আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে নিয়ে গতরাত থেকেই দেশ উত্তাল।
টিআইবির একটি অনুষ্ঠানে তিনি নাকি সাংসদ আর মন্ত্রীদের নিয়ে 'আপত্তিকর' কথা বলেছেন... তাই নিয়ে প্রথমে উত্তাল হয়েছে সংসদ। রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আলী আশরাফ বলেছেন আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
এরপর উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম।
আর কিছু না হোক, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বিশাল নেটওয়ার্কের কারনে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। তরুণরা অন্তত এই ঘটনা সহজভাবে নেবে না এটাই অনুমেয়। হলোও তাই। খুব সাফল্যের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে ক্ষেপিয়ে তোলা গেলো।
সবকথার সারকথা- এই সরকার খারাপ, মানীর মান রাখতে পারে না। নামাও এই সরকারকে।
গতরাতে পুরো ব্যাপারটি চুপচাপ দেখে গেছি, অবাক হয়েছি। আমি প্রতিদিন দুতিনটি পত্রিকা উল্টাই পাল্টাই... স্যারের মুখ নিসৃত এমন কোনো বাক্য তো পড়িনি কোথাও! আমারই তবে ভুল?
হু ভুল, কারণ আমি 'ইনকিলাব' পড়ি না।
জানা গেলো অন্য কোনো পত্রিকা না, দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এবং তারপর দেখা গেলো আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ সেই অনুষ্ঠানে যা বলেছিলেন, ইনকিলাব তা ঠিকভাবে ছাপেনি।
আজকে প্রথম আলো ছেপেছে সঠিক বক্তব্যটি। সঙ্গে নোট আকারে বলে দিয়েছে যে এই বক্তব্যের রেকর্ডও তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
সারমর্ম করলে বিষয়টা এরকম হয় যে- আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন, অন্য পত্রিকাগুলো সেটি ঠিকঠাক ছাপলেও একটি বিশেষ পত্রিকা তা বিকৃত করে ছাপে । তা দিয়ে প্রথমে খুব সফলভাবে ক্ষেপিয়ে তোলা যায় সংসদকে, এবং তারপর গোটা দেশ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে। এবং সেই বিশেষ পত্রিকাটির নাম 'ইনকিলাব', যার প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিপালক যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী।
ইনকিলাবের এই রেসিপি আজকের না। এরশাদ আমলের সেই ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা আশাকরি জাতি এখনো ভুলে যায়নি। একটি মাত্র বিকৃত সংবাদ সারা দেশে ঘটিয়েছিলো চরম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, প্রাণহানি। পরদিন জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেও ততক্ষণে কাজের কাজটি হয়ে গেছে।
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের ঘটনায় কে ক্ষমা চাইবে, স্যার নাকি ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ... তা অপেক্ষার বিষয়। কিন্তু 'আসল কাজটি' আসলেই হয়ে গেছে।
মূল উদ্দেশ্যও খুব পরিষ্কার... যে কোনো মূল্যে এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে, তবেই বাঁচানো যাবে যুদ্ধাপরাধীদের। সম্ভাব্য সবরকম পথেই চেষ্টা করা হচ্ছে দেশটাকে অস্থির আর অস্থিতিশীল করার। রাজাকারের পত্রিকা যে এই প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে তা তো বলাই বাহুল্য।
চিহ্নিত গোষ্ঠী 'আসল কাজ' করতেই থাকবে, আমরা শুধু চিলের পেছনেই ছুটবো কেবল। আমাদের চোখ ফুটবে না!
মন্তব্য
পাব্লিক তো সাঈদ স্যার ইঙ্কিলাব কথিত কী বলেছে তা নিয়ে চেতেনি, চেতেছে সাংসদদের কথায়। সেইটা পত্রিকাগুলো ঠিকভাবে রিপোর্ট করেছে কি না, প্রশ্ন সেইটা। এবং মনে হচ্ছে সেই রিপোর্ট ঠিকভাবেই হয়েছে। এইখানে চিলটা স্যার কী বলেছেন সেটা না, চিল হল সাংসদদের প্রতিক্রিয়া এবং সেই চিল শুধু আছে তা না, মাথার উপরেই চক্কর মারছে।
এই বিকৃত রিপোর্ট না হলে কি আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে ক্ষমা চাইতে ডাকা হতো?
এসব কথা উঠতো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধইরা নিলাম ইনকিলাব যা ছেপেছে সেইটাই স্যার বলছে। তাহলে আপনে কী মনে করেন স্যার কে ক্ষমা চাইতে বলাটা ঠিক আছে?
আমি তো ধরি না সাফি। যদি ধরাধরিতে যেতাম তাহলে গতরাতেই অন্য সবার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে ফেসবুক উত্তাল করতাম
ধরাধরির চেয়ে সত্যটা গ্রহণ করাই কি ভালো না?
আপনি সম্ভবত বারবার ভুল করছেন, আমি সাংসদদের হয়ে সাফাই গাইছি না। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। আমি আতঙ্কিত দেশকে যারা অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে সেই গোষ্ঠী নিয়ে। তারা আপনাকে আমাকে যেমন অস্থিতিশীল করে তুলতে পারছে, সাংসদদেরও পারছে। যারা অস্থির হচ্ছে তাদের নিয়ে আপাতত আমার আগ্রহ নাই, কারা এই অস্থিরতা ছড়াচ্ছে সেটাই জরুরী ভাবছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি সাংসদের হয়ে সাফাই গাইছেন এমন ধারণা করিনাই। কিন্তু লেখা পড়ে আপনার যেইটারে মূল সমস্যা মনে হয়েছে আমার সেইটার চেয়েও বড় সমস্যা মনে হয়েছে সাংসদদের এটিচিউড। পুরা ব্যাপারটা ইস্যু হৈছে সাংসদদের জন্য। এই ব্যাপারটা লেখায় নাই বইলাই এত কমেন্ট করাকরি।
আর অনেকের মন্তব্য এবং আপনের নিচের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কৈয়া রাখি আপনেরে পার্টিজান মনে করিনা। অনেকেই বাইনারি চিন্তা ছাড়া চিন্তা করতে অপারগ - "আইদার উইথ আস অর উইথ দেম"। তাদের মন্তব্য নিয়া হতাশ হৈয়েন না।
অস্থিতিশীল করার এই চক্রান্তটা আপনার চোখে না পড়লে কিছু বলার নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উনি যা বলছেন আর ইনকিলাব যা ছাপছে, খুব কি পারথক্য?
আবার পড়ে দেখেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার সাথে এই নিয়া তর্ক করা লাগবে ভাবিনাই! কালকে যদি ইনকিলাব বলে "অমুক সাংসদ" ল্যাংটা হয়ে নাচ, তাইলে সে ল্যাংটা হয়ে নাচবে??
ইনকিলাব একটা ভুল খবর দিবে, সেই খবর পড়ে সাংসদরা উত্তেজিত হবে, সেই উত্তজনার রিএকশনে স্যারভক্ত তরুন সমাজ সরকার পতনের ডাক দিবে এই আইডিয়াটা অনেক বেশী ফারফেচ্ড মনে হচ্ছে। আর ইনকিলাব যদি এই চক্রান্ত করেও থাকে, সেইটারে সফল করার সর্বময় কৃতিত্ব সাংসদদের।
সম্পাদনা- একজন সাংসদের নাম দিছিলাম মন্তব্যে, মামলা খাওয়ার ভয়ে নাম পাল্টায় দিলাম।
মফস্বলে আলোকিত মানুষ না এমন কম, তারা আন্দোলন করবে এটাও ক্ষীণ সম্ভাবনা
তাই তো হলো। আপনার চোখের সামনেই তাই ঘটলো না কি?
ইনকিলাব একটা বিকৃত বক্তব্য ছাপলো এবং তাই নিয়েই সবাই নাচলো। সত্যটা জানার চেষ্টা করলো কয়জন? সাংসদরা উত্তেজিত হলেন, উত্তেজিত হলেন সবাই... সায়ীদ স্যার আসলেই কী বলেছিলেন সেই খোঁজ কে নিলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইনকিলাব যে এই বিকৃত বক্তব্য ছাপছে, এইটা কিন্তু আমি জানতাম না, আপনেও জানতেন না। আমাদের জানাইলো কে? জনৈক স্বতন্ত্র সাংসদ এবং সরকারদলীয় সাংসদরা। তাইলে এইটা কেমতে ইনকিলাবের মাস্টার প্ল্যান হয়?
পত্রিকা টোপ ছড়িয়ে রাখে, তারা জানে কেউ না কেউ গিলবেই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সহমত।
বিক্ষিপ্ত মাত্রা
এই আইডিয়া এর আগেও বহুবার পত্রিকাগুলো ব্যবহার করেছে। গতকাল যা ঘটেছে এটা কিছুই না। ইনকিলাব শুধু একটি বিকৃত সংবাদ ছাপিয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজিয়ে দিতে পেরেছিলো এরশাদ আমলে। এটা তাদের কাছে একটি পরীক্ষিত এবং সফল আইডিয়া...
তারা জানে, খুব সামান্য এদিক ওদিক করে ছাপলেই দেশে অনেক কিছুই ঘটিয়ে দেওয়া যায়। আমাদের অসচেতনতার জন্যই তারা আবারো সফল হলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আলী আশরাফ কি ইনকিলাব এর নাম নিয়েছে?
সেটাই!
হো হো হো হো!
অনেকদিন পর চরম মজা পেলাম। এইসব অন্ধ পার্টিজানরা যে কি অপরিসীম বিনোদনের উৎস তা তাঁরা নিজেরাও জানেন না!
হা হা হা হা!
১. ইনকিলাব খবরটি বিকৃত করেছে।
২. আ.লীগের এমপি,মন্ত্রীরা আলুপেপার পড়েন না, কালু পেপার পড়েন না; স্রেফ ইনকিলাব পড়েন।
৩. সুতরাং, সবই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিদের ষড়যন্ত্র! এম্পি,মন্ত্রীরা ভাজা মাছ উলটে ভি খাতা নেহি পারতা হায়!
এর চেয়ে কমিউনিস্ট ইশতেহারগুলোও বেশ বিশ্বাসযোগ্য(সবই পুঁজিবাদী ষড়যন্ত্র!)। হা হা। নতুন প্রজন্মকে আপনারাই লীগ থেকে বিমুখ করতে যথেষ্ট। জামায়াতের আর দরকার নেই আজকাল। তাদের এরকম লেখা(পড়ুন নির্লজ্জ্ব সাফাই) ধরে ধরে পড়ালেই চলবে!
বিনোদন দানের জন্য ধন্যবাদ।
বিনোদন পাওয়া শেষ হইলে যান লুঙ্গি মাথায় তুইলা রাস্তায় গিয়া চৌরাস্তার মাঝখানে দাড়াইয়া দুই-পাক নাইচা আসেন। দরকার হইলে আপনার মতো যারা বিনোদন পাইতেছে তাদের একসাথে নিয়া লাইন ধইরা এক্রোবেট দেখাইয়া আসেন।
ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা !!!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ও ভাইটু!! জ্বলে?
নাহ, জ্বলবো কে? আপনার জ্বালানোর দরকার হইলে বইলেন !! বিছুটি পাতা সের দরে দিয়া আসুমনে বাড়িতে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইডা কি চিনেন?
মুর্খতাই আনন্দ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সহমত।
নজরুল ভাই, ইনকিলাবের চক্রান্ত তো বুঝলাম। কিন্তু সরকার যে অযথা একের পর এক বাক-স্বাধীনতাহরণকারী কর্মকান্ড করে তরুণ নয় শুধু, পুরো দেশকেই ক্ষেপিয়ে তুলছে সেটার কি হবে?
ঘটনা তো একদিনে হয়নি এটাও চিন্তা করে দেখুন, অনেকগুলো ঘটনার প্রতিক্রিয়া একসাথে স্ফুলিঙ্গের মতো প্রকাশিত হয়েছে। তরুণ সমাজ অনেক ব্যাপারেই অসন্তুষ্ট ছিলো সরকারের কর্মকান্ডে, সেই সময়ে শ্রদ্ধেয় স্যার আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এর বিরুদ্ধে এধরনের অদ্ভুত আলোচনা উসকে দিয়ে সাংসদরা সেই অসন্তুষ্টির আগুনে ঘি দিলে দিলো। স্বাভাবিকভাবেই স্যার এর সমর্থনে প্রতিবাদের বিস্তার অনেক দূর পর্যন্ত গড়াবে।
যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে দিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে এটা জানি, কিন্তু তাদের এই বাঁদর নাচের বাঁদর তো সরকারের লোকজন হচ্ছে। নিজেরা রাজনীতির ময়দানে যদি অন্যের ঘুটি হয়ে বসে থাকে তাহলে দোষটা কার? যুদ্ধাপরাধী-সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী একটার পর একটা চাল দিচ্ছে আর তাতে সরকার নানাভাবে বেকায়দায় পড়ছে, এতোটা যদি নড়বড়ে অবস্থান হয় তাহলে কি বলার আছে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঠিক একই প্রশ্ন আমাকেও পেয়ে বসেছে। ক্ষমতার জোর কি এদের মুখের লাগাম এতোটাই শিথিল করে দিয়েছে যে তাতে কিছুই আটকায় না? আমাদের শিশুদের কমন সেন্স নিয়ে এখন গর্ব হয়। অধ্যাপক সাঈদকে ক্ষমা চাইতে হবে, তাও সংসদে গিয়ে, এতটা শিশুতোষ কথা তো তারাও বলবে না-
বিক্ষিপ্ত মাত্রা
স্যার যদি এমন মন্তব্য করেও থাকেন তাতে ভূলটা কি হইছে? এরা চোর বাটপারদের চেয়ে কম কিসে? আর কে না কে কি এক লেখা ছাপলো আর সবার মাঝে আগুন জ্বলে গেলো! আর এত সহজেই যদি এত্তসব বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদদের ক্ষেপিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করা যায় তাইলে আর কথা বলে লাভ কি? বরং এক তালে বলা দরকার ইনকিলাব জিন্দাবাদ!
বিজ্ঞ সাংসদরা ইনকিলাবের খবর পড়ে উত্তেজিত হয়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সরকারের পক্ষের রেসিপি হয়ে গেছে এই লিখা.. মন্ত্রী-সাংসদরা কি তাইলে সবাই খালি ইনকিলাবই পড়ে? আর গদ ইলেকশানের আগ থেকে ইনকিলাব আওয়ামী লীগের পক্ষেই প্রচারণা চালাচ্ছে...মাথামোটা সাংসদদের পক্ষে এইটা একটা ভোতা যুক্তি যে, ইনকিলাব এর রিপোর্টে তারা প্রভাবিত হয়ে বেহুশ হয়ে তারা উল্টপাল্টা বকেছেন !
ইনকিলাবের মালিক আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছিল শুনেছিলাম। সেরকম হলে ইনকিলাব তো এখন আওয়ামী পত্রিকা হবার কথা।
ইনকিলাবের গুড় লাগাবার ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কিন্তু এই ইস্যুতে ভেজালটা আমাদের মাননীয় সাংসদেরাই করেছেন মনে হচ্ছে। আলু কালুর যুগে আজকাল ইনকিলাবের খবরে কেউ নাচে না। আবদুল্লাহ আবু সাঈদকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে সে ইস্যুতে, সেই ইস্যুতে আমি দিনে চোদ্দবার গালি দেই সরকারকে। আমার মতো আরো কয়েক কোটি বান্দা গালি দেয়। সবাইরে ক্ষমা চাইতে বলবে ওই নাদান সাংসদেরা?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
একমত , আমিও জানি যে , ইনকিলাব এর মালিক ও সম্পাদক শেষ নির্বাচন এর আগে বেশ ঘটা করেই শেখ হাসিনা এর সাথে দেখা করেন এবং তাদের সাথে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সুতরাং, এখানে লেখক এর এই কন্সপিরেসি থিওরি ঠিক কাজ করছে না
হ্যাঁ, আমিও এটাই জানি। গত নির্বাচনে ইনকিলাবের মালিক-সম্পাদক বাহাউদ্দিন আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছেন। তিনি শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন।
তারপরেও বলি রাজনীতির পিছেও রাজনীতি থাকে। জানিনা এটা তেমন কিছু কিনা !
সমস্যা হৈল, আজকাল সরকারি লোকজন রাষ্ট্র আর নিজেগো মধ্যে কোন পার্থক্য দেখতে পায়না। তাগো গালি দেওয়া মানে রাষ্ট্র রে গালি দেওয়া!!
আপনাগো চাকরি দিসি আমরা, ঠিকমত কাজ না করলে গালি খাইতেই হবে। সায়ীদ স্যার না দিতে পারে, আমি দিয়া গেলাম।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ভালো বলেছেন, ভোট যেহেতু দিসি, গালিও দেয়ার ক্ষমতা রাখি
ঠিক বলসেন ভাই
ইনকিলাব বিকৃত সংবাদ ছাপিয়েছে সেটা নিন্দনীয়। কিন্তু সাংসদেরা যা করলেন তা কি ভালো কাজ? আপনি যে নাই চিলের কথা বলছেন তার পিছে দৌড়েছে সাংসদেরা। তরুণ প্রজন্মের চোখ ফুটেছে, তারা ইনকিলাবের ভুয়া সংবাদ নিয়ে দৌড়াচ্ছে না। তারা দৌড়াচ্ছে বাকস্বাধীনতাহরণকারী চিলের পিছে। সেই চিলের অস্তিত্ব নিয়ে কোন সন্দেহ নাই।
শুধু ইনকিলাব কেন ওই সাংসদেরা কি একবারও ভাবল না যে তারা কাকে তলব করতে যাচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে এই কারণে যে শেষ পর্যন্ত এই লোকটাকেও অপদস্ত করা হল। বিষয়টি এমন যে কিছু চোর বাটপারের সামনে জবাব দিহি করতে যেতে হবে জাতির একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে।
ওনার বক্তব্য বোঝার মত জ্ঞ্যান কয় জন সাংসদের আছে তা নিয়েই আমার প্রশ্ন।
সহমত
আমার প্রশ্ন, সরকারী দল যতই বলুক তারা যুদ্ধপরাধীদের বিচার করবে/করতে চায়, তাদের বাস্তব কর্মকান্ড কি তাই প্রমাণ করে? তারা যে আমাদের সামনে মূলা ঝুলিয়ে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ টাকার অঙ্ক টাই শুধু বাড়িয়ে চলেছে তা কি আমরা বুঝি না? তাদের কথা বার্তা শুনলে কি তাদের কে সুস্থ বলে মনে হয়?
পর্যবেক্ষণ সঠিক।
_____________________
Give Her Freedom!
ইনকিলাব বিকৃত সংবাদ ছেপে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এটা করেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু সেই মাস্টারপ্ল্যান আসলে সফল করেছেন উল্লেখ্য সাংসদ। আর এটা তো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, সাম্প্রতিক সময়ে এরকম ইস্যু বেশ অনেকগুলো ঘটে গেল। শুধু একটা ইস্যুই কি মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে?
যুদ্ধাপ্রাধীদের বিচারের কোন বিকল্প নেই, হতে পারে না, বিচার হতেই হবে। কিন্তু সেই ইস্যুতে সরকারের যে কোন ধরণের সমালোচনা থেকে বন্ধ থাকতে হবে? কেউ সমালোচনা করলেই সেটা প্রোপাগান্ডা বা মাস্টারপ্ল্যানের এর একটা অংশ? এই কী তাহলে আমাদের গণতন্ত্র আর বাক স্বাধীনতা?
আমি জানিনা আমি ভুল বুঝলাম কিনা, কিন্তু আপনার লেখার টোনটা অনেকটা এরকমই মনে হল আমার কাছে। বোঝার ভুল কি?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মনের কথাটি বলেছেন
হুম। ঠিক আছে। ইনকিলাবের এইসব কর্মকান্ড সবার জানা।
কিন্তু আমাদের সাংসদরা কি ঘাস খায়? কি ***-এর রাজনীতি করে এরা এমপি হয়েছে যে কোন খবরে লাফাতে হয় আর কোন খবর উপেক্ষা করতে হয় জানে না?!
আমাদের সাংসদদের তথ্য সংগ্রহের একমাত্র ভরসাস্থল ওই ইনকিলাব ? ইনকিলাবে যা ল্যাখে তাই তারা অম্লানবদনে বিশ্বাস করেন ? অবস্থা যদি সেটাই হয় (ঘটনা পরম্পরা এবং আপনার পোস্ট সেইদিকেই ঈঙ্গিত করে), তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আমি আসলেই শংকিত, এবং সেটা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে নিয়ে ইনকিলাবের জল ঘোলা করার কারণে না, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সাংসদদের ইনকিলাব-নির্ভরতার কারণে।।
উপরের এক মন্তব্যকারির সাথে আমার নাম এর মিল আছে - কিন্তু চিন্তায় নেই !
ইনকিলাবের ষড়যন্ত্র নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ওরা তো এটা বছরের পর বছর ধরেই করছে।কিন্তু আমাদের মন্ত্রী সাংসদরা তো কেউ দুধের শিশু না যে এই ষড়যন্ত্রের কথা তাদের অজানা !!! ইনকিলাবে কি লিখল সেটা শুনেই যাচাই না করেই যদি স্যারের মত একজন মানুষকে তারা অপদস্তু করতে চান তাহলে সে দোষটা ঠিক যতখানি ইনকিলাবের ঠিক ততখানিই সাংসদের। এ দেশটা চালাচ্ছে তারা , ঠিক কোন কাজটা করলে ,কোন কথাটা বললে দেশের মানুষ ক্ষেপে যাবে এটা বোঝার মত বুদ্ধি যদি তাদের না থাকে তাহলে তাদের সংসদ ভবন ছেড়ে মুদি দোকানে বসা উচিৎ। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার আদৌ কোন ইচ্ছা সরকারের আছে নাকি এটা নিয়েও তারা রাজনীতি করছে সে ব্যাপারেও সন্দেহ আছে আমার, নতুবা এই সরকারের আমলে গোলাম আজম মিডিয়াতে ভাষণ দেয় কিভাবে ? তারা তখন কি করছিল? সায়ীদ স্যার কে রাষ্ট্র অবমাননার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে !!! কই গোলাম আজম যখন টিভিতে যা ইচ্ছে ভাসন দেয়( যেই লোকের অস্তিত্বই রাষ্ট্রের জন্য অবমাননাকর) তখন কোনও বিজ্ঞ সাংসদ তো এত উত্তেজিত হয় না???? তাহলে সমস্যাটা কাদের???
ভুয়া=বানোয়াট খবর ছাপাইছে ইনকিলাব, সেই খবর নিয়ে নাঁচন-কুদন করছে সাংসদরা । এখন পুরো ব্যাপারটাই যদি হয় কোন গোষ্ঠির ষড়যন্ত্র তাহলে তো সেই ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশও সাংসদ'রা । তিনারা পুরো ব্যাপার না জেনে একটা উল্টাপাল্টা পত্রিকার খবর নিয়ে কেন এত মাতামাতি করবেন? নিজেরাই যখন বলছেন তিনারা রাষ্ট্রের হ্যানত্যান ।
দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে কেউ- সঠিক । আর দেশের সর্বোচ্চ জায়গায় বসে সেই গড্ডালিকা প্রবাহে নর্তন-কুর্দনের মানে তাহলে কী?
কড়িকাঠুরে
নজরুল ভাই, ইনকিলাবের বর্তমান মালিক হল এ এম এম বাহাউদ্দীন বাহা। তার বাবা জামাত ইসলামী ছিলেন। আর বাহাউদ্দীন বাহার পুরা রাজনৈতিক জীবন আওয়ামীলীগের হয়েই রাজনীতি করছে। সুতরাং আপনার যুক্তিটা মনে হয় বাস্তবতার নিরিখে খুব একটা ধোপে টেকে না ।
সাংসদের "অবমাননা" কেন "সংসদের অবমাননা" হতে যাবে? আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ যদি বলেও থাকতেন যে "মন্ত্রী-সাংসদরা চোরডাকাতের মতো আচরণ করেন", সেটা কোন যুক্তিতে সংসদের অবমাননা হতো?
যতদূর মনে পড়ে, মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির বিবরণ শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিলো মহাজোটের। তারা কথা রাখেনি। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে সংসদে ডাকার আগে সাংসদরা নিজেদের সম্পত্তির হিসাব দিক জাতির কাছে। টেলিফোন বিল না দিয়ে বাকি ফেলে রাখে যেসব সাংসদ, তাদের মুখে লম্বা লম্বা কথা শোভা পায় না।
আমি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে পছন্দ করি না, কারণ তিনি হাওয়া বুঝে ছাতা খোলেন। আলবদর সরকারের আমলে তিনি কোনো এক গোলটেবিলে দেশে চলমান রাজনৈতিক লুটপাট নিয়ে বলেছিলেন, এখন পুঁজি সঞ্চিত হচ্ছে, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেলে পুঁজি নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে, ইয়োরোপের মতো [ভারবাটিম কোট করতে পারলাম না, স্মৃতি থেকে লিখছি]। আলবদর সরকারের পাণ্ডারা যখন দক্ষিণবঙ্গে গণধর্ষণ চালাচ্ছে, তিনি তখন মশার বিরুদ্ধে জেহাদ করছেন। এতদিন পর যদি তিনি উপলব্ধি করে থাকতেন, মন্ত্রী-সাংসদরা চোরডাকাতের মতো আচরণ করে, সেটা প্রকাশ করার শতভাগ অধিকার তার ছিলো এবং আছে, কোথাও গিয়ে কৈফিয়ত/ক্ষমাপ্রার্থনা করা ছাড়াই। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্মানিত শিক্ষক না হয়ে একজন অসম্মানিত রিকশাওয়ালা হলেও তার সেই অধিকার থাকতো।
আমাদের দেশে মোগল আমলের ভূত এখনও যায়নি। নির্বাচিত সাংসদরা নিজেদের কনস্টিটুয়েন্সিকে সুবাহ ভাবেন, আর আমাদের ভাবেন নিকৃষ্ট প্রজা। আমরা ভোট দিয়ে সংসদে না পাঠালে রাস্তায় বসে বগল খাউজাইতো যেইসব লোক, তাদের লম্ফঝম্প দেখে মেজাজ খারাপ হয়। মন্ত্রিত্ব আর সাংসদত্ব কি দাদা-নানার পকেট থিকা বাইর হইছে নাকি? আমরা দিছি দেইখাই পাইছে। ভোট দিতে পারে যে, গালিও দিতে পারে সে।
আলবদর সরকারের লুটপাট আর গণধর্ষনের সময় আপনি কই ছিলেন হিম্ভাই?
আপনার পাশের বাসায়।
যাক; সইত্য কইছেন! প্রতিবাদে না থাইকা যে ভিত্রে ছিলেন এইডা স্বীকার যাওনে আপনারে মনখানেক ।
হ, আমি আপনার বাপচাচাদের মুখের দিকে চাইয়া ছিলাম। ঠিক্কর্ছিলাম তারা প্রতিবাদ শুরু করলে আমিও বিরাট আওয়াজ দিমু। কিন্তু ...।
উনি তখন সম্ভবত নেভারেস্ট সিরিজের পরবর্তী সিকুয়েলের প্লট নিয়ে ভাবতেসিলেন
আরে হ, তাইতো! ২০০১ সাল থিকাই ঐ জিনিস চিন্তা কইরা আসতেছি!
(কিন্তু ...) ...... সাহসে কুলায় নাই; আফসুস!
হ রে ভাই। আমি ভীতু সম্প্রদায়ের লোক। আপনার যেমন সামান্য সচলায়তনেই নিজের নাম দিয়ে কমেন্ট করার সাহস হয় না, আমারও তেমনি সাহসের অভাবে, গোলটেবিলের অভাবে প্রতিবাদ করা হয় নাই। আমার গোলটেবিলের অভাবের জন্য আফসুস কইরা দিয়া যান না ভাই। পিলিজ?
নজরুল ভাইকে ধন্যবাদ ব্যাপারটি উপস্থাপনের জন্য। ইনকিলাবের এই ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
এখন অন্য কথা বালি-
ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাইনি.... আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ উদাহরন দিলেন আর সাংসদ এবং মন্ত্রিরা নিজেদের চোর বলে প্রমান করলো!
এত বড় বড় কথা যে বলল বিশিষ্ট দুর্নীতিবাজ এম পি, যে শিক্ষক হয়ে গাড়ীতে চড়ে কি করে, আরে ব্যাটা জনগণের সেবায় নিয়োজিত থেকে তোর বেতন কত হবার কথা! তাতে এত বাড়ী-গাড়ী আসে কোথা থেকে? চুরি করে দেশের কিছু রাখে নাই কেউ সত্য আভাস দিলেও অপরাধ! ব্যাটা যে বলে বুদ্ধিজীবীরা দেশের দরকারের সময় কাজে আসে না, তা উনি কোথায় ছিলেন ৭১-এ ?
facebook
১.
বুঝা গেলো, যে কোনো সমস্যাতেই মন্ত্রী এমপি এবং সরকারকে গালি দিতে পারলেই বাহবা, নয়তো পার্টিজান খেতাব। দুঃখিত, এই ঝাঁকে আপাতত মিশতে পারছি না।
২.
একটি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদীত রিপোর্টের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রথম দায় সেই রিপোর্টার, সম্পাদক এবং প্রকাশককেই নিতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সাংসদদের গালি দিতে উৎসাহীরা মূল বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতেই আনন্দ পাচ্ছেন।
মন্ত্রী এমপিরা কে কী তা নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। হবে। হোক।
তাই বলে এই হলুদ সাংবাদিকতা রেহাই পেয়ে যাবে? এটা নিয়ে কেউ কিছু বলবে না? বললেই সেটা আওয়ামীপন্থী লেখা হয়ে যাবে?
এই লেখায় কোথাও কি সাংসদদের হয়ে সাফাই গাওয়া হয়েছে?
সবাইকে অনুরোধ, মন্তব্য করার আগে লেখাটি পড়ুন ভালো করে। নিজের ক্ষোভের দায় অন্যের লেখায় চাপাবেন না।
৩.
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ তো মন্ত্রী সাংসদদের দূর্ণীতিবাজ বলেননি, তাঁর সেই না বলা কথার পেছনে আমাকে কেন লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে? আগে তিনি সাহস করে বলুন, তারপর নাহয় তাঁর পক্ষে লড়াই করার প্রশ্ন উঠুক?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই হলুদ সাংবাদিকতা কি মাননীয় সংসদ সদস্যরা বুঝতে পারেন নি? আপনি বলছেন যে আপনার লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ ধরণের হলুদ সাংবাদিকতার বিষয় টা তুলে ধরা। কিন্তু সংসদ-এ তো এ বিষয় নিয়ে আলাপ হয়নি,আলাপ হয়েছে বক্তব্য টা নিয়ে। সেজন্যই সবাই সেটা পছন্দ করে নাই। কেউ-ই কিন্তু এই হলুদ সাংবাদিকতা নিয়ে কিছু বলছেন না, বরং ডেপুটি স্পিকার প্রেস কাউন্সিল এ যাবার পরামর্শ দিয়েছেন। যেভাবে বক্তব্য টা নিয়ে আলাপ হল সেভাবে এই হলুদ সাংবাদিকতার সমালোচনাটাও দরকার।
প্রশ্ন সেখানেই হলুদ সাংবাদিকতা নিয়ে কেন কথা হচ্ছে না? না এখানেও স্বার্থ জড়িত... আর স্বার্থের প্রশ্নই যদি হয় তবে বিপদ আসন্ন ।
কড়িকাঠুরে
বাংলাদেশে তরুণদের একটা অংশকে "রাজনীতি" শব্দটা শুনলেই নাক কুঁচকে ফেলার জন্যে তৈরি করা হয়ে আসছে। এরা অনেক কিছু করতে চায়, কিন্তু রাজনীতি শুনলেই প্যান্ট গোড়ালির ওপর তুলে ফেলে। এদের পেছনে বা সাথে আবার মার্কিন দূতাবাসকেও ইদানীং ঘনঘন দেখা যায়। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এমনই একটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছিলেন। আলুপেপারে ইউনূসের ভাই জাহাঙ্গীর সাহেবও নিয়মিত বিরতিতে তরুণদের সংগঠিত করে ইউনূসের নোবেলপরবর্তী কনট্র্যাপশন নাগরিক শক্তির কচি সংস্করণ যুব শক্তি গঠনের তাগাদা দেন ইনিয়েবিনিয়ে। আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় এসেছে বহুলাংশে তরুণ ভোটারদের ভোটে জিতে। সম্ভবত এই ভোটভিত্তিতে ফাটলের আশঙ্কায় আছে কিছু নেতা/সাংসদ। সায়ীদ স্যারের বিরুদ্ধে তাদের আস্ফালন সম্ভবত সেই আশঙ্কা থেকেই, একটা লম্বা সময় ধরে জমা হওয়া ক্ষোভের প্রকাশ। এই নেতা/সাংসদেরা মোগল আমলের মডেলে ব্যাপারটাকে চোখ রাঙিয়ে মোকাবেলার ধান্দায় আছে হয়তো।
সায়ীদ স্যারের তৈরা করা আলোকিত মানুষেরা কেউ রাজনীতিতে যোগ দেননি মনে হয়। শেখ সেলিমের মতো ছাত্রগুলিই শুধু রাজনীতি করে। এর কারণটা নিয়ে চিন্তার অবকাশ আছে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন হিমু ভাই। আমাদের প্রজন্মের বেশিরভাগের ফেইসবুক ইনফো দেখলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়। No Comments অথবা Hate Politics হচ্ছে বেশিরভাগের রাজনৈতিক দর্শন। কিন্তু একজন শিক্ষিত ছেলে বা মেয়ে কিভাবে রাজনীতিকে ঘৃনা করে অথবা তার এই বিষয়ে কোন আদর্শ থাকতে পারেনা সেই ব্যাপারটিতেই আমাকে অবাক করে!
আজকাল তৃতীয় শক্তি নামের এক অদ্ভুত দর্শন নিয়ে বুদ্ধি(!)জীবিরা কপচাচ্ছেন, কিন্তু আসলেই কি তৃতীয় শক্তিই কি কোন উত্তরন দিতে পারবে? আমাদের কিছু করতে হলে বর্তমান ফ্রেমের মাঝে থেকেই করতে হবে। তবে সেই ফ্রেমটি হবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিবিহীন।
আমি আমাদের মফস্বল এলাকায় একটি জিনিষ খেয়াল করেছি, এলাকার উঠতি ছেলে-মেয়েদের আপনি যত সহজে একটা খারাপ কাজে প্রলুব্ধ করতে পারবেন, ঠিক তেমনি তাদেরকে কোন সৎ নেতৃত্ব অনেক ভালো কাজেও দারুনভাবে সফল করে তুলতে পারে। আমি বলব কোন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রলীগ/ছাত্রদল সভাপতি যদি একজন ভালো নেতা সেই সাথে একজন মুক্ত মনের মানুষ হয়, তবে তার পক্ষে সম্ভব তার চারপাশের এলাকাটি পরিবর্তন করার।
কিন্তু আমরা যেই পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছি, ক্রমেই সুস্থ মনের মানুষের জন্য রাজনীতির পথটি দিন দিন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। রাজনীতির ভবিষ্যত বন্দী হয়ে পড়ছে টেন্ডারবাজ ছাত্রনেতা আর অসৎ ব্যবসায়ীদের হাতে।
এই অবস্থার পরিবর্তন না ঘটলে ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের সবচেয়ে জঘন্য মডেল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, সন্দেহ নেই!
তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম শক্তি রাজনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই আবির্ভূত হতে পারে। কিন্তু সেটা যদি হয় কোরেশীর পিডিপির মতো পাবলিকের ঘাড়ে কোনো গোষ্ঠীর চাপিয়ে দেয়া দল, তাহলে সেই দলের প্রতি মানুষের আস্থা জাগার কথা না। ইউনূসের নাগরিক শক্তি (বা জাহাঙ্গীরের কচি সংসদ যুব শক্তি) হচ্ছে এরকম টপ ডাউন দল। এই দলগুলো যদি সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা ধারণ করে তৃণমূল থেকে উঠে আসতো, তাহলে সমস্যা ছিলো না। সেটা সম্ভব না, এটা ইউনূস মতিউর মাহফুজ সবাই জানে। এরা এখন চেষ্টা করছে এই বিরাজনৈতিকীকৃত ছেলেমেয়েজোয়ানবুড়াদের নিয়ে একটা "ভালো বাচ্চাদের দল" খুলতে। ঐটারই নার্সারি হচ্ছে আলুপেপারের বদলেযাউবদলেদাউ।
আম্লীগ-বিম্পি খারাপ। ভালো দল দরকার। খুব ভালো কথা। কিন্তু সেই ভালো দল তৈরি হতে হবে একেবারে তৃণমূলের অংশগ্রহণে। হিলারির কাছে নিজের লিডারশিপের পরীক্ষা দিতে দৌড়ায় যেইসব বেওকুফ "তরুণ নেতৃত্ব", কিংবা মজিনার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে যায় যে নাগরিক সংগঠন, তাদের দিয়ে বাংলাদেশের তৃণমূলের কোনো উপকার হবে না। নেতা হতে চান, মানুষের কাছে যান, হিলারি বা মজিনা বা মতিউরের কাছে নয়।
একটা জিনিষ খেয়াল করেছেন। One Idpendent member ( Ex BNP) raised the topic। জাতিয় পারটির
member SUPPORT দিল। সেলিম Finishing Touch দিল।
কানাকে কানা বলিও না, চোরকে চোর বলিওনা।
সরকারকে যেকোন মূল্যে আমাদের বাঁচাতে হবে--তা আপনার মুখের ভাষা কেড়ে নিলেও। সেটা নিয়ে প্রতিবাদ করার মুরোদ কারোই নেই। আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
নজরুল ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য! প্রসঙ্গত একটা কথা বলি, আমি ব্যক্তিগতভাবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি! অন্য অনেক বাংলাদেশির মত আমিও বইকে ভালবাসতে শিখি বিশ্বসাহিত্যের বই পড়ে; বিশ্বসাহিত্যের বই যখন হাতে পাই, তখন আমার দুনিয়া পাল্টে গিয়েছিল! আঙ্কল টমস কেবিন, রবিনসন ক্রুসো, আকাশ যারা করলো জয় বা বেতাল পঞ্চবিংশতি হাতে পাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকেই!
তো এই অসম্ভব শ্রদ্ধেয় লোকটিকে যখন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার আলী আশরাফ সংসদে এসে ক্ষমা চাওয়ার হুকুম দেন, তখন প্রবল বিবমিষা জেগেছিল। কিন্তু নজরুল ভাইয়ের লেখাটি পড়ে আসল রহস্য ধরতে পারলাম। এখানে একটা কথা না বললেই নয় যে, আমাদের সাংসদদের দোষ নজরুল ভাইয়ের লেখাটির মাধ্যমে খাটো হয়ে যায় না। আর নজরুল ভাইয়ের লেখাটির উদ্দেশ্যও মনে হয় তা না। আমাদের সাংসদ/মন্ত্রী/রাজনীতিবিদগনের (অবশ্যই সবাই নয়) রুচি/শিক্ষা/আদর্শবোধ/নীতিবোধ সম্পর্কে দীক্ষা নিতে হলে যে সাম্প্রতিক ঘটনাটির দিকেই তাকাতে হবে এমন তো নয়! তারা কেমন, তা মনে হয় সবারই জানা এবং এ নিয়ে সম্ভবত খুব বেশী মতভেদও নেই!
তাই সংসদে সায়ীদ স্যারকে নিয়ে সাংসদদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাদের চরিত্র বিশ্লেষণে তেমন নতুনত্ব নেই, খুব বেশী ফায়দাও নেই(যেহেতু সাংসদদের নতুন কোন চরিত্র বা লক্ষণ এতে ধরা পড়ে না)! এর চেয়ে বরং অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ ইনকিলাবের ষড়যন্ত্রটি, যা নজরুল ভাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের। ইনকিলাবের কাজটি নিয়ে আলোচনা/আলোকপাতের প্রয়োজন আছে ভীষণভাবে! এই কারণে নয় যে, ইনকিলাবের যড়যন্ত্রও নতুন (বস্তুত ইনকিলাবের ষড়যন্ত্রও পুরনো ধারা মেনেই চলছে)। বরং এই কারণে যে, এর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন।
আজ এমন অনেক ঘটনা ঘটে চলেছে, যাতে করে আ'লীগের প্রচলিত ভোটব্যংকগুলো একে একে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কেউ যেন একবার বলেছিলেন, আ'লীগের ব্যর্থতা শুধু দলটির জন্য শনি বয়ে আনে তা নয়, বরং পুরো দেশের জন্য অনেক বড় বিপদ বয়ে আনে! অনেকেই হয়ত স্বীকার করতে চাইবে না, তবু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রগতিশীল ধ্যান-ধারনার পক্ষের সবচেয়ে বড় শক্তি আ'লীগই, যদিও ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীনতার চেতনা, জাতীয়তাবাদ - এসব চেতনা আস্তে আস্তে ছিটকে যাচ্ছে বা ছেঁটে দেয়া হচ্ছে আ'লীগ থেকে! আর এই প্রেক্ষিতেই নজরুল ভাইয়ের লেখাটি ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে! আমাদের ভেবে দেখা দরকার, কারা আ'লীগের বন্ধু সেজে আ'লীগকে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার মানুষদের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে! কেউ একজন দেখলাম কমেন্টে ইনকিলাবের মান্নানকে আ'লীগার বানিয়ে ফেলেছে! কথাটা পুরো মিথ্যা নয় অবশ্য। তবে রাজাকার মান্নান কি করে আ'লীগের বন্ধু বনে গেল, তাও আসলে ভেবে দেখার বিষয়!
আপনার সাথে পুরোপুরিই একমত। সব ইস্যুতেই সরকারী দলকে গালি দিলে সমস্যার সমাধান হয় না। কিন্তু এই ব্যাপারে সাংসদরাও সামান্য কারণে আস্ফালন করে সংসদকে ছোট করলেন। আর ইনকিলাব কোন হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য সুত্র?
ইনকিলাব ও একটা পত্রিকা তেলাপোকাও একটা পাখি!
আর এম পি মন্ত্রীগো দোষ দিয়া লাভ কি? কয়জন আছেন যে বানান কইরা পড়তে পারেন? আর অধ্যাপক আবু সাইদ কে এটা জানতে হইলে তো অক্ষর জ্ঞান থাকা দরকার!
আচ্ছা, ইনকিলাব না মাঝে ভোল পাল্টাইল? এখন আবার জামাতী হইছে নাকি? জানতাম না।
এখন ইনকিলাবের খোলস পাল্টানোর সময়।
তার মানে সরকার ইনকিলাব খুব মনযোগ দিয়ে পড়ে!
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
এখানে ইনকিলাবের স্বার্থটা খুব স্পষ্ট। জামায়াত-সরকারের আমলে ইনকিলাব সবচেয়ে বেশি সরকারী অ্যাড পেয়েছে। ২০০৮/২০০৯ এ তারা হঠাৎ ভোল পালটে আওয়ামী লীগ বন্দনা শুরু করে দেয়। এন্টি-৭১ লোকজনের সবচেয়ে প্রিয় পত্রিকাটির এই ইউটার্নে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম আওয়ামী আমলেও তারা সরকারের সেকেন্ড চয়েজ (যতোদূর মনে পড়ে)। আওয়ামী লীগকে তেল দেয়ায় কিছু ইয়ে মন্ত্রী/সাংসদ ইনকিলাবনির্ভর হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ইনকিলাবের জন্য আলটিমেটলি জামায়াতের ক্ষমতা দরকার। এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগকে বাঁশ দেয়ার সুযোগ তারা হেলায় হারাবে না। আপনি নিশ্চিত থাকেন, সরকার থেকে এই পত্রিকার বিরুদ্ধে কিছুই করা হবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রাজাকার খুনি মান্নানের গড়া ইনকিলাব পত্রিকার বর্তমান মালিক বাহাউদ্দিন জামাতের সাথে দরকষাকষিতে সুবিধা করতে না পেরে ভোল পাল্টে আওয়ামীলীগের পাশে আসে। কিন্ত পত্রিকার বিশাল কর্মীবাহিনীকে রাতারাতি ধোয়া তুলসিপাতা করা সম্ভব নয়। আর পত্রিকার মালিক তো মাঝরাতে বসে পত্রিকার প্রুফ রীড করে না। ভেতরে লুকিয়ে থাকা জামাতি লোকজন হয়ত এই সুযোগটা নিয়েছে।
নজরুল ভাই, ইনকিলাবের ভোল পাল্টানোর কথা শুনছিলাম। বর্তমানে কী তারা আবারও জামাতের মালিকানা/ছায়ায় ফিরা আসছে?
সবই ভোল... কেবল পাল্টায়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কি প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হবেন? তিনি ডেপুটি স্পিকারের বক্তব্যের পর ব্যাপারটার সমাধান হয়ে গেছে বলছেন। তিন সাংসদের আচরণে মনে যে কষ্ট পেয়েছেন, সে কষ্টও ডেপুটি স্পিকারের হস্তক্ষেপের ফলে লাঘব হয়েছে, এমনটাই বলেছেন তিনি। সমীকরণ থেকে সংবাদপত্রের অংশটুকু হাওয়া হয়ে গেছে এর মধ্যেই।
আমার মনে হয় উনি ইঁদুর-এর পিছনে ধাওয়া করতে আগ্রহী হবেন না।
****************************************
আলুতে দেখলাম সায়ীদ স্যার সাতটি মাধ্যমে বক্তব্যবিকৃতির কথা বলেছেন। অর্থাৎ, কাজটার পেছনে বেশ ভালো রকমের সিণ্ডিকেশন আছে। ইঁদুর নয়, একেবারে কাপিবারা।
দেখলাম।
হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে ওনার প্রেস কাউন্সিলের কাছে কমপ্লেন করাই উচিত হবে মনে হয়। আর এটা করলে, অর্থাৎ একটা অফিশিয়াল প্রোটেস্ট/অভিযোগ করলে তা যে এভিনিউতেই হোক, অন্যরা সংসদীয় প্রসিডিংস থেকে ওনার বিরুদ্ধে (অর্থাৎ একজন অনুপস্থিত নাগরিকের বিরূদ্ধে তাকে আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দি্যেই তার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার) দেয়া বক্তব্যগুলি এক্সপাঞ্জ করার ও দুঃখপ্রকাশ করার যে দাবী করেছেন - সেটা আরও জোরদার হবে। এদিক থেকে দেখলে মনে হয় এটা তাঁর করা দরকার, কারন পরেরটা যেটা বললাম সেটাও কম জরুরী নয় এবং শুধু তাঁর নিজের জন্যেও নয়।
****************************************
এই সুশীল দুনিয়ায় মামারা মামারা মিলে যাবে, হাতে হাতে ধরি ধরি নাচিবি ঘিরি ঘিরি...
কিন্তু ইনকিলাব ঠিকই পোলাপানের ক্ষোভের আগুনটা জ্বালায়ে গেলো তল দিয়া...
সেইটা কেউ দেখবে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইনকিলাবকে যতই বকা দেই না আমরা, বল এখন সংসদের কোর্টে। স্পিকার যদি একটা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন, তিন সাংসদের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে তাদের ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য ফ্লোর দেন, তাহলে ব্যাপারটার একটা সঠিক ক্লোজার হতে পারে।
রাজনীতির বাইরে কেউ না। আবার সবাই "রাজনীতিবিদ" না।
এখন এই সাংসদরা প্রফেশনাল রাজনীতিবিদ হয়েও যদি এইসব চাল না বোঝে তাহলে তো আরো কয়েক দিক থেকে কয়েকটা চাল আসার পরে সোজা কিস্তি মাত হয়ে যাবে!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইনকিলাব বহু আগেই বিক্রি হয়ে গেছে, বর্তমান মালিক আওয়ামী নেতা। বিশ বছর আগের গালগল্প আজ বলে কি লাভ।
এখানেও জামাত। আপনারা আওয়ামী লীগ ইয়ে করলেও সেটারে চকলেট আইসক্রীম ভেবে চেটেপুটে খাবেন। ধরুন স্যার কথাটা সত্যিই বলেছেন । এ কথা প্রতিদিন দেশের লক্ষ্ লক্ষ্ লোক বলে। তাই বলে কি সেলিম মিয়ার এই অধিকার হয়ে গেছে তার শিক্ষককে মাফ চাইতে বলার। মানুষ হতে শিখুন।
মানুষ হতে শিখেছে বলেই হয়তো এখানে সবাই জামাতকে উঠতে বসতে গালি দেয়। আপনি তাতে চটেন কেন?
জামাতকে গালি দেবার আরও একশটা জায়গা আছে, সেখানে গালি দেওয়াও হয়। কিন্তু সবজায়গায় জামাত খুজলে অনেকটা সরকারের "যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচাল" মার্কা শোনায়, যেটা আজকাল পাবলিক হাসায়। চেষ্টা যে হচ্ছে না তা নয়, কিন্তু ব্যাপারটা অনেকটা রাখালের বাঘের গল্প হয়ে ওঠে, আসল বাঘ আসলে কেউ গুরুত্ব দিবে না।
যাই হোক আমাদের দেশের সাংসদের কমনসেন্স দেখলে বইএর কথা মনে পড়ে যায়, "কমনসেন্স ইজ নট সো কমন"
আনফরচুনেটলি, সব জায়গাতেই জামাত আছে। কোথাও কম, কোথাও বেশি, কিন্তু আছে। সে কারণেই উদ্বেগ বা সতর্কতা।
এই পোস্টে লেখক কোথাও আওয়ামী লীগের "সমর্থনে" কিছু লেখেননি। কিন্তু আপনি দৌড়ে এসে তাকে এবং সচলায়তনে যারা অংশ নেন তাদের সবাইকে ঢালাওভাবে আওয়ামী লীগের ইয়ে খাওয়াতে ইচ্ছুক। আপনার রাগ এমনকি আওয়ামী লীগের সমর্থনের কারণেও না, জামাতকে খুঁজে পাওয়ায়।
আপনার সমস্যাটা আসলে কোন জায়গায়, আরেকটু খুলে বলুন।
উনি খুলে বলতে জাবেন কেন? Unheard Voice কে দেখেন। ওরা যেমন বদলে হয়ে গেছেন আলাল ও দুলাল। এক আলাল আসিফ মিয়া এখন আবেদ এর কাছের মানুষ। আর এক দুলাল Jyoti Rahman এখন pseudo Liberal mask পরে আজব সব Theory বিলিয়ে চলেছেন ছাগুদের পখখে। শাহরিয়ার মিয়া দেখেন ওখান থেকে আসছেন কি না।
তাইলে আওয়ামী লীগের নেতারা অখন ইনকীলাব পড়া শুরু করছে !?
এখানে অনেক মন্তব্যকারীই পত্রিকার খবর পড়ে তা যাচাই না করেই সংসদে ঐ খবরের উপর মন্তব্য করার জন্য সংসদ সদস্যবৃন্দের সমালোচনা করেছেন। তাদের সবার মন্তব্যের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, আমরা প্রায় সকলেই পত্রিকার খবর দেখে তার ভিত্তিতেই মন্তব্য করেছি। আমরা ক'জন মন্তব্য করার আগে পত্রিকার খবর যাচাই করেছি। অনেকে হয়তো বলবেন, এখানে মন্তব্য করা আর মহান সংসদে দাঁড়িয়ে মন্তব্য করা কি এক হ'ল নাকি। নিশ্চয়ই এক নয়। তবুও বলব, আমাদের অবস্থানে থেকে যা আমরা করতে পারিনি তা অন্যেরা তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে করবে সেটা আশা করা কতটুকু ন্যায্য। আসল কথা হ'ল পত্রিকার খবর পড়ে তার সত্যতা যাচাই করে তার পর সে বিষয়ে কথা বলা একটু প্যাঁচানো পথ বলে আমার কাছে মনে হয়। তাই আমি আশা করব সত্য খবর প্রকাশের দায়িত্ব পত্রিকাগুলো গ্রহন করবে। তারা কোন মিথ্যা খবর প্রচার করবে না তাহলেই সকল পাঠক প্রকাশিত খবরের সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব থেকে রক্ষা পাবে। পায়ে ধোলা লাগার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সারা দেশ ঝাড়ু দেয়া বা ঢেকে দেয়ার বদলে ধুলি চরণে না লাগাতে চাওয়া ব্যক্তির চরণদ্বয় ঢেকে দেয়ার মত। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে মনে হয়েছে, পোস্ট লেখক নজরুল সাহেব ইনকিলাব মার্কা পত্রিকাগুলোর সে পথে আসা বিষয়েই আলোকপাত করতে চেয়েছেন।
এখানে মহান সংসদের মহান (কার্যকলাপে মনে হয় সকলে নন) সদস্যবৃন্দের ভাষা ব্যবহার, এটিচুড, স্যারের মত সম্মানিত ব্যক্তির বিষয়ে কথা বলার মার্জিতরূপ অনুকরণ করা প্রভৃতি অনেক বিষয়ে কথা বলা যায়। কিন্তু আমি মনে করি, সে লাইনে গেলে নজরুল সাহেবের পোস্টের আসল উদ্দেশ্যকে অন্য বিষয়ের আড়ালে ধোয়াসা করে ফেলা হবে। যেমনিভাবে জামাতিরা তাদের ভাষায় সরকার দলে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলে চিহিৃত এবং সঘোষিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যৌক্তিকতা থেকে জনগণের দৃষ্টিকে অন্যত্র ধাবিত করতে চায়।
সংসদের নেতিবাচকতার কথাও আলোচিত হতে পারে। যারা এ বিষয়টিকে এ লেখার সূত্র ধরে অবতারণা করতে চাচ্ছেন আমি তাদেরকে অনুরোধ করব আপনারা একজন এ বিষয়কে মূল করে একটি পোস্ট দিন, আমরা সেখানে এ বিষয়ে আলোকপাত করব। আসুন আমরা এখানে নজরুল সাহেবের আলোকপাত করা সমস্যাটি নিয়ে কথা বলি। তার সাথে এ বিষয়ে কারও দ্বিমত থাকলে সে বিষয়টিও লিখুন। আমরা দু পক্ষের মতামতকে বিশ্লেষণ করতে পারব।
ইউনুস গেলো, সায়ীদ গেলো,,,,,,,,,,,,,,,,,আর কাকে অপমান করার বাকী আছে?
একটি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদীত রিপোর্টের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রথম দায় সেই রিপোর্টার, সম্পাদক এবং প্রকাশককেই নিতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সাংসদদের গালি দিতে উৎসাহীরা মূল বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতেই আনন্দ পাচ্ছেন।
লেখকের এই কথাটা খুব মাসুম মনে হচ্ছে। আমার ধারনা আওয়ামী কিছু সাংসদই সম্পাদক সাহেবকে ম্যানেজ করেছেন যেন একটু হলুদ রঙ দিয়ে খবরটা প্রকাশ হয়। কারণ সাইদ স্যারকে বুঝানো দরকার উনারা কি জিনিস। টিআইবি গত সরকারের আমালে যে খেলা খেলেছে এবার সেই খেলা খেলতে দেবেন না তারা।
আরে দাঙ্গা বলছেন কেন, বলুন হিন্দু নিধন।
নতুন মন্তব্য করুন