১
"মিলিটারিরা একটানা চারদিন আমাদেরকে ক্যাম্পে আটকে রেখে উপর্যুপরি নির্যাতন করে। সেসব ভয়ঙ্কর কথা ভাবা যায় না, বলা যায় না। অনেকের সঙ্গে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ছিলো, কারো কোলে নবজাত শিশুও ছিলো। ওরা ভয়ে ত্রাসে চিৎকার করে কেঁদে উঠছিলো। কিন্তু ওই জানোয়ারদের কোনো ভাবান্তর ছিলো না। কোনোদিকে ফিরেও তাকায়নি। শিশুদের সামনেই তাদের মা ও অন্যান্য মহিলাদেরকে ভীষণ নোংরাভাবে বিবস্ত্র করে, টানাটানি করে বীভৎসভাবে নির্যাতন করছিলো। এসবের বর্ণনা দেয়া কখনও কারও পক্ষে সম্ভব হবে না। ওই পশুরা আমাদেরকে কামড়ে খামচে অত্যাচারে অত্যাচারে রক্তাক্ত করে দিতো। এভাবে একটানা পাশবিক নির্যাতনের পরও তারা আমাদেরকে লাঠি দিয়ে পেটাতো এবং জিজ্ঞেস করতো, 'মুক্তি কোথায়?'"
"আমার একমাত্র শিশুকন্যা সন্ধ্যার উপর পাকি আর্মিরা যে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিলো তা মনে হলে এখনও আমার হৃৎপিণ্ড যেন গলার কাছে উঠে আসে। মাথায় এমন একটা চাপ অনুভব করি যে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মাথা উঁচু করতে পারি না। মেয়েটাকে তো বাঁচাতে পারলাম না। সে সময় কোন ডাক্তারও দেখাতে পারিনি। কি জানি কি হয়েছিলো। হয়তো পেটের কোন নাড়িই ছিঁড়ে গিয়েছিলো। চারদিন পর ক্যাম্প থেকে ছেড়ে দিলে আমরা লজ্জায় আর নিজ গ্রামে ফিরলাম না। সবাই মিলে পার্শ্ববর্তী এক গ্রামে আশ্রয় নিলাম। সন্ধ্যা তখন অসুস্থ। ক্রমে ক্রমে ওর অবস্থার অবনতি ঘটছে। প্রথম প্রথম রক্ত ঝরছিলো, পড়ে তা বন্ধ হয়ে এলো। ওর চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে উঠলো। ছোট ছোট নিঃশ্বাস নিচ্ছিলো, গায়ে ভীষণ জ্বর। দুএকবার অস্ফুট কণ্ঠে জল চাচ্ছিলো। আমি ওর মুখে জল তুলে দিচ্ছিলাম। মাঝে মাঝে চোখ খুলছিলো, এলোমেলো বকছিলো, ভয়ে চেঁচিয়ে উঠছিলো। এভাবে একসময় ও নিথর হয়ে গেলো। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে ওকে মরে যেতে দেখলাম, ওর জন্য কিছুই করতে পারলাম না।"
[মনখুশী সিকদার, কুড়িয়ানা, নেছারাবাদ, ঝালকাঠী]
২
"আমার স্বামী তখন বাড়িতে ছিলেন না। তারা বাড়ির ভেতর ঢুকে আমার ভাশুরকে গুলি করে হত্যা করে এবং ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপর তারা আমাকে ঘিরে ধরে এবং ঘরের ভেতরে নিয়ে যাবার জন্য টানা হেঁচড়া শুরু করে। আমি তাদের পায়ে ধরে অনেক অনুনয় বিনয় করে বলেছি, 'আমি আপনার মা, আমাকে ছোঁবেন না'। কিন্তু সতীত্ব রক্ষার জন্য আমার সেই অনুনয় বিনয় তারা কানেই তুলল না। তারা আমাকে রাজি করাতে না পেরে আমার পাঁচ মাসের ছেলে রঞ্জুকে আগুনে ছুঁড়ে ফেলতে উদ্যত হলো। আমি তখন দুর্বল হয়ে পড়লাম এবং নিজেকে তাদের লালসার কাছে সমর্পণ করতে বাধ্য হলাম। এভাবে ঘন্টাখানেক নির্যাতনের পর একসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। হুঁশ হবার পর দেখি আমার যাচ্ছেতাই অবস্থা আর পশুরা চারদিকে দাঁড়িয়ে দাঁত বের করে হাসছে। ঐ অবস্থায় তারা ফিরে যাবার সময় আমার কানের দুল, গলার হার ছিনিয়ে নেয় এবং আমার শরীরে গান পাউডার ছিটিয়ে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে আমার শরীরের পিছনের দিককার অংশ আগুনে সম্পূর্ণভাবে ঝলসে যায়।"
"প্রথম দিন গ্রামে ঢুকে তারা সব বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। কজনকে আগুনে পুড়িয়েও ফেলে। পাকি আর্মিদের দেখে ভয়ে দুটো শিশু আমার বাড়ির খড়ের গাদায় লুকিয়ে ছিলো। পাকিরা ওখানে পাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে দিলো। চোখের সামনে বাচ্চা ছেলে দুটো সেই লেলিহান আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে গেলো। আর্মিরা আমাদের গ্রামের মনসুরের মাসহ অনেককে গুলি করেও হত্যা করে। তারা জোবেদা নামে বারো বছরের একটি মেয়েকে আমাদের সামনে থেকে জোরপূর্বক ঘরের ভিতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং শেষে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে সে দুর্বল হয়ে পড়েছিলো। পরে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে ওঠে।"
"আমার জানামতে হায়দারের বউ, শচীন মালির বউ এবং ভাস্কর মেম্বারের মেয়েকেও পাকি আর্মিরা ধর্ষণ করেছিলো। মেম্বারের মেয়েকে পাকি আর্মিরা তাঁর বাবার সামনেই গোয়াল ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির নাম এখন আমার ঠিকমতো মনে নেই। আমাকে উঠানের মধ্যে নিয়ে যখন ওরা টানাটানি করছিলো তখন কজন পাকি আর্মি হায়দারের বউয়ের পেছনে ধাওয়া করে। সে ভয়ে চিৎকার করে দৌড়ে পায়খানার মধ্যে গিয়ে লুকায়। নরপশুরা ঐ পায়খানার দরজা ভেঙে ওখানেই বউটাকে ধর্ষণ করে। বেশ কজন পাকি আর্মি ছোট একটা জায়গার মধ্যে ওকে নিয়ে ধস্তাধস্তি করছিলো। এই ফাঁকে হায়দারের বউ সেখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসে। একেবারে নগ্ন, শরীরে কোন কাপড় নেই। উরু বেয়ে রক্ত ঝরছে। উঠান থেকে ছুটে গিয়ে সে ধান ক্ষেতে নেমে পড়ে। ক্ষেতে তখন বর্ষার পানি, বড় বড় ধান গাছ। সেই কাদা পানির মধ্যেই চেপে ধরে চার চারটি পাকি পশু ওকে আবারও ধর্ষণ করে।"
[ভানু বেগম, টাঙ্গাইল]
৩
"এরপর আর্মিরা আমাদের [একশ থেকে দেড়শ মহিলা] সব মেয়েকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে লাইন করে দাঁড় করালো। তারা আমাদের বুকের উপর বন্দুক তাক করে ধরছিলো, কিন্তু গুলি করছিলো না। আমাদের বাচ্চারা চিৎকার, কান্নাকাটি করছিলো। এই পরিস্থিতি দেখে আর্মিরা বলল, তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে বাচ্চাদের পা ধরে তারা ছিঁড়ে ফেলবে। গুলি করবে বলেও ভয় দেখালো। তখন ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে চেয়ে মেয়েরা তাদের অত্যাচার মেনে নিতে বাধ্য হয়। এরপর আর্মিরা মেয়েদের এক এক করে ঘরের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো আর ঘর থেকে বের করে আনছিলো। অনেক মেয়েকে বাড়ির বাইরেও নিয়ে যাচ্ছিলো।"
[জোহরা, নাটোর]
৪
"রাজাকাররা আমার সতীনের মেয়ে হাসিনা বানুকে ধরে নিয়ে গেলো আর্মিদের ক্যাম্পে। যে মুহূর্তে ছেলেটি খপ করে ওর হাতটা চেপে ধরলো সেই মুহূর্তে আমার হৃৎপিণ্ড যেন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলো। আমি উচ্ছল মেয়েটাকে সর্পবিষে আক্রান্তদের মতো নীল হয়ে যেতে দেখলাম। তার টলটলে সুন্দর চোখ দুটো ভয়ে বিস্ফারিত হয়ে উঠল। ঠোঁট দুটো নীল হয়ে উত্তেজনায় কাঁপতে লাগলো। এলোমেলো হয়ে গেলো বেশবাস। চোখের কোন থেকে গড়িয়ে এলো রাগ দুঃখ ও হতাশার অশ্রু। আমি অনেক কাকুতি মিনতি করে ছেলেটাকে বললাম, 'বাবা তুমি আমার ধর্মের ছেলে, আমার মেয়েটাকে নষ্ট করো না। ওকে বাঁচতে দাও। যেভাবেই হোক আর্মিদের কবল থেকে ওকে বাঁচিয়ে আন।' কিন্তু কোন কথাতেই কাজ হলো না। আর্মিদের নির্দেশে সে আমার মেয়েটাকে তুলে নিয়ে গেলো।
এভাবে অনেকক্ষণ কেটে যাবার পর সে আমার মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিয়ে গেলো। ভয়ঙ্কর বিপর্যস্ত ও অসুস্থ। নির্যাতনে নির্যাতনে তার তখন মুমূর্ষু অবস্থা। ওরা আমাকেও রেহাই দিলো না। কিছুক্ষণ পর দোকান থেকে আমাকে ধরে নিয়ে গেলো। একজন আর্মিই সেখানে আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলো। কিন্তু কৌশলে আমি তার হাত থেকে বেঁচে আসতে পেরেছিলাম। সারারাত মেয়েকে নিয়ে আমরা সবাই ঐ দোকানের মধ্যে পড়ে রইলাম।
কিন্তু নিয়তি আমার পিছু ছাড়ছিলো না। আবারও আমি আর্মিদের কবলে পড়লাম। ঝিনাইদহ থানার পাশে এক হিন্দু বাড়িতে আর্মিরা ক্যাম্প করেছিলো, আমাকে ওরা সেই ক্যাম্পে নিয়ে আটক করে রাখলো। ঐ বাড়িতে আমার মতো আরও পাঁচ ছয়শ মহিলাকে আটক রাখা হয়েছিলো। তাদেরকে সম্ভবত দূর দূরান্ত থেকে ধরে আনা হয়েছিলো, একারণে আমরা চেনা কাউকে তাদের মধ্যে পেলাম না। পাকিস্তানি আর্মিরা ঝিনাইদহের নতুন কোর্ট বিল্ডিংয়ের একটি ঘরে নিয়ে এই মহিলাদেরকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতো। তারা আমাকেও ওখানে নিয়ে নির্যাতন করেছে। যে হিন্দু বাড়িটিতে আমাদেরকে আটকে রাখা হয়েছিলো, সেখানেও তারা আমার উপর পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ চালিয়েছে। মানুষ যা করতে পারে না, তারা তাই করেছে। ঐ ভয়ঙ্কর নরপশুদের এতটুকু লজ্জা বা মানবিক বোধ ছিলো না। একটা পশুর যে বোধটুকু থাকে তাদের তাও ছিলো না। নিষ্ঠুর যৌন নির্যাতনের কারণে অনেককে অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখেছি। বিকারগ্রস্ত প্রক্রিয়ায় প্রচণ্ড ক্রোধ ও উল্লাসের মধ্যে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে অনেক মহিলাকে মেরে ফেলতেও দেখেছি। তারা খামচে, কামড়িয়ে, ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করেছে বন্দি নারীদের। যতক্ষণ না রক্তপাতে এক একজন নেতিয়ে পড়েছে ততক্ষণ চলেছে সেই ভয়ঙ্কর যৌন নির্যাতন। কিন্তু আমি এসব অসহায় মেয়েদের কারোরই পরিচয় জানতে পারিনি।
তারপর ঝিনাইদহ থেকে আমাদের সবাইকে অনেকগুলো ট্রাকে করে মেহেরপুরে নিয়ে গেলো। সেখানে আমাদের সবাইকে একটা গোডাউনের মধ্যে আটকে রাখলো। আগে থেকেই অগনিত মহিলাকে সেখানে আটক রাখা হয়েছিলো। সবার ইতিহাসই প্রায় এক। সেই ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া, সবার সামনে উলঙ্গ করে দলবদ্ধ করে রাখা। তারপর কখনও এককভাবে, কখনও সম্মিলিতভাবে, কখনও দুএকজনকে কখনও অনেককে গণধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া। এদের অনেকেই ছিলো ক্ষত বিক্ষত, হাত পা ও তলপেটের ব্যথায় হাঁটতে পারতো না। অনেকে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলো। আমিও তখন কমাসের অন্তসত্ত্বা।"
[কামরুন্নেসা, ঝিনাইদহ]
৫
"ঐ জারজ আর শুয়োরের বাচ্চারা সেদিন বারান্দায় সবার সামনেই আমাকে নগ্ন করে ফেলল। এরপর অর্ধনগ্ন হয়ে আমার উপর পাশবিক নির্যাতন চালাতে শুরু করল। একজন যখন নির্যাতন করছিলো বাকিরা তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলো আর দাঁত বের করে উল্লাস করছিলো। ঐ অবস্থার মধ্যেও আমি দেখতে পেলাম ওদের চোখে মুখে বীভৎস জান্তব হাসি এবং সমস্ত মুখমন্ডল জুড়ে ঘৃণ্য লালসা, কয়েকজনের বুকে আল্লাহু লেখা বড় বড় তাবিজ, কোরআনের আয়াত লেখা লকেট ও মাদুলি ঝোলানো। কোরআনের আয়াত বুকে ঝুলিয়েই ঐ জানোয়াররা আমার ওপর চেপে বসে নির্যাতন চালিয়ে গেলো।"
[রেবেকা খাতুন, ঝিনাইদহ]
***ড. এম এ হাসান এর "যুদ্ধ ও নারী" বই থেকে***
..........................................................
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে কাজ করছেন Yale Law School এর Laurel E. Fletcher, আগেও বাংলাদেশে ঘুরে গেছেন। এবার এসেছেন দুই ছাত্রী Tessa Bialek ও Freya Pitts কে নিয়ে। সে উপলক্ষ্যেই আজ একটা কনফারেন্স ছিলো "Comparative Study of International Tribunals in Addressing Issues of Sexual Violence" শিরোনামে। সেখানে সারাদেশ থেকে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালে নির্যাতিত নারীদের নিয়ে কাজ করা কিছু মানুষ। এক কোনায় বসে সারাদিন তাদের কথা শুনছিলাম।
ডঃ সাফিনা লোহানী, সিরাজঞ্জে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র চালান। মুক্তিযুদ্ধকালে নির্যাতিত ধর্ষিত সমাজহারা ২১ জন নারী সেখানে থাকেন। আগে ২২ জন ছিলেন, একজন কলঙ্কজীবন পাড়ি দিয়ে বেঁচেছেন। সাফিনা লোহানী শোনাচ্ছিলেন এই ২১ জনের কথা। সেইসব অপমানের কথা। ২১ জনের একজন চল্লিশ বছর ধরে মলত্যাগ করছেন পেট দিয়ে! করতে বাধ্য হচ্ছেন! কারো শরীরের ক্ষতই এই চল্লিশ বছরেও শুকায়নি। শুনতে শুনতে বার বার চোখ ভিজে যাচ্ছিলো জলে।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী যখন নিজের অভিজ্ঞতা বলা শুরু করলেন, শেষ করতে পারলেন না, কণ্ঠ বুজে আসছিলো। পুরো মিলনায়তন স্তব্ধ হয়ে রইলো।
সারাটা দিন এমনই কাটলো। ক্ষণে ক্ষণে জলে ভরে উঠছিলো চোখ, মন। বাড়ি ফিরে দেখি বড়ভাই, ভাবী, ভাগ্নি এসেছে। সপরিবারে "গেরিলা" দেখতে বের হয়েছিলো। কিন্তু হাউজফুল, টিকিট পায়নি, তাই দেখা হলোনা, আরেকদিন চেষ্টা করবে। অবাক হলাম, মুক্তির এতোগুলো সপ্তাহ পার হয়ে গেলো এখনো "গেরিলা" হাউজফুল! চাহিদা তাই না?
অবাক কেন হবো? তাই তো হওয়া উচিত, তাই তো হতে হবে।
সচলরাও ছিলো বাড়িতে। আড্ডা। সবাই চলে গেলে যুদ্ধ ও নারী বইটা খুলে বসলাম। এই যে, এখনো আমার চোখ ভর্তি জল। মন ভর্তি আবেগ...
হ্যাঁ জনাব হাসান ফেরদৌস, মুক্তিযুদ্ধটা আমাদের কাছে শুদ্ধ আবেগেরই ব্যাপার। পাকিপ্রেম দেখে আপনার আবেগ উথলে ওঠে, জল ভরা চোখ মুছতে হয়। আপনার মতো নির্বোধ মনে নির্যাতিতা, ধর্ষিতা এই নারীদের জন্য কখনো কান্না তৈরি হয় না। না হোক।
কিন্তু মেহেরজানের মতো কোনো ছবির জন্য বাংলাদেশ যেন কখনোই কোনো কালেই তৈরি না হয়। আপনারা যতোই কান্নাকাটি করুন না কেন মেহেরজানের চাহিদা বাংলাদেশে কখনোই ছিলো না, হবে না। মনে রাখবেন।
মন্তব্য
ডা. এম এ হাসান নিজেও মেহেরজানের পক্ষে কলম ধরেছিলেন শুনেছি!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা কথা জানতে চাই, এই ড. এম এ হাসান কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড.মাহমুদুল হাসান?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
না, উনি চিকিৎসক
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করছেন বছরের পর বছর ধরে। "যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ" ও যুদ্ধ ও নারী" তার দুটি শ্রেষ্ঠ্য রচনা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইটা কি শুনাইলেন।
..............................................
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
..................
রিকন্সিলিয়েশনের ন্যারেটিভ দিয়ে এঁদের ক্ষত সারিয়ে তোলা হবে...
.........................
মেহেরজানের মতো আবর্জনাকে সমর্থনকারী লেখকদের মধ্যে হাসান ফেরদৌসের মতো নির্লজ্জ বেহায়াপণা কেউ করেনি। একবার সে বলেছে, আসলে এমন ছবি দেখার জন্য বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয়। আবার তার আগেই ঘোষণা করেছে-
এই চাহিদা কি ক্রন্দনরত হাসান ফেরদৌসের কানে কানে কেউ বলে দিয়েছে?
এই লেখা নিয়ে কী লেখা যায় জানি না। পুরোটা পড়তে পারিনি, আপনি কীভাবে লিখলেন সেটাও বুঝতে পারছি না। এতো বেশি দুর্বল আমি যে একটু বর্ণনা সহ্য করতে পারি না আর কত হাজার হাজার মেয়ে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে! আশা করি হাসান ফেরদৌস এই লেখাটা পড়বে।
আমিও পারিনি, আরো অনেক কথা বলার ছিলো, বলতে পারি নাই... কষ্ট... অনেক কষ্ট...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিছু বলার ভাষা নে্ই
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
..........................
আমার সিরিয়াসলি জানতে ইচ্ছা করে, যারা সময়ের চেয়ে এগিয়ে গিয়ে সব কিছু ভুলে মেহেরজানের মাঝে কোন দোষ খুঁজে পান না, বরং আবেগাপ্লুত হয়ে যান, তারা কী মন থেকেই বিশ্বাস করেন, যা তার লিখেন! নাকি কিছুর লোভে?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
প্রশ্ন টা আমারও। না কি তারা বিতর্কীত এক্টা অবস্থান গ্রহণ করেন স্রেফ নিজেদের প্রচারণা বাড়ানোর জন্য???
এসব পড়েও মেহেরজানের সারিন্দা গো-বেশক, তাদের ভিনদেশী গডমাদার, সমূহ দালাল - দাঁত কেলিয়ে হাসবে, বলবে, "ব্যাপারগুলো আপেক্ষিক"।
এই ভিডিও ক্লিপটা দেখার পরে কোনো 'মানুষ' মেহেরজানের পক্ষে থাকতে পারে না।
..........................................
........................................................
ছোটো মেয়েটা সামনে বোসে টিভি দেখছে। উপরে শিশুকন্যা সন্ধ্যার কথা পরে বুকটা ভেংগে গেলো। মনে হলো হাসান ফেরদৌস কুততা-তাকে যদি সামনে পেতাম!
কিছুই বলার নেই। মুখে যা আসছে তা ব্যাক্ত করলে অশ্লীলতার দায়ে পড়ে যাবো। দেশে এরকম কিছু মাস্টারপীস থাকলে শর্মিলা বসু লাগে না।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের আত্মার প্রতি এবং সকল নিযাতিতের চরনে কুর্ণিশ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নজু ভাই, পুরোটা পড়িনাই, পড়ার শক্তি ও সাহস কোনটাই নাই!
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
পুরোটা পড়তে পারলাম না।
ফেবুতে শেয়ার দিচ্ছি
আপনি লিখলেন কেমনে ভাই ?????????
এই আবেগ যেন যতদিন বেঁচে আছি ততদিন থাকে!!!!
পুরোটা পড়িনি, পড়া যায়না। ঐ সাহস নাই, নিজের মা বোনদের কষ্টের, অপমানের কথা পড়ব না। শুধু মনে হচ্ছে যুদ্ধে যাই। কেন ৭১ এর পরে জন্ম নিলাম !!!
হাসান ফেরদৌস - তুমিও বরাহ'দের পালে যোগ দিলে?!
যারা পুরোটা পড়তে পারছেন না, তারা আরেকবার চেষ্টা করুন, পুরোটা পড়ুন, অনুভব করুন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি খুব দুর্বল চিত্তের মানুষ নই। চোখের কোণে নোনতা জল যখন তখন এসে ভীড় করে না। কিন্তু কালকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যখন এই লেখাটা পড়ছিলাম, চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিলো, কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিলো কান্না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এই মহান আত্মত্যাগের কথা যখনই শুনি, পড়ি, এর অন্যথা হয় না। কারণ, প্রতিবারই আমার মা, বোন আর প্রেয়সীর মুখগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মা-বোনের আদরে তিল তিল করে বেড়ে ওঠা এই আমি, প্রেয়সীর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ প্রতিটা রক্ত কণার এই আমি কী করে মেনে নেবো পাকিস্তানী হানাদার আর তাদের এদেশীয় বাস্টার্ড রাজাকারদের পক্ষ নিয়ে কথা বলাকে?
যারা রিকন্সিলিয়েশনের পক্ষে কথা বলে, মেহেরজানের পক্ষে কথা বলে তাদের ভালো করে উপলব্ধি করা উচিৎ, মা-বোনের সম্মান আর প্রেয়সীর ভালোবাসা কোনো বিকিকিনির পণ্য না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
............................
লিখতে চাইলাম কিছু, পারলাম না।
............................
নিউ ইয়র্কে হাসান ফেরদৌসের বাসায় মফিদুল হক উঠেছিলেন ।
ফেরদৌস সাহেব মস্কোতে ফ্রি লেখাপড়া করছেন সিপিবির কল্যাণে। তাঁর তো ফ্রি পাওয়ার কথা নয়। কোনো এক গরীব অস্বচ্ছল মেধাবী এই ফ্রি পড়ালেখার সুযোগটি পেলে হয়তো তার পড়াশুনাটা থেমে যেত না। ফেরদৌস সাহেবের চেহারাটি সুন্দর। ছোটখাট মানুষটি। তাঁর চুলও আরও সুন্দর। ফোলানো--কোকড়ানো।
মফিদুল হক রুবাইয়াত হোসেনের পাকিপ্রেমী মেহেরজান ছিঃনেমার সেন্সর প্রদানে ভূমিকা রেখে একটু মান নিয়ে টানাটানিতে পড়েছিলেন। তাই হাসান ফোরদৌসকে দিয়ে লেখালেন--পাকিপ্রকল্প মেহেরজান ছিঃনেমার পক্ষে। নুনের দাম দিতে হয়--প্রমাণ করলেন মফিদুল হক। আর হাসান ফেরদৌস কিসের দাম দিচ্ছেন?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
অশ্রুবিন্দু রেখে গেলাম...........
এধরণের লেখা আরো হোক, নির্যাতনের সম্পূর্ণ বর্ণনা উঠে আসুক। জাতির দেশাত্ববোধ পূর্ণাঙ্গ হোক।
একদম শুরু থেকেই পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ১৯৭১ কে আরও ভীষণভাবে দীর্ঘপাঠ্য করতে হবে, সেক্ষেত্রে কোন রাখঢাক করলে চলবে না ("নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহিদের ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়"- এই একটি বাক্য দ্বারা সমাপ্তি করলে চলবে না!), সচিত্র এবং বর্বরতার সম্পূর্ণ বিবরণ রাখতে হবে। প্রথম থেকেই তারা তাদের আদি শত্রুকে চিনতে শিখুক, তাদের দেশাত্ববোধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিষ্ঠ হোক।
লেখায় ।
পাঠ্যপুস্তকে কি দুই লাখ মা বোন লেখা হয়? এইটা জানা দরকার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাইয়া, প্রাইমারি লেভেলে খুব সম্ভব এই বিষয়ে লেখাই হয় না, আর মাধ্যমিকে দুই/আড়াই লাখ লেখা হয় যতদূর মনে পড়ে (সঠিক কী লেখা থাকে মনে করতে পারছি না বলে দু:খিত!)
তবে আমার মনে হয় এটা অগণিত এবং সংখ্যাটি ৪ লক্ষও হতে পারে!
মনে হওয়ার কিছু নাই, সংখ্যাটা সাড়ে চার লাখ
স্কুলগুলোতে কী পড়ানো হয় তা জানি না। ইবুক প্রকল্প অনেক স্লো, তাই দেখতে পারতেছি না, কিন্তু যাদের নেট স্পিড ভালো তারা স্কুল পাঠ্য বইতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়া যা লেখা তা আপলোড করলে ভালো হয়।
স্কুলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়া কী লেখে তা জানা প্রয়োজন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার স্মৃতিশক্তি নিম্নমানের, তাই 'মনে হয়' শব্দটি ব্যবহার করেছি ভাইয়া।
পঞ্চম শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে এর উল্লেখই নেই।
আর অষ্টম শ্রেণির বইতে এই বিষয়ে শুধুমাত্র একটি মাত্র বাক্য এবং সংখ্যাটি ২ লাখই লেখা।
তাহলে কীভাবে এরা ঘৃণা করতে শিখবে বলেন?
বইগুলোর পিডিএফ ভার্সন এখানে রয়েছে এন সি টি বি ।
দেশে কিছু ‘ফেউ’ তৈরি হয়েছে বা তৈরি করা হয়েছে যাদের কাজই হলো মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা, ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্রনাথ --- মোট কথা আমাদের সব গর্বের জায়গাগুলোকে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো। ওইগুলোর প্রতি অফুরান ঘৃণা ছিল, আছে, থাকবে....। অবশ্য ঘৃণায় ওদের কী আসে যায়...কুকুরের কাজ সুযোগ থাকলে কুকুর তো করবেই! দরকার হচ্ছে গেরিলার মতো ছবি আর এমন তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। ‘মেহেরজান’-এর জানের জানদের ইতরামো তাতে না কমলেও অনেকের চোখ খুলবেই...
দুঃখ একটাই এতো অত্যাচার নিপীড়ন আর আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েও জাতি হিসেবে আজও আমাদের মেরুদন্ডটা শক্ত হলনা .... মানুষ আজও নিজের দেশের জন্ম ইতিহাস ভুলে যায়,ধর্মের নামে পশুদের ভাই বানাতে চায় আর ৭১ এর সেই পিচাশ দের মতই দাঁত বের করে হাসে ...
গতরাত এক ফোটা ঘুমাতে পারি নাই।
আজ রাতও পারছি না...
দুর্বিষহ!
শুধু শুনে পড়েই এই অবস্থা! যারা এই বাস্তবতা বয়ে বেড়াচ্ছেন ৪০ বছর!
আমি একটা কথা ভেবে পাই না, সাড়ে চার লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানি আর ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মানুষ[!] কিভাবে ফ্যান্টাসি তৈরি করতে পারে?
মুক্তিযুদ্ধ কোনো ফ্যান্টাসি না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার এই পোস্টে এবং মন্তব্যের ঘরে প্রতিক্রিয়ায় অনেকের অনেক রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ ও কষ্টের কথা পড়লাম। এসবই সম্পূর্ণ বোধগম্য এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক ও মানবিক। কিন্তু যা আমার কাছে একেবারেই বোধগম্য নয়, তা হলো এর সব কিছু পড়ে বা জেনেও কি করে জামাত-শিবির-রাজাকারবাহিনীর সদস্য ছিলনা বা মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের মানুষ [!] এমন বাঙ্গালীরা এই পৈশাচিক বর্বরতাকে নিয়ে বা যারা এই বর্বরতার বিরুদ্ধে তাদের আবেগকে নিয়ে নির্বিকার ভাবে বিদ্রূপ করতে পারে ?!! এত দ্ব্যর্থহীন পৈশাচিকতা কি তাদের মনে কোনই ক্রোধ, শোক, আবেগ জাগায় না ? এটা কি সম্ভব ???!!! অথচ, তা না হলে তারা কি করে মানবতার এই দানবিক অবমাননাকে ধামাচাপা দিতে, ভুলিয়ে দিতে, বা অন্য যে কোন উদ্দেশ্যেই হোক - এই অকল্পনীয় বর্বরতার উপরেই নির্মান করে তাদের 'দি আদার' প্রেমের ফোকফ্যান্টাসী ? এ যেন রায়েরবাজার বধ্যভূমির ওপর পাকিস্তানি টুরিস্টদের মনোরঞ্জনের জন্য বেশ্যাপাড়া নির্মান। তথাকথিত শিল্পের নামে "বাস্তবতাকে ভেঙে, দুমড়ে নতুন করে নির্মাণ" । আমি বুঝে পাই না একই দেশের, একই জাতির, একই সময়ের (এমনকি বোধহয় প্রায় একই ধরনের প্রথাগত শিক্ষা পেয়েও) মানুষের [?] অনুভূতির মধ্যে এত দুস্তর ও মৌলিক ব্যবধান কি করে সম্ভব হয় ?? অবস্থা দেখে মনে হয় 'মনুষ্যত্ব' ও 'বাস্তবতা'র সংজ্ঞা ও পরিসীমা নির্ধারনে আমাদের অনেকের মধ্যেই এখনো একটা কমন ফ্রেম অফ রেফারেন্সের অভাব রয়ে গেছে।
আপমিও লিখছেন,
এই একই প্রশ্ন আমারও। আমার ধারনা - দুটো হাত আর দুটো পা থাকলেই 'মানুষ' হয় না ! দেরিদ্দা, ফুকো, উত্তরাধুনিকতা, অমুক-তমুক ন্যারেটিভ, রিকন্সিলিয়েশন ইত্যকার পাণ্ডিত্য ঝাড়তে পারলেই, এমনকি অহিংস পরমধর্ম আউড়ালেও মনুষ্যত্ব প্রমান হয় না। আপনার ভাবতে কষ্ট হতে পারে, কিন্তু একদিকে আপনি দুর্বিষহ রাত্রিজাগরন করবেন, আরেকদিকে আরেক দল আপনার কষ্টের প্রতি ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসতে হাসতে বলবে - এসব বিবরন "পরিচিত ন্যারেটিভ, তাকে ঠোঙার মতো দলে-মুচড়ে ওয়েস্ট বাস্কেটে ছুড়ে ফেলা" উচিত। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকি বর্বরতার কথা বলা মানে - ষড়যন্ত্রমূলক আওয়ামী ঘৃনাবাদ চর্চা - হেট ক্যাম্পেন। জাতীয় ম্যাসোচিসমই হচ্ছে আসলি দেশপ্রেম, আসলি মানবতা।
কি বলব জানিনা, কিন্তু আমার মাঝে মাঝে কেন যেন মনে হয় - এইসব ভুয়া উত্তরাধুনিকতা ঐ পাকি দানবিকতার চেয়েও বেশী দানবিক ও বিভীষনিক।
****************************************
শুয়োরের বাচ্চাগুলো সব এক হয়েছে নূতন প্রজন্ম কে নূতন করে ইতিহাস শিখাবে!...সরকার কি এ ক্ষেত্রে নিরব দর্শক কেবল???
....................................................................................................................................................................
অতীত
এরকম লেখা একবারে পড়া সম্ভব না। অসহ্য রকমের যন্ত্রণা হয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
প্রথমদিন কোন মন্তব্য না করে চলে গিয়েছিলাম। এরপরে আরো চার না পাঁচবার ঘুরে এসেছি, কিন্তু একবারও পুরোটা পড়ে শেষ করতে পারলাম না।
দুঃখিত।
কিছু বলার নেই। অন্তত এ জায়গায় কোন আপস চলেনা, এটুকুই বলে গেলাম।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
যত দূর্বল চিত্তই হোক, সত্যকে জানতে হবে, জানাতে হবে। আপন হারানোর ব্যাথায়, আমার মা, আমার বোনের ভয়ঙ্কর কষ্টে আমরা কাঁদবো ... কিন্তু যে সকল জানোয়ার আর তাদের দোসরার এই জঘন্য অত্যাচারের সাথে জড়িত ছিলো, তাদের কখই কোনো 'রিকন্সিলিয়েশনের' মাধ্যমে ক্ষমা করবো না। হাফু, দ্দীণূ, বাদুড়, রুবাইয়্যাতরা জেনে রাখুক, পাকীরা আমাদের মা-বোনদের সাথে প্রেম করতে আসেনি, আর আমাদের মা-বোনরাও তাদের সাথে ৯ মাস ধরে জলকেলী আর লটকা লটকি করেনি। আমরা এক ভয়াবহ অত্যাচারেরই শিকার হয়েছিলাম তখন, কামোক্ত, ক্রুদ্ধ নরপশুদের লালসার পাত্র হয়েছিলাম তখন, কোনো প্রেমি আমরা হইনি।
আমার মা, আমার বোন, আমার ভাইয়ের রক্তের কসম ... আর একটা মেহেরজান হলে এর বদলা খুব সুবিধার হবে না। তোমরা কুত্তার বাচ্চা, যাও ডাস্টবিনে গিয়ে খাবার খোঁজো ... আমাদের ঘাঁয়ে জিভ লাগাতে এসোনা, পরিনাম সেই ৭১-এর মতোই হবে জেনে রেখো। রক্ত দিয়ে কেনা এই ৫৬ হাজার বর্গমাইল আমাদের ...
[ নজরুল ভাই, এরকম লেখা আরো আসুক। বুকের আগুন যেনো নিভে না যায়।]
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
নজরুল ভাই, এরকম লেখা আরো আসুক। বুকের আগুন যেনো নিভে না যায়।
লেখাটা পড়ে অসুস্থ্য লাগছে।
এরপরো কিছু লোকের কাউন্টার ন্যারেটিভের দরকার হয়।
অসহ্য
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মুক্তিযুদ্ধ সত্যি আমাদের শুদ্ধ আবেগ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরে ব্যাপার নাহ। আমাদের "অপর"কেও সুযোগ দিতে হবে। রিকনসিলিয়েশনের দিকে যেতে হবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
যে বেদনা দিনে দিনে পাথর হয়েছে তাকে গলাবে কোন মেটামরফোসিস?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার লেখার শেষের অংশটুকু টুকু ছাড়া পুরোটা পড়তে পারিনি।
কয়েকবার চেষ্টা করে বাদ দিয়েছি। কী এক কষ্ট পেটের ভেতর যেন মোচড় দিচ্ছে।
মেহেরজানের পরিচালক আর তার অনুসারীদের এই লেখাটা জোর করে পড়ানো উচিত।
পারলে মেইল করে দিন।
নতুন মন্তব্য করুন