ভেবেছি সেদিন, বড় বেশি দুখী আমি―
তুমি বলেছিলে, “এই শেষবার দেখা!”
তোমার দু’চোখে ছিল যতটুকু নীল
ছড়িয়ে দিয়েছি সুকেশী আঁধারে একা।
তোমার জন্যে আকুলতা একবুক
চোখের কিনারে বিধবা ব্যথার ছোপ
যতনে ভেবেছি এই বুঝি সব পাওয়া
মুক্তোর মতো বড় জ্বালাময়ী সুখ।
তোমার মুখোশে স্নিগ্ধতা সন্ধান―
করোটির রোদে ঘুঘু ডাকা নীরবতা
ধূসর মলিন মৃত তারাদের গান―
শব্দের স্নানে ভেসে যাওয়া খেরো খাতা।
আমার চোখের শান্ত সবুজ মাছ
দীপ নেভা রাতে শূন্যতা খুঁজে ফিরে
খুঁজে নিশিদিন শত সবুজের ভিড়ে
অনেক পাতার একটি হিজল গাছ।
আজ অবেলায় তবু জেনো আমি মানি
অনেক দিয়েছ ঝরা পালকের মতো―
তোমার জন্য গোধূলির ছায়াপথে
ফুটিয়েছি ফুল অযুতে নিযুতে কত!১
মন্তব্য
এই অংশটা খুব ভালো লাগলো।
এই স্তবকটি যেন প্রথম দুটি স্তবকের সাথে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দ্বৈরথে নেমেছে। প্রথম দুই স্তবকের পর দুই অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ, একটি অব্যয়―'তবু', পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে আমি তাকে উহ্য রেখেছি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দারুণ লাগলো কবিতা (গুড়)
ধন্যবাদ বোন, শুভপ্রীতি নিবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সেদিন ভাবছিলাম, অনেকদিন হল, রোমেল ভাইয়ের দেখা নেই...
আপনার ভালোবাসা আমার স্বল্পজীবি সত্ত্বায় মঙ্গলালোক দান করে। 'প্রসূতির ডাক্তার' ক'দিনের জন্য 'হৃদয়ের ডাক্তার' রূপে আবির্ভুত হয়েছিল। মানে, গিন্নি মেতেছিলো আমার সাথে প্রাণের খেলায়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কী দারুণই না লাগলো!!!
। ভাই, হিমুর মন্তব্যের পিঠে আমার প্রতিমন্তব্য দয়া করে বিবেচনায় নিবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সুন্দর।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই অনেক দিন পর
অতীত
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভালো লাগলো।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
শব্দের স্নানে রূপকটা ধার নিলাম আজ থেকে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খুব সুন্দর ছন্দময় একটি কবিতা। খুব ভালো লাগলো। কবিকে ধন্যবাদ।
বোন,
দুর্বল অন্ত্যঃমিলের কারণে এই কবিতাটি কেচে গেছে।
প্রথম ও চতুর্থ স্তবক লক্ষ্য করুন,
ভেবেছি সেদিন, বড় বেশি দুখী আমি―
বলেছ যখন, “এই শেষবার দেখা!”
তোমার দু’চোখে ছিল যতটুকু নীল
ছড়িয়ে দিয়েছি সুকেশী আঁধারে একা।
আমার চোখের শান্ত সবুজ মাছ
দীপ নেভা রাতে শূন্যতা খুঁজে একা
যেন ভালোবাসে কবে কোন কালে দেখা
অনেক পাতার একটি হিজল গাছ।
দু'দুবার 'একা'-'দেখা'র মিল প্রকারান্তরে কবির বন্ধ্যাত্বকেই পরিস্ফুট করে।
শেষ স্তবক লক্ষ্য করুন,
আজ অবেলায় তবু জেনো আমি মানি
অনেক দিয়েছ ঝরা পালকের মতো―
তোমার জন্য গোধূলির ছায়াপথে
ফুটিয়েছি ফুল অযুতে নিযুতে কত!
'মতো', যার উচ্চারণ কিনা 'মোতো' তার সাথে 'কতো' বোধকরি গলায় গলায় যায় না।
এই কবির চুল পাকতে আরো সময় লাগবে বলেই মনে হয়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বস, এই চরণগুলো ভাবিকে কি একবার শুনিয়েছেন? জানিনা কি ছিলো তার অনুভূতি। জাস্ট অসাধারণ।
বাল সফেদ হওয়ার একটা গল্প আছে। দেখা হলে মনে করিয়ে দিয়েন, শোনাবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তোমার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন