বইপড়া, গনি আদমের ক্যাম্পাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: বুধ, ২২/০৫/২০১৩ - ৫:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
সহকর্মী মুম রহমান ভাইয়ের উছিলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, বিশেষ করে নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রদের রেগুলার আড্ডা হতো তখন অফিসে। সেই আড্ডাতেই সম্ভবত প্রথম শুনি খবরটা, সেঞ্চুরি মানিকের কীর্তি। শুনে অবাক হয়ে যাই, বিস্ময়ে হতভম্ভ হয়ে যাই। জাবির তখনকার ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মানিক আর তার সহযোগিদের ধর্ষণ সেঞ্চুরী পালনে পুরো জাতি স্তব্ধ হয়ে যায়।
আর ফুঁসে ওঠে জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রছাত্রীরা। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে তখনকার সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারসমৃদ্ধ ধর্ষক গ্রুপ বিতাড়িত হয় ক্যাম্পাস থেকে।

নব্বইয়ের অবিস্মরণীয় বিজয়ের পরও লোভের আগুনে যে প্রাপ্তিগুলো হারিয়ে যাচ্ছিলো, জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় আন্দোলনের পরেও যখন ঘাতকদের কিছুই করতে পারছিলাম না, চারদিকে শুধু হতাশা জমছিলো, তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের এই বিজয় নতুন করে আশার সঞ্চার করেছিলো আমাদের মনে।

সেই আন্দোলন নিয়েই 'গনি আদমের ক্যাম্পাস' নামে উপন্যাস লিখলেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রাশেদ মেহেদী। প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ।

২.
ক্যাম্পাসে গনি আদমের প্রথম দিন থেকেই উপন্যাসের শুরু। আপাত আনস্মার্ট গনি আদম ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে থাকে। বিশেষ করে শিবিরের দুই ক্যাডারকে খালিহাতে একাই ধোলাই করে সবার গুরু হয়ে ওঠে গনি আদম। এককালে ছত্রমৈত্রী করা, সশস্ত্র বিপ্লবের স্বপ্ন দেখা গনি আদম ক্যাম্পাসে প্রত্যক্ষভাবে কোনো দলের হয়ে কাজ না করলেও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আর আমিন বাজারে ট্রাক ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে সংগঠিত বিক্ষোভে হঠাৎ করেই নেতা হয়ে যায় গনি আদম। কিন্তু গনি আদম শুধু একাই নেতা, তার কোনো নির্দিষ্ট কর্মী নেই। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাই তার কর্মী।

রাশেদ মেহেদী গল্পের ছলে তুলে ধরেন জাবির ভিসি, প্রোভিসি, প্রক্টর, শিক্ষক নেতা, ছাত্র নেতাদের অন্তরালের খবরগুলো। উঠে আসতে থাকে টেন্ডার রাজনীতির কাছে মাথা নত করা শিক্ষক আর ছাত্রনেতাদের কথা। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে ভণ্ডদের মুখোশ বদলের কথা। আর আড়ালে আবডালে উঠতে শুরু করে ধর্ষণের কথা।

শুরু হয় ধর্ষণের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গল্প। ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পুরো গল্পটা তিনি তুলে ধরেন উপন্যাসে। ধর্ষকরা বিতাড়িত হয়, কিন্তু ধর্ষণ কি থামে? থামে কি টেন্ডার আর লোভের রাজনীতি? দখল আর ক্ষমতার রাজনীতি?

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের চিত্র দেখতে দেখতে আমরা দেখি ধর্ষণ আসলে সর্বত্রই। আমাদের মগজে, চিন্তায়, চেতনায়, নীতিতে... সবকিছুই আজ ধর্ষিত। চারিদিকে শিশ্নসভ্যতার জয় জয়কার।

৩.
গনি আদমের ক্যাম্পাস উপন্যাস হলেও, রাশেদ মেহেদী আসলে আন্দোলনটির ধারাবর্ণনাই করে গেছেন কেবল। একের পর এক তুলে দিয়েছেন ঘটনাগুলো। তাতে একটা উপকার হয়েছে, আন্দোলনের মোটামুটি একটা ডকুমেন্টেশন হয়ে গেলো।
শুধু চরিত্রের নামগুলো বদলে দিয়েছেন লেখক। সেঞ্চুরী মানিক তাই উপন্যাসে হাজির হন হিটলার নামে। এমনি করে তখনকার অন্য ছাত্রনেতারা, ভিসি, প্রক্টর, শিক্ষক, সাংবাদিকরা সশরীরেই উপন্যাসে হাজির থাকেন ভিন্ন ভিন্ন নামে। নাম ভূমিকায় যে গনি আদম, তিনি যে আসলে ঐ আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব আবু জাঈদ আজীজ তা লেখক নিজেই স্বীকার করে নেন। অনুমান করি সাংবাদিক চরিত্রের আড়ালে লেখক নিজেই হাজির হয়েছেন উপন্যাসে। কবি সুনীল সাইফুল্লাহও উপস্থিত থাকেন চেতনায়।
আবার কিছু চরিত্র স্বনামেই এসেছেন। যেমন সেলিম আল দীন, আনু মোহাম্মদ, শামসুর রাহমান, খুশী কবির, মানস চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
সেই সুবাদেই একটা বিষয় খুব চোখে লাগলো। শিক্ষকদের যে অংশটা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করলো, তাদের নাম প্রকাশ করলেও আড়ালে থেকে গেলো ধর্ষকদের পক্ষ নেওয়া শিক্ষকদের নামগুলো!

৪.
৯৮ এর সেই আন্দোলন সম্পর্কে ধারনা পেতে হলে এই উপন্যাসটা নির্ভরযোগ্য হতে পারে হয়তো। যুক্ত কিছু ছবি উপন্যাসটিকে প্রামাণ্য দলিলের আরো কাছাকাছি নিয়ে গেছে। উপন্যাস হিসেবে যতোটা, তারচেয়ে বেশি একটি আন্দোলনের ইতিহাস হিসেবেই বইটা আমার কাছে মূল্যবান হয়ে থাকবে।

তবে অসংখ্য ভুল বানান, পরের প্যারাগ্রাফ আগে আর আগের প্যারাগ্রাফ পরে চলে যাওয়া, সম্পাদনার অনুপস্থিতি... এগুলো বইটিকে অনেক দুর্বল করে দিয়েছে। লেখাতেও তাড়াহুড়োর ছাপ প্রচণ্ড। পরবর্তী সংস্করণে এগুলো কাটিয়ে ওঠা খুব জরুরী।

৫.
আন্দোলনের ফলে ক্যাম্পাসছাড়া হয়েছিলো ধর্ষক গ্রুপ। কিন্তু ধর্ষণ কি বন্ধ হয়? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। এই উপন্যাসে একাধিকবার এসেছে কিছু শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নিপীড়নের কথা। এই নরপশু শিক্ষকরা সারাদেশেই আছে। কদিন পরপরই এসব খবর পত্রিকার পাতায় উঠে আসে। অনুমান করি আরো অনেক খবরই থেকে যায় গোপন।
৯৮ এর এই আন্দোলন হতে পারে পুরো জাতির জন্য প্রেরণা। একটি ক্যাম্পাস থেকে শুধু নয়, গোটা দেশ থেকে ধর্ষক এবং ধর্ষকামীদের তাড়াতে হবে।

ধর্ষকদের বহিষ্কার করলেও তাদের কারো বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, কাউকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া যায়নি। এর আগে বিএনপি আমলে ছাত্রদলের নেতারা জাবিতে ধর্ষণ সংস্কৃতির সূচনা করেছিলো। তাদেরও বিচার করা যায়নি।

সাধারণত ধর্ষিতাকেই ধর্ষণের প্রমাণ নিয়ে বিচারের সামনে হাজির হতে হয়। বারংবার মানসিক ধর্ষণের শিকার হতে হয়। কিন্তু জাবির আন্দোলনে একটা দারুণ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছিলো। ধর্ষিতার পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ গ্রহণ করা হয় সেখানে। ধর্ষিতাকে নয়, ধর্ষকের কাঁধেই থাকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায়।
এই রীতিটা উদাহরণ হতে পারে সব রকম যৌন নীপিড়নের মামলায়।


মন্তব্য

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঈয়াসীন ভাই, 'মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে যেন' এর উপরে একটা দাগ দেন, অথবা ............... (ডটডটডটডট) দেন। নইলে এইটারে মন্তব্যের অংশ মনে হয়।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

ধর্ষিতার পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ গ্রহণ করা হয় সেখানে। ধর্ষিতাকে নয়, ধর্ষকের কাঁধেই থাকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায়।
এই রীতিটা উদাহরণ হতে পারে সব রকম যৌন নীপিড়নের মামলায়।
ঠিক , বইটা পড়ার ইচ্ছা রাখলাম

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পড়ে ফেলেন, উপন্যাস হিসেবে না, আন্দোলনটা সম্পর্কে জানার জন্য বইটা পড়তে পারেন।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন কিন্তু থামেনি, চলছেই

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফি এর ছবি

ধর্ষকের পক্ষ নেওয়া শিক্ষকদের নাম প্রকাশ হওয়াটা জরুরি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাসুরদের নাম কেউ নেয় না মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাব্দিক এর ছবি

ধর্ষকদের বহিষ্কার করলেও তাদের কারো বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, কাউকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া যায়নি।

এইভাবে আর কতদিন?

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এভাবেই তো চলে আসছে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান আছে কিনা জানা নেই। আর থাকলেও তার প্রয়োগ হয় না। এটা এমন এক অপরাধ যার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি কার্যকর হওয়া উচিৎ। তখনকার সেঞ্চুরি মানিকের মত অনেক মানিক আজও আছে। এখনও রকম নিপীড়নের খবরও আসে অহরহ। তারপর একটা মামলা , পক্ষান্তরে ওই ভিক্তিমের উপরই নেমে আসে খড়গ।

এই অপরাধটি এখনও আমাদের দেশে খুব সিরিয়াস একটা অপরাধ হিসেবে দেখা হয়না। আর যে কারনেই অপরাধী এই অপরাধ করার সাহস পাই। একটা সামাজিক প্রতিরোধ স্থানীয় ভাবে স্ব স্ব এলাকায় গড়ে তোলা উচিৎ। সেই সাথে এই অপরাধের সর্ব শাস্তির বিধান রেখে ব্যাপক প্রচারনা চালানও জরুরী।

বইটা পড়া হয়নি। আপনার লেখনি একটা আগ্রহ জাগালো নজরুল ভাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সবুজ বাঘ এর ছবি

ধর্ষকদের পক্ষাবলম্বন করা শিক্ষকদের তালিকায় প্রয়াত সেলিম আল দীনের নাম চইলা আসে। যে কারণে অনেকেই তাগো নাম হয়তো নিতে চায় না।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন এবং ড। নাসিম আক্তার হোসাইনকে।
সেলিম আল দীনের পক্ষাবলম্বনের কথা বইতে নাই, আছে শিশ্নসভ্যতা কবিতার প্রসঙ্গ। যা পড়ে সেলিম আল দীনকে আন্দোলনের পক্ষের লোক বলে মনে করা স্বাভাবিক।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

একটি ক্যাম্পাস থেকে শুধু নয়, গোটা দেশ থেকে ধর্ষক এবং ধর্ষকামীদের তাড়াতে হবে।

চলুক

নিয়মিত লিখেন না কেন, নজরুল?

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

দময়ন্তী এর ছবি

বাঃ ইন্টারেস্টিং।
বইটা পড়া লাগবে।

আপনি আমার লাইগ্যা এককপি যোগাড় কইর‌্যা রাখেন, আসবেন সময় নিয়া আসবেন। যদিও আমি আর কলকাতায় নাই, তবু বই ঠিকই কালেক্ট করার লোক আছে।

আর প্ল্যান করে ছুটি নিয়ে পুণে আসেন, অজন্তা-ইলোরা বেড়াতে নিয়ে যাব। হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আসিফ এর ছবি

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আফসার আহমেদ মানিকের নিকট আত্মীয় ছিলেন (যদি স্মৃতি মহা-মহাভুল না হয়ে থাকে)।

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকে পরবর্তীতে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহারে নানা ধরনের তৎপরতার কথা শুনেছি। সে ধরনের কোন ঘটনার কথা কেউ জানাতে পারবেন কি?

বইটা পড়ার ব্যাপারে আগ্রহ পাচ্ছি।

রাশেদ মেহেদী এর ছবি

গনি আদমের ক্যাম্পাস পড়ার জন্য এবং বইটি নিয়ে লেখার জন্য নজরুল ইসলাম কে ধন্যবাদ। লেখক হিসেবে ভাল লাগছে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। সম্পাদনায় ত্রুটি আছে, প্রথম উপন্যাস লিখতে গিয়ে আরও কিছু দুর্বলতাও থেকে গেছে, এর দায় আমার, আশাকরি সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধর্ষকদের পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে যারা প্রশাসনে প্রভাবশালী ছিলেন, তাদের প্রত্যেকেই উপন্যাসে এসেছে। তাদের নামের সঙ্গে মিল রেখে নামগুলো কিছুটা পরিবর্তণ করা হয়েছে। সাধারন শিক্ষার্থীদের পক্ষের সেই সব শিক্ষকদের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে যারা জাতীয়ভাবে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। এই রেওয়াজ বাংলা এবং বিশ্ব সাহিত্যেও আছে। সেলিম আল দীন সে সময় নিরাপদ দূরত্ব রেখে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। তার সেই অবস্থানটিই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। তার প্রতি বইটি উৎসির্গ করেছি ব্যক্তিগত দায় থেকে। বইটি লেখার ব্যাপারে তার কাছ থেকে অনুপ্ররেণা পেয়েছিলাম আরও আগেই। তবে তিনি বইটি দেখে যেতে পারেননি, এটাই দু:খ। ওই আন্দোলনের সময় শুধু সত্যতা যাচাই কমিটির সদস্য নন, আমরা যারা আন্দোলনে ছিলাম, তাদের পাশে অন্যতম শক্তি ছিলেন ড নাসিম আখতার হোসাইন। যারা বইটি পড়েছেন, পড়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। জানিয়ে রাখি আমার দ্বিতীয় উপন্যাস 'রাজপথের মহাকাব্য' প্রকাশিত হয়েছে আগামী প্রকাশনী থেকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।