পাগলটা একদিন গেয়েছিলো- পাগল কষ্ট পেয়ে চলে যাবে, ফিরেও আসবে না... পাগলটা সত্যি সত্যি একদিন চলে গেলো। ফিরে এলো না আর। তিনটা বছর চলে গেলো!
ঈদ পরবর্তী মাংসবহুল আড্ডা আর আনন্দময় জীবনে তবু তিন বছর আগের সেই হু হু কান্নাটা এখনো চোখ ভিজিয়ে দেয়।
চোখটা এতো পোড়ায় কেন ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও, সমুদ্র কি তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও?
তিন বছরের মাথাতেই আমরা ভুলতে বসেছি, হয়তো আর কয়েক বছর পরে আমারও আর কান্নার রেশ থাকবে না।
আমরা এমনতরোই নিষ্ঠুর সঞ্জীবদা!
তবু প্রতি বছরই একবার করে ১৯ নভেম্বর আসবে। আর মনে পড়বে আপনার লাশ কাঁধে নিয়ে এই বলদটা সারাটা দিন কেঁদেছিলো। আজো কাঁদে! সেদিনের মতো হাউমাউ করে না, ভেতরে ভেতরে খুব নিভৃতে...
মন্তব্য
এই একটা মানুষকে দেখার খুব, খুব ইচ্ছা ছিলো...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুনেছি উনি যে রাতে অসুস্থ হন সেই রাতে সিডরের তাণ্ডবে ঢাকা শহরও প্রায় অচল ছিল। ওইদিন পরিস্থিতি ভালো থাকলে উনাকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যেত আর হয়ত আমরা উনাকে হারাতাম না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেরাতে প্রচণ্ড ঝড় ছিলো। সারাদেশের বিদ্যুত ব্যবস্থা টলে উঠেছিলো। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও।
সঞ্জীবদা বিকেলে একটা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। রাতে বাড়ি ফেরার পর থেকে প্রচণ্ড অসুস্থতা, মাথা ব্যথা। কিন্তু ডাক্তার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অবস্থা ছিলো না। পরদিন সকালে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
বিদ্যুত ব্যবস্থার অপ্রতুলতায় সেলফোন চার্জ দিতে পারেনি কেউ, এমনকি নেটওয়ার্কও ছিলো প্রচণ্ড দুর্বল। তাই অনেককেই খবর দেওয়া যায়নি। তাছাড়া অবস্থাটা যে অতোটা ভয়াবহ সেটাও তখনও বোঝা যায়নি। বোঝা গেলো দুপুরে। তখন শ্যাওড়াপাড়ার একটা হসপিটালে সঞ্জীবদা।
ঝড়ের তাণ্ডবে আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি, সকালে ঘুমায়ে দুপুরে উঠলাম। সন্ধ্যা শ্বশুড়বাড়িতে নেমন্তন্ন ছিলো। বিকেলে সেজেগুজে রেডি হচ্ছি তখন খবর পাই যে সঞ্জীবদা হসপিটালে। শ্যাওড়াপাড়ার হসপিটাল থেকে তখন মেট্রোপলিটন হসপিটালে আনার তোড়জোর চলছিলো। মেট্রোপলিটন আমার শ্বশুড়বাড়ির পাশেই। আমি নাখালপাড়ায় চলে গেলাম। সেখান থেকে যোগাযোগ চলছে। কিন্তু মন মানছিলো না, আমি চলে গেলাম শ্যাওড়াপাড়ায়। গিয়ে দেখি ভয়াবহ পরিস্থিতি। যন্ত্রপাতির নাম তো জানি না, একটা যন্ত্র আছে যেটা পাম্প করে নিঃশ্বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখে, সেটা এমনিতে বিদ্যুতে চলে। কিন্তু বিদ্যুত নাই, তাই একজন নার্স হাতেই সেটা পাম্প করছেন। একটু এদিক ওদিক হলেই যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে!
সেখান থেকেই যোগাযোগ শুরু। ঠিক হলো এ্যাপোলো হসপিটালে নেওয়া হবে। তখনো পরিচিত সবাইকে ঠিকমতো খবর দেওয়াও যাচ্ছে না বিদ্যুত আর সেলফোন অব্যবস্থার কারণে। টাকা পয়সাও একটা ব্যাপার। যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়েঁ পড়া গেলো। রাতেই নেওয়া হলো এ্যাপোলোতে। তারপর তিনদিন তিনরাত সবাই মিলে হসপিটালেই বাসস্থান...
হয়তো সেই রাতেই হসপিটালে আনা গেলে বা সিডর আঘাত না হানলে বা বিদ্যুত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকলে বাঁচানো যেতো... কে জানে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছুয়ে কান্নার রঙ
অনেক কেঁদেছিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন সঞ্জীব ছুঁয়ে কান্নার রং, ছূঁয়ে জ্যোছনার ছায়া...
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
বৃষ্টি যখন সুরের সাথে রিমঝিমিয়ে ঝরে
কান্নাগুলো সুরের মায়া ছিন্ন করে পড়ে।
(সৃষ্টিশীল সঞ্জীবদাকে স্মরি গভীর শ্রদ্ধায়)
অদ্ভূত কষ্ট পেয়েছিলাম সেদিন।
কেন জানিনা মনে হচ্ছিল খুব কাছের একটা মানুষ চলে গেল। 'সমুদ্রসন্তান' আর 'কথা বলবোনা' পিসির প্লে লিস্টে ছিল সেদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
.......
আমি সঞ্জীব্দা কে চিনতাম শুধু গান দিয়ে... কিন্তু সত্যিকারভাবে চিনলাম আসলে তোমার মুখে উনার নানা গল্প শুনে... উনি অসংখ্য মানুষের উপকার করেছেন, বাংলাদেশে কেউ কখনো দাবী করতে পারবেন না উনি কারো ক্ষতি করেছেন।
এই মিডিয়াতে আজকে যারা কিছু করে খাচ্ছে তারা বেশিরভাগই উনার তৈরী, তুমি তাদেরি একজন। সঞ্জীব্দা হসপিটালে থাকাকালীন কিনবা উনার মৃত্যু আমি তোমার এত্ত কান্না দেখে অবাক হয়েছিলাম খুব, জিজ্ঞেশ করেছিলাম,উনি তোমার বাবা-মা কিংবা পরিবারের কেউ না, এত্ত কাঁদছো কেন? তুমি উত্তরে বলেছিলে, "সঞ্জীবদার কাছে আমার ভাতের ঋণ"
তুমি বলেছিলে, তুমি যে আজকে শুধু লিখে খাও সংসার চালাও, এই লেখার পিছনে দুটো লোকের অবদান, সঞ্জীবদা আর আদিত্য কবীর। এদের কাছেই তুমি লিখতে শিখেছো।
আমার মনে আছে, তুমি দিন রাত এ্যাপোলোতেই ছিলে, তারপর তোমার সেই কান্না! আমি কখনো সেই কান্না ভুলবো না...
সঞ্জীবদা মৃত্যুর কিছুদিন আগে তোমাকে ফোন করেছিলো, তুমি বিয়ে করেছো তাকে খবরটাও দাওনি বলে অভিমান করেছিল। নিধিকে দেখতে একদিন আসতে চেয়েছিল... সেই দেখাটা আর কখনো হলো না... হবে না... ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়... তোমার এতো প্রিয় একজন মানুষ, কিন্তু তার সঙ্গে আমার কখনো দেখা হলো না... ভাবতেই কষ্ট লাগে...
সঞ্জীবদার প্রতি শ্রদ্ধা...
শান্তিতে থাকুক তাঁর আত্মা।
..........
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শেয়ার করলাম, তাঁর জনপ্রিয় গানের সামন্য অংশ...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"আমি তোমাকেই বলে দেব
কী যে একা দীর্ঘরাত
আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে
আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়
ছুঁয়ে কান্নার রঙ
ছুঁয়ে জোছনার ছায়া
ছুঁয়ে কান্নার রঙ
ছুঁয়ে জোছনার ছায়া"
আজকেও আড্ডা শেষে বাসায় ফেরার পথে গানটা মনে পড়ছিল।
ছুঁয়ে কান্নার রঙ ছুঁয়ে জোছনার ছায়া
অলস সময়
নজরুল ভাই, আপনার অনুভূতি আর সঞ্জীবদা'র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
"যাই পেরিয়ে এই যে সবুজ বন
যাই পেরিয়ে ব্যস্ত নদী অশ্রু আয়োজন
যাই পেরিয়ে সকাল দুপুর রাত
যাই পেরিয়ে নিজের ছায়া বাড়িয়ে দেয়া হাত"
আমার এখনও মনে হয়না সঞ্জীব চৌধুরি আর আমাদের মাঝে নেই(আক্ষরিক অর্থেই)
love the life you live. live the life you love.
.........................
অসম্ভব প্রিয় গায়ক ছিলেন। তার 'ছুরি চিকিৎসা' আমার সবচেয়ে কাছের গানগুলোর একটা।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
---আশফাক আহমেদ
"আমি তোমাকেই বলে দেব
কী যে একা দীর্ঘরাত
আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে
আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়"
সেদিনো স্তব্ধ হয়েছিলাম আজো স্তব্ধ হয়ে আছি...............বিশ্বাস হয় না! কিছুতেই মন মানে না........গল্পমাতাল, আড্ডা-ফুরফুর সেইসব দিন আর ফিরে আসবে না...............।
নজরুল ভাই-র প্রতি কৃতজ্ঞতা, মনে করিয়ে দেয়ার জন্য..........ভোলামন, সব ভুলে যায়!
সঞ্জীবদা চিরদিন বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে!
আমার অনেক প্রিয় একজন গায়ক... সব গান ভালো লাগে...
উনার মতন সুন্দর লিরিক্স আর কেউ লিখতে পারে না...এত্তো সুন্দর লিখতেন...
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আমি তোমাকেই বলে দেব
কী যে একা দীর্ঘরাত
আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে
আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়
....................................
ছুঁয়ে কান্নার রঙ...
ছুঁয়ে জোছনার ছায়া...
দেখতে দেখতে ৩ টা বছর চলে গেল...
- দেবাশিস মুখার্জি
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
: হেডলাইনে একটা ঘ্যাচাং দিয়া দে।
: ঘ্যাচাং কী?
: ৩টা ফোটা। বেশিও না, কমও না। শেষ দুইটা শব্দ বাদ দিয়া ঘ্যাচাং দিয়া দে। সব কথা বলার দরকার নাই, যে যার মতো বুঝে নিক। আমরা খালি ঘ্যাচাং দিয়া দেই।
: ঠিক আছে দাদা।
বুকের ভেতর তীব্র এক হাহাকার..
আধারের জোছনায়,
চোখ ভিজে আসে..
বুক ভেসে যায়,
ভালোবাসা হারা অশ্রুজলে..
সন্জীব'দা আজো আছেন,
তার না থাকার মাঝেই..
ফেলে আসা দিনের স্মৃতিতে;
তার কথায় ও গানে,
ভালোবাসায়..।
চোখটা এতো পোড়ায় কেন
ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও,
সমুদ্র কি তোমার ছেলে
আদর দিয়ে চোখে মাখাও?
এমন কথা, অমন দরদভরা গায়কী কি কেউ ভুলতে পারে, না তা ভুলে যাবার?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
একই মন্তব্য দু'বার এসছে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
কী বল্বো নজু ভাই! আসলেইতো ভুলে গেছি, গতকাল একটা বারও মনে হয়নাই সারাদিন। সবাই চলে যাবার পরে রাতে যখন মনে হলো, বাসায় থাকতে পারলাম না, কানে তার গান নিয়ে হাটাপথে সোজা বোনের বাসায়। তিনবছর আগের সেই সময় শব্দ করে কাঁদতেও পারিনাই, আমার বাসাভরা সেদিন আত্মীয়রা ছিলো, কষ্টটা অনেক বেশীই ছিলো যদিও। উইশলিস্টের এই একটা কাজ আর কখনও করা হবে না, দাদার সাথে দেখা করাটা হয়ে উঠলোনা, পাগল ফাঁকি দিয়ে চলে গেলো!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নজু ভাই, প্রয়াত সঞ্জীব দা'র প্রতি সবটুকু শ্রদ্ধা রেখেই একটা অপ্রিয় সত্য বলি ?
প্রকৃতি আসলে মানুষের অনিবার্য বহনযোগ্যতার প্রয়োজনেই অফুরন্ত বিষাদের বুকে একটু একটু করে বিস্মৃতির বালি ছিটিয়ে দেয়। নইলে কোন মানুষই এতো বিষাদের ভার বইতে পারতো না। এই বিস্মৃতির স্তর মানুষের অসহ তরতাজা বিষাদগুলোকে ধীরে ধীরে ঢেকে দেয় বলে সে আরেকটা বিষাদের ভার বইবার ক্ষমতা অর্জন করে নেয়। আর এজন্যেই মানুষ শেষপর্যন্ত টিকে থাকে।
প্রকৃতির এই অমোঘ নিয়ম মানুষের স্বাভাবিক অস্তিত্বের জন্যেই হয়তো অনিবার্য ছিলো। আরেকটা বুকভাঙা আর্তনাদ ছাড়ার জন্যেই হয়তো প্রকৃতি আগের ভাঙা বুকটাকে জোড়া লাগিয়ে দেয় একরাশ অনিয়মিত বিস্মৃতির প্রলেপ দিয়ে।।।।
তবে কামনা করি প্রতিটা ১৯ নভেম্বরে যেন আমাদের সেই প্রলেপটা খশে পড়ে সঞ্জীব দা'র স্মৃতির জলস্রোতে।।।।।।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসাধারণ শিল্পী ছিলেন তিনি। এখনো মুগ্ধ হয়ে শুনি তার গান, যে গান কখনো পুরোনো হবে না। তার প্রতি রইল অনন্ত শ্রদ্ধা।
অনন্ত
শ্রদ্ধা।
সমব্যথী হলাম!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পাগল কষ্ট পেয়ে চলে যাবে, ফিরেও আসবে না...
শ্রদ্ধা
মেঘলা
এই লোকটাকে ক্যান জানি খুব কাছের মনে হতো।
শ্রদ্ধা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তিন বছর কেন? আমরা যারা গান পাগল তারা তিরিশ বছর পরেও সঞ্জীব'দাকে ভুলবো না। তার গানই তাকে ভুলতে দেবেনা। ২০০০ এ দলছুটের প্রথম এ্যাল্বাম আমার হাতে আসে। সেই 'সোনালী গীটার" আজো আমার হাতে রয়ে গেছে।
সঞ্জীব'দা, যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন।
- মোহনা
দাদাকে খুব মনে পড়ে!
kabir.aahmed@yahoo.com
প্রশ্নবোধক
৯০এর দশকে সঞ্জীবদা আর বাপ্পার সাথে প্রায়ই দেখা হতো সিদ্ধেশ্বরীর মিউজিক ম্যান স্টুডিওতে। বাপ্পার কোনও কাজের শিফট থাকলে সঞ্জীবদা একবারের জন্যে হলেও আসতেন। সেখানেই পরিচয়, বিড়ি টানা, আর আড্ডা; মাসের পর মাস। খুব ঘনিষ্ঠতা কখনোই হয়নি। তারপরেও দেখা হলেই কথা হতো, কুশল বিনিময় হতো।
২০০৭ সালের এক সন্ধায়, আফগানিস্তানের ফাইজাবাদে। প্রচন্ড বরফ পড়ায় বাইরে বেরোতে পারছিনা। ওয়েব থেকে দলছুটের কিছু গান ডাউনলোড করতে গিয়েই দেখি সংবাদটা। একটু পর আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে খবরটা জানান। ওই সংবাদ জানার পরই সত্যিকার উপলব্ধি করলাম যে সঞ্জীবদা আমার কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমার মনের কতটা কাছে তার অবস্থান ছিলো। ফেরার পথে বাপ্পার সাথে দুবাইতে দেখা হলে যখন দাদার কথা তুললাম, অনেক্ষণ দুজনের কেউই কথা বলতে পারিনি।
এই হলো সঞ্জীবদা। স্বল্পদৈর্ঘের কিন্তু সম্পূর্ণ রঙিন একটা জীবন। জীবনে কোনদিন একটা ব্যাংক এ্যাকাউন্ট তার খোলা হয়নি জীবনে পয়সাকড়ি তেমন আসেনি বলে। কিন্তু যে পরিমান ভালোবাসায় সঞ্জীবদা সারাজীবন সিক্ত হয়েছেন, তা রাখার মতো কোন ব্যাংক এই পৃথিবীতে নেই। যা শুধু বুকের মধ্যেই সযত্নে পুষে রাখা যায়।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চোখটা এত পোড়ায় কেন , , ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও
সমুদ্র কি তোমার ছেলে ? . . .আদর দিয়ে চোখে মাখাও
বুক জুড়ে এই বেজান শহর হা হা শূন্য আকাশ কাঁপাও
আকাশ ঘিড়ে শংখ চিলের শরীর চেরা কান্না থামাও
সমুদ্র কি তোমার ছেলে ? . . .আদর দিয়ে চোখে মাখাও
যারা তাঁকে মনে রেখেছেন, তারা সব সময়ই রাখবেন। সেদিনও একজন বড় ভাই আমাকে বলছিলেন, .......'ছেলেটার মধ্যে ডেপথ্ ছিল। চিন্তা করতে পারতো। ছাত্র ইউনিয়ন যখন করতো তখন দেখতাম। '।
যিনি একথাটা বলেছেন, আজ তিনি অনেক সফল মানুষদের একজন। কিন্তু রাজনীতি,গান বা আড্ডা সব কিছু থেকেই অনেক দূরে।
তাই বললাম...যারা সঞ্জীব দা কে বুঝতে পেরেছেন,..তারা তাঁকে ঠিকই ভালবাসবেন। যারা বোঝেন নি.......তাদের মনে রাখা বা না রাখায় কিছু যায় আসে না ।
তবুও .....আজ তাঁকে স্মরণ করে কিছু লেখা হচ্ছে...এ বিষয়টাই কষ্টকর। এ কথা গুলো বলার মত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে ...আজ তিনি নেই বলে । ..........মানতে ইচ্ছে করে না।
পিয়েতা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন