সবুজের বুকে মিশেছে কতটা লাল
এই ক্যানভাসে, অগ্নি ঝরানো দিনে
সূর্য পেরুল কতটা ক্রান্তিকাল
নবীন যুবক এসো আজ নেব চিনে।
সময়ের রথে কুহকের মায়াজাল
নিষ্ফল শ্রমে বিপন্ন আয়োজনে
বৃথাই ছুটেছে ভ্রান্ত উন্মাতাল
কুয়াশার মতো ভুল স্বপ্নকে কিনে।
কত গোলাপেরা কুঁড়িতেই গেছে মরে
কত বিপ্লব মাঝপথে গেছে থেমে
কত সুবাতাস বিরূপ তীরের তোড়ে
খরাদাহ হয়ে করুণ এসেছে নেমে।
প্রেতের হাসিতে সচকিত বুলবুলি
আশ্রয় খুঁজে নির্জন গৃহকোণে
বিজয়ীর বেশে কালো কালো ছায়াগুলি
বেড়াচ্ছে ঘুরে দারুণ তৃপ্ত মনে।
সকল সবুজ খণ্ড খণ্ড করে
বিক্রি করেছে ভূমিদস্যুর দল
দখল দূষণে পুরো দেশ গেছে ভরে
তরুণ অরুণ নিয়েছে অস্তাচল।
জাগরণী বাঁশী সুর তোলে প্রাণপণে
বেহুলার নাচে ইন্দ্রের সভা দোলে
চাঁদ সদাগর ক্ষেপে উঠে ক্ষণে ক্ষণে
ফুলের বাগানে কালসাপ ফণা তোলে।
আর দেখবো না নিরাশার বেলাভূমি
এবার আনো হে রংধনু আঁকা রথ
লখিন্দরের লাশের ভেলায় তুমি
ভেসে যাবে কত দীর্ঘ দগ্ধ পথ?
সবুজের বুকে মিশেছে কতটা লাল
এই ক্যানভাসে, অগ্নি ঝরানো দিনে
এসো হে যুবক, এসো বিজয়ের দিনে
প্রতি ফোঁটা মাপি সময়ের প্রয়োজনে!
মন্তব্য
চমৎকার...!!! চমৎকার...!!!!
অনিকেত ভাই,
ধন্যবাদ জানাই!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বিষয়ে কবিতা দেখলেই সবাই ভেগে যায়। সকলেরই কবিতার প্রতি চরম অনিহা; কিন্তু এটাকেই সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। যাইহোক,
আমার ভাল লেগেছে।
________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
দেবাশীস দা,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, মন্তব্যের জায়গা তো রাখেন না। কি বলবো!
আপনার সুরে সুর মিলায়ে বলতে ইচ্ছে করছে-
হৃদ্ সারেঙ্গি, অবিরাম ছড়াঘাতে
মুর্ছণা তোলে বুকের গহণ কোনে
তপ্ত হৃদয় অব্যাক্ত বেদনাতে
হাহাকার করে, ভাঙনের দিন গোনে।
কে আছো যুবক, চাও ফিরে আজ থেকে
একচল্লিশ বসন্তে, চেয়ে থাকা।
হতাশা-বেদনা যেথা ফেলে-তুলে রেখে
লাল-সবুজের দিগন্ত জোড়া আঁকা।
তুমি’ই না সেই একাত্তুরের ছেলে!
তুমি’ই শোনাবে আনন্দী কল্যাণ
এমাটির বুকে তোমার লাঙল ফলা,
তোমার শস্যে এ বাংলা বেগবান।
তোমার রক্তে জিউসের বুদবুদ
অবিরাম ঠেলে আমাদের কৌশল।
একক দশক, শত-কোটি-অর্বূদ
পুনর্জন্ম এ মাটিকে দিক বল।।
ভূলত্রুটি মার্জনীয়।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
খাসা হয়েছে! শ্রদ্ধা রেখেই একটি বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করিঃ
কবিতার আহবানকে কালের নিগড়ে বেঁধে ফেলা হলো না? আজ থেকে দশ বছর পর যদি কেউ কবিতাখানি পড়ে তবে তাকে 'একান্ন বসন্তে' পড়তে হবে না?
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
শ্রদ্ধা রেখেই আপনার দ্বিমতের সাথে একমত পোষন করলাম। কবিতা তো হতে হবে কালোত্তীর্ণ। আপনি ঠিকই ধরেছেন।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কুটুম ভাই,
ধন্যবাদ!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই>>এককথায় অসাধারণ!!!!!!
আমিও এমন একটি ভোর চাই যেখানে শুধুই থাকবে বাতাসে লাল-সবুজ গন্ধে মাখা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঘ্রাণ......সেখানে থাকবে না কোনো রাজাকারের বিষাক্ত নিঃশ্বাস; থাকবে না নিমতলী বা সাভারের মানুষ পোড়া গন্ধ; থাকবেনা বেগুনবাড়ি কিংবা তুরাগের তীরে মানুষের কান্নার আওয়াজ; থাকবেনা সিরাজগঞ্জ কিংবা নাটোরের রক্তমাখা পাশবিকতা; থাকবেনা দেশের দুই বরেণ্য সন্তানকে নিয়ে তার বংশধরদের ব্যবসা, শুধুই ক্ষমতার লোভে......এবং ইত্যাদি।
প্রতিটা গ্লানিময় পরিস্থিতির বিপরীতে একটা করে স্বপ্নের জন্ম দিয়ে যাই...ইদানিং দেখি স্বপ্ন এত জমে গেছে যে আসলেই বাস্তবে আমার সোনার স্বাধীন বাংলায় আছি কিনা প্রায়শই দ্বিধায় পড়ে যাই; কালরাত্রি শেষ হওয়ার জন্যে আর কতগুলো স্বপ্নের জন্ম দিতে হবে??? চল্লিশ বছর পরেও কেন আজ একটি নবজাতক স্বপ্নের জগতে জন্ম নেয় না; জন্ম নিয়ে স্বপ্ন দেখতে বাধ্য হয়??
-অতীত
ভাই, ধন্যবাদ আপনার অসাধারণ স্বপ্নময় মন্তব্যের জন্য! নিশ্চয়ই একদিন বাংলাদেশ হবে সবুজ আর্কেডিয়া।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন