একুশের বইমেলায় ইত্যাদির স্টল থেকে কিনতে হবে বইটি। সাবধানে, সতর্কতার সাথে। পাছে কেউ আবার ভেবে না বসে ভীমরতি হলো নাকি। না, আদিরসের সেরা কাহিনী নয়, চটুল প্রেমের উপন্যাসও নয় কোনো, একগুচ্ছ সনেট। এবার প্রথম দিন যখন বইমেলায় গেলাম, আমার নয় বছরের মেয়েটিকে সংগে নিয়ে, ও যখন স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই গোয়েন্দা ঝাকানাকাতে ডুবে গেল, সেই ফাঁকেই একনজর দেখে নিয়েছিলাম ওটা। ‘সোনালি কাবিন’ পড়ার পর তেমন মন লাগিয়ে সনেট আর পড়া হয়ে উঠে নি, তাই কেনার সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেছিলাম। কিন্তু যত বিপত্তি বাঁধালো ওই নামটিতেই। মনে মনে একবার উচ্চারণ করতেই ভিড় করে এসে লজ্জাবতী দ্বিধার দল আমাকে আটকে দিল, কেনা হলো না।
একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ফের বইমেলা চত্ত্বরে ঢোকা হলো, এবার আমি একলা এসেছি। ইত্যাদির স্টলের সামনে পায়ে পায়ে এসে দাঁড়াই। বইয়ের পসরা নিয়ে হাসিমুখে আমার দিকে চেয়ে আছে অল্পবয়সী তরুণ। ঠিক তরুণ নয়, বালক তখনো তারুণ্যের সিঁড়ি ছোঁয় নি। কি মুশকিল হলো, এই সব বালকেরা মধ্যবয়সী গোবেচারাদের সাথে মস্করা করে মজা পায়। না, ওকে কিছুতেই বলা যায় না, “একখণ্ড ‘ভালোবাসার রাতে’ দাও তো ছোকরা”। তবে কি বলি? চট করে মাথায় একটা বুদ্ধি চলে আসে। কপট গাম্ভীর্য ফুটে উঠে আমার মুখে, “সৈয়দ শামসুল হকের ওই সনেটগুচ্ছ দাও তো হে ইয়াংম্যান ”। প্রথম দফায় বুঝতে পারে না সে। চোখের খাঁজে ভেসে ওঠা ইতস্ততঃভাব দেখে পাশ থেকে ধরিয়ে দেয় একজন। “ও এইটা”, আমাকে দেবার আগে বইয়ের ভেতরটা খুলে চোখ রাখে একটি পাতায়। গুণে গুণে দেখে চৌদ্দ লাইনের বিন্যাস। বুঝি, মধুসূদনের ‘কপোতাক্ষ নদ’ মন লাগিয়ে পড়েছে সে, হয়তোবা দারুণ ব্যাখ্যা করেছে সনেটের সেই বক্ষ্যমাণ অংশটুকু, “দুগ্ধস্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি স্তনে”। মাইকেলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিলকুল ঠিক বিচার এই বালকের। তিনিই তো প্রথম ‘সনেট’ শব্দটিকে ‘চতুর্দশপদী’ বলেন। ‘পদ’ বলতে তিনি বুঝিয়েছিলেন ‘পঙক্তি’কে। কিন্তু সনেট কি শুধুই চৌদ্দ লাইনের পদ্য?
বোধকরি সনেটকে তুলনা করা চলে সুকঠিন ভাস্কর্যের সুডৌল সৌন্দর্যের সাথে। সেখানে স্থূলতা কিম্বা শীর্ণতা কোনটিই কাম্য নয়। চৌদ্দ পঙক্তির সুনির্ধারিত অবয়বে ইতালীয় সনেটের ধাঁচে বাংলাভাষায় প্রথম রচিত সনেট মধুসূদনের ‘কবি-মাতৃভাষা’, রচনাকাল ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দ। তিনি ইতালীয় কবি পেত্রার্কার সনেট পড়ে উদ্বুদ্ধ হন এবং পেত্রার্কার রীতি অনুসরণ করে বাংলায় চতুর্দশপদী রচনায় মনোনিবেশ করেন। তবে সাকুল্যে মধুসূদনের রচিত ১০৬ টি সনেটের মধ্যে মাত্র ৮ টি সনেট খাঁটি পেত্রার্কীয় রীতিতে রচিত। কিন্তু তারও আগে চৌদ্দ পঙক্তির কবিতা কি রচিত হয় নি? হয়েছে। কাহ্নপাদারামের ‘রাগ দেশাখ’ কিম্বা চণ্ডীদাসের ‘সিন্ধুড়া’ও তো চৌদ্দ লাইনের পদ্য। কিন্তু সেখানে সুকঠিন ভাস্কর্যের সুডৌল সৌন্দর্য নেই, আছে মনোহর বনপুস্পের বিচিত্র আনন্দ-সুরভি। এইসব কবিতার ভাবদেহকে দীর্ঘায়িত করাও যেমন দুরূহ নয়, তেমনি সংকুচিত করাও সম্ভব। কিন্তু সনেটের সঙ্গীত-ধ্বনিতে বেজে উঠে প্যাশন ও অনুভূতির অনুরণন। শব্দ, রূপক, সূক্ষ্মতা ও গাঢ়বদ্ধতা তার ভাব-দেহকে করে সমৃদ্ধ ও সুডৌল। সংক্ষিপ্ততা ও সংহত গড়ন স্বাক্ষর বহন করে শৈল্পিক উৎকর্ষের। সনেটের তুলনা সমুদ্রের উজান-ভাটার সাথে। অষ্টকে উচ্ছলিত, ষটকে অবগুণ্ঠিত। আর যদি মিল-বিন্যাসের কথায় আসি, তবে পঙক্তি থেকে পঙক্তিতে অন্ত্যমিল যত দূরান্তরিত, ভাবের বিস্তারও ততদূর প্রসারিত। আর মিল-বিন্যাসের মধ্যদিয়েই এক একটি বিষয়-কল্পনা অখণ্ড রসমূর্তি ধারণ করে।
ইংরেজিতে প্রথম সনেট রচনা করেন কবি থমাস উইয়াট (Sir Thomas Wyatt)। তাঁর সনেটে খুঁজে পাই শক্তি ও সৌন্দর্যের অপূর্ব মেলবন্ধন। তাঁর সনেটের মধ্যমেই ইংরেজি কাব্যে পুনরায় লিরিসিজমের অনুপ্রবেশ ঘটে। বাংলা ভাষায় উইয়াটের অভিনব রূপবন্ধ প্রথম প্রবর্তন করেন দেবেন্দ্রনাথ সেন। শেক্সপীয়রকে বলা হয় ‘The greatest of English sonnet-writer’। তিনি যেমন খাঁটি পেত্রার্কীয় পদ্ধতিতে লিখেছেন, তেমনি খোলনলচে পাল্টে এনেছেন নতুন রূপের পসরা। এডমন্ড স্পেন্সারও নিপুণ মেকআপ-ম্যানের ভূমিকায় কম যাননি। শেক্সপীয়রে পাই তিন চতুষ্ক ও একটি সমিল শ্লোক, সব মিলিয়ে চৌদ্দ পঙক্তি। প্রথম চতুষ্কে বক্তব্যের উপক্রমণিকা, দ্বিতীয় চতুষ্কে বিষয়ের বিশ্লেষণ, তৃতীয় চতুষ্কে ভাবের মর্ম রূপায়ণ, অন্তিক শ্লোকে সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য। পেত্রার্কীয় রীতির সনেটগুলো impressive, শেক্সপীয়রীয় রীতির গুলি expressive। ইতালীয় ভাষায় আছে rhyming syllables এর প্রাচুর্য, ইংরেজিতে তেমনটি নেই। তাই বোধকরি শেক্সপীয়রীয় রীতিটিই বেশী উপযোগী বিবেচিত হয়। এই রোমান্টিক রীতিটিই বেছে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যগ্রন্থে অন্তত সেই প্রতিফলনই তো দেখতে পাই।
এ কিস্তির ইতি টানবো ভাওয়ালের কবি গোবিন্দদাসের একটি সনেট দিয়ে। বোঝা যাবে নিষ্ঠা ও দক্ষতা থাকলে কি করে পুরনো বোতলেও ভরে দেয়া যায় নতুন মদ। আরো বোঝা যাবে সহজ-সরল হলেই কবিতা অনাধুনিক হয়ে যায় না।
সুন্দর শীতলপুর―শ্যাম সন্ধ্যাবেলা,
প্রকৃতির শ্যামরাজ্য শ্যাম বনদেশ,
বাঁশবনে ঢাকা পথ, একেলা একেলা
যেন কোন স্বপ্ন রাজ্যে করেছি প্রবেশ।ক্লান্ত কমলের মতো শ্রান্ত দেহভার
রাখিয়া ঢেঁকির আড়ে যুবতী সুন্দরী
রক্ত পাদপদ্মে ঘন করিছে প্রহার,
এলোমেলো কেশে বালা বন আলো করি’।মেঘাচ্ছন্ন গিরি যেন ঘোর ভুকম্পন
বিপুল তরঙ্গ তুলি দেয় কাঁপাইয়া,
সে বিশাল স্ফীত বক্ষে মন্দ আন্দোলন
দেখা যায় ছিন্নভিন্ন কেশদাম দিয়া।পুণ্য পদাঘাতে তার ঢেঁকী স্বর্গে উঠে,
সরলা গৃহস্থ-বধু ঐ চিড়া কুটে।।
(চিড়া কুটা, ‘ফুলরেণু’, গোবিন্দ দাস)
‘সোনালি কাবিন’ আর ‘ভালোবাসার রাতে’ নিয়ে পরের পর্বগুলোতে আলোচনা করা যাবে।
গ্রন্থ সহায়তাঃ
আবদুল কাদির সম্পাদিত 'সনেট শতক'।
মন্তব্য
সুন্দর।
বাংলার অধ্যাপক নাকি আমাদের রোমেল চৌধুরী?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ, রিটন ভাই। আমি বটতলা কিম্বা লোকাল ট্রেনের ক্ষুদ্র পদ্যকার, কবি কিম্বা অধ্যাপক নই। তেমনটি হবার সাধও করি না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বটতলা কিম্বা লোকাল ট্রেনের পদ্যকারকে 'ক্ষুদ্র' বলছেন কেনো? তাঁরা ক্ষুদ্র নন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
বটতলা কিম্বা লোকাল ট্রেনের পদ্যকারকে 'ক্ষুদ্র' বলিনি, নিজের পরিমাপ অযোগ্য ক্ষুদ্রতা নিয়ে বিব্রত হয়েছি। বাক্য প্রকাশের দীনতা ও ভ্রান্তি মার্জনা করবেন। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ঝাতি ঝানতে চায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
না গো বোন, আমি বটতলার পদ্যকার। বড়ই ক্ষুদ্রজন। নিশ্চিত, জাতি আমাকে নিয়ে মাতামাতি করে অযথা সময় নষ্ট করবে না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আলোচনা এবং গোবিন্দদাসের সনেট, দুটোই অসাধারণ। কবিতা বোধগম্য হলে বড়ই আনন্দ পাই। আপনার লেখা এবং কবিতাগুলো বড়ই বোধগম্য তাই পড়লেও বিভ্রান্তি ভর করে না। সবকিছুই পরিষ্কার করে লেখেন। ধন্যবাদ বস, দেখা হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে।
অট. পাবলিক কি জিগায়, কইয়া দিমুনি???
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দেন কইয়া। কী আছে দুনিয়ায়!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হ।
কইয়া ফালান।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কওনের মতো কিছুই নাই। এই চৌধারী প্রাতঃস্বরণীয়ও না রাতঃস্বরণীয়ও না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কী অসাধারণ লেখা, রোমেল ভাই। আমার একটা প্রশ্ন আছে। সনেটের স্তবক নির্মাণে অর্থের ভূমিকা কী? আমি জানতাম পেত্রার্কের রীতিতে প্রথম স্তবকে কবি বিষয়ের অবতারণা করেন ও পরবর্তী স্তবকে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আদি ইতালীয় সনেটের অষ্টকে ও ষটকে যথাক্রমে ভাবের আবর্তন ও নিবর্তন (ebb and flow) ঘটতে দেখি। কবি অষ্টকে বক্তব্যের পরিবেশনা করেন, ষটকে আঁকেন তার পরিপূরক রূপ। কোন কোন ক্ষেত্রে ষটকে অষ্টকের উপস্থাপিত বক্তব্যের বিপরীত দিক বর্ণনা করে শেষটায় আবেগের উপসংহার টানা হয়। ‘The Norton Anthology of Poetry’ থেকে কবি মিল্টনের একটি সনেট খতিয়ে দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
WHEN I CONSIDER HOW MY LIGHT IS SPENT
When I consider how my light is spent
Ere half my day, in the dark world and wide,
And that one talent which is dead to hide
Lodged with me useless, though my soul more bent
To serve therewith my Maker, and present
My true account, lest he returning chide;
“Doth God exact day-labor, light denied?”
I fondly ask; but patients to prevent
That murmur soon replies, “God doth not need
Either man’s work or his own gifts; who best
Bear his mild yoke, they serve him best. His state
Is kingly. Thousands at his bidding speed
And post o’er land and ocean without rest:
They also serve who only stand and wait.”
এই কবিতাটির ভাবপ্রকাশ যে মিথকে আশ্রয় করে, তা হলো ‘The Parable of the Talents’। সংক্ষেপে বিষয়টি এরূপ, একজন ভৃত্যকে মনিব মাত্র একটি বিষয়ে মেধা প্রদান করেছিলেন। ভৃত্য সেই মেধাটিকে যথাযথ ব্যবহার না করে কবর দিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে সে সবকিছু হতে বঞ্চিত হয় এবং অন্ধকার কুণ্ডে নিপতিত হয়। কবি মিল্টন ১৬৫১ সালে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান। ঐশ্বরিক বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্ধ কবির জিজ্ঞাসাকে অষ্টকে জোয়ারের প্রবর্ধিত হতে দেখি। ষটকের দিকে তাকান, কি অসীম ধৈর্যশীলতায় অষ্টকের ফুলে-ফেঁপে উঠা আক্ষেপ প্রশমিত হয় ভাটার মতো। আরো লক্ষ্য করুন, টার্নিং পয়েন্টটি কোথায়? হ্যাঁ, ‘but’ শব্দটিতে। না, ষটকের প্রথম চরণে নয়, অষ্টকের শেষ চরণের ‘but’ এ। নিয়ম মেনে কি অসাধারণ দক্ষতায় নিয়ম ভাঙা, বড়ই মনোহর।
সনেটের গাঢ় ও গভীর ভাবপ্রবাহ অষ্টকে জোয়ারের মতো ফুলে-ফেঁপে উঠে গতিময় হয়। ষটকে তা প্রশমিত হয়ে ভাটার মতোই অতলে নিঃশেষিত হয়। অষ্টকে দুই চতুস্ক, প্রথমটিতে থাকে বক্তব্যের অবতারণা, দ্বিতীয়টিতে থাকে বিশ্লেষণ। তেমনি ষটকে দুই ত্রিপদিকা, প্রথমটিতে বিষয়ের পরিপূরক হিসেবে বিপরীতমুখী বর্ণনা, দ্বিতীয়টিতে পুরো ভাববস্তুর একটি মীমাংসা। খাঁটি পেত্রার্কীয় সনেটে অষ্টকের দু’টি চতুষ্ক যেমন পরস্পর সংযুক্ত থাকে না, তেমনি ষটকের দুটি ত্রিপদিকা পূর্ণ ভাব-যতির (thought house) মাধ্যমে বিযুক্ত থাকে।
জানিনা, ক্ষুদ্র পরিসরে আপনার প্রশ্নকে যথার্থ সম্মানিত করতে পারলাম কি না। ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বিশদ ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ, রাতঃস্বরণীয় ভাই। দেশে ফিরছেন নাকি, শুভেচ্ছা স্বাগতম।
অট। ফলই তো বৃক্ষের পরিচয়, ফসল মাটির। সে পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে বালখিল্য প্রশান্তিতে বুঁদ হতে চাই না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সোনালি কাবিন বাতিল কবির জিনিস।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হ।
হ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চমৎকার বস্! কবিতার পাঠশালা চলুক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বোধকরি পাঠশালায় উপস্থিতি ও আগ্রহ দুই'ই আশংকাজনক কম। জিজ্ঞাসু পড়ুয়া, জটিল প্রশ্ন, দ্বিমত, ভিন্নমত এইসব না পেলে কি পাঠশালা জমে?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
উপস্থিতি তো কম বলে মনে হচ্ছে না, স্যার! প্রাইমারী ক্লাশে পড়ুয়ার কাছ থেকে জটিল প্রশ্ন, দ্বিমত, ভিন্নমত পাবেন না। মাঝে মধ্যে কিছু বেকুবি প্রশ্ন পেতে পারেন। শিক্ষার্থী প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করলে তার মুখ (কী-বোর্ড) আপনাআপনি সচল হয়ে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সে সব প্রশ্ন পেলেও তো প্রকরণ-ব্যাকরণ কটকটে আরেকটি ব্লগ না ঝেড়ে প্রতিমন্তব্যেই ব্যাকরণের সমাপ্তি টেনে কাব্যরস আহরণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা যায়।
আপনার কাছ থেকেও কিন্তু প্রশ্ন আসা করেছিলাম। জটিইইইইল প্রশ্ন!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
শব্দটা বোধহয় ষট্ক (Shot-ko)। ষটক (Sho-tok) নয়।
প্রমথ চৌধুরীও সনেট লিখতেন অল্পস্বল্প। তাঁর একটি উদ্ধৃতি:
"ভালো লাগে সনেটের কঠিন বন্ধন
কবি যাহে মুক্তি পায়, অপরে ক্রন্দন।"
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
চালশে চোখের দৃষ্টিফেরে ষট্ক হলো ষটক
এবার তবে কেমনে পেরুই বৈতরণীর ফটক?
বহু চেষ্টা করেও কিবোর্ড ঠুকে ষট্ক লিখতে পারলুম না। অগত্যা আপনারটাই কপি এন্ড পেস্ট। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বাংলা একাডেমী প্রণীত ব্যবহারিক বাংলা অভিধানের ১০৯৪ পৃষ্ঠায় অভিন্নার্থে 'ষট্ক' ও 'ষটক' দুই'ই আছে। জাতক সাহেব, দু'টোই হবে।
হ্যাঁ, প্রমথ বাবু সনেট লিখেছেন কিছু, বেশীর ভাগই ব্যঙ্গার্থে। শেক্সপীরীয় রীতির সনেটে ছিল তিন চতুষ্ক ও একটি সমিল শ্লোক। স্বয়ংসম্পুর্ণ শ্লোকটিকে অষ্টকের পড়ে সন্নিবেশিত করে তিনি সনেটের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় জুড়ে দিয়েছেন। এই প্রেরণা তিনি পেয়েছিলেন ফরাসি রীতি হতে। আগ্রহী হলে প্রমথ চৌধুরীর 'পদচারণ' কাব্যের 'ওঁ' শীর্ষক সনেট দেখতে পারেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কি বলব রোমেল দা।
হমমমমমমমম.................
দা-রু-ন...................
ধন্যবাদ, রাজা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন