মাসাই পল্লী থেকে যখন ফিরছি, রাত্রি তখন নিগ্রো যুবতীর মতো পূর্ণযৌবনা। বয়ঃসন্ধির দেয়াল পেরিয়ে ফিকে অন্ধকারের সাঁঝ শলমা আঁকা ঘন কালো শাড়ি পড়ে হঠাৎ যে কখন মোহিনীর বেশে অভিসারিণী হয়েছে বুঝতেই পারিনি। পথের ধারে অফুরন্ত নাম না জানা ঝোপের সারি, সেখানে ফুটে থাকা কত নাম না জানা বুনো ফুল। ঝোপের ঝাঁঝালো গন্ধ, অল্পজলে ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ, রঙিন ধুলোর গন্ধ, বুনো ফুলের মাতাল করা গন্ধ, সবমিলিয়ে জঙ্গলের একটা নিজস্ব গন্ধ আছে। সিকিখানা চাঁদের আলোয় পথ চলে ফিরতে ফিরতে আমি বুক ভরে সেই গন্ধ টেনে নিয়ে শুদ্ধ হচ্ছিলাম। জঙ্গলের সবুজ-কালো অন্ধকারের ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে শান্তভাব আকাশের নদী দেখা দিচ্ছে। নৈঋত কোণের বিশাল প্রান্তর থেকে হুন দস্যুর বেগে একদল শীতল বাতাস ছুটে এসে সোয়েটারের ফুটো দিয়ে দাঁত বসাচ্ছিল পাঁজরের বয়সী হাড়ে। অন্যমনস্ক পা হঠাৎ কিসের সাথে যেন আছাড় খেলো। দেখি, সেখানে পড়ে আছে বাঘে খেয়ে যাওয়া ওয়াইন্ড বিষ্টের দেহাবশেষ। কোন নেকড়ে কিম্বা হায়েনা হয়ত টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, মানুষের দলের পায়ের আওয়াজ পেয়ে সটকে পড়েছে কিম্বা কাছেই কোথাও লুকিয়ে আছে। মরা পশুর মাথার খুলি চোয়ালের গ্রন্থির সাথে একাত্ম হয়ে শূন্যতায় পেতেছে নৈঃশব্দের শোকসভা, পাজরের শুকনো খাঁচায় পড়ে আছে এক বুক হাহাকার।
শীত রাতে—মড়ার হাতের সাদা হাড়ের মতন—
যেইখানে বন
আদিম রাত্রির ঘ্রাণ
বুকে লয়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান! —
তুমি সেইখানে!
নিঃসঙ্গ বুকের গানে
নিশীথ বাতাসের মতো
এক দিন এসেছিলে,—
দিয়েছিলে একরাত্রি দিতে পারে যত!
তাবু সংলগ্ন স্নানাগারে গরম জলের উম মেখে নিতে নিতে শাওয়ার নিলাম। বেরিয়ে এসে দেখি ক্যাম্পটুল পেতে শিনজি বসে আছে। “বেলুন সাফারির বুকিং দিয়ে মাত্র ফিরলাম, কাল তোমাদের সাথে যাচ্ছি না, হয়ত তোমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়তে দেখবে আমায়”, ওঁর চোখের কোণে জোনাকির মতো রূপালি সুখের তারা জ্বলে নিভে। বিমুগ্ধ ঈর্ষা হয় ওঁর যৌবনকে, ওঁর অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সের প্রাপ্তিকে। “ব্রাভো ব্রাদার, গো এহেড উইদ ইয়োর গ্রেট এক্সপিডিশন”, উৎসাহ যোগাতে অকৃপন আমি। তারপর সময় কাটে কিছুটা চুপচাপ। “চল, ভীষণ ক্ষুধা পেয়েছে, ডিনার সেরে ফেলি”, শিনজি আমাকে নিয়ে দ্রুত এগুতে চায় ক্যাম্পের সংলগ্ন রেষ্টুরেন্টের দিকে। ভেতরে ঢুকে দেখি আড্ডা-সোরগোলে জমজমাট চৌদিক। অনেকগুলি গোলটেবিলের চারধার ঘেঁষে চেয়ার পেতে দেয়া। আমাদের দলটি খাবার নিয়ে একটি টেবিল দখল করে বসে আছে। অরিনের মাইগ্রেনের ব্যথা, সাদা মুখ নিয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছে এককোণে। প্রায় সবকটি দলই একসাথে এসে পড়েছে, গমগম করছে সবকটা টেবিল। কত দেশের, কত বয়সের, কত বিচিত্র রঙ ও রূচির মানুষ! তাদের চোখে অজানাকে জানার অদেখাকে দেখার কি মোহন নেশা! আরো সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা শেফিং ডিসগুলো থেকে ধোঁয়া উঠা খাবারের ঘ্রাণ মনটাকে চনমনে করে দিল। বুফে ডিনার। আফ্রিকান-অরিয়েন্টাল-ইউরোপিয়ান সব রকমের খাবারই আছে মেন্যুতে। সাথে চা। সামান্য আফ্রিকান খাবার আর বেশিটাই ওরিয়েন্টাল খাবারে তৃপ্তির সাথে উদরপূর্তি করলাম। সেই সাথে চুটিয়ে আড্ডা, অন্য সবকটা গ্রুপের সাথে পরিচিত হওয়া, ছবি তোলা, ইমেল বিনিময়। এসব সেরে একটা চেয়ার নিয়ে বসতে না বসতেই চোখ চলে গেল রেস্তোরার এক পাশে বারের দিকে। বারটেন্ডারের চর্চিত অধোমুখ স্মিত হাসি। লাবন্যলতার মতো দুটি ব্যস্তসমস্ত হাত, চপল কিশোরীর উচ্ছ্বাসের মতো চঞ্চল আঙুলের নাচ। সেসব ছাপিয়ে আমার দৃষ্টি পড়ে রঙিন বোতলে রাখা সোনালি তরল গুচ্ছের দিকে। দ্বিধার পেয়ালায় ফুঁসে উঠা লোভের তুফান উছলে পড়ে আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। তখুনি সুন্দরী শ্যালিকার অভিমানী ফোন।
ম্যায় কাঁহা জাহু তো হোতা নেহি ফায়সালা
একতরফ সে উছকা ঘর তো একতরফ সে ম্যায়কাদা।
তবু শরাব বলে তো কথা। আমি আর শিনজি হ্যানিকেনের দুটো কিং সাইজ ক্যান হাতে নিই, চিলড। খুলতেই কামোদ্দীপ্ত কালনাগিনী ফোঁস ফোঁস করে উঠে। “চিয়ার্স”, দুজনে বলে উঠি প্রায় একসাথে। “মজা লে না পিনে সে তো কম কম ধীরে ধীরে পিলে”, গুনগুন করে সুর তুলি আমি।
ঘুম যখন ভাংলো তখন চোখের সামনে এক অপরূপা সকাল ধীরে ধীরে পেখম মেলছে। গাছে গাছে লেগে আছে থোকা থোকা অন্ধকার। সেই অন্ধকার একটু একটু করে দুহাতে সরিয়ে দিয়ে লালচে ধুসর মেঘের লেপ থেকে মাথা বের করে কিশোর সূর্য তখন দুষ্টুমিভরা চোখে কাঁচা সোনারং আলো ছড়াচ্ছে। চোখের কোণে তখনো কিছুটা ঘুম লেগে ছিল ঐ অন্ধকারের মতো। কিন্তু বেরুতে তো হবে সকাল সকাল। দেখতে হবে তৃণভূমির বিস্তীর্ণ বিশাল বুকে আলো রোদ্দুরের লুকোচুরি। দেখতে হবে চড়ে চড়ে ঘাস খেতে থাকা বিচিত্র বুনো জন্তুর সুখ। দেখতে হবে রাত্রির কোটর থেকে একে একে বেরিয়ে আসা জন্তুর দল কিভাবে বুনো সৌন্দর্যে ভরিয়ে তুলছে প্রকৃতির কোল। ভোরের আলোর মাঝে, সবুজ ক্লোরোফিলের মাঝে, অক্সিজেনময় জীবনগন্ধী খোলা হাওয়ার মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে নিতে আরো বহু বছর বেঁচে থাকবার স্বাদ হবে আমার, স্বাদ হবে বুক ভরে বুনো ফুলের গন্ধ নেবার, স্বাদ হবে জীবনের ওষ্ঠে ওষ্ঠ চেপে জীয়নরস শুষে নেবার, নতুন করে। রুফটপ খোলা মাইক্রোবাসে তাই ঝটপট চেপে বসি আমরা, আবার ছুটি সাফারির ভেতর।
আমার গলায়-মাথায় জড়িয়ে নেয়া লাল মাফলার, মাথায় ধুসর খাকি রঙের জংলী টুপি। বাতাসের বউ আমাদের কানে কানে কথা কইছে। ষোড়শী রোদের নরম চুমু অপূর্ব শিহরণে ভরে দিচ্ছে শরীরের প্রতি রোমকূপ। “রোমেল, দাঁড়াও তোমার একটা ছবি তুলি” সহজাত সারল্য মাখা কন্ঠে নাওকো আগ্রহী হয়। ছবি তুলেই সাথে সাথে আমার পাশে এসে দাঁড়ায় ও, “দ্যাখো তো কেমন হয়েছে ক্যামেরাবাজী?” দেখি, পৃথিবীর সকল সুন্দরের মাঝে বেঢপ দাঁড়িয়ে আছে খসখসে মুখের এক মধ্যবয়সী প্রৌঢ়, ম্লান যৌবন তাকে ব্যাঙ্গ করে বলছে, “ঢের হলো তো, এবার তবে আসি”। “অমন চোখ লাগিয়ে কি এত দেখছো নিজেকে, ঐ দেখ তোমার পেছনে এক ঝাঁক সুন্দরী জেব্রা, বুক টান টান করে দাঁড়িয়ে যৌবনের জয়গান গাইছে”, নাওকো চপল কন্ঠে একরাশ প্রগলভতা খেলা করে। আমার মনের প্রান্তরে তখন মহিনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায়, হেমন্তের অরণ্যে আমি হেঁটে যেতে দেখি বহু পোষ্টম্যান, কে যেন বুকের ভেতর থেকে বলে উঠে, “তুমি কেন এইখানে, এইখানে কিসের বাসর?”
ধুপ ধাপ ঘটাং ঘট শব্দ তুলে আমাদের পাশ দিয়ে একটা প্রমাণ সাইজের লরি পেরিয়ে যায়। লরি কোথায়, এতো দেখি বিশাল এক ট্রাক, সুসান কিম্বা মার্সিডিজ হবে হয়ত। এক দল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টে ভেতরটা ঠাসাঠাসি। ওদের সাথে বড় বড় জুম লেন্স লাগানো ক্যামেরা আছে অনেকগুলো। ষ্টান্ডের ওপর বসানো হয়েছে সেগুলো, মর্কটের পুঞ্জাক্ষির মতোই নজর রাখছে চারদিকে। চোখে তাদের ফেটে পড়ছে ঔৎসুক্য, মনে খুশির জোয়ার। কেউ কেউ মধ্যিখানে বসে থাকা প্রফেসর মহোদয়ের কাছে ধর্ণা দিয়ে কিছু একটা নির্দেশনা নেবার চেষ্টারত, কেউ কেউ সহপাঠি বন্ধুর সাথে মেতেছে প্রিয়তর আলাপচারিতায়।
ট্রাক চলে যেতেই নজরে এলো একপাল বুনো মোষ। পালোয়ানের পেশল দুই কাঁধের ফুলে উঠা মাংশপেশীর মতোই তাদের বাঁকানো জোড়া শিঙ। কাছে পেলেই যেন গুঁতো দেবে। তাদের ক্ষুধার ব্যাপ্তির কাছে সেখানে ঘাসের বিস্তৃতি নিতান্তই অপ্রতুল। যেতে হবে অন্য কোথাও, অন্য কোন বনে, সবুজ প্রান্তরে, ভরন্ত ঘাসের দেশে। এমনটাই ভাবছিল যেন এই ছোট কালো জীবন্ত মৈনাকগুলো।
কিছুটা এগিয়ে আমাদের আনন্দগাড়ি থেমে গেল। পথে এসে দাঁড়িয়েছে একঝাঁক রূপসী জেব্রা। কিছুতেই পথ ছাড়বেনা যেন। গাড়ি থেকে নেমে এসো হে নাগর, সখ্যতা হোক কাঁচপোকা রোদের আলোয়, ধুসর প্রান্তরে ছড়িয়ে দাও, মিশিয়ে দাও ভালোবাসা। বাসন্তী আবীরের মতো উড়ে উড়ে গিয়ে সবুজ টিয়া রঙ ভালোবাসা রাঙিয়ে তুলুক পৃথিবীর প্রতিকোণ, প্রতিটি হৃদয়।
যেখানে সুন্দর আছে সেখানে সংহারও ওঁত পেতে থাকে। যেখানে খাদ্যের প্রাচুর্য সেখানে খাদকের লিপ্সাও জেগে থাকে পাশাপাশি। ব্রক্ষ্মান্ড জুড়েই বাইনারি ধরনে চলে খাদ্য আর খাদকের জীবনচক্র। যে প্রাণীজ ও উদ্ভিজ আজ তোমার ক্ষুন্নিবৃত্তি ঘটালো একদিন মিশে গিয়ে মাটির সাথে তুমি তাঁর শিকড়ে জৈব সারাৎসার যোগালে। সে সব তত্ত্বকথা ভাবতে ভাবতে যখন এগুচ্ছি তখনই নজরে এলো বীভৎস এক দৃশ্য। শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করছে আফ্রিকার রাণীকে।
এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে,
নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
এল মানুষ ধরার দল
গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
সভ্যের বর্বর লোভ
নগ্ন করলো আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।
তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে
পঙ্কিল হল ধুলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে,
দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়
বীভৎস কাদার পিণ্ড
চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।।
(চলবে...)
মন্তব্য
অগ্রজ, বরাবরের মতোই আনন্দ পেলাম তবে সম্ভবত স্লথগতির জাল-সংযোগের কারনে ছবিগুলো দেখতে পেলাম না। যদিও আপনার বর্ণনাই অনেক। চোখমুদে ভাবলে মনে হয় এইতো আমি, ঠিক যেন লেখার জায়গাটায় চলে গেছি। আর আপনার ব্যাবহৃত উপমার পারঙ্গমতার প্রসঙ্গে বলে, এক্ষেত্রে আপনার উপমা আপনিই।
চ্যালেগা উমর ভার পিনেকা মওসম, ধীরে ধীরে পিও .....................।।
দুনিয়ার মধ্য মনে হয় উর্দু ভাষায়ই সবথেকে বেশি পানি-চুনির গান লেখা হয়েছে। উর্দূভাষা এবং পানি-চুনি, এদুটোর কোনওটাতেই আগ্রহ না থাকলেও ওদের ছন্দগুলো বেশ ভালই লাগে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সুপ্রিয়,
তোমার ভালোবাসাজাত শব্দাবলী ফাল্গুনী রাতে নব আনন্দে জেগে উঠার শক্তি যোগায়। উর্দু শেরের অনুবাদ যখন করলেই তবে এ দুটো লাইনের অনুবাদও করে দাও না!
ম্যায় কাঁহা জাহু তো হোতা নেহি ফায়সালা
একতরফ সে উছকা ঘর তো একতরফ সে ম্যায়কাদা।
গালিবের শেরগুলি তো তোমার উদ্ধৃতির পক্ষেই কথা বলে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমার উর্দূর দৌড় কিন্তু খুবই সীমিত। এক্কেবারে যেখান ইংরেজি চলেনা শুধু সেখানেই আমি ভাঙাচোরা উর্দূ চালাই। তবে চেষ্টা করে দেখি আপনার উদ্ধৃত চরণদুটি-
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনুবাদ চমৎকার হয়েছে। তবে আমি ম্যায়কাদা শব্দটির অর্থ শরাবখানা বলেই জানতাম।
কোন দিকে যাই বলো সুন্দরী, ভেবে না পাই দিশা
একদিকে তোমার ঘরের উম আর দিকে সুরিখানার নেশা।
সাবধানে থাকবেন, ঝুঁকির প্রান্তদেশে বিস্তৃত আপনার কর্মক্ষেত্র। করুনাময় আপনাকে সর্বদা সুরক্ষা করুন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমার চাপাবাজীর উর্দূ ধরা খেয়ে গেছে বস। আজ সন্ধ্যায় এক বন্ধুর কাছে থেকে জানতে চাইলাম এটার ব্যাখ্যা। এখানে উসকা ঘর বলতে কবি বুঝিয়েছেন মসজিদ আর ম্যায়কাদা মানে শরাবখানা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
"হাহাকার" আর "DSC02357"- এই দুটো ছবি দেখে ভয় পেলাম।
"হীরের সকাল", "মোষের পাল", "সুন্দরী জেব্রাদল"- এই ছবিগুলো অসাধারণ লাগলো।
রোমেল ভাই, খুব ইনোসেন্ট চেহারা আপনার।
আর লেখা সেরকম ভালো লাগলো।
১০০% খাঁটি কথা হলেছেন রাজাবাবু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, যতোই লজ্জায় লাল টুকটুক হন না কোনো, যে ইনোসেন্ট তারে আমরা একশোবার ইনোসেন্ট কবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
খুব মজা পেলাম!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
"হাহাকার" তো আমাদের সবার জীবনেরই অনিবার্য পরিণতি! তবে "DSC02357" কখনই কাম্য নয়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পড়তে ভাল লাগছে। কিন্তু আমি তো কোনো ছবি বা ছবির লিঙ্ক দেখলাম না!
ধন্যবাদ। আমার কম্পিউটার জ্ঞান শিশুর মতোন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার কম্পিউটার জ্ঞ্যান যদি শিশুর মতো হয় তাহলে আমরা তো নাই হয়ে যাই। আমি যতদূর জানতাম আপনি সিএসই নাকি ইইই'র একজন স্নাতকোত্তর।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সুহৃদ,
ইইই এর ছাত্র হিসেবে কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং বলতে কেবল ফোট্রান ৭৭ নামের বিদঘুটে একটা জিনিস শিখতে হয়েছিল। খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারিনি। তাই নিজেকে শিশু বলাটা বোধকরি অত্যুক্তি হবেনা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সুপ্রিয় মডারেটর, সচল, সহহাচল, অতিথিবৃন্দ,
সালাম জানবেন। আপনাদের শরণাপন্ন হতে একরকম লজ্জাই লাগছে। সচলের হেল্প মেন্যুর সাহায্য নিয়ে আমার লেখা ব্লগগুলিতে ছবি জুড়ে দিতে গিয়ে বার বার একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। পোষ্ট করা ছবি কিম্বা লিংক কোনটিই দেখাচ্ছে না। এই যে আজ যে ব্লগটি প্রথম পাতায় প্রকাশিত হলো "পৃথিবীর পথেঃ প্রথম পর্ব(ষষ্ঠ কিস্তি)" নামে, সেটিতে গোটা ছয়েক ছবি জুড়ে দিয়েছিলাম। ব্লগ লেখার সময় ছবির আইকনে ক্লিক করে পাওয়া ডায়ালগ বক্সে ফ্লিকারের লিংক পেষ্ট করে। ফ্লিকারে ছবিগুলো সর্বজনের জন্য অবারিত করাও ছিল। কিন্তু হা হতশ্যি! ছবিগুলোই লেখাটার মূল আকর্ষণ ছিলো, সেগুলো না থাকায় কেমন জানি পানসে ঠেকছে। তাই আপনাদের সাহায্য চাইছি, সাথে সাথে আগাম কৃতজ্ঞতাও জানিয়ে দিচ্ছি।
সবিনয়ে রোমেল চৌধুরী
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনুরোধ পাঠানোর সাথে সাথেই তড়িৎ গতিতে বিষয়টির সমাধান করে ইমেল করে জানালেন মাহবুব মোর্শেদ ভাই। সেই সাথে জানিয়ে দিলেন ছবি জুড়ে দেবার কায়দা-কানুন। আমি অভিভূত! ধন্যবাদ, মাহবুব ভাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
লেখা চমৎকার। ঠিক যেন ঘুরে এলাম আপনার সাথে সাথে।
কিছু যদি মনে না করেন একটা কথা, "নিগ্রো" কথাটা ব্যবহার হয় না এখন অনুচিত বিধায়, পলিটিকালি ইনকারেক্ট (এর পিছনে মারাত্মক ইতিহাসে না হয় নাই গেলাম) যদি পাল্টে দেন তাহলে একেবারে পারফেক্ট হয়।
কৃষ্ণা যুবতী বরং আরো সুন্দর শোনায়। অযাচিত উপদেশে আশা করি কিছু মনে করলেন না।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা,
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আমার আরেকটি লেখায় অত্যন্ত দায়িত্বশীল মন্তব্যে একথাটি হাসিব ভাই একবার বলে দিয়েছিলেন। আমার স্মরণ ছিলো না। অসতর্ক থাকায় আবারো লিখে ফেলেছি। কর্মসূত্রে আফ্রিকার বহুদেশে ভ্রমণ করেছি, পরিচিত হয়েছি সেসব দেশের বহু লেখকের সাথে। তাদের কাউকে কাউকে কিন্তু নিজেদের নিগ্রো হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতে দেখেছি। তবে আমেরিকায় হয়তো এই শব্দের অভিজ্ঞান অনেক ক্লেদাক্ত ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করে আসছে। একটি সুচয়িত শব্দ পেলে এই বিতর্কিত শব্দটি পাল্টে দিতে আমার তো কোন আপত্তি থাকে না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ইশ ! ইশ ! ইশ !
প্রথম কয়েকটা লাইন পড়েই হিংসায় জ্বলতে জ্বলতে পোস্টটা বন্ধ করে ভাগতেসি। এখন এত ফাটাফাটি লেখা আর ভ্রমণ সহ্য হবে না। পরে পড়বো।
মনমাঝি
মনমাঝি,
আপনার অনুরাগ ভালো লাগলো। ভালো থাকুন সবসময়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি আমার খুব পছন্দের বিষয়। ছবি ও বর্ণনাগুণে আপনার পোস্টটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। সেই সাথে একটু হিংসাও হচ্ছে - কারণ আমার আফ্রিকার সাভানা দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
কথাটা আপনার আগের লেখাগুলোর নৈর্ব্যক্তিক ঢং এর সাথে ঠিক গেল না।
পরিশেষে, আপনার এই সিরিজ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পড়ি। আরো আসুক এমন লেখা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই,
ধন্যবাদ। 'সাভানা' জীবনানন্দীয় বাংলায় যাকে 'সবুজ ঘাসের দেশ' বলতেই আমি সাচ্ছন্দবোধ করি সেটির সবচেয়ে মোহিনীরূপ দেখতে হলে কিন্তু কেনিয়ার মাসাই মারা নয়, আপনাকে যেতে হবে তাঞ্জানিয়ার সেরেঙ্গাগাতিতে। সে সৌভাগ্য আমার হয় নি।
নৈর্ব্যক্তিক ঢং বজায় রাখবার ব্যাপারে আপনার মূল্যবান উপদেশ ভবিষ্যতে মনে রাখবো। আশাকরি ভবিষ্যতেও এমনি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন