বাংলাদেশের মানুষের প্রধান সমস্যা দু'টো, প্রথমত নিরাপত্তার সমস্যা, দ্বিতীয়ত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি।
দু'টো সমস্যাই এতো প্রকট, যে এগুলোর আসলে ব্যাখ্যা করার কোনো প্রয়োজন নেই। ঘরে বাইরে মানুষ প্রতিমুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। খুব সামান্য কারনে মানুষ খুন হয়ে যাচ্ছে, এমনকি ঘরে বসেই। বাইরে বের হলে রোড একসিডেন্ট থেকে শুরু করে নানারকম নিরাপত্তাহীনতা তো আছেই। যদি বেঁচেও থাকে, প্রধান সমস্যা হচ্ছে আয়ের সঙ্গে ব্যায়ের সামঞ্জস্য বিধান করা। জীবনযাত্রার খরচ প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তুলনায় আয় বাড়ছে না।
এই দুই সমস্যায় প্রতিনিয়ত পর্যুদস্ত হচ্ছে দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষ।
অনেক আগে সাংবাদিক, সাহিত্যিক নির্মল সেন দাবী তুলেছিলেন, লিখেছিলেন 'স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই'।
মানুষের একটা গ্যারান্টি আছেই, তা হলো মৃত্যুর। মরতে তাকে হবেই, হচ্ছেই। কিন্তু সেই মৃত্যুটা কি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক? রাস্তায় নেমে গন্তব্যে ফেরার কোনো গ্যারান্টি নাই। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষই এই অনিশ্চয়তায় ভোগে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কারোই নেই। বেঁচে থাকলেও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো কষ্টকর অভিজ্ঞতা আর নেই। কারোই নেই।
শুধু একজনের আছে। গোলাম আযমের!
ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা এবং আড়াই লাখ মা বোনের ইজ্জত হরনের প্রধান সহযোগি গোলাম আযমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গোলাম আযমকে দেয়া হয়েছে ৯০ বছরের কারাদণ্ড।
অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, এই বিচার গোলাম আযমের জন্য যতোটা না শাস্তির, তারচেয়ে বেশি স্বস্তির!
এখন এই বাংলাদেশে গোলাম আযমই একমাত্র মানুষ, যার স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি আছে। এবং আগামী দিনগুলোতে তার থাকা খাওয়ার সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা রাষ্ট্র তাকে দিয়েছে শাস্তির মোড়কে!
ও হেনরীর একটা গল্প পড়েছিলাম অনেক বছর আগে, গল্পটার নাম ভুলে গেছি। যেখানে প্রধান চরিত্র শীত আসন্ন দেখে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মরিয়া হয় জেলখানায় যাওয়ার জন্য। সারারাত সে চেষ্টা করে অপরাধ করে একটা শাস্তি এবং তার বিনিময়ে একটা নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়...
গল্পটা খুব মনে পড়ছে।
অপরাধের শাস্তি সবসময় দৃষ্টান্তমূলক হওয়া উচিত, যা দেখে অন্য কেউ অপরাধ করার সাহস করতে না পারে।
কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরেও যে শাস্তি হলো, তা এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, যে শাস্তি মানুষকে অনিশ্চিত জীবন থেকে নিশ্চিত এবং স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি দিলো।
এটা কতটুকু শাস্তি হলো তা আরেকবার ভাবুন মাননীয় আদালত। এটুকুই প্রার্থনা।
মন্তব্য
অসাধারণ নজু ভাই!!!!
অবাক লাগ্লেও সত্যি এ মুহুর্তে বাংলাদেশের বিরোধীতাকারী গোলামেরই এদেশে একমাত্র স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি আছে
এই দৃষ্টান্ত আমরা চাই না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ।
..................................................................
#Banshibir.
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অফ টপিকঃ গল্পটির নাম দ্য কপ অ্যান্ড দি এ্নথেম। বহু আগে বিটিভির বিশ্ব নাটক অনুষ্ঠানে এর নাট্যরুপ প্রচারিত হয়েছিল।
ধন্যবাদ, নামটি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই বৃদ্ধ বয়সে নব্বই বছর নিশ্চিন্তে যাপনের যে রায় আদালত দিয়েছে, তাতে গোলাম আযম এবং তার পরিবার অবশ্যই খুশি হয়েছে। বিনা খরচে খাওয়াদাওয়ার সাথে দেখভালেরও ব্যবস্থা হয়েছে। এবং জেল হাসপাতালে অভিজ্ঞ সিস্টারদের তত্বাবধানেই সে থাকবে। এই বিষয়ে আমার একটা লেখা আছে নব্বই বছর বাঁচতে চাই
আপনার লেখাটা পড়েছিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গোলাম আজম এর অবস্থা দেখে, কয়দিন পর সবাই গোআ হতে চাইবে। স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য কি এক লজ্জা।
আর কারো গোলাম আযম হওয়ার সুযোগ নেই মনে হয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুমায়ূন আজাদ স্যার একটি কথা বলতেন, "ইতিহাস হলো বিজয়ীর লেখা বিজিতের নামে একরাশ কুৎসা'' ... গো আজমেরা যদি সত্যিই জিতে যায় তাহলে আমাদের দেশের ইতিহাস কি অন্যভাবে লেখা হবে না ?
" এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না "
এতো সোজা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জনমত তৈরি করে প্রবল চাপ দিতে হবে রাস্ত্রপক্ষ এবং ট্রাইব্যুনালকে। লেখা চমৎকার হয়েছে।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
হ, ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইসব জল্লাদদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না।
আমি জানি না
কখনোই না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, এ রক্তাশ্রু একদিন লাভা হয়ে সব জ্বালিয়ে দেবে। দেশটাকে ৭৫-৯৬ পর্যন্ত রাজাকারচক্র উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছে। যাবতীয় পুঁজির সিংহভাগ দখল করে নিয়েছে। আমাদের লড়াই খুব কঠিন, তবু আমরা লড়ছি, লড়ব।
মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির ভূত আমাদের কবে ছাড়বে কে জানে!
কী প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশে মৃত্যুদণ্ড বন্ধ হয়েছে, তা নিয়ে পড়ছি। ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছে আছে। এখন পর্যন্ত যেটুকু বুঝলাম মৃত্যুদণ্ড একেবারে বন্ধ করে দেয়াটা অত্যধিক ধনী জাতগুলোর যুক্তিহীন ভাবালুতার ফসল। মৃত্যুদণ্ড কখনোই প্রতিশোধ নয় বা কিসাসও নয়। এটা বস্তুত দৃষ্টান্তমূলক। মানবতা-বিরোধী অপরাধ, শিশু ধর্ষণ, যুদ্ধাপরাধ ইত্যাদির শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। সব অপরাধীই অমানুষ না, কিন্তু কিছু অপরাধী অমানুষ। তারা মুক্ত হয়ে বা পালিয়ে নতুন করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে, শারীরিকভাবে না পারলে মানসিকভাবে।
মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করা যায়, একেবারে বন্ধ করাটা ক্ষতিকর। গো আজমের ফাঁসি চাই। জয় বাংলা!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অসাধারণ লেখা!!
এবং লেখার সাথে পূর্ণ সহমত।
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কিন্তু আপিলের সুযোগ আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কী বলবো আর? অক্ষম রাগ প্রকাশ ছাড়া কিছুই করতে পারছি না।
”বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই “
কিন্তু আপিলের সুযোগ আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এমন যদি হত যে মৃত্যুদন্ড বারণ হয়ে গেছে তাই এই শাস্তি বরাদ্দ হয়েছে, তা হলেও এ শাস্তির একটা অর্থ বোঝা যেত। তা ও তো নয়! এই বিচারের রায় বোঝা সত্যি-ই জটীল। আসলে আমরা সাধারণ মানুষরা যেভাবে আবেগকে ভালবাসি, চালিকা শক্তির জায়গায় রাখি, সমাজ-এর পরিচালকেরা, উপরতলার মানুষেরা আবেগকে সেই জায়গায় রাখেন না। আর তাই জননেতাদের আদালতের রায় থেকে থেকে-ই জনতার আদালতের রায়-এর থেকে ভিন্নমুখী হয়ে যায়! আর সেই অবসরে অন্ধকারের শক্তি আমাদের বারে বারে টুকরো টুকরো করে যেতে থাকে।
- একলহমা
উপরতলার মানুষদের আবেগের প্রয়োজন কী?
অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, এবং শাস্তি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য। অতএব মৃত্যুদণ্ডটাই ন্যায় বিচার।
অপরাধীর শাস্তি যদি শান্তির হয় তাহলে সেই শাস্তির প্রয়োজন কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ!
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে
ইসরাত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই রায় মানি না
facebook
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মনের কথা। লোকজন হয়তো কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে চেয়ে চিৎকার করে সব এনার্জি শেষ করে ফেলেছে। গোলাম আযমের ফাঁসির জন্য চিৎকার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মিইয়ে গেছে। মুজাহিদের মূলা ভালো কাজে দিয়েছে নিঃসন্দেহে।
সন্তুষ্ট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গোলাম আজমের ফাঁসি চাই .. তার অপরাধের সর্বনিম্ম শাস্তি ফাঁসি ।নিজ জাতিকে ধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তবায়নকারী বেসামরিক প্রধানের শাস্তিতো হওয়া উচিত ফুটন্ত তেলে আমৃত্যু সিদ্ধ হওয়া ।কিন্তু আমরা মানুষ তাই দানবের জন্য শুধুমাত্র ফাঁসি চাই ।
নিজ জাতি তো না, তার জাতি তো পাকিস্তান
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গোলাম আজমের ফাঁসি চাই .. তার অপরাধের সর্বনিম্ম শাস্তি ফাঁসি ।নিজ জাতিকে ধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তবায়নকারী বেসামরিক প্রধানের শাস্তিতো হওয়া উচিত ফুটন্ত তেলে আমৃত্যু সিদ্ধ হওয়া ।কিন্তু আমরা মানুষ তাই দানবের জন্য শুধুমাত্র ফাঁসি চাই ।
এত প্রমান থাকার পর ও এমন হতাশাজনক রায় দেয়, বাকীগুলার তো কিছুই হবেনা মনে হচ্ছে।
তবু আশায় থাকি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আদালত সবই বোঝেন, সবাই সব বোঝেন, তারপরও যখন এমন ঘটে, তখন বুঝতে হয়, শুধু এ ধরনের বোঝাপড়ায় কাজ হবে না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বোঝাপড়া
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এক গোলাম আজীবন পিজি হাসপাতালে আরামে বইসা চিকন চাইলের ভাত আর মুরগির সূপ খাইব…... আর ওইদিকে আরেক গোলাম রমজান মাসে নাজিমুদ্দিন রোডে বইসা পুরান ঢাকার ইফতারি খাইব……
বাংলাদেশে গোলামেরাই ভালো থাকে সবসময়।
…….জিপসি
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পরবর্তী সরকার এলেই তো একে ছেড়ে দেয়া হবে। বেকসুর খালাস দিতে হয়ত লজ্জা পেয়েছিলেন মাননীয় আদালত। তাই কারাদণ্ডের নামে এই প্রহসনের বিচার। আপিলের কতদ্দুর কি হলো ভাইয়া জানেন কিছু?
যত যাইহোক, গোলাম আযমের ফাঁসি চাই ব্যস!
নতুন মন্তব্য করুন