ঘর মন জানালা: ২২ জুন '১১

হুম !

গানগুলো শুনে নেই..
তারপর বাকি কথা।

খুব সত্য কথা, নির্মম বাস্তবতা!!!!

আর নজরুল ভাই, বর্ষার ইবুকটার কী খবর? কবে পাচ্ছি??

হুদাই ................. বলেও দারুন একটা দিনের বর্ননা দিয়ে ফেললেন নজরুল ভাই। আসলেই জীবন দারুন কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

আসলেই কিছু সত্য কথা । হালকা চালে এড়িয়ে যেতে চাইলেও পারলাম না । আমরা ক্রমশ মানুষ থেকে ক্রেতায় পরিণত হচ্ছি । কেন যে সব বিকিকিনির বাজারে আনন্দ টা কেনা যায় না? ............।।

মন্তব্যটাও হুদাই করলাম

ধরি মাছ না ছুঁই পানি গানের কথা ও সুর বেশ অন্যরকম। ভালো লাগলো।

এরকম পোস্টে কোনো মন্তব্য আসে না! দীর্ঘশ্বাস আসে...্

'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' গানটাই কেবল শুনতে পারলাম বাকী দুটো শোনা গেলো না(লিংক ভাঙা বলছে)

আমরা সবাই ক্রেতা আমাদের এই বিশ্ববাজারে।
দুনিয়ার তাবৎ সমস্যার মূলেও এটাই।

ভাই ঢাকা একসময় সবকিছু ঢেকে দেবে।
আপনার লগে একটু দেখা করতাম ছাইৃ ক্যামেরাবাজিটা শিখবাওে চাই।

২.
এইতো সেদিন সরকার সিএনজি'র ঘন মিটার প্রতি দাম দ্বিগুণ করে দিলো। সাথে সাথে আমার পরিবারের যাতায়ত খরচ দ্বিগুণ হয়ে গেলো। জুন মাস আসলো আর বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়া ৩৩% বাড়িয়ে দিলেন, ছেলের স্কুলের বেতন-সেশন চার্জ এগুলোও একটা করে লাফ দিলো। কাঁচা বাজারের কথা যতো কম বলা যায় ততোই ভালো। সব মিলিয়ে জুন মাসের বিশ তারিখ আসতে না আসতেই হাত একেবারে খালি। সামনে দশ-বারোটা দিন পড়ে আছে অথচ নিজের অবস্থা সমারসেট মমের নায়কের মতো।

এই পোস্টটা ব্যক্তিগত রচনা তাই আমিও কিছু ব্যক্তিগত কথা বললাম। কিন্তু এই কথাগুলো আর ব্যক্তিগত নেই। বিটিভির ভাষ্য আর সরকারের বক্তব্য সঠিক ধরলে গত বিশ বছর ধরেই আমরা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি। এই সময়ের ব্যবধানে আমার ব্যক্তিগত আয় হাজার শতাংশ হারে বেড়েছে অথচ আমি সাদা চোখে দেখতে পাই যতো দিন যাচ্ছে আমি দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষে পরিণত হচ্ছি। কথাটা আমার চারপাশের আরো দশটা মানুষের জন্যও সত্য।

হুম্‌... জেবন বড় জ্বালা

আরে, বলেন কি? ছিপ দিয়ে মাছ ধরলেই তো আর পানি ছুঁতে হয় না।

বড় সত্যি কথা বস! টিভি আমাদের বলে দেয় আমাদের কি কি থাকা উচিত, কি কি পরা উচিত। পত্রিকার পাতার বিজ্ঞাপন বলে দেয় কোন কাপড় ধোবার সাবানে কাপড় ধুলে আমরা সুখী মানুষ হবো। এরা সবাই মিলে আমাদের সুখী করতে ব্যস্ত। কেউ বলল গায়ের রংটা পালটে ফেলো--সুখী হয়ে যাবে, চাকরী পেয়ে যাবে। দেশ ভর্তি কালো কালো মানুষগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ল ফর্সা হবার জন্য। দেশ সেরা ক্রিকেটারও সেই ক্রীম মেখে ফর্সা হতে লাগলেন। কেউ জানাল অমুক কোম্পানীর তমুক ফোন কেনো---দেখবে কেবল সুখ আর সুখ এই জীবনে। গ্রামের জমি বিক্রির টাকায় হাতের তালুতে এক মুঠো সুখ কিনে নিয়ে ঘুরছি আমরা।
এত কিছুর পরও আমাদের সুখ নেইকো মনে
হলুদ রঙের নাকছাবিটা এখনো খুঁজছি বনে বনে--
আপনার 'হুদাই' পোষ্টটা ভাল লাগছে বস।
ভাল থাইকেন---

একটা নির্ভেজাল হতাশার লেখা লিখতে যাচ্ছিলাম। পড়ে ফেললাম বলে লেখার চিন্তা বাদ্দিলাম

হুম্‌ম.........

পড়িয়া এমন হতাশায় আকন্ঠ নিমজ্জিত হইলাম যে একন সাঁতারে প্রয়োজন বোধ হইতেছে

নিটোল

আপনাকে বলেছি কখনো, আপনার ব্লগরব্লগর খুব ভালো লাগে?

শুভেচ্ছা ছাড়া আর সবকিছুর দাম অনেক, তাই হয়তো এই মাগনা জিনিসটাও ইদানীং কেউ সহজে দিতে চায় না, অন্তত মন থেকে কয়জন দেয় ভাবছি...

আচ্ছা, গান শুনি এখন। ভালো থেকেন।

ব্রেক নেন একটু

দুই নম্বরের কথাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে গেল। গাধার খাটুনি খাটতে গিয়ে নিজের সত্বা-ইচ্ছা-আনন্দগুলো মেরে ফেলছি আমরা। একমাত্র পাগল ও শিশুই মনে হয় সুখী। ভৃত্যরাজকতন্ত্রের শেকল ভাঙ্গা যে কবে সম্ভব হবে।

অমিত আপনি কি দেশে এখনও? দেখা হলো না আপনার সাথে।

"হুদাই রচনা" ভালো লাগলো।

যা অবস্থা তাতে সুস্থ্য মানুষের বেচে থাকা দুঃস্কর।