মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবেশক আশীর্বাদ চলচ্চিত্র "মেহেরজান" সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামিয়ে নেন। তার পর থেকেই পরিচালক এবং তার কলমবাজ বাহিনী শুরু করেছে মিথ্যা সব অপপ্রচার। শিল্পকে শ্বাসরোধ করার ফ্যাসীবাদী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন কেউ, কেউ প্রতিবাদ করছেন মেহেরজানকে নিষিদ্ধ করার, মানববন্ধন করছেন!
গতকাল টিএসসিতে চারটি ফিল্ম সোসাইটির আমন্ত্রণে যে গোলটেবিল বৈঠক হলো, সেখানে বলা হলো ‘মেহেরজান ছবিকে নিষিদ্ধ নয়, এর চূড়ান্ত বিচারের ভার দর্শকদের হাতে দিতে হবে।’ [সূত্র: প্রথম আলো]
"নিষিদ্ধ" তকমা দিয়ে এই অপপ্রচারটি করা হচ্ছে কার স্বার্থে?
এর চূড়ান্ত বিচারের ভার দর্শকের হাতে দিতে কে নিষেধ করেছে? "মেহেরজান"কে তো কেউ নিষিদ্ধ করেনি! এর পথ সবসময়ই খোলা। সিনেমা বাজারে চালাতে পরিবেশক খুব গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ না। প্রযোজক নিজেই চলচ্চিত্র রিলিজ দিতে পারেন। আশীর্বাদ চলচ্চিত্র অস্বীকার করলে বিকল্প পরিবেশক না খুঁজে অযথা কেন এই অপপ্রচার?
পরিবেশক নিজেকে সরিয়ে নিতেই পারেন, প্রযোজক নিজ দায়িত্বেই অন্য পরিবেশক খুঁজে নেবেন, এটাই নিয়ম। সিনেমা চলাকালে অভিনেতা/অভিনেত্রী বদলে যায়, প্রযোজক বদলে যায়, এমনকি পরিচালক বদলে যাওয়ার পরেও সিনেমা চলে। পরিবেশক সেখানে খুবই গৌণ একটা ব্যাপার। অথচ এখানে এটাকেই বড় করে দেখানো হচ্ছে! কেন?
মূল কথা এটাই যে, এই সিনেমাটি কোনো প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ প্রদর্শন করতেই রাজী না আর। কারণ দর্শক এটি বর্জন করেছে। মেহেরজানওয়ালারা বলছেন দর্শকপ্রিয়তার কথা, তাদের কাছে অনুরোধ করবো টিকিট বিক্রির হিসেবটায় একবার চোখ বুলাতে। এক সপ্তাহে কয়টা টিকিট বিক্রি হয়েছে এই সিনেমার? দর্শকপ্রিয়তা বলতে স্টার সিনেপ্লেক্সে কিছু দর্শকের কথা তারা বলছেন, স্টার সিনেপ্লেক্স হাউজফুল হলেও সে মাত্র ২৮০টা সিট। যা বলাকা অভিসার বা মনিহারের ডিসির সিট সংখ্যার সমানও না। সারাদিনে ২০/৩০ জন দর্শকও হয়নি হলগুলোতে, তারা কেন চালাবে?
টিকিট বিক্রির হিসেবটা দেখলেই তারা বুঝতে পারবেন যে এই সিনেমাটি দর্শক বর্জন করেছে। কেউ নিষিদ্ধ করেনি। বাতিল একটা সিনেমাকে নিষিদ্ধের তকমা পরিয়ে জাতে তোলার এই হীন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করছি।
পারলে আবার মুক্তি দিন, দর্শক আবারো বর্জনই করবে এই সিনেমা।
পরিচালক এবং তার কলমবাজ বাহিনী বলছেন পরিবেশকের ওপর নাকি উপরমহলের চাপ ছিলো সিনেমাটা নামিয়ে নেওয়ার জন্য! একই সঙ্গে বলছেন দর্শক ছবিটি গ্রহণ করেছে, ইতিহাসবোদ্ধারা প্রশংসা করেছেন, কেউ প্রতিবাদ করেননি, শুধু কিছু লোক যারা ব্লগে "আজাইরা" লেখালেখি করে, তারাই এর বিরোধীতা করেছে।
ব্লগের কেউ উপরমহলে চাপ দেওয়ার ক্ষমতাধর না বলেই জানি, এরা আদতেই আজাইরা। এই আজাইরা লোকগুলো ছাড়া বাকী সবাই যদি আপনার সিনেমায় মুগ্ধই হয়ে থাকেন, তাহলে উপর মহলের চাপটা কোত্থেকে এলো? আমরা তো বরঞ্চ জানি উপরমহলে আপনার ক্ষমতাই বিরাট।
এতো এতো বোদ্ধা, উপরমহল, দর্শক সব হেরে গেলো ব্লগের কিছু আজাইরা লোকের কাছে! কেন জানেন? কারণ এরা সত্যটা বলে। নিজেদের পেশাগত ব্যস্ততা, পারিবারিক সামাজিকতাকে পাশে সরিয়ে রেখে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা যে সময়টুকু "নষ্ট" করেন, তা কোনো লাভ বা লোভের জন্য না, প্রাণের জন্য করেন, দেশকে ভালোবেসে করেন।
মন্তব্য
খুব ভাল লিখেছেন। -রু
দারুণ গোছানো এই লেখাটার জন্য সাধুবাদ। নিষিদ্ধ তকমাটা বেশ লাভজনক, তসলিমা নাসরিনের বই ব্যান করে প্রকারন্তে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল কিছু গর্দভ। এখানে নিষিদ্ধ না করলেও সেই মার্কেটিংই চলছে। ছবিটা আর কেউ না চালালে ডিভিডি করেও ছাড়া যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই ছবি আগেও কেউ চালাইতো বলে মনে হয় না, নেহায়েত মন্ত্রীর মেয়ে বলে কেউ না করতে পারে নাই...
যারা এর পক্ষে লড়ে যাচ্ছে বেশিরভাগই শেকড়ে বাকড়ে এই সিনেমার সংশ্লিষ্ট লোক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন্ত্রির মেয়ের সিনেমা নামাতে উপরমহলের চাপ!
এই ইতিহাসবোদ্ধাদের দুইএকজনের নাম জানতে পারলে বিমলানন্দ পেতুম। প্রাতঃস্মরণীয় করে রাখতুম।
দর্শকদের শতস্ফুর্ত বর্জনকে তারা এখন "নিষিদ্ধ" তকমা দিচ্ছে! গরু হারালে শুনেছি লোকে বউকে মা ডাকে আর মেয়েকে বোন ডাকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তাদের নাম মুখে নিলে তো বিপদ... বিরাট বিরাট নাম সব... একটু চোখ কান খোলা রাখেন পাইবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ও বুঝছি, তেনারা তো ভাসুর, নাম মুখে লইলে আবার গুস্তাকি না হইয়া যায়। আপনাগো লইয়া চিন্তায় আছি নজরুল ভাই, মন্ত্রীর মাইয়ার, লেজেহোমোর ভাগ্নীর ছিনিমা লইয়া লাগছেন, 'পোঁদচর্ম' খুইলা না লয়।
মনে আছে আপনার নজরুল ভাই, অনেক বছর আগে মাদামের ছোটমামা তার বড়োমামারে গাড়ির মধ্যে গুল্লি দিছিলো?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চিনামাটির তশতরিতে করে পরিবেশন করলেও গু গু-ই থাকে, সন্দেশ হয়ে যায় না। সেই গু কমোডেই ফ্লাশড হয়ে যায়। এর ওপর গোলাপজল ছিটিয়ে শসার টুকরা গুঁজে কাঠি-কাগজের ছাতা টাঙিয়ে পরিবেশন করলেও এর গন্তব্য শেষ পর্যন্ত কমোড। পয়সা ছিটিয়ে কিছু সময়ের জন্য কতিপয় ফারুক গুয়েবাড়া আর ফাকমিদুল হকদের দিয়ে এই গুয়ের মধ্যে ভিটামিনাছে মিনারেলাছে এইসব বক্তিমা আদায় করা যায়, কিন্তু পাবলিককে এত ভোদাই ভাবা ঠিক না। গু খাওয়া নিষিদ্ধ নয়, তারপরেও তো লোকে গু খায় না। মেহেরজান এমনই এক টুকরা গু, কিছু রামছাগলের মলদ্বার ফেড়ে বের হওয়া, গোলাপি ধোঁয়াওঠা গু। কাজেই পাবলিক একে কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। এই সত্য মেনে নিয়ে মেহেরজানের টিমের কুশলীরা আগামী ছবি ইতিহাস ও বর্তমানের প্রতি সৎ থেকে কাজ করলে মেহেরজান নির্মাণের স্টিগমা থেকে মুক্তি পাবেন হয়তো। আর এই গু পাবলিকের পাতে তুলে দিতে চাইলে আজাইরা পাবলিক এসে ধরে ধরে পোন্দাবে। ইতিহাসবোদ্ধা, চলচ্চিত্র সমালোচক, ইত্যাদি বাহারি ট্যাগ লাগিয়ে সেই পোন্দানি থেকে বাঁচা যাবে না।
আপনি মহানুভব হিমু তাই এই গু-কে কমোডে ফ্লাস করার কথা বলছেন। এই গু-তো জাতে উঠে গেলো। এগুলো আমার মতে থাকা উচিত বনে বাদাড়ে, মাটিচাপায়। এর বদবু নাকে যে বড়োই গুতায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনারা দুজনেই মহানুভব, তাই "মেহেরজান"কে গু ভেবে কমোডে ফ্লাস করতে চাচ্ছেন বা বনে বাদাড়ে মাটিচাপা দেয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু এইটা পিওর মুতা, রুবাইয়াত-ই-মুতা- সহজে এর বদবু যাবে বলে মনে হয় না।
কুটুমবাড়ি
একটু ভিন্নমত জানাতে চাই। আমার মতে "মেহেরজান" কোনো গু নয় যে কমোডে ফ্লাস করবেন বা বনে বাদাড়ে মাটিচাপা দিবেন। এইটা পিওর মুতা, রুবাইয়াত-ই-মুতা- যেখানে পড়বে অপবিত্র করে ছাড়বে। ধিক্কার!
কুটুমবাড়ি
"এতো এতো বোদ্ধা, উপরমহল, দর্শক সব হেরে গেলো ব্লগের কিছু আজাইরা লোকের কাছে! কেন জানেন? কারণ এরা সত্যটা বলে"
- এই সাদা সত্য কথাটা ব্রাহ্মণমাধ্যমের লোকজন যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন ততই মঙ্গল। তাহলে উনাদের ওখানে প্রায়ই ফেব্রিকেটেড ট্রুথ, প্রপাগান্ডা আর ট্রুথ কনসিলমেন্টের যে সব ঘটনা ঘটে সেগুলোর সংখ্যা একটু কমবে।
আরো একটা ব্যাপার আছে। এই আজাইরা লোকগুলির নিজে যা বলে সেটা ডিফেন্ড করার গাট্সটা রাখে। নিজের পক্ষের লেখা ছাপিয়ে, তার প্রতিবাদ না ছাপিয়ে বা ভেতরের পাতায় ছোট করে ছাপিয়ে গা ঢাকা দেবার চেষ্টা করেনা।
"নিজেদের পেশাগত ব্যস্ততা, পারিবারিক সামাজিকতাকে পাশে সরিয়ে রেখে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা যে সময়টুকু "নষ্ট" করেন, তা কোনো লাভ বা লোভের জন্য না, প্রাণের জন্য করেন, দেশকে ভালোবেসে করেন"
- একটা বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য কথাটা কিন্তু সত্য নয়। আজকাল পকেটের চাপে অনেকেই লম্বা লম্বা ব্লগ, ফেসবুক নোট এসব লিখে থাকেন। সেখানে মন্তব্য চালাচালি করেন। এরা কিন্তু আজাইরা লোক নয়, এরা বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি-শিক্ষক-সাংবাদিক-চিত্র সমালোচক-শিল্পবোদ্ধা-সাপ-ব্যাঙ-চিল-শকুন-ব্রন্টোসরাস-টাইরেনোসরাস।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাদের সেলাম জানাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
'মরছি-মরছি চোখটা বাঁচাই...ব্লগের আজাইরা পোলাপাইন উলংগ কইরা ছাইড়া দিছেই যখন, তখন এই উলংগত্ব বেঁইচ্যাও তো কিছু ট্যাকা কামানো যায়'...নিষিদ্ধ তকমা আমদানীর এই হইলো মতলব।
- দিগন্ত বাহার
হেহে, নিষিদ্ধ নয়, দর্শক / প্রদর্শক কর্তৃক একযোগে প্রত্যাখ্যাত
'আজাইরা' ব্লগারদের উপর এরা কেনু ক্ষেপা তার দৃষ্টান্ত নজরুল ভাইয়ের এই লেখাটি -একেবারে ল্যাংটা করে দিয়েছে বালের সিনেমা মেহেরজান কে নিষিদ্ধ তকমা দিয়ে হিট করার বিপনন কৌশলকে ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
"মেহেরজান কেন নিষিদ্ধ"
আমি ভাবলাম মেহেরজানের সিক্যুয়েল বানাচ্ছে বুঝি!
লেখায় উত্তম জাঝা বেয়াই।
শুনি তারা নাকি এবার নজরুলকে নিয়ে সিনেমা বানাবে... ভাগ্যিস কাজী নজরুল হই নাই... তবে লোকটার জন্য মায়াই লাগতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তারা কারা?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রুবাইয়াত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি উদবেগের ভিতরে আছি যে এরা অসাম্প্রদায়িক-মানবতাবাদি কাজি নজরুলের জীবন নিয়ে আবার কোন রিকন্সিলিয়েশন প্রক্রিয়া শুরু করে। নজরুলের বাক্তিগত জীবনাচার এবং রোমান্টিকতা নিয়ে এদের 'খাউজানি' দেখা দিতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের নামে এরা পাকিসঙ্গম দেখায়, হয়তো রোমান্টিকতার কথা বলে এরা নজরুল (বস, আপ্নে না কইলাম!) বা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে সফট পর্ণ ফিল্ম বানিয়ে বসতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনে একটু ব্যাকডেটেড আছেন। রুবাইয়াত বা এদের সার্কেলের লোকজনেরা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে সিনেমা বানাবে না। বানালেও রবীন্দ্রনাথরে ভিলেন বানিয়ে তারপর একটা লেজেগোবরে ডিকনস্ট্রাকশন হাজির করবে। এর থেকে তারা আল মাহমুদ বা ফররুখ আহমেদরে নিয়ে ভক্তিমূলক সিনেমা বানাতে পারে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আল মাহমুদ তো বুঝলাম, কিন্তু কবি ফররুখ আহমেদ কি দোষ করলেন এটা বুঝি নাই।
-রু
তা আমি এট্টু ব্যাকডেটেডই আছি, নো ডাউট। তাইতো একাত্তর থেকে আরও পিছনের দিকে গেছি। তবে রুবাইয়াত এক পাকিসঙ্গমে যে অর্গাজম খাইছে তাতে আমার মনে হয়না যে সহসা আর কাউরে নিয়ে কোনও ভক্তিমূলক সিনেমা বানাবে।
আপনারে স্পেশাল থ্যাংকস, যে লিংক দিছেন, অনেক তথ্য পেলাম। বুঝতে পারলাম অনেক খেটেখুটে লেখাটা বানাইছেন। এগুলো দরকার আছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আর সেখানে দেখানো হবে নোবেল পাবার কথা নজরুলের কিন্তু ভিলেন রবীন্দ্রনাথ ষড়যন্ত্র করে নজরুলকে ঔষধ বা বিষ মারফত পাগল করে নিজে নোবেল হাতিয়েছে আর এভাবে নোবেল বেহাত হয়েছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
রবীঠাকুর জাদুটোনা কইরা কাজী নজরুলরে বোবা বানাইছে- এই রূপকথা তো এই দেশে প্রাচীণকাল থেকেই প্রচলিত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অথচ নজরুল অসুস্থ হন(১৯৪২) রবীন্দ্রনাথের প্রয়ানের পর (১৯৪১)।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এবাদুড়কে দিয়ে স্ক্রিপ্ট লেখালে দেখা যাবে মৃত্যুর আগে পাষণ্ড রবি নজরুলকে এক বছর পর ঘা মারে এমন কোনো জড়িবুটি পিলিয়ে যায়। তারপর নিশ্চিন্তে চোখ বোঁজে। ওদিকে এক বছর পর জিন্সের প্যান্ট আর টিশার্ট পরা নজরুল আচমকা সেই জড়িবুটির ঘায়ে কাহিল হয়ে বিছানা নেয়। বালুচিস্তানের জনৈকা তরুণী নজরুলের সেবাশুশ্রুষা করে তাকে জানে বাঁচিয়ে দেয়।
এবং সেই স্ক্রিপ্টকে ডিফেন্ড করতে উত্তরাধুনিক ছাগুরা বালছাল প্রসব করবে ব্লগে -ফেসুবকে নোটে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সিনামাখানার নাম হবে "নজলুল"। কাজী নজরুলের লুলজীবনের সত্য ঘটনা নিয়ে তৈরি হবে সেই ছবি।
পরে সেটা ডিকন্সট্রাকশন আর রিকন্সট্রাকশনের প্যাঁচে পইড়া "নজভুল" হয়ে যাবে না তো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
Any publicity is good publicity.
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নিগৃহীত শিল্পবোদ্ধা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চাচ্ছেন রুবাইয়াত। ব্যবসা নয়, তার লক্ষ্য গুডউইল।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দুষ্ট লুকেরা গুডউইল লেখতে গিয়ে ভুল করে মাঝে মধ্যে গুউইল লিখে ফেলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বালাই ষাট! ও জিনিশ নিষিদ্ধ হবে কেন? নিষিদ্ধ হওয়ার জন্যও যোগ্যতা লাগে। হুমায়ূন আজাদের 'নারী' নিষিদ্ধ হয়েছিল, কারণ গ্রন্থটির ক্ষমতা ছিল মৌলবাদীদের অন্ধবিশ্বাসকে ধাক্কা দেওয়ার। রাস্তায় স্বল্পবসনা নারী দেখলে আমাদের আগ্রহ জাগে, সেই আগ্রহকে সামাজিক প্রয়োজনে দমাতে প্রকাশ্যে নারীর স্বল্পবসন নিষিদ্ধ করার দায় বোধ করতে পারে অতি সংরক্ষণশীল কোনও কর্তৃপক্ষ, কিন্তু রাস্তায় সম্পূর্ণ উলঙ্গ নারী দেখলে আমরা আগ্রহ বোধ করার বদলে বিবমিষা বোধ করি, কোনও কর্তৃপক্ষও তাকে ঘাঁটায় না। কারণ আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারি এ নারী যৌনাবেদনময়ী নয়, উন্মাদ। উন্মাদকে কেউ নিষিদ্ধ করে না, প্রত্যাখ্যান করে। 'মেহেরজান' জনারণ্যে চলা এক উলঙ্গ নারী, রুবাইয়াতের মতই নির্লজ্জ, উন্মাদ, অকিঞ্চিৎকর। বাঙালি একে প্রত্যাখ্যান করেছে এর পাকি ফাক-ফ্যান্টাসির নগ্নতা টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। বিবমিষায়, ঘৃণায়। 'মেহেরজান' নিষিদ্ধ হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। যারা এর সপক্ষে কণ্ঠ চড়াচ্ছে, তারা রাস্তাঘাটের উলঙ্গ নারীলোলুপ। যারা বেশ্যার কাছেও পাত্তা পায় না, তারাই রাস্তায় চলা উন্মাদ উলঙ্গ নারীকে দেখে যৌনতৃষ্ণা মেটায়।
'মেহেরজান'কে কেন্দ্র করে যে দুটো পক্ষ যুঝে যাচ্ছে, তাদের অবস্থান নিয়ে কোনওই অস্পষ্টতা নেই। তথাকথিত এই চলচ্চিত্রের স্বপক্ষে যারা মাথার পাগড়ি খুলে কোমরে বেঁধেছে, তারা এদেশের কেউ নয়। তারা পাকিস্তানের জারজ, যুদ্ধাপরাধীদের সহোদর। এদের বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই আমি। যতদিন তারা এই বাঙালি ও বাংলাদেশবিরোধী শিল্পপণ্য বাজারজাত করার চেষ্টা করবে, ততদিনই আমরা তা প্রতিরোধ করে যাব।
বাকস্বাধীনতার নামে আমার চাক্ষুষ ইতিহাসের মাথায় কেউ মিথ্যার মল ঢেলে যাবে, তা হবে না।
নিতান্তই গেরস্ত মানুষ, চারপাশে কেবল
শস্যের ঘ্রাণ পাই।
বাকস্বাধীনতা জিনিসটার অর্থ বুঝি না...
তারা একটা সিনেমা বানাইলো, লোকজন সেই সিনেমার বিরুদ্ধে কথা বললো, চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখায়া দিলো এই সিনেমা কেন খারাপ, কেন এটা বর্জন করতে হবে। এটাকে তারা চিহ্নিত করলো ফ্যাসীবাদ হিসেবে। তাদের শিল্পস্বাধীনতা আর বাকস্বাধীনতা নাকি ধ্বসে গেছে।
তো কী করতে হবে? যা খুশি তাই বানাবে আর তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যাবে না? প্রতিবাদ করা যাবে না? নাকি শুধু তাদেরই বাকস্বাধীনতা থাকবে আর আমাদের মুখে কুলুপ?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রুবাইয়াত হোসেনের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তার কথাতে স্পষ্টভাবে দুই রকম ধারা বিদ্যমান। একবার সে বলছে "ব্লগে আযাইরা লেখালেখি করে সময় নষ্ট করা" কিছু ছেলেপেলে মেহেরজানের বিরুদ্ধে কথা বলছে, বাকিরা সবাই একবাক্যে মেহেরজানের গুণকীর্তণে মহাব্যস্ত। আবার বলছে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের উপর মেহেরজান নামিয়ে নেয়ার জন্য "চাপ ছিলো"।
তো এখন কথা হলো, এই চাপ'টা দিলো কে বা কারা? "বাকি যারা মেহেরজানের গুণকীর্তণ করছিলো"- তারা? নাকি ব্লগে আযাইরা লেখালেখি করে সময় নষ্ট করনেওয়ালারা?
যদি ব্লগাররাই করে থাকে, তাইলে তো তাঁদেরকে আর আযাইরা লেখালেখি করে সময় নষ্ট করা পোলাপান বলা যায় না ম্যাডাম, নাকি!
আর যদি, মেহেরজানের প্রশংসা করা জনগোষ্ঠীই এই চাপ দেয়ার কাজটা করে থাকে তাহলে এইবার উপলব্ধি করা দরকার রুবাইয়াতের। সে কতোটা বাকওয়াজ সিনেমা বানিয়েছে যে তার মেহেরজানের পক্ষের লোকেরাই আর এটা চলুক, চায় না।
এখানে সেখানে 'আজাইরা' নাঁকি কান্না না কেঁদে বাস্তবতা মেনে নেয়া ভালো। মেহেরজানের মতো একটা পিউর বুলশিটকে নিষিদ্ধ করার কোনো প্রয়োজনই পড়ে নাই। বাংলাদেশের মানুষ ভুদাই না যতোটা ভুদাই রুবাইয়াত আর তার কলমবাজ বাহিনী মনে করে। এই বালছাল দেখে নষ্ট করার মতো সময় আর টাকা বাংলাদেশের মানুষের কাছে নেই। 'নিষিদ্ধ' আর 'বর্জন' এক কথা নয়। এটাকে গুলিয়ে ফেলে রাজনীতি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করাই বোধ'য় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি সেই লোকগুলারে খুঁজতেছি যারা মন্ত্রির মেয়ের সিনেমা হল থেকে নামায়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, বোদ্ধাদের প্রশংসাধন্য সিনেমা হল থেকে নামায়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, সেন্সরড সিনেমা নামায়ে দেয়, কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বাণিজ্যের বিপক্ষে বিনা পয়সায় জিতে যায়... অথচ তারা আজাইরা লোক...
আপনি পাইলে আমার পক্ষ থেকে তাদেরকে একটা কদমবুসি জানায়েন তো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ব্লগ যে ক্রমেই বিকল্প সত্যনিষ্ঠ গণমাধ্যম হয়ে উঠছে সেটা ঠিকই টের পাওয়া যাচ্ছে, অভ্র-বিজয়ের পরে এটি। আর কতোকাল বুড়োখোকারা অনলাইন শক্তিকে "আইজরা" বলে গলাবাজি করবেন সেটা দেখতে চাই।
মেহেরজানের দুরাবস্থা দেখে আশা করি বরাহদল শিক্ষা নিবে যে মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি চেতনা, সংস্কৃতি মজা করা বিষয় না। আমার তো মনে হয় রুবাইয়তের শাস্তি হওয়া উচিত, অবমাননার দায়ে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আরব বিশ্বের বিপ্লব দেখেও এরা টের পায় না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রুবাইয়াত টের না পেলেও কিংবা জেনেও রাগান্নিত হবার কারণে তাচ্ছিল্য করলেও তার পক্ষের ভাড়াটে কলমবাজরা ঠিকই জানেন অন্তর্জালের গুরুত্ব ও শক্তি । এই বুদ্ধত্ব আছে বলেই তাদের সবারই ব্লগ, ফেসবুক, ইফোরাম সব জায়গায় একাউন্ট আছে । উপরে পান্ডবদা বলেছেন -
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আজাইরাগুলো কত শক্তিশালী চিন্তা করছেন?
ভালো লিখছেন নজরুল ভাই , গোছানো জিনিস।
অলস সময়
আমার মনে হয় অধিক শোকে পরিচালকের মাথা খারাপের মত হয়ে গেছে!
আরেকটা ব্যপার এই সুযোগে বলতে চাই, গতরাতে দেখলাম মেহেরজানের নায়ক তার ওয়েবসাইটে দাবী করেছে মেহেরজান সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মাথা খারাপ না, জাতে মাতাল তালে ঠিক... সে ঠিকই জানে সে কী করতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একদম খাঁটি কথা বলেছেন ।
হ্যাটস অফ টু ইউ নজরুল ভাই।
যা বুঝলাম - দর্শক ছবিটি গ্রহণ করেছে, ইতিহাসবোদ্ধারা প্রশংসা করেছেন, কেউ প্রতিবাদ করেননি। বোদ্ধারা এর পক্ষে কলম ধরেছে। ছবির পেছনে পিএইচডি-ক্ষমতা-টাকা সবই আছে। আমরাও কত কিছু শিখলাম- ইতিহাসের ডিকনস্ট্রাকশন, রিকনস্ট্রাকশন, ন্যারেটিভ, কাউন্টার ন্যারেটিভ। এর মধ্যে অনিন্দ্য, শুভাশীষের মত পোলাপাইন আজাইরা লেখালেখি কইরা ছবিটার কী-জানি-কী করে দিল... নাহ্। চরম দুঃখের কথা।
অনিন্দ্যশুভাশীষআনন্দী ত্রয়ীর যাবজ্জীবন ফাঁসী চাই
এরাই যতো নষ্টের গোড়া... নাইলে কী সুন্দর ঝিলিমিলি প্রেম চলতেছিলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মেহেরজান ট্যাগ লাগান, কুইক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পোস্ট এডিট করতে পারছি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
টাইটেল এমন হলে ভালো হোতো
আবর্জনা মেহেরজান: 'নিষিদ্ধ' নয়, 'বর্জিত'
তাইতো বলি! একটু কনফিউজড হয়ে গেছিলাম। 'মেহেরজান' আবার নিষিদ্ধ হলো কবে!
আমিও নজরুল ইসলাম ভাই এর সাথে একমত
।@রাতঃস্মরণীয়
-----------------------------------------------------------
Lover of Sadness| Sad Songs
সব আজাইরা।
ফাডায়েলছেন নজু ভাই।
ব্লগ, ফেইসবুক, অন্তর্জালের শক্তি যারা এখনো টের পায় নাই তাদেরকে মিসর, তিউনেসিয়ার দিকে তাকাতে বলি। দেশেও এরকম একটি জোয়ার আসা দরকার। এই বাল/ছাল রাজনীতিবিদ গুলোরে খেদিয়ে এখন এই আজাইরাদেরকে দিয়েই দেশ চালাতে দেওয়া উচিত।
IMDB এর external review তে এই লেখাটা প্রস্তাব করেছিলাম, অ্যাক্সেপ্ট করেছে।
শুভাশীষ, বুনোহাঁস ও অন্যান্যদের আরো তথ্যবহুল রিভিউগুলো ওখানে শেয়ার করা যায়। এক্সটার্নাল রিভিউতে ফাহমিদুলদের অর্ডারি মিথ্যাচারই বেশি, কিছু জেনুইন জিনিসও সেখানে থাকা দরকার। [একজনে একটা করে রিভিউ ওখানে প্রস্তাব করেন, যাতে আবার স্প্যামিংয়ের ধারায় না পড়েন।]
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ বলাইদা...
সত্যিই অন্যগুলোও প্রস্তাব করা জরুরী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিডিনিউজের গোল টেবিল বৈঠকের শুরুতেই কিন্তু প্রদর্শক হাবিবুর রহমান জানাইছে যে টিকিট বিক্রি হয় না বলে এমনিতেই অন্য হলগুলো নামায়া দিতে চাইছিলো।
শুধু সিনেপ্লেক্স ছাড়া আর কোনো হলেই ছবিটা চলে নাই।
সঞ্চালক ব্রাত্য রাইসু সেদিকে আর আগাইতে দেয় নাই, নামানোর অন্য কারণগুলারে নিয়া জেরা করা শুরু হইলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন