কোলকাতায় তেমন ছবি তোলা হয়নি। হাওড়া ব্রিজের এই ছবিটা তুলেছি অনেক শখ করে। বাকীটুকু ফটোশপের কাইতালি
কফি হাউজ একটা কী জানি, কোলকাতায় গেলে একবার এখানে না এলে ভালো লাগে না। এবারও গেলাম। তুললাম আড্ডার ছবি
কফি হাউজের মামা
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা এখনো আছে
হাওড়া ব্রিজের নিচে
কফি হাউজ থেকে কলেজ স্ট্রিট দেখা
কলেজ স্ট্রিটে ভেড়ার পাল
রবীন্দ্র সদনে নাগরিকের শো শেষে
দলের সঙ্গেই ফিরছিলাম। বাসে আনন্দ সঙ্গীত
অমিতদার ৩৬ তলা বাড়ির বারান্দা থেকে কোলকাতার রাত দেখা
দমুদি যা খাওয়ালো... উফ... জীবনে ভুলবো না
খাওয়া অর্ধেক শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ছবি তোলার কথা মনে হলো...
নয়তো দেখতেন খাওয়া কাকে বলে...
নটবর নটআউট ছবির পোস্টার
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ছবি দেখা শেষ, এবার আর না আগানোই ভালো। কারণ নিচে আমার ৫ দিনের কোলকাতা সফরের আজাইরা বকবকানি। আজাইরার চেয়ে বেশি সময় থাকলে এবং তা নষ্ট করতে চাইলে আগান, পড়ে বিরক্ত হইলে আমার দোষ না।
অমিত সেন কোলকাতার লোক, পুনে থেকে সেই সঞ্জয় লীলা বানসালির লগে পাশ করলেও এতদিন শুধু বিজ্ঞাপনই বানাইছেন। বুড়া বয়সে মনে হইলো এখন দুয়েকটা সিনেমা বানানো দরকার। বানাইলেন এক হাস্যকর সিনেমা "নটবড় নটআউট"।
নানান কারণে অমিতদা আমার খুব পছন্দের মানুষ। সারাক্ষণ আশেপাশের মানুষরে আনন্দ দেওয়ার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তার। আর আমার খেতে বসলেই মনে পড়ে অমিতদারে। কারণ আমার বাড়ির ফ্রিজ আর মাইক্রোওয়েভ ওভেন দুইটাই উনার দেওয়া। এমনকি একসময় ঢাকায় তার একটা অস্থায়ী ফ্ল্যাট ছিলো, আমার বিয়াও হইছিলো সেখানে।
তবে সেজন্য যে অমিতদার ছবিটা দেখতে যাবো সেটা না, মূল কারণ সিনেমার নায়িকা। এই সিনেমার নায়িকা রাইমা সেন। আইটেম গানে নাচছেন মুনমুন সেন। উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে রিয়া সেনও থাকবো। তো এই শোতে না থাকলে চলে? আমি পাসপোর্ট বাগিয়ে ধরে বসে রইলাম। কিন্তু সিনেমা রিলিজের তারিখ আর হয় না। সেন্সর বোর্ড আটকায়। আমার চোখ আরো চকচক করে উঠলো। বললাম আরে আমি তো আনসেন্সরডটাই দেখতে চাই! জানা গেলো সেন্সর আটকাইছে একটা কোন শব্দ নিয়া... ধুর :(
যাহোক, অবশেষে অমিতদা জানাইলো আগস্টের ৩ তারিখ শো। আমি নগদে ভিসার এপ্লাই করে বসলাম। কিন্তু ভিসা হাতে পাওনের পর শুনলাম আবারো পিছাইছে তারিখ, সেপ্টেম্বরে। হায় হায়... তাইলে!
যাহোক, এখান থেকে সিনেমাটার গানগুলো ডাউনলোড করে শুনতে পারেন চাইলে
এর মধ্যে নূপুর অসুস্থ হইলো, তারে নিয়া হসপিটাল... সব মিলায়ে একসময় আমার কোলকাতা যাওয়াই বাতিল হওনের যোগাড়। ভিসার মেয়াদ শেষ হবার আগেরদিন রওনা দিলাম। নূপুর নিধি গেলো না, আমি একলাই।
বাড়ির পাশে মালিবাগ কাউন্টার থেকে বাস ধরতে পারলাম না লেট করায়। ট্যাক্সি বাগায়ে উত্তরা গিয়ে বাসে উঠলাম। হাফপ্যান্ট আর টিশার্ট পরা আমার পাশে ধোপদুরস্ত ইনশার্টচকচকেস্যু কোলকাতার ছেলে প্রমোদ। নাম শুনেই গুনগুনিয়ে উঠলাম প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন বলে... কিন্তু এই ছোকড়া এই গান জীবনেও শোনে নাই। মহীনের ঘোড়াগুলি নামে যে একটা ব্যান্ড আছে কোলকাতায় তাও জানে না। রিয়া সেনরে চিনে, রাইমা সেনরে চিনে না। যে আলাপই শুরু হয় সেটারেই সে অদ্ভুত দক্ষতায় বাণিজ্যের দিকে নিয়া যায়। বুঝলাম এরে দিয়া হবে না। চাদর দিয়া আপাদমস্তক ঢেকে ঘুম দিলাম। তবে বেনাপোলে সে অদ্ভুত খেইল দেখাইলো। কোনো দালালরে আমার ধারে কাছেও ঘেঁষতে না দিয়া কোলকাতা নিয়া গেলো। আমি নাকি তার বন্ধু। গুড।
কোলকাতায় এর আগে ৬ বার গেছি। চারবার মঞ্চ নাটক করতে, একবার অফিসের কাজে, শেষবার অফিস আর এনজিওর যৌথ কাজে। এই প্রথম সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ভ্রমণ। প্রথমবার গেছিলাম ৯৮ সালের শুরুতে। বহুরূপী'র আমন্ত্রণে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে। সেবার আমি তরুণ নাট্যকর্মী। দলভর্তি সব বাঘা বাঘা অভিনেতা। আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর থেকে শুরু করে বিপাশা, মিমি পর্যন্ত। আমাদের ব্যাচ থেকে আমি আর কথাই কেবল চান্স পাইছিলাম। কথা কতেক বছর আগে মারা গেছে। আমি দলে নাই। কিন্তু আমার ব্যাচম্যাটরাই এখন দলের অন্যতম সিনিয়র।
মজার কথা একই সময়ে কোলকাতায় নাগরিকও আছে। সন্ধ্যায় শো। ভাবছিলাম যাবো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু এত লম্বা বাস জার্নির পরে আর হোটেলের সামনেই যদি ওয়াইন শপ থাকে তাহলে আর কী করার থাকতে পারে? বয়ে গেলো বেলা
পরদিন ঘুম ভাঙলো ভোরে। ভাবলাম এই চান্স, শান্তি নিকেতনে গিয়ে একটু রবি বুইড়ার সঙ্গে দেখা করে আসি। ক্যামেরা ট্রাইপড নিয়ে ট্যাক্সিতে চড়েই মনে হইলো গতকাল টাকা ভাঙ্গানো হয় নাই, পকেটে আছে মাত্র ২০ রুপি। টাকার দোকান ১১টার আগে খুলবে না। তারমানে ১১টার আগ পর্যন্ত আমার কোনো কাজ নাই। শেষ ২০ রুপি ট্যাক্সিওয়ালাকে দিয়ে হোটেলে ফিরলাম। আর ফিরেই মনে হলো ট্রাইপডটা ট্যাক্সিতে ফেলে এসেছি। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে, আর এদিকে আমার করার কিছুই নাই, তার উপর ট্রাইপডের দুঃখে মন খারাপ। তো কী আর করা... গতকালের বোতলটা তো আছে
বিকেলবেলা বের হয়ে টাকা ভাঙ্গায়া ভরপেট ভাত খায়া সিনেমা হলে ঢুকলাম পিপলী লাইভ দেখতে, আমির খানের। খারাপ লাগে নাই। বের হয়ে গেলাম রবীন্দ্র সদনে। নাগরিকের শো। অমিতদাও আসছে। জমলো আড্ডা।
নাটক শেষে বন্ধুরা ধরে নিয়ে গেলো তাগো ঢ্যাড়ায়। তারা উঠছে পঞ্চিমবঙ্গ রাজ্য অতিথি ভবনে। এখানেও আমি একবার থেকে গেছি এক সপ্তাহ। সেই সফরের কয়েক সঙ্গীও দলে আছে এখন। এরা দেখি কার্টন নিয়া বসছে। তো কী আর করা? সারারাত উদ্দাম চললো। সকালে হোটেলে ফিরে দিলাম ঘুম। উঠলাম বিকালে। আজকে ওদের শো নাই, সব গেছে দক্ষিণাপনে। আমিও দক্ষিণাপনে গিয়া সঙ্গি হইলাম। আড্ডা মেরে তারা গেলো বহুরূপীর নাটক দেখতে। এদের বড় অংশটা পরদিন ভোরেই বাসে উঠবে ঢাকার জন্য। তাই আজকে রাতে মাস্তি নিষেধ, তাইলে আমি এগো লগে থেকে কী করুম? হোটেলে ফিরে দেখলাম কিছুই করার নাই... সো কী আর করা?
এবার খুব ইচ্ছা ছিলো শান্তিনিকেতন যাওয়ার। কিন্তু তিনদিন পার হয়ে গেলেও যাওয়া হচ্ছে না। কিছুই করা হচ্ছে না শুধু আড্ডাবাজী ছাড়া। সকালে জেদ করে হাওড়া স্টেশনে চলে গেলাম। শান্তি নিকেতনের ট্রেন ধরবো এসময় জানলাম পরদিন রবিবার, মার্কেট থেকে শুরু করে বইয়ের দোকান সব বন্ধ। এদিকে তার পরদিন আমার দেশে ফেরার কথা। আর শান্তি নিকেতন যাওয়া হলো না। দৌড়ে গেলাম কলেজ স্ট্রিটে।
কলেজ স্ট্রিটের চেহারাই পাল্টে গেছে। মেডিক্যাল ইন্জিনিয়ার আইএলটিএসটোফেলের বই চারদিকে। বই কেনাই মুশকিল। ফোন দিলাম দমুদিকে। দমুদি ফোন ধরলো না। এদিকে ক্ষুধা ভয়ঙ্কর। একা একাই কফি হাউজে খেয়ে নামলাম বই কিনতে। [পড়ে শুনলাম তখন দমুদি কলেজ স্ট্রিটেই ছিলেন, রাস্তায় বলে আমার ফোন শুনতে পাননি ] হাতে সময় নাই, সন্ধ্যায় আবার অমিতদার বাড়িতে দাওয়াত। ধুমধাম কিছু বই কিনে দৌড়ে হোটেলে রেখে আবার দৌড়ে গেলাম মার্কেটে। নূপুর বলে দিছে তাদের ঈদের শপিং করে নিতে। কিন্তু এই জামাকাপড় জিনিসটা আমি একেবারেই কিনতে পারি না। মার্কেট জিনিসটাতে আমার এলার্জি আছে। তবু বউয়ের আদেশ, ঢুকলাম মার্কেটে। হাতে একেবারে সময় নাই, অমিতদা ফোন করছে। এর মধ্যে বাহারী জামাকাপড় দেখে মাথা আউলা। হাতের কাছে কী কী যেন পেয়ে কিনে হোটেলে রেখেই আবার ছুট অমিতদার বাড়িতে। উফ... তিন দিনের আলসেমী একদিনে দম বের করে দিলো।
ও বলা হয়নি, অমিতদার সিনেমার নায়ক কিন্তু আবার বাংলাদেশের পোলা। একেবারে নতুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্বের প্রকাশ। সেও আমার মতোই অভাগা, ভিসা নিয়েছে প্রিমিয়ারে থাকবে বলে, এখন ফাউ ঘুরছে। আর নাগরিকের পান্থ, পান্থবউ ঝুমি, অম্লান তো আছেই। জমে উঠলো আড্ডা। ঘরে বসেই সিনেমাটা দেখার চেষ্টা করলাম। কিন্তু নায়িকা পাশে না থাকলে কী ছবি দেখা জমে! খালি নায়িকার গানগুলোই দেখলাম। নায়ক ব্যাটা বসে থাকবে শুধু শুধু? আমাদের সেবা করতে হবে না? ছেলেটা ভালোই ব্লাডিমেরি বানায়। খেলাম পেটপুরে। অমিতদার ছেলে দোল, এতটুকু দেখেছিলাম শেষবার। এখন সাড়ে সতেরো বছর বয়স। অপেক্ষা করছে আঠারো যেদিন হবে, ঠিক বারোটার সময় বার্থ সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে ড্যান্স ফ্লোরে ঢুকবে। ছোটটা আরো সরেস। সিনেমার শুটিংয়ের মধ্যেই রিয়া রাইমা দুজনকেই প্রেম নিবেদন করে ফেলেছে, এবং কপাল কারে কয়, দুজনে তো রাজীই সঙ্গে মা মুনমুন সেন উল্টো প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছে... হায় পোড়া কপাল...
ফিরে এলাম হোটেলে। ব্লাডিমেরি খেয়ে কী মন ভরে? আর তাছাড়া সারাদিন যা ধকল গেলো... তাওছাড়া অম্লানদাকেও ধরে এনেছি আমার হোটেলে, তো কী আর করা?
পরদিন একটু আয়েশ করেই ঘুম ভাঙলো। সচল দমুদি আসবেন নিতে। আমি নিচে নেমে ফুটপাথে চা খেতে খেতে মেয়ে দেখতে লাগলাম। কোলকাতার মেয়েগুলো আগের চেয়ে এখন বেশি দর্শনীয়। এর মধ্যেই দমুদি এলো। চড়ে বসলাম তাঁর গাড়িতে। উনি থাকেন সেই কত্তো দূরে, আমাকে নিতে এসেছেন! নিয়ে গেলেন সল্টলেকে আইনক্সে। তারপর এক আফগানি রেস্তোরায় খাবার। আমার ধারণা নেক্সট অন্তত তিনবার কোলকাতায় গেলে দমুদি আর খাওয়াবে না। কারণ এবারেই সব খাইয়ে দিলো। এই পরিমাণ খাবারের অর্ডার দিলেন যে ওয়েটার নিজেই বললো এতো পরিমাণ খাবার দুজনে মিলে খেতে পারবেন না, এটা আটজনের পর্যাপ্ত খাবার! কিছু কমানো হলো। কিন্তু তবু আমার ধারণা যা এলো তা ৫জনে খেয়েও শেষ করতে পারবে না। অথচ আমাকে খেতে হলো। সত্যি বলছি, নড়ার জো ছিলো না এরপর। দমুদি আবার কষ্ট করে আমাকে আমার ঢ্যাড়ায় নামিয়ে দিয়ে এলেন, সঙ্গে আমার আর নিধির জন্য উপহার বই...
পরদিন ভোরে আমার বাস। ঘুম থেকে উঠতে হবে চারটার মধ্যে। অথচ স্বাভাবিক অবস্থায় আমি তিনটার আগে ঘুমাই না। এর আগে যতোবার কোলকাতায় এসেছি, ফেরার সময় আমাকে ৫ জন মিলে টেনে তুলতে হইছে। শেষবার তো আমার কোনো সেন্সই ছিলো না, তিনজনে মিলে কোলে করে বাসে তুলেছিলো, আমার ঘুম ভাঙছিলো পেট্রাপোল বন্দরে গিয়ে!
এবার ডাকার কেউ নাই। মিস করলে পুরা মিসেস হয়ে যাবো। আমি এমনিতে ৫ ঘন্টা ঘুমাই, আর বেহুঁশ থাকলে ৭ ঘন্টা। হিসাব করে দেখলাম ৯টার মধ্যে যদি আমি ঘুমাতে পারি তাহলে ভোরবেলা আপনা আপনিই ঘুম ভাঙবে। তো নয়টার মধ্যে ঘুমানোর ব্যবস্থা করার জন্য বিকেলবেলাতেই হোটেলে গিয়ে বসে পড়তে হলো... কী আর করা?
সহি সালামতেই ঘুম ভাংলো। এবং আশ্চর্য যে আমি জীবনে এই প্রথম কোনো গাড়িতে যথাসময়ে উঠে বসলাম!
মন্তব্য
ছবি দেখলাম, আচ্ছা এখন পড়ি
...........................
Every Picture Tells a Story
একটা ডায়ালগ পাইলাম "কী আর করা?"
...........................
Every Picture Tells a Story
আসলেই আমার কোনো দোষ ছিলো না, যাবতীয় দোষ নন্দ ঘোষের
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হে হে। ভালই ঘুরেছেন দেখছি। আর মাসখানেক আগে এলে আমিও থাকতেম। কি আর করা। শীতকালে দেখা হবে আশা করি।
নভেম্বরে আবার যাওনের চান্স আছে, যোগাযোগ করে যামুনে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অক্টোবরে আসেন না, তাহলে আপনার দর্শনলাভের সুযোগ হয় একটা। দশ থেকে তিরিশ অবধি থাকার প্ল্যান আমার। তার উপর পুজোর ভিড়ভাট্টাতে আরো সুন্দরীদর্শন করতে পারবেন, সৌন্দর্যে ঘাটতি যদি থাকেও ঔদার্যে যে নেই সে কথা তো বললেনই। দমুদির লেভেলে না হোক, খাতিরযত্ন যথাসাধ্য করবো, আপনি চাইলে বাড়িতে এনে স্বহস্তে রেন্ধেও খাওয়াতে পারি (তবে সেইটা সুখবর না কু সেই গ্যারান্টি দেয়া গেলো না)।
নভেম্বরের আগে তো ভিসা পাবো না গো দাদা পরবর্তী ভিসা তিন মাসের আগে হবে না
নাইলে তো অক্টোবরেই যাইতাম। ভাইবেন না আপনার জন্য, গতরাতে আমার নভেম্বরে কোলকাতা যাওনের খবর শুনে জনৈক নায়িকা জানালেন তিনিও যাচ্ছেন ২০ দিনের জন্য, তবে অক্টোবরে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নভেম্বরে যাবেন? "কী আর করা" দেখি লাইনে খাড়াই
...........................
Every Picture Tells a Story
হায় হায়, নভেম্বরে তো তাইলে কোলকাতায় বিরাট সচলাড্ডা হবে!
হুররে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ। হাম ভি দেখলেঙ্গে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও খাড়াইলাম নভেম্বরের লাইনে। ভিসা দিবনি আমারে?
দেখি, দল ভারী করা যায় নাকি?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নভেম্বর বিপ্লব হয়ে যাবে তো কোলকাতায়!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ক্যান দিবো না? এখন ভারতীয় ভিসা নিয়া ঝামেলা করে না। চলেন যাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হিন্দি একেবারেই বুঝি না... কী কইলেন? আপনেও নভেম্বরে আইতেছেন কোলকাতায়? একটু তর্জমা করে বলেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পাঠকদা এক্কাম করেন, আপ্নিই অক্টোবরে ঢাকা চইল্যা আসেন...
_________________________________________
সেরিওজা
বড়োই সংক্ষিপ্ত ছুটি না হলে চেষ্টা করা যেতো, যদিও নেমন্তন্নটা জমিয়ে রাখলাম। এবার এতো দিন পরে যাচ্ছি যে গিয়ে বাড়িতে প্রচুর সময় দিতে হবে। পরের বার যেতেই পারি। এই বার বরং আপনিই চলে আসুন না উজানগাঁর সাথে?
এইবার আপনাকে ধরা গেছে। অক্টোবরের ১৪ থেকে ২৪ পর্যন্ত আমি কলকাতায় খাকবো। এর মধ্যে সময় করে একবার আপনার সাথে আড্ডা হয়ে যেতে পারে।
এইটা আমাকে বললেন তো? এ তো বিশাল সৌভাগ্য, অবশ্যই দেখা করা হবে, একটু হাত ঘষে নেবো যদি ঐ জাতের ছবির অর্দ্ধেকও তুলতে পারি। মেহমাননওয়াজীর সুযোগ জুটবে আশা করি। সিরাতকে তো ধরা গেলো না এ দেশে। আপনার বাবদ যদি সে খেদ মেটে।
আগে গেলে কিন্তু বাঘে খায়... হুইশার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এদিকে আমি অক্টোবরের ১৩ থেকে ২৫ অবধি ভালুকপং, তাওয়াং, দিরাং ইত্যাদি ঘুরব|
আপনি একজন গম্ভীরমত ভদ্রলোক! অবশ্য আপনি কি আর আমার সাথে আড্ডা দিতেন!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
গম্ভীর তো না হয় মানা গেলো কিন্তু শেষে আপনিও ভদ্দরলুক বলে গালি দিলেন? এই দুঃখ রাখি কোন পকেটে! আমিই বরং আপনাকে গুন্ডাসর্দার রাগীমহিলা ভেবে ঘাঁটাতাম না! ঐ যে লিখেছিলেন না, মাঝরাতে দিল্লির পথে কলার উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াতেন অমিতা'চ্চনের শাহেনশাহের মতো, সেই থেকেই আতঙ্কে থাকি।
আমারও একটা ছোটো বেড়ানোর প্ল্যান আছে তবে যেখানে যাবো তার নামে একটাও অনুস্বার নেই (চন্দ্রবিন্দু আছে যদিও)।
রাঁচি নাকি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বাঃ বাঃ এই লেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। কোলকাতার ছবিও যা তুলেছেন, বাহা!
এইটা হলো ভ্রমণের সারসংক্ষেপ। এইবার বিশদ বর্ণনা দেন তো! কী কী বই কিনলেন, কলকত্তাই সুন্দরীদের বেশি দর্শনীয় লাগলো কেন তার একটা কম্পারেটিভ অ্যানালিসিস, পিপলি লাইভ, কলেজ স্ট্রীট এই সব আর যা মনে আসে হাবিজাবি।
যাওনের সময় ইচ্ছা ছিলো কোলকাতা থেকে প্রতিদিন একটা করে পোস্ট দিবো। কিন্তু যাওনের পর থেকে এমন আলসেমি... কী কী করলাম তা তো কইলামই...
দেশে ফেরার পর থেকে নেট ভয়ঙ্কর দুর্বল। আজই মাত্র নেট হাতে পাইলাম। তাই একদানে সংক্ষেপ মেরে দিলাম।
বেশি বই কিনি নাই, কলেজ স্ট্রিটের অবস্থা তো যা তা হয়ে গেছে। বই কেনাই দায়! অবশ্য আমার হাতে সময়ও ছিলো না তেমন। নভেম্বরে যাবো বই কিনতে।
সুন্দরী তা তো বলি নাই, দর্শনীয় বলছি, তারা এখন আগের চেয়ে বেশি উদার হইছে। তাই দর্শনীয়
পিপলি লাইভ যে খুব ভালো লাগছে তা না। আধা হুঁশ অবস্থায় দেখছি, তবু আমোদ পাই নাই। তবে কোলকাতার অবস্থাও দেখি ঢাকার মতো। সিনেমা হল ভাঙছে। এই বিষয়টা নিয়া আলাদা একটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাকি সব ঠিকাছে। খালি খাওনের ছবিতে মাইনাছ।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এই মাইনাসের দাবীদার আমি না, দমুদির দোষ... আমি তো খাইতেই চাই নাই... রোজা রমজানের দিন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দমুদির সাথে দেখা না কইরা দেখতেসি আমি ব্যাপক লসে পইড়া গেলাম।
আপনার খাওয়া দাওয়ার ছবি দেইখা তো আমার সিমলা, মানালি, প্যারা গ্লাইডিং যাবতীয় জিনিসপাতি তুচ্ছ লাগতেসে।
পুরা পোস্টে বুঝে শুনে মাইনাস।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
চলেন নভেম্বরে দল বেঁধে যাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কামডা কি ঠিক করলেন? বৌ-বাচ্চা ফালায়া মাস্তি কইরা আসলেন। বু্ইঝা শু্ইনা মাইনাস।
আমি জীবনে কখনোই কোনো ঠিক কাজ করি না, যা করি সব বেঠিক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সবজান্তা বলেছেন: আলমগীর বলেছেন: পুরা পোস্টে বুইঝা শুইনা মাইনাস
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
মন্তব্যে ডিজলাইক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দাদা, ছবি-লেখা মাইরি হয়েছে বৈকি !
পার্ক স্ট্রিটের সেই জলুস নেই বলছেন...খবরটা খারাপই বটে।
অদ্রোহ।
ওরে, জৌলুস তো সব পার্ক স্ট্রিটেই... বলছিলাম কলেজ স্ট্রিটের কথা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাওড়া ব্রিজের পয়লা ছবিটা তো জব্বর! ফটুশপ শিখতাম ছাই...
হুমম, দন্তময়ী দিদি দেখছি দারুণ দিলদরিয়া!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমিও ফটুশপ শিখতাম চাই। কেউ আমারে এইচডিআর করা শিখায় না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিও ফটুশপ শিখাইতাম চাই।
মধুবন্তী মেঘ
সচলের কান্ধের উপর যে ব্যানারটা ঝুলতেছে সেইটা কে বানাইছে জানি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দুরো! আমি তো কইলাম শিখাইতে চাই- যারা যারা শিখবেন হাত তুলেন।
লেখাটা পড়তে খুব ভালো লাগলো।
মধুবন্তী মেঘ
দুই হাত তুললাম
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হাত তুললাম।
আরে ধুর, স্যরি... ভুল দেখছি
যাহোক, এখন সজোরে হাত তুললাম। ফটুশপ শিখতে চাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওহোঃ উজানগাঁও দেখি হাত তুলছে কই যাই! নজ্রুল ইফেক্টো দিছেন জব্বর।
তাইলে আমার গিয়ানী ছাত্রছাত্রীরা কবে বসপে পাঠশালাতে?
মেঘ
!!!
সুন্দর...
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পাংখা!!!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ লাগলো। আমার ফেভারিট "বিদেশ" হচ্ছে কলকাতা। নিজের বাড়ির বাইরে আর কোন জায়গায় এতো হোমলি আর লাগে না।
সুন্দরী তা তো বলি নাই, দর্শনীয় বলছি, তারা এখন আগের চেয়ে বেশি উদার হইছে। তাই দর্শনীয়
সেই ঔদার্যের একটা ছবি দেওয়া উচিত ছিল
আমার ধারণা ছিল দমুদি পুণেতে থাকেন। কলকাতায় থাকলে ওনাকে আওয়াজ দিয়েই যেতে হবে। যদিও কবে আর কলকাতা যাব সেটাই জানিনা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খাড়ান খাড়ান। কলকাতা যাবার আগে বস্টন হয়ে যেতে হবে।
কোলকাতা আমারও ফেভারিট বিদেশ
দর্শনীয় বালিকাদের ছবি উঠাইতে চাইছিলাম। কিন্তু মাইর দেয় যদি? এই ডরে উঠাই নাই। তাই প্রাণভরে শুধু দেখেই গেছি
দমুদি আগে পুনেতে থাকতেন, এখন কোলকাতায় থাকেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। সবচেয়ে সুন্দর হয়েঠে প্রথম ছবিটা।
_______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আহারে! দক্ষিণাপন, মধুসূদন মঞ্চ, হাওড়া সেতু, কলেজ স্ট্রিট, নন্দন...আহারে!
ছবিগুলো যে কোথায় নিয়ে গেলো!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
জানুয়ারি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
৬/৭ বছর আগে কোলকাতা গিয়েছিলাম। কফি হাউসের ছবি দেখে মনে হলো একই রকম আছে।হাওড়া ব্রীজ, কলেজ স্ট্রীট সব মনে পড়ে গেল.....
লেখা /ছবি খুব ভাল লাগল যথারীতি।
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার ভ্রমন বৃত্তান্ত।
অবশ্য ছবি দেখে কিছুটা মন খারাপ হল ...... শেষ পর্যন্ত আপনিও 'হাই-টেক' ফটোগ্রাফারের খাতায় নাম লেখালেন নজরুল ভাই?
নভেম্বরের কোলকাতা 'সচল আড্ডায়' দেখা হবে...!!!
আমি হাইটেক ফটোগ্রাফার! মুস্তাফিজ ভাই, উজানগা, ত্রিবেদী, নির্জনরা দেখেন মনে মনে হাসতেছে...
নভেম্বরে আপনিও কোলকাতায়! জোশ... তাহলে তো জম্পেশ আড্ডা হবে। কফি হাউজ দখল করে একদিন আড্ডা দিবো চলেন... মুস্তাফিজ ভাইও যাচ্ছে, নির্জন স্বাক্ষর যাচ্ছে। আরো কয়েকটারে নিশ্চিত টেনেটুনে নিয়ে নিবো সাথে।
দারুণ আনন্দ হইতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিও আমিও|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ওয়েল্কাম্ব্যাক নজু ভাই, আপনে ছাড়া সব খালি খালি লাগতে আছিলো...
সিনেমার পোস্টারটা সেইরক্ম দিসেন দেখলাম...নায়ক এইদিকের শুনে মজা পাইলাম...
বই কিনলেন কি কি ??...
দমুদির বাসায় সত্যি গেস্লেন ?? বৌদ্ধমূর্তির লগে ছবি কই ??...
_________________________________________
সেরিওজা
বই বেশি কিনতারিনাই। সময় পাই নাই। আর কলেজস্ট্রিট আর আগের মতো নাই রে ভাই। খালি মেডিক্যালিঞ্জিনিয়রটোফেলাইয়েলটিএসের বই
হ... হেই পোলা আমগো দেশি। মনডা চায় থাবড়া দিয়া দাঁত ভাঙ্গি। আমার রাইমা সেনের লগে সিনেমা করে সে!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল সত্যিই এক নিতান্ত কচিকাঁচা ছেলে| আর সেজন্যই বোধহয় খুবই কম খাওয়াদাওয়া করেন| এমনকি ওঁর যে স্নিগ্ধার হয়েও খেয়ে যাওয়ার কথা ছিল সে কথাও রাখেন নি|
নভেম্বরে শান্তিনিকেতনে যাবেন নাকি? তাহলে এট্টুক আগে জানালেই ব্যবস্থা করে রাখব|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমি তো বাচ্চা ছেলেই। সবাই আমারে ক্যান বুড়া ভাবে বুঝি না। একটু আগে এক নতুন ক্লায়েন্ট আইলো মিটিং করতে। সেও কয় তার ধারণা ছিলো আমি মুরুব্বী কিসিমের কেউ।
কেউ বিশ্বাস করে না আমার বয়স যে মাত্র ২৫
যাহোক, নভেম্বরে দল বেঁধেই মনে হয় আইতেছি। শান্তিনিকেতন যামু। জানামু তো অবশ্যই।
আর আপনারে কী বলে যে ধন্যবাদ দিবো দিদি... লাল বাক্স সহ বইটা নিধির দারুণ পছন্দ হইছে। আর আমারটার কথা কী কমু?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনারে আমি যেই পরিমান হিংসা করি সেইটা যদি ঠের পাইতেন তাইলে নিজে নিজে সুইসাইড খাইতেন। :পি
কলকাতা আমারে কাছে নেশার মতো। প্রতিবছরই দু'একবার যাওয়া হয় তবু কলকাতার রাস্তায় হেঁটে বেড়ানোর নেশা আর কাটে না। বাবা বড় হয়েছেন কলকাতায়, পড়াশুনাও সেখানেই। কলকাতার রাস্তাঘাটে হাঁটলেই আমার বাবার কথা মনে পড়ে। ঘোরগ্রস্থ হই।
কফি হাউজ অনেক বদলেছে। রঙের পরিবর্তন এসেছে, খাবার-দাবারের দাম আকাশছোঁয়া। যে টানে বার-বার কলেজস্ট্রিটে ছুটে যেতাম সেই লিটলম্যাগ এখন ম্যাগনিফায়িং গ্লাস দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না।
চলেন অক্টোবরে আবার যাই। আমার সাথে গেলে ঠকবেন না এইটা বলতে পারি।
লিটলম্যাগের ঠেক বদলেছে| ম্যাগ খুব একটা বদলায় নি|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হা হা !! ভালো বলেছেন।
বিজ্ঞাপনপর্ব, জিজ্ঞাসা, কৌরব, অনুষ্টুপ, কবিতাক্যাম্পাস, জারিবোবাযুদ্ধ কিংবা দাহপত্র চাইলেই এখন আর পাওয়া যায় না।
আপনে আমারে ক্যান হিংসান? না পারি আপনের মতো কবিতা লিখতে, না পারি আপনার ধারে কাছে ছবি তুলতে, না পারি আপনের মতো রমণীমোহন হইতে
কোলকাতা আমার খুবই প্রিয়। কিন্তু অক্টোবরে তো ভিসা দিবো না আমারে, কয়দিন পিছান, চলেন নভেম্বরে যাই। শান্তিনিকেতনেও যামু। অনেকেই যাইতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কলেজ স্ট্রিট আসলেই মন খারাপ করে দিছে। নীলক্ষেতের মতোই বেদনাময়। লিটলম্যাগ তো চোখেই পড়লো না।
তবে দমুদির কাছ থেকে কিছু লিটলম্যাগের খবর পাইলাম। যেগুলোর নামই শুনি নাই কোনোদিন। এগুলো নাকি ঢাকায় আসে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কলকাতায় একবার-ই গিয়েছিলাম... কফি হাউজ ছিল মূল আকর্ষন। কফি হাউজের প্রথম ছবিটা দুর্দান্ত... লেন্স ভিজিনেটিং এফেক্টের চমৎকার ব্যবহার। লেখা পড়ে আর একবার ভ্রমন্থন হলো। ধন্যবাদ।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ সাঈদ ভাই
আর লেন্স ভিজিনেটিং বিষয়ক কী যেন কইলেন, সেগুলো পুরাই মাথার উপর দিয়ে উড়াল দিছে।
যদি কিছু হয়ে থাকে তাইলে সেটারে বাংলায় বলে "ঝড়ে বক মরে ফকিরের কেরামতী বাড়ে"
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হেহে... আমাদের বয়জা, বিদেশ গিয়া হইছে অমলেট
ভিজনেটিং হলো ছবির চারদিক আন্ধার হয়ে আসা... সব ছবিতে এটা ভালো লাগে না... এটাতে লাগছে।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
ও, আমার ক্যামেরা দিয়া এসব হয় না, আমি এটা ফটোশপে বসাইছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তা বুঝেছি, সবাই ফটোশপ বা লাইটরুমেই করে, আমিও তাই। ক্যামেরায় এটা হওয়া মানে লেন্স ভালো না
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
দারৃণ ভ্রমণ দিছেন তো! দারুণ বিবরণী! নভেম্বরের গ্রুপে আমারে রাখতে পারেন! অলরেডি বোধহয় মুস্তাফিজ ভাই, শাওন রেডি!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বাহ্, আপনিও! তাইলে তো দারুণ মজা হবে। কোলকাতা দখল করে ফেলবো একেবারে... বিশাল টিম হবে মনে হচ্ছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কইসিলাম 'চারমিনার' নিয়ে আইসেন ১ প্যাকেট, ফেলুদা খাইতো, আমো টেস্টাবো। ধুর
আপনেরা অক্টোবার-নভেম্বর চালাচ্ছেন। আমার সময় হবে জানুয়ারি, তাও দিল্লী তে। দুর্ভাগ্য
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভুলে গেছিলাম, নভেম্বরে আনুমনে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাই আপনাদের রাজ কপাল... আবার নভেম্বরে যাইতেসেন
আমি এই অগাস্টেই ঘুইরা আসলাম সিমলা, মানালি, রোটাংপাস, কিঞ্চিৎ দিল্লী (নাম কা ওয়াস্তে) আর কলকাতা। এইদিকে সামনের বছর ওডিন আর খেকশিয়ালের সাথে "বহু আকাংখিত", "স্বপ্নের" হিমালয় ট্যুর। কাজেই এই বছর আর ছুটি নিতে পারুম না এতো বড়, সেই সাথে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও দেখার মতো।
সবাইরে পেট ভইরা হিংসা করলাম।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হ, আমাদের রাজ কপাল তাই আমরা কোলকাতা যাই, আর আপনার পোড়া কপাল তাই যান হিমালয়ে... যাহোক, বৌদ্ধ মূর্তির লগে ছবি কিন্তু তুইলেন। প্রয়োজনে একজন চাল্লু ফটগোফুর আর ভিডিওগফুর লগে করে নিয়ে যাবেন। নানান ভঙ্গিতে ছবি তুলবেন, নানান এ্যাঙ্গেল থেকে। যাত্রাপথ এবং ফেরার পথ পুরাটা ভিডিও করবেন। নাইলে কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ, ভাবতাছি এক্কেরে কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে ভিডিও শুরু করুম- শেষ করুম কলাবাগানেই বাস থেকে নেমে।
লেখা ছবি দুইয়েতেই
কোলকাতায় আমার ঘুরাঘুরির সময়কাল সাকুল্যে চার ঘন্টা। এরপরের বার গেলে পুরনো কলকাতা খুব ভালোমতো হেটে হেটে দেখতে হবে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
প্রায় একই সময়ে বোধহয় আমরা কলকাতায় ছিলাম। আমার যাত্রা বেদনাচ্ছন্ন, বিষনীল, উদ্বেগাকুল; আর, আপনার....
ঈর্ষা করার শক্তিও আমার আর নেই।
হয়তো, পরের কোন জন্মে আপনাদের সাথে দেখা হবে চট্টগ্রাম, ঢাকা, কলকাতা বা অন্য কোন মেট্রোপলিসে...
হয়তো, হবেই না কখনো...
ছবিগুলো একটু ফাঁকিবাজি মনে হলো। সেতুর প্রথম ছবিটা অনন্যসাধারণ।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
হায় হায় আপনিও ছিলেন!
বেদনাচ্ছন্ন কেন? এখন কই আছেন আপনে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হায় হায়। অক্টোবর নভেম্বর কোনো মাসেই কলকাতা যাইতে পারুম না। শুধু দূর থেকে ঈর্ষা করতে হবে...
জানুয়ারির বইমেলার টাইমে যাইবেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বইমেলাটা কবে জানি?
কামাল করছেন
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার এক বর্ণনা
ছবিগুলো ও জোস,
কবে যে যেতে পারবো
বেড়ে গেল আফসোস !!!
.......................................রূপম মুস্তাফিজ
চমৎকার এক বর্ণনা
ছবিগুলোও জোস,
কবে যে যেতে পারবো
বেড়ে গেল আফসোস !!!
....................রূপম মুস্তাফিজ
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দন্তময়ী'দি পুনে, রাজস্থান ছেড়ে কোলকাতায় এসে পড়লেন? এখন আমার রেগিস্তান ভ্রমনের কী হবে গো!
আর আপনে নজু ভাই, পেজের রঙ তো বদলায়া হালাইলেন! অবশ্য আমার ঐখানেও ভচকায়ে আছে। কারণঃ অজানা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রিচ টেক্সট এডিটর এখনো কব্জা করতে পারি নাই। কী কী জানি ঝামেলা করে। ফ্লিকার থেকে আগে কোড কপি করে দিলেই হইতো। এখন ইনসার্ট ফ্লিকার ইমেজে টিপ দিয়ে বসে থাকি কিন্তু কিছু হয় না। শিখতে হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইনসার্ট ফ্লিকার ইমেজ কাজ করে না। ফ্লিকার থেকে কোড কপি করে ইনসার্ট এইচটিএমএল করতে হয়।
লেখা কপি পেস্ট করলে পোস্টের শুরুতে চার-পাঁচ ইঞ্চি জায়গা খালি থাকে। আপনারটাতেও আছে, মনে হয় আপনারটাও ওয়ার্ড ফাইল থেকে কপি পেস্ট, কারণটা জানি না। আমার একটা লেখাতেও ছিল, গুঁতাগুঁতি করতে করতে ঠিক হয়ে গেল। মাহবুব মুর্শেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমারে নিলা না মাঝি লগে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চলে আসেন... যা থাকে কপালে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অভিনন্দন এই চমৎকার বেড়ানো এবং আড্ডানোর জন্য।
শুভেচ্ছা।
ধুর
বুঝেশুনে মাইনাস।
নিধির বইয়ের নাম জানতে ইচ্ছা করছে
আপনেরে মিয়া!!!!!!!! ছবিগুলা ক্যামনে তুলছেন আর পটুশপে এডিট করছেন তার টিপস চাইয়া আপনেরে তেল দিতে দিতে হাত ঘা কইরালাইলাম। জনতা জাগ্রত হইলে কইলাম খবরই আছে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
পইড়া তীব্র মালাশা জাগ্রত হৈলো!
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
ছবি, লেখা - সবই ব্যাপক।
প্রথম ছবিটা সচলদের মধ্যে মনে হয় আমিই প্রথম দেখসি! কাহিনীও তো সব আগেরই জানা বলতে গেলে
যাই হোক, নভেম্বরের লাইনে ইটা না রাইখা নুড়ি রাখলাম আপাতত।
নতুন মন্তব্য করুন