প্রিয় হুমায়ুন আজাদ, আপনার 'আড়িয়ল বিল' ভালো নেই, থাকবে না হয়তো!

শুনলাম এটিএন বাংলার খবরে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জি এম কাদের বলছেন উত্তরায় বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করলে অনেক ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর নাকি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বক্তব্য শুনে মনে হলো আড়িয়াল বিলে যারা বাস করে তারা ব্যক্তি উপাধীর যোগ্য না। এরকম বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করতে শিখছে এটাই আশার কথা।

সবচেয়ে খারাপ বুঝি আছে আড়িয়াল বিল... বিলটাই আদৌ থাকবে কী না সন্দেহ...

বিলটাকে কি রক্ষা করা যাবে না?!

এই সরকারের শত্রু তারা নিজেরাই...হাজার কোটি টাকা লুটপাটের এই সুযোগ ছাড়তে চাচ্ছে না...সবকিছু ধংস করে হলেও তারা এই ইত্রামি চালিয়ে যাবে...
এইসব ইতরামি-লুটপাট-পয়সা মারার ধান্দা বন্ধ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার আগেই সরে আসা উচিত, নাইলে এটাই হবে এই সরকার পতনের সবচেয়ে বড় কারণ...

প্রত্যেকটি নতুন প্রকল্পের পেছনে থাকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করার মাস্টার প্লান, আমার মাথায় ঢুকেনা এই মুহুর্তে একটি বিমান বন্দর আমাদের জন্য কতটা জরুরী? দেশে এখন অত্যাধুনিক বিমান বন্দর নির্মাণের চেয়েও গুরুত্বপুর্ণ অনেক বড় বড় কাজ পড়ে আছে, সরকারে সেই দিকে কোনও খেয়াল নেই কেন? ঐ এলাকার তিন সাংসদ মন্তব্য করেছেন যে এই কাজ বিরোধী দলের, যদি তাই হয় তাহলে উনারা ঐ এলাকা থেকে পাশ করেছেন কাদের ভোটে? নাকি চুরি করে পাশ করেছেন? কারন আমার মনে হচ্ছে এই আন্দোলনের সাথে ঐ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ জড়িত। আফসোস!! ভণ্ডামি করার জন্য যতটা মেধা দরকার তাও আমাদের রাজনীতিবিদদের নেই!!

মাহফুজ খান

যা হচ্ছে খুব খারাপ হচ্ছে ।

ইটের ঘরে থাকলেই সবাই মানুষ আর বেড়ার ঘরে থাকলে ছোটোলোক। কয়েকটা ছোটোলোক বাস্তুহারা হইলে কার কী? ঐ এলাকার সবার ইনকাম বাড়বো, বড় বড় তারা লাগানো হোটেল হইবো। তার সাথে যদি কয়টা ফকিন্নি বাড়ে তো সমস্যা কী? হাত পাতলেই ডলারে হাত ভাইসা যাইবো। খুব সহজ ক্যালকুলেশন !!!

আড়িয়াল বিল আসলেই মনে হয় বাঁচানো যাবে না। কারো পক্ষে সম্ভব হবে কি এই বিলটার কয়েকটা ছবি তুলে রাখা? -রু

আহারে...

লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ নজু ভাইকে।

আওয়ামী লিগ নিজেই নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছে এই নুতন বিমানবন্দর নির্মাণের চেষ্টার মাধ্যমে। ইতিহাস থেকে যে এরা শিক্ষা নেয় না, অথবা ইতিহাস হতে নেওয়া শিক্ষার থোড়াই কেয়ার করে সেটাই তারা প্রমান করে। না হলে চোখের সামনে তিউনিসিয়া, মিসরে যা হচ্ছে সেটা দেখার পরেও অযৌক্তিক এই বিমানবন্দর তৈরির চেষ্টা করা মুর্খতা ছাড়া আর কি হতে পারে। সমস্যা হচ্ছে এই সূযোগে লাভবান হবে বিনপি আর জামাতের মত দলেরাই।

আড়িয়াল বিলের মানুষদের পাশে এসে দাড়ানোর জন্য ব্লগ মাধ্যমকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই। ব্লগ মাধ্যম এখন প্রিন্ট মিডিয়া থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী যেটা "মেহেরজান" ইস্যুতে দেখা গিয়েছে। তাই আড়িয়াল বিলের ঘটনাতেও ব্লগ মাধ্যম একটি অগ্রগামী ভুমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। ব্লগে ব্লগে তাঁদের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করি।

সরকার এই বিমানবন্দর নির্মাণের চিন্তা হতে সরে আসবে সেই কামনা করি।

অসাধারণ লিখেছেন ভাই, খুব মিস করছি ডঃ হুমায়ুন আজাদ কে।

যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের আদৌ সম্ভাবনা নেই, যে পরিকল্পনার কোন বাস্তব রূপরেখা তৈরী হয়নি, সেরকম স্বপ্ন ও পরিকল্পনাগুলো ব্যাপক সন্দেহজনক। সরকার প্রধান নিজেও কি জানে এরকম অবাস্তব পরিকল্পনাগুলো সরকারের ইমেজকে কতোটা হাস্যকর করে তোলে?

এই প্রজেক্ট অনেকের জন্য কামধেনু। ভালোমতো বাধা না আসলে সরকার মনে হয় সরে আসবে না।

কোন ভাবে এই প্রজেক্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী জনমত গড়ে তোলা যায় না?

লেখায়

বঙ্গবন্ধু'র নাম ভাঙ্গাইয়া আর কতোরে ভাই...

"সাধু এ্যাবের মর্মর মূর্তিকে মালীর ঘামে ভেজা ফুলের তোড়া দিওনা, নিহত লোকটি লজ্জায় ঘৃণায় আত্মহত্যা করবে"।

"সাধু এ্যাবের মর্মর মূর্তিকে
গণতন্ত্র আর মানবতার জন্যে মালীর ঘামে ভেজা ফুলের তোড়া দিওনা
নিহত লোকটি লজ্জায় ঘৃণায় আবার আত্মহত্যা করবে"...

নতুন বিমানবন্দর করার ব্যাপারে আমার অবস্থান হ্যাঁ-বোধক ছিলো। সচল জাহিদ ভাইয়ের এক পোষ্টে আমি সেটা জানিয়েওছিলাম। আমার ধারণা ছিলো সম্ভাব্য সবগুলো বিকল্পের (ত্রিশাল, গাজিপুর, আঁড়িয়াল বিল ইত্যাদি), অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ইআইএ, সোস্যাল ইম্প্যাক্ট স্টাডি, এবং জনগনের মতামত ইত্যাদি সবকিছু বিবেচনা করেই হয়তো আঁড়িয়াল বিলকে বেছে নেয়া হয়েছে। কিন্তু হায়! ফিসিবিলিটি স্টাডি বিনা এতবড় একটা প্রকল্প পাশ হবে এটা আমার মাথাতেই আসেনি। ফিসিবিলিটি স্টাডি যাই বলুক, এতগুলো মানুষ যেখানে বিরোধিতা করছে সেখানে প্রকল্প বাতিল করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকতে পারে না।

আঁড়িয়াল বিল প্রকল্প বাতিল করা হোক।

হায়!

কিস্যু বলার নাই...

কবিতাট অসম্ভব প্রিয়।

আরেকটা কথা: বানানটা আগে আমিও ভুল করতাম। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ

নজরুল ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আড়িয়াল বিল আমার জন্ম স্থানের খুব কাছে। এতো সুন্দর বিল বাংলাদেশে আর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। এখানে কি নেই? ধান, সজ্বি, মাছ, শাপলা-শালুক, নির্মল বাতাস, রবি শস‌্য, সোনালী আঁশ, দেশীয় মাছের অঢেল সম্ভার, বর্ষা মৌসুমে পাল তোলা নৌকা সব পাবেন। সবুজ শ্যামল এই সুন্দর বিলটাকে কেন ইট পাথরে ভরতে চায় আমি বুঝতে পারছি না। একটা মানুষের খেয়াল খুশীকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে কেন হাজার হাজার মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? কে দিবে এর উত্তর? এই কি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে! এই কি বদলে যাবার ধরন! চাই না এই রকমের দিন বদল। আমার সবুজ-শ্যমাল খোলা মাঠ ঢেড় ভাল।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

"চৈত্রী"