ইভনিং গেম ড্রাইভ শেষে আমরা যখন ক্যাম্পে ফিরে আসছি ছেলেরা তখন পরিতৃপ্তির কোলে দেহ এলিয়ে আবেশে চোখ মুদে একটি সার্থক দিনের পরিসমাপ্তিতে হৃষ্টচিত্ত। আর মেয়েরা সদ্য আহরিত ভালোলাগার বিস্ময়ের কথা বার বার উচ্চারণে আপ্লুত। “ইচ্ছে হলে ক্যাম্পে পৌঁছে তোমরা পাশের মাসাই পল্লী থেকে ঘুরে আসতে পারো। পরিচিত হতে পারো ওদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে। বিশ ডলারের বিনিময়ে ওরা তোমাদের যূথচারী নাচ দেখাবে, আগুন জ্বালিয়ে দেখাবে প্রাগৈতিহাসিক কায়দায়, মোষের শিঙ দিয়ে তৈরি শিঙায় তুলবে আদিম সুরের লম্বা জংলী টান আর ঢাকের দ্রিমিকি দ্রিমিকি আওয়াজে পুরোটা পাড়া দোলাবে। অবশ্য এগুলো উপভোগ তোমাদের জন্য অপশনাল, তবে টাকাটা ওরা ব্যয় করে ছেলেপুলেদের স্কুলের উন্নয়নে”, স্বপ্রনোদিতভাবে, তবে কিছুটা ক্যাজুয়ালি বলে উঠে জর্জ, সামনের ধুলো ঢাকা রাস্তায় ওঁর দৃষ্টি তখন নিবদ্ধ। গাড়ী থেকে এক এক করে আমরা সবাই নামি। সবাই ক্লান্ত পায়ে নিজের তাঁবুর পথ ধরে। সব পেছনের সীট থেকে নামতে নামতে ফরাসী ললনা আমায় বলে, “যাবে তুমি?” বুঝতে পারি, মাসাই পল্লী ওকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। “কোথায়?”, খানিকটা প্রগলভতার আশ্রয় নিই, নিজেকে গুছিয়ে নেবার জন্য, মানসিক প্রস্তুতির সময় পাবার জন্য । মনে মনে মানিব্যাগের ভেতরটা একবার পরখ করে নিই। না, দ্বিধা তাড়াবার মতো সঞ্চয় সেখানে আছে। “মাসাই পল্লীতে”, ওর চোখে-মুখে শরতের আকাশের সন্ধ্যাতারার মতো উৎসাহ চিক মিক করে। “হুম, যেতেই হবে? আচ্ছা চলো তাহলে”, কপট গাম্ভীর্য রক্ষার পাশাপাশি ক্ষীণ ব্যবধানের স্বস্তিও রচিত হয়।
বুনো গাছপালার ডাল কেটে আড়াআড়ি খুঁটি দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া মাসাই পল্লীর ভেতরে আট-দশটা মাটির গোলাকৃতি ঘর, গোলপাতার ছাউনি দেয়া। প্রবেশ পথের একপাশে দাঁড়িয়ে মাসাই সর্দার। অনুমান করি, এই দশ ঘর মিলে সর্দারের সমাজ, সে এদের দেখভালের মালিক। এক পলক দেখেই বলে দেয়া যায় জোয়ান কালে এই সর্দার বড়ই সাহসী যোদ্ধা ছিল। ভয়হীন লড়েছে কত সিংহের সাথে, সেরেংগাতির রুক্ষ প্রান্তরে তাড়িয়ে নিয়ে গেছে কত শত শত গরুর পাল, কাঙ্ক্ষিত রমণীর পাণি লাভের জন্যে কঠিনতম প্রতিযোগিতায় সবটুকু শক্তি ঢেলে দিতে পিছপা হয়নি কখনো। দিনে দিনে সময়ের বয়ে যাওয়া স্ত্রোত তাঁর কালো মুখের শক্তভাবের উপর কিছুটা হলেও পলি ফেলেছে, রুক্ষতা ও কাঠিন্য ছাপিয়ে সেখানে দ্যুতি মেলেছে প্রৌঢ়ত্বের সৌম্যভাব। তাঁর সমাজ বড়ই পিতৃতান্ত্রিক, গোষ্ঠিতান্ত্রিকও বটে। সেখানে মুরুব্বীদের মিলিত সিদ্ধান্তই সমাজের চালিকাশক্তি, মৌখিক নিয়মই মেনে নেয় সবাই। অপরাধের কারণে কষ্ট প্রদায়ক শাস্তির প্রচলন নেই, আছে শালিস করে জরিমানার ব্যবস্থা। দোষ করেছ, তবে গরুদান করে বিরোধ মিটিয়ে ফ্যাল।
লম্বা একহারা চেহারার মাসাইদের সাথে তাদের ছোট ছোট ঘরগুলি কেন জানি মানানসই মনে হয় না। একেশিয়া গাছের ছোট ছোট শাখার ওপর গোলপাতার ছাউনি দেয়া ঘরগুলির গায়ে মাটির আস্তরণ দেয়া। তার উপর মাসাই রমণীরা গোবর লেপে দিয়েছে। চকিতে মনে পড়ে, লিচু বাগানের অষ্টমীর মা মাসিমার কথা। এমন মাটির ঘরের দেয়ালে-মেঝেতে-আঙ্গিনায় গোবর লেপে লেপে পুত-ভাব জাগিয়ে তুলতে তুলতেই কেটে গিয়েছিল তাঁর একটি জীবন। সপ্তাহান্তের শনি পূজার দিনে, ফিকে আঁধারের সন্ধ্যায় কানে ভেসে আসতো তাঁর মন্ত্রজপ কণ্ঠ, “আসেন শনি বসেন পাতে, প্রসাদ নাও হাতে হাতে। যার আছে মনের সাধ, সে পায় শনির প্রসাদ। শ্রী শ্রী শনি-ঠাকুর প্রীতি হরি বোওওওল, বোওওওল হরি”। ঝকঝকে কাঁসার থালায় প্রসাদ সাজিয়ে আঙ্গিনার তুলসী তলায় তিনি যখন পুজো শেষ করতেন, তাঁর সাতজন ছেলেপুলে প্রসাদের লোভে ঘিরে ধরতো লাল পেড়ে সাদা শাড়ীর অবয়ব। আর পাশের বাড়ীর বাঁশের খুপরি ঘেরা জানালায় কপাল ঠেকিয়ে লোভাতুর বিমুগ্ধ নয়নে একটি কিশোর তাকিয়ে দেখতো সেই আনন্দলোকের ছবি। অপেক্ষায় ছটফট করতো সে। কখন ডাক আসবে! নিজের সবকটি ছেলের দেয়াল ছাপিয়ে মাসির চোখও খুঁজে ফিরতো তাকে, “রোমেল, রোমেল কইরে বাবা”। দে ছুট। এক ছুটে দুই আঙ্গিনার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়ে মাসির হাত থেকে প্রসাদের প্রথম গ্রাস মুখে নিত সে। সবাইকে আনন্দের বানে ভাসিয়ে। তুমি এখন কেমন আছো, মাসিমা?
ফরাসি মেয়ের কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে সম্বিত ফিরে পাই। ততক্ষণে দর কষাকষি করে মাসাই সর্দারের সাথে সে একটা রফা করে নিয়েছে। সর্দার সোৎসাহে শোনাচ্ছে তাঁর পূর্বপুরুষের গাঁথা আর নিজের বিগত যৌবনের কাহিনী। সেই কবে কোন কালে তাঁর প্র-প্রপিতামহ তাড়িয়ে গরুর পাল উত্তরের নিষ্ফলা মাটি ফেলে দীর্ঘ পথ হেঁটে হেঁটে দক্ষিণের এই প্রান্তরে এসেছে বসত গড়েছে। অনাহার আর মারীর কবলে পড়ে ক্ষয়ে গেছে কতজন। কত হিংস্র শ্বাপদের সংহারক আক্রমণ বাতাসে ছড়িয়েছে ভয়ালগন্ধী থমথমে নৈঃশব্দ। কত যোদ্ধাজন আক্রান্ত সিংহের থাবার আঁচড়ে সংক্রামিত বিষের জ্বালা বয়েছে দেহের গভীরে। মৃত্যু এসে দীর্ঘ পথ চলার ক্লান্তি মুছে দিয়েছে কত ম্লানমুখ বৃদ্ধের। তারপরও থেমে থাকেনি পথচলা।
আঙ্গিনায় গাছের ডালের তৈরি চেয়ার পেতে আমাদের বসায় ওরা। এরই মধ্যে জোয়ান ছেলেরা মুখোমুখি হয়েছে তালে তালে উল্লম্ফনের প্রতিযোগিতায়। মেয়েরা সমস্বরে গীত গাইবার জন্য সারি বেঁধে একপাশে বসেছে। ওদেরই কেউ একজন প্রথমে গানের শুরুটা ধরে, অনেকটা ঘুমপাড়ানিয়া টানে। সেটি রেশ ধরে বাকী সবাই সমস্বরে উত্তর দেয়। সাথে সাথে লাফিয়ে উঠে যুবকের দল। প্রতিযোগিতা চলে, কে কত উপরে লাফিয়ে উঠতে পারে। ঢাকের তাল ধীরে ধীরে তীব্র হয়ে আসে, গোল বৃত্ত রচনা করে তালে তালে নেচে নেচে জোয়ান মাসাইদের চারপাশ ঘিরে ঘুরতে থাকে যুবতীর দল, দেহ দুলিয়ে কোরাসের সুর তোলে। দেখতে দেখতে সেই তালে তাল মিলায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই। মনে হয় পুরো পাড়া যেন এক মাদকতাময় সুরের, শব্দের, ছন্দের নেশায় বুঁদ হয়ে দুলছে। আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে আসে গানের সুর। তখন সবকিছু ছাপিয়ে বাতাসের বুক চিরে কোন এক নির্জন কোণ থেকে কানে আসে মোষের শিঙের তৈরি শিঙ্গার সুতীক্ষ্ণ সুতীব্র আবাহনী সুর। তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে সেই সুর রাতের আঁধারে আবার মিলিয়ে যায় মন্দালয়ে। এই তো সেই ‘গ্রেসিয়ান উর্ণ’, কবি কীটস যাকে ‘ওডে’ লিখে অমর করে গিয়েছিলেন।
http://www.flickr.com/photos/58199281@N07/5440492896/in/photostream/
গান শেষ হলে শুরু হয়ে প্রাগৈতিহাসিক কায়দায় আগুন জ্বালানোর পর্ব। নীল আলোয়ান গায়ে একজন মাসাই এগিয়ে আসে। তাঁর এক হাতে গাছের ডালপালা কাটবার একটি দা, অন্যহাতে মাঝখানে গোল খাঁজকাটা শুকনো কাঠের পাতলা একটি লাঠি। দা’টিকে মাটিতে ফেলে তার উপর লাঠিটিকে চেপে ধরে সে। আরো দুজন পাশে এসে হাঁটু গেড়ে বসে। একজনের হাতে কিছু শুকনো খড়কুটো আর আরেকটি মসৃণ লাঠি। অন্যজনের দর্শকের ভূমিকা। মাটিতে পেতে রাখা লাঠির খাঁজে হাতের লাঠিটির অগ্রভাগ মিলিয়ে অনেকটা পাটের রশি পাকানোর ধরণে বেশ খানিকক্ষণ চলে ঘষাঘষি। লাঠিতে লাঠিতে ঘর্ষণের উম থেকে একসময় জ্বলে উঠে আগুন, সে আগুন ধরিয়ে নেয়া হয় পাশে রাখা শুকনো খড়কুটোয়।
http://www.flickr.com/photos/58199281@N07/5439889053/
আমরা ঘুরে ঘুরে ছোট ছোট ঘরগুলির ভেতরটা দেখি। প্রতি পরিবারের জন্য ঘর বলতে ওই একটিই। কত কিছুরই না আয়োজন রয়েছে এতটুকু ঘরে। সেখানেই রান্নাবাটি, সেখানেই খাওয়াদাওয়া, সেখানেই ঘুমোনো। নিত্যদিনের ব্যবহার্য সকল কিছুই হেঁসেলের ধার ঘেঁষে স্তূপ করে রাখা। অবাক হলাম দেখে। ফিরতে ফিরতে সর্দারকে জিজ্ঞেস করি তাঁর ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা। স্মিত হেসে বলে উঠে প্রাজ্ঞ কণ্ঠ, “কতজনে কত কথা বলে। বলে, বাপদাদাদের জীবন ছেড়ে সভ্য হই। কিন্তু তুমিই বলো, শিকড় উপড়ে ফেললে গাছের কি প্রাণ থাকে? এই যে এভাবে বেঁচে আছি, এই বেশে এই পোশাকে, এভাবেই তো যুগ যুগ ধরে উষর প্রকৃতির কাছে আমাদের পরিচিতি—কত শত শতাব্দী ধরে। এই যে এই মাটিতে—যে মাটির শরীরে মিশেছে আমাদের সাতপুরুষের অস্থি-মেদ-মাংস, এই যে এই প্রান্তরের বাতাসে বাতাসে আজো যাদের আত্মার ঘ্রাণ ফিস ফিস করে আমাদের কানে কানে কথা বলে—তাকে ছেড়ে কোথায় যাবো আমরা? কোন অমরার সন্ধানে?” (চলবে)
মন্তব্য
লেখা ভালো লাগলো।
রাজাসাহেব,
কুর্ণিশ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমি দেখছি ব্যাপক মিস করে ফেলেছি।
আমি মাসাই মারায় যাওয়ার আগে যে ২-১ জন মানুষের সাথে তাদের মাসাই মারার পূর্ব অভিজ্ঞতার বর্ণনা শুনেছি, তারা প্রথমেই আমাকে মাসাই ভিলেজে যেতে বারণ করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, মাসাই ভিলেজের মাসাইরা ট্যুরিষ্টদের উপর যে রকম মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তাদের পণ্য কেনার জন্যে বা ট্রিকস দেখার জন্যে তাতে নাকি বিরক্তিতে মাসাই মারা ভ্রমণের আনন্দ মাটি হয়ে যায়। এবং কেনিয়ানদের কাছ থেকে আরও গুরুতর অভিযোগ শুনেছি মাসাই ভিলেজের লোকজন অল্প দু'একজন বাদে আর কেউ মাসাই নয়। তারা একটা ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্মচারী। যারা মাসাই মারা ভিত্তিক ব্যবসা করে থাকে। এই ধরেন যেমন, গহনা তৈরী, কাঠের কাজ, কাপড়ের কাজ, ইত্যাদি। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করেছিলাম যে তাহলে কানের ফুটোর ব্যাপারটা কি। তারা বলেছিলো যে কেনিয়ায় দারিদ্র এতো এক্সট্রিম যে মানুষ একটা দীর্ঘমেয়াদি কাজের জন্যে কান ফুটো করতেও দ্বিধা করেনা।
প্রকৃত মাসাইরা অত্যন্ত সৎ এবং বিশ্বাসী। যে কারণে নাইরোবি, মোম্বাসা, এইসব জায়গায় মালি, গার্ড বা গৃহকর্মী কাজে মানুষ তাদের নিয়োগ দেয়। সিকিউরিটি কোম্পানীগুলোও ইংরেজি জানা মাসাইদের অগ্রাধিকার ভিত্তিকে নিয়োগ দেয় কারণ মাসাইদের বেতনের চাহিদা অন্যদের থেকে অনেক কম এবং শিক্ষার ঘাটতিজনিত কারণে সরকারী চাকরিতে তাদের সূযোগ নেই বললেই চলে। ওরা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো, টাউটারি-বাটপারির ধারে কাছেও নেই। এখনও খুব মিস করি আমাদের নাইরোবি বাসার দুই মাসাই গৃহকর্মী মোসেস এবং সাইমনকে।
লেখায় কিন্তু ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
কিছুটা অপ্রাপ্তির মাঝেই তো লুকিয়ে থাকে আগামী দিনের স্বপ্নবীজ। আসলে সম্পূর্ণ প্রাপ্তি বলে কিছু নেই। ক্ষণিকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাওয়া জড়ো করেই বোধকরি চিরন্তনের ঝুলি ভরতে হয়।
কথাটা একদম ফেলে দেবার নয়। চিতার দাঁতের লকেট বিক্রি করতে উঠে পড়ে লেগেছিল এক মাসাই, "তোমার বউকে ভীষণ মানাবে এটা, গর্বভরে দশজনের কাছে ফুটানি দেখাতে পারবে", এমন কতকিছুই না বললো সে। আমার এক কথা, "আমি ওয়াইন্ড লাইফ প্রিজারভেশনে বিশ্বাসী। ছাল বাকলের কিম্বা হাড়ের দাঁতের কিছু কিনবো না'। সুবিধে করতে না পেরে সটকে পড়ে সে। এই মাসাই যোদ্ধাদের হাতে সিংহের বংশ খতম হবার যোগাড় হয়েছিলো। ওদের মাঝে রেওয়াজ ছিল 'নুনু কাটবার' পর ঘা শুকোতে চারমাস মতো সময় লাগতো, তখন তাদের থাকতে হতো গুচ্ছগ্রামের একদম পরিধির দিকে, পুরো গ্রাম রক্ষার দায়িত্ব অর্পিত হতো। সিংহের সাথে যুঝতে হতো, সিংহ খতমের পরই সে বিবেচিত হতো 'বালেগ' বলে। এদিকে পরাক্রমশালী সিংহজাতির ততদিনে ডাইনোসরের দশা।
কথাটি বোধকরি একটি ঝেড়েল মন্তব্য (sweeping statement)। মাসাইদের শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার খুব বেশী। তিন বা চার বছর না পেরুনো পর্যন্ত কোন শিশুই পরিবারের সদস্য হিসেবে গন্যই হয় না। চার বছর বেঁচে গেল তো এবার এলো হিসেবের খাতায়। সেইসাথে আছে মারীর হাতে মরকের হাতে অসহায় সমর্পনের কাহন। তাই বোধকরি অবলুপ্তি কিছুটা আছে। তবে ওদের রক্ষনশীল সমাজব্যবস্থা কিন্তু সংকর সমাজের চিন্তাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, ছোট্ট একটা প্রতিমন্তব্য-
এটা আমি আসলে জানতে চেয়েছিলাম যে নন-মাসাইরা কান ফুটো করে মাসাই সাজে, এটা কতটুকু যুক্তিসংগত। সত্যি বলতে কি আমিও ব্যাপারটা বিশ্বাস করিনি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ওহ হো, আমি তো ভেবেছিলাম আপনি মাসাইদের কথা বলছেন! ভুলচুক ক্ষমা করবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দেখা হইলো না দুনিয়ার কিছুই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভালো লাগলো আধুনিক রাবীন্দ্রিক মন্তব্য
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
লেখা ভালো লাগলো।
-----------------------------------
Sad Poems
Sad Stories
ভাই,
ধন্যবাদ জানাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনি বড় ভালো লেখেন। এমন হাত ধরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা দুষ্প্রাপ্য।
সলজ্জ ধন্যবাদ, কৌস্তুভ ভাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কেন জানি আপনার এই সিরিজটার আর কোনো পর্ব পড়া হয়নি! অনেক ভাল লাগলো। একটা বোকা বোকা প্রশ্ন - মাসাই সর্দার কি ইংরেজিতেই কথা বললো আপনার সাথে? ছবি দেখলাম। এদের সবার কাপড়ের রঙ অনেক উজ্জ্বল!
বইখাতা আপু ঠিকই ধরেছেন। রোমেল ভাইয়ের সাথে একটুখানি এ্যাড করি। ওরা খুবই উজ্জল রংয়ের কাপড় পরে। সেখানে আধিক্য থাকে লাল, হলুদ আর কমলার। সাথে সবুজ বা কালো সুতোর বুনন। এটা ওদের ঐতিহ্যগত। গলায় আর হাতে বর্ণিল পাথুরে (আজকাল অবশ্য দেখছি প্লাস্টিকেরই বেশি) মালা-ব্রেসলেট। পায়ে লম্বা প্যাঁচানো ফিতেওয়ালা স্যান্ডেল। মাসাই, সে গেঁয়ো বা শহুরে যাই হোক না কেনো, হাতে একটা চওড়া কাপড়ের রিষ্টব্যান্ড মোটামুটি থাকবেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাই,
অন্য পর্বগুলোর লিংক দিয়ে দিলাম। ইচ্ছে হলে পড়বেন।
http://www.sachalayatan.com/nebula/37160
http://www.sachalayatan.com/nebula/36870
আপনি অনেক বুদ্ধিমান। মাসাই সর্দার যেভাবে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি বলছিল তা বোঝা আমার কম্মো নয়। অগত্যা গাইড জর্জই ছিল ভরসা। যদিও বেশ কিছুটা দিশি মদ পেটে পড়ায় সে ছিল কিছুটা দিলখোলা ও অসংলগ্ন, তবুও সে তো আমাদের সাথেই ছিল, আর কাঁপা কাঁপা হাতে আমাদের ছবিও তুলেছিল একটা। গিন্নীর ভয়ে ছবিটা দিই নি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন