সেই অনেক কাল আগে তাতারারাবুগা যখন তারেক অণুর মতো যত্রতত্র ঘুরেটুরে বেড়াতো, সেই আমলে বা তার হাজার বছর পরে একদিন আমি আর মুম ভাই গারো পাহাড়ের পাদদেশে হাজির হয়েছিলাম। পেয়েছিলাম জীবনের জন্য দারুণ উপকারী অমোঘ এক বানী। জেনেছিলাম লালন সাঁই আসলে বিমান বাহিনীর, আর হাছন রাজা নৌবাহিনীর! বলেছিলেন এক স্বনামখ্যাত কবি।
কস্কী মমিন!
বিষয়টা আসলে ধুমপান আর জলপানের হিসাবে। (যারা বোঝেননি, তাদের না বুঝলেও চলবে আপাতত)
তো সেদিন টের পেলাম... আমি আসলে নৌবাহিনীর। আমি হাছন রাজার ভক্ত, আমি জলবত তরলং, আমি সমুদ্র ভালোবাসি। সমুদ্রের পাড়ে একটা কুঁড়েঘর বানিয়ে দিলে আর খানাপিনাপুস্তকসঙ্গীতঅন্তর্জালের বন্দোবস্ত থাকলে আমি জীবনে আর কোথাও যেতে আগ্রহী হবো না। পাহাড়ে উঠতে অনেক কষ্ট। আমার তাই সমুদ্র পছন্দ, আমি তাই সমুদ্রে যাই।
সমুদ্রও একটা হলেই হলো। যদিও আমি বঙ্গোপসাগর আর সিঙ্গাপুরের লাগোয়া যে সমুদ্র (নাম জানতে গুগল সার্চ দিন) ছাড়া দুনিয়ার আর কোনো সমুদ্রের ক্ষুদ্র বালিকার কনা বিন্দু বিন্দু জলই দেখিনি, তথাপিও প্রশান্ত মহাসাগর আর বঙ্গোপসাগর দুটোই আমার কাছে সমান। সাগর তো সাগরই, সবখানেই তো পানি। এমন তো না যে বঙ্গোপসাগরে ওয়াসার পানি আর প্রশান্ত মহাসাগরের জলে রুহ আফজা মেশানো! তাহলে এতো ঘুরাঘুরি করার দরকার কী? সাগর একটা হলেই তো হয়।
তাই বলে আবার সাগর কলা এগিয়ে দেবেন না দয়া করে। আমি চরম উদাস না। স্যরি।
মূল কথায় যাওয়ার আগে ঘুরাঘুরি নিয়ে আমার শোনা সবচেয়ে মহান বানীটা বলে নেই। একবার আমরা সুন্দরবনে গিয়েছি, সেটাও সেই অনেক কাল আগে, যখন রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তো দূরের কথা, বিদ্যুতই আসে নাই (আন্দাজে বললাম, আমি জীবনেও রামপাল যাইনি)। সেই তখন আমরা লঞ্চে করে সুন্দরবনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। শীতকাল, চারিদিকে টক দইয়ের মতো কুয়াশা। তাই লঞ্চ চলতে পারছে না, নদীর মাঝখানে আমরা ভাসছি এক সকালে। তখন কোত্থেকে এসে হাজির হলো একদল ডলফিন। তারা নর্তন কুর্দন শুরু করলো। আমরা সবাই তো মহাসমারোহে ছবি তোলায় ব্যস্ত। তখনো ডিজিটাল ক্যামেরা নাই, ফিল্ম ক্যামেরা, ঘন ঘন টেপা নিষেধ, রয়েসয়ে। কয়েকটি ছবি তোলা হতে না হতেই হঠাৎ করে ডলফিন বাহিনী গায়েব!
একটু পরে দেখা গেলো তারা লঞ্চের উল্টোদিকে নাচছে। আমরা সবাই আবার দল বেঁধে উল্টাদিকের ডেকে হাজির। ডলফিনগুলো রক্তাক্ত প্রান্তর নাটকের প্রহরীর মতো একবার লঞ্চের এদিক, আরেকবার সেদিক গিয়ে নাচে। লঞ্চের আঠারো উনিশজন মানুষকে একেবারে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর মতো ক্ষণে ডানপন্থী ক্ষণে বামপন্থী বানিয়ে ছাড়ছে। লঞ্চের তখন 'দুলেছিনু বনে' অবস্থা। এসময় মঞ্চে, থুক্কু লঞ্চে আবির্ভাব মুনির ভাইয়ের। কিচির মিচির আর লঞ্চের দুলুনীতে ঘুম ভেঙ্গে বিরক্তিকর হাজিরা। কেউ একজন বললো 'মুনীর, আরে দারুণ মিস করসো মিয়া, দেখো দেখো কী সুন্দর ডলফিন খেলতেছে।' মুনির ভাই ততোধিক বিরক্ত হয়ে বললো 'এই কুয়াশার মধ্যে হালায় ডলফিন না টাকি মাছ বুঝা যায় না কিছু, এইটা দেইখা এমন তড়পানোর কি আছে? সুন্দরবন আইছেন, লঞ্চের ডেকে গ্লাস হাতে বসে কাচ্চু খেলবেন। বাঘ ডলফিন দেখতে হইলে ঘরে বইসা এসি ছাইড়া গ্লাস হাতে টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি দেখবেন।'
যাহোক, আজাইরা কথা বেশি হচ্ছে, মূল কাহিনী এখনো শুরুই করিনি। মডুরা পিটাবে।
মূল কাহিনী হলো নিধি। নিধি মানে পরম সম্পদ। আক্ষরিক অর্থেই তাই, নিধি আমার পরম সম্পদ। বছর দুয়েক আগে তার প্রথম সমুদ্রদর্শন, সেন্টমার্টিনে। সেদিন আমি চোখের সামনে নিধিকে পাগল হয়ে যেতে দেখেছিলাম, সত্যি। তার চেয়ে বড় সাইজের ঢেউ আসে, আর সে লাফায় পাগলের মতো, জল আর বালুতে চুপচুবা। আর একটু পর পর চিৎকার করে বলে, 'বাবা, অসুবিধা নাই, কাপড় ভিজলে ঠাণ্ডা লাগবে না।' আমি জীবনে কোনোদিনই তার ঠাণ্ডা লাগা নিয়ে মোটেও চিন্তিত ছিলাম না। উল্টো বৃষ্টি নামলে আমরা বাপ বেটি হাত ধরাধরি করে ভিজতে নেমে যাই সবসময়। তবু এই সান্তনা বানী আসলে মায়ের জন্য। মা নিষেধ করতে এলে যেন আমি ঢাল তলোয়ার নিয়ে তাকে রক্ষা করি।
শুধু সমুদ্রের আকর্ষনে সেদিন ভর দুপুরে ভয়ঙ্কর কড়া রোদ্দুরের মধ্যে নিধি আমাদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে ছেঁড়াদ্বীপের প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো। এক পর্যায়ে আমাদের যখন জিহ্বা বের হয়ে সারমেয়সদৃশ অবস্থা, তখন ভয়ে সেই প্রবল গরমেও ঠাণ্ডা হয়ে গেলাম। এই এতোটা পথ ফিরবো কিভাবে? আমাদেরই যে অবস্থা, নিধি যদি এখন কোলে উঠতে চায় তাহলে খবর আছে। পাঁচ মিনিটও টিকবো না। কোনো ট্রান্সপোর্ট নাই। পাঁচ বছরের নিধি সেই পুরোটা পথ মহা সমারোহে এবং প্রবল উৎসাহে হেঁটে ফিরলো শুধু সমুদ্র আর শামুক ঝিনুকের আকর্ষণে।
এহেন যার সমুদ্রপ্রীতি, তাকে সমুদ্র থেকে দূরে সরিয়ে রাখা অন্যায়। প্রতি সপ্তাহেই একবার করে বলে সমুদ্রে নিয়ে যাবার কথা। সময় সুযোগ হয় না। অনেক প্ল্যান করি, হয় না।
সেদিন তাই রেগেমেগে বরাবরের মতো হুট করে রওনা হয়ে গেলাম সমুদ্রের পানে। গন্তব্য কক্সবাজার।
সচলায়তনে এখন ভ্রমণপোস্টের ছড়াছড়ি। মঙ্গলগ্রহ ছাড়া দুনিয়ার সব জায়গার ভ্রমণ পোস্টই সচলায়তনের শোকেসে আছে। সেখানে কক্সবাজার নিয়ে ভ্রমণ কাহিনী লেখা আর 'ডক্টর ইউনুস একজন নোবেল পদকপ্রাপ্ত বেক্তিত্ব' লেখা একই কথা। দুটোই সবার নখদর্পনে। অতএব কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে লেখার কিছু নাই আসলে।
তবু লিখবো। লিখবো পারাপারহীন ভাঙ্গনের শব্দের কথা, তুমি আমি আমরা তাহারা সমস্ত একাকার হয়ে যাওয়ার গল্প। আগামী পর্বে।
মন্তব্য
অনু
facebook
হ, তা নয়তো কে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপ্নি ইচ্ছা কইরে আমার নাম ভুল লিখেন, জরিনার কসম খেয়ে বলেন ঠিক কি না?
লেখা চলুক, পরের পর্ব ছাড়েন
facebook
কসম না জিসম?
ইচ্ছা করে লিখি নাই আসলে। এইটা মিস্টেক... ঠিক্করে দিতেছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই অণু'দার 'যন্তনায়' ভ্রমণ কাহিনী লেখার সাহসও করি না!!!
স্যাটায়ার এ যেমন 'মতি' একটা অভিশাপ,ভ্রমণ বিষয়ে অণু'দা একটা অভিশাপ!!!!
আর নজরুল ভাই,লেখা গুর হইছে!!
নেক্সট পর্ব ছাড়েন।
তয়,ব্যাক পেইন নিয়া বেশি ঘুরাঘুরি ঠিক না!! রয়েসয়ে!
লেখা এক নিঃশ্বাসে পড়েছি!
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মাইরি বলছি, ব্লগরব্লগর দারুণ লেগেছে।
আর হ্যাঁ, আমিও নৈবাহিনীই। তা সে অতলান্তিকই হোক অথবা বাংলাসাগর !
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেকদিন পর আপ্নারে 'নিয়মিত' 'নিয়মিত' লাগে সচলে - আপনার যে কোন 'লেখা' উপাদেয় - এই শিরোনাম দ্বিতীয় পাতায় যাওয়া মাত্র পরের পর্ব চাই - আচ্ছা চাই না ! চাই বললেই আপনি আর দেন না।
আপনি চান বা না চান, এই শিরোনাম দ্বিতীয় পাতায় যাওয়া মাত্র প্রথম পাতায় পরের পর্ব হাজির হয়ে যাবে। তবে পরের পর্ব একেবারেই ভিন্ন মেজাজের, এর সঙ্গে কোনো মিল নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছবিটবি নেই বলে কেউ বিশ্বাস করে না, তয় আমি দু-দুবার সুন্দরবন গেছি।
হায়। তখন তো এমন হাতে হাতে মুবাইল ছিল না আর বেশি থোতো ছিলাম বলে পারিবারিক ক্যামেরাখানা ছোঁয়ার অনুমতি ছিল না।
আর আমার বাড়ি চট্টগ্রাম, তয় লাস্ট কক্সবাজার গেছি ২০০৪ সালে। ছাতার কপাল।
লেখা চলুক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই বর্ষায় চট করে বান্দরবন যানগা। আমার তো ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে করতেছে। দেখি হুট করে চলে যাবো একবার। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম হলে আমি মাসে দুইবার বান্দরবন যেতাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার দেখা এখন পর্যন্ত একমাত্র সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ২০০৮ সালে তিনমাসের ব্যবধানে ২ বার যাওয়া হয়েছিল। একবার বন্ধুদের সাথে আরেকবার হানিমুনে। কতশত সুখের ঘটনা যে জড়ানো আছে মাত্র দুইবারেই।
আপনার লেখা সেই সমুদ্রের কিছু বাতাস বয়ে আনলো যেন।
আহা, চলুক।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ে একটা কবিতার বই আছে 'কক্সবাজারে সন্ধ্যা' নামে। যদিও তার সব কবিতা কক্সবাজার নিয়ে না।
আমি কক্সবাজারের স্মৃতি নিয়ে দারুণ মজার মজার স্মৃতি লিখে আস্ত বই নামিয়ে দিতে পারবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কক্সবাজার প্রথমবার গিয়া বন্ধুর মুবাইল খানা সমুদ্রে স্নান করাইয়াছিলাম!!
জরিমানাও গুনিতে হইয়াছিল!!
তবে মোট চারবার কক্সবাজার গিয়েছি,২ বার সেন্ট মার্টিন!!
সমুদ্র যেন সব সময়ই আমাকে "আয় আয়" বলে ডাকে...
কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, তবে সত্যি কথা আমার মত পোড়া কপাল নিয়ে আর কেউ জন্মায় নি দুনিয়ায়! কেন বলছি? কারণ আমি সমুদ্র দেখি নি, সেন্টমার্টিন (সে ম্যালা দূরের কথা) দেখি নি, সুন্দরবনে যাই নি, বান্দরবনে বান্দর দেখি নি, রাঙ্গামাটি যাই নি আজীবন আমি এই ঢাকাতেই পচে যাচ্ছি
লেখা পড়তে দারুণ লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, বনানী... এসবে গেছেন তো? নাকি এসবেও যাননি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুহ! সে কি আর যাই নি?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
বলুন তো, মুগদাপাড়া ঢাকায় না ময়মনসিংহে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি বিশ্বাস করবো, কারন এই বছরের ফেব্রুয়ারীতে বিশেষ একজনের সাথে জেদ করে অফিসের ব্যবস্থাপনায় একদিনের ট্যুরে কক্সবাজার যাওয়া না হলে আপনার তালিকা আর আমার তালিকা সমান। খুলনার মানুষ হওয়া সত্বেও জীবনে সুন্দরবন যেত পারিনি, অথচ জীবনের শেষ 4 বছর বাদে সবটুকুই কেটেছে খুলনাতে।
ব্যাপার না, অতো ঘুরাঘুরির কী আছে? কোনো জায়গা সম্পর্কে জানতে হলে তারেক অণুরে বলবেন, সে একটা পোস্ট লিখে দিবে। সেটা পড়ে জেনে যাবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
তারেক অণু তাইলে কোন বাহিনী
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
সশস্ত্রবাহিনী
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কোন অস্ত্র?? 'মেশিন'গান??
লাখ কথার এক কথা!
ইশ! এত দ্রুত ফুরিয়ে গেল !
পরের পর্বের জন্য নিয়ে অপেক্ষায় থাকছি।
আসিতেছে, ঢাকা নারায়নগঞ্জসহ সারাদেশে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সূচনা পর্ব পড়ে খুব হাসছি। নিধি এল। খুব আনন্দ লাগল আর সেই সাথে চোখ ঝাপসা হয়ে গেল।
পাহাড়তলীতে বাস আমার, পিপাসা সমুদ্রের। আপনার সাগরভ্রমণের গল্পের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
- একলহমা
এই ভ্রমণ গল্পের শেষে চট্টগ্রামও আছে। চট্টগ্রাম ভর্তি আমার প্রিয় সব বন্ধুরা আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একাকারের গফ সেইরামাইছে।
মারফতি কথা কানে কানে কই, বিমানবাহন আর নৌবাহন সবই আসলে একই মার্গের আলেদা রাস্তা!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
হ, কেউ উইড়া যায় কেউ ভাইসা যায়... গন্তব্য সেই স্বর্গই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখা উপাদেয় হয়ছে। পরের পর্বের আশায় রইলাম।
ধন্যবাদ। পরের পর্ব আসছে শীঘ্রই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আর যাই লিখেন কিন্তু 'কক্সবাজার দুনিয়ার সবচে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত''
এই কথা লিখলে কিন্তু তারেক অণু আপনেরে খাইয়া ফালাইব...
(সঙ্গে ফতোয়াও দিতে পারে যে কক্সবাজার বেড়ানো কোনোদিন 'ভ্রমণগোত্রে' পড়ে না...
এই বিষয়ে তারেক অনুর ব্যাখ্যার সঙ্গে আমি একমত। সত্যি বলতে এই বিষয়টি নিয়ে এই পোস্টে আস্ত একটি প্যারা লিখেছিলামও। কিন্তু তারপর মনে হলো তাঁর অনুমতি ছাড়া পোস্ট করা ঠিক হবে না, তাই মুছে ফেলেছি। অণুকেই অনুরোধ করবো এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নৌবাহিনী থেকে রিটায়ারমেন্ট নিয়েছি চার বছরেরও বেশি হলো কিন্তু সাগর আমাকে টানে।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি ছাড়েন। সিরিয়াল আগে আনতে দরকার হৈলে ৫০ লাইনের একটা কবিতার ৪৭ লাইন সারসংক্ষেপ দিয়া পোস্ট দেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রিটায়ারমেন্টই ভালো
এই পোস্ট পরের পাতায় গেলেই নতুন পর্ব আসবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুরু ছিল হাসিতে ভরপুর।
নিধি নিধি নিধি
তোমার চোখে এত জল কেন?
একটা কমপ্লিমেন্ট আমি কাউকে দেইনি কোনদিন ।আজ আপনাকে বলি আপনি বাবা হিসাবে আমার বাবার সমান ভালো , কিন্তু আমার বাবার কাছে মনে হয় আমি না হুর পরী বেশি প্রিয় ছিল ।
অনেক ভীষণ বড় একটা কমপ্লিমেন্ট দিলেন। বিশাল...
আমার কাছে নিধিই হুরপরী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নৌবাহিনী হতে পারলাম না খরচের কারনে বিমান বাহিনিতেই থাকতে হইল তবে বস আপনাদের ক্ পাই মাঝে মাঝে নৌবাহিনীতেউ পদারপন হই ।
নৌবাহিনী না হওয়াই ভালো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি আমার Combo- র ভক্ত। তাই বিমান বাহিনী আর নৌবাহিনী Combo এর কথা মনে পড়ে গেল, আহা ! আর আপনের লেখার গৌরচন্দিকা মধু মধু !
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা - সেরাম হইসে। নৌবাহিনী-বিমানবাহিনী, জলপথ-আকাশপথ - ওহ ভাই সেই ছাত্রজীবনের কোডের কথা মনে করিয়ে দিলেন। আর মুনীর ভাইয়ের ভ্রমনসংজ্ঞা তো তুলনা রহিত!!
স্যামদার দাবীর সাথে পরিপূর্ণ সমর্থন।
দাবী না মেনে উপায় আছে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাহ ভালো লাগেছ। বরাবরের মতো। পরের পর্ব জলদি ছাড়েন।
স্বয়ম
এই পোস্টটা প্রথম পাতা থেকে যেতে দিন শুধু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভূমিকা তো দারুন হয়েছে, অপেক্ষায় রইলাম।
আব্দুল্লাহ এ এম
আসিতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই কুয়াশার মধ্যে হালায় ডলফিন না টাকি মাছ বুঝা যায় না কিছু!
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দেন।
একটু ধৈর্য্য ধরেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অপেক্ষায় রইলাম!
ঠিকাছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সবার শুধু সমুদ্রই ভালো লাগে কেন বুঝিনা বাপু। সমুদ্র দেখলেই আমার ব্যাপক ভাব নিয়ে শিবঠাকুর হয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। নড়াচড়া করতেই ভাল্লাগেনা। তারচে পাহার ঢের ভালো। কি দারুণ রঙ বদলায়। আর ভীষণ খাদের সামনে মেঘটেঘ মেখে দাঁড়ালেই কেমন আউলা লাগতে থাকে! আহা!
অটঃ অনেকদিন পর আপনাকে সচলে নিয়মিত দেখতে ভালো লাগছে। পরেরটার জন্য
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরে নড়াচড়া করতে হয়না বলেই তো সমুদ্র প্রিয়। পাহাড় এক যন্ত্রণা, বেয়ে বেয়ে উঠতে হয়।
হুম, অসংখ্য অখাদ্য নিয়মিতভাবে সবাইকে গেলাতে পারছি, এই ভেবে আমারও বেশ ভালোটালো লাগছে
তা নিজের লেখা কই? আড়াইশো লেখা যে ড্রাফট করে রেখেছেন, সেখান থেকে দুয়েক্টা ছাড়ুন টারুন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখাটা গতকালই পড়েছিলাম। নিদারুণ একটা যুদ্ধের মুভী দেখায় মন্টা বেজায় বিষন্ন থাকায় মন্তব্য করা হয়নি।
নিধিটা মাশাল্লাহ বড় হয়ে গেছে না ভাইয়া! স্কুল যাওয়া শুরু করেছে নাকি পরীটা? অনেক আদর থাকলো ওর জন্য লেখা নিয়ে কী বলি! আসলে এইসব ভ্রমণ কাহিনি, টুকরো শৈশব নিয়ে লেখাগুলো হয়ে গেলে তা আর শুধুমাত্র লেখকের থাকে না যেন। ওতে পাঠকেরা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন দিব্যি। তখন মনে হয় এটা বুঝি আমারই ভ্রমণের অংশ কিংবা আমারই চিলতে শৈশব! পুরানো লাগে না তাই এসব। আর দেশের ব্যাপারগুলো আমরা যারা একটু দূরে আছি তাদের জন্য কী, কতটা ঠিক শব্দে ফোটাতে পারবো না। অন্তত আমাদের কথা মনে করে হলেও এসব নিয়ে বার বার লিখবেন ভাইয়া। সাথে নতুন নতুন কী হচ্ছে , পুরানো জায়গা কতটা বদলে গেলো জুড়ে দিলে তো সোনায় সোহাগা জানিনা ঠিকমত বুঝিয়ে বলতে পেরেছি কিনা। মোদ্দকথা, এমন অখাদ্য আমরা সোনামুখ করে খেয়ে নিতে রাজী
হু, নিধিটা বড় হয়ে গেছে। ভয়ানক বড়, গুরুজনের মতো। আমাকে শাসন করে এখন।
আমি তো ভেবেছিলাম কক্সবাজার ভ্রমণ সচলের সবচেয়ে নিম্নস্তরের ভ্রমণকাহিনী... তাই লেখারই সাহস পাচ্ছিলাম না। এটা পড়তে এতো লোকের আগ্রহ দেখে অবাক হচ্ছি।
লিখবো রাত পোহালেই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পাহাড় আপনার পছন্দ না বলতেছেন? বুকে হাত দিয়া বলেনতো দেখি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কার বুকে হাত দিয়ে বলতে হবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পাহাড়ের চেয়ে সমুদ্র আমারও বেশি প্রিয়, একই কারণে।
(নজরুল যখন বউ-বাচ্চা লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া হাইট্যা যায়............)
চট্টগ্রাম ছিলাম মাত্র কয়েক ঘন্টা, তাও একাধিক কাজ হাতে নিয়ে গেছিলাম। তাই আর আওয়াজ দেই নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কক্সবাজার আমার কাছে সবসময় নতুন। পানি ভালো লাগে, আবার ভয় লাগে। আমার আদি বাড়ি সন্দ্বীপ। একবার গিয়েছিলাম। সব পানির নিচে। কিন্তু সেন্ট-মার্টিন, কক্সবাজার আমার কাছে সবসময় সুন্দর, নতুন
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নজরুল ভাইয়া, অপেক্ষায় আছি আপনার ভ্রমন কাহিনী শুনার।
-নিয়াজ
নতুন মন্তব্য করুন