সিমন একদিন অফিস ফাঁকী দিয়ে শাহবাগে মিছিল করছিলো, যতদূর মনে পড়ে টিভি ফুটেজে সেটা দেখে তার অফিস তাকে তিনদিনের একটা শাস্তি দিয়েছিলো। তিনদিন তার অফিসে যাইতে হয় নাই। সেই তিনদিন সে প্রায় পুরোটা সময় শাহবাগ আন্দোলনে ছিলো। (তখন তার অফিসকে গালি দিলেও সিমনের সড়ক দুর্ঘটনার পর তার অফিস যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে... তা অকল্পনীয়। সিমনের অফিস কর্তৃপক্ষকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি)
শাহবাগের মাসব্যাপী আন্দোলনের মধ্যেও কয়েকটা বিশেষ দিন খুব ইম্পর্টেন্ট ছিলো, তার মধ্যে একদিন সিমনের খুব বকেছিলাম। কারন সেদিন মিতুকে নিয়ে তার বোধহয় কোথাও যাওয়ার কথা ছিলো বা এরকম কিছু। মিতুকে বললো এক ঘন্টার মধ্যে আসতেছি... কিন্তু সে চলে এলো শাহবাগে। ফোন দিলো বন্ধ করে। মিছিল করে যখন সে শ্বশুড়বাড়ির দিকে রওনা হলো, এর মধ্যে মিতু টেনশনে মরে... আমার কাছে সিমনের পরিচিত আত্মীয় সবার ফোন আসতে থাকে... এর মধ্যে সিমনরে খুঁজে পাই না আমি... এক ঘন্টার ভয়াবহ একটা পরিস্থিতি...
হেফাজতের প্রথম মহাসম্মেলনের দিন দুপুর বেলায় সিমন শাহবাগে হাজির। বিকেলে যখন আমরা পাবলিক লাইব্রেরিতে আড্ডা দিচ্ছি, তখন দেখলাম লোকজন সব দৌড়ায়া ভিতরে ঢুকতেছে, পলাইতেছে... শুনলাম হেফাজতীরা নাকি শাহবাগে আক্রমন করছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছুটে গেলাম... রোড আইল্যান্ডের একটা গাছ সিমন মট করে ভেঙে ফেললো লাঠির প্রয়োজনে... সিমন আছে সবার আগে
খুব কম লিখে, কিন্তু সিমন আসলে প্রস্তর যুগেরই ব্লগার। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয়ে সবসময় লড়াই করে গেছে। খুব অল্প কয়েকটা সাম্প্রতিক ঘটনা বললাম... এরকম বলতে পারি অসংখ্য...
গতকাল রাতে সিমন বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে হাতিরঝিল এফডিসি সংযোগস্থলে একটা বাসে উঠতে চেষ্টা করে। হেল্পার তাঁকে নিতে অস্বীকার করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। সিমন মাটিতে পড়ে যায়, বাসটা তাকে পিষ্ট করে চলে যায়। সিমনের বাম পাশটা প্রায় পুরোটাই পিষ্ট হয়ে গেছে। সেখান থেকে কিছু মহানুভব ব্যক্তি তাঁকে উদ্ধার করে স্কয়ার হসপিটালে নিয়ে আসেন এবং সেলফোন ঘেঁটে পরিচিতদের খবর দেন।
আপডেট: (২৭ মে, রাত ১টা, বাংলাদেশ সময়)
সিমন এখন আগের চেয়ে সুস্থই বলা চলে। ইন্টারনাল ব্লিডিং একেবারে বন্ধ করা না গেলেও কন্ট্রোল করা গেছে। ফুসফুস, কিডনী, লিভার সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত। আগামী ৪৮ ঘন্টা অবজার্ভেশন চলছে। তারপর ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এই পোস্টে আপডেট চলবে।
মন্তব্য
সিমন... ভাই আমার... সুস্থ হয়ে ফিরে আয়...
facebook
দৃঢ় বিশ্বাস আছে, সিমন ভাই সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে।
ভোটকা এইটা তোর জন্য। দুইদিন পরে যখন বাসায় শুইয়া শুইয়া এইটা পড়বি তখনকার জন্য। তুই খালি উইঠা আয়। হালার পুত হেল্পার গুলারে এর পর খালি ধরুম আর তার উপরে বসুম। একবার তুই, একবার আমি। অহন ফাজ্লামি বাদ্দিয়া উইঠা পর, সুস্থ হওয়া ছাড়া তোর সামনে কোন রাস্তা খালি নাই আপাতত। অন্য কিসু ভুলেও চিন্তা করিস না।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
কনফার্ম কিন্তু নজু ভাই, ও ফিরবেই। তারপর যেমন দৃশ্য-কল্প দেখলেন, তুমুল আড্ডা আর ব্যাপক হুল্লোড়ে হুল্লোড়ে গ্রন্থিত জীবন, মধ্যমণি সিমন -- হয়ে যাবে!
এই ছেলেটার সাথে আমার পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা সবকিছু শাহবাগে, প্রতিদিন শাহবাগ একত্রে গর্জন করেছে। ফিরে আয়রে ব্যাটা, মেলা কাজ বাকি আছে এখনো...
শিমন ভাই ফিরে আসেন, আসতেই হবে.......................
বড় ভাই সামিউল মাশুক আছেন ওখানে এখনও। আমি একটু আগে আসলাম হাসপাতাল থেকে। আপডেট আপনি যা দিয়েছেন তাই
লক্ষী ভাই আমার, ফিরে আসেন.........
_____________________
Give Her Freedom!
আশা করে থাকবো, ডাক্তারের মতামতটি যেন ইতিবাচক হয়।
সিমন উঠে আসো তাড়াতাড়ি, কসম তোমাকে সুন্দরবন নিয়ে যাবার জন্য আমি দেশে ফিরবো।
...........................
Every Picture Tells a Story
সিমনের সুস্থতা কামনা করছি।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ফিরে আসেন সিমন। ফিরে আসেন।
অনেক খারাপ খবর চারপাশে রে ভাইয়ু। একটা ভাল খবর তুমি ফিরে এসে আমাদের দাও প্লিজ!!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
সিমন... ভাই আমার... সুস্থ হয়ে ফিরে আয়...
আপনার বাড়িতে আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো সিমন। তারপর সেখানেই আমার ঠিকানা হয়ে গেছে। সেই সিমনের জন্য আমরা লিখছি একসাথে। আমাদের সময়টা এতো খারাপ হয়ে যাচ্ছে কেনো জানি না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
খারাপ তো হচ্ছে না, আমরা শুধু শুধু বাতাস ভারী করছি। ছেলেটা দুইদিন পরেই সচলে ঢুকে এগুলা পড়ে আরেক দফা জেনে যাবে, ও কতজনকে টেনশনে রেখেছে। তখন এই পোস্টেই ওকে পিষে ফেলবো আমরা, কেন চলন্ত বাসে উঠতে গেল!?
ওকে ফিরে আসতেই হবে, ঠিকই সামলে নেবে সে ! প্রচণ্ড আস্থা ওর প্রতি।
সিমন, ভাই আমার ---
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সিমনের দ্রুত সুস্থ উঠবে, এই কামনা করি।
দুর্জয় সাব্বির
\জয় বাঙলা, জয় বঙ্গবন্ধু/
সিমন ফিরবেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ফিরে আসুন সিমন ভাই।
সিমন ফিরবেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সবার এত এত ভালবাসার ডাক উপেক্ষা করার সাধ্য কার???
উনি ফিরবেনই ইনশাল্লাহ্...
সুবোধ অবোধ
আপডেট তো কিছু দিলেন না নজু ভাই
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
সিমন ভাই সুস্থ হবেনই হবেন।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
আমি তাঁর আরোগ্য কামনা করি। কিন্তু যে বাসের স্টাফ এই ঘটনা ঘটাল তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্ঘবদ্ধভাবে কিছু করা উচিত। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। হেল্পার ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে কেন? এর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করে যে, কিছু হবে না সেটা আমরা জানি। এদেশে আইনের ফাঁকই বেশি। এদেরকে গান্ধীবাদ দিয়েও শায়েস্তা করা যাবে না। এই বাস কোম্পানিটিকে বন্ধ করে দেয়া এবং ক্ষতিপুরণের দাবি করা যেতে পারে।
কিন্তু এই ক্ষতি কে পোষাবে?
ফিরে আসুন সিমন ভাই।
আপডেটঃ ২৭ মে, দুপুর।
সিমনের অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। বাম হাত বাম পা আর কোমর এর অবস্থা খুব ভালো বলা যায় না, তবে ইমপ্রুভ করেছে, এখন স্টেবল, জ্ঞান আছে। এখনো লাইফ সাপোর্টে, তবে লাংস আর কিডনির অবস্থা অতটা খারাপ না। আরও ৩৬ ঘন্টা, এর পরে জানা যাবে যে কোন দিকে যাচ্ছে ছেলেটা।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ফিরে আসেন সিমন। ফিরে আসেন ভালোবাসার লোকদের মাঝে
ডাকঘর | ছবিঘর
ভালোবাসা অগ্রাহ্য করতে নেই, সিমন ফিরবেই।
সিমন ফিরে আসবে, তাকে ফিরে আসতেই হবে। এ ছাড়া আর কোন চিন্তা ঠাঁই দিচ্ছি না।
সিমন সুস্থ হয়ে ফিরে আসো, আর কিছু চাওয়ার নেই---
তোমার সাথে আমার পরিচয় নেই সিমন। তবুও আমার চোখের কোণ দিয়ে যে জলগূলো গড়ালো, সেগূলো তোমার জন্য প্রার্থনা। ফিরতেই হবে সিমন। আমি সচলদের চোখে কষ্ট দেখতে চাইনা।
আমরা আশা রাখি।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিমনের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছি প্রতিনিয়ত।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
সেরে উঠুন শাহেনশা। ফিরে আসুন স্বমহিমায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমাদের কারো জন্য নয়, আপনার ১০ মাস বয়সী কন্যার জন্য ফিরে আসুন শাহেনশা, তাকে পৃথিবী দেখাতে হবে যে, তার হাতে তুলে দিতে হবে অসাম্প্রদায়িকতার পতাকা। ফিরে আসুন শাহেনশা।
নতুন মন্তব্য করুন