ্যাক্টরী লোপাট হইবে মার্কা বিজিএমইএ নাকি?
১৬০০ টাকার স্টল ভাড়া+ ২,০০০ টাকার আনুষঙ্গিক খরচা তো বাসার পুরানা পত্রিকা বিক্রী করেই উঠে আসা সম্ভব।
৫০টা স্টল... ধরি অর্ধেক ১৬০০ আর বাকী অর্ধেক ৩২০০... মিলায়ে ১ লাখ বিশ হাজার। লগে ৫০টা স্টলের আনুষঙ্গিক খরচ ধরলাম ৩০০০ কইরা। দেড় লাখ। মোট খাড়াইলো ২ লাখ ৭০ হাজার।
এই মেলায় এখনো বিক্রি তিন লাখের কাছাকাছি গেছে বলে মনে হয় না
তবে অধিকাংশ বিক্রেতাই আশাবাদী, এই মেলাটা একসময় জনপ্রিয়তা পাবে। হয়তো আগামী বছরই বিক্রি বাড়বে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি আপনার হিসাবে কিছু মিস করছি বলে মনে হয়।
১। এখনো ‘বিক্রি’ তিন লাখের কাছাকাছি... বিক্রি বলতে যদি মোট বিক্রয় মূল্য বুঝিয়ে থাকেন তবে তো বড়ই চিন্তার ব্যাপার। গড়ে একটা বই ১০০ টাকা ধরলেও মাত্র ৩০০০ হাজার বইয়ের কথা বলছি, ৫০ টা স্টলের হিসাবে গড়ে প্রতিটা স্টলে ৬০ টা বই বিক্রির কথা হচ্ছে ৮/৯ দিনে।
২। বিক্রি ৩ লক্ষ টাকা হলেও তো বইয়ের খরচ বাদ দিলে (মার্জিন শতকরা কত কোন ধারণা নেই) সেই ক্ষতিই তো হচ্ছে।
৩। এই মেলার উদ্যেশ্য যদি বিজ্ঞাপন হয়ে থাকে তবে ভিন্ন কথা, অথবা বইয়ের ভবিষ্যত নিয়ে আপনার মত আশাবাদি হতে পারলাম কই।
৪। ধানমন্ডি ২৭ থাকি দেখে বর্ষার গহনা মেলা, হেমন্তের চুড়ির মেলা, শরতের শাড়ির মেলা, এই মেলা সেই মেলার ভীড় দেখে অভ্যস্থ হয়ে গেছি... সেখানে... চিন্তার ব্যাপার।
কালকে চেষ্টা করবো মেলায় মোট বিক্রির একটা কাছাকাছি হিসাব বের করতে... দেখা যাক
আর আমি হইলাম চরম আশাবাদী মানুষ... হতাশ আমি কখনই হই না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। ৩ লাখ আমি বিক্রি বুঝাই নাই। তবে আমার হিসাবটা নিশ্চিত না। কালকে আমি একটা হিসাব বের করার চেষ্টা করবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার হিসাব মতেই ৬ হাজার টাকা প্রতিটি স্টলের গড় খরচ।
৬ হাজার টাকা তুলতে হলে, বই বিক্রী করতে হবে ৯ হাজার টাকার। মেলার ১ দিনকে অবচয় ধরে নিলাম, ৯ দিনে ৯ হাজার টাকার বিক্রী, প্রতিদিন ১ হাজার টাকার বিক্রী করতে হয়।
আপনি নিয়মিত যাচ্ছেন, আপনি ভালো বলতে পারবেন, কিন্তু আমি যা দেখলাম অনিয়মিত দর্শক হিসেবে, আমার তো মনে হয় না কোনো স্টল দিনে ১ হাজার টাকার কম বই বিক্রী করছে।
এখানে একটা ঝামেলা আছে, মেলায় দু ধরনের স্টল। প্রকাশক আর বিক্রেতা। প্রকাশক বসেছেন নিজের প্রকাশিত বই নিয়ে, কিন্তু যিনি বিক্রেতা, প্রকাশনার মামলা নাই, তিনি হুমায়ুন মিলন আনিসুল সুনীল শীর্ষেন্দু নিয়েও বসছেন। বিক্রিটা মূলত করছে বিক্রেতারা। তারা পাঠকের মনপসন্দ অনুযায়ী বই সাজাচ্ছে।
ফলে গড় বিক্রি বাড়লেও অনেকেই লসে থাকবে।
দেখি কালকে একটা কাছাকাছি হিসাব বের করা সম্ভব হয় কী না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গড় বিক্রীতে যদি 'অনেকে' লসে থাকে, তাহলে আবার অন্য 'অনেকে' লাভও বেশি করবে।
ঠিক হ্যায়, কালকে আমরা একটা খসড়া ধারণার উপরে কথা বলতে পারব নিশ্চয়ই।
শুনলাম আজকে নাকি বিক্রি বাট্টা ভালোই হইছে। ধারণা করছি আগামীকালও বিক্রি মন্দ হবে না। শেষদিন বলে কথা। আশা করছি সব মিলিয়ে লাভ না হলেও লস হবে না কারো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুম, মেলাটা বাঁচানো দরকার।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
বাঁচবে সুজনদা... দেশে হাড়ি পাতিলের মেলা বাঁচতে পারে, বইয়ের মেলা বাঁচবে না কেন? আমরা কি মরে গেছি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বই আর লেখক না বাঁচলে মানুষ বাঁচবে কী?
এই লাইনটা জটিল হইলে। আমার পিলাচ দাগানির ক্ষমতা নাই।
নাইলে কয়েক ঘা লাগিয়ে দিতাম।
বিপ্লব কুমার কর্মকার
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
স্টলগুলোর ভাড়া ১০০০ টাকা ও ২০০০টাকা করার প্রস্তাব রাখা যায় পরবর্তী ৫দিনের জন্য কিংবা জনপ্রিয়তা পাবার পূর্ব পর্যন্ত। দলাদলি কোন্দল ভয়জাগানিয়া বাজ পাখি যার ছোঁ মারা ঠোঁটে থাকবে প্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা।
তবুও একই বিশ্বাস বাঁধি - "এই মেলাটা একসময় জনপ্রিয়তা পাবে। হয়তো আগামী বছরই বিক্রি বাড়বে।"
শুভকামনা।
সুবীর কর
আমি সময় বাড়ানোর পক্ষে না। লাভ তেমন হবে বলে মনে হয় না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই মেলাটা একসময় জনপ্রিয়তা পাবে। হয়তো আগামী বছরই বিক্রি বাড়বে।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
হতেই হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"গত দশবছরে মঞ্চ জগতে বাঁদরের এতো অভাব ছিলো যে এখনো আমাদের গল্পই শুনতে হয়!"
বই আর লেখক না বাঁচলে মানুষ বাঁচবে কী?
- সেটাই... অন্য সব মেলার রমরমা অবস্থা থাকে আর বইমেলা নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা আর হতাশা আমাদের গ্রাস করবে কেন!!
সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বইমেলাগুলো বেঁচে থাকবে অবশ্যই...
------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অষ্টম পাঁচ দিয়ে গেলাম। অষ্টম দিনে এসে মেলা যে আকর্ষণ হারিয়েছে তা লেখা পড়েই বোঝা যাচ্ছে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
গতকাল আসলে ঢাকার রাস্তা ছিলো ভয়াবহ। প্রচণ্ড জ্যাম, বৃষ্টি। এই পরিবেশে লোকজন মেলায় আসনের কথা না। আকর্ষণ থাকে কেম্নে?
অষ্টম ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মেলা তো এতদিনে জমার কথা - জমে নাই সেটা তো চিন্তার ব্যাপার।
প্রচার আরো জোরে সোরে করা লাগবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার কিছু পর্যবেক্ষণ ছিলো।
[১] যদিও বর্ষার বইমেলা, কিন্তু আমি মনে করি এটা কোনো খোলা জায়গায় হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে করে আয়োজন যে কঠিন আর ব্যয়বহুল হয়ে যায়, আমি জানি, কিন্তু আয়োজকদের খুঁজতে হবে, কীভাবে খরচ কমিয়ে কাজটা সারা যায়। রবীন্দ্র সরোবরের দিকে আয়োজনটা করলে মেলাতে আকর্ষণীয় আরো কিছু ব্যাপার যোগ করা যায়। আরেকটা চমৎকার ভেন্যু হতে পারতো বসুন্ধরা সিটির লবি, তারা সস্তায় এক সপ্তাহের জন্যে সেটার অংশবিশেষ বরাদ্দ করলেও পারে, প্রয়োজনে স্পন্সরদের বিজ্ঞাপনসহ। অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও।
[২] বইমেলা শুধু বইয়ের মেলা না হোক। লোকজ ও কারুশিল্পের কিছু জিনিসও যোগ করা হোক। মেলার বৈচিত্র্য মেলার জন্যে ক্ষতিকর নয় বলেই আমি মনে করি। দুটি বইয়ের স্টলের মাঝখানে যদি একটা চমৎকার পুতুল আর চুড়ির স্টল থাকে, সমস্যা কোথায়? এ ধরনের স্টলের ফি বাড়িয়ে বইয়ের স্টলের ওপর ভাড়ার হারের চাপ কমানো যেতে পারে, যেহেতু এসব তুলনামূলকভাবে ফ্যাস্টার আইটেম।
[৩] বইমেলার সাথে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষায়তনের একটি প্রত্যক্ষ যোগ থাকা উচিত। এ ব্যাপারে এ বছরই কথা বলে রাখা যেতে পারে, আগামী বছরের জন্যে। যেমন, মেলার একটি দিন নির্ধারণ করা যেতে পারে, যেদিন কেবল নটরডেম কলেজের ছাত্রদের [উদাহরণের খাতিরে নামটা নিলাম] বিশেষ ডিসকাউন্টে [ধরা যাক ৩০%] বই দেয়া হবে। নটরডেমের ছাত্ররা সেদিন আইডি কার্ড দেখিয়ে বই কিনে নিয়ে যাবে। যেহেতু ঢাকায় অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, তাই এক দিনে আট-দশটা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের এ সুযোগ দেয়া যেতে পারে। একই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে বিভিন্ন বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে, উদাহরণ, গ্রামীণফোন।
[৪] আরেকটা খুব উচ্চাভিলাষী ও বাস্তবতাবিবর্জিত আইডিয়া হতে পারে, মেলাকে ঢাকা শহরে ছড়িয়ে দেয়া। একটি নয়, দশদিনে পাঁচটি ভেন্যু নেয়া যেতে পারে। মানুষকে বইমেলার কাছে আনা না গেলে, বইমেলাই মানুষের কাছে যাবে।
১) এই মেলার প্রাথমিক উদ্দেশ্য কনকর্ডের নতুন বইয়ের মার্কেটের প্রচার। তাই এটা আপাতত এখানেই করতে হবে। মার্কেটটার কথা বইপ্রেমিরা সবাই জেনে গেলে তখন এটা স্বতন্ত্র একটা বর্ষার বইমেলা হিসেবে চিহ্নিত হবে। আগামী দুয়েক বছরের মধ্যেই মেলার জায়গা পাল্টাতে হবে। মার্কেটের সামনের ছোট চত্বরে মেলার পরিসর বাড়ানো সম্ভব না।
২) বইমেলার সঙ্গে অন্যকিছু যোগ করার বিপদ অনেক। এর ভুক্তভোগী বই ব্যবসায়ীরা। একুশে মেলায় আগে সামনের রাস্তায় ছিলো হরেক রকমের দোকান। হস্তশিল্প থেকে শুরু করে আবৃত্তির এ্যালবাম খাওনের দোকান সবকিছু ছিলো। তাতে দেখা গেছে মেলা আর আড্ডা হইছে খালি, বই বিক্রি হয় নাই। বইমেলায় এসে লোকজন হরেক রকম জিনিসপাতি কিনে বাড়ি ফিরছে। ফলে বাধ্য হয়ে বইমেলা থেকে এসব সরানো হইছে। এর ফল ভালো, বইয়ের বিক্রি বাড়ছে।
৩) বইমেলার সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার আইডিয়াটা ভালো। একুশের মেলায় এটার এস্তেমাল করতে পারলে ভালো হতো।
৪) এটা আসলে অসম্ভব! একটা ভেনুই পাওয়া যায় না। এতোগুলা কীভাবে হবে? তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোই তো বইমেলা করতে পারে। যেসব স্কুলে কলেজে মাঠ আছে, তারা মেলা করে প্রকাশকদের ডাকুক। যাতে তাদের প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা বইয়ের কাছে যেতে পারে। সাইন্স ফেয়ার ডিবেট হতে পারে, বইমেলা হতে দোষ কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন