কখনো উঠোনে আমার দাঁতাল জন্তুর মতো
শীতের ছেদন দাঁত বড়ো বেশী হিংস্র হয়ে উঠে
কুয়াশার আবরণে লুকিয়ে কঠিন মুখ
আচম্বিতে সে ঢুকে পড়ে হুট-হাট
জানালার ফাঁকে বসা একচিলতে নরম সুখ
মৃত্যুময় হলুদ বৃন্তের মতো টুপটাপ শিশিরের শব্দে মিশে ঝরে পড়ে
উত্তরের জীর্ণ কপাটের ফাঁক গলে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া
শীতল সরীসৃপের মতো হিলহিলে নৈঃশব্দ্যে
ঝরাপাতার বুকজুড়ে ছড়ায় শ্বেত-সন্ত্রাস যত্রতত্র;
নেকড়ের মতো তার জান্তব হিমের ভয়ে সিটিয়ে পড়ে
কুঁকড়ানো বাস্তু কুকুর, চৌকাঠ, জলের কলস,
কানের পাতার কোল, আস্তিনের মলিন গুহা,
লেপের দূরবর্তী কোণ, কেদারার কাঠ, একগাছি বিশীর্ণ আঙুল।
সূর্যের তেজ নেই, গাছেরা বিশীর্ণ, ক্ষীণ হয়ে আশা প্রাণের কোলাহল,—
নিজেকে গুটিয়ে খুব, তবু জেগে থাকি,
কান পেতে শুনি বিষণ্ণ ঘুঘুর ডাক।
কখনো হৃদয়ে আমার শতগুণ হিমশীত ছড়িয়ে দাও তুমি নিষ্ঠুর অভিলাষে।
রাত্রির বন্ধদম অন্ধকারের মতো
পাঁজি পাঁজি কালো তুষারের মতো
হিস হিস শব্দমাখা ক্রুরতার মতো
তোমার ক্ষমাহীন উপেক্ষা এসে তুমুল গুঁড়িয়ে দেয়
আমার দরিদ্র ভিটের একচিলতে কাঁচা-সোনা-রোদ,
একটু উষ্ণতা;
আমার মুমূর্ষু প্রাণ নিয়ে তাতার দস্যুর মতো খেলা করে
তোমার হাসির শ্লেষ।
আমি মরে যাই, আমি মরে যাই, আমি মরে যাই।
মন্তব্য
---আশফাক আহমেদ
আশফাক ভাই,
ধন্যবাদ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার লেখা মিস দেই না
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
প্রকৃতি এবং প্রেমের অসাধারণ মেলবন্ধন; যদিও সে প্রেম তথাকথিত রোমাঞ্চবর্জিত এক উপেক্ষা। আপনার কবিতাগুলো বহুকাল পরে আমাকে আবার কবিতা পড়াচ্ছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
এ আমার বুকের রক্ত আঁখরে লেখা!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভয়ংকর সুন্দর!!!!
এমন শীতেও ক্যাম্নে লিখেন এসব????
-অতীত
ভাই সূবর্ণ অতীত,
এই শীতে আমি ক্যাম্প পাতিয়াছি-
উত্তরের জনপদে
গঙ্গাচড়ার মঙ্গার ডাক শুনিতেছি ঘাঘটের পাড় হতে
যে মাঠে ফসল নাই কামলারা তার বুকে চালায় কোদাল
ইটের ভাটা ভরিতেছে;
চিমনিতে কালো ক্ষীণ ধোঁয়া উঠে ঢাকিতেছে আকাশের কোল-
এমন মধ্যদিনেও কুয়াশায় ঢেকে থাকে তার শুকনা গতর
আলোয়ান জড়ায়ে নিয়ে ভাঙ্গা সাইকেল চড়ে
হাটে যায় মন্দভাগ্য গাঁয়ের লোক
সব হিমে জমে গেছে, ফুরিয়েছে সুখের শোলক।
এখানে আসুন, প্রতিটি পর্যবেক্ষণ হবে দুঃখের ডুকরানো কাহন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এখন আমি লুকিয়ে আছি ঠাস বুনটের চারদেয়ালে;
দরজা কিংবা জানালা নিষিদ্ধ, যেন অনুভূতি আসতে না পারে।
হয়ত স্বেচ্ছায় এ আটকে থাকা পুনঃপুনঃ আমায় গড়ে চলে
মানবতা বিবর্জিত একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ।
ক্রমাগত দীর্ঘশ্বাসে ধুয়ে চলেছি আমার অতীত, অস্তিত্ব, অন্তরাত্মা-
বর্তমানের কাছে শুধু আমি অসহায় কিংবা নির্লিপ্ত সময়ের কাঁটা
আর সবই কেবল অপরাধী, নিজনিজ নিয়তির নিঃশ্বাসে।
-অতীত
যে যন্ত্রণা জীবনকে দিয়েছিল কর্কশ লবন
ঘটনার ঘোলাজলে আমি তার স্বাদে দ্বিধান্বিত সত্ত্বাকে
তাড়িয়ে নিয়ে ছুটে গেছি বিলুপ্তির দিকে।
আমার উদ্ধার লুপ্ত চিরতরে;
শুধু শুন্যতায় শুদ্ধাচারী স্মৃতি কাঁপে
স্মরণীয় যুগের মহিমা জেনেও নিশ্চিত
আমি চিরকাল স্বরহীন র'বো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভালো লাগলো!
রেজা ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন