গত রাত থেকেই উৎসবের শুরু। দল বেঁধে আজ খেলা দেখবো সবাই। গ্যালারিতে ভুভুজেলা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু আমাদের তো কোনো নিষেধ নাই। স্পর্শ নিয়ে এলো হলুদ এক ভুভুজেলা। ভারতের ভুভুজেলা বাজিয়ে দিতে হবে আজ। আশরাফ আর আমি গিয়ে বাজার করে আনলাম। গরুর মাংস আর ভূনা খিচুরী। বস্তা ভরে চিপস চানাচুর মুড়ি আনা হলো। কোক আনা হলো লিটারে লিটারে।
শুধু কি সাকিবদের খেলা? আজ কি আমাদের কোনো দায়িত্ব নাই? সেই দায়িত্ব পালন করেই চলছি। হৈ চৈ করে খেলা দেখা চলছে। কিন্তু খেলার এই পর্যায়ে এসে সবার মোটামুটি ঘুম ঘুম ভাব। নো উইকেট নো আনন্দ
যাহোক, আমরা আমাদের দায়িত্বে কোনো ঘাটতি রাখছি না। দল বেঁধে একদল সচল খেলা দেখছি, আসছে আরো অনেকে। এখন সাকিব তামিমরা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকমতো পালন করলেই হয়...
ভাবলাম পোস্ট দিলে যদি একটা উইকেট পড়ে... উইকেটের অপেক্ষায়... প্রার্থনায় বাংলাদেশ
আর কী কমু...এখন হয়রানের নেতৃত্বে আমরা কয়জন সুর করে দ্বীনের নবীরে ডাকি... একসময় সবাই থেমে যায়...হয়রান হয়রান হয় না...
এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং... মাত্রই জুনায়েদ আউট হলো! আড্ডারত আমরা প্রথমে টের পাইনাই কী হলো...আশরাফের চেচানিতে যখন সবাই ফিরে তাকালো ততক্ষণে থার্ড আম্পায়ার ঘোষণা দিয়ে ফেলেছে...
আবার আপডেটাই...
মাঝখানে সবাই ঘুমায় গেসিলাম... দুঃখে ঘুমের মাঝেও ফয়সাল ভাইয়ের চোখের কোণায় পানি দেখলাম... ও আচ্ছা বলাই হয় নাই আমরা কে কে আছি। আগেই বলে রাখি আমি দুষ্ট বালিকা, আপাতত আপডেট আর খিচুড়ি রান্নার দায়ীত্বে আছি। খিচুড়ি অবশ্য একা আমার ক্রেডিটে না... মেয়েদের কাছে ভিরু আর ছেলেদের কাছে তানভীর বা স্পর্শ নামে পরিচিত এক নবীন বিজ্ঞানীও এই রান্নাক্সপেরিমেন্টে আমার দোসর!
এখানে মানে দি গ্রেট নজু-নূপু-নিধি মানে ন পরিবারের নতুন বাসায় বর্তমানে অবস্থানরত সচল-অচল-হাচলেরা হলো... রোয়েনা-সুহাস দম্পতি, হয়রানাবির, ভিরু, সিম সিম সিমন, রেজওয়ান ভাই, বিখ্যাত ফটগফুর ফয়সাল্মাসুম, নির্জনে সাক্ষররত আশরাফ, লেখিকা রুম্পাপু আর আমি চিরকালের দুষ্ট বালিকা!
গতকাল রাতে আশরাফ-নজু-আমি মিলে যখন এই গন সম্মেলনের লিস্টি বানাচ্ছিলাম তখন নাম ছিলো ষাট জনের আর ধারণা ছিলো অন্তত ২৫ জন আসবেই। সে অনুযায়ী একেবারে ফুল প্রুফ লিস্টিং আর করণীয় কার্যাবলীর সেরাম লিস্টি করা হলো পাগলা পানি পানের সাথে সাথে। শেষমেশ যখন ঘুমাতে গেলাম তখন পাখিরাও ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে ইন্টারমিশনে গেছে। অবধারিত ভাবে উঠতে উঠরে বেলা বারোটা, তারপরে ফোন করা শুরু আর তার ফলাফল এই ক'জনের সমাবেশ। আশানুরূপ সংখ্যক চিক্কুর পার্টি না আসলেও মজা আসলে কম হচ্ছেনা। খাবার দাবারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আসলে চেচানির চেয়ে খানাপিনায় বেশী হচ্ছে, তয় তাতে কী? চার-ছয়ের সাথে সাথে উদ্দাম নাচানাচিও কম হচ্ছেনা! সত্যি! বিশ্বাস না হলে চারতলার পাব্লিকরে জিগান! এই যে মাত্রই হয়রানাবির বিশাআআআল এক জাম্প মেরে আশুকে টপকায় গেলো। আর এখন তামিমের ছয়ের সাথে সাথে সবার লম্ফ-ঝম্পে বেচারা নিধি দিলো এক তুমুল চিৎকার! পার্টি এখন তুঙ্গে... মঞ্চে এখন পাগলা পানির প্রবেশে সবার দুনিয়া এখন রঙ্গীলা! বাঘেরা, আমাদের খুশি করে দে!
আবারও... আরেকজনের পতন...এবারে আক্ষরিক অর্থেই সবাইকে দুঃখ দিয়ে তামিম... তাও... আনন্দম... বাংলাদেশ জিতুক বা হারুক অন্তত এটুকু বলবোই যে আমাদের বাঘেরা খেলতে জানে...
একেকটা করে চার মারে আমাদের মুশফিক আর সাকিবে আর আমরা কোনও চান্স এ না যেয়ে ক্রমাগত চিৎকার করে যাই... এইবারে সাকিবের হাফ সেঞ্চুরিতে একটু একটু করেই হোক না হোক চিয়ারফুল ক্রিকেটপ্রেমিরা আনন্দোল্লাস করলাম। আবার চার আবার চিৎকার। মাঝে রুম্পুর অনুযোগ, ও দেখলে নাকি খেলায় বাংলাদেশ লাড্ডুগুড্ডু হয়। থাক বাবা রুম্পু...তুমি নাহয় পরে হাইলাইটস দেইখো! রুম্পু পাশের রুম থেকে আবারও এলো আর পর পর সাকিব আর মুশফিক, দুইজনেই টাটা বাই বাই... এইবারে গেলো রিয়াদ... রুম্পাপুউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউ...যাআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআও!
আপডেট চলিবে...
মন্তব্য
একটু আগে মিলাদ মাহফিল হয়ে গেলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সাথে আছি .................................................। আবার চান্দা দেওন লাগবে নাকি?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বিরাট এখন বিচিন্তায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার একটু আগে দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটাই কপি পেস্ট করে দেই -
বোলারদেরকে ধরে যত্ন নিয়ে মাথায় মমতার হাত বুলিয়ে, পাখার বাতাস করে, চা-পানি-বিস্কুট খাইয়ে বলতে ইচ্ছা করছে, "বাছারা, অত অস্থির হইও না! শান্ত হয়ে স্ট্র্যাটেজি ঠিক রেখে খেলে যাও। হারো, জিতো, ভালো খেলা দিয়ে কথা, আমরা আছি তোমাদের সাথে সবসময়েই।"
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আল্লার নাম নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই [হাউমাউ করে কান্নার ইমো]
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কান্না আসতেছে। কালকে এমনিতেও বিখাউজ একটা অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন আছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এই খেলা জিতা এমনিতেও সহজ ছিল না। কিন্তু টস জিতা ফিল্ডিং নেওয়ার মাজেজা একেবারেই বুঝলাম না।
অজ্ঞাতবাস
ঝড় বৃষ্টিতে খেলা পরিত্যাক্ত হবার আগমুহূর্তে শেবাগের মাথায় ঠাডা পড়ুক
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঘ্যাচাং
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আরে রাখেন মিয়া। এখনো হাল ছাড়ি নাই!
--------------------------
অনঘ
এখন ইন্ডিয়া ৩৪০-২/৪৬ ওভার। আপাতত সকল প্রকার অনুভূতির উর্ধেব। যাই হোক, বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমকে ভালবাসা জানাই। -রু
ধুর, টসের সিদ্ধান্তটা যদি বদলানো যাইত
রুবেলকে চরম নার্ভাস মনে হচ্ছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হই হই, শেবাগ আউট হইসে সাকিবের বলে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শেবাগের আউটও কোনো আনন্দ দিতে পারলো না
ভুভুজেলা চুপ করে গেছে
একজন দর্শক ঘুমায়া পড়ছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যাক, তবু ৪০০ হইলো না
এবার অপেক্ষা কতো রানে হারবো তা জানার জন্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি আশাবাদীর চুড়ান্ত! এখনো জিতে চাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইন্ডিয়ার ইনিংস থেকে আমাদের পজিটিভসমূহ:
১। শেভাগকে ২০০ রান করতে না দেয়া।
২। ইউসুফ পাঠানকে ছক্কা মারতে না দেয়া।
৩। মুশফিক একটি ক্যাচ নিতে পারা।
৪। টেন্ডুলকারের মতো বিশ্বজয়ী ব্যাটসম্যানকে সেঞ্চুরি করতে না দেয়া।
আরো আসছে ...
সংযোজন:
৫। ইন্ডিয়াকে মাত্র ৩৭০ রানে বেঁধে ফেলা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিশ্বকাপে দুয়েকটা বাজে ম্যাচ শুরুর দিকে খেলাই ভালো, শেষের দিকে না খেলে। পাকিস্তান আর ভারতের সাথে ম্যাচ দুইটা খেলোয়াড়দের একটু মাটির স্বাদ নেয়ার সুযোগ করে দেবে। পরের ম্যাচগুলোতে আরো ইন্টেলিজেন্ট ক্রিকেট আশা করছি। টাইগারদের সাথেই আছি সবসময়। এখন ৩৭১ করার পণ নিয়ে তামিম-কায়েস-জুনায়েদ-রকিবুলদের কাছ থেকে ফায়ারওয়ার্কস আশা করছি।
এতোক্ষণে বুঝলাম ভারত কেমনে এতো রান করলো! আপনেরা মিলাদ করছেন না?
বোলাররা তো আর রিভার্স সুইং দিতে পারে নাই, আপনেগো মিলাদের কেরামতিই রিভার্স হইয়া গেছে।
মিলাদে রিভার্স সুইং মারার লাইগ্যা আপনেগো সবকয়টারে ধইরা ধইরা কইষ্যা দিক্কার!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইএসপিএন-এ সিধুর কথাবার্তা শুনে খুব বাজে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। আমরা তো সিধুকে খেলতে দেখছি। মাঠে নেমে তো বালের ডগাটাও ছিঁড়তে পারে নাই। এখন বকবকানি প্রোগ্রামে বসে মুখ দিয়ে এলিয়েন মেরে ফেলছে! শালা ফাউল কোথাকার।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিছু ফালতু রিয়েলিটি শো-তে মুখ দেখায় এ নিজেরে কেউকেটা ভাবতেসে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হাল ছেড়োনা বন্ধু শুধু কন্ঠ ছাড়ো জোরে
তামিম সাকিব দুইজনেই ছক্কা মারতে পারে।
....................................
শ্যামল
গর্জে উঠো টাইগাররা।
হারি বা, জিতি; তোমাদের সাথে আছি।
৩৭১-এর টার্গেটে এগিয়ে যাও।
প্রথম ওভারে ৮
রান রেট তো ঠিকই আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মার মার কাট কাট
হই হই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হৈ হৈ হৈ হৈ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বল এ্যাত্ত সুইং করতেসে
কী একটা আউট হইল
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইমরুলের আউট'এর জন্য দায়ী সুইং না, ফুটওয়ার্ক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তা ঠিক, কিন্তু শুরু থেকেই বেশ কিছু বিপদজনক সুইং দেখতেসি, আবার এডজ হইয়ে যায় এই টেনশানে আছি।
দোয়া করি পোলাপান যাতে মাথা ঠান্ডা রাখে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধুর
ইমরুলটা গেলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খিয়াল কৈরা খেলরে মামারা
অজ্ঞাতবাস
তামিম কি আজকে ভয়ে ভয়ে খেলতাছে নাকি? 'তামিম, ভয় পাইচ না, যা পারচ খেইলবার থাক'।
নজরুল ভাই চিপস্ কি একাই খাইবেন, ঠোঙাডা এই দিক দেন।
অনন্ত আত্মা
পটলের এক ওভারে দুই চাইর...
অনন্ত আত্মা
জুনায়েদ কী বাঁচা টা বাঁচলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধুর হালা!
আপনেরা সবটি কুফা!
এত কষ্ট করে রাত সাড়ে তিনটায় উঠলাম খেলা দেখতে। ২ ওভারে ২৪ দেখে বিদায় নিয়েছিলাম। ৩৭০ তো কমই আছে। যে যা-ই বলুক ক্রিকেটে একটু ভাগ্যও লাগে। সেরকম সহায়তা পেলে এখন যেভাবে খেলছে তাতে ভাল স্কোর হওয়া বিচিত্র নয়। ১৬.১ ওভার, ৯৯/১
মামারা তো ভালোই খেলতেছে
উইকেট টিকে থাকলে ভালোই সম্ভাবনা আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই
রানরেইট তো বেড়েই যাচ্ছে।
৪/৬ না মারলে আশা নেই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ইন্ডিয়ার ইনিংসে কোন এল বি ডাব্লিউয়ের আবেদন ছিল? আমার চোখে পড়েনি। রাজ্জাকের স্পেলে এল বি ডাব্লিউয়ের আবেদন না থাকলে কেমন জানি লাগে!
এখন বাংলাদেশ ১২০-১/২০ ওভার। দেখা যাক কী হয়।
-রু
জুনায়েদের আউট দেইখা বোঝা যায় একটা ভালো উইকেট কীপার কতটা জরুরি
অজ্ঞাতবাস
ম্যাচটা আসলে প্রথম ইনিংসেই শেষ। তারপরও ব্যাটসম্যানরা হুড়মুড় করে আউট হয় নাই। এইটাই বড় পাওয়া। ফিল্ডিং ভালো ছিল। এই ইন্ডিয়ান টিম সত্যি শিরোপার দাবিদার। বাংলাদেশ হারলেও মাথা উঁচু করেই হারবে। Well done boys. আরো ৫টা ম্যাচ বাকি। Never stop BELIEVING ....
[দরকার ৯০ বলে ১৬৫ রান]
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
বিরাট টেনশন শেষে ২৮৩ রানের আপডেট দিয়েই শেষ হলো আজকের মতো । তবুও ১৫০-এ তো অলআউট হয় নি । আলহামদুলিল্লাহ ।৩০০ হলেও হতে পারতো । এই দুঃখে একটু কাঁদতে কাঁদতে ঘুমাতে যাই ।
-অস্পৃশ্য
জুনায়েদ আর তামিমে আউট হওয়া নিয়ে কী বলা যেতে পারে, আসলেই মাঝে মাঝে ভাগ্য লাগে।
সব মিলিয়ে মোটের উপর ভালো খেলেছে মনে হয়েছে, বোলিং আর উইকেট কিপিং আরো স্কিলড হওয়া দরকার মনে হয়, কিন্তু আমি আসলে ক্রিকেটের টেকনিকাল কিছুই বুঝি না, বাংলাদেশের জন্যে হইচই করা ছাড়া। আমার ভালো লাগছে যে রানের ব্যবধানটা ১০০-এর কমে আনতে পেরেছে, আর অল আউট হয় নাই। এর পরের ম্যাচগুলোর জন্যে শুভকামনা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ব্যাটিংটা ভালোই করছে বাংলাদেশ... এতেই চলবে
টসে জিতে নিজের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারছে, খেলার রেজাল্ট নিয়া কিছু বলার নাই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
যত যাই হোক, আমি আছি টাইগারদের পিছনে । শচীন, শেবাগ যত বড় ক্রিকেটারই হোক, আমার দেশের জান দিয়ে লড়াই করা ছেলেদের জন্য অনেক অনেক ভালবাসা । খেলায় হারজিত থাকবেই (সবচেয়ে ভাল দলটিকেও হারতে হয়), কিন্তু দেশের প্রতি ভালবাসায় কোন আপোস নেই ............এগিয়ে যাও বাংলাদেশ!
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
পজিটিভ দিক এটাই, হারার আগে হারিনাই। তিনশর মাইলফলক ছুঁলে মরাল আরো খানিকটা বুস্টআপ হত। যাকগে, আবারো জোরসে বলি, দৌড়া! বাঘ আইলো...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
টসের সিদ্ধান্তটা আমার মনে হয়েছে ঠিকই ছিলো। এই পিচে অধিকাংশ সময় পরে ব্যাট করা দলই জিতেছে। বাংলাদেশেরও রান তাড়া করে জেতার অভ্যেস হয়েছে ইদানীং। ... তরুণ বোলাররা প্রথমেই চাপমুক্ত খেলাটা খেলতে পারেনি বলেই রান একটু বেশি হয়ে গেছে।
... আমি বাংলাদেশের খেলা নিয়ে একটুও হতাশ নই। উই ট্রাইড, ডিডন্ট উই ?? ...
সব মিলিয়ে খারাপ না। রানের চাপে ধ্বসে পড়েনি আমি এতেই খুশি। অনেকেই ভালো ব্যাট করেছে। অভিনন্দন তাদের। প্রথম দিকে বাংলাদেশের বোলিং তেমন ভালো হয়নি। হাফভলি বল পেলে যে কেউ পেটাবে। বাংলাদেশের কয়েক জনের কাভার ড্রাইভ ছিল দেখার মত। শাবাশ বাঘের বাচ্চারা।
আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ নিয়েই এখন ভাবা উচিত।
কয়েকটা অবজার্ভেশনের কথা বলি-
১) টসঃ
ক. এই খরখরা দিনের বেলায় ব্যাটিং না নিয়ে বোলিং নিলো ক্যান?
— সাকিব (এবং/অথবা টিম ম্যানেজমেন্ট) ডিউ ফ্যাক্টরকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। সোজা বাংলায় বললে, বাংলাদেশের বোলিং-এ মূল আক্রমন স্পিন-এ। রাত যতো বাড়তে থাকে বলে ততো ভ্যাসলিনের আস্তরণও ততো বাড়তে থাকে। স্পিনাররা বলে গ্রিপ করতে পারে না মনের মতো করে। গ্রিপ না করতে পারলে বলে স্পিনের কেরামতি দেখাবে কী করে? আর স্পিনে কেরামতি না থাকলে ভারতকে আটকানো যাবে কী করে?
খ. তাইলে ভারত কী করে বাংলাদেশকে আটকালো?
— বাংলাদেশের ব্যাটিং এর বিরুদ্ধে ভারতের স্পিনাররা কি খুব সফল হইছে?
গ. সুতরাং, কী দাঁড়াইলো?
— শুধুমাত্র ডিউ ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে টসে জিতেও ফিল্ডিং নিয়েছে সাকিব। কারণ সাকিব খুব ভালো করেই জানতো এ ছাড়া তার হাতে আর কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের এই বোলিং ডিপার্টমেন্ট পরে বল করলেও এমন বেধড়ক মারই খাইতো। সবদিক মাথায় রেখেই এই জুয়াটা সাকিবকে খেলতে হয়েছে।
২) ব্যাটিং সাইডঃ বাংলাদেশ তো অনায়াসেই ২৮৩ করলো। তো আগে ব্যাট করে ৩০০ এর আশেপাশের একটা টার্গেট ভারতকে দিয়ে দিলেই তো ভারতের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যেতো ঐ রান চেজ করতে গিয়ে। তখন বাংলাদেশ তো জিতেও জেতে পারতো!
— হ্যাঁ, জিতেও যেতে পারতো হয়তো। আর ভারতের সামনে বাংলাদেশ ঐরকম টার্গেট দিলে ভারতের জন্য কাজটা অন্তত সহজও হতো না সত্য। কিন্তু আসল ব্যাপার হলো, বাংলাদেশ আগে ব্যাট করলে এতোটা রান করতে পারতো কি-না এই নিয়ে প্রবল সন্দেহ আছে। তাছাড়া, সামনে সর্বোচ্চ ২৬০-২৭০ টার্গেট নিয়ে তামিম এসে তার চিরাচরিত ঝড়ো গতির সংক্ষিপ্ত ইনিংস খেলে বিদায় নিতো, আর অপর পাশে ইমরুল বসে বসে বল চিবাতো। সাকিব, মুশফিক, রাজ্জাক, রকিবুলের অবদান শেষে ইনিংস শেষ হতো বড়জোর ২৫০ এর আশে পাশে গিয়ে। তাতে লাভ কী হতো? এই অভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপের ভারতকে ডিউ ফ্যাক্টরের কারণে ফ্লপ মারা স্পিনার আর তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দুইজন পেসার দিয়ে আটকে রাখা যেতো না। এই পিচে সেটা সম্ভবও না।
৩) বোলিং সাইডঃ জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড এদের সাথে প্রবল মাস্তানী করে সিরিজ জয় করা বোলাররা এমন মেঁচিবিলাইয়ের মতো মার খেলো ক্যান ভারতের কাছে?
— কারণ ভারত জিম্বাবুয়ে বা নিউজিল্যান্ড না। ঐতিহাসিক 'তিন বাঁ-হাতি স্পিনার' থিওরির কার্যকারিতার কথা এখানে আলোচনা না করেও যেটা বলা যায় সেটা হলো- বাংলাদেশের বোলার'দের উইকেট পাওয়ার আশা বাদ দিয়ে লাইন, লেন্থ এবং ফিল্ডিং অনুযায়ী বল করা উচিৎ ছিলো ভারতের সাথে। পিওর ব্যাটিং পিচ, মার খাওয়া অনিবার্য- এটা জেনে লাইন ছেড়ে বেলাইনে বল করে (ব্যাটসম্যানকে প্রলুব্ধ করে) উইকেট খাওয়ার আশা করলে কী হয় সেটা তো দেখাই গেলো আজকে!
৪) প্রাপ্তিঃ এইসব আজাইরা আঁতেল মার্কা প্যাচাল বাদ দেন। আজকের ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কী পেলো, সেইটা বলেন!
— হ। পাইছে তো অনেক কিছুই। এই যেমন, তামিম উড়াধুড়া শট খেলে রান না করেও কেবল সিঙ্গেলসের উপর ভর করেও যে রানের চাকা সচল রাখা যায়, সেইটা প্রমাণ করছে। ইমরুলের স্ট্রাইক রেট যে একশো'র উপরে থাকতে পারে, এইটা হয়তো অনেকেই জানতো না। আমাদের ওপেনার, মিডল অর্ডার যে চাইলেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারে সেটা বুঝা গেলো। এটা আজকের ম্যাচের আগে আমরা জানতামই না। আশরাফুলকে না নামিয়ে রকিবুল'কে নামানো যে কোনো ভুল ছিলো না, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আগের দুইবার জিতেছি বলে সবসময় রান চেজ করেই জিতে ফেলা যাবে, এই কুসংস্কার থেকে বের হওয়ার সুযোগ।
৫) তা আপনে কী করলেন আজকের খেলার শেষে? আপনের সিন কী?
— হে হে হে- আর কইয়েন না বস। খেলা শেষ হওয়ার পর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াইছি (ভাটাকতি হুয়ি আত্মার মতো) বাংলাদেশের জার্সি পরা অবস্থায়ই। ব্যাপক মন খারাপ হইছিলো। পরে বুঝলাম, আজকের ম্যাচের পর আমরা আসলে হারাইছি কমই। বরং আমাদের প্রাপ্তির পাল্লাটা অনেক বেশি ভারী হয়ে গেলো আজকের পর। আমি আশাবাদী, আবারও একই কন্ডিশনে এই খেলাটা আয়োজিত হলে নিশ্চিত বাংলাদেশ জিতবে। আমি চাইবো এই টুর্নামেন্টেই ভারতের সাথে আবারও দেখা হোক বাংলাদেশের। তখনই প্রমাণিত হবে সবকিছু। তার আগে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আমি আশাবাদী হতেই পারি আজকের পর। কারণ বাংলাদেশ দল আজকে আমাকে অনেক উঁচুতে দেখতে শিখিয়েছে।
শুভকামনা বাংলাদেশ দল
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একমত না, বস। তামিম কালকে মোটমাট বল খেলসে ৮৬টা (রান ৭০), যার মধ্যে কমপক্ষে ৩৬টাই (আরও বেশি হতে পারে, সঠিক সংখ্যাটা মনে নাই) ছিল ডট বল। এই নিয়া কমেন্টেটররাও বেশ কওয়া-কওয়ি করতেসিল দেখলাম। আমার মনে হয় কেবল চার-ছয়ের দিকে নজর না দিয়ে ক্রমাগত স্ট্রাইক রোটেট করার দিকে টাইগারদের আরও নজর দেয়া দর্কার। তবে প্রতি ওভারেই দুয়েকটা লুজ বল পাওয়া যায়, সেইগুলার সদ্বব্যবহারও কর্তে হবে। তাই পাব্লিক যতই চিল্লাক, ওয়ান্স মোর, ওয়ান্স মোর- বলে বলে ছক্কা মারার চেষ্টা এখন থিকা বাদ!
কুটুমবাড়ি
ভাগ্য ভালো আগুনের গোলা আশরাফুল খেলে নাই। সে মাঠে থাকলে ইন্ডিয়া ৪১০ করত আর বাংলাদেশ ১৮০ রানে অলআউট হইত।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরমেন্সে আমি খুশি। পরের খেলাগুলো আরও ভালো হবে আশা করছি। এখন নতুন একটাই চিন্তা বেঁধেছে নেট রান রেট নিয়ে (আমাদের নেরারে -১.৭৪)। নক আউট পর্বে উঠতে অন্য দলের সাথে পয়েন্ট সমান থাকলে এই নেরারে বেশ বড় একটা নাম্বার হয়ে দাঁড়াতে পারে। এইসব হিসাবনিকাশ, দুশ্চিন্তা করার সময় এখনো অবশ্য আসেনি। তাও করি, আমার অভ্যাস খারাপ। -রু
বাংলাদেশ প্রথম খেলায় হেরেছে তো কী হয়েছে? আরো পাঁচটা খেলা বাকী। আমরা টাইগারদের সাথেই আছি। বাকী পাঁচটা খেলায় জিতলেও আছি, হারলেও আছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- এক্কেলে ঠিক ... এইটা আমার দেশ, এইটা আমার দল ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমার মনে হয় সাকিব & বাংলাদেশ টিম 'সম্মানজনক হার' চায় নাই, তাই যত বড় আর ভয়াবহ ভালো দলই হোক পরিসংখ্যান আর যুক্তির বিচারেই আগে বোলিং এর সিদ্ধান্তটা এসেছে। এটা বিশাল একটা ফাইটিং এ্যাটিচ্যুড। এবং বাংলাদেশ দল শেষ বল পর্যন্ত ফাইট দিয়েছে, শুধু বোলাররা আর একটু মাপা বোলিং করলে মজাটা জটিল থেকে জটিলতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেতো।
খেলা নিয়ে হতাশা নেই বরং নিজেদেরকে আরেকটু ভালো করে চিনে নিয়ে আমরা নেক্সট খেলায় ঝাঁপিয়ে পড়বো রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো- এই আশায় আছি ... ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধুগোদার মন্তব্যে (৫০) সুপার লাইক! :D
নতুন মন্তব্য করুন